𝐑𝐚𝐦𝐢𝐬𝐚-রামিসা

Home
Bangladesh
Noakhali Sadar Upazila
𝐑𝐚𝐦𝐢𝐬𝐚-রামিসা

Assalamu alaikum everyone
Wellcome to my page..

পাঁজর সাহেব 15 may 2025 😅

28/07/2025

: আম্মু যখন মেহমানদের সাথে দেখা করে আসতে বলে 😩🤧
video

28/07/2025

গল্পের জন্য কি কেউ অপেক্ষা করে?
Adeline

27/07/2025

assalamu alaikum

22/07/2025

Aha friendship😅🙂

19/07/2025

#শেষের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না 🐸🤧
゚viralシviralシfypシ゚viralシalシ

19/07/2025

#বাংলা_অনুবাদ:Ramisa
#অধ্যায়_১৬

এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমি কী বলতে পারি তা নিয়ে আমার মাথায় লক্ষ লক্ষ চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। আমি দুঃখিত, স্পষ্টতই যথেষ্ট ছিল না।

"তুমি আমাকে গুলি করবে?"

আমার মূত্রাশয় বিস্ফোরিত হওয়ার আশঙ্কা করছে, এবং আমি প্রস্রাবের গর্তে মারা যেতে পারি এই জ্ঞান আমার চোখে জল এনে দিচ্ছে।

"আমি আগেই বলেছি আমি তোমাকে মারব না," সে উত্তর দেয়, তার স্বর অধৈর্য্যতায় ভরা। সে আমার স্তনের উপত্যকা দিয়ে বন্দুকের ডগা টেনে নামিয়ে তার প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট করে। বন্দুকটি আমার পেটের নীচে দিয়ে তার পথ ধরে চলতে থাকে, আমার লেগিংসের ধারে থেমে যায়।

"এগুলো খুলে ফেলো।"

আমার ঠোঁট কাঁপছে এবং একটি অশ্রু আমার মস্তক বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে।

"দয়া করে, এটা করো না।"

সে ভ্রু কুঁচকে, এবং কাজটি ভয়াবহ। সে আমার অনুরোধে এতটাই অপ্রস্তুত দেখাচ্ছে যে, প্রথমটির পথ ধরে আরেকটি অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।

"এখন, অ্যাডলিন।"

শুঁকতে, অবশেষে আমি শুনি। আমার বুড়ো আঙুলগুলো আমার লেগিংসের ব্যান্ডে জড়িয়ে ধরে, আমি সেগুলো টেনে নামিয়ে ফেলি। তার শরীর বাধা না আসা পর্যন্ত আমি কেবল মাঝ উরুর কাছে পৌঁছাতে পারি।

সে ইঙ্গিতটি বুঝতে পারে, উপরের দিকে তুলে বাকি পথ ধরে লেগিংগুলো ছিঁড়ে ফেলে।

আরও অশ্রুধারা।

"পরবর্তী টি-শার্ট," সে আদেশ দেয়, বন্দুকের ঝাঁকুনি দিয়ে তার আদেশের ইঙ্গিত দেয়। আমি উপরে তুলে শার্টটি আমার মাথার উপর দিয়ে স্লাইড করি, হাউমাউ করে শুয়ে পড়ি।

"খুব সুন্দর," সে বিড়বিড় করে বলে, তার চোখ আমার শরীরের বক্ররেখার উপর তাক করে। বাজে, ভাগ্যবান যে আমি আজ রাতে আমার কালো লেইস সেটটি পরেছি।

সেও এর যোগ্য নয়।

সে আবার আমার উপর ঝুঁকে পড়ে, তার মুখ আমার কাঁধে রেখে যাওয়া শেষ আঘাতটি চুম্বন করে।

"তুমি কি জানো এগুলোর অর্থ কী?" সে ফিসফিসিয়ে বলে, অন্য জায়গায় চুমু খায়। তার স্পর্শের নীচে আমি কাঁপছি, স্পর্শের বিন্দু থেকে বিদ্যুৎ বেরিয়ে আমার ত্বকে নাচছে।

আমি উত্তর দিই না, কিন্তু সে কিছু মনে করে না।

"তারা মানে আমি তোমাকে আমার বলে চিহ্নিত করেছি।"ওর জিভের ডগাটা বেরিয়ে আসছে, আমার মাংসের সাথে লেগে আছে যখন ও আমার স্তনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

“করো না—”

আমার অর্থহীন দাবি শেষ করার আগেই ওর দাঁতগুলো আমার বাম স্তনের ফোলা অংশে ছিদ্র করে। আমি হাঁপাতে থাকি, চোখ বন্ধ করে ফেলি, আর ও আমার ত্বকে আরেকটি চিহ্ন রেখে যায়।

ও সন্তুষ্ট হয়ে গেলে, ও মুখ দিয়ে আবার তার পথ তৈরি করে, আমার দুই স্তনে এবং পেটে বেশ কয়েকটি হিকি রেখে যায়। আর আমি শুধু এটা নিতে পারি। কারণ ওর হাতে থাকা বন্দুকটা আমাকে নমনীয় রাখছে—, যেমনটা ও পরিকল্পনা করেছিল।

যখন আমার শরীর ভালো থাকে এবং ওর দাঁত আর জিভ থেকে অপব্যবহার করা হয়, তখন ও উপরে তুলে জোর করে আমার উরু খুলে দেয়। আমি ওর উপর চাপ দিই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা আমাকেই কষ্ট দেয়। ও খুব শক্তিশালী।

ওর ইশারার আঙুলটা আমার থংয়ের ধারে কুঁচকে যায়, আমার উরুর সংযোগস্থল থেকে আস্তরণটা আমার মাঝখানের দিকে টেনে নেয়। আমার ক্লিটে পৌঁছানোর আগেই, সে কাপড়টা টেনে টেনে কাপড়ের উপর-নিচে তার আঙুল চালায়, আমার গুদ থেকে মাত্র এক ইঞ্চি দূরে।

আমি আমার মুখ ঢাকতে চাই কারণ আমি জানি সে আমার শরীরের বিশ্বাসঘাতকতা অনুভব করছে।

"এগুলো ভিজে গেছে," সে চিৎকার করে বলে, তার ঠোঁট এখনও তার লালা থেকে ভেজা।

"এটাকেই স্রাব বলে," আমি চট করে বলি, আশা করি আমার মিথ্যা তাকে বিরক্ত করবে। সে জবাবে হাসে।

"তোমাকে এটা বলতে আমার যতই ঘৃণা হোক না কেন, আমি কোনও মহিলার গুদ এবং যখন এটি আমার জন্য কাঁদে তখন কেমন লাগে তার সাথে অপরিচিত নই।"

আমি ঘৃণায় আমার ঠোঁট কুঁচকে ফেলি। "গতবার যখন আমি চেক করেছিলাম, বেশিরভাগ মেয়েরা কাঁদে কারণ তারা বিরক্ত। একটা ইঙ্গিত দাও।"

সে হাসে। "ছোট্ট ইঁদুর, আমি ঠিক এটাই করছি।" তারপর সে আমার ঠোঙাটি পাশে টেনে নেয়, আমার গুদ তার দিকে খুলে দেয়, এবং ভেতর থেকে উত্তেজনা জ্বলজ্বল করে। সে তার নিঃশ্বাসের নীচে একটা অভিশাপ দেয় যখন তার চোখ আমার প্রতিটি ইঞ্চি গ্রাস করে। আমার ঠোঁটের আরেক কাঁপুনি আমাকে বিশ্বাসঘাতক মাংস কামড়ে ধরতে বাধ্য করে।

আমার অন্তর্বাসে একটি আঙুল আটকে রেখে, সে অন্য আঙুল দিয়ে আমার মুখে বন্দুক তাক করে। আমি পিছনে সরে যাই, চোখ বন্ধ করে একটা চমকে উঠি।

"আরাম করো, আমি চাই তুমি এটা চুষে নাও।"

তার কথাগুলো প্রক্রিয়া করতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। প্রক্রিয়া করার জন্য সে ট্রিগারটি টানেনি, এবং আমি মারা যাইনি। যখন তারা করে, তখন আমার চোখ খুলে যায়, এবং আমি তার দিকে তাকাই।

"কেন ফাক—" সে বন্দুকের ডগা আমার মুখে ঠেলে দেয়, কার্যকরভাবে আমাকে কেটে দেয়। আমার বাকি কথাগুলো আমার ঠোঁটের উপর বন্দুকটি স্লাইড করার সাথে সাথে বিলুপ্ত হয়ে যায়, যেন সে লিপস্টিক দিয়ে সেগুলো আঁকছে।

"চুষো," সে আদেশ দেয়, তার স্বর চূড়ান্তভাবে গভীর হয়ে ওঠে। আরও অশ্রুতে চোখ বন্ধ করে, আমি আমার মুখ খুলি এবং তাকে আমার দাঁতের মধ্যে বন্দুকটি পরিচালনা করতে দেই। আমি ঠান্ডা ধাতুর উপর আমার জিভ ঘোরানোর সাথে সাথে আমার ঢাকনাগুলি আরও শক্ত করে চেপে ধরি, বাজে স্বাদে কাঁপতে থাকি।"এত ভালো মেয়ে," সে বলে, ফোঁটা ফোঁটা বন্দুকটা বের করে, লালার একটা ধারা ছিঁড়ে না যাওয়া পর্যন্ত।

ঠান্ডা ধাতব আঁচড় আমার ক্লিটোরিসের উপর পড়লে আমার পুরো শরীর আটকে যায়। একটা অবিশ্বাস্যরকম বিপজ্জনক অস্ত্রের বাইরের স্পর্শে আমি থমকে যাই।

বিশুদ্ধ আতঙ্ক আমাকে গ্রাস করে, আর কান্না থেকে বাঁচতে আমার সমস্ত শক্তি লাগে। মাথায় বন্দুক ধরে রাখা আমার পায়ের মাঝখানে ধরে রাখার চেয়ে অনেক কম ভয়ঙ্কর। মাথায় গুলি লাগা তাৎক্ষণিক মৃত্যু, কিন্তু এটা? এটা ধীর এবং বেদনাদায়ক হবে। যন্ত্রণাদায়ক।

সে ঝুঁকে পড়ে, তার গরম নিঃশ্বাস আমার কোর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার জন্য যথেষ্ট কাছে। আমি আরও ভালোভাবে দেখার জন্য উপরে উঠি ঠিক যখন সে লম্বা, ঘন দোররা দিয়ে আমার দিকে তাকায়, তার অমিল চোখ আনন্দে জ্বলজ্বল করে। যখন আমি মুখ খুলি জিজ্ঞাসা করার জন্য যে সে কী করছে, সে তার জিভ বের করে, লালা ডগা পর্যন্ত জমা হয়ে আমার গুদে পড়ে।

"কখনও খুব বেশি ভেজা হতে পারো না, তুমি কি পারবে না, ছোট্ট ইঁদুর?"

