24/08/2025
শিবগঞ্জে ২৪০টি মধ্যে ৮৩টি প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য
শিবগঞ্জ(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)সংবাদদাতা: শিবগঞ্জে ২৪০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮৩টিতেই প্রধান শিক্ষক নেই। ফলে ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন শিক্ষা ব্যবস্থ ব্যাহত হয়নি। তাছাড়া শুন্য প্রধান শিক্ষকদের পদগুলি পূরণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট তালিকা পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে,শিবগঞ্জের প্রত্যন্তাঞ্চলে বর্তমানে ৮৩টি সরকারী প্রাথীমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য আছে। শুন্য থাকার কারণ হলো কেউ কেউ অবসরে গেছেন,কেউ বদলী হয়েছেন। তবে যে সমস্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই সে সমস্ত বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক প্রধান শিক্ষক বলেন, একটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকলে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকতে পারে না। কারণ ওই বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব দিলেও সহপাঠি মনে করে অন্যান্য শিক্ষকরা গুরুত্ব দেয় না। ফলে ঠিকমত ক্লাশ হয় না। কোন কোন বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা ঠিকমত উপস্থিত হয় না। উপস্থিত হলেও দেরীতে আসেন। বিদ্যালয়গুলির নিয়ম শৃঙ্খলা অনেকটা ভেঙ্গে পড়ে। যে সমস্ত বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষক নে ই সেগুলি হলো ক্রমিক নম্বর অনুসারে ১,৪,৮,১৬.,১৮,১৯,২০,২৪,২৫,২৯,৩০,৩২,৩৬,৩৭,৪৩,৪৬,৪৯,৬০,৬২,৬৪,৭১,৮২,৮৫,৮৭,৮৯,৯০,৯২,৯৫,১১৭,১২২,১২৪,১২৬,১২৮,১২৯,১৩৬.১৩৭,১৪৩, ১৪৪, ১৪৫.১৪৬,১৪৭, ১৫৩, ১৫৪, ১৫৫,১৫৬, ১৫৭, ১৫৮, ১৬০, ১৬২,১৬৪, ১৬৫, ১৬৭,১৭২, ১৮১১, ১৮৪, ১৮৭ ১৮৯,১৯১, ১৯৩,২০০,২০৩,২০৫,২১১,২১৭,২১৮,২১৯,২৩২,২৩৩,২৩৪,২৩৫,২৩৭,২৩৮ ও ২৩০৯নম্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ৮৩টি প্রাথমিক বিদ্যালযে প্রধান শিক্ষক নেই। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বিশেষ করে নদী ভাঙ্গন কবলিত উজিরপুর, পাঁকা, দূর্লভপুর ও মনাকষা একটি অংশ নিয়ে প্রায় ৩৫//৩৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন কোনটিতে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় , আবার কোন কোনটিতে থাকলেও প্রতিকুল পরিস্থিতি হওয়ায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে না পারায় শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।পাঁকা ইউনিয়নের এ্যাডভোকেট আসফাকুর রহমান রাসেল জানান, নদী ভাঙ্গনসহ বিভিন্ন কারণে বৃহত্তর দিয়াড় এলাকায় প্রতিকুল অবস্থা হওয়ায় বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। তারপর আবার অনেকগুলো বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার মান শুন্যের কোঠায় যেতে শুরু করেছে। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন। শিবগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার প্রধান শিক্ষক না থাকা বিদ্যালয়গুলির এলাকা ঘুরে স্থানীয়রা একই মত প্রকাশ করেন যে প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার মান দিন দিন নিচে নামছে। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুসাব্বির হোসেন খান জানান, প্রধান শিক্ষক না থাকলে কিছুটা শিক্ষার মান কমাই স্বাভাবিক। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি শিক্ষার মান ধরে রাখার। তিনি বলেন প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওযা ও বদলী জনিত কারণে যে সমস্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য হয়েছে,ে স সমস্ত বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং কঠোর নজরদারী রাখা হচ্ছে। তাছাড়া আমরা ইতিমধ্যে উপজেলা মাসিক সভায় আলোচনা করেছি এবং শুন্য পদগুলির তালিকা তৈরী করে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই শুন্যপদগুলি পূরণ হয়ে সমস্যার সমাধান হবে।