সত্য প্রকাশ নিউজ ২৪

সত্য প্রকাশ নিউজ ২৪ Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from সত্য প্রকাশ নিউজ ২৪, Digital creator, Natore.

আসসালামু আলাইকুম, ইতিহাস ঐতিহ্য ধারণ করে, স্বপ্নের লালপুর গড়তে, সকল সমস্যা ও সম্ভবনা প্রকাশে সত্যের সাথে আগামীর পথে আমরা আছি আপনাদের পাশে, লালপুর সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সকল খবর দ্রুত পেতে আমাদের "সত্য প্রকাশ নিউজ ২৪" পেইজের সাথেই থাকুন। সবাইকে ধন্যবাদ।

08/08/2025

আলহামদুলিল্লাহ্! ময়মনসিংহে হাঁটু না কেটে অর্থস্কোপই মেশিনের সাহায্যে হাঁটুর রগের(ACL) নিয়মিত অপারেশন করছেন- ডাঃ খন্দকার হাফিজুর রহমান।

08/08/2025

আমরা জনগণের পুলিশ হতে চাই, আমরা কারো পকেটের পুলিশ হতে চাই না! -ডিআইজি রেজাউল হক

08/08/2025
নাটোরের সিংড়ায় কবুতরের খামার থেকে কবুতর চোর সন্দেহে আকরাম হোসেন নামের ১৭ বছর বয়সী এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে খামার মাল...
08/08/2025

নাটোরের সিংড়ায় কবুতরের খামার থেকে কবুতর চোর সন্দেহে আকরাম হোসেন নামের ১৭ বছর বয়সী এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে খামার মালিকসহ স্থানীয়রা। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে সিংড়া পৌর এলাকার পাটকোল মহল্লায় এই ঘটনাটি ঘটে। পরে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আকরাম হোসেনের মৃত্যু হয়। নিহত আকরাম হোসেন পারসিংড়া মহল্লার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে।

সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, গত এক সপ্তাহ আগে সিংড়ার পাটকোল মহল্লার মিঠুর কবুতরের খামার থেকে কয়েকটি কবুতর চুরি করে পালিয়ে যায় কে বা কাহারা। এই চুরির ঘটনায় আকরামকে সন্দেহ করে খামার মালিক মিঠু। শুক্রবার দুপুরে আবারো মিঠুর কবুতর খামারের কাছে আকরাম হোসেনকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে চোর সন্দেহে তাকে ধরে গণপিটুনি দেয় মিঠুসহ স্থানীয়রা। তাদের পিটুনিতে আকরাম অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রাই তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদিন বিকেলে আকরামের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে আকরামকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং পিটিয়ে হত্যার কিছু আলামত পাওয়া গেছে। তবে আকরাম খামার থেকে কবুতর চুরি করতে গিয়েছিল কিনা তা তদন্তের পর সঠিক জানা যাবে। ঘটনাটি তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

লালপুরে নির্বাচনের সময় নেতাদের  মুখে উন্নয়নের গল্প, কাজের বেলায় শূন্য!লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর-বরহাটি ইউনিয়নের ৪নং  ...
08/08/2025

লালপুরে নির্বাচনের সময় নেতাদের মুখে উন্নয়নের গল্প, কাজের বেলায় শূন্য!
লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর-বরহাটি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে আজও নেই একটি পাকা রাস্তা, নেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার হার ৩০ শতাংশের নিচে।

বছরের পর বছর চেয়ারম্যানরা শুধু মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে, বাস্তবে কিছুই করে নাই।বর্ষা এলেই রাস্তাঘাট হয়ে পড়ে অচল, মানুষ পড়ে দুর্ভোগে — অথচ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা নিরব দর্শক।

১ বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতাঅধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের মূল্যায়নে...
08/08/2025

১ বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতা
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের মূল্যায়নে প্রশংসার ও সমালোচনা- উভয় দিকই সামনে এসেছে। সফলতা-ব্যর্থতার আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে অর্থনীতি, বিচার সংস্কার এবং মব ভায়োলেন্সের মতো ইস্যুগুলো।

গত বছর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
গত বছর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস |সংগৃহীত

গণ-অভ্যুত্থানের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের মূল্যায়নে প্রশংসার ও সমালোচনা- উভয় দিকই সামনে এসেছে। সরকারের এক বছরের সফলতা-ব্যর্থতার আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে অর্থনীতি, বিচার সংস্কার এবং মব ভায়োলেন্সের মতো ইস্যুগুলো।

অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা কী এই প্রশ্নে অর্থনীতিতে ব্যাংক, বাজার, রিজার্ভসহ সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য সরকার কৃতিত্ব পাচ্ছে।

তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির, মব ভায়োলেন্স, মৌলিক সংস্কার এমনকি বিচার প্রক্রিয়ার কিছু বিষয়ে সরকারের ভূমিকার নানা সমালোচনা করছেন পর্যবেক্ষক এবং বিশ্লেষকরা।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর আন্দোলনকারী সকল পক্ষের সমর্থনে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের সামনে সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন অনুষ্ঠান এই তিনটি বড় দায়িত্ব ছিল।

এছাড়া ভঙ্গুর অবস্থা থেকে দেশের অর্থনীতিকে সামাল দেয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল সরকারের সামনে।

অর্থনীতির স্থিতিশীলতা
অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনা এবং বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তার প্রশংসা রয়েছে। তবে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নয়ন না হওয়ায় দুর্বলতার কথাও সামনে আনছেন অর্থনীতিবিদরা।

সরকারের এক বছরের মূল্যায়ন করে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যে অর্থনীতি এ সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিল সেটা তো খুবই জটিল অবস্থার ভেতরে ছিল।

তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিতে সামষ্টিক স্থিতিশীলতার একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে ছিল সরকারের পক্ষ থেকে মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা, টাকার পতন আটকানো, সুদের হার একটা অবস্থায় রাখা, বাজেট ঘাটতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ইত্যাদি। কাজের ভেতরে সাফল্য এসেছে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’