উঠে বসে, সে বন্দুকের ডগা দিয়ে আমার প্রবেশপথে ঘুরছে, ধাতুটি আমার ত্বকের সাথে লেগে আছে।

"হে ঈশ্বর, দয়া করে করো" এবার, আমার ভাঁজের উপর দিয়ে বন্দুকটি ডুবিয়ে দেওয়ার অনুভূতি থেকে আমার কথা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শুধু ডগা, কিন্তু আমার গলা বন্ধ করার জন্য যথেষ্ট, কেবল একটি চমকপ্রদ চিৎকার বেরিয়ে আসতে পারে।

সে নিষ্ঠুরভাবে হেসে ওঠে। "তুমি এমনকি ইঁদুরের মতো শব্দ করছো।"

আমি যদি হিমায়িত না হতাম তবে আমি তাকে ঝাঁপিয়ে পড়তাম। আমি দূরে তাকাতে পারছি না। আমি কেবল দেখছি সে আমার ভিতরে বন্দুকটি ঠেলে দিচ্ছে, আমার গোলাকার চোখগুলি আমি যা দেখছি তা খুব কমই প্রক্রিয়া করছে। আমি কী অনুভব করছি।

ধীরে ধীরে, সে আমার ভিতরে বন্দুকটি চালাচ্ছে, আনন্দ এবং ব্যথা উভয়ই বের করছে। আমি আমার চোয়াল চেপে ধরছি, তার পরিচর্যা থেকে কাঁপছি কিন্তু শব্দ করতে অস্বীকার করছি। আমি তাকে সেই তৃপ্তি দেব না।

সে অস্ত্রটি অর্ধেক করে ব্যবহার করছে আগে বন্দুকটি একেবারে ডগায় ফিরে যায়। সে আমার ভিতরে পুরো ব্যারেলটি পুঁতে ফেলার আগে আমাকে এক মুহূর্ত নিঃশ্বাস নিতে হবে। আমি একটা তীব্র নিঃশ্বাস ফেলি এবং মাথাটা পিছনের দিকে হেলে পড়ি, আর দেখার শক্তি নেই।

এটা তো, এতটাই খারাপ। আরও খারাপ।

কিন্তু যখন বন্দুকটা বের করে আবার ভেতরে ঢুকে পড়ে, তখন একটা শব্দ ভেসে আসে আনন্দের ঢেউ আমার ভেতর দিয়ে।

"ভালো মেয়ে," সে নিঃশ্বাস নেয়। "আরও চওড়া করে খুলো, সোনা।" আমার ঠোঙাটা পাশে ধরে থাকা হাতটা আমার উরুর সাথে ধাক্কা খায়। চিন্তা না করেই, আমার উরুগুলো সহজাতভাবে আরও আলাদা হয়ে যায়।

আরেকটি প্রশংসা, কিন্তু আমার হৃদস্পন্দনের কারণে আমি তা খুব একটা শুনতে পাই না।

"আমি অনুভব করতে পারি তোমার গুদ কতটা শক্ত। আমি যখন এটিকে এত সুন্দর করে বের করি তখন এটি আমার বন্দুকের উপর যেভাবে আঁকড়ে ধরে।"

আমি আমার ঠোঁট কামড়াই, কিন্তু পরবর্তী আর্তনাদ ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। অথবা তার পরের। আমি তার বন্দুক দিয়ে আমাকে চোষার সময় চুষতে এবং ঝাঁকুনির শব্দ শুনতে পাচ্ছি, এবংজবাবে লজ্জা আমাকে ভর করে।

লজ্জা ভয়কে প্রায় ছাপিয়ে যায়। কিন্তু দুটোর কোনটাই আমার শরীরকে যে আনন্দের কাছে হার মানতে বাধ্য করা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী নয়।

যখন সে একটি নির্দিষ্ট উপায়ে বন্দুকের দিকে তাকাল, তখন সে আমার ভেতরে এমন একটি স্থানে আঘাত করে যা আমার চোখ আমার মাথার পিছনের দিকে ঠেলে দেয় এবং একটি অবাধ আর্তনাদ মুক্ত হতে থাকে।

সে জবাবে গর্জন করে, আমার পিঠ সেই স্থানে আঘাত করতে করতে বাঁকতে থাকে। আমার থং অসম্ভব শক্ত হয়ে ওঠে, আমার শরীর থেকে ছিঁড়ে যাওয়ার আগে আমার মাংসে কামড় দেয়, শব্দ অন্য একটি কান্নায় হারিয়ে যায়।

ছিঁড়ে যাওয়া কাপড়টি একপাশে ফেলে দেওয়া হয়, তার হাত আমার উরুকে এক ক্ষতস্থানে ধরে রাখার জন্য মুক্ত করে।

যখন সে ঝুঁকে পড়ে তখন আমার হৃদয় লাফিয়ে ওঠে, কিন্তু সে কেবল আমার ভেতরের উরুতে দাঁত চেপে ধরে। আমি তীক্ষ্ণ কামড়ের জন্য চিৎকার করি, কিন্তু যখন সে আবার সেই স্থানে আঘাত করে তখন তা দ্রুত আনন্দে রূপান্তরিত হয়।

তার মুখ চুষে খায় এবং তার নড়াচড়া দ্রুত হয় যতক্ষণ না আমি অনুভব করি যে আমার পেটের গর্তে একটি প্রচণ্ড উত্তেজনার সূচনা স্থির হয়ে গেছে।

"দয়া করে," আমি অনুরোধ করছি, কিন্তু আমি জানি না কেন। সে আবার চেপে ধরার জন্য তার মুখ ছিঁড়ে ফেলে, এবার নিচু করে, কিন্তু এখনও আমার কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে।

অনেক দূরে।

"আমাকে বলো, অ্যাডলিন," সে আমার দিকে তাকিয়ে দাবি করে, তার কামড়ে মুখ ভিজে গেছে। এই দৃশ্য দেখে আমার হৃদয় আমার পেটের গভীরে, ঠিক যেখানে বন্দুকটি আমার দিকে ছুটে যাচ্ছে।

"তোমার গাল কামড়াতে হবে না?" আমার মনে হয়, আমার কণ্ঠস্বর কাঁপছে।

সে আমার উরুতে দমন করে উত্তর দেয়। আমি চিৎকার করি, ব্যথা অন্ধ করে দিচ্ছে। সে তার চোয়াল আলগা করে, ব্যথাকে আনন্দে পরিণত হতে দেয়। বন্দুকটি গভীরভাবে ঠেলে দেওয়ার সাথে সাথে একটি প্রাথমিক শব্দ বেরিয়ে আসে।

"তুমি কি আমাকে আবার জিজ্ঞাসা করতে বলছো?"

আমি মুখ খুলি, কিন্তু কোন উত্তর বের হয় না। আমার নীরবতা আমাকে জোরে এবং স্পষ্টভাবে তার সতর্কবাণী শুনতে দেয়। সে বন্দুকটি চাপ দেয়।

"ঠিক আছে, ঠিক আছে, চোদো," আমি ভীত নীরবতায় স্থির থাকি। "আমি-আমি শিখেছি যে অন্য কাউকে আমাকে স্পর্শ করতে দেওয়া উচিত নয়।"

এই কথাগুলো আমার চোখে জল এনে দেয়। কারণ জোরে জোরে কথাগুলো বলার ফলে আমি ভালো বোধ করি এবং সত্যিই এই লোকটির ফাঁদে আটকে যাই।

"কে তোমাকে স্পর্শ করার অনুমতি দিয়েছে, অ্যাডলিন?"

আমি চোখ বন্ধ করি, আমার মুখ থেকে যে মিথ্যা কথা বের হতে চলেছে, ঠিক যেমন আমার চোখ থেকে অশ্রু ঝরে পড়ে।

"তুমি," আমি ফিসফিস করি, কথাগুলোর তিক্ত স্বাদ আমার গলা আটকে দিচ্ছে। আমার শরীরে যুদ্ধক্ষেত্রের আগুন জ্বলছে। যে পক্ষ চায় সে আমাকে আসতে বাধ্য করুক, আর অন্য পক্ষ চায় যে সে নিজের উপর বন্দুক ঠেলে গুলি করুক।

আমি তার দিকে তাকাই এবং লক্ষ্য করি সে কীভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এবং আমি ভয়াবহ উপলব্ধি করি যে সে আমার মিথ্যা বিশ্বাস করে না।তোমার আসতে আরও দশ সেকেন্ড বাকি আছে, ছোট্ট ইঁদুর। "এর পরে আর কিছু নয়," সে আবার আমার উরুতে কামড় দেওয়ার আগে সতর্ক করে। "তোমার ক্লিট ঘষে দাও, সোনা।"

আমি দ্বিধাগ্রস্ত। আমি শেষ যা করতে চাই তা হল এই লোকটিকে আমাকে আসতে বাধ্য করার তৃপ্তি দেওয়া, এবং আরও খারাপ, তাকে এটি করতে সাহায্য করা।

সে এটার যোগ্য নয়। যদিও আমার শরীর এর জন্য হতাশায় আবদ্ধ, আমার মস্তিষ্ক এই চিন্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে।

"এখন," সে গর্জন করে, তার চোখ কিছু শারীরিক এবং বিপজ্জনক জিনিসে জ্বলছে।

অভিশাপ দিতে দিতে, আমি নীচে নেমে আমার ক্লিটের উপর আঙ্গুল ঘোরাই, পরিণতির ভয়ে। যদি এটি অর্গাজম এবং গুলি খাওয়ার মধ্যে হয়, তবে আমাকে এমন বিকল্পটি বেছে নিতে হবে যা সবচেয়ে কম ক্ষতি করবে।

"ভালো মেয়ে," সে ফিসফিস করে বলে। আমি ধারে যাওয়ার আগে বন্দুকের আরও দুটি গুলি লাগে, অর্গাজম আমার মধ্যে ছিঁড়ে যাওয়ার সাথে সাথে আমার পাছা মাটি থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়।

আমি চিৎকার করছি। আমি আমার গলার পেশীগুলিকে কম্পিত শব্দ অনুভব করতে পারছি। এবং আমি এটা কতটা কর্কশ হয়ে উঠছে তা আমি অনুভব করতে পারছি। কিন্তু আমি এটা শুনতে পাচ্ছি না। যখন আমার পুরো অস্তিত্ব আগুন এবং বরফে ভস্মীভূত হয়ে যাচ্ছে, এবং আমি কেবল স্বর্গ দেখতে পাচ্ছি।

বন্দুকটি আমার ভেতরে দ্রুত এবং গভীরভাবে কাজ করে, প্রচণ্ড উত্তেজনা টেনে বের করে আনে যতক্ষণ না আমি আক্ষরিক অর্থেই এটি বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করি।

সে আমার থেকে বন্দুকটি ছিঁড়ে ফেলে, এবং আমার উরুগুলি তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় কারণ শেষ প্রচণ্ড উত্তেজনাটি মারা যায়।

আফটারশক থেকে আমার কাঁপুনি জগাখিচুড়ি পড়ে যায়, যখন সে দাঁড়িয়ে থাকে, তার শরীর আমার উপর উঁচু।

আমি অর্ধ-ঢাকনাযুক্ত চোখ দিয়ে উপরের দিকে তাকাই, ছোট ছোট ধাক্কায় এখনও ঝাঁকুনি খাচ্ছি, যখন সে বন্দুকটি তুলে ব্যারেলটি গিলে ফেলে। যখন আমি তাকে অস্ত্রটি পরিষ্কার করে চাটতে দেখি, এবং তারপর তার জিন্সের পিছনে এটি আটকে রাখি তখন এটি শরীরের বাইরের অভিজ্ঞতার মতো অনুভূত হয়।

আমার শরীর রাগ, অপমান এবং লজ্জায় পূর্ণ - আমি এটি জানি। কিন্তু মনে হচ্ছে আমার মস্তিষ্ক সেই আবেগগুলি প্রক্রিয়া করতে পারে না, তাই এটি কেবল কিছুই অনুভব করতে পছন্দ করছে না।

ট্রমা কি এটি করে? জানা তোমার উপর নির্যাতন করা হয়েছে কিন্তু তোমার শরীর কি অসাড় হয়ে যেতে চায়?

