বাংলাদেশ ছাএলীগ

বাংলাদেশ ছাএলীগ শিক্ষা★শান্তি★প্রগতি★ ছাএলীগের মূলনীতি।
এসো নবীন এক সাথে,করবো মোরা উন্নতি।

‘এই সরকার ৫ বছর থাকুক, এখন আর কারো মুখে শুনি না’ইউনুসের বিপ্লবীরা কি বলে?
07/09/2025

‘এই সরকার ৫ বছর থাকুক, এখন আর কারো মুখে শুনি না’

ইউনুসের বিপ্লবীরা কি বলে?

ইউনুস-খলিলের অবৈধ শাসনে জাতির মর্যাদা হারিয়ে গেছে আজ টিসিবির ট্রাকের লাইনেসুদী মহাজন ইউনুস আজকের বাংলাদেশকে এমন এক জায়গা...
07/09/2025

ইউনুস-খলিলের অবৈধ শাসনে জাতির মর্যাদা হারিয়ে গেছে আজ টিসিবির ট্রাকের লাইনে

সুদী মহাজন ইউনুস আজকের বাংলাদেশকে এমন এক জায়গায় ঠেলে দিয়েছেন যেখানে মানুষের মৌলিক মর্যাদাই যেন অলীক স্বপ্নের মতো লাগে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বা লালমাটিয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর মুখে লজ্জা, অসহায়তা আর ক্ষুধার ছাপ স্পষ্ট। তারা দিনমজুর নন, তারা কেবল গরিবও নন। এদের অনেকেই মধ্যবিত্ত, অফিসকর্মী, শিক্ষক কিংবা ছোট ব্যবসায়ী। অথচ আজ তারা বাধ্য হচ্ছেন ট্রাকের পেছনে দাঁড়িয়ে এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে। কারণ বাজারের দামে তাদের আয় আর টিকছে না।

এই দেশে বেগুন, ঢ্যাঁড়স, কচুর লতি, এমনকি ডিম আর মুরগিও এখন বিলাসিতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি কমিশনের রিপোর্ট বলছে, কয়েক মাসে সবজির দাম ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ডিম ১৪০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৮০, সোনালি ৩২০। মাছ কিনতে গেলে ৩০০ টাকার নীচে নামাই যায় না। আটা, ময়দা, ডাল—যা ছিল গরিব মানুষের শেষ আশ্রয়—সেগুলোর দামও হু হু করে উঠছে। সাধারণ মানুষ যখন বাজারে যায়, তাদের চোখেমুখে একটাই প্রশ্ন: এভাবে আর কতদিন?

কিন্তু ইউনুস আর খলিলদের কাছে এই প্রশ্ন পৌঁছায় না। কারণ তারা দেশের বাস্তবতা বোঝার প্রয়োজন বোধও করেন না। বিদেশি টাকা, জঙ্গি গোষ্ঠীর সহায়তা আর সেনাবাহিনীর একাংশের ছায়া ব্যবহার করে জুলাইয়ের দাঙ্গা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল কেবল ক্ষমতা দখলের জন্য। নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিয়ে যারা অবৈধভাবে সিংহাসনে বসেছে, তাদের কাছে মানুষ নয়, কেবল নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখাটাই মুখ্য। দেশের কৃষক কী দামে শাকসবজি তুলছে, শ্রমিকের আয় কোন খাতে শেষ হয়ে যাচ্ছে, অফিসপাড়ার কর্মচারী কীভাবে লজ্জায় মাথা নিচু করে ট্রাকের পেছনে দাঁড়াচ্ছে—এসব তাদের কাছে কোনো মূল্যই রাখে না।

ইউনুস আজ বাংলাদেশকে এমন এক ভয়াবহ অবস্থায় দাঁড় করিয়েছেন যেখানে ট্রাকের পেছনে দাঁড়ানো মানে শুধু সস্তায় কিছু পণ্য কেনা নয়, বরং রাষ্ট্রের দেয়া লাঞ্চনা সহ্য করা। মানুষ মনে মনে ভেঙে যাচ্ছে, তারা বুঝতে পারছে তাদের কষ্ট, লজ্জা আর ক্ষুধাকে কেউ পাত্তাই দিচ্ছে না। এই শাসনব্যবস্থা মানুষের প্রতি চরম অবমাননা। এ যেন এক নোংরা রসিকতা, যেখানে দেশের নাগরিকদের জীবনের দামে একদল ক্ষমতালোভীর ভোগ-বিলাস চলছে।

