Natural Mehendi - ন্যাচারাল মেহেন্দি

Natural Mehendi - ন্যাচারাল মেহেন্দি 🍃100% Natural and Authentic 🍃

31/03/2024

লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত ঃ
আজ ২০ রমজান। মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) মহিমান্বিত রজনী বা লাইলাতুল কদর তালাশ করার জন্য সম্ভাব্য যে পাঁচটি বেজোড় রাতের উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে আজকের দিবাগত সাতাশের রাতটি অন্যতম। মুসলমানদের কাছে শবে কদর অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। এ উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা, মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
‘লাইলাতুল কদর’ আরবি শব্দ। শবে কদর হলো ‘লাইলাতুল কদর’-এর ফারসি পরিভাষা। ‘শব’ অর্থ রাত আর আরবি ‘লাইলাতুন’ শব্দের অর্থও রাত বা রজনী। কদর অর্থ সম্মানিত, মহিমান্বিত। সুতরাং লাইলাতুল কদরের অর্থ সম্মানিত রজনী বা মহিমান্বিত রজনী।
লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত
পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদিস দ্বারা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ‘শবে বরাত’ ও শবে বরাতের হাদিসগুলোর বর্ণনা নিয়ে হাদিস বিশেষজ্ঞ ও ফকিহদের মধ্যে যে সংশয় রয়েছে। লাইলাতুল কদরের ব্যাপারে তার কোনোই অবকাশ নেই। পবিত্র কুরআন, নির্ভরযোগ্য হাদিস ও রাসূলুল্লাহ সা:-এর লাইলাতুল কদরের জন্য গৃহীত কর্মতৎপরতা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ সম্মানিত রজনীর গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি এ কুরআনকে কদরের রাতে নাজিল করেছি। তুমি কি জানো কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাস থেতেও উত্তম ও কল্যাণময়’ (সূরা আল কদর : ১-৩)। এই রাত কোন মাসে ? এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, ‘রমজান এমন মাস যাতে কুরআন নাজিল হয়েছে’ (সূরা বাকারা : ১৮৫)। এই রাত রমজানের কোন তারিখে? রাসূলুল্লাহ সা: একটি রহস্যময় কারণে তারিখটি সুনির্দিষ্ট করেননি। ইমাম বুখারি, ইমাম মুসলিম, ইমাম আহমদ ও ইমাম তিরমিজি কর্তৃক বর্র্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে- হজরত আয়েশা রা: বর্ণনা করেছেন, নবী করিম সা: বলেছেন, ‘কদরের রাতকে রমজানের শেষ দশ রাতের কোন বেজোড় রাতে খোঁজ করো।’
হজরত আবু বকর রা: ও হজরত আবব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত হাদিস থেকেও এই একই ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। অবশ্য কোনো কোনো ইসলামী মনীষী নিজস্ব ইজতিহাদ, গবেষণা, গাণিতিক বিশ্লেষণ ইত্যাদির মাধ্যামে রমজানের ২৭ তারিখের রাতে (অর্থাৎ ২৬ রোজার দিবাগত রাতে) শবে কদর হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা জোর দিয়ে বলেছেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সা: এটাকে সুনির্দিষ্ট করেননি; বরং কষ্ট করে খুঁজে নিতে বলেছেন।
মহিমান্বিত এ রাতকে মহান আল্লাহ রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লুকিয়ে রেখেছেন। বান্দাহ বিনিদ্র্র রজনী কাটাবে, সবর করবে এর মধ্যে খুঁজে পাবে সম্মানিত রাত, পাবে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত; ফেরেশতার অদৃশ্য মোলাকাতে সিক্ত হবে তার হৃদয়, আপন রবের ভালোবাসায় হবে সে উদ্বেলিত। এ যেন দীর্ঘ বিরহের পর আপনজনকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ। এ দীর্ঘ প্রতিক্ষার কষ্ট-বিরহের মাধ্যমে রব তার বান্দাহকে আরো আপন করে নেন। কাজেই শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইবাদতে মশগুল হতে হবে। প্রতিটি রাতকেই লাইলাতুল কদর মনে করতে হবে। তা হলে লাইলাতুল কদর আল্লাহর মেহেরবানিতে হাতছাড়া হবে না ইনশাআল্লাহ। রমজানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখের রাতগুলোই ( অর্থাৎ ২০, ২২, ২৪, ২৬ ও ২৮ শে রোজার দিবাগত রাত ) হলো শেষ দশকের বেজোড় রাত।