তবে অর্থনীতির এই সাফল্যটা মূলত হয়েছে বাইরের খাতে বা এক্সটার্নাল সেক্টরে। অর্থাৎ রেমিটেন্স বেড়েছে, রফতানি চালু আছে, আমদানি কম হওয়ার ফলে বৈদেশিক লেনদেনে একটা ভারসাম্য এসেছে এবং সরকার অনেক পুরোনো বিদেশী ঋণ শোধ করেছে। এই সময়কালে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ সে অর্থে কমেনি বলেও মনে করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তবে তার দৃষ্টিতে কর আহরণ বা আরো কার্যকরভাবে সরকারের বিনিয়োগ বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অনেক বড় দুর্বলতা রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় দুর্বলতা রয়ে গেছে আমরা ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ চালু করতে পারিনি। যে কর্মসংস্থানের আকাঙ্ক্ষা থেকে ছাত্র গণঅভ্যুত্থান হলো সেই কর্মসংস্থানের জায়গাটা দুর্বল রয়ে গেল।’

অর্থনীতিতে সরকারের সমস্যার জায়গা তুলে ধরে তিনি বলছেন, সরকার অনেক সংস্কারের কথা বলে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মধ্যমেয়াদী নীতিকাঠামো দেয়া হয়নি অর্থনীতির।

তিনি উল্লেখ করেন, ‘সফল হয়েছে কি ব্যর্থ হয়েছে এটা কোনো লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আমি মূল্যায়ন করব, এটা পারছি না। আমি যেটা পারি সেটা হলো যে আগে কী ছিল, এখন কী হয়েছে। সেহেতু আগের সাথে পরের তুলনা করে আমরা দেখি যে একটা মিশ্র পরিস্থিতি এখানে আছে।’

বিচার ও সংস্কার
অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে বড় দায়িত্ব ছিল জুলাই হত্যার বিচার এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে নির্বাচন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে মৌলিক কিছু সংস্কার করা।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন তিনটি ক্ষেত্রেই কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।

জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে সরকার একটি রূপরেখা দিয়েছে। তবে বিচার ও সংস্কার ইস্যুতে অগ্রগতির বেলায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

গত এক বছরে বিচারব্যবস্থা প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ, এ নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই।’

কারণ হিসেবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ঢালাও মামলার ব্যাপারে শুরু থেকেই তাদের উদ্বেগ রয়েছে। এটি কোনো দেশেই বিচার প্রক্রিয়ার জন্য সুষ্ঠু না বলে তারা মনে করেন।

এ বিষয়ে সরকারের একটা অবস্থান আছে যে মামলাগুলো সরকার করে না, সে কথা উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটা ঠিক। কিন্তু এটাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিকারের উপায় তো সরকারকেই বের করতে হবে। সেদিকে আমরা তেমন কিছু দেখি না। কতটুকু বিচার, কতটুকু প্রতিশোধ এই প্রশ্নটা ওঠা খুবই যৌক্তিক, যেভাবে চলছে। অন্যদিক থেকে আবার বিচারকেন্দ্রিক অনিয়ম-দুর্নীতি- যেমন মামলা বাণিজ্য, গ্রেফতার বাণিজ্য, জামিন বাণিজ্য এই বিষয়গুলো মোটামুটি এক ধরনের স্বাভাবিকতায় রূপান্তর করা হয়েছে।’

ইফতেখারুজ্জামান সরকার গঠিত দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ছিলেন, এছাড়া জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনেরও সদস্য।

তিনি বলছেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে যে পাঁচটি সংস্কার কমিশন, সে কমিশনগুলো যথাযথ সময়ে রিপোর্ট দিয়েছে। রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আশু করণীয় প্রস্তাবনাগুলো জমা দিয়েছে সরকারের কাছে। কিন্তু সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা নেই, কোনো অগ্রগতি নেই।

তার ভাষায়, দুদক সংস্কার কমিশনসহ প্রথম দফার ছয়টি কমিশনের মধ্যে যে পাঁচটি কমিশনের আশু করণীয় প্রস্তাবগুলো এসেছে সেগুলোর ভাগ্যে কী হয়েছে এ প্রশ্নের জবাব কিন্তু সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যায় না। যদিও সরকার বলছে ‘পদক্ষেপ নিচ্ছি’, কিন্তু বাস্তবে বলার মতো কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে পিক অ্যান্ড চুজ। যেমন প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে কমিশনের শতাধিক সুপারিশ ছিল, তার মধ্যে থেকে দেড় ডজনের মতো সুপারিশ পিক করা হয়েছে; যেখানে প্রাধান্যটা যদি দেখি, একটা দৃষ্টান্ত হচ্ছে- টয়লেট পরিষ্কার রাখতে হবে। বাংলাদেশে প্রশাসন সংস্কারের যে মৌলিক যায়গাগুলো সেগুলো কোথায়?’

আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও ‘মব ভায়োলেন্স’
অন্তর্বর্তী সরকারের গত এক বছরে সারাদেশে ‘মব ভায়োলেন্স’ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরীন বলেন, ‘সরকার বা সেনবাহিনী বলছে যে মব ভায়োলেন্স টলারেট করবে না। কিন্তু কার্যত আমরা দেখতে পাচ্ছি যে মবের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না এবং আমরা দেখেছি যে সরকার বিভিন্ন সময় একে বৈধতা দিয়েছে বলে মনে হয়েছে।’

মব নিয়ে সমালোচনার মুখে বিভিন্ন সময় সরকারের উপদেষ্টারা বলেছেন, মব ভায়োলেন্সকে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা করে না, এমনকি এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উন্নতির জন্য সরকার সেনাবাহিনীকে মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মাঠে রেখেছে। সরকারের দাবি, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকারের চেষ্টার ঘাটতি নেই।
সূত্র : বিবিসি

08/08/2025

গোপালপুরে গলা কে*টে হ*ত্যা'র ঘটনায় আ'ট'ক ১

তারেক রহমানের ক্ষেত্রে বেনজির ভুট্টোর মত ঘটনা ঘটবে না এর গারান্টি কিতারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবী...
08/08/2025

তারেক রহমানের ক্ষেত্রে বেনজির ভুট্টোর মত ঘটনা ঘটবে না এর গারান্টি কি
তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর। গত ৬ আগস্ট নয়া দিগন্ত অনলাইনের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তার কথা হয় রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে..

