Fatema Afroz Orin

Fatema Afroz Orin freelancer writer

10/11/2024

#স্বপ্ন_নীড়
#লেখিকা_Fatema_afroz_orrin
Part 2

-ওই দিকটা সব ঠিক আছে তো?
-জি স্যার আমি সব ম্যানেজ করে নিয়েছি।
-ওরা কেউ কিছু বলেছে?
-না স্যার ওরা এখনো মুখ খুলেন
-যেভাবে হোক ওদের থেকে সব তথ্য বের করো আমি আসলে কিন্তু ওদের হাড়টা ও খুঁজে পাবে না।

ধমক টা খুব হালকা হলেও কিঞ্চিৎ কেঁপে উঠলো মোবাইলের পিছনের লোকটা হয়তো লোকটার ভয়াবহতা টা জেনে।
-জি স্যার আমি দেখছি।

~~~~~~~~~~~~~

তারা গ্রামে পৌছাতে পৌছাতে ভোরের আলো ফুটে উঠেছে। সবাই গাড়ি থেকে নেমে আসে এক শীতল অনুভূতি ছুয়ে যায় সবাই কে। গাড়ির ডাক শুনে বের হয়ে আসে ফয়জুন্নেছা কোথায় আমার নাতি নাতনিরা এতদিনে এই বুড়ির কথা মনে পড়ছে?

শেরজাদ দাদিজানকে জড়িয়ে ধরে বলে আমি কি আমার বুড়ি বউ এর কথা ভুলতে পারি সবসময় মনে ছিল কিন্তু কাজের যা চাপ তাই তো আসতে পারিনি।
তখনি শেরশাহ বলে আমাকে তো দেখি কারো চোখেই পড়ে না থাক আমি কারো সাথে কথাই বলবো না। -আরে দাদুভাই তুই তো আমার আরেক জামাই এদিকে আয়।
-হুম জামাইদের ই তো আদর করবা আমরা তো কেউই না।
আরে দিদিভাই তোমরা এদিকে আস ঐ বুড়ির কাছে যেতে হবে না তোমাদের দাদুভাই আছে না।
-আমাদের দাদুভাই হচ্ছে বেস্ট দাদুভাই।না আমাদের দাদিজান সেরা ।
- তোমরা পরে ঝগড়া করো এখন ঘরে যাও ফ্রেশ হয়ে আস।
হুম দাদিজান সারারাস্তা এরা ঘুমিয়ে আসছে আর আমাকে ড্রাইভার বানাই আনছে এখন ঘুমের খুব দরকার।
-আমি তো বলছি আমি ড্রাইভ করি তুই ই তো দেস নাই আমাকে। ( শেরশাহ)

-হুম তুই ড্রাইভ করবি ঘুমের ঘোরে এক্সিডেন্ড করবি আমাদের আর এখানে আসতে হতো না ।ভাই আমি এখনো বিয়ে সাদী করি নাই বিয়ের আগে বউকে বিধবা বানাতে পারবো না।
তখনি বাকি তিন জন একসাথে বলে উঠল "এমন ভাবে বলতাসে মনে হয় আমরা কতগুলো বিয়ে করছি ঢং"
-এই হইছে এবার সবাই ঘরে যা।

সবাই ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে বসে।
-সবাই খাওয়া শেষ করে তৈরি হয়ে নাও আমি তোমাদের গ্রাম টা ঘুরে দেখাবো।
- সত্যি দাদুভাই!