এ রাতের আর একটি গুরুত্ব হলো- এ পবিত্র রাতেই কুরআন নাজিল হয়েছে। আর এই কুরআনের সাথেই মানুষের ভাগ্য জড়িয়ে আছে। এ জন্য কদরের আর একটি অর্থ হলো ভাগ্য। তা হলে লাইলাতুল কদরের অর্থ হয় ভাগ্যরজনী।
লাইলাতুল কদরের ফজিল
এ রাত হাজার মাস থেকে উত্তম ও কল্যাণময় (কুরআন)। এ রাতেই পবিত্র কুরআন নাজিল করা হয়েছে (কুরআন)। এ রাতে ফেরেশতা নাজিল হয় এবং আবেদ বান্দাহদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে। ফজর পর্যন্ত এ রাতে পুরোপুরি শান্তি ও নিরাপত্তার (কুরআন)। এ রাতে প্রত্যেকটি ব্যাপারে অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত ও সুদৃঢ় ফায়সালা জারি করা হয় (কুরাআন)। এ রাতে ইবাদতে মশগুল বান্দাহদের জন্য অবতরণকৃত ফেরেশতারা দোয়া করেন (হাদিস)।
গুনাহ মাফ
‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান সহকারে ও আল্লাহর কাছ থেকে বড় শুভফল লাভের আশায় ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, তার পেছনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে’ (বুখারি ও মুসলিম)। এ রাতের কল্যাণ থেকে একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়া আর কেউ বঞ্চিত হয় না (ইবনে মাজাহ ও মিশকাত)।
কিয়ামুল লাইল
‘কিয়ামুল লাইল’ অর্থ হলো রাত্রি জাগরণ। মহান আল্লাহর জন্য আরামের ঘুম স্বেচ্ছায় হারাম করে রাত জেগে ইবাদত করা আল্লাহর প্রিয় বান্দাহদের একটি গুণ। মহান আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাহদের পরিচয় দিয়েছেন এভাবে- ‘তারা রাত্রি যাপন করে রবের উদ্দেশে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে থেকে’ (সূরা ফুরকান : ৬৪)।
‘তাদের পার্শ দেশ বিছানা থেকে পৃথক থাকে (অর্থাৎ তারা শয্যা গ্রহণ করে না ; বরং এবাদতে মশগুল থাকে)। তারা গজবের ভয়ে এবং রহমতের আশায় তাদের রবকে ডাকতে থাকে এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে দান করে থাকে। কেউ জানে না। তাদের আমালের পুরস্কারস্বরূপ (আখিরাতে) তাদের জন্য কী জিনিস গোপনে রাখা হয়েছে’ (সূরা সিজদা : ১৬-১৭)।
আল্লাহর প্রিয় বান্দাহরা গোটা জীবনই এভাবে কাটান। আমাদের সে জীবনে প্রবেশ করতে হলে দরকার অধ্যবসায়। পবিত্র রমজান, বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধানের প্রচেষ্টা আমাদের ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে।
মুসনাদে আহমেদ গ্রন্থে হজরত ওবায়দা ইবনে সামেত বর্ণিত হাসিসে উদ্ধৃত হয়েছে- ’নবী করিম সা: বলেছেন- ‘কদরের রাত রমজান মাসের শেষ দশ রাতে রয়েছে। যে ব্যক্তি এর শুভফল লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, আল্লাহ তার আগের ও পেছনের গুনাহ মাফ করে দেবেন।’
রাসূল সা: রমজানের শেষ দশ দিন মসজিদে ইতেকাফে থাকতেন এবং ইবাদতে গভীর মনোনিবেশ করতেন।
কাজেই আমরা কোনো একটা বিশেষ রাতকে নির্দিষ্ট না করে হাদিস অনুযায়ী অন্তত রমজানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য লাভের আশায় ইবাদতে মশগুল হই। আমরা এতে অবহেলা করলে হাদিসের ভাষায় হতভাগ্য হিসেবে চিহ্নিত হবো। রাসূল সা: বলেন- ‘যে ব্যক্তি এ রাত থেকে বঞ্চিত হবে সে সমগ্র কল্যাণ ও বরকত থেকে বঞ্চিত হবে। এর কল্যাণ থেকে একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়া আর কেউ বঞ্চিত হয় না’ (মিশকাত)।
এ রাতে আমাদের করণীয়
কুরআন অধ্যয়ন
এ রাতে পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। মানবজাতির এই বিরাট নিয়ামতের কারণেই এ রাতের এত মর্যাদা ও ফজিলত। এই কুরআনকে ধারণ করলেই মানুষ সম্মানিত হবে, একটি দেশ ও জাতি মর্যাদাবান হবে; গোটা জাতির ভাগ্য বদলে যাবে। কাজেই এ রাতে অর্থ বুঝে কুরআন পড়তে হবে। কুরআনের শিক্ষাকে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠার শপথ গ্রহণ করতে হবে। বাছাইকৃত কিছু আয়াত এ রাতে মুখস্থও করা যেতে পারে। যাদের কুরআনের ওপর প্রয়োজনীয় জ্ঞান রয়েছে তারা এ রাতে একটি দারসও প্রস্তুত করতে পারেন। কুরআনের এ গভীর অধ্যয়ন আমাদের সৌভগ্যের দ্বার খুলে দেবে।