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর লন্ডন থেকে দেশে আসতে পারেনি পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমত গঠন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায়।

গত ৬ আগস্ট নয়া দিগন্ত অনলাইনের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তার কথা হয় রাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে।
নয়া দিগন্ত : দেশ কোন দিকে যাচ্ছে?

হুমায়ূন কবীর : ইনশা আল্লাহ ভালোর দিকেই যাচ্ছে, ৫ আগস্ট নির্বাচনের একটা অ্যাানাউন্সমেন্ট (ঘোষণা) হয়েছে । ভেরি ক্লিয়ার অ্যান্ড লাউড- ফেব্রুয়ারিতে দেশে নির্বাচন হচ্ছে' আলহামদুলিল্লাহ। এই নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্টপ (বন্ধ) করার জন্যই তো শেখ হাসিনা মানুষ মেরেছে। অধিকারকে হরণ করা করেছে। স্বৈরাচার হাসিনাকে বিতাড়িত হয়েছে । এবার গণতন্ত্রে ফেরার যাত্রা। জুনের ১৩ তারিখ লন্ডনের বৈঠকে কমিটমেন্টের একটা অ্যানাউন্সমেন্ট (ঘোষণা) ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন । এখন থেকে এগিয়ে যাচ্ছে ইলেকশন।

নয়া দিগন্ত : বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান সাহেব। আন্তর্জাতিক পরিসরে তার তেমন মুভমেন্ট দেখা যায় না আমরা মিডিয়াতে দেখতে পাই না, কারণ কি?

হুমায়ূন কবীর : তারেক রহমান অনেক এঙ্গেজমেন্ট করছেন, যেগুলা ফেসবুক বা মিডিয়াতে আসে না। কূটনীতিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন দেশের লিলিডাররা, মন্ত্রী সবাই উনার সাথে যোগাযোগ করছে। বৈঠক করছে। তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতি এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এটা ভেরি ক্লিয়ার সবাই। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে খুব হাই সম্ভাবনা আগামীতে উনি প্রধানমন্ত্রী হবে।

নয়া দিগন্ত অনলাইনের সাথে কথা বলছেন হুমায়ুন কবীর।

স্বাভাবিকভাবে যোগাযোগ আরো বেড়ে গেছে। আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন, এটা উনার স্টাইল। উনি মিডিয়াতে আসতে চান না। একেক পলিটিশিয়ানের একেক স্টাইল। তারেক রহমান রাজনীতি নির্ভর বাংলাদেশের মানুষের ওপর, এর জন্য অধিকাংশ টাইম উনি বাংলাদেশের মানুষকে মোবিলাইজ করতে । দেশের মানুষকে নিয়েই উনার সব পাবলিসিটি। গত ১৫ বছর ধরে কূটনীতিক মহল বলেন আর আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল বলেন, উনার প্রতি একটা এন্ট্রি আছে। এই মানুষটা ১৫ বছর থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে, গত সাত আট বছর বিএনপির মত একটা রাজনৈতিক দলের নির্বাহী দায়িত্ব পালন করছেন । ম্যাডাম (বেগম খালেদা জিয়া) হঠাৎ এরেস্ট হয়ে গেলেন । ওইভাবে দিক নির্দেশনা পাননি। এখান থেকে পিকআপ করতে হয়েছে দলকে। রেগুলার স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে কন্ট্রিবিউটিং হয়।

প্রত্যেক ইউনিটের সাথে গ্রাসরুট (তৃণমূল) থেকে শীর্ষ পর্যায়ে সকলের সাথে সম্পর্ক রেখে চলেন। এক বছরে দল থেকে একজনও বের হয়ে যায়নি। নেতৃত্ব দিয়ে উনি দলকে সামনে এগিয়ে নিচ্ছেন এবং বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলছেন । আবার বিএনপিকে একটা জনপ্রিয় গ্রহণযোগ্য পার্টি করে তুলেছেন, যার সম্ভাবনা ইলেকশনের মাধ্যমে আবার বাংলাদেশের মানুষের ক্ষমতার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার ।

নয়া দিগন্ত : বিএনপির কূটনীতিক ভূমিকা কি হবে, প্রতিবেশী ভারত, এবং চীন,পাকিস্তান বিষয়ে , শহীদ জিয়ার স্বপ্নের সার্ক বিষয়ে কোন ভূমিকা নিবেন কিনা?

হুমায়ূন কবীর : অলরেডি তো বিএনপি বলছে, বিএনপি কোনো দেশভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতি তৈরি করবে না, পথেও যাবে না। কোনো দেশনির্ভর পররাষ্ট্রনীতি সবসময় একটা উইক পররাষ্ট্রনীতি হয়। এবং আপনি ওই দেশের পালা কুকুর হওয়া ছাড়া আর কিছু হয় না, যেটা হাসিনা ভারতের ক্ষেত্রে করেছে। কোনো দেশনির্ভর পররাষ্ট্রনীতি ইজ নট সাস্টেবল। প্রশ্নই আসে না । বিএনপি ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের মধ্যে থাকতে চায়। দেশের মানুষের স্বার্থে, আকাশ বাতাস, মাটির স্বার্থকে প্রধান্য করেই এগাতে হবে।

এডজাস্টমেন্ট, রিএডজাস্টমেন্ট, এলাইনমেন্ট সবই হবে আমাদের ন্যাশনাল ইন্টারেস্টের ভিত্তিতে। চুক্তির বাইরে কারো সাথে সম্পর্ক নয়। ট্রাম্পের সাথে কোনো কিছুতে এগ্রি করব, তার মানে না, আমরা পালেস্টাইনকে রেগনাইজ করবো না। তারেক রহমান ফ্লেক্সিবল, বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সবাইকে নিয়ে কাজ করবে এবং সবাই ঐক্যমত একটা প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়া। যেখানে প্রয়োজন অবশ্যই কোয়ালিটি সম্পূর্ণ লোক গুলাকে সম্পৃক্ত করবে। দলের বাইরে তো অনেক লোক আছে তাদেরকে ঢুকাবে।

নয়া দিগন্ত : সার্ক নিয়ে কোন ভূমিকা নিবেন কি?