আজ বাংলাদেশে বাজার শুধু গরম না, বাজার পুড়ছে। পুড়ছে মানুষের সঞ্চয়, পুড়ছে মধ্যবিত্তের আশা, পুড়ছে সীমিত আয়ের মানুষের ঘরসংসার। অথচ ইউনুস আর তার সহযোগীরা এক ভিন্ন দুনিয়ায় বাস করছেন, যেখানে বিদেশি প্রভুদের তুষ্ট করা ছাড়া আর কিছু নেই। তাদের হাতে দেশের অর্থনীতি এক গভীর অন্ধকার গহ্বরে ধাক্কা খাচ্ছে।

এই অপমানের দায়, এই অবমাননার দায় ইউনুস-খলিল গংয়ের না হলে আর কার?

ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ানক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে আজ বাংলাদেশ। ক্ষুধা, লজ্জা আর অবমাননার মধ্যে যে মানুষ প্রতিদিন ঘুরপাক খাচ্ছে, সেই মানুষের প্রতি এই শাসকগোষ্ঠীর আচরণ কেবল একটাই প্রমাণ করে : ইউনুস ও তার সহযোগীরা কোনোদিনই এই দেশের ছিলেন না, নেই, থাকবেনও না।

জাতীয় নির্বাচনের ওয়ার্ম আপ
07/09/2025

জাতীয় নির্বাচনের ওয়ার্ম আপ

গোয়ালন্দে মাজার ভাঙচুর ও লাশ পোড়ানো - ধর্মকে ঢাল বানিয়ে উগ্রতা——বাংলাদেশের ইতিহাসে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য স...
07/09/2025

গোয়ালন্দে মাজার ভাঙচুর ও লাশ পোড়ানো - ধর্মকে ঢাল বানিয়ে উগ্রতা
——

বাংলাদেশের ইতিহাসে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য সর্বদা জাতির অন্তরে গভীরভাবে প্রোথিত। পীর–আউলিয়া, গাউস–কুতুব ও ওলীদের মাজার শুধু ধর্মীয় কেন্দ্র নয়, বরং সামাজিক মিলনস্থলও বটে। শত শত বছর ধরে এসব স্থান মানুষের আত্মিক চর্চা, সাম্য ও মানবতার শিক্ষার প্রধান উৎস হয়ে আছে। অথচ সাম্প্রতিককালে দেশজুড়ে যে বর্বর তাণ্ডব চালানো হচ্ছে, তা আমাদের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক ইতিহাসকে ধ্বংস করার এক নৃশংস অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।

গোয়ালন্দের ঘটনা চরম উন্মত্ততার দৃষ্টান্ত

স্থানীয় সূত্র জানাচ্ছে, গোয়ালন্দ উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি ও থানা জামায়াতের সভাপতি মৌলানা জালাল প্রায় ১৫–২০ দিন আগে ‘ঈমান ও আকিদা রক্ষা কমিটি’ নামের একটি সংগঠন গঠন করেন। প্রথম দেখায় সংগঠনের নামটি ধর্মীয় আবেগ জাগ্রত করার মতো হলেও বাস্তবে এটি ছিল চরমপন্থী গোষ্ঠীকে সংঘবদ্ধ করার একটি হাতিয়ার।

এরই ধারাবাহিকতায় পৌর বিএনপি’র সভাপতি আবুল কাশেম এবং গোয়ালন্দ থানা বিএনপি’র জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি আয়ুব আলী খানের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে গতকাল সংঘটিত হয় এক ভয়াবহ নৃশংসতা। তারা অনুসারীদের নিয়ে একটি পবিত্র মাজার ভেঙে ফেলে, এমনকি কবর থেকে লাশ তুলে উন্মত্ত উল্লাসে লাশ পোড়ানোর মতো মধ্যযুগীয় বর্বরতা প্রদর্শন করে। এই দৃশ্য শুধু স্থানীয় মানুষকে নয়, সমগ্র জাতিকে স্তম্ভিত করেছে।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বারবার ফিরে আসা একই চিত্র

এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বাংলাদেশের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যখনই জামায়াত–বিএনপি কিংবা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী গোষ্ঠী রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে অথবা প্রভাব বিস্তার করেছে, তখনই ধর্মীয় আচার–অনুষ্ঠান, আধ্যাত্মিক কেন্দ্র এবং মাজারের ওপর নৃশংস আঘাত নেমে এসেছে।