একটা জাদুর কৌশলের মতো, তার হাত আবার দেখা যায়, তার পিছনের পকেটে থাকা একটি গোলাপ। পাপড়িগুলো ভেঙে গেছে, সম্ভবত আমাদের লড়াইয়ের ফলে, কিন্তু সে তাতে কিছু মনে করে না। সে তার হাতে থাকা গোলাপটি ঘুরিয়ে আমার উপর ছুঁড়ে দেয়, ফুলটি আমার পেটে উড়ে যায়।

শেষবারের মতো তাকিয়ে সে ঘুরে দাঁড়ায় এবং কোন কথা না বলে চলে যায়।

এবং অবশেষে, আমার শরীরে আবেগের আছড়ে পড়ার সাথে সাথে আমার চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে।পরের তিন রাত আমার জানালার বাইরে আমার ছায়া দাঁড়িয়ে ছিল। আমার দিকে তাকিয়ে ছিল, রাতে সে যখন সিগারেট টানছিল তখন একটা লাল চেরি ফুলে উঠছিল। আমি তাকে যা বলতে চেয়েছিলাম তা হল সে যে ধূমপান করে তা কতটা জঘন্য।

কিন্তু আমার উরুর মাঝখানের তাপ তার চেহারা পছন্দ করে। আমার মনে হয় আমার যোনিপথের মানুষটি হয়তো সিগারেটের প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিল। স্পষ্টতই, এতে জড় বস্তুর প্রতি একটা আকর্ষণ আছে।

আর সেই স্মৃতি আমাকে রাজকীয়ভাবে বিরক্ত করেছিল। রান্নাঘরে গিয়ে এক কাপ ওয়াইন ঢেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ওয়াইন কিছুক্ষণের জন্য সবকিছু সেরে ফেলে।

রাগ।

মানসিক আঘাত।

কিন্তু এখন, এক গ্লাস ওয়াইন না থাকায়, রাগের কারণে আমার হাত কাঁপছে, মনে করিয়ে দিতে যে সে আমাকে মেঝেতে ফেলে রেখেছিল, ফেলে দেওয়া আবর্জনার মতো গোলাপ ছুঁড়ে মেরে চলে গিয়েছিল। সেই মুহূর্ত পর্যন্ত আমি মানুষ হিসেবে এতটা অবমানিত বোধ করিনি। আর কখনও এত অপমানিত হইনি।

তারপর থেকে সে আমাকে মেসেজ করেনি। আমার কাছে এসে আমার মুখে আর কোনও বন্দুক নাড়ানোর চেষ্টা করেনি। সে শুধু জানালার বাইরে দাঁড়িয়ে রইল।

আর আমি পিছনে তাকালাম।

এটা আমাদের একটা খারাপ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

সে দিনের বেলায় আসে না, আর যতক্ষণ না আমি পুরুষদের আমার উপর হাত রেখে আমার প্যান্টের নিচে হাত রাখতে দেই, ততক্ষণ সে আমাকে আর কোনও হুমকিমূলক বার্তা পাঠায় না।আমি দয়াকে আমাদের সংঘর্ষের কথা বলি না, বিশেষ করে সেই রাতটা কীভাবে শেষ হয়েছিল সে সম্পর্কেও বলি না। যদি আমার ছায়া আমাকে প্রথমে হত্যা না করে, তাহলে দয়া অবশ্যই করবে।

আমি অবিশ্বাস্যরকম বোকা ছিলাম। এমন একটা সত্য যা আমি কখনও অস্বীকার করার চেষ্টা করিনি। বিশেষ করে এখন।

আমার কাছ থেকে সে যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। আমি এমন ভান করতে চাই যেন একজন ভয়ঙ্কর মানুষের মুখোমুখি হওয়া আমার মতোই, কিন্তু এটা ঠিক বিপরীত। যদি আমাকে একজন সম্পূর্ণ অপরিচিত ব্যক্তিকে প্রশ্ন করতে হয়, তাহলে আমি নিজেকে আতঙ্কিত করে ফেলি।

তাহলে কেন প্রতিবার সে যখনই আসে, আমি পাগলের মতো হয়ে যাই?

“তুমি কেন টার্টলনেক পরে আছো?” দয়া অবজ্ঞার সাথে জিজ্ঞেস করে, তার সালাদ মুখে ঢেলে। আমরা ফিওনার দোকানে খাবারের জন্য দেখা করেছিলাম।

আমার ঘর থেকে বেরোতে হয়েছিল। মরিয়া হয়ে। ছোট ছোট জিনিসগুলো আমাকে সেই রাতের কথা মনে করিয়ে দিত। আর যতবার আমি আয়নার দিকে তাকাতাম, তার দাঁত আমার মনে ডুবে যাওয়ার স্মৃতিতে আমি অভিভূত হতাম। আর তার কিছুক্ষণ পরেই ধাতুর কামড়।

আমি গলা পরিষ্কার করি। "আমি নতুন কিছু চেষ্টা করছি," আমি বিড়বিড় করি। আমার শরীরের দাগ ঢেকে রাখার জন্য এটাই একমাত্র জিনিস ছিল। আমাকে অ্যামাজন প্রাইমের মাধ্যমে বিভিন্ন রঙে বেশ কয়েকটি অর্ডার করতে হয়েছিল, এগুলোর প্রয়োজন ছিল খুবই প্রবল।

আমি কখনোই দয়াকে সেই দাগগুলো দেখতে দিতে পারি না। আমার স্টকার আঙুলের আঘাতের যে নতুন অর্থ দিয়েছিল তা আমি কখনোই স্বীকার করতে পারি না।

সে তার কাঁধ ঝাঁকিয়ে তার সালাদের দিকে তাকায়। "কেবল তুমিই পারো টার্টলনেক, মায়ের জিন্স এবং বেল্টকে ফ্যাশনেবল দেখাতে।"

আমি আমার পোশাক দেখে ভ্রু কুঁচকে যাই, তার মূল্যায়নের সাথে একমত না হই। আমি এই পোশাকটি ঘৃণা করি, কিন্তু হয়তো আমি কেবল এটি যা উপস্থাপন করে তা ঘৃণা করি। আমার শরীরের ক্ষত ঢেকে রাখার জন্যই এমন কিছু তৈরি করা হয়েছে। এই পোশাকের নীচে বেগুনি হিকির একটি মানচিত্র রয়েছে।

"প্রেমিকা ছেলের কথা কী? তার সাথে আর কিছু ঘটবে?"

আমি আশা করি আমার ঘাড়ের উপর লালচে ভাবটা নীচেই থাকবে। যদি তা না হয়, তাহলে হয়তো আমি দোষারোপ করতে পারি সেই ধূর্ত টার্টলনেককে।

"গিগির কথা বলতে বেশি ভালো লাগে," আমি বলি, দয়া আর আমার মাঝখানে বসা মোজারেলা কাঠির দিকে তাকায়। আমার ইতিমধ্যেই চারটি হয়েছে এবং আমি শেষটা চাই। আমার তাকিয়ে থাকা অবস্থায়, দয়া চোখ ঘুরিয়ে হাত নাড়ে, আমাকে এটা নিতে অনুরোধ করে।

আমি মুখে একটা বিশাল হাসি নিয়ে তা করি।

"রোনালদোর সম্পর্কে কিছু খবর নেই।" ভ্রু দুটো উঁচু করে আমাকে বলতে অনুরোধ করে। "গত রাতে আমি ডায়েরিগুলো ঘাটাঘাটি করছিলাম যাতে দেখি তার শরীরে কী পাওয়া যায়। গিগি প্রায়ই তাকে সুন্দর স্যুট এবং সোনার আংটি পরা উল্লেখ করত, যা ইঙ্গিত করত যে সে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত। আর একটা লেখায় মনে হচ্ছিল সে লাফিয়ে পড়েছে। ক্ষতবিক্ষত এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ভেতরে এসেছিল কিন্তু এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইছিল না।

"তাহলে, আমার মনে হচ্ছে সে কোনও ধরণের অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। সে তার জীবন সম্পর্কে খুব গোপন ছিল এবং এক পর্যায়ে তাকে বলেছিল যে সে তার বিপজ্জনক জীবনযাত্রাকে তার উপর প্রভাব ফেলতে দেবে না।"

"তুমি কি মনে করো সে একজন মব বসের মতো?"

আমি মাথা নাড়ি। “না, আমার মনে হয় ওর বস একজন জনতার বস ছিল। মারধরের সময় গিগি যখন ওর কথা বলেছিল, তখন সে এমনভাবে কথা বলছিল যেন ওকে কোনও কিছুর জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে।সে তার কথা উদ্ধৃত করে বলেছিল, "এটা আমার প্রাপ্য ছিল না," এবং সে শুধু এটুকুই বলবে।

"গিগি বেশ কয়েকবার উল্লেখ করেছে যে সে তার সুস্থতার জন্য চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞাসা করে চলেছে। শেষ কথাটি সে তাকে বলেছিল যে তার একজন খুব কঠোর বস আছে, এবং সে তার সম্পর্কে জানতে পারে না।"

দয়া মাথা নাড়ে, তার ঋষি চোখে উত্তেজনার ঝলক। "আমি চল্লিশের দশকের অপরাধী পরিবারগুলিতে খোঁজ নেব। দেখি তার বর্ণনার সাথে মেলে এমন কাউকে খুঁজে পাই কিনা।"

আমি হাসি, একই আশার ঝলক অনুভব করি। দয়ার চোখ বড় হওয়ার আগে মোট পাঁচ সেকেন্ড ধরে উচ্চস্বরে থাকে, তার দৃষ্টি আমার পিছনে আটকে যায়।

আমার হৃদয় ভেঙে যায় এবং আমার ঘাড়ের পিছনের লোম উঠে যায়। আমার ছায়া এখন এখানে দেখা যাবে না, তাই না? দয়ার সামনে?