হুমায়ূন কবীর : সার্ক রিজোনাল গুড মডেল । আমরা ওভাবে এঙ্গেজ করব, তখন আর একটা ব্যালেন্স থাকে। এবং কোনো একক দেশের যে প্রভাব বা একক দেশ মানে একগুঁয়েমি জিনিসটা স্বাভাবিকভাবে দূরে রাখা যায়। একটা কালেক্টিভ রেসপন্সিবিলিটি থাকে, মোস্ট ইম্পর্টেন্টলি সার্ক একটা কালেক্টিভ কো-অপারেশন থাকতে পারে। আপনার ইকোনমিকসের ক্ষেত্রে, সিকিউরিটির ক্ষেত্রে একটা কো-অপারেশন আরো জোরদার করা।

নয়া দিগন্ত : জাতীয় সরকার বিষয়টা কিভাবে করবে বিএনপি?

হুমায়ূন কবীর : অনেক লোকজন আছে ইলেকশন জিতবে না, হারলে কি তার সব শেষ? নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হলে জাতীয় সরকার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। কিভাবে কাজে লাগাবে, সেটি হলো যদি কোনো মানুষের যোগ্যতা থাকে সে ইলেকশনের মাধ্যমে হেরে যায় । তার মানে তার রাজনীতিতে দেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা শেষ? কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা শুরু হতে পারে। জাতীয় সরকার চেতনা দিয়ে হয়, এখানে আপনার ধারণার মিল থাকতে হবে। নীতির মিল থাকতে হবে । দেশের জাতীয় ঐক্যতে তাদের ওনারশিপ আছে কি না।

নয়া দিগন্ত : আওয়ামী লীগের মতো কোনো শক্তিধর দেশকে বিএনপি বেছে নেবে কি?

হুমায়ূন কবীর : বেছে নেয়ার কি পরিণতি হয় দেখছেন তো । ভারতকে তো বেছে নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কি শক্তি ছিল ভারতের তাকে (শেখ হাসিনাকে) ঠেকানো বা বাঁচানোর! শাড়িও তো নিয়ে যেতে পারেনি। মানে ভাগছে এমনভাবে দুইটা শাড়িও তো রুম থেকে নিয়ে যেতে পারে নাই। যেটা বলেছে, যাওয়ার ১০ মিনিট আছে, তোমাকে ধরবে এসে, শাড়িও নিয়ে যেতে পারবা না, আর ১৫ মিনিটের সময় আমাকেও শেষ করবে । ভাগো, আমাকেও বাঁচতে দাও।

তারেক রহমানের সাথে একান্তে কথা বলছেন হুমায়ুন কবীর।

নয়া দিগন্ত : তারেক রহমানের লন্ডনের জীবন নির্বাহ নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠে, বিষয়টি যদি খোলাসা করতেন?

হুমায়ূন কবীর : তারেক রহমান তো সবসময় ব্যবসার সাথেই জড়িত ছিলেন। দেশে থাকতে উনার ব্যবসা বাণিজ্য ছিল। ওটা কোনো অসুবিধা নাই । উনার ব্যবসা বাণিজ্য আছে । উনার ওয়াইফ তো বর্ণাঢ্য পরিবারে সন্তান। চলাফেরার ক্ষেত্রে যখন কেউ আসলে উনাকে কিছু দিয়ে যেতে হবে, ওই ধরনের রাজনীতিও উনি করেন না। আর মানে প্রয়োজনও নাই। ম্যাডাম (বেগম খালেদা জিয়া) তো ক্লিয়ার করছিলেন একবার, মাসে মাসে উনি টাকা পাঠাতেন। তারেক রহমান সাহেব যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হতেন , যদি হাসিনার পরিবারের মত চোর হতেন বা কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত প্রসেসে জড়িত থাকতেন, তাহলে উনি ইংল্যান্ডের মত দেশে এতদিন থাকতে পারতেন না। উনিকে তারা (আওয়ামী লীগ) পরিষ্কারভাবে জানে। উনি খুব সাধারণ জীবন যাপন করেন এবং যত পারেন সিম্পলভাবে চলেন। অধিক সময় ব্যয় করে খালি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, দেশকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। উনার লাইফের অধিকাংশ সময় দেশকে নিয়ে, মজবুত করার জন্য কাজ করে থাকেন।

নয়া দিগন্ত : গণতন্ত্র নিয়ে বিএনপি আন্দোলন সংগ্রামের করে, কিন্তু নয় বছর তাদের জাতীয় কাউন্সিল হচ্ছে না, এ বিষয়টা কিভাবে দেখেন?

হুমায়ূন কবীর : আগে কাউন্সিলের পরিবেশ তো ছিল না। স্পেসই তো দেয় নাই। এটা খুব ডিফিকাল্ট ছিল কন্টাক্ট করা । কিন্তু দলের ক্ষেত্রে তারেক রহমান দায়িত্বের অনেক রদবদল করেছে। যতটুকু সম্ভব হইছে কিন্তু সবসময় মানে অর্গানাইজ- রিঅর্গানাইজ উনি করছেন। আগামী ইলেকশনের পরে ইনশা আল্লাহ একটা কাউন্সিল হবে, ইনশাল্লাহ। নতুন দেখবেন তখন। আগামীর রাজনীতিতে একটা ভাবনা বা দেশের ডাইভার্সিটিটা কাউন্সিলের মাধ্যমে আসবে। তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন ইনশা আল্লাহ।

নয়া দিগন্ত : অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়া দলের অনেক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করছে বিএনপি । ব্যবস্থা নেয়ার পরেও থামছে না কেন, কি মনে করেন?