পাকিস্তান আমলে (১৯৪৭–৭১) তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সুফিবাদ ও মাজারভিত্তিক সংস্কৃতিকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়ে দমন করার চেষ্টা চালায়। মাদ্রাসাভিত্তিক কঠোর মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে তারা বাঙালি মুসলমানদের আধ্যাত্মিক চেতনা ক্ষুণ্ন করতে চেয়েছিল।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকার–আলবদর বাহিনী বহু মাজার ও দরগাহে হামলা চালায়, কারণ এগুলো ছিল মুক্তিকামী মানুষের মিলনস্থল। অনেক পীর–মাশায়েখ মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়ানোয় তাদেরও হত্যা করা হয়।

২০০১ সালে বিএনপি–জামায়াত সরকার গঠনের পর : সারা দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বহু পীর–আউলিয়ার মাজার ও আশ্রমে হামলা হয়। সন্ত্রাসীরা পীর–দরবেশদের হত্যার ঘটনাও ঘটায়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল ধর্মীয় উগ্রবাদী ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের যৌথ বহিঃপ্রকাশ।

ইউনূস গোষ্ঠীর সাম্প্রতিক ক্ষমতা দখলের পর : আবারও একই চিত্র ফিরে এসেছে। পীর–আউলিয়া, গাউস–কুতুবদের অসংখ্য মাজার শরীফ ও দরগাহ পরিকল্পিতভাবে ভাঙা, জ্বালানো ও অপবিত্র করা হচ্ছে।

এই ইতিহাস প্রমাণ করে, ধর্মের আড়ালে রাজনীতি করার নামে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি বারবার বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ওপর আঘাত হেনেছে।

ধর্মের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানো

ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যারা সাধু–বুজুর্গদের স্মৃতি ধ্বংস করছে, তাদের উদ্দেশ্য মোটেই ধর্মীয় নয়। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ‘তৌহিদি জনতা’ নামটি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় আবেগকে উত্তেজিত করা হচ্ছে। অথচ প্রকৃত সত্য হলো এটি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও জঙ্গিবাদী শক্তির পুনঃসংগঠনের কৌশল।

গোয়ালন্দের মাজার ভাঙচুর ও লাশ পোড়ানোর মতো ঘটনা শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়, এটি একটি জাতীয় সংকেত। এই বর্বরতা প্রমাণ করে, সুযোগ পেলেই জামায়াত–বিএনপি দেশকে ধর্মীয় উগ্রতা ও সাম্প্রদায়িক বিভাজনের অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায়।

বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধরে রাখতে হলে এসব চরমপন্থী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে। আমাদের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য ও ধর্মীয় সহনশীলতা রক্ষার মধ্য দিয়েই জাতীয় ঐক্য সংহত করা সম্ভব।

ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে জনগণের হৃদয়ে বেঁচে থাকা দল আওয়ামী লীগ ——বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার দল, জনগণের দল। বাংলাদেশ...
06/09/2025

ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে জনগণের হৃদয়ে বেঁচে থাকা দল আওয়ামী লীগ
——

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার দল, জনগণের দল।

বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে একটি সত্য অনস্বীকার্যভাবে সামনে আসে *আওয়ামী লীগের জন্ম না হলে আজকের বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বই থাকত না।**

যে দলের জন্ম না হলে আমরা হয়তো এখনো পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি থাকতাম। যে দলের জন্ম না হলে স্বাধীনতার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যেত। যে দলের জন্ম না হলে আজকের লাল-সবুজ পতাকা আকাশে উড়ত না, জাতিসংঘে উচ্চারিত হতো না বাংলাদেশের নাম, পদ্মা-মেঘনা-যমুনার তীরে স্বাধীনতার সীমানা টানা যেত না।

*মুক্তির মন্ত্র আওয়ামী লীগ*

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই বাঙালিকে মুক্তির মন্ত্র শিখিয়েছে। ভাষা আন্দোলন থেকে ছয় দফা, গণঅভ্যুত্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি সংগ্রামের মোড়ে এই দলের দিকনির্দেশনা জাতিকে পথ দেখিয়েছে।

৩০ লক্ষ শহীদের আত্মদান, দুই লক্ষ ৭৫ হাজার মা-বোনের সম্ভ্রমহানি, অসংখ্য মানুষের ত্যাগ সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধের ফলশ্রুতি। অথচ স্বাধীনতার পর প্রতিহিংসাপরায়ণ শক্তি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করেছে, জেলে চার জাতীয় নেতাকে নির্মমভাবে খুন করেছে। বারবার ষড়যন্ত্রে ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছে এই দলকে, কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিবারই ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