হাদিস থেকে জানা যায়, রাতে এক ঘণ্টা গবেষণামূলক ইসলামী গ্রন্থ অধ্যয়ন সারা রাত জেগে ইবাদত করার চেয়েও উত্তম। এর মর্তবা হলো- সাধারণ রাতের জন্য আর এ পবিত্র রজনীতে কুরআন অধ্যয়নের ফজিলত কল্পনা করাই কঠিন।
নফল নামাজ
ন্যূনতম আট রাকাত থেকে যত সম্ভব পড়া যেতে পারে। এ জন্য সাধারণ সুন্নতের নিয়মে ‘দুই রাকাত নফল পড়ছি’ এ নিয়তে নামাজ শুরু করে শেষ করতে হবে। এ জন্য সূরা ফাতেহার সাথে আপনার জানা যেকোনো সূরা মেলালেই চলবে। বাজারে প্রচলিত কিছু বইতে ৩৩ বার সূরা আল কদর, ৩৩ বার ইখলাস ইত্যাদি উল্লেখ করে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। হজরত আশ্রাফ আলী থানবি র:, মাওলানা ইউসুফ ইসলাহী র: এবং এ পর্যায়ের বরেণ্য ফকিহরা এগুলো জরুরি মনে করেন না। এ ছাড়া সালাতুল তওবা, সালাতুল হাজত, সালাতুল তাসবিহ নামাজও আপনি পড়তে পারেন।
জিকির ও দোয়া
হাদিসে যে দোয়া ও জিকিরের অধিক ফজিলতের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো থেকে কয়েকটি নির্বাচিত করে অর্থ বুঝে বারবার পড়া যেতে পারে। ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) ও দরুদ আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। কমপক্ষে ১০০ বার ইস্তেগফার ও ১০০ বার দরুদ পড়া যেতে পারে। হজরত আয়েশা রা: বলেন- আমি রাসূলুল্লাহ সা:-কে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ, যদি কোনো প্রকারে আমি জানতে পারি রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে কী দোয়া করব? জবাবে নবী সা: বলেন, এই দোয়া পড়বে- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুব্বুন কারিমুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! তুমি বড়ই মাফ করনেওয়ালা এবং বড়ই অনুগ্রহশীল। মাফ করে দেয়াই তুমি পছন্দ করো। অতএব, তুমি আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দাও।’ হজরত আয়েশা রা:-কে শেখানো দোয়া আমরা আবেগের সাথে বারবার পড়ব।
আত্মসমালোচনা
আত্মসমালোচনা অর্থ আত্মবিচার। অর্থাৎ, আপনি নিজেই নিজের পর্যালোচনা করুন।। জীবনের ফেলে আসা দিনগুলোতে আল্লাহর কতগুলো হুকুম অমান্য করেছেন, আল্লাহর ফরজ ও ওয়াজিবগুলো কতটা পালন করেছেন এবং তা কতটা নিষ্ঠার সাথে করেছেন, ইচ্ছা ও অনিচ্ছায় কী কী বড় গুনাহ আপনি করে ফেলেছেন, আল্লাহর গোলাম হিসেবে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় আপনি কতটুকু ভূমিকা রেখেছেন- এগুলো ভাবুন, যা কিছু ভালো করেছেন তার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন, আর যা হয়নি তার জন্য আল্লাহর ভয় মনে পয়দা করুন, সত্যিকার তওবা করুন। এ রাতে নীরবে-নিভৃতে কিছুটা সময় এ আত্মসমালোচনা করুন দেখবেন আপনি সঠিক পথ খুঁজে পাবেন। আত্মসমালোচনা আমাদের বিবেককে জাগিয়ে তুলবে। আত্মসমালোচনা আত্মশুদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
মহান আল্লাহ বলেন- ‘হে ঈমানদার লোকেরা, আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করো এবং প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত আগামী কালের জন্য (পরকাল) সে কী প্রেরণ করেছে, তা চিন্তা করা’(সূরা হাশর :১৮)।
মুনাজাত
মুনাজাতের মাধ্যমে বান্দাহর বন্দেগি ও আল্লাহর রবুবিয়াতের প্রকাশ ঘটে। বান্দাহ তার প্রভুর কাছে চায়। প্রভু এতে ভীষণ খুশি হন। মহন আল্লাহ তার বান্দাহর প্রতি এতটাই অনুগ্রহশীল যে, তিনি তার কাছে না চাইলে অসস্তুষ্ট হন। ‘যে আল্লাহর কাছে কিছু চায় না আল্লাহ তার ওপর রাগ করেন’ (তিরমিজি)। ‘দোয়া ইবাদতের মূল’ (আল হাদিস)। ‘যার জন্য দোয়ার দরজা খোলা তার