হুমায়ূন কবীর : বিএনপি দুর্নীতি করছে, এটাও ঠিক না। অনেকটা প্রপাগান্ডা। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ তাদের জায়গা জমি বা জিনিসগুলো ছিল কেড়ে নেয়া হয়েছিল, এগুলোই উদ্ধার করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এভিডেন্স ক্লিয়ার পেলে ব্যবস্থা নেয়াও হচ্ছে। তবে বলে রাখি, তারেক রহমান সাহেব দেশে আসলে উনি কঠোর হাতে দমন করবেন ইনশা আল্লাহ । অনেকে এগুলো কাটছাঁট করে প্রচার করে।

মনে করে সমাজে এগুলা ছড়িয়ে মোটামুটি ৫০-৬০টি সিট আসলে তাহলে তো সাকসেস। ওরা এগুলাতেই ব্যস্ত সময় কাটায়। মানুষের সাথে তাদের কনফিডেন্স নাই । এটা এখানে সমস্যা না। করাপশন বা চাঁদাবাজি একটা জাতীয় সমস্যা। এই সমস্যা গত ১৫ বছরে রাষ্ট্রীয়ভাবে করা হয়েছে। সুযোগ করে দেয়া হয়েছে । এটা থেকে হঠাৎ মানুষকে বেরিয়ে আনা বা সরে আনতে কিছু আইন প্রয়োগ করতে হবে। নির্বাচিত সরকার দেশে আসতে হবে । তার বোল্ট ডিসিশন নিতে পারে। বর্তমান সরকার তো একটা সীমিত আকারের সরকার। যখন একটা পারমানেন্ট সরকার আসবে তখন ফোর্স ম্যান্ডেট, ডাইরেক্ট পুলিশ, ডাইরেক্ট বিভিন্ন এজেন্সি, দেশের আইন শৃঙ্খলা মাধ্যমে চাঁদাবাজি ডিটেক্ট (চিহ্নিত) করাও অনেক সহজ হবে।

নয়া দিগন্ত : আগামী দিনে ক্ষমতা আসলে বিএনপি কি ধরনের শাসন উপহার দিবে?

হুমায়ূন কবীর : বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতির কোয়ালিটিতে ইমপ্রুভমেন্ট চায় । তারেক রহমান সাহেব নিজেই বলছেন, ‘আগের মত বিজনেস এজ ইউজুয়াল রাজনীতি করলে পার পাবে না কেউ' আমাদেরও পরিণত আওয়ামী লীগের মত হবে।’ এগুলা থেকে বের হয়ে আসতে হবে । নতুন নতুন কোয়ালিটি থাকতে হবে রাজনীতিতে। ভালো ভালো লোকদেরকে এবং মানুষের মতামতকে প্রধান দিতে হবে। কিন্তু আপনি সিট পেয়েছেন বলে যা ইচ্ছা তা করবেন। এটা রাজনীতি না। এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সাংঘর্ষিক। দেশের ক্ষেত্রে যুব সমাজটা প্রধান পাবে, পলিটিক্যাল প্রোগ্রামে ইউথকে যদি আপনি এড্রেস না করেন তাহলে তো ফিউচার আপনি ভালো করতে পারবেন না । ইউথ স্বাভাবিকভাবে এটা প্রাধান্য পাবে।

তিনি বলেন, প্রাইমারি এডুকেশন ট্যাকেল করবে সমাজের এটা সেলফিশ নেচার অফ থিংকিং (স্বার্থপরতা)। এগুলো সামাজিক শিক্ষা দিয়ে প্রাইমারি এডুকেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ 'ওয়ান অফ টপ থ্রি' প্রায়রিটি হবে। প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার, চাকরি কোথায় না পেলে প্রাইমারি স্কুলে ঢুকে যাও। এটি থেকে বের হতে হবে। বেস্ট পিপ স্কুল টিচার, তাদের বেতনও ভালো হবে, ট্রেনিংও ভালো হবে, টপ ক্লাস হবে। সব বেনিফিট প্যাকেজ, ক্যালিবার প্যাকেজ। যাতে এই প্রফেশনের মানুষ অ্যাটেরাকটিভ (আকর্ষণীয়) হয়। প্রাইমারিতে শিখাতে হবে দুর্নীতি এক ধরনের খারাপ আচরণ। ধরেন, সোসাইটি তিন চার বছরে না পেলেও ১০ বছরের মাথায় পাবেন এর ফল ।

নয়া দিগন্ত : বিএনপি আগামীতে প্রতিশোধের রাজনীতি করবে কি?

হুমায়ূন কবীর : বাংলাদেশের রাজনীতিতে ২৪ সালের ৫ আগস্ট সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা দেখিয়েছেন তারেক রহমান। কয়েকদিন সরকার ছিল না দেশে। আওয়ামী লীগ যেভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, মানুষ হত্যা করছে , চাইলে ধরে ধরে পিঠের চামড়া তুলে ফেলতে পারতো বিএনপির নেতাকর্মীরা। কিন্তু ওই সময় উনি (তারেক রহমান) দেশ স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে হুঁশিয়ার করেছেন, কেউ যেন সংঘাতে না যায়, ক্ষতি না করে। একটা কথা, ক্ষমতায় পাওয়ার পরও ক্ষমতা না দেখানোটাও ক্ষমতার অংশ। উনি বিরাট ক্ষমতা এক্সারসাইজ করছেন। পৃথিবীতে এমন দেশ আছে কী? দেখাইতে পারবে?

