What are the opening hours?

Monday 09:00 - 22:30 Tuesday 09:00 - 22:40 Wednesday 09:00 - 23:40 Thursday 09:00 - 23:40 Friday 09:00 - 23:30 Saturday 09:00 - 23:45 Sunday 09:00 - 17:00

https://www.youtube.com/@ABUHURAIRASAKI

𝐀𝐛𝐮 𝐇𝐮𝐫𝐚𝐢𝐫𝐚 𝐒𝐚𝐤𝐲 𝐒𝐡𝐚𝐤𝐢𝐥, Netrakona (2025)

07/07/2025

- ঝেড়ে ফেলে দিন আপনার অতীতকে কি আছে তাতে তা দেখার দরকার নেই!

- আপনি একজন জুলুমকারী ছিলেন?
- ব্যভিচারে লিপ্ত ছিলেন?
- চুরি করতেন?
- মিথ্যা বলতেন?
- গীবত করতেন?
- পরনিন্দা করতেন?

- আপনিই যাই ছিলেন যত পাপই আপনি আপনার আমলনামায় লিখিয়েছেন না কেন মনে রাখবেন তার চাইতেও বিশাল আপনার রবের ক্ষমা!

- ইসলামের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য এখানে কারোর অতীত দেখা হয় না!

- তাওবা করুন তার কাছে ক্ষমা চান!🌸

- হীনমন্যতায় ভুগবেন না!
- আপনি দ্বীনের পথে এসেছেন লোকে হয়ত আপনাকে দেখে টিপ্পনী কেটে বলে,"আরে সেই দিনও দেখলাম অমুক তমুক পাপ করে বেড়াচ্ছে আর আজ এসেছে আমাদের দ্বীন শেখাতে!"

- দরকার নেই সেইদিকে নজর ফেলার!
- অন্যের কাছে মহৎ হতে পারার মধ্যে কোন লাভ নেই , কারো কাছে খুব ভালো মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার মধ্যে ও কোন গৌরব নেই!

- আপনি আল্লাহ্‌র কাছে ভালো হোন!
- তিনিই কিয়ামত দিবসের মালিক!

- আপনি যখন অন্যের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হবেন , কাউকে গালি দিবেন তখন ভাবুন আল্লাহ্‌ কি ভাবছেন ?

- আপনি দ্বীনের পথে হাঁটা শুরু করেছেন। আপনাকে দেখে আশেপাশে লোকেরা কি বলছে দরকার নেই সেইসব নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করার। আল্লাহ্‌র কসম কবরে যখন আপনি একা থাকবেন তখন আপনার ভাল কাজগুলো ব্যতিত আর কোন কিছুই আপনার কাজে আসবে না..!

- মানুষ যখন আপনার বিষয়ে খারাপ মন্তব্য করবে শুধু মাত্র আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন। অচিরেই তার মন্তব্য তাকে গ্রাস করবে..!🥀

- আপনি সব লোকের কাছে ভালো হতে যাবেন না,সাধারণ হয়ে যান..!

- ওয়াল্লাহি সেদিন এমন বহু লোক বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে যাদের মূল্য দুনিয়াতে কিছুমাত্র ছিলনা, যে জীর্ণ বস্ত্রের ছিল, যে দুনিয়াতে ঠিকমতো খেতে পারতোনা..!

- আমাদের দ্বীন যেন কেবল দুনিয়ার জন্য না হয়, তাদের মন্তব্যগুলো যেন আমাদের ব্যথিত না করে..!🌺

- আসুন দ্বীনের পথে..!
- চলুন ইসলামের পথে..!
- নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহান..!🌸

#সংগৃহীত

21/06/2025

হঠাৎ পুরনো স্ট্যাটাস গুলো ঘেঁটে দেখবেন, কমেন্ট করা অনেক বন্ধুই এখন আর fb তে নেই। এমনকি আপনার life এ ও নেই।

ব্যস্ততার ভিড়ে বাস্তবতার কাছে নিজেকে সোঁপে দিয়েছে,
মেসেঞ্জারে পিছিয়ে পড়া মেসেজ গুলো যখন পড়বেন,
হয়তো কারোও জন্য চোখের পাতা ভিজে যেতে পারে নিজের অজান্তেই,

হঠাৎ ভার্চুয়াল জগতে প্রিয় হয়ে উঠা বন্ধুটিও ১দিন হারিয়ে যেতে পারে। একদিন মেসেজ না দিলে রেগে যাওয়া মানুষটিও মাসের পর মাস মেসেজের রিপ্লাই দেওয়ার মতো সময় পাবে না।

বাস্তবতার কাছে আমরা সবাই পরাজিত, তবুও দিনশেষে রাতের আধাঁরে, কিছু কিছু স্মৃতি আমাদের তাড়া করে বেড়ায় নিজের অজান্তেই...

কিছু কষ্ট একান্তই নিজের হয়। তাতে আর কি আসে যায়, সবাইতো ভালো আছে। ভালো থাকুক আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলো। ভালো থাকুক তাদের ভালোবাসা হাসি তামাশা.. ❤

-সংগৃহীত

14/06/2025

বিনয়ের প্রতীক ও শ্রদ্ধেয় বিনয়ী পুরুষ:

আমি কখনো সেই মহান রা*ষ্ট্রনায়*ককে চোখে দেখিনি, যিনি এক যু*দ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাস ও স্বাধী*নচেতা জাতি হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন। কিন্তু আমি আপনাকে দেখেছি, একজন চিন্তাবান, সুদর্শন, সুশৃঙ্খল ও অদ্ভুত রকমের ভদ্র মানুষকে, যিনি মনের গভীর থেকে দেশকে ভালোবাসেন, যাঁর প্রতিটি কথায় ফুটে ওঠে সততা, শিষ্টাচার ও সুদূরপ্রসারী চিন্তার দীপ্তি।

আপনার মুখাবয়বে যে শান্ত দীপ্তি, তা যেন আল্লাহর পক্ষ থেকেই এ জাতির জন্য এক নিরব আশীর্বাদ। আপনার কথায়, চালচলনে, দৃষ্টিভঙ্গিতে এমন এক কোমলতা আছে, যা মানুষকে আলোড়িত করে! আপনার ভেতরে এমন এক অনাবিল সততা আছে, যা আজকের সময়ের জন্য আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনি কথা বলেন না, আপনার ব্যক্তিত্বই কথা বলে।
আপনি দাবী করেন না, মানুষ আপনাকে ভালোবেসে নিজের হৃদয়ে স্থান দেয়।