"হ্যালো, মহিলারা।"

দয়ার সাথে আমার চোখও বড় হয়ে যায়। তার দৃষ্টি আমার সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং দুই সেকেন্ডের মধ্যে লক্ষ লক্ষ কথা বলা হয়। আমাদের খুব সাবধান থাকা উচিত।

সে আমার পাশে বসে আছে, তার শরীর চেয়ারে ফিরে আরাম করছে এবং সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে একটা প্রশস্ত হাসি দিয়ে যা তার চোখ থেকে মাইল দূরে।

আমি গলা পরিষ্কার করে জোর করে একটা হাসি দিলাম। "হ্যালো, ম্যাক্স। আর্চের বন্ধু, তাই না?"

"একমাত্র," সে উত্তর দিল, তার পাথরের নীল দৃষ্টি আমার মুখের সাথে লেগে আছে। তার ঝলকানির তীব্রতায় আমার ঘাড়ে একটা লালচে ভাব অনুভব করছি।

"আমি তোমার জন্য কী করতে পারি?" আমি আমার দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত মার্গারিটাতে চুমুক দিয়ে আলিঙ্গন করে জিজ্ঞাসা করলাম। আমাকে শীঘ্রই ওয়েট্রেসকে থামাতে হবে কারণ কথোপকথন শেষ করার জন্য আমার আরও একজনের প্রয়োজন হবে, এবং পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আরও একজনের প্রয়োজন হবে।

আজ রাতে আমাকে একটি উবার ডাকতে হবে, আমি ইতিমধ্যেই তা অনুভব করছি।

সে টেবিলের উপর ঝুঁকে পড়ে, তার আঙ্গুলগুলি অতিক্রম করে আমার দিকে এমনভাবে তাকায় যেন সে সত্যিই কিছু সম্পর্কে কৌতূহলী। তার সম্পূর্ণ আচরণ প্রতিকূল।

“আমি চাই তুমি আমাকে বলো যখন আর্চ নিখোঁজ হয়েছিল ঠিক কী হয়েছিল।” তার ঠোঁট কুঁচকে একটা নিষ্ঠুর হাসিতে পরিণত হয়ে ওঠে, যখন সে বলে, “তোমার দরজা থেকে।”

আমি ভ্রু কুঁচকে বলি। “পুলিশের রিপোর্ট থেকে তুমি কি এটা ইতিমধ্যেই শুনতে পাওনি?”

সে চোখ সরু করে, তার ঠান্ডা মুখে সেই হাসি জমে আছে। “আমি তোমার কাছ থেকে এটা শুনতে চাই, মিসেস রেইলি।”

আমি আমার মুখ ফাঁকা রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করি, কিন্তু আমি নিশ্চিত নই যে আমি কতটা ভালো করছি। বলতে পারি না যে আমি একজন অপরাধীকে সামলাতে অভ্যস্ত। আসলে, তিন রাত আগে মোটামুটি প্রমাণিত হয়েছে যে আমি অপরাধীদের সামলাতে খুব খারাপ।

সে আমার শেষ নামটি বলেছিল যাতে আমি দেখতে পাই যে সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু এখন আমি এটাই অভ্যস্ত। ধাওয়া হচ্ছে।

“আমরা আমার জায়গায় ফিরে গিয়ে কিছু মজা করেছি,” আমি শুরু করি। আমি যখন বলি তখন ম্যাক্সের চোখে এক ঝলক ঝলমল করে ওঠে। “আমরা আসলে মজা করার মাঝখানে ছিলাম যখন,সে তখন হেসে ওঠে। “তুমি কি মনে করো আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ধরে নিয়েছিলো তুমি আর্চের কুত্তা? আর তুমি আমাদের কাজের সাথে জড়িত ছিলে?”

“হয়তো,” আমি চট করে বলি। “আমি না থাকলে কি তারা জানত?”

সে উত্তর দেয় না। সে শুধু তাকিয়ে থাকে, আমাকে ঠেলে বের করে দেয়। আর আমি পিছনে তাকিয়ে থাকি, তাকে আমার মুখে রাগ দেখতে দেই। হতাশা।

“কেন তুমি দয়াকে ওদের কবর দিতে বলেছিলে, অ্যাডি? পুলিশকে কেন বলবে না?”

আমি আমার বিকল্পগুলি বিবেচনা করি এবং সিদ্ধান্ত নিই যে আংশিক সত্য বলাই আমার সেরা বাজি। “কারণ এতে একটি নোট ছিল যা আমার জীবনের হুমকির মুখে ছিল, এবং যদি আমি তাদের ফোন করি তাহলে যে কোনও পুলিশ অফিসার জড়িত ছিল। ততক্ষণে আমাকে আর্চের... কাজ সম্পর্কে অবগত করা হয়েছিল এবং আমি শুনে আরও জড়িত না হওয়াই ভালো ভেবেছিলাম। যাইহোক, এমন কিছুতে যার সাথে আমার কোনও সম্পর্ক নেই।”

আবার, সে কেবল তাকিয়ে থাকে। আমার হৃদয় আমার বুক থেকে স্পন্দিত হচ্ছে, এবং ম্যাক্সের চোখের দিকে তাকিয়ে, আমি এখনও নিশ্চিত নই যে সে আমাকে নির্দোষ বলে বিশ্বাস করে।

আমার একটা অংশ তার কাছে স্বীকার করতে চাইছে যে আমাকে তাড়া করা হচ্ছে। যাই হোক, এই মুহূর্তে এতে কী পার্থক্য হবে? এখন যেহেতু ম্যাক্স আর্চের হাত খুঁজে পেয়েছে, তাই এটা গোপন রাখার কোনও কারণ নেই।

কিন্তু আছে।

যদি ম্যাক্স জানতে পারে যে আমার একজন স্টকার আছে—যে স্পষ্টতই হিংস্র এবং বিপজ্জনক—সে হয়তো আমাকে ব্যবহার করে তাকে টেনে বের করে তার প্রতিশোধ নিতে পারবে।

আমি জামানত হব। আর আমি নিশ্চিত নই যে আমি বেঁচে ফিরতে পারব।

অন্তত এইভাবে, যদি ম্যাক্স মনে করে যে আমি কেবল কোনও এলোমেলো মেয়ে যে গ্যাং কার্যকলাপের ফাঁদে পড়েছি, তাহলে সে আমাকে একা ছেড়ে দেবে।

ম্যাক্স আবার গুনগুন করে দাঁড়িয়ে থাকে, তার স্যুট জ্যাকেট সোজা করে এবং পুনরায় বোতাম লাগায়। স্যুট থেকে ক্লাস এবং টাকা ঝরে পড়ে, এবং কিছু একটা আমাকে বলে যে ম্যাক্স তালাভেরার লেনদেনের দায়িত্ব নিয়েছে।

শহরে একজন নতুন অপরাধী এসেছে, এবং সে রেগে আছে। আমার উপরও, কম নয়।

"তোমাদের বাকি রাতের খাবার উপভোগ করো, ভদ্রমহিলারা।"

সে চলে গেল, তার সব খারাপ জুজু সাথে করে নিয়ে গেল। সে চলে যাওয়ার পর বাতাস তাৎক্ষণিকভাবে হালকা লাগছে, কিন্তু সে এখনও আমার মুখে ছাইয়ের স্বাদ রেখে যেতে পেরেছে।

"এগুলো সমস্যা হবে," দয়া আস্তে আস্তে বলল।

আমি মাথা নাড়িয়ে ওয়েট্রেসকে থামিয়ে দিলাম। "এগুলো ফাকিং লিস্টে যোগ করো।"১৫ই এপ্রিল, ১৯৪৫

আজ সন্ধ্যাটা ছিল ভয়াবহ। জন খুব বেশি মদ্যপান করত, আর যখন সে মদ্যপান করত, তখন সে খারাপ হয়ে যেত।

ফ্র্যাঙ্ককে তাকে ঘরে বয়ে নিয়ে যেতে হয়েছিল এবং কিমকে বিছানায় শুইয়ে দিতে হয়েছিল। আমি এত রেগে গিয়েছিলাম যে তার পোশাক খুলতেও সাহায্য করতে পারিনি।

অবশেষে, বাঁধ ভেঙে গেল এবং সে আমার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনল। ফ্র্যাঙ্ক সেখানে ছিল এবং আমার দিকে এমনভাবে তাকাল যেন আমি তার কুকুরটিকে মেরে ফেলেছি। ফ্র্যাঙ্কের কর্মচারীদের সামনেই এটি ঘটেছিল।

এটা খুবই দুঃখজনক ছিল। কিন্তু আমার প্রাপ্য কিছুই ছিল না। আমি অবশ্যই তার দাবি অস্বীকার করেছিলাম, তাকে শান্ত করার জন্য আরও চিন্তিত ছিলাম।

ফ্র্যাঙ্ক জনকে বিছানায় শুইয়ে দেওয়ার পর, সে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে এটা সত্য কিনা।

আমি না বলেছিলাম, কিন্তু আমার মনে হয় না সে আমার কথা বিশ্বাস করেছে।

তারপর সে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। এবং আমি নিশ্চিত নই যে আমি কী বলে তাকে এতটা বিরক্ত করেছি।

#চলবে

18/07/2025

নিজেকে সাপ মনে হয়🐸🤧
゚viralシviralシfypシ゚viralシalシ

16/07/2025

Love🎀☺️
゚viralシviralシfypシ゚viralシalシ

16/07/2025

Adeline
#বাংলা_অনুবাদ :Ramisa
#অধ্যায়-১৫

ওর দৃষ্টিতে আমি সম্পূর্ণ অচল। ওর চেহারাটা কল্পনা করতে পারছি না

আমার মুখটা যখন দেখি ও আমার জন্য অপেক্ষা করছে।

আমার বিছানার পেছনের স্কোনসগুলো জ্বলছে, হালকা আলো দিচ্ছে। ওর মুখটা স্পষ্ট দেখতে পাওয়ার জন্য যথেষ্ট। ওর পরনে সম্পূর্ণ কালো। চামড়ার বুট, চওড়া উরুতে শক্ত করে জড়ানো জিন্স, আর একটা ম্যাচিং হুডি যা ওর মুখের সাথে খুব ছোট দেখাচ্ছে।

