22/04/2025
কাতারে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সফরে জাতীয় পতাকা অনুপস্থিত – কূটনৈতিক গাফিলতি না অবহেলা?
সম্প্রতি কাতার সফরে গিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরের সময় কাতারের প্রটোকল প্রধান রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ফাখরু তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান। সেই মুহূর্তের একটি ছবি প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হয়, যেখানে একটি দৃষ্টিকটু বিষয় চোখে পড়ে—কাতারের জাতীয় পতাকা দৃশ্যমান থাকলেও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ছিল অনুপস্থিত। ড. ইউনূসের পাশের ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ডটি শূন্য!
এটি নিছক একটি প্রটোকল মিস না, বরং জাতীয় মর্যাদার প্রশ্ন। রাষ্ট্রীয় সফরের সময় উভয় দেশের পতাকা থাকার বিষয়টি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক রীতি ও সম্মানের প্রতীক। সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অনুপস্থিতি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অপমানজনক।
এই পরিস্থিতি দেখে অনেকেই মনে করছেন, এটি কাতারে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসের গাফিলতির ফল। সাধারণত, এমন সফরে প্রটোকল সংক্রান্ত সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয় স্বাগতিক দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে। তাহলে প্রশ্ন উঠে—তাদের এই অমনোযোগীতা কেন? তারা কীভাবে একটি এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভুলে গেলেন? নাকি এটি আরও গভীর কোনো অবহেলার প্রতিফলন?
জাতীয় পতাকা শুধু একটি কাপড়ের টুকরো নয়—এটি আমাদের আত্মত্যাগ, স্বাধীনতা এবং গৌরবের প্রতীক। একজন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সফরে পতাকার অনুপস্থিতি শুধু সেই ব্যক্তির নয়, বরং পুরো দেশের জন্যই অপমানজনক।
এমন একটি ঘটনায় যথাযথ তদন্ত এবং সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য কূটনৈতিক মহলে আরও পেশাদারিত্ব ও সতর্কতা কাম্য।
জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে—কারণ, পতাকার অসম্মান মানেই দেশের অসম্মান।