এই বাংলাদেশ বহুদিন পরে আবার কাউকে দেখে ভালোবেসেছে। কাউকে দেখে মনে মনে বলেছে, হ্যাঁ, এই মানুষটিই পারে আমাদের বদলে দিতে।
আপনার ভদ্রতা, বিনয়, দৃঢ়তা আর স্নেহময় নেতৃত্ব, সবকিছু একসঙ্গে আপনাকে করেছে ভিন্ন, আপনাকে করেছে অনন্য।

আপনি আজ শুধু একজন ভবিষ্যৎ নে*তৃত্বের প্রতীক নন, আপনি হয়ে উঠেছেন মানুষের মনের মানুষ।
আপনি সেই নিরব কণ্ঠস্বর, যার ভেতর ন্যায়বিচার ও আশার শিখা জ্বলছে। আপনি সেই মুগ্ধতা, যার মধ্যে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ খুঁজে পেয়েছে নিজেকে।

আপনি যে পথ দেখাচ্ছেন, সেটি শহীদ রা*ষ্ট্রপতি জি*য়া*উর রহ*মানের “বহু*দলীয় গণ*তন্ত্র”, “আত্মনির্ভরশীলতা”, এবং “রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব” রক্ষার সেই মহান আন্দোলনেরই ধারাবাহিকতা। আপনি হচ্ছেন সেই উত্তরসূরি, যিনি পারেন বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে, পারেন মাদার অব ডেমো*ক্রেসির ত্যাগ ও সংগ্রামের গৌরবকে সফলতার মুকুট পরাতে।

আজ এই জাতি ক্লান্ত, ব্যথিত, ছিন্নভিন্ন। কিন্তু আপনার উপস্থিতি যেন সান্ত্বনার পরশ, আশার স্পর্শ। আপনি যেন সেই স্নিগ্ধ বাতাস, যে বাতাসে জাতির হাহাকার ধুয়ে যায়।

আমার হৃদয় থেকে শেষ একটি অনুরোধ, এই রবিবার “Father’s Day। এই দিনটি রাখুন শুধুই আপনার ছোট্ট রাজকন্যার জন্য। আপনার হাত ধরা সেই ছোট্ট মেয়েটি যেন পায় তার শ্রেষ্ঠ “বাবা”কে পুরোটা দিনের জন্য, কারণ আগামী বছর থেকে আপনার ব্যস্ততা হয়তো আপনাকে এমন সময় আর সহজে দেবে না।

তার চোখে আপনি কেবল একজন বাবা নন, তার জগত, তার আকাশ।
আর এই দেশের চোখে আপনি একজন আশার নাম, একজন আত্মবিশ্বাসের আলো, একজন নিঃশর্ত ভালোবাসার প্রতীক। ©

02/06/2025

জীবনের হিসাব
– সুকুমার রায়
বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই চড়ি সখের বোটে
মাঝিরে কন , “বলতে পারিস্ সূর্যি কেন ওঠে?
চাঁদটা কেন বাড়ে কমে? জোয়ার কেন আসে?”
বৃদ্ধ মাঝি অবাক হয়ে ফ্যাল্ফেলিয়ে হাসে।
বাবু বলেন, “সারা জনম মরলিরে তুই খাটি,
জ্ঞান বিনা তোর জীবনটা যে চারি আনাই মাটি!”
খানিক বাদে কহেন বাবু,”বলত দেখি ভেবে
নদীর ধারা কেম্নে আসে পাহাড় হতে নেবে?
বলত কেন লবনপোরা সাগরভরা পানি?”
মাঝি সে কয়, “আরে মশাই , অত কি আর জানি?”
বাবু বলেন, “এই বয়সে জানিসনেও তাকি?
জীবনটা তোর নেহাৎ খেলো, অষ্ট আনাই ফাকি।”
আবার ভেবে কহেন বাবু, “বলতো ওরে বুড়ো,
কেন এমন নীল দেখা যায় আকাশের ঐ চুড়ো?
বলত দেখি সূর্য চাঁদে গ্রহণ লাগে কেন?”
বৃদ্ধ বলে, “আমায় কেন লজ্জা দেছেন হেন?”
বাবু বলেন, “বলব কি আর, বলব তোরে কি তা,-
দেখছি এখন জীবনটা তোর বারো আনাই বৃথা।”
খানিক বাদে ঝড় উঠেছে, ঢেউ উঠেছে ফুলে,
বাবু দেখেন নৌকাখানি ডুবল বুঝি দুলে।
মাঝিরে কন, “একি আপদ! ওরে ও ভাই মাঝি,
ডুবল নাকি নৌকো এবার ? মরব নাকিআজি?”
মাঝি শুধায়, “সাঁতার জানো? মাথা নাড়েন বাবু”
মুর্খ মাঝি বলে, “মশাই , এখন কেন কাবু?
বাঁচলে শেষে আমার কথা হিসেব কারো পিছে,
তোমার দেখি জীবনখানা ষোল আনাই মিছে!
#ষোলআণা

27/05/2025

ঈমান হোক পর্বতসম, নিয়ত হোক স্বচ্ছ
(একটি সত‍্য ঘটনা)
একজন লিবিয়ান যুবক, নাম তার আমের, সৌদি আরব যাচ্ছিল হজ করার জন্য।
যেইমাত্র সে এয়ারপোর্টে পৌঁছালো, তার নাম নিয়ে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত একটি সমস্যা দেখা দিল।
নিরাপত্তা বাহিনীর লোকেরা তাকে বলল:
“একটু অপেক্ষা করো, আমরা চেষ্টা করছি সমস্যাটা সমাধান করতে।”
এই সময়ে অন্য সব হাজিরা তাদের প্রক্রিয়া শেষ করে প্লেনে উঠে পড়ল, আর প্লেনের দরজা বন্ধ হয়ে গেল।
কিছুক্ষণ পর সমস্যা ঠিক হয়… কিন্তু পাইলট দরজা খুলতে রাজি হল না। প্লেন চলতে শুরু করল এবং আমেরকে ফেলে রেখে উড়ে গেল!
অফিসার তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল:
“মন খারাপ কোরো না, হয়তো এটা তোমার কপালে ছিল না।”
কিন্তু আমেরের ছিল অটল বিশ্বাস। সে উত্তর দিল:
“আমার নিয়ত হজের, ইনশাআল্লাহ আমি যাবোই।”
হঠাৎ… খবর এলো, প্লেনটিতে যান্ত্রিক সমস্যা হয়েছে এবং তা ফিরে আসছে!
প্লেন ফিরে এলো, মেরামত করা হলো… কিন্তু তাও পাইলট আমেরের জন্য দরজা খুলতে রাজি হল না।
অফিসার আবার বলল:
“হয়তো তোমার ভাগ্যে নেই।”
কিন্তু আমের ছিল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, স্থির ও দৃঢ়চেতা। সে বলল:
“আমার নিয়ত হজের, ইনশাআল্লাহ আমি যাবোই।”
প্লেন আবার উড়ে গেল… কিছুক্ষণ পর আরেকটি খবর এলো:
প্লেনে আবারও সমস্যা হয়েছে!
এবার নিজেই পাইলট বললেন:
“আমি আর উড়ব না, যতক্ষণ না আমের প্লেনে ওঠে।”
শেষ পর্যন্ত… আমের প্লেনে উঠল, সৌদি এয়ারপোর্ট থেকে সে একটি ভিডিও করল —
তার আনন্দ ছিল বর্ণনার বাইরে!