*উন্নয়নের প্রতীক আওয়ামী লীগ*

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়, মানুষের মুখে হাসি ফোটে। গরিব মানুষ পায় ভাতা, আশ্রয়হীন মানুষ পায় মাথা গোঁজার ঠাঁই। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ—সবই আওয়ামী লীগের সাহসী নেতৃত্বের ফসল।

কৃষক পায় সার, শ্রমিক পায় কাজ, শিক্ষার্থী পায় শিক্ষা, নারীরা পায় ক্ষমতায়নের সুযোগ। আওয়ামী লীগ মানে উন্নয়ন, মানে অগ্রগতি, মানে মানুষের জীবনে নতুন সম্ভাবনার আলো।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ নেমে যায় অন্ধকারে। মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় জুতার মালা পরানো হয়, সাংবাদিকদের মুখ চেপে ধরা হয়, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়, রাস্তায় কুকুর-শেয়াল মানুষের লাশ টেনে নিয়ে যায়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যখনই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে, তখনই দেশ পিছিয়ে পড়েছে, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

*জনগণের দল আওয়ামী লীগ*

আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক সংগঠন নয়, এটি এ দেশের মাটি ও মানুষের দল। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া বাংলাদেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটিতে এর শেকড় প্রোথিত। কৃষক, শ্রমিক, আবালবৃদ্ধ, ছাত্র-যুবক সবার হৃদয়ে এই দলের আসন।

ষড়যন্ত্র হয়েছে, হত্যার রাজনীতি হয়েছে, পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তবুও আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা যায়নি। কারণ আওয়ামী লীগের আসল শক্তি হলো জনগণ, আর সেই শক্তির কাছে কোনো ষড়যন্ত্র টিকতে পারে না।

*আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশ*

বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে আওয়ামী লীগকে বাদ দিলে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না ,না স্বাধীনতা, না মুক্তিযুদ্ধ, না পতাকা, না উন্নয়ন।

আওয়ামী লীগ মানেই স্বাধীনতার প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশ। এই সত্য আজও অমোঘ, ভবিষ্যতেও অস্বীকার করার উপায় নেই।

⁨রাজনৈতিক অস্থিরতার অর্থনৈতিক মূল্য : বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখন অস্থির হয়ে ওঠে, তখন সবচ...
06/09/2025

⁨রাজনৈতিক অস্থিরতার অর্থনৈতিক মূল্য : বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখন অস্থির হয়ে ওঠে, তখন সবচেয়ে বড় মূল্য দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। আজকের বাংলাদেশে আমরা সেই চিত্রই দেখতে পাচ্ছি। একদিকে রাজনৈতিক উত্তেজনা, অন্যদিকে অর্থনীতির নাজুক অবস্থা। এই দুইয়ের মিশ্রণে তৈরি হয়েছে এমন এক পরিস্থিতি যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ।

গত কয়েক মাসে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘাত এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ঘটনাগুলো যেন একটি বার্তাই দিচ্ছে - রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এখনও অধরা। এই অস্থিরতার সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে দেশের অর্থনীতি, আর তার প্রভাব পড়ছে কোটি কোটি সাধারণ মানুষের জীবনে।

অর্থনীতিবিদরা বরাবরই বলে আসছেন যে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই স্থিতিশীলতা কোথায়? যখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়, যখন রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে, তখন বিনিয়োগকারীরা কী করে আস্থা রাখবেন?

বাস্তবতা হলো, বিনিয়োগকারীরা এখন অপেক্ষার নীতি নিয়েছেন। তারা দেখতে চান রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যায়। এই অনিশ্চয়তার কারণে নতুন প্রকল্প শুরু হচ্ছে না, পুরোনো প্রকল্পগুলোও ঝুঁকির মুখে। ফলে কমে যাচ্ছে চাকরির সুযোগ, বাড়ছে বেকারত্ব।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৩.৯৭ শতাংশে। এটি গত দুই দশকে করোনাকাল ছাড়া সর্বনিম্ন। এই পরিসংখ্যানটি শুধু একটি সংখ্যা নয়, এটি লাখো মানুষের জীবনযাত্রার মানের সাথে জড়িত। প্রবৃদ্ধি কমে গেলে কমে যায় কর্মসংস্থান, কমে যায় আয়, বাড়ে দারিদ্র্য।

