20/08/2025
২১শে আগস্ট, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক রক্তাক্ত কলঙ্কের দিন। এদিনের ভয়াবহতা শুধু এক দলের উপর নয়, গোটা জাতির অস্তিত্বে আঘাত হেনেছিল।
২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ জনসভায় চালানো হয় বর্বরতম গ্রেনেড হামলা। উদ্দেশ্য ছিল একটিই, বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামীলীগ সভাপতি জননেত্রী, জাতির ভবিষ্যৎ শেখ হাসিনাকে হ'ত্যা করা। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত এই ঘৃ'ণ্য হামলায় মুহূর্তেই রক্তে ভেসে যায় মিছিলের মাটি। শহীদ হন আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মী, আহত হন প্রায় ৩০০ জন, যাদের অনেকেই আজও পঙ্গুত্বের শিকার।
এই হত্যাযজ্ঞ ছিল কেবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল নয়, বরং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র। তখনকার সরকার ও তাদের শীর্ষস্থানীয় মদদদাতারা এ হামলার নীলনকশা তৈরি করেছিল।
আরো ভয়ঙ্কর হলো আজকের বাস্তবতা। অবৈধ ইউনূসের তথাকথিত 'ক্যাঙ্গারু কোর্ট' এই মানবতাবিরোধী অপরাধের নেপথ্যের কুশীলবদের দণ্ডহীনতার সংস্কৃতি উপহার দিয়েছে, আসামীদের দিয়েছে বেকসুর খালাস। এ অন্যায় শুধু আইনের নয়, ইতিহাসেরও অপমান।
কিন্তু মনে রাখতে হবে, জনতার আদালত নীরব নয়। সময়ের চাকা ঘুরবে, বাংলার মাটিতে আবারও উচ্চারিত হবে ন্যায়বিচারের রায়। ২১শে আগস্টের রক্তঋণ এ জাতি কোনোদিন ভুলবে না, ভুলতে পারবে না।