-না কোথাও যাওয়া লাগবে না এখন। সারারাত কম দখল যায় নি এখন সবাই ঘুমাবে। বিকেলে সবাই স্বপ্ননীড় থেকে ঘুরে আসবো।(ফয়জুন্নেছা )

-স্বপ্ননীড়ের কথা শুনে সবাই দাদিজানের দিকে তাকায়

- শেরজাদ খাওয়া শেষে আমার রুমে আসিস তোর সাথে কথা আছে
ফয়জুন্নেছা বেগম নিজের ঘরে শুয়ে আছে। শেরজাদ এসে দাদিজানের পাশে বসে দাদিজান উঠে বসে।

-দাদিজান তুমি তো সব জানো তবু ও স্বপ্ননীড়ে যাওয়ার কথা কেন বলছো। আমি আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটিকে হারিয়েছি। আমি আর কাউকে হারাতে পারবো না।এই একটা কারনেই ৮ বছর আমরা গ্রামে আসি নি। আমার মাকে হারিয়েছি স্নিগ্ধুকে হারাতে হারাতে ফিরে পেয়েছি। আমি আর স্নিগ্ধুকে হারাতে পারবো না।

-কিন্তু মেহু কে তো সব জানতে হবে সব মনে করতে হবে।ওই দিন তোর মায়ের সাথে শুধু মেহুই ছিল মেহুই একমাত্র সাক্ষী ঐ দিন কী হয়েছে কে মেরেছে প্রিয়তাকে তা শুধু মেহুই জানে।তাই তো ওকে নিয়ে স্বপ্ননীড়ে যাওয়ার কথা বলেছি।

-কিন্তু দাদিজান যারা মাকে মেরেছে তারা যদি বুঝে যায় স্নিগ্ধু এখানে এসেছে।আর তারা যদি স্নিগ্ধুর কোনো ক্ষতি করে দেয় আর আম্মুকে যারা মেরেছে আমি যদি ভুল না হই তাদের কেউ না কেউ এই বাড়ির কোনো সদস্য।না হয় বাইরের কেউ বাড়িতে ঢুকে মা কে মারার দুঃসাহস কেউ দেখতো না তাই আমার মতে স্নিগ্ধুর এখন কোথাও না গেলেই ভালো হয়।

-কিন্তু খুনিকে না ধরলে যে মেহরোজ বিপদ থেকেই যাবে আর খুনিকে শুধু মেহুই চিনে তাই সে বাড়িতে গেলে ওর কিছু মনে পড়ে । ওর নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি কাউকে বলিনি তোরা যে আসবি তোর ফুফিকেও বলিনি

-আচ্ছা ঠিক আছে স্নিগ্ধু স্বপ্ননীড়ে যাবে তবে এটা যেন বাহিরের কেউ না জানে
-কেউ জানবে না আর তুই থাকতে আমার কোনো চিন্তা নাই।
-হুম কিন্তু আমি চাই ও নিজেই নিজেকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করতে শিখুক বাস্তবতা বুঝতে শিখুক যাতে আমার অনুপস্থিতিতে স্নিগ্ধু নিজেই ওই জানোয়ার দের তাদের পাপের সাজা‌

সবাই দুপুরের খাবার এর পরপরই তৈরি হয়ে নেয়
স্বপ্ননীড়ের উদ্দেশ্যে

********
-আপি আপি
- হুম বল, কি হল?
-ঘুরতে যাবা?
-দেখি দেখি জ্বর ট্বর আসলো নাকি?মুখে কৃত্রিম আতঙ্কের ছাপ এঁকে বলে উঠে আফরা
-এভাবে বলতে পারলি? আমি তোকে ঘুরতে নিয়ে যাই না?
-শেষ কবে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলি?