তবুও, আমি ওর মুখের খুব একটা দেখাচ্ছি না—ওই জঘন্য হুডি।

আমার জিভ বেরিয়ে আসে, আমার শুকনো ঠোঁট ভিজে যায়।

"তোমার হুড খুলে ফেলো," আমি বলি, আমার কণ্ঠে একটা হালকা কাঁপুনি। সে বলে না। কথাও বলে না।

ভয়ের আড়ালে রাগ তৈরি হতে থাকে।

"তুমি চেয়েছিলে আমি তোমাকে খুঁজে বের করি, বিড়ালছানা। আমি বলেছিলাম। তাই তোমার হুড খুলে ফেলো এবং আমাকে তোমার মুখ দেখাও," আমি অনুরোধ করি, আমার কণ্ঠস্বর আমার রাগের সাথে সাথে উঠে আসে।

তার নতুন ডাকনাম শুনে তার ঠোঁটে একটা পাপপূর্ণ হাসি এসে পড়ে। সে মনে করে এটা ইঁদুর-বিড়ালের খেলা। যদি সে আমাকে একটা ডাকনাম দিয়ে হেয় করতে চায়, তাহলে তার প্রতিদান দেওয়াই উচিত।

ধীরে ধীরে সে মাথা থেকে ফণা সরিয়ে ফেলে, ছুরিটা যেন আমাকে উপহাস করার জন্য জ্বলজ্বল করছে। আমার নিজের ছুরিও আছে।

আমার ছোট্ট আঘাতের উপর আমি যে কোনও জয় অনুভব করেছি তা গরম কড়াইয়ে মাখনের মতো উধাও হয়ে গেছে।

আর আমি যে সমস্ত ভয় অনুভব করছিলাম তা তিনগুণ বেশি। তার মুখ... আমি যা দেখেছি তার থেকে আলাদা। কিন্তু এটাই আসল কথা—আমি তাকে আগে দেখেছি। অমিল চোখগুলো তাকে দূরে ঠেলে দেয়।

বইয়ের দোকানে, আমি তার মুখের কিছু অংশই দেখেছি। সেই সময়, তাকে হালকা আকর্ষণীয় মনে হচ্ছিল। কিন্তু এখন যখন আমি সেই টুকরোগুলো সম্পূর্ণরূপে দেখতে পাচ্ছি, তখন সে ধ্বংসাত্মক।

তার ডান চোখ মধ্যরাতের আকাশের চেয়েও কালো, এবং অন্যটি ঠিক বিপরীত। তার বাম চোখ এতটাই রঙিন, প্রায় সাদা। কপালের মাঝখান থেকে শুরু হয়ে সাদা চোখ দিয়ে গালের মাঝখান পর্যন্ত যে দাগটা পড়েছে, সেটা আমি আজও ভুলতে পারিনি। বইয়ের দোকানে তাকে দেখার পর থেকে।

অদ্ভুত দাগ থাকা সত্ত্বেও, এটা তার সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এত তীক্ষ্ণ চোয়ালের রেখা যে, সে তা দিয়ে হীরা কাটতে পারত। সোজা, অভিজাত নাক। ভরা ঠোঁট। আরছোট কালো চুল, হাত দিয়ে দৌড়ানোর মতো লম্বা।

এটা ভুল। খুবই ভুল।

আমার কোনও স্টকারের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া উচিত নয়।

তার উপস্থিতি এতটাই অপ্রতিরোধ্য, মনে হচ্ছে যেন সে দশ ফুট লম্বা, ছাদ বেয়ে একটা ছায়া আমার দিকে হেলে আসছে। তাকে ভেতরে রেখে এই ঘরটি ছোট মনে হচ্ছে। তাকে ভেতরে রেখে আমি ছোট মনে হচ্ছে।

সে আমার দিকে এক পা এগিয়ে আসে, তার মুখে সেই হাসির একটা চিহ্ন থাকে—শুধু তার ঠোঁটে সামান্য কুঁচকানো অংশ।

আমি এক পা পিছিয়ে যাই। অবশেষে, আমার প্রবৃত্তি পুরোপুরি অন্যদিকে সরে যায়নি, এবং আমি রাতের প্রথম বুদ্ধিমান পদক্ষেপ নিই।

"বিড়াল তোমার জিভ ধরেছে, ছোট্ট ইঁদুর?"

সংক্ষেপে, আমি চোখ বন্ধ করি। তার কণ্ঠস্বর আমার উপর ভেসে যায়, যার জেগে উঠলে হংসের গোঁজ বের হয়। শব্দ তার কালো চোখের মতো গভীর।

আমি আবার গিলে ফেলি, প্রায় পেশীতে দম বন্ধ হয়ে যায়। মনে হচ্ছে আমার জিভ ফুলে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

"তুমি আমার কাছ থেকে কী চাও?" আমি দম বন্ধ করে দিলাম।

সে আমার দিকে এগিয়ে এগিয়ে এলো। আমার মেরুদণ্ড শক্ত হয়ে গেল, আর আমার হৃদপিণ্ডের ভেতর দিয়ে প্রচুর ভয় ঢুকে পড়লেও আমি স্থির থাকলাম। যখন সে যথেষ্ট কাছে আসবে, আমি তাকে ছুরিকাঘাত করব।

গলার দিকে লক্ষ্য রাখো, অ্যাডি।

আমার চোখ তার চোখয় আটকে গেল, আর সমস্ত চিন্তা আমার চোখ এড়িয়ে গেল। সে তার পুরো শরীরের উপর আমার শরীরের উপর চাপ দিল। লজ্জা নেই। লজ্জা নেই। না, /আগে তোমাকে একটা পানীয় কিনে দাও, তারপর আমি আমার লোকটির ঠোঁট তোমার উপর চাপা দেব।

এর সাহস আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার জিভ কামড়ে ফেলছে।

আমার শরীর খুলতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। আমি কী করছি তা ভাবতে পারার আগেই, আমি আমার ছুরিটি তার দিকে ঠেলে দেই, কিন্তু যখন আমি তা তুলতে চেষ্টা করি তখন প্রতিরোধের সম্মুখীন হই।

আমি বিভ্রান্তিতে নিচের দিকে তাকাই, শুধু দেখি তার খালি হাত ব্লেডের চারপাশে মোড়ানো। তার হাতে রক্তের পুকুর, একটি ছোট পথ সরাসরি আমার নিজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

আমি হাঁপাচ্ছি, আমার চোখ প্রশস্ত হয়ে তার দিকে ফিরে যাচ্ছে। তার চোখে এক বিন্দুও ব্যথার ঝলক নেই। এক ফোঁটাও নেই।

সে একবার ব্লেডে ঝাঁকুনি দেয়, আমার দুর্বল হাত থেকে ছুরিটি ছিঁড়ে ফেলে, অন্ধভাবে তার পিছনে ছুঁড়ে মারে।

ছুরিটি জোরে কিছু একটার সাথে ধাক্কা খায় এবং তারপর মেঝেতে পড়ে যায়, শব্দ অন্যথায় শান্ত ঘরে প্রতিধ্বনিত হয়। আমার তীব্র হাঁপানি ছাড়া আর কিছুই আমাদের চারপাশের নীরবতার স্থিরতা ভাঙে না। তার উপস্থিতি একটি ঘূর্ণি, ক্রমাগত ঘর থেকে অক্সিজেন হ্রাস করে - এমনকি আমার মস্তিষ্ক থেকেও।

কারণ আমি সোজা চিন্তা করতে পারি না যখন তার শরীর আমার এত কাছে থাকে। ভয় আমার চারপাশে শক্তভাবে কুণ্ডলী পাকিয়ে যায়, এর শক্তি আমার শরীরকে পাথরে পরিণত করে। আমি অকেজো।শক্তিহীন। আমার মাথার মধ্যে লড়াই করার অক্ষমতা তীব্রভাবে জ্বলছে, আমার বেঁচে থাকার প্রবৃত্তি আমাকে কেবল নড়াচড়া করতে বলে, কিন্তু আমার শরীর তা করতে অস্বীকৃতি জানায়।

আর তখন তার রক্তাক্ত হাত আমার ঘাড়ের পিছনে জড়িয়ে আছে এবং তার সাথে আমার শরীরকে আবারও ভিজে যাচ্ছে। তার হাত থেকে তার জীবনের সারাংশ ঝরে পড়ার অনুভূতিতে আমি কাঁপছি। রক্ত যেন আমার মেরুদণ্ডের উপর দিয়ে ভয়ঙ্কর আঙ্গুলগুলি হামাগুড়ি দিয়ে চলেছে, আমার ত্বকে দাগ দিচ্ছে যেন আমাকে চিহ্নিত করার জন্য।

আমার ভয়ের জন্য, সে তার অন্য হাতটি তুলে নেয় - যেটি এখনও আমার চেয়ে অনেক বেশি দুষ্টু দেখতে ছুরি ধরে আছে - এবং ব্লেডের ডগাটি আমার থুতনির নীচে নিয়ে আসে।

সে যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করে আমার থুতনিকে আরও উপরে তুলে দেয়, ধাতুটি আমার ত্বকে কামড় দেয়। তার ঠোঁটের সামান্যতম বাঁক আমার ফুসফুসে শ্বাস বন্ধ করে দেয়। এই কাজটি ভয়ঙ্কর কিছুর কথা বলে। কিছু নিন্দনীয়।

"তুমি কাছে থেকে আরও সুন্দর," সে বিড়বিড় করে বলে, তার পাপপূর্ণ চোখ আমার মুখ গ্রাস করছে।

আমি রাগে ফুঁপিয়ে তার বুকে হাত রাখি, তার মাংসের নীচের খাঁটি ইস্পাতকে উপেক্ষা করে, এবং তাকে দূরে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু সে জোর করে প্রতিরোধ করে, তার ঠোঁট কুঁচকে যায়।

হতাশা বাড়ার সাথে সাথে আমার চোখের পাতায় অশ্রু বয়ে যায়।

"দয়া করে, চলে যাও। আমি-আমি তোমাকে এখানে চাই না। আমি তোমাকে চাই না। আমাকে একা থাকতে দাও," আমি মিনতি করি। মনে হচ্ছে আমার বুকের ভেতর থেকে একটা হাত পৌঁছে আমার গর্ব টেনে মেঝেতে ছুঁড়ে মারছি। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার গর্বের কথা আমি মোটেও ভাবছি না।

আমি শুধু চাই এই লোকটা চুদুক/খাও।

সে আরও কাছে চেপে ধরে। "তুমি কি কাঁদবে, অ্যাডি?" সে ঠাট্টা করে। আমার হাত এখনও তার বুকের সাথে শক্ত করে চেপে আছে। তার হৃদপিণ্ড আমার হাতের তালুর নীচে ছুটে চলেছে, আমাকে থেমে যেতে দিচ্ছে। যদি আমি আরও ভালোভাবে না জানতাম, তাহলে আমি মনে করতাম যে সে যতটা প্রভাবিত হচ্ছে ততটা সে অপ্রভাবিত নয়।