নয়া দিগন্ত : তারেক রহমান কবে দেশে আসবেন?

হুমায়ূন কবীর : উনি নির্বাচনের আগেই আসবেন। ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন হলে তফসিল ঘোষণা হবে; হয় নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরের ফার্স্ট উইক। ওই পিরিয়ড উনি আসবেন ।

নয়া দিগন্ত : তারেক রহমানের না আসার কারণ তো অবশ্যই আছে?

হুমায়ূন কবীর : উনার মত নেতা তো কিছু সিকিউরিটি ও সেন্সিটিভিটিও আছে । উনি প্রধান টার্গেট। আন্তর্জাতিকভাবে শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে মতামত ধরে রাখা, হি ইজ প্রিন্সিপাল লিডার বিহাইন্ড। এখানে স্বাভাবিকভাবে দেশের ভিতরে শত্রু আছে, বাইরেও আছে । বেনজির ভুট্টোর মত ঘটনা যে ঘটবে না, এটার গারান্টি তো সরকারকে দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবে এখন প্রফেসর ড. ইউনুস সাহেব বলছেন, একটা নির্বাচন শুরু হবে, দেশকে তৈরি করতে হবে নির্বাচনের জন্য। সেফটি অফ পলিটিক্যাল লিডার আসা যাওয়া যাতে বা ক্যাম্পেইন করতে পারেন। তারেক রহমান সেই ধরনের লাইফ লিড করছেন যে লাইফ তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনবে। বাংলাদেশের মানুষের বিজয় হবে। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশের জন্য উনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

সূত্র: দৈনিক নয়া দিগন্ত

কলকাতায় ‘পার্টি অফিস’ খুলে যেভাবে চলছে আ’লীগের কার্যক্রম, শুধু বাইরে কেন, পাঁচ-ছয় শ’ স্কয়ার ফুটের ঘরটিতে উঁকি মারলেও কেউ...
08/08/2025

কলকাতায় ‘পার্টি অফিস’ খুলে যেভাবে চলছে আ’লীগের কার্যক্রম, শুধু বাইরে কেন, পাঁচ-ছয় শ’ স্কয়ার ফুটের ঘরটিতে উঁকি মারলেও কেউ বুঝতে পারবেন না যে এই ঘরটির সাথে কোনোভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত আছে। কোনো সাইন বোর্ড, শেখ হাসিনা অথবা শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ছবি কোথাও নেই ঘরটির বাইরে বা ভেতরে।

ঢাকায় যেটি ছিল আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়, সেটির বর্তমান অবস্থা, ঢাকায় যেটি ছিল আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়, সেটির বর্তমান অবস্থা |

ভারতের কলকাতা-লাগোয়া উপনগরীটাতে শত শত বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স, রাত-দিন লাখ লাখ মানুষের ভিড় সেখানে। ব্যস্ত এই এলাকায় একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে এমন কয়েকজন যাতায়াত করছেন, যাদের কয়েক মাস আগেও সেখানে দেখা যেত না।

ওই বাণিজ্যিক পরিসরে যাতায়াত করেন, এমন বেশিভাগই চেনেন না এই নবাগতদের, চেনার কথাও নয়। তবে এদের অনেকেই মাত্র এক বছর আগেও বাংলাদেশের সব থেকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তারা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলির শীর্ষ এবং মধ্যম স্তরের নেতা। তারা যে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সটিতে যাতায়াত করছেন কয়েক মাস ধরে, সেখানেই ‘দলীয় দফতর’ খুলেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

এই ‘পার্টি অফিস’টি নতুন।

এর আগে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরের কয়েক মাসে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা ভারতে অবস্থান করছেন, তারা নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বৈঠক বা দলীয় দফতরের কাজকর্ম চালাতেন নিজেদের বাসাবাড়িতেই।

বড় বৈঠকগুলো অবশ্য করতে হত কোনো রেস্তরা বা ব্যাঙ্কয়েট হল ভাড়া করে।

সেকারণেই একটা নির্দিষ্ট ‘পার্টি অফিস’-এর দরকার ছিল বলে জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

কেমন সেই ‘পার্টি অফিস’?
বাণিজ্যিক পরিসরটির পেছনের দিকের ভবনটির আট তলায় লিফট দিয়ে উঠে বাঁ-দিকে গেলেই ছেড়ে দেয়া বাণিজ্যিক সংস্থার দফতর। করিডোরের দু’দিকে হাল্কা বাদামী রঙের একের পর এক দরজা। তার মধ্যেই একটিতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস। শুধু বাইরে কেন, পাঁচ-ছয় শ’ স্কয়ার ফুটের ঘরটিতে উঁকি মারলেও কেউ বুঝতে পারবেন না যে এই ঘরটির সাথে কোনোভাবে আওয়ামী লীগ জড়িত আছে।

কোনো সাইন বোর্ড, শেখ হাসিনা অথবা শেখ মুজিবুর রহমানের কোনো ছবি কোথাও নেই ঘরটির বাইরে বা ভেতরে।

এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বা নেত্রীর কোনো ছবি, সাইনবোর্ড কোনো কিছুই আমরা রাখিনি খুবই সচেতনভাবে। আমরা চাইনি যে এই ঘরটার পরিচিতি প্রকাশ করতে। এমনকি একটা দলীয় দফতরে যেসব ফাইল ইত্যাদি থাকে, সেসবও এখানে রাখা হয় না। নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ, বৈঠক ইত্যাদির জন্য একটা ঘর দরকার ছিল, এটা পাওয়া গেছে। এটাকে আমরা পার্টি অফিসই বলি, কিন্তু আদতে এটা একটা বাণিজ্যিক অফিস। আগে যে সংস্থা কাজ করত এখানে, তাদেরই ছেড়ে যাওয়া চেয়ার, টেবিল এসবই আমরা ব্যবহার করি।’