আরও গভীর উদ্বেগের বিষয় হলো, সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে তা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। কাকরাইলের ঘটনায় সেনাবাহিনীর সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং বেসামরিক নেতাদের ওপর লাঠিপেটার ঘটনা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। একটি দেশে যখন সেনাবাহিনী রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে সরাসরি নেমে পড়ে, তখন সেই দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। জুন শেষে এই প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৬.৪ শতাংশ। এর মানে হলো, ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। তারা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।

বিষয়টি আরও গভীর হয় যখন আমরা দেখি যে, মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ। এর মানে হলো, শিল্পপতিরা নতুন যন্ত্রপাতি কিনছেন না, কারখানার আধুনিকায়ন বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘমেয়াদে এটি দেশের উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেবে।

সবচেয়ে হৃদয়বিদারক তথ্য হলো দারিদ্র্যের বিস্তার। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের গবেষণা বলছে, দেশের ৩৮ শতাংশ শ্রমশক্তি এখন আংশিক কর্মসংস্থানে যুক্ত। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর আরও ৩০ লাখ মানুষ অতি দরিদ্র হবে। মানে দেশে অতি দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৯.৩ শতাংশে পৌঁছাবে।

এই পরিস্থিতির মূল দায় কিন্তু বর্তমান নেতৃত্বের ওপরই বর্তায়। এক বছর ক্ষমতায় থেকেও তারা দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে পারেনি। বরং প্রতিদিনই নতুন নতুন সংকটের জন্ম দিচ্ছে। যে সরকার নিজেকে 'সংস্কারক' বলে দাবি করে, সেই সরকারের আমলেই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুই দশকের সর্বনিম্নে নেমেছে।

এই পরিসংখ্যানগুলোর পেছনে রয়েছে লাখো পরিবারের দুর্দশা। যে বাবা কয়েক মাস ধরে চাকরি খুঁজে পাচ্ছেন না, যে মা সন্তানের দুধের টাকা জোগাড় করতে পারছেন না, যে তরুণ স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়েছিল কিন্তু কোথাও সুযোগ পাচ্ছে না - তাদের কথা ভেবে দেখুন।

রাজনৈতিক দলগুলো যখন নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে ব্যস্ত, তখন এই সাধারণ মানুষের কথা কে ভাবে? যখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অশান্তি চলে, তখন শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়। আর শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হলে ভবিষ্যত প্রজন্মের ক্ষতি হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দাবি করছে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অদৃশ্য এই সব আলাপ কাগজে-কলমে দেখতেই কেবল ভালো লাগে। কিন্তু মূল সমস্যা হলো, এক বছরেও এই সরকার একটি স্পষ্ট অর্থনৈতিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেনি। প্রধান উপদেষ্টার অর্থনৈতিক পরিকল্পনা কী? কোন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন? এই মৌলিক প্রশ্নগুলোর উত্তর এখনও অস্পষ্ট।

সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো রাজনৈতিক সংলাপের ক্ষেত্রে। যেখানে দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে, সেখানে নেতৃত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কার্যকর সংলাপ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। কাকরাইলের ঘটনার পর বিচার বিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা দিয়ে আপাতত সময় কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু মূল সমস্যার সমাধান কোথায়?

আগামী নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতে। নির্বাচন কমিশন একে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ নির্বাচন বলেছে। এই ঝুঁকি শুধু নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য নয়, পুরো দেশের অর্থনীতির জন্যও। যদি নির্বাচনের আগে বা পরে সহিংসতা হয়, তাহলে বিদেশি ক্রেতারা অর্ডার বাতিল করবে, বিনিয়োগকারীরা আরও সতর্ক হয়ে যাবে।

রফতানিমুখী শিল্পগুলো বিশেষভাবে চিন্তিত। তৈরি পোশাক শিল্প, যেটি দেশের রফতানি আয়ের সবচেয়ে বড় অংশ, সেখানে ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তারা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্ডার দেওয়ায় সতর্ক হয়ে পড়েছেন।

শেয়ারবাজারেও এই অনিশ্চয়তার প্রভাব পড়েছে। অনেক কোম্পানি গত বছর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।

এই পরিস্থিতির সমাধান কী?
সবার আগে ইউনুস-খলিল গংয়ের দখলদার অবৈধ সরকারকে বুঝতে হবে যে, তাদের প্রতিটি কাজ দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে। যখন তারা সংঘাতের পথ বেছে নেন, তখন হাজারো পরিবারে অভাব নেমে আসে। যখন তারা অস্থিরতা সৃষ্টি করেন, তখন বেকারত্ব বাড়ে।