“আল-কাহّহার” — এটি আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের একটি।
এর অর্থ:
তিনি কারণগুলোকেও পরাস্ত করেন।
আপনার জন্য সব নিয়ম ভেঙে দিতে পারেন, কেবল আপনাকে সন্তুষ্ট করার জন্য।

তাই “কীভাবে”, “কখন” — এসব নিয়ে বেশি চিন্তা কোরো না…
যতক্ষণ তোমার বিশ্বাস থাকে যে আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান,
বিশ্বাস করো…
তিনি পরিস্থিতি উল্টে দেবেন, তোমার পথ সহজ করে দেবেন,
এমনকি অসম্ভবকেও বাস্তবে রূপ দেবেন।
শর্ত একটাই:
নিয়ত হোক পবিত্র, আর ঈমান হোক অটল।
শায়েখ আবু বকর হাফিঃ র পোস্ট থেকে নেওয়া।

©

18/05/2025

সান্ডা! ছোট্ট এই প্রাণীটিকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন চলছে ব্যাপক আলোচনা। কফিলের ছেলের জন্য সান্ডা খুঁজতে খুঁজতে প্রাণীটিকে রীতিমতো ফেসবুক সেলিব্রিটি বানিয়ে দিয়েছে নেটিজেনরা।

সান্ডা হলো আগামিডে গোত্রের অন্তর্ভুক্ত সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এদের দেখতে পাওয়া যায়।

তবে ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়ায় আরবদের যে প্রাণীটি খাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেগুলো মূলত দব। দবকে অনেকে সান্ডা কিংবা গুইসাপের সাথে গুলিয়ে ফেললেও এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রাণী।

সান্ডা প্রধানত তৃণভোজী তবে কখনো কখনো পোকামাকড় ও অন্যান্য ছোট প্রাণী যেমন টিকটিকিও খায়।

এদের লেজ মোটা ও কাঁটার মতো খাঁজযুক্ত। সান্ডার আকার ছোট হলেও দেখতে হুবুহু গুইসাপের মতো। আরব অঞ্চলে সান্ডা পাওয়া যায় না এবং তারা এটি খায়ও না।

দব আকারে ছোট, এটি সাধারণত ৯০ সেন্টিমিটারের বেশি লম্বা হয়। এর লেজ মসৃণ, দেখতে সাপের লেজের মতো।

এরা মরুভূমিতে বাস করে, পানির ধারেকাছেও যায় না। দব সাধারণত তৃণভোজী, খাদ্য হিসেবে এরা ফড়িং, পঙ্গপাল, পিঁপড়া, তাজা ঘাস ইত্যাদি গ্রহণ করে।

অন্যদিকে গুইসাপ আকারে বেশ বড় এবং লেজ চ্যাপ্টা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এদের দেখা যায়।

গুইসাপ জলে-স্থলে, ঝোপ-জঙ্গলে ও ডোবায় থাকে। বিষাক্ত কীট-পতঙ্গ, সাপ, বিচ্ছু, গিটগিটি ইত্যাদি শিকার করে খায়।

অর্থাৎ আকৃতি কাছাকাছি হলেও দব, সান্ডা ও গুইসাপ পরস্পর থেকে আলাদা। ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী, সান্ডা ও গুইসাপ খাওয়া হারাম হলেও দব খাওয়ার ব্যাপারে ভিন্নমত রয়েছে।

রাসুল সালল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে আরবের সাহাবিগণ দব খেতেন। নবীজি নিজে এটি খাননি, তবে সাহাবিদের খেতে নিষেধও করেননি।

সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম শরীফে এসেছে, তিনি বলেছিলেন, “এটি আমার এলাকায় ছিল না, তাই আমি এর প্রতি আগ্রহ বোধ করি না। কিন্তু তোমরা খেতে পারো, কারণ এটি হারাম করা হয়নি।”

তাই অধিকাংশ ইসলামি স্কলারদের মতে এটি হালাল হলেও হানাফি মাজহাবে এটিকে হারাম বলা হয়েছে।

হানাফি মাজহাবের অনুসারীরা শুধুমাত্র মাছজাতীয় প্রাণীকে হালাল মনে করেন। তাদের মতে, সরীসৃপ বা উভচর প্রাণী খাওয়া জায়েজ নয়।

মালিকি, শাফেয়ি ও হাম্বলি মাজহাবেও উভচর প্রাণী খাওয়া নিষিদ্ধ হলেও দব খাওয়াকে জায়েজ হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই আরবের বেদুইনরা দবকে হালাল খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে।

পানিতে সিদ্ধ করে বিভিন্ন প্রকারের মশলা দিয়ে রান্না করে তারা এটিকে আরবদের জনপ্রিয় খাবার খ্যাপসার সাথে পরিবেশন করে।

সুস্বাদু খাবার ছাড়াও সান্ডার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর তেল। সান্ডার তেল আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

বলা হয়ে থাকে, এই তেল পুরুষদের যৌন সমস্যা সমাধানে ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকরী। এছাড়া দেহের ব্যথা উপশম করতেও এই তেল মালিশ করা বেশ উপকারী বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বা প্রমাণ নেই।

তবে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে কিন্তু এই মরুভুমির দব পাওয়া যায় না। তাই কফিলের মতো দবের বিরিয়ানি খাওয়ার শখ জাগলে, পোল্ট্রি মুরগির বিরিয়ানি রেঁধে খেয়ে ফেলুন। ©

17/05/2025

মানুষ মরছে, সমাজ পথ চেয়ে তাকিয়ে আছে—রাষ্ট্র কি অসহায়? আমাদের মতোই, তাদেরও কিছুই করার নেই.?