তিনিই জানালেন, ৩০-৩৫ জনের বৈঠক এই দফতরেই হয়ে যায়, কিন্তু একটু চাপাচাপি করে বসতে হয়। ছোটখাটো বৈঠক বিভিন্ন নেতাদের বাসাবাড়িতে এখনো হয়। তবে বড় বৈঠকগুলো, যেখানে শ’ দুয়েক নেতা-কর্মী হাজির হওয়ার কথা, সেরকম বৈঠকের জন্য কোনো ব্যাঙ্কয়েট হল বা কোনো রেস্তরাঁর একটি অংশ ভাড়া নিয়ে নেয়া হয়।

কারা যাতায়াত করেন ‘পার্টি অফিসে’?
গত বছরের ৫ আগস্ট পর বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর অনেক শীর্ষ নেতা এবং সাবেক মন্ত্রীই কলকাতা বা তার আশপাশের অঞ্চলে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন।

এর বাইরে বিভিন্ন পেশাজীবী, সরকারি কর্মচারী, পুলিশ কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারাও চলে গেছেন ভারতে। মাস ছয়েক আগে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানিয়েছিল, অন্তত ৭০ জন সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি-সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়রসহ শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় ২০০ জন কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে থাকছেন।

এদের কেউ সপরিবারে থাকেন, আবার কোথাও একসাথে কয়েকজন মিলেও একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন। কারো পরিবার মাঝে মাঝে বাংলাদেশ থেকে এসেও কিছুদিন থাকছে।

এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘এখন যে সংখ্যাটা খুব বেশি বেড়েছে তা নয়। বর্তমানে দ্বাদশ সংসদের ৮০ জনের মতো সংসদ সদস্য এবং তারও আগে সংসদ সদস্য ছিলেন, এমন ১০-১২ জন নেতা আছেন এখানে। আবার এমনও কয়েকজন এসেছেন, যারা কলকাতায় এসে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া বা অন্যান্য দেশে চলে গেছেন।’

সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারাও থাকেন কলকাতার আশপাশেই।

কলকাতা বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের যে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বাস করছেন, তাদের প্রায় সবাই ‘পার্টি অফিসে’ যাতায়াত করে থাকেন।

ওই নেতা বলেন, ‘তবে অফিস খোলার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যেরকম প্রয়োজন, সেরকমই আসেন নেতারা। আবার রোজই যে সবাই আসেন, তাও নয়। আসলে প্রয়োজনীয়তা ছিল একটা নির্দিষ্ট জায়গা গড়ে তোলা, সে জন্যই এই পার্টি অফিস।’

আওয়ামী লীগের এই নতুন পার্টি দফতরের ব্যাপারে ওই বাণিজ্যিক পরিসরে যাতায়াত করা সাধারণ মানুষ যে কিছু জানবেন না, সেটাই স্বাভাবিক।

দলেরও কোন স্তরের নেতা-কর্মীরা এই দফতরের ব্যাপারে কতটা জানেন, সেটা জানা যায়নি।

কিন্তু এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে ভারতীয় গোয়েন্দারা এই দফতরের ব্যাপারে জানেন এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ স্তরের অনুমোদন ছাড়া এই দলীয় দফতর থেকে আওয়ামী লীগের কাজকর্ম চলতে পারত না।

যেভাবে দল চলছে এক বছর ধরে
গত একবছরের কিছুটা কম সময় ধরে ভারত থেকেই আওয়ামী লীগ পরিচালিত হচ্ছে। দলটির নেত্রী শেখ হাসিনা দিল্লির কাছাকাছি কোথাও থাকেন, আর বড় অংশ থাকেন কলকাতা-সংলগ্ন অঞ্চলে।

তবে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হুসেইন বলছিলেন, ‘এই ধারণাটা ঠিক নয় যে ভারত থেকে দল চলছে। মূল দল বা সহযোগী সংগঠনগুলোর কতজন নেতাই বা ভারত অথবা অন্যান্য দেশে রয়েছেন? বেশিভাগ তো এখনো বাংলাদেশেই আছেন।’

কিন্তু দলের নেত্রী শেখ হাসিনা এবং শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশ ভারতে আছেন বলে সেখান থেকেই যে রাজনৈতিক দিশা-নির্দেশ দেয়া বা দলীয় অবস্থান চূড়ান্ত হবে, সেটাই স্বাভাবিক।

তবুও দু’সপ্তাহ আগে পর্যন্তও শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে সরাসরি দেখা হয় নি দল-নেত্রীর।

গত ৩১ জুলাই শীর্ষ নেতৃত্বের কয়েকজনকে দিল্লিতে এক বৈঠকে ডেকেছিলেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ওই বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন, তবে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কোথায় বৈঠক হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি ওই নেতারা।

দলের নেত্রীর সাথে ওই বৈঠকটি ছাড়া এবং নিজেদের মধ্যে সশরীরে দেখা সাক্ষাৎ এবং বৈঠক ছাড়া দলটির বাকি সব কাজই চলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।

বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের জন্য আলাদা হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ, টেলিগ্রাম গ্রুপ ইত্যাদি গড়া হয়েছে। এছাড়া নিয়মিতই লাইভ অনুষ্ঠান করে থাকে দলটি। এরকম লাইভ অনুষ্ঠানে মাঝে মাঝেই যোগ দেন শেখ হাসিনা নিজেও।

সেসব আলোচনাগুলোতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা যেমন হয়, তেমনই আবার মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মী – যারা বাংলাদেশেই থেকে গেছেন, তাদের নির্দেশনাও দেয়া হয়ে থাকে।

‘কর্মীরা দেশে মার খাচ্ছেন, নেতারা কেন ভারতে?’
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে মাঝে মাঝেই এই প্রশ্ন ওঠে যে আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা যখন দেশে মার খাচ্ছেন, গ্রেফতার হয়ে জেলে যাচ্ছেন, তখন শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশ কেন ভারতে পালিয়ে আছেন।