দেশের ব্যবসায়ীরা এখন একটি স্থিতিশীল সরকারের অপেক্ষায়। তারা বিনিয়োগ করতে চান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চান। কিন্তু রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে তারা পারছেন না।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনের কথায়, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা যত বাড়বে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা তত কমবে। এই আস্থার অভাবে রফতানি, আমদানি, এমনকি ব্যাংকিং খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের মোস্তাফিজুর রহমান সঠিকই বলেছেন, বিনিয়োগ চাঙা করতে হলে একটি ভালো নির্বাচন দরকার। বিনিয়োগকারীরা একটি স্থিতিশীল সরকারের নিশ্চয়তা চায়।

এখন সময় এসেছে সবার একসাথে ভাবার। ইউনুস-খলিলকে বুঝতে হবে যে, তাদের দায়বদ্ধতা শুধু ক্ষমতা দখল নয়, দেশের মানুষের কল্যাণও। অর্থনীতির এই নাজুক অবস্থায় আর কোনো অস্থিরতার সুযোগ নেই।

দেশের ভবিষ্যত নির্ভর করছে আগামী কয়েক মাসের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর। যদি সহিংসতা ও অস্থিরতা অব্যাহত থাকে, তাহলে আরও গভীর সংকটের দিকে যেতে হবে। কারণ অর্থনীতির এই ক্ষত সারাতে সময় লাগবে, কিন্তু আরও ক্ষত সৃষ্টি করতে সময় লাগে না।

বর্বরোচিত ঘটনা: বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পোড়ানোর অভিযোগরাজবাড়ী প্রতিনিধি:র...
06/09/2025

বর্বরোচিত ঘটনা: বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে পোড়ানোর অভিযোগ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক বর্বরোচিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে "নূরাল পাগলা" নামে পরিচিত এক ব্যক্তির লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য, উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, "ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটি" নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এই হামলা চালানো হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের প্রভাবশালী নেতারা। প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, এই কমিটির সদস্য সচিব হলেন গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী খান।

এই হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করা হচ্ছে। কারণ, ঘটনার কিছুদিন আগেই (৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) এই "ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটি" একটি সংবাদ সম্মেলন করে নুরাল পাগলার কবর উচ্ছেদের হুমকি দিয়েছিল। সেই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, কমিটির সদস্য খন্দকার আবদুল মুহিত এবং সাইদুল সরদারসহ অন্যান্য আলেম-ওলামারা।

আরও জানা যায়, জেলা জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন এবং তার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরাও যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি পরিকল্পিত হামলাকে "তৌহিদি জনতা"র স্বতঃস্ফূর্ত কাজ বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অনেকে মত দিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এলাকার সাধারণ মানুষ এই পৈশাচিক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এর নেপথ্যে থাকা অভিযুক্ত সকল নেতা-কর্মীকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

#রাজবাড়ী #গোয়ালন্দ #নুরালপাগলা #বর্বরোচিত #মানবাধিকারলঙ্ঘন #বিএনপি_জামায়াত

আজ আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ- পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যুর পুণ্যময় দ...
06/09/2025

আজ আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ- পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যুর পুণ্যময় দিন।

অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার 'আইয়ামে জাহেলিয়াহ' যুগের অবসান ঘটিয়ে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ্তায়ালা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।

বর্তমানে সারাদেশে ইসলামের নামে বিশৃঙ্খলা, হত্যা, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, মসজিদ ও মাজার ভাঙচুর এবং সাম্প্রতিক সময়ে রাজবাড়ির গোয়ালন্দে কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার নৃশংস ঘটনা মহানবী(সা.) এর আগমনের পূর্বের সেই অন্ধকার বর্বর যুগের দিকে দেশকে ক্রমশ ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

দেশজুড়ে চলমান উগ্রবাদের আস্ফালন অচিরেই বন্ধ হোক, মহানবী হজরত মুহাম্মদ(সা.) এর আদর্শ ও শিক্ষা অনুসরণে শান্তি বিরাজমান হোক সকলের মাঝে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(সা.) এর আন্তরিক মোবারকবাদ

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশকে নোবেল জয়ী ইউনুসের উপহারন্যায্য পাওনা চেয়ে সরকারের হাতে খুন হলো পোশাকশ্রমিক। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ২৪টি কারখানা...
05/09/2025

বাংলাদেশকে নোবেল জয়ী ইউনুসের উপহার
ন্যায্য পাওনা চেয়ে সরকারের হাতে খুন হলো পোশাকশ্রমিক।
বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ২৪টি কারখানা।
-----