-আচ্ছা sorry যা,, তৈরি হয়ে থাকিস বিকেলে ঘুরতে যাবো।
-Thanku ভাইয়া, এখন খেতে আয় তো দেখি।

(চলবে)
Kmn hoise janaben

05/11/2024

#স্বপ্ন_নীড়
#লেখিকা_Fatema_afroz_orrin

চারদিকে মৃদু বাতাস বইছে বাতাসের কোনায় কোনায় সতেজতায় ভরা । চারদিক উৎসবের আমেজে মেতে রয়েছে থাকবে নাই বা কেনো কতবছর পর সবাই একসাথে হবে ।কত বছর পর ফয়জুন্নেসা সবাইকে দেখবে এগুলা ভেবেই ওনার চোখ টলটল করছে।
- কতই না সুন্দর ছিল দিনগুলি যখন মেহরোজ, মেহরিন ,রাফেজ , উমামা , শেরজাদা , শেরশাহ , সবাই বাড়িতে হইহুল্লোড় করতো ছুটে বেড়াতো স্বপ্ননীড়ে। প্রানবন্তর করে রেখে ছিল বাড়ি টাকে।কত স্বপ্নই না এঁকে ছিল স্বপ্ন নীড়কে ঘিরে কিন্তু একটা ঝড় সব শেষ করে দেয় সব স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে রূপান্তর করেছে।
আচ্ছা আবার কিছু ঘটবে না তো না এবার শেরজাদ কারো কিছু হতে দিবে না সবাইকে রক্ষা করবে
*********
-এই তোদের এখনও হয় নাই এই দুটোর জ্বালায় আমি আর পারছিনা ।আদিবা কখন থেকে ডাকছেন কিন্তু এদের কি এরা দুজন তো এখন ও ঝগড়া করতে ব্যস্ত
- আম্মু আমি তো সেই কখনই তৈরি হয়ে বসে আছি তোমার মেয়ে এখন ও বসে বসে সাজতেছে শেরজাদের বকা খাওয়া পর্যন্ত তোমার মেয়ে আয়নার সামনে থেকে উঠবে না
-শেরজাদ ভাইয়াকে আবার এর ভিতর কেন আনলি ঐ রাক্ষস টাকে কি আমি ভয় পাই নাকি হুম । এই মেহরোজ কাউকে ভয় পায় না । আমি কোনো শেরজাদা টেরজাদাকে ভয় পাই না ।
ঠিক তখনই শেরজাদের এন্ট্রি হয়
- তাই তো আপনি শেরজাদা কে কেন ভয় পেতে যাবেন
- হুম ঠিক ই তো আমি ওই রাক্ষস টাকে কেনো ভয় পেতে যাবো wait পিছনে কে ভাইয়া তু তু তুমি কখন এলে
-ভাইয়া আসলে আআমি তো ও ভাবে বলতে চাইনি।
শেরজাদের তো সেই দিকে খেয়াল নাই যে মেহরোজ কি বলছে ও তো এক দৃষ্টিতে তার স্নিগ্ধবতী কে দেখতে ব্যস্ত
মুখে আহামরি সাজ নাই একটা কালো কু্র্তি চোখে একটু কাজল, ঠোঁটে n**e কালারের হালকা লিপস্টিক এতেই যেন মেহরোজ কে অসম্ভব মায়াবতী লাগছে।
- এই শেরজাদের আবার কী হলো ?
- যা হইছে ভালোই হইছে অন্তত আমাকে বকার কথা টা ভুলে যাক।
শেরজাদা ঘোর থেকে বেরিয়ে মুখে গম্ভীরযতা এনে বলে
- দেরি করার জন্যে এবং আমাকে রাক্ষস বলার শাস্তি হিসেবে ফ্রেন্ড দের সাথে যে ঘুরতে যাওয়ার plan করলি তা ক্যান্সেল
- না ভাইয়া আর রাক্ষস বলবো না প্লীজ তবু ও ক্যান্সেল করো না।
- আবার কথা বললে শাস্তি আরো বেড়ে যাবে।
- বাকি রইলো আর কি (মেহরোজ বিড়বিড় করে বললো)
আবার বিড়বিড় করে কি বলছ তাড়াতাড়ি আয়
শেরজাদা আদিবা বেগম কে ডাকতে লাগলো
- কাকিমা তাড়াতাড়ি আসো দেরি হয়ে যাচ্ছে তো কাকাই কোথায় ?
