17/01/2025
শুন, এমনটা হওয়া উচিত না।
- কেমনটা হওয়া উচিত না?
এইযে এখন যেমনটা হচ্ছে
- আরে বাবা কেমন টা হচ্ছে সেটা বলবি তো এমন ঘুরাচ্ছিস পেছাচ্ছিস কেন?
আমি বোঝাতে পারবো না তবে এমনটা হওয়া একদমই উচিত না।
- আচ্ছা তোকে বুঝাতে হবে না তুই শুধু বল, বাকীটা আমি বুঝে নিবো।
এইযে তাকে আমার সময় অসময় সবসময় মনে পড়ছে, সে একবেলা খোঁজ না নিলে আমার মন খারাপ হচ্ছে, তার একটু অবহেলাও আমাকে ভীষণ ভাবাচ্ছে, তার সাথে কথা বলতে আমার ভালো লাগছে, এমনটা হওয়া উচিত না।
-কেন হওয়া উচিত না?
আমি জানিনা তবে এমনটা হওয়া উচিত না।
- আর এমনটা হওয়ার কারণ কি?
আমি সেটাও জানি না কোনো কারনই আমার জানা নেই, আর যে কারণটা আমি সন্দেহ করছি সেটাও আমি মানতে পারছি না। আমি কিছু বুঝতে পারছি না মনে হচ্ছে সবকিছু আমার হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, এই অনুভূতি টা আমার ভালো লাগছে না।
- আচ্ছা এই অনুভূতি টাকেই কী ভালোবাসা বলে?
ভালোবাসার অনুভূতি আমি চিনিনা। কাউকে ভালোবাসলে কেমন অনুভূতি হয় সেটা আমি আগে কখনো ফিল করিনি। তবে তাকে আমার ভালোলাগে ভীষণ রকমের ভালোলাগে তার কথা, তার কেয়ারিং, তার দেওয়া ডাকনাম সবকিছুই আমার ভালো লাগে।
- হুমমম বুঝলাম ।
কি বুঝলি?
- তুই গেছিস।
মানে!
- মানে তুই প্রেমে পড়ে গেছিস।
তুই কিভাবে বুঝলি?
- শুন সুফিদের মতে ভালোবাসার ৭ টা স্তর, হুব(আকর্ষণ), উনসুর(মোহ), ইশক(ভালোবাসা), আকিদাত(শ্রদ্ধা), ইবাদাত(উপাসনা), জুনুন(উন্মাদনা), ফানাহ(মৃত্যু)। আর তৃতীয় স্তর তথা ইশক এর ঠিক আগে আসে অস্বীকৃতি, তুই এখন ঠিক সে পর্যায়ে আছিস।
কিভাবে?
- এইযে তাকে তোর ভালোলাগে, ব্যস্ততা কিংবা অবসরে তার কথা মনে পড়ে, তার শুন্যতা তোকে কাঁদায় এগুলো আকর্ষণ বা মোহ থেকে অনেক বেশি, এগুলো হচ্ছে ভালোবাসার লক্ষন। তবে ভালোবাসার অনুভূতি স্বীকার করার আগে আসে অস্বীকৃতি যখন মন আর মস্তিষ্কের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব চলে একজন বলে এটা ভালোবাসা আরেকজন বলে না কেবলই মোহ। তুই এখন সে পর্যায়ে আছিস।
আর এ দ্বন্দ্বের পরিণাম কি?
- অন্যান্য বিষয়ে মস্তিষ্কের জয় হলেও ভালোবাসার বিষয়ে সবসময় মনই জয়ী হয়। তোর ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হবে না নিশ্চয়ই।
আর এ ভালোবাসার পরিণামই বা কি হবে?
- খুব বেশি আর কিই বা হবে শেষমেশ ভালোবাসার কাছে সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে ফানাহ হয়ে যাবি।
কাল্পনিক আলাপ
~নীরা~
১৫.০১.২৫