সাবেক সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ‘এই প্রশ্ন ওঠা যে খুব অযৌক্তিক তা নয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ১৯৭১-এ যদি তখনকার নেতৃত্ব ভারতে চলে এসে প্রবাসী সরকার গঠন না করতেন, তাহলে কী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করা সম্ভব হতো? আমি ৭১-এর সাথে তুলনা করছি না বর্তমান সময়ের, কিন্তু এরকম উদাহরণ আমাদের দেশেও রয়েছে, অন্যান্য দেশেও আছে যে বিদেশ থেকে দল পরিচালনা করে, শক্তি সঞ্চয় করে দেশে ফিরে ক্ষমতা দখল করেছেন নেতারা। পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফ বা বেনজির ভুট্টো বলুন বা আমাদের দেশের তারেক রহমান। সবাই তো বিদেশ থেকেই দল পরিচালনা করেছেন বা এখনো করছেন।’

নেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা
ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতারা দলের নেত্রীর সাথে আলোচনাক্রমেই দলের রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক করেন।

যখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তার প্রথম বর্ষপূর্তি পালন করছে, সেই সময়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারের ‘ব্যর্থতা’গুলোকেই তুলে ধরার অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

অর্থায়ন কিভাবে হচ্ছে?
ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলীয় প্রচার প্রচারণার জন্য খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন হয় না ঠিকই, কিন্তু খরচ তো আছে। আবার যেসব নেতা কর্মীরা ভারতে অবস্থান করছেন, তাদের ব্যক্তিগত খরচও চালাতে হয়। কিভাবে সেসবের জন্য অর্থের সংস্থান হচ্ছে?

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, দেশে-বিদেশে থাকা শুভাকাঙ্ক্ষীরাই তাদের খরচ চালাচ্ছেন।

দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদেরের কথায়, ‘সাংগঠনিকভাবে আগস্টের পরে যে বিপর্যয় নেমে এসেছে, সেই অন্ধকার অতিক্রম করা কঠিন কাজ। যেসব নেতা-কর্মী দেশে বা বিদেশে আছেন, তারাই এই দুঃসময়ে এগিয়ে আসছেন, অর্থ সাহায্য করছেন। কর্মীরা এখানে কষ্ট করেই আছেন, তবে মনোবলই আমাদের সম্বল।’

আরেক নেতা নাম উল্লেখ না করার শর্তে বলছিলেন, দেশ থেকে তার পরিবার-পরিজন এবং সহকর্মীরা প্রয়োজন মতো অর্থ পাঠিয়ে দেন।

পঙ্কজ দেবনাথ বলেছেন, ‘তবে এই একবছরে আমাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে।’

তার কথায়, ‘আমরা যে এখানে মানবেতর জীবনযাপন করছি, বা ৭১-এর যুদ্ধের সময়ের মতো শরণার্থী শিবিরে থাকছি তা নয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে যাদের মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত জীবনযাত্রা ছিল, সে সবই পরিবর্তন করতে হয়েছে। যারা ঢাকায় হয়তো গাড়ি ছাড়া চলতেন না, তাদের এখন কলকাতার গণ-পরিবহন ব্যবহার করতে হচ্ছে। যেমন আমি একটি ফ্ল্যাটে আরো তিনজনের সাথে থাকি। বাসে, ট্রেনে বা মেট্রো রেলে যাতায়াত করি। আবার সহকর্মীদের মোটরসাইকেল বা বাইকেও চেপে ঘোরাঘুরি করি। যদি কয়েকজন মিলে একসাথে কোথাও যেতে হয়, তখন হয়তো ট্যাক্সিতে উঠলাম। ভাড়াটা ভাগাভাগি করে নিলে গায়ে লাগে না। আসলে সঞ্চিত অর্থে যতটা স্বল্প খরচে চলা যায়।’

কিন্তু কতদিন থাকবেন তারা দেশ ছেড়ে?
ওবায়েদুল কাদের বলছেন, ‘দিনক্ষণ ঠিক করে ওভাবে তো রাজনৈতিক লড়াই হয় না, আবার লড়াই ছাড়া উপায়ও নেই।’

সূত্র : বিবিসি বাংলা

ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক অন্যায় ও অযৌক্তিক : ভারতরাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় ভারতের রফ...
08/08/2025

ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক অন্যায় ও অযৌক্তিক : ভারত
রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় ভারতের রফতানি পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতীয় পণ্য আমদানির ওপর আরো ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর ভারত জানিয়েছে, অতিরিক্ত শুল্ক অন্যায়, অন্যায্য ও অযৌক্তিক এবং তারা জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় ভারতের রফতানি পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। যা চীনের ওপর শুল্কের চেয়ে ২০ শতাংশ এবং পাকিস্তানের ওপর শুল্কের চেয়ে ৩১ শতাংশ বেশি। এই শুল্ক আগামী ২১ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে।

ভারতের ওপর আরোপিত ৫০ শতাংশ মোট শুল্ক এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রফতানির খরচ অনেক বেশি হবে। এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের টেক্সটাইল, গাড়ির যন্ত্রাংশ, টায়ার, কেমিক্যাল, কৃষি-রাসায়নিক ও হীরার মতো রফতানি পণ্যগুলোর ওপর ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে। এতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা আরো বাড়তে পারে এবং সরবরাহ শৃঙ্খলাতেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

শুল্ক ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা ইতোমধ্যেই এই বিষয়গুলোতে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি আমদানি বাজারভিত্তিক ও ১৪০ কোটি মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেয়া হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশও তাদের জাতীয় স্বার্থে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘আমরা আবারো জোর দিয়ে বলছি, এ ধরনের পদক্ষেপ অন্যায়, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। ভারত জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।’

এর আগে ভারত জানিয়েছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র নিজেই রাশিয়া থেকে আমদানি চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছিল। এমনকি, ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে রাশিয়ার বাণিজ্যেও কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি।

সূত্র: দৈনিক নয়া দিগন্ত

Address

Natore

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সত্য প্রকাশ নিউজ ২৪ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share