"না," আমি মিথ্যা বলছি।

সে চলে যাওয়ার পর আমার চোখ কান্না করতে কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু আমি তাকে আর কোন দুর্বলতা দেখাতে রাজি নই।

সে আমার কাছে একটা হিংস্র, দাঁতের হাসি দেয়, আমার থুতনি থেকে ছুরি টেনে নেয় এবং আমার ঘাড়ের পেছন থেকে তার হাতটি ফেলে দেয়।

সে যখন দূরে সরে যায়, তখন আমি শীতলতা এবং স্বস্তির মিশ্রণ অনুভব করি। কিন্তু তারপর সে ঠিক ফিরে আসে।

তার চোখের তীব্রতা আমাকে জায়গায় ধরে রাখে যখন সে আমার পাশে দাঁড়াতে হাঁটতে হাঁটতে আমার বুক আমার বাহুতে ধাক্কা খায়। সে চামড়া এবং ধোঁয়ার মতো গন্ধ পায়। এটা নেশাকর। সে নেশাকর।

ভয়ের একটা স্বাদ আছে। অ্যাসিডিক, পোড়া ধাতু। এটা আমার জিহ্বাকে অসাড় করে তোলে। শুধু আমার জিহ্বা নয়, আমার সমগ্র অস্তিত্বকে।

আমি খুব, খুব ভয় পাচ্ছি।কিন্তু তবুও, এত... তার দ্বারা গ্রাসিত।

আমি আমার মাথা সোজা রাখি কিন্তু তাকে আমার দৃষ্টির বাইরে যেতে দেই না। সে আমার দিকে ঝুঁকে পড়ে, তার ওজন আমার উপর চাপিয়ে দেয়। আমি তার শক্তির সাথে লড়াই করি। তার কাছ থেকে দূরে ঠেলে দেওয়ার পরিবর্তে, আমি তার দ্বারা শোষিত হই। তার ঠোঁট আমার কানের বাইরের প্রান্তে পৌঁছানোর সাথে সাথে গরম নিঃশ্বাস আমার ত্বককে উষ্ণ করে তোলে। আরেকটি কাঁপুনি আমার মেরুদণ্ডকে ঝাঁকুনি দেয়।

"আমি তোমাকে গ্রাস করতে চাই না," সে ফিসফিস করে বলে।

আমার ঠোঁট কাঁপছে। আমি আমার দাঁতের ফাঁকে বিশ্বাসঘাতক ঠোঁটটি চুষছি, যদি এটি আমার দুর্বলতা দেখানো বন্ধ করে দেয়। যখন আমি তার দিকে একবার তাকানোর ঝুঁকি নিই, তখন তার চোখ আমার ঠোঁটের উপর স্থির হয়ে যায়।

"তুমি কি আমাকে মারতে এসেছো?" আমি নম্রভাবে জিজ্ঞাসা করি, আমার শরীরে ছড়িয়ে পড়া কম্পনকে ঢাকতে যথাসাধ্য চেষ্টা করি।

আমি ব্যর্থ হচ্ছি।

ধীরে ধীরে, সে মাথা নাড়ে। "আমি কেন এটা করব?" আমি নিশ্চিত নই কিভাবে এর উত্তর দেব। সে বলে চলে, "আমি তোমাকে মারব না, ছোট্ট ইঁদুর। আমি তোমাকে রাখতে চাই।"

"আমি যদি না চাই তাহলে?"

সে হেসে বলে। "তুমি করবে।"

আমি মুখ খুলি, নিজের এবং তার মায়ের কথা বলার জন্য, কিন্তু যখন সে হাত তুলে আমার নীচের ঠোঁটে বুড়ো আঙুল দিয়ে জোরে জোরে আঘাত করে, তখন আমার জিভে শব্দগুলো শেষ হয়ে যায়।

"হুম," সে আনন্দে গর্জে ওঠে। "এখানেই ঘটতে চলেছে। আমি তোমাকে দৌড়ে লুকিয়ে থাকার সুযোগ দেব। যদি আমি তোমাকে খুঁজে পাই, তাহলে আমি তোমার শাস্তি দেব। যদি আমি না পাই, তাহলে তুমি শাস্তি না পাও এবং আমি চলে যাব।"

আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি, আশার একটা ছোট্ট রেখা উন্মাদনায় ভরে ওঠে। আমি এই ঘরটিকে আমার হাতের তালুর মতো চিনি। আমি জানি ভালো লুকানোর জায়গাগুলো কোথায়।

নীচ তলার করিডোরে দুটি শোবার ঘর আছে। প্রথম শোবার ঘরের আলমারির পিছনে একটি ছোট্ট কোণ আছে। আমার শরীরটা খুব একটা মানায় না, কিন্তু যখন নানা আর আমি লুকোচুরি খেলতাম, তখন আমি সবসময় সেখানেই লুকিয়ে থাকতাম।

“ঠিক আছে,” আমি ফিসফিস করে বলি। “আমি জেতার আগে তুমি আমাকে কতক্ষণ খুঁজবে?”

সে হাসে। “তোমার পাছা আমার হাঁটুর উপর বেঁকে যাওয়ার আগে আমি তোমাকে পাঁচ মিনিট সময় দেব।”

আমি হা করে বললাম, তার হাত থেকে আমার মুখ সরিয়ে নিলাম। সে আমাকে যেতে দিল, কিন্তু তার মুখে হাসি ফুটে উঠল।

“তোমার সময় এখন শুরু হচ্ছে, অ্যাডলিন। দৌড়াও।”

আমি আর দ্বিধা করি না। ঘুরে, আমি ঘর থেকে বেরিয়ে যাই, দরজাটা আমার পিছনে বন্ধ করে দেই। সে যখন আমাকে তা করতে দেখে তখন তার মুখের আনন্দ আমি মিস করি না, কিন্তু আমি নিজেকে যত্ন নেওয়ার সময় দেই না।

আমি সোজা সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যাই, আমার পা হালকা রেখে যখন আমার ছোট পা আমাকে সিঁড়ি বেয়ে ভয়ঙ্কর গতিতে নামিয়ে আনে। অর্ধেক পথ নামার পর, আমি প্রায় এগিয়ে যাই এবংরেলিংয়ের উপর নিজেকে আটকে রেখে জোরে চিৎকার চেঁচামেচি থেকে বাঁচতে পারছি না।

আমার বমি বমি ভাব হচ্ছে, অ্যাড্রেনালিন এবং ভয় তীব্র এবং আমার স্নায়ুতে কামড় দিচ্ছে।

বাম দিকে মোড় নিয়ে করিডোরের দিকে লক্ষ্য রাখি এবং প্রথম শোবার ঘরে ঢুকি ঠিক তখনই উপর থেকে ভারী পদধ্বনি শুনতে পাই।

আমার হৃদস্পন্দন অসম্ভব দ্রুত গতিতে ছুটে যায়, এবং আলমারির দরজা খুলতে খুলতে আমার হাত প্রচণ্ড কাঁপতে থাকে। আমার অলসতা থেকে ধাতব শব্দ। ঘরের হাড় জুড়ে বজ্রপাতের মতো একটি হালকা, তুচ্ছ শব্দ।

গভীর নিঃশ্বাস ফেলে, আলমারির দরজা বন্ধ করে দ্রুত কোণে ঢুকে পড়ি।

আমি আতঙ্কিত।

আমার বুক শক্ত হয়ে যাচ্ছে, এবং আমার কাশির অদ্ভুত তাড়না হচ্ছে। হতে পারে কারণ আমার গলা শুষ্ক এবং ক্রমাগত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমি আমার ঘাড়ে থাবা দিতে চাই, পেশীগুলিকে আবার খুলতে বাধ্য করতে চাই, এবং আমার যে অক্সিজেনের অত্যন্ত প্রয়োজন তা ছেড়ে দিতে চাই।

সব তোমার মাথায়। শ্বাস নাও, অ্যাডি, শ্বাস নাও। সে তোমাকে এখানে খুঁজে পাবে না। নানা কখনোই পারবে না।

আমার উপর থেকে তার পায়ের শব্দ অদৃশ্য হয়ে গেছে, যার অর্থ সম্ভবত সে নীচে নেমে এসেছে। আমি আমার ঠোঁট জোরে কামড়ে ধরি, আমার মুখ ভরে যায় তীব্র তামার মতো। এবং তবুও, আমি কামড়াতে থাকি।

এলোমেলো এবং স্পষ্ট শব্দ ফিল্টার করে। এবং মিনিট পার হওয়ার সাথে সাথে আমার শ্বাস-প্রশ্বাস ধীর হতে শুরু করে।

কিন্তু তারপর আমি দরজা ধীরে ধীরে খোলার শব্দ শুনতে পাই, এবং আমার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। আমি আমার মুখের উপর হাত রাখি, কোনও শব্দ করতে অস্বীকার করি, এমনকি যদি এটি আক্ষরিক অর্থেই আমাকে মেরে ফেলে।

আলমারির দরজাটি স্লাইড করে খুলে যায়, এবং তার গন্ধ ক্ষুদ্র অংশে ভরে যায়। চামড়া। ধোঁয়ার আভাস। এবং অন্য কিছু। এমন কিছু যা সাধারণত আমার চোখ ঘুরিয়ে দিত যদি এটি এত ভয়ঙ্কর না হত।

"তুমি এখনই বেরিয়ে আসতে পারো, সোনা," সে শ্বাস নেয়, তার কণ্ঠস্বর কাঁপানো এবং গভীর।

ওহ, না। না, না, না।

আমি নড়ছি না, আশা করছি সে কেবল অনুমান করছে।

"আমি তোমার গন্ধ পাচ্ছি," সে বলে। আর যদি এটা আমার শোনা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জিনিস না হয়, তাহলে আমি জানি না কী।

কোণার দিকে একবার উঁকি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে দেখি, সে আলমারির প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে আছে। সে আমার দিকে তাকাচ্ছে না। তার মাথা নিচু, মাটিতে এলোমেলোভাবে একটা জায়গার দিকে তাকিয়ে আছে।

"তোমার দশ সেকেন্ড সময় আছে, আমি তোমাকে টেনে বের করে আনব।" সে এক পা পিছিয়ে যায়, এবং আমি ঠিক করি যে আমি এটা করার জন্য এগিয়ে যাই।

আমি ছুটে বেরিয়ে যাই, তাকে পাশ কাটিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে যাই। সে একটা গভীর, নিষ্ঠুর হাসি দেয়। এটা এমন একটি শব্দ যা আমি আমার জীবনের বাকি সময় ধরে আমার দুঃস্বপ্নে শুনতে পাব।কিন্তু আমি থামি না। আমি করিডোর দিয়ে দৌড়ে যাই এবং সামনের দরজার দিকে যাই, যখন দেখি দরজাটি তালাবদ্ধ।