এ এক অভূতপূর্ব দুঃশাসনে ডুবছে সোনার বাংলা

মানবিক কর্মপরিবেশের আশায় ২৩ দফা দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ন প্রতিবাদ করছিলেন নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে এভার গ্রিন প্রোডাক্ট ফ্যাক্টরি (বিডি) লিমিটেডের শ্রমিকেরা। সেই প্রতিবাদ কর্মসুচিতে মঙ্গলবার ২ সেপ্টেম্বর সরকারের পেটুয়াবাহিনী ও সেনাবাহিনীর আক্রমণে নিহত হয়েছেন হাবিব নামের এক পোশাক শ্রমিক। সারারাত নাইটিডিউটি করে সকালে বাড়ি ফেরার পথে সরকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান তিনি, আহত হন আরো ছয় জন। এই ঘটনার পর ৩ সেপ্টেম্বর উত্তরা ইপিজেড এর ২৪টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত এক বছরে নোবেল বিজয়ী ইউনুস এর কৃতিত্বপূর্ণ নেতৃত্বে বন্ধ হয়েছে শত শত রপ্তানীমুখী ও দেশীয় শিল্প কারখানা। বেকার হয়েছে কমপক্ষে ৫ লক্ষ মানুষ। এক বছর পরে শুরু হলো গুলি বর্ষণের নিয়ম। যে শ্রমিকের ঘামে তৈরি হয়েছে বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনিতির দেশ বাংলাদেশ, যে পোশাকশ্রমিকদের শ্রমের বিনিময়ে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে বাংলাদেশ, সেই শ্রমিকদের খুন করে- শিল্প কারখানা বন্ধ করে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিতে চায় সুদখোর, গরীবের রক্তচোষা ইউনুস। দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করে বৈদেশিক শক্তির হাতে দেশকে তুলে দিয়ে নিজের এসাইনমেন্ট শেষ করার কাজ করছে ইউনুস। এরপর আবারো লাখ ডলারের টিকেট বেচে টেড টক-সেমিনার করার জীবনে ফিরে যাবে সে, কিন্তু এই দেশের কি হবে? দেশের মানুষের কি হবে?
শ্রমিকদের রক্তের বদলা নিতে হবে
এই দেশকে পশ্চিমা তাঁবেদারের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে
সোনার বাংলার সোনার মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা বরদাস্ত করা হবে না

আদালতকে নগ্নভাবে ব্যবহার করে মানবতাবিরোধী, ষড়যন্ত্রমূলক গণহত্যার রাজনীতিকে বৈধতা দেওয়ার নজিরবিহীন উদাহরণের বিরুদ্ধে তীব্...
05/09/2025

আদালতকে নগ্নভাবে ব্যবহার করে মানবতাবিরোধী, ষড়যন্ত্রমূলক গণহত্যার রাজনীতিকে বৈধতা দেওয়ার নজিরবিহীন উদাহরণের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি
——

সমগ্র বাংলাদেশ ও দেশবাসী সাক্ষী ২১শে আগস্টের ভয়াবহ নারকীয় গ্রেনেড হামলার। সেদিন মানবঘাতী গ্রেনেড আর বুলেটের মাধ্যমে গণতন্ত্রের স্বর্ণদুয়ারকে রুদ্ধ করে দেওয়ার অপচেষ্টা হয়েছিল। এটি ছিল গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির কফিনে শেষ পেরেক। গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার শান্তি ও গণতন্ত্রের রাজনীতিকে গ্রেনেড দিয়ে স্তব্ধ করে দেওয়ার চূড়ান্ত নীলনকশার বাস্তবায়ন করার নিকৃষ্টতম অপতৎপরতা ছিল। এটি ছিল জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস ও ঘৃণ্য রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞ। এ হামলার মূল লক্ষ্য ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করা। যেখানে ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটে এবং শত শত মানুষ গুরুতরভাবে আহত হন, যারা গ্রেনেডের স্প্লিন্টার শরীরে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

