26/03/2023
ইফতারের সময় একটি দোয়া আল্লাহ কখনো ফিরিয়ে দেন না ❤️
নবীজি (স) বলেছেন, রোজাদারের জন্যে দুটি আনন্দ। একটি হচ্ছে, ইফতারির সময়। আরেকটি আনন্দ হচ্ছে, সে যখন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সাথে সাক্ষাত করবে সেই সময়।
তিনি আরো বলেন, নিশ্চয়ই রোজাদারের জন্যে ইফতারের সময় একটি দোয়া এমন, যা আল্লাহ কখনো ফিরিয়ে দেন না।
অর্থাৎ ইফতারের সময় দোয়া কবুলের সময়। অন্তত একটি দোয়া আল্লাহ অবশ্যই কবুল করবেন।
তাহলে আমরা কী প্রস্তুতি নিতে পারি?
আমাদের জীবনে অনেক অব্যক্ত দুঃখ-কষ্ট আছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। কিন্তু সীমিত বুদ্ধি বিবেক সামর্থ্যের জন্যে সেগুলো কাটিয়ে ওঠতে পারি না।
মানসিক অশান্তি, পারিবারিক অশান্তি, অর্থনৈতিক দৈন্য বিভিন্ন ধরণের ভেজালের মধ্যে আছি যেগুলো থেকে আমরা মুক্তি চাই।
জীবনের ত্রিশটি গুরুত্বপূর্ণ চাওয়া নির্বাচন করুন
জীবনের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ ত্রিশটি বিষয় যদি আলাদা করে লিখে নেই তাহলে রমজানের প্রত্যেকদিন সবগুলোই এক এক করে স্রষ্টাকে বলতে পারব।
প্রথমে হয়তো দেখা যাবে আপনি পাঁচ/দশটার বেশি লিখতে পারছেন না। আবার লিখবেন, আবার লিখবেন।
তারপর এই দোয়াগুলোই প্রতিদিন আল্লাহর কাছে ইফতারের আগে পেশ করুন। আপনি দেখবেন, ইনশাল্লাহ! আপনার জীবন বদলে যাচ্ছে।
ইফতার এবং আল্লাহর ক্ষমা
ইফতারের সময়ের গুরুত্ব নিয়ে আরো বলা হয়- আল্লাহ এসময় আরশে আজিম থেকে তাকিয়ে থাকেন আর ফেরেশতাদেরকে ডাকেন। বলেন, আচ্ছা! জমিনে কী হচ্ছে?
ফেরেশতারা বলে, আল্লাহ, সবাই খাবার-দাবার নিয়ে বসে আছে।
আল্লাহ জিজ্ঞেস করেন, ওরা খায় না কেন? ফেরেশতারা জবাব দেয়, আপনি যে নিষেধ করেছেন সূর্য ডোবার আগে খাবে না।
ঐসময় যারা দোয়া করে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেন, এরা কী চায়? তখন ফেরেশতারা বলে, আল্লাহ এরা মাফ চায়।
তখন আল্লাহ বলেন, তোমাদেরকে সাক্ষী রেখে আমি বলছি, আমার ভয়ে যারা সব খাবার সামনে রাখার পরও এখনও খাচ্ছে না, আমি সবাইকে মাফ করে দিলাম।
এরকম বরকতের সময়ও যদি কেউ ইফতারি বানাতে ব্যস্ত থাকে বা অন্য কাজে মশগুল থাকে তাহলে তাকে দুর্ভাগাই বলতে হয়।
এজন্যেই খাবার নিয়ে তো বটেই অন্য কোনো কাজ নিয়েও এসময়টা হুলস্থূল করা উচিত নয়।