প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ঘটে যাচ্ছে লোমহর্ষক ঘটনা। মেয়ের হাতে বাবা খুন, ছেলের হাতে বাবার মৃত্যু—এগুলো এখন আর সংবাদ নয়, রীতিমতো রুটিন..!

লায়লা-মামুনের নির্মম ঘটনাও সহজেই হজম করে নিচ্ছে এই অসাড় সমাজ। রাষ্ট্র নীরব, সমাজ চুপ, বিবেক নির্বাক। এখন যেন বর্বরতাই আমাদের ভবিষ্যৎ..!

সোশ্যাল মিডিয়া আজ অপরাধের খেলার মাঠ। মানবতা সেখানে কনটেন্টে পরিণত হয়েছে, আর নোংরামি ছাড়িয়ে যাচ্ছে সকল সীমা। নগ্নতা ভাইরাল, বিকৃতি ট্রেন্ডিং। আর কেউ ভালো কিছু বললেই শুনতে হয়—“ওভার রিঅ্যাক্ট করছো!” রাষ্ট্র কি কিছুই দেখে না? নাকি এটাও রাষ্ট্রের দায় নয়..?

আজ কেউ খুশিমতো ভিডিও বানাবে, ছড়াবে বিকৃত বার্তা, প্রভাব ফেলবে সমাজ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মনোজগতে—আর রাষ্ট্র নিশ্চুপ থাকবে? এইসব বিষাক্ত কনটেন্ট কি শুধুই ব্যক্তিগত বিষয়? না কি জাতীয় সংকট..?

সমাজও নিশ্চুপ। কেউ প্রশ্ন তোলে না—আমরা কোথায় যাচ্ছি? আমাদের সন্তানরা কী দেখছে, কী শিখছে, কী হয়ে উঠছে? বিকৃত কল্পনা, অশ্লীলতা আর হিংসা—এই কি ওদের রোল মডেল? আমরা কি সত্যিই সভ্য সমাজে বাস করছি, না কি ভার্চুয়াল এক জঙ্গলে..?

সোশ্যাল মিডিয়া আজ “সমাজ ধ্বংসের এক্সপ্রেস হাইওয়ে।” যেখানে মানসিক দৈন্যতায় চলছে উৎসব। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে বলা হয়—“তুমি মুক্ত চিন্তার শত্রু!” কিন্তু প্রশ্ন হলো, মুক্ত চিন্তা মানেই কি বিকার, অরাজকতা, অসভ্যতা? রাষ্ট্র কি বুঝতে পারছে না—আমরা আত্মহননের পথে এগিয়ে চলেছি..?

আমাদের সন্তানরা আজ এসব দেখে বড় হচ্ছে। প্রতিদিন ওদের মনে ঢুকছে বিষ। রাষ্ট্র আজ নীরব থাকলে, কাল ইতিহাস ওকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।

এখনো সময় আছে—দাঁড়াও রাষ্ট্র, কিছু করো! মানুষ মরছে। সমাজ পচে গলে যাচ্ছে। রাষ্ট্র নিশ্চুপ। এই চিঠি শুধু একজন নয়, প্রতিটি সচেতন হৃদয়ের আর্তনাদ। আজ যদি না জাগো, কাল শুধু শোক আর পোস্টমর্টেমই বাকি থাকবে। মানুষ থাকবে না, থাকবে “ডিজিটাল পশু”।

রাষ্ট্রকে এখনই থামাতে হবে।
এই নৈরাজ্য, এই বিকৃতি—আর নয়।
নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য দ্রুত, কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
শুধু আশ্বাস নয়, দরকার দৃশ্যমান পরিবর্তন।
মানুষ আজ দিশেহারা, সমাজ হাঁপিয়ে উঠেছে।
প্রয়োজন বিশ্বাসযোগ্যতা—প্রয়োজন এমন কিছু, যা দেখে মানুষ অন্তত একটু স্বস্তি পাবে।

নাহলে ইতিহাস বলবে—•
“তারা একদিন মানুষ ছিল,
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া দেখে দেখে
পশুতে রূপান্তরিত হয়ে গেল।”

17/05/2025

ছেলের বয়স ১৫/১৬ হবে, পাসপোর্টে বয়স বাড়িয়ে ১৮ করে দুবাই , কাতার কিংবা সৌদিআরব কোন এক দেশে পাঠিয়ে দিই। কি হবে লেখাপড়া শেষ করে, দেশে থেকে? দেশে কি করবে না আছে চাকরি না আছে কর্মক্ষেত্র! বিদেশে গিয়ে কাজ কর্ম শিখে আস্তে আস্তে নিজের পায়ে দাঁড়াবে । এটা একটা মাইন্ড সেটআপ।

এই মাইন্ড সেটআপ একদিনে হয়নি। এটি যুগ যুগ ধরে তৈরি হয়েছে। মালেশিয়া, থাইল্যান্ড, থাইওয়ান কিংবা সিঙ্গাপুর, তাদের দেশের মানুষ কি বাংলাদেশের মানুষের মত এত সংখ‍্যক প্রবাসে থাকেন কিংবা বিদেশমুখী..!?

একটি রাষ্ট্রের রাজনৈতিক হর্তাকর্তারা যখন তাদের ব‍্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন‍্য আপনাকে কখনো ১৯৭১ এ ডুবিয়ে রাখে, স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে রাখে, স্বাধীনতার চেতনায় রাখে, কেউ বাবার অবদানের দোহাই, কেউ স্বামীর অবদানের দোহাই, কেউ পরিবার হারানোর বেদনায় নিমজ্জিত রেখে যুগ যুগ ধরে একটা জাতিকে “ইমোশনাল ফোল” বানিয়ে রাখে, তখন তাদের আপনার ছেলেমেয়েদের বা পরিবার নিয়ে কিছু যায় আসে না। আপনার ছেলের কাছে চাকরি থাকলে, হাতখরচ থাকলে নেতার গোলামী করবে কে!? তাদের পিছনে পিছনে কে দৌঁড়াবে। নেতার ছেলেমেয়েরা ঠিকই ইউরোপ আমেরিকায় ভাল প্রতিষ্ঠানে পড়ছে আর আপনার ছেলেমেয়েরা সেই নেতার পিছনেই পড়ে আছে। এছাড়াও বন্ধুদেশের চক্রান্ত সবসময় ঘাড়ের উপর চেপে আছেই।..

