22/06/2022
তিস্তার ৪৪ টি গেট খুলে দিয়েছে, জলের চাপ সামলাতে পারছে ভারত !!
অভিন্ন নদীর পানি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ক্ষোভ বহু পুরানো। এটি সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয় গঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত ফারাক্কা ও গজল ডোবার তিস্তা ব্যারাজকে ঘিরে। শুকনা মৌসুমে এই ব্যারাজ দিয়ে পানি আটকে দেয় ভারত। বর্ষা মৌসুমে ব্যারাজের সব গেইট খুলে পানি ছেড়ে দেয় বাংলাদেশের দিকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহু মানুষ লিখছেন, এবার যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে, তার জন্যও ভারতই দায়ী।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হওয়ায় তিস্তার পানি সমতলে বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি জমেছে গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজের লক গেটে। এ কারণে ৪৪ গেটই খুলে দিয়েছে ভারত। জানা গেছে, পানির চাপ থেকে ব্যারেজকে রক্ষা করতে ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে পানি ছাড়ার পরিমাণ ছিলো ১,৪৫০ কিউসেক।
এখন অথৈ পানি । আজকের ভিডিওটি আমাদের নিয়মিত দর্শক মাহবুবা তাজ সুলতানার অনুরুধে নির্মিত।
জানা গেছে, ভারতের সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ ও ভুটানে ভারী বৃষ্টির কারণে গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজের লক গেটে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। এ কারণে সব গেটই খুলে দেয় ভারত। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের তিস্তার বুকে চর দেখা যাচ্ছিল।
শুকনা মৌসুমে ফারাক্কা ব্যারাজ এর মাধ্যমে যেভাবে পানি আটকে রাখা হয়, তা বর্ষা মৌসুমেও করা হলে বাংলাদেশে এতটা বন্যা হতো না। কিন্তু গঙ্গা চুক্তিতে এমন বিধান তো আসলে নেই। চুক্তিতে শুকনা মৌসুমের অল্প পানি ‘ন্যায়সংগতভাবে’ ভাগাভাগি করার ব্যবস্থা বাংলাদেশ-ভারত করেছে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে বেশি পানির বোঝা দুই দেশ ন্যায়সংগতভাবে বহন করবে এমন কোনো বিধান নেই গঙ্গা চুক্তিতে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে ভারত তিস্তা প্রকল্পটি যাতে বাস্তবায়িত না হয় তার জন্য প্রচণ্ড রকমের চাপ বাংলাদেশের উপর দিয়ে যাচ্ছে। ভারত মনে করছে এই প্রকল্প ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ভারতের দাবি, তাদের শিলিগুড়ি করিডোরের ‘চিকেন নেকে’র এত কাছাকাছি তিস্তা প্রকল্প কয়েক হাজার চীনা নাগরিকের অবস্থান ভারতের দুশ্চিন্তার কারন।
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার আর্থিক সমৃদ্ধি স্থায়ী রূপ নেবে। নদী ভাঙ্গন থেকে রেহাই পাবে বাংলাদেশের মানুন। পাল্টে যাবে এসব জেলার মানুষের জন জীবন। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই তিস্তা পাড়ের মানুষের দুঃখের দিন শেষ হয়ে যাবে ।