"তুমি দরজাটি খুলে দাও, তার পরিণতি হবে," সে সতর্ক করে। তার সান্নিধ্য দেখে আমি চমকে যাই। ডেডবোল্ট, নব এবং চেইনটি খোলার জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। সে খুব কাছে।

সানরুম। এর পিছনের দরজাটি বাইরের দিকে নিয়ে যায়। আমি ঘুরে দেখি, এবং আমার চোখের কোণ থেকে, আমি যে করিডোর থেকে এসেছি তার প্রবেশপথের কোণে আমার ছায়া দেখতে পাই।

আমি বসার ঘর, তারপর রান্নাঘর এবং করিডোরের পিছনের দিকের দরজার দিকে যাই। প্রার্থনা করি যে সে করিডোরে না থাকে, আমি দরজাটি খুলি এবং দেখি এটি খালি। আমার থেকে কমপক্ষে পাঁচ ফুট দূরে, আমি এর বাইরে অন্ধকার দেখতে পাচ্ছি না।

সানরুমের দিকে সোজা যাওয়ার সময়, আমি দরজাটি ব্যারেল করে দেখি যে সে ইতিমধ্যেই সেখানে আছে, যে দরজা থেকে আমাকে পালাতে হবে তার সাথে হেলান দিয়ে।

আমি আমার পায়ে পিছলে গেলাম, তার অপেক্ষারত বাহুতে ধাক্কা খাওয়ার আগেই আমার গতি থামিয়ে দিলাম। আমি পিছু হটলাম, বুক ধড়ফড় করছে এবং মন দৌড়াচ্ছে।

সে বলল, "তুমি খুব অনুমানযোগ্য, ছোট্ট ইঁদুর। আমাদের এটা নিয়ে কাজ করতে হবে।"

আমি শুধু দাঁড়িয়ে আছি, জায়গায় স্থির হয়ে আছি যখন আমি এই বাস্তবতাটি বুঝতে পারছি যে আমি এই ঘর থেকে বের হতে পারব না। সে অবিশ্বাস্যভাবে দ্রুত, কিন্তু সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অংশ হল যে আমি তার কাছ থেকে একটিও পদধ্বনি শুনতে পাইনি। আমি হাতির মতো শোনাচ্ছিলাম এবং সে ইঁদুরের চেয়েও শান্ত ছিল।

"তুমি আমাকে স্পর্শ করছো না," আমি হিস হিস করি, আমার কণ্ঠস্বর টলমল করছে এবং অঝোরে অশ্রু ঝরছে।

"একটি চুক্তি একটি চুক্তি, ছোট্ট ইঁদুর।" সে রাতের আকাশের দিকে তাকায়। "এখানে এটা সুন্দর। আমার মনে হয় এখানেই শাস্তি দেওয়া ঠিক, তাই না? মনে হচ্ছে আমরা পুরো বৃত্তে এসে পৌঁছেছি।"

গর্জন করতে করতে, অবশেষে আমি আমার শরীরকে জোর করে করিডোর ধরে সিঁড়ির দিকে ছুটে যাই।

হয়তো আমি আবার লুকানোর জায়গা খুঁজে পাবো। কোথাও সে এবার আমাকে খুঁজে পাবে না। আমি যখন নিজেকে বারান্দার চারপাশে ঘুরিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠি তখন আমার মন প্রতিটি সম্ভাবনা উল্টে ফেলে।

বাতাসের একটা ফিসফিসানি আমার উরুর পিছনে আঘাত করে, এবং যখন আমি আমার পিছনে তাকাই, তখন আমি তাকে আমার গোড়ালিতে দেখতে পাই।

আমি আরেকটি চিৎকার করে আমার পদক্ষেপ দ্রুত করি। আমি সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠি এবং করিডোর দিয়ে নিচে নেমে যাই, আমার হতাশা এবং বিশুদ্ধ আতঙ্ক আমার মাথায় ঘনিয়ে আসে। আমি ভাবতে পারি না, আমি কেবল কাজ করতে পারি।

আমি করিডোরের অর্ধেক নিচে নেমে আসার আগেই একজন স্টিলের হাতল আমার কোমরে বেঁধে আমাকে উপরে তুলে নেয়।

"না!" আমি চিৎকার করি, বাতাসে লাথি মারতে মারতে তার হাত ধরে লড়াই করি।"ওহ হ্যাঁ, সোনা," সে গর্জন করে আমাদের দেহগুলো দেয়ালের দিকে ঠেলে দেয়। ধাক্কায় আমি গর্জন করি, দেয়ালের সাথে আমার পিঠ ঠেকে দেই এবং লাথি মারতে লাথি মারতে লাথি মারতে বলি।

"আমাকে যেতে দাও, তুমি ভয়ঙ্কর-"

"কথা বলতে থাকো, তুমি পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দেবে।"

আমি চিৎকার করি, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ি, যখন সে আমার ভগ্ন দেহটি দেয়ালে ঠেসে ধরে।

"আমাদের একটা চুক্তি হয়েছিল, তাই না?"

আমার ঢাকনা বেয়ে এক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। তারপর আরও এক ফোঁটা যতক্ষণ না আমি কাঁদতে শুরু করি।

"কাঁদো না, ছোট্ট ইঁদুর," সে বলে। "এটা আরও খারাপ হতে চলেছে।"

সে যখন নিজেকে আমার শরীরের গভীরে চেপে ধরে তখন তার নিঃশ্বাস আমার গালের উপর দিয়ে স্রোত করে। সে অনেক বড়, তার শরীর আমাকে ঢেকে ফেলে যতক্ষণ না আমি কেবল তাকেই দেখতে, অনুভব করতে এবং গন্ধ পেতে পারি। উষ্ণতা, চামড়া, সেই অনন্য সুবাস যা কেবল তারই, আর তার কালো পোশাক পরা শরীর আমাকে ঘিরে।

"আমি তোমাকে ভয় পেয়ে ভালোবাসি," সে ফিসফিসিয়ে বলে, আমার মেরুদণ্ডে কাঁপুনি ছড়িয়ে দেয়। "আমি তোমাকে ভিক্ষা এবং মিনতি করতে ভালোবাসি। তোমাকে বাঁচানোর জন্য ঈশ্বরের কাছে চিৎকার করছি।" আমি আমার মুখে তার হাতের স্পর্শ অনুভব করি, এবং আমি দূরে সরে যাই। তার আঙ্গুলগুলি আমার গালের হাড়ের উপর দিয়ে আমার চুলের সাথে মিশে যায়, আমার কানের পিছনে আলগা সুতাগুলিকে আটকে দেয়। "আমি তোমাকে আমার স্পর্শে কাঁপতে পছন্দ করি, অনিয়ন্ত্রিতভাবে।"

"তুমি অসুস্থ," আমি চট করে বলি, ঠিক তাই করি। আমি মাথা থেকে পা পর্যন্ত কাঁপছি, এবং আমি এটি থামাতে পারছি না বলে মনে হচ্ছে।

"তুমি ভাবছো তুমি কেবল তোমার জীবনের জন্য লড়াই করার জন্য ভিক্ষা করতে যাচ্ছ, কিন্তু সেখানেই তুমি ভুল। আমি তোমাকে স্বর্গে পাঠাবো একমাত্র উপায় হল আমার মোরগ।" সে গর্জন করে একটি গভীর হাসি দেয়। "এবং অবশ্যই আমার জিহ্বা এবং আঙ্গুলগুলিও।"

"এটা কখনও ঘটবে না," আমি হিস করে বলি, আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে। অথবা অন্তত আমার মনে হয় আমি তাই।

স্কোনস থেকে আসা আবছা আলো তার চোখ ঢেকে ফেলেছে। মনে হচ্ছে যেন সে দূরদর্শী। তোমার মুখটা এত কাছে, কিন্তু স্পষ্টতা তোমাকে এড়িয়ে চলে। ছায়াগুলো তারই একটা অংশ। সে সেগুলো তার সাথে বহন করে।

"তোমাকে শাস্তি দেওয়ার সময় এসেছে, আর আমি ভেবে দেখেছি কিভাবে আমি এটা করতে পারি," সে আমার ছোঁয়া উপেক্ষা করে বলে। আমার সম্মতির অভাবকে সে এতটা অপ্রয়োজনীয় মনে করে, এটা আমাকে আরও বেশি ক্ষুব্ধ করে। তাই... মূল্যহীন।

"আমি এবার ভালো থাকব।" আমি মুখ খুলি, কিন্তু সে আমাকে সতর্ক করে দিয়ে গভীর গর্জন করে বলে, "কিন্তু যদি তুমিও হও, অ্যাডলিন।"

আমার দাঁতের টোকা টোকা শোনা যাচ্ছে, তার কাছ থেকে আরেকটা মজার শব্দ বের হচ্ছে। আমার গর্বের আঘাত লাগে, এবং আমি তাকে হাঁটু গেড়ে বসতে চাই, কিন্তু চেষ্টা করলেও আমি আমার পা এক ইঞ্চিও তুলতে পারিনি।

"তুমি কী করবে?" আমার শ্বাসরুদ্ধ হয়ে যায়, আমার কথার তোতলানো শব্দ আমার হৃদস্পন্দনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।তার গরম নিঃশ্বাস আমার গালের উপর দিয়ে যাচ্ছে, আর আমি তার ঠোঁটের আওয়াজ আমার চোয়ালের সাথে লেগে আছে। আমি গিলে ফেলছি, কিন্তু আমার গলা শুষ্ক হয়ে যাওয়ায় আমি প্রায় দম বন্ধ করে দিচ্ছি। ঠোঁটগুলো আমার ঘাড়ের স্তম্ভে নেমে আসছে, যতক্ষণ না সে আমার কানের ঠিক নীচে থেমে যায়।

"আমি তোমাকে দাবি করতে যাচ্ছি," সে বলে, তার দাঁত চেপে ধরার ঠিক আগে।

আমার পিঠ অনিচ্ছাকৃতভাবে বাঁক নেয়, আমার স্নায়ুতে বিদ্বেষ এবং আনন্দের মিলন ঘটে, আমার মস্তিষ্কে ভুল আগুন পাঠায়। ফলস্বরূপ সমস্ত সুসংগত চিন্তা আমার মন থেকে বেরিয়ে যায়, যার ফলে আমার কাছে মৌলিক প্রবৃত্তি ছাড়া আর কিছুই থাকে না।

সে কাতরাতে থাকে, তার জিভ আমার মাংসে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাথে সাথে তার দাঁত ছিঁড়ে যায়। আমার মুখ খুলে যায়, তার মুখের মতোই একটি নীরব চিৎকার চেপে যায়, যেন সে আমার শরীর থেকে নির্যাস পান করছে। এবং তারপর সে পিছনে সরে যাচ্ছে, ছেড়ে দেওয়ার সময় তার দাঁত আমার ত্বক বরাবর টেনে নিয়ে যাচ্ছে, ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে জায়গাটি ছেড়ে দিচ্ছে।