চাকরির উৎস কি? কর্মক্ষেত্র। কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি কিভাবে হবে? দেশী বিদেশী বিনিয়োগ। দেশী বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে কিভাবে!? রাষ্ট্রের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগ ব‍্যবস্তার উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা, সিকিউরিটি, ব‍্যবসায়িক জোন এসবের সার্বিক উন্নতি সাধন। খেয়াল করে দেখুন যেদিন বিডার আন্তর্জাতিক সম্মেলন হল, বিভিন্ন দেশের ইনভেস্টররা এলেন, সেদিন একটি দলের ফিলিস্তিন প্রীতি বেড়ে গেল, (ঐ দিনই কেন সমাবেশ করতে হবে? এর আগে পরে করা যায়না?) বাটা-ডমিনোস বিভিন্ন আউটলেটে হামলা ভাংচুর হল। এসব দিয়ে কি প্রমাণিত হয়!? চক্রান্তকারী একটি মহল কিংবা দেশ চায়না বাংলাদেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইনভেস্টররা আসুক, শিল্পকারখানা কিংবা কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হোক।

অপ্রিয় হলেও সত‍্য এই বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতির অন্তরায় মূলত গণতন্ত্র । গণতন্ত্রের দোহাই দিয় সব দলের হর্তাকর্তারাই দেশটাকে লুটপাট করে খাচ্ছে আর দেশের ভবিষ্যৎ দামাল ছেলেদের তাদের গোলামীতে মজবুর করে রাখছে। উত্তর কোরিয়া, চায়না বা রাশিয়ার নাম বললেই আপনার চোখ কপালে উঠে, বলেন কত উন্নত আজ সেই রাষ্ট্রগুলো! হ্যাঁ ডিক্টেটররাই চালায় রাষ্ট্রগুলো, তারা দেশের জিডিপি খেয়ে ফেলে না, অন‍্য দেশের কাছে নিজের দেশকে বিক্রি করে দেয়না। যদিও বা অনেক যুক্তি এর বিরুদ্ধেও দাঁড় করানো সম্ভব..!!

গণতন্ত্রে আপনি যতই ভালো হোন না কেন একদল আপনার বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন করবেই, সেই গণতন্ত্রের নমুনাই বাংলাদেশ ৫৫ বছর যাবৎ দেখছে।..!!

আমরা খুনি, চোর সন্ত্রাসীদের দেখলে নাক সিটকায় আবার তাদের গডফাদারদের দেখলে হাত তুলে সালাম দিই। কি অদ্ভুত এক জোকার জাতিতে পরিণত হয়েছি আমরা বাংলাদেশীরা..!!

সবার উপরে একমাত্র অভিশাপ “অভাব” নামক অভিশাপ। চায়না ১৪০ কোটি মানুষকে সাবলম্বী করতে পারলে আমরা মাত্র ১৮ কোটি কে পারবনা।? মহান আল্লাহ পাক কি এমন কাউকে বাংলাদেশের জন‍্য নিয়োজিত করবেন না যিনি এই ৫৫ বছরের জীর্ণ শীর্ণ বাংলাকে এক নতুন সফল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করবেন, যেখানে থকবেনা কোন অন‍্যায় দূর্নীতি কিংবা থাকবেনা বেকারত্বের অভিশাপ ।🫵

16/05/2025

থানকুনি বা আদামণি (বৈজ্ঞানিক নাম: Centella asiatica) এক ধরনের খুব ছোট বর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক পরিবাবের নাম ম্যাকিনলেয়াসি যাকে অনেকে এপিকেসি পরিবাবের উপপরিবার মনে করেন।

থানকুনি অত্যন্ত বলকারক, রুচি বর্ধক, হজম বৃদ্ধিকারক ভেষজ। আমরা রোগ নিরাময়ে থানকুনি পাতার বিবিধ ব্যবহার জানবঃ

১ । আমাশয়: আমাশয় হলে থানকুনি পাতার রস ৫-৬ চামচ একটু গরম করে খেলে অথবা পাতা থেঁতো করে একটু ভেজে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

২ । বদহজম: বদহজম হলে আমাশয়ের চিকিৎসার মত থানকুনি পাতার রস ৫-৬ চামচ একটু গরম করে খেলে অথবা পাতা থেঁতো করে একটু ভেজে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৩ । শরীরের ক্ষত: শরীরের যে কোন স্থানে ক্ষত হলে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি দ্বারা ক্ষত স্থান ধুয়ে দিলে উপকার হবেই । আর থানকুনি পাতার রস দিয়ে ঘি তৈরী করে সেই ঘি ক্ষতে লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ক্ষত শুকিয়ে যাবে।

৪ । স্মরণ শক্তি: কোন কিছু মুখস্ত করার পর আজ মনে আছেতো কাল মনে নেই। কোন ভাবেই মনে থাকে না। মনে করা যাচ্ছে না। স্মৃতি শক্তি বা হ্রাস পেয়েছে। স্মৃতি শক্তি দুর্বল। চিন্তা না করে আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করে থানকুনি পাতার রস ২-৩ তোলা, আধাকাপ দুধ এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন একবার করে সেবন করুন বা করান উপকার পাওয়া যাবে। তবে এসময় টক, ঝাল, লবন, ঘি, ডিম খেতে নেই।

৫ । অনিয়মিত স্রাব: অনিয়মিত ঋতু স্রাব হলে থানকুনি পাতার রস ৩-৪ চা চামচ প্রতিদিন একবার করে কয়েকদিন খেলে ভাল হয়ে যাবে।

৬ । দেহের লাবণ্য: থানকুনি পাতার রস ৫-৬ চা চামচ একটু গরম করে এক কাপ দুধের সাথে খেলে দেহের লাবণ্য ফিরে আসে।

৭ । চুল উঠা: দেহের অপুষ্টি জনিত কারনে মাথার চুল উঠে গেলে থানকুনি পাতার রস ৫-৬ চা চামচ একটু গরম করে এক কাপ দুধের সাথে খেলে চুল উঠা বন্ধ হবে।

৮ । থেতলে যাওয়া: কোন স্থান আঘাতে থেতলে গেলে থানকুনি গাছ বেটে অল্প গরম করে থেতলানো জায়গায় প্রলেপ দিলে থেতলানো ভাল হয়ে যায় ।

৯ । বাচ্চাদের কথা বলতে দেরী: অনেক বাচ্চার কথা বলতে দেরী হয়। পরিস্কার করে কথা বলতে পারে না। এমতাবস্থায় এক চামচ থানকুনি পাতার রস সামান্য গরম করে ঠান্ডা হলে ২০-২৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে ঠান্ডা দুধের সাথে কিছুদিন খাওয়ালে উপকার হবে।

১০ । ঘামের দুর্গন্ধ: যাদের বেশী ঘাম হয় এবং ঘামে দুর্গন্ধ তাদের থানকুনি পাতার রস ৫-৬ চা চামচ একটু গরম করে এক কাপ দুধের সাথে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