কিন্তু জাতির গভীর দুঃখ ও ক্ষোভের বিষয় যে, এ মামলার দণ্ডপ্রাপ্তদের আপিল বিভাগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এর আগে হাইকোর্ট বিভাগও একই কায়দায় দণ্ডপ্রাপ্তদের খালাস দেয়। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, বর্তমানে বাংলাদেশে আদালত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না করে, বরং বিচারপ্রার্থীর অধিকার ক্ষুণ্ণ করছে। আদালতকে ব্যবহার করে প্রকাশ্য দিবালোকে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত আসামীদের বেকসুর খালাস দেওয়া হচ্ছে। কী নির্মম ও নিষ্ঠুর ব্যাপার! নারকীয় ঘটনার ফলে নিদারুণ হতাহতের দায় তাহলে কার? এই প্রশ্নের জবাবের দায় আদালতের উপর বর্তায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে, এই রায় শুধু ন্যায়বিচারের পরিপন্থী নয়, বরং হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে বৈধতা দেওয়ার এক অশুভ সংকেত। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নস্যাৎ করার মাধ্যমে মানবসভ্যতার সামনে এক নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক ইতিহাস সৃষ্টি করা হয়েছে। আদালতকে ব্যবহার করে হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দেওয়ার এই ঘটনা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের প্রতি নির্মম প্রহসন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং স্পষ্ট করে জানাচ্ছে যে, ২১শে আগস্টের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের তামাশাপূর্ণ এই রায় বাংলাদেশকে গভীর খাদের কিনারায় নিয়ে যাবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র অকার্যকর হওয়ার একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে থাকবে। জনগণের মনে রাষ্ট্রের কার্যকরিতা, ন্যায়বিচার ও নাগরিক অধিকার পাওয়া নিয়ে অবিশ্বাসের জন্ম হবে। জনগণের এতো বিশাল অনাস্থা ও অবিশ্বাস নিয়ে বাংলাদেশ কোনোভাবেই সামনে আগাতে পারবে না।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে, রাষ্ট্রের বাইরেও দেশের জনগণের সমাজ রয়েছে। যে সমাজে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ। মানবিক সম্পর্কের আবেগে সিক্ত সেই বৃহৎ হৃদয়কে আদালতের এই ফরমায়েশি রায় আহত ও ক্ষুব্ধ করে তুলবে। মানবতাবাদী ও গণতন্ত্রপ্রেমী দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে আমাদের সর্বাত্মক লড়াই ও সংগ্রাম চলমান থাকবে এবং আবার কোনো একদিন সোনালি সূর্যোদয়ের মাধ্যমে বিচারহারা মানুষগুলো ন্যায়বিচার পাবে। বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়াটাই আমাদের রাজনৈতিক সংগ্রামের অবিচল প্রত্যয়। আমরা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকার করছি যে, জাতির ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায়ের বিচার একদিন অবশ্যই বাংলার মাটিতে কার্যকর হবেই হবে, ইনশাল্লাহ।

জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও যাবজ্জীবন দ...
05/09/2025

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি ভয়াল ও নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের দিন হিসেবে পরিচিত। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশের সময় তৎকালীন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জঙ্গিগোষ্ঠী নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালায়। এই হামলায় নিহত হন ২৬ জন নেতাকর্মী, গুরুতর আহত হন প্রায় ৩০০ জন, যাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব ঘটনা আদালতে প্রমাণ হওয়ার পরেও শুধু রাজনৈতিক কারণে এই বিচারকে প্রহসনে পরিণত করা হলো।

ফ্যাসিস্ট ইউনুসের প্রশাসনিক মব সন্ত্রাসের শিকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা - কর্মীরা। আমাদের সংগ্রাম চলবে...
05/09/2025

ফ্যাসিস্ট ইউনুসের প্রশাসনিক মব সন্ত্রাসের শিকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা - কর্মীরা।

আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
দাবায়া রাখবে পারবানা না।

-----------------------------------------

- পাবনার আমিনপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সজিবুল হক রানা
- যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন শাওন
- হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজ উদ্দিন রুবেল
- যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মো. আরিফ হোসেন
- তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. কাজী আবু দাউদ লালন
- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক পাঠাগার বিষয়ক উপসম্পাদক মো. মোখলেসুর রহমান মুকুল
- শাহবাগ থানা যুবলীগের সভাপতি মো. মোস্তফা
- আওয়ামী লীগ কৃষি ও সমবায়বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য মো. নাসিরুল কবির কায়েম
- মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাওন কুমার দাস
- মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হোসেন
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুর রউফ সোহেল
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো. মাহফুজ হোসেন
- ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. জহুরুল ইসলাম
- ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মো. রায়হান রনি
- রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম তৌহিদ আল হোসেন তুহিন

সংস্কারের নামে গণ গ্রেফতারের এইসব প্রহসন ও আইন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।

Address

Noakhali Sadar Upazila

Telephone

+8801615955735

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বাংলাদেশ ছাএলীগ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share