স্থিরতার জন্য আমার হাত তার বুকে চেপে ধরছে নাকি তাকে দূরে ঠেলে দেবে, আমি নিশ্চিত নই। যদিও আমার প্রশ্নের উত্তর দ্রুত পাওয়া যায় যখন সহজাত প্রবৃত্তি আমার হাত দুটো কুঁচকে নিতে বাধ্য করে, তার হুডি শক্ত করে ধরে এবং নিজেকে তার সাথে এমনভাবে জড়িয়ে ধরে যেন সে আমার জীবনরেখা। আসলে, সে-ই আমাকে মেরে ফেলছে।

যখন সে আমার ঘাড়ের সন্ধিক্ষণে ভেজা পথ চেটে খায় তখন তীব্র কাঁপুনি আমার শরীরে আছড়ে পড়ে। সে থেমে যায়, আর মনে হয় যেন আমার শরীর একটা ধারালো ছুরির উপর ঝুলছে। আমি আমার নিঃশ্বাস আটকে রাখি, প্রত্যাশা আমার হাড় কাঁপছে।

এবং তারপর সে আবার কামড়াচ্ছে, আমার বুকের গভীর থেকে একটা পশুর মতো শব্দ বের করছে। সে বারবার এটা করে, আমার ঘাড়ের উপর এবং আমার কাঁধের উপর একটা আঘাতের চিহ্ন রেখে যাচ্ছে।

যখন সে চলে যায় তখন আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।

"ভালো মেয়ে," সে শ্বাস নেয়, তার নিজের কণ্ঠস্বর বাতাসে ভরা। একরকম, এতে আমার আরও খারাপ লাগে। আমি চাই সে এটাকে যতটা ঘৃণা করুক যতটা আমার করা উচিত ছিল।

আমি ব্যাখ্যা করতে পারছি না কেন আমি পরবর্তীতে যা করি। আমি ঈশ্বরকে পরে জিজ্ঞাসা করব। কিন্তু সেই মুহূর্তে, আবেগের এক সুনামি আমার উপর এতটাই প্রভাব ফেলে যে আমি উঠে তার গালে কামড় দেই।

কঠোর।

আমার মুখে রক্ত বইছে, কিন্তু আমার তাতে কিছু আসে যায় না, আমি আরও জোরে কামড় দিচ্ছি।

হয়তো আমিও তাকে আঘাত করতে চাই। তাকে তার নিজের ওষুধের স্বাদ দাও। আমি যা অনুভব করি তা তাকে অনুভব করাও।

কারণ যাই হোক না কেন, সে তা ভালোভাবে নেয় না। তার হাত আমার গলায় জড়িয়ে থাকে, আমাকে পিছনে ঠেলে দেয়, আর সে তার মুখ ছিঁড়ে ফেলে। আমার মাথা দেয়ালে ধাক্কা খায়, একটা মৃদু ধড়ফড় সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসে।

সে জোরে চেপে ধরছে, কিন্তু আমার কিছু যায় আসে না। আমি ন্যায্য বলে মনে করি। যদি সে আমাকে এখানে এবং এখনই মেরে ফেলে, অন্তত আমি বলতে পারি যে আমি তার উপর একটি শেষ চিহ্ন রেখে গেছি।

সে নিচু স্বরে গর্জন করে, হতাশার শব্দ এবং এমন কিছু যা আমি নাম বলতে পারছি না।
আমি তার দিকে তাকিয়ে রইলাম, আমার জিভ রক্তে ঢাকা এবং থুতনি বেয়ে নেমে এলো। এটা খুব সামান্য। আমি তার মুখটা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করার সুযোগ পাইনি যেমনটা আমি চেয়েছিলাম। কিন্তু তার মুখে ছোট ছোট রক্তের বিন্দুগুলো আমাকে এখনও উজ্জীবিত করে।

"আমি ভাবতে শুরু করেছি যে তুমি শাস্তি পেতে চাও, যার মানে আমাকে আরও ভালো করতে হবে।"

আমি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারার আগেই, সে আমাকে তুলে কাঁধের উপর আলুর বস্তার মতো ছুঁড়ে মারছে।

"অসভ্য!" আমি চড় মারলাম, তার পিঠে আমার মুঠি মারলাম। আমি আলু নই।

আমার পাছায় একটা তীব্র থাপ্পড়ই তার একমাত্র প্রতিক্রিয়া।

সে আমাকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামিয়ে, করিডোরে বাম দিকে মোড় নেয় এবং সানরুমের দিকে নেমে যায়। আমি যতক্ষণ লড়াই করি, লাথি মারে এবং ঘুষি মারে, কিন্তু সে এমন আচরণ করে যেন প্রজাপতি তাকে আক্রমণ করছে।

যেন সে আমার হতাশা শুনতে পায়, সে বলে, "বাবা, বাতাস তুমি যা করছো তার চেয়েও বেশি ক্ষতি করতে পারে।"

"আমার দাঁত আবার দেখতে চাও, গাধা? আমি তোমার মুখ আরও কুৎসিত করে তুলব।"

"নিজেকে এটা বলতে থাকো, কিন্তু আমরা দুজনেই জানি আমার দাগ তোমাকে ভিজে দেবে," সে জবাব দেয়, মজা করে তার কথাগুলো রঙিন করে। আমি গর্জন করি, সে কতটা অস্থির তা দেখে হতাশ। আর কারণ সে সম্পূর্ণ ভুল নয়।

না, বোকা, সে ভুল।

আমার মুখ থেকে আরও অভিশাপ বেরিয়ে আসে, কিন্তু যখন সে আমার শরীরকে তার সামনের দিকে টেনে নিয়ে যায় যতক্ষণ না আমার পা তার কোমরে জড়িয়ে ধরে, এবং সে আমাকে তার বুকে জড়িয়ে ধরে।

ওহ, এটা।

আমি তার মুখ আঁচড়ানোর জন্য আমার হাত তুলি, হয়তো একটু চোখ খোঁচাও, কিন্তু পরিবর্তে, আমি কেবল চিৎকার করি। সে আমাকে পিছনের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে, আমার পেট নীচে বেরিয়ে আসে যখন সে আমাকে মাটিতে শুইয়ে দেয়, আমার পিঠের উপর সমতল। সে আমার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে, তার হাত আমার মাথার দুপাশে যখন সে নিজেকে ধরে রাখে।

তার উপরে, তারাগুলো উজ্জ্বলভাবে মিটিমিটি করছে, এবং প্রায় পূর্ণিমার চাঁদ ঘরে একটা নরম সাদা আভা ফেলছে।

আজ রাতে আকাশ সম্পূর্ণ মেঘমুক্ত হয়ে যাচ্ছে, প্রায় ধ্বংসের দিকে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ক্রমাগত সিয়াটলকে কষ্ট দিচ্ছে।

আমি গিলে ফেলছি, আমার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছে।

"এই ভদ্রলোক, তুমি আমাকে খুন করার সময় আমাকে তারার দিকে তাকাতে দিচ্ছ," আমি মুখ বন্ধ করে বললাম, আমার শক্ত গলা দিয়ে জোর করে কথাগুলো বলছি।

আমার সত্যিই চুপ করে থাকা দরকার। কিন্তু আমি নিজেকে থামাতে পারছি না। স্পষ্টতই, যখন আমি জীবন-হুমকির পরিস্থিতিতে থাকি, তখন আমি কেবল পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারি।

কেউ কেউ এটাকে নির্ভীকতা বলতে পারে, কিন্তু আমি এটাকে বোকামি বলি।

সে একদিকে নিজেকে সমর্থন করে যখন অন্য হাত তার পিছনে হাত দেয়। আমি আমার মুখ খুলি, আরও অপমানের জন্য প্রস্তুত হই, যখন তার বাহু আবার দেখা দেয়, তার হাতে একটি বন্দুক.পরে আমার দাঁতের আরেকটা টোকা শোনা গেল, আর আমি আবার ভয়ে চুপ করে রইলাম।

“তুমি একজন লোককে এখানে ছুঁতে দিয়েছো। তোমাকে আসতে দাও,” সে বলল, তার স্বর আবেগে ভেসে উঠল। “সাধারণত, আমি তার আঙ্গুলগুলো আমার আঙ্গুল দিয়ে বদলে দিতাম, কিন্তু আমার মনে হয় তোমাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য অন্য কিছুর প্রয়োজন।”

“ঠিক আছে, আমি দুঃখিত,” আমি ছুটে বেরিয়ে এলাম, আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেল যখন সে আমার বুকে বন্দুক তাক করল। “আমি-আমি সত্যিই, সত্যিই—”

“শশ,” সে চুপ করে রইল। “তুমি এখনও দুঃখিত নও, ছোট্ট ইঁদুর। কিন্তু তুমি থাকবে।”
___________________________________________

১৪ই এপ্রিল, ১৯৪৫

জন আর আমি ফ্রাঙ্কের সাথে পুলিশ বিভাগের সাথে ডিনারে যাচ্ছি। এইসব আড্ডায় আমরা সাধারণত ভালো সময় কাটাই।

ফ্রাঙ্ক আমাদের শীঘ্রই তুলে নিচ্ছে, আর জন আর আমি নিস্তব্ধ নীরবে অপেক্ষা করছি। সেরা তার বান্ধবীদের সাথে রাতের জন্য বেরিয়ে গেছে, আর এখন আমার ইচ্ছা সে এখানে থাকতো।

সম্প্রতি, সে আমাদের দুজনের মধ্যে একটা ভালো বাফার হয়ে উঠেছে। আমি জানি না সে পার্থক্যটা বুঝতে পেরেছে কিনা। জন আর আমি ঝগড়া করছি না। আমরা শুধু সহাবস্থান করছি।

আমি তার হৃদয় ভেঙে দিয়েছি। আমি জানি আমি বুঝতে পেরেছি।

কিন্তু কেন মনে হচ্ছে আমারটা সুস্থ হয়ে উঠছে?

ফ্রাঙ্ক এখন এখানে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।

#চলবে

৫০০ লাইক ও কমেন্ট হলে দিনে ২পর্ব করে দেওয়ার চেষ্টা করব

Address

Noakhali Sadar Upazila

Website

https://www.youtube.com/@VoiceofRevengeWriter

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when 𝐑𝐚𝐦𝐢𝐬𝐚-রামিসা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

𝐑𝐚𝐦𝐢𝐬𝐚-রামিসা

28/07/2025

28/07/2025

27/07/2025

22/07/2025

19/07/2025

19/07/2025

18/07/2025

16/07/2025

16/07/2025

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share

Category