১১ । পায়খানায় সমস্যা: কফ যুক্ত পায়খানা, বার বার পায়খানায় যেতে হয়। পেট পরিস্কার হচ্ছে না, পেটে বায়ু জমা মাঝে মাঝে মাথা ব্যাথাও হয় এমতাবস্থায় থানকুনি পাতার রস ৩-৪ চামচ সামান্য গরম করে কাঁচা গরুর দুধ মিশিয়ে কয়েকদিন খেলে উপকার পাওয়া যাবে।

১২ । পেটের পিড়ায়: থানকুনি পাতা বেটে ভর্তা বানিয়ে খেলে অথবা ঝোল রান্না করে ভাতের সাথে খেলে পেটের বিভিন্ন অসুখ, বদহজম, ডায়রিয়া, আমাশয় পেট ব্যথা সেরে যায়। এর রস আলসার একজিমা রোগ সারাতেও উপকারী..। # @ #

13/05/2025

আপনি মুসলিম পরিবারে জন্মেছেন মানে আপনি "কোটা" সুবিধা পেয়েছেন। আল্লাহ সবাইকে মুসলিম ঘরে জন্ম দেন না।

যার জন্ম অমুসলিম পরিবারে তার জন্য নিজের কালচার ধর্ম সমাজ আত্তীয় সব ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করা কিছুটা কঠিনই। তারপরও যদি তারা ইসলামের সৌন্দর্য খুঁজে পায়, মুসলমানদের গুনাবলীতে আকৃষ্ট হয়, তবে অনেকে সব ছেড়েও ইসলাম গ্রহণ করে। আমাদের উপমহাদেশ, এই বাংলাদেশও হিন্দু অধ্যুষিত ছিলো। কিন্তু ওলীআউলিয়াতে মুগ্ধ হয়ে এখন ৮৭% মুসলমানের দেশ এটা।

কিন্তু এই যে আল্লাহ আপনাকে একটা বিশেষ সুবিধা দিলেন, মুসলিম পরিবারে জন্ম দিলেন, আপনি বিধর্মীদের ইসলামে আকৃষ্ট করার মতো কি করলেন? হৈ হৈ রৈ রৈ অন্য ধর্মের মানুষের ক্ষতি কামনা ছাড়া কিছুই করলেন না। সবক্ষেত্রে মুসলিম অমুসলিম বিভাজন। ইসলামের কি প্রসার করলেন? আল্লাহ কি সন্তুষ্ট হইলো? আল্লাহ তো চাইলে আপনার হিন্দু প্রতিবেশীকে মুসলিম ঘরেও জন্ম দিতে পারতেন, আর আপনাকে দিতে পারতেন হিন্দু ঘরে জন্ম। কিন্তু আল্লাহ এইটুকু স্পেশাল সুবিধা দিয়ে আমাদের এইটুকু দায়িত্বও দিয়েছেন, যেনো অন্য ধর্মের কেউ আমাদের ধর্মের দোষ ধরতে না পারে, বরং ইসলামে মুগ্ধ হতে পারে, আকৃষ্ট হতে পারে। কিন্তু কি করছেন আপনি? আপনি কি গ্যারান্টি দিচ্ছেন আপনি জান্নাতি?

বাদ্য গান হারাম করা হয়েছে কারন বাদ্য বাজিয়ে ইহুদীরা মুসলমানদের ইবাদতে ব্যাঘাত ঘটাতো। এখন গানের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তাও যদি হারাম ধরেন হারামই। কিন্তু রবীন্দ্র সংগীত হারাম আর নজরুল সংগীত হালাল, বাদ্যসহ গজল হালাল!!?

আপনারা কি হিন্দু হলেও ডা: পিনাকী ভট্টাচার্য কে মানেন না? কোরআন বাংলা তরজমা প্রথম করেছিলেন কে?

এমনিতেই পুরো দেশে এত প্যাচ লাইগা রইসে, দেশের ৩ পাশে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব, মাটির নীচে ভুমিকম্পের হাতছানি, একটু মিলেমিশে চলেন না সবাই।
নাকি ভাবতেসেন "একদিন তো মরেই যাবো, সুখে শান্তিতে মিলেমিশে সারাজীবন বাইচা লাভ কি...?"🤷‍♂️

11/05/2025

আজকে মা দিবস।
মা মানেই কি মহান? প্রচলিত একটা কথা আছে, মা ১০ মাস ১০ দিন সন্তানকে পেটে ধরে জন্ম দিয়েছে, বুকের দুধ খাইয়েছে, এই ঋণ জীবনেও শোধ হবে না। তাই কি?
এই কাজটুকু যিনি করেন তিনিই মা, এছাড়া তো মা হওয়া যায় না। কিন্তু শুধু এই কাজটুকুর জন্যই কি মায়ের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকা যায়, যদি এখানেই তার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়?
কদিন আগে একটা ঘটনা খুব ভাইরাল হল। এক কমবয়সী মা সন্তানকে বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে নিজের শখের জিনিস কিনেছে। তো সেও তো মা ছিল। কিন্তু মাতৃত্বের মত বড় দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল না। আবার অনেক মা আছেন পরকিয়ার জেরে নিজের সন্তানকে বলি দেন। এই মাও তো ১০ মাস পেটে রেখেই জন্ম দিয়েছেন, কিন্তু মায়ের মমতা অনুভব করতেই পারেননি।
সম্প্রতি এএসপি পলাশ আত্মহত্যা করে পুরো সমাজের সামনে নিজের মায়ের মুখোশ খুলে দিয়ে গেছেন। কিন্তু শুধু পলাশের মা না, হাজারো ছেলের মায়েরা এভাবে ছেলে ছেলের বৌয়ের জীবন ধবংস করে যাচ্ছে। কেউ সব বিষ একবারে উগড়ে দেয়, আর কেউ স্লো পয়জনিং করে। কেউ রাগী মুখে করে, কেউ হাসির আড়ালে, এটাই পার্থক্য।
আবার হাজারো মেয়ের মায়েরাও মেয়ের সংসারে অতিরিক্ত নাক গলাতে গিয়ে সমস্যা তৈরি করে। দিনশেষে এসবে নিজেদের ছেলেমেয়েদেরই ক্ষতি। সবাই হয়তো পলাশের মত এক্সট্রিম লেভেলে গিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিবে না, কিন্তু তার বদলে প্রতিদিন একটু একটু করে মরবে। আর সেটা এই মায়েরা রিয়েলাইযও করবে না। বরং ছেলে আর বৌকে আলাদা করতে পারলে মনে মনে আত্মতুষ্টি পাবে এই ভেবে যে যাক, এখন ছেলেও আমার কব্জায়, সংসারও আমার কব্জায়। আর মেয়ের মা চায় ছেলে আর সংসার দুটাই থাকবে তার মেয়ের কব্জায়। এই করতে গিয়ে ছেলেমেয়ের পারস্পরিক সম্পর্ক কেমন হল তাও খেয়াল রাখবে না।

যাই হোক, একটা জেনারেশন তো সন্তানদের প্রতি দায়িত্বহীন থেকে বুড়াই হয়ে গেল, তারা এখন এসব শিক্ষার উর্ধ্বে। আমাদের জেনারেশন যেন আরো দায়িত্বশীল মা বাবা হতে পারি এখন সে বিষয়ে সচেতনতা দরকার।
এই সচেতনতা দরকার সন্তানের জন্মের আগের থেকেই। কনসিভ করার আগের নিজেকে বুঝতে হবে, মাতৃত্ব একটা বড় দায়িত্ব, আমি এই দায়িত্ব নেয়ার জন্য তৈরি কিনা। বাচ্চা একটা হলে এমনিই বড় হয়ে যাবে, এটা সম্পুর্ণ ভুল। বাচ্চা বড় করতে হবে মাকে, সাথে কিছুটা বাবাকে। তাই মায়ের বয়স যদি খুব কম হয়, ম্যাচিউরিটি না থাকে, পড়াশোনার ঝামেলা থাকে তাহলে অপেক্ষা করতে হবে সঠিক সময়ের জন্য।
এরপরের দায়িত্ব কনসিভ করার পর। এই সময় নিজেকে ভাল রাখা সুস্থ রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থায় মায়ের মেন্টাল হেলথ ভাল না থাকলে সন্তানের পরবর্তীতে অটিজমসহ বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পরিবারের সবার দায়িত্ব এসময় মাকে খুশি রাখা, তার সাথে ভাল আচরণ করা।
এরপর সন্তান জন্মদান। আর এর পরবর্তীতে মায়েদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেয়। অনেক মায়েরাই পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয় যা ১ বছরের বেশি সময় পর্যন্ত থাকতে পারে।
ছোট বাচ্চার মায়েদের কষ্টের কথা বলে শেষ করা যায় না। সারাদিন বাচ্চার পিছে ছুটে মায়ের মেজাজ থাকে খারাপ। আর ব্রেস্টফিডিং এ যে পরিমাণ ক্যালরি খরচ হয়, তাতেও মায়ের খারাপ লাগাই স্বাভাবিক। পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা ছাড়া এসময় পার করা খুব কঠিন।
সন্তান বড় হওয়া পর্যন্ত প্রতিটা বয়সে মাকে বিভিন্নভাবে কষ্ট করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সন্তান বড় করার অর্থ শুধু তাকে খাওয়ানো আর স্কুলে আনা নেয়া করা না। বরং ফাকে ফাকে তাকে জীবনবোধ শেখানো, ভাল মন্দের জ্ঞান দেয়া, প্রয়োজনীয় লাইফস্কিল শেখানো।সেই সাথে মনে রাখতে হবে আমি আমার সন্তানের ভাল চাই, তার কারণ শুধুমাত্র এটাই যে আমি তাকে ভালবাসি। এটা না যে সে আমার সারাজীবনের ইনভেস্টমেন্ট, বুড়ো বয়সে আমি তাকে ভেংগে খাব। বা এটাও না যে সে আমার ট্রফি, তাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত দেখিয়ে আমি গর্বিত হব। বরং শুধুই এই কারনে যে আমি তাকে ভালবাসি, তার ভাল চাই, তাকে এমনভাবে বড় করতে চাই যেন আমি না থাকলেও সে সব কাজে স্বনির্ভর হয়ে বাচতে পারে, কারো সাথে অন্যায় আচরণ না করে, আর নিজের সাথেও অন্যায় না হতে দেয়।যেভাবে পাখি মায়েরা সন্তানকে উড়তে শিখার আগে মুখে তুলে খাওয়ায়, তারপর ওড়া শিখায়, নিজের খাবার খুজে নিতে শিখায়, আর নিজের মত উড়ে যেতে দেয়।
সর্বোপরি, সন্তান বড় হয়ে গেলে মায়েদের মানতেই হবে যে সে একজন স্বাধীন সত্ত্বা।তার নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছামত এখন সে নিজের জীবন কাটাবে, শুধু দেখতে পারি সে বড় কোন ভুল করছে কিনা। কিন্তু তার জীবনের ছোটখাট প্রতিটা ব্যাপারে আমি হস্তক্ষেপ করতে পারি না।
সন্তান বিয়ে করলে তার নিজের পরিবার হবে।তখন সে তার পরিবারে সময় দিবে। তারা ভাল থাকলেই আমি খুশি। আমি যদি সারা জীবনে তার সাথে যথেষ্ট বন্ড ক্রিয়েট করতে পারি, সে যত ব্যস্তই থাকুক, নিজেই প্রতিদিন অন্তত একবার আমার খোজ নিবে, মাঝে মাঝে এসে আমার সাথে সময় কাটাবে। কিন্তু আমি কম্পিটিশনে নামতে পারি না যে সে তার পরিবারের সাথে আমার চেয়ে বেশি সময় কাটালো কিনা, আমাকে রেখে তাদের নিয়ে ঘুরতে গেল কিনা, আমার চেয়ে বৌয়ের কথায় বেশি গুরুত্ব দিল কিনা ইত্যাদি। এসব করে আমি নিজের ইনসিকিউরিটিই প্রকাশ করব, এর বেশি কিছু না।

তাই মা দিবসে মায়েদের অযথা মহিমান্বিত না করে বরং সারাদিনব্যাপী ওয়ার্কশপ করা যায়, কিভাবে আদর্শ মা হওয়া যায় সে বিষয়ে। মাতৃত্বের দোহাই দিয়ে সন্তানদের এক্সপ্লয়েট করা বন্ধ হোক, মায়েরা সত্যিই নিজের চেয়ে সন্তানকে বেশি ভালবাসুক, সন্তানের ভাল চাক। এমন মায়েদের প্রতি থাকলো অভিনন্দন..!!