- এই তো আমরা আসছি তুই এদের দুটো কে নিয়ে যা।
-আচ্ছা তাড়াতাড়ি সবাই তৈরি হয়ে আসো
শেরজাদা , শের শাহ ,মেহরিন মেহরোজ ওরা চারজন এক গাড়িতে আর আদিবা মেহরোজের আব্বু মানে মাইনুদ্দিন এবং শাহজাহান সাহেব ওরা এক গাড়িতে করে রওনা দেয় অবশ্য রওনা দিতে দিতে সন্ধ্যা হয়ে যায় অনেক দিনের জন্য যাবে তাই অফিসের কাজ বুঝিয়ে দিয়ে তারপর বের হয়।
শেরজাদ গাড়ি ড্রাইভ করছে শের শাহ সামনে এবং মেহরিন আর মেহরোজ পিছনে বসেছে। এই এতক্ষণে মেহরোজ শেরজাদকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে।
- রাক্ষস টা আর যাই হোক দেখতে মাশাআল্লাহ।কালো রং টা যেন এই মানুষটির জন্যই তৈরি যদি ও চুল গুলো কিছু টা এলোমেলো হয়ে গেছে এতে যেন শেরজাদাকে আরো বেশি সুভ্র লাগছে। সচারাচর ওকে এলোমেলো ভাবে দেখা যায় না সবসময় পরিপাটি থাকে । মেহরোজ তো মাঝে মাঝে ভাবে একটা ছেলে এতটা পরিপাটি কিভাবে থাকে । মেহরোজ নিস্তব্ধ রাতের দিকে তাকিয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পরে । আজকে গাড়িটা যেনো একটু বেশি নিস্তব্ধ হয়তো কাজের প্রেসারে তবু ও হালকা পাতলা গান চলেছে এখন সবাই ঘুমে বেবোর। নিস্তব্ধ আকাশ টা যেন একটা যুবকের মস্তিষ্কের নিউরন নিয়ে খেলছে
- আচ্ছা আমি যা করছি ঠিক করছি তো আমার পরিবারের কোনো ক্ষতি হবে না তো ? আমি স্নিগ্ধুকে হারিয়ে ফেলব নাতো ?শেরজাদা লুকিং গ্লাস দিয়ে মেহরোজের দিকে তাকায় ঘুমিয়ে থাকা মেহরোজের চুলগুলো এলোমেলো হয়ে কপালে পড়ে আছে হাত পা গুটিয়ে যেভাবে ঘুমচ্ছে মনে হবে যেন একটা বাচ্চা মেয়ে ঘুমাচ্ছে
- আম্মু যে আমাকে সদ্য ফোঁটা একটা ফুলের দায়িত্ব দিয়েছেন তাকে রক্ষা করতে যদি আমাকে কাঁটা হতে হয় আমি তা হতে ও রাজি
( চলবে )
Life er first golpo onk voye voye likhsi jodi keu response na kre
Jni na kmn hoise golpo ta

জীবনে চলার পথে নানা সময় নানা মানুষের সাথে হয়তো কথা কাটাকাটি-রেষারেষি হতেই পারে। তবে সেটা শুরুতেই মিটিয়ে নিতে হবে। নইলে এ...
18/06/2024

জীবনে চলার পথে নানা সময় নানা মানুষের সাথে হয়তো কথা কাটাকাটি-রেষারেষি হতেই পারে। তবে সেটা শুরুতেই মিটিয়ে নিতে হবে। নইলে এভাবে চলতে থাকলে এক সময় বড় রকমের সেক্রিফাইস করেও সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারবেন না।

- ব্যাস,এইটুকু পেয়ে যে খুশি হয়,তাকে আগলে রাখুন!🥰😊🤍
18/06/2024

- ব্যাস,এইটুকু পেয়ে যে খুশি হয়,তাকে আগলে রাখুন!🥰😊🤍

কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে শিশির ভেজা ঘাসেপা ভেজাতে চাই তোমার সাথে কপি টা না হয় থাকবে একটু দূরে তুমি না হয় একটা কদম ফুল এনে দিবে...
17/06/2024

কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে শিশির ভেজা ঘাসে
পা ভেজাতে চাই তোমার সাথে
কপি টা না হয় থাকবে একটু দূরে
তুমি না হয় একটা কদম ফুল এনে দিবে আমার গায়ে ছড়িয়ে
আমি না হয় তোমার ভেজা চুল দিব আলত হাতে ছুয়ে
iss evabe jdi suru hto amdr protita sh*ter Sokal 🙂

Address

Noakhali Sadar Upazila

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Fatema Afroz Orin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share