18/02/2025

১। একজন ব্যবসায়ী সারাদিন দোকান সামলে রাতে যখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছে, তার সামনে একজন এসে চাকু দেখিয়ে টাকা চাইলো। টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দিলো, অথবা না দিলে গায়ে ছুড়িকাঘাত করে আহত করলো এবং টাকা ছিনিয়ে নিলো।

২। কিংবা একজন লোক তার স্ত্রীকে নিয়ে রাতে ঘুড়তে বের হলো, হঠাত এক জন তাদেরকে এসে অনেক অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করলো আর টাকা চাইলো। টাকা না দিলে আরো বেশি গালাগাল করতে লাগলো।

এইরকম অহরহ ঘটনায় ছেয়ে গেচে আমাদের দেশটা। কেউ কাউকে আর বিশ্বাস করতে চাইছে না। নিরাপত্তাহীন এক পরিবেশে ঘুড়ে ফিরে বেচে আছি আমরা। সরকার বা প্রশাসন ব্যার্থ হচ্ছে নিরাপত্তা দিতে। দৈনিক একের পর এক খুন, ধর্ষন, কিংবা চুরি ডাকাতির খবর আসছেই দেশের কোনো না কোনো প্রান্ত থেকে। এইভাবে চলতে থাকলে মানুষ বিশ্বাস হারাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে। মানুষ আইন নিজেই হাতে নিতে বাধ্য হবে, যা সামলানোর ক্ষমতা আর কোনো দলের সরকারের হাতেই থাকবে না। তাই যে যেই দলের লোকই হন না কেনো, জনগণের নিরাপত্তা আগে নিশ্চিত করুন। আমি বিশ্বাস করি সব দলের নেতৃবৃন্দ চাইলেই আমাদের সমাজটা সুন্দর করতে পারেন, নিরাপদ করতে পারেন। যেহেতু এটা আমাদের গণতান্ত্রিক দেশ, কেউ না কেউ তো জনগনের আস্থা নিয়েই ক্ষমতায় আসবে। সাধারন জনগন বিবেচনা করতে জানে এখন, তারা শুধু সেই দলকেই ভোট দিবে যারা এখন পর্যন্ত জনগনের কোনো ক্ষতি করে নি, চাদাবাজি বা রাহাজানি করে নি।

বাংলাদেশের মানুষ শুধু একটু নিরাপত্তা চায়, একটু স্বাধীনভাবে বাচতে চায়। আপনারা যে যেই দলেরই হোন না কেন, আপনাদের এলাকায় কারা কারা এই সব অপকর্ম করে যাচ্ছে তা অন্তত আপনারা ভালোই জানেন। আপনারা চাইলেই তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিতে পারেন, কারন মানুষ আপনাকে নেতা মানে। আপনি যদি মানুষকে নিরাপত্তাই দিতে না পারেন, তবে জেনে রাখুন। মানুষ আপনাকে আর কখনোই নেতা মানবে না, সম্মান করবে না।

তাই মানুষের আস্থা ধরে রাখার জন্য, মানুষের প্রিয় নেতায় পরিণত হবার জন্য, আপনার উচিত মানুষের নিরাপত্তার দিকটা সঠিক ভাবে নিশ্চিত করা। যেদিন আপনি অপরাধী দেরকে আইনের হাতে তুলে দিতে পারবেন, সেদিন থেকেই আপনি হয়ে উঠবেন- গণমানুষের নেতা, জনগনের ভালোবাসার ও সম্মানের মানুষ।

সমাজে মানুষ চায় একটু স্বাধীনভাবে তাদের কর্ম সম্পাদন করতে। একজন ছাত্র চায় সঠিক ভাবে দেশে পড়াশুনা করে দেশের একজন ভালো সেবক হতে, একজন ব্যবসায়ী চায় তার বিজনেস নিরাপদভাবে চালিয়ে যেতে, একজন চাকরীজীবী চায় তার ঘর হতে কর্মস্থল পর্যন্ত এক নিরাপদ সড়ক। যেদিন আপনি এসব এর নিশ্চয়তা মানুষকে দিতে পারবেন, সেদিন থেকে আপনাকে আর মানুষের দ্বারে দ্বারে যেয়ে মানুষের কাছে ভোট চাইতে হবে না, মানুষ আপনাকে এমনিতেই ভোট দিয়ে ভালোবেসে জয়যুক্ত করবেন। কারন মানুষ বিশ্বাস করে আপনার হাতেই তাদের এলাকা বা তাদের দেশ নিরাপদে থাকবে।

আর অন্যদিকে যেসব রাজনৈতিক দল নিজেরাই সরাসরি এই ধরনের অপকর্ম করে, তাদের কে মানুষ চিনে রেখেছে। তাদেরকে মানুষ কখনই ভোট দিবে না। যতই টাকা বিলান, বা যতই মানুষকে এইটা সেইটা প্রতিশ্রুতি দেন, কোনো লাভ নেই। বাংলাদেশের মানুষ এখন আর বোকা নেই। এখন দেশের মানুষ ভাবতে জানে ও সিদ্ধান্ত নিতে জানে। তারা দীর্ঘকাল একটি বিশেষ দলের সকল প্রকার অপকর্মের শিকার হয়েছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে মানুষের। তাই এই মুহূর্তে মানুষের ভালোবাসা পেতে গেলে আপনার অবশ্যই আপনার এড়িয়া থেকে সকল প্রকার ছিনতাই, ডাকাতি, চুরি, ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে একশনে নামতে হবে। একশন একশোন বলে স্লোগান না দিয়ে, সেটা বাস্তবে করে দেখাতে হবে। তাহলেই আপনার আপনাদের এলাকার মানুষের ভালোবাসা পাবেন।
আমি এই কথা গুলো বাধ্য হয়েই আপনাদেরকে বললাম। কারন আমি চাই আমাদের দেশটা সুন্দর হোক, নিরাপদ হোক। যাই হোক, আর কথা বাড়াবোনা। আজকে আসি, পরে দেখা হবে আবার নতুন কোনো আলচনা নিয়ে, ততক্ষন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন, এই কামনা করি। আসসালামু আলাইকুম...!!

𝐀𝐛𝐮 𝐇𝐮𝐫𝐚𝐢𝐫𝐚 𝐒𝐚𝐤𝐲 𝐒𝐡𝐚𝐤𝐢𝐥

07/07/2025

21/06/2025

14/06/2025

02/06/2025

27/05/2025

18/05/2025

17/05/2025

17/05/2025

16/05/2025

13/05/2025

11/05/2025

18/02/2025

Address

Opening Hours

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category

Monday	09:00 - 22:30
Tuesday	09:00 - 22:40
Wednesday	09:00 - 23:40
Thursday	09:00 - 23:40
Friday	09:00 - 23:30
Saturday	09:00 - 23:45
Sunday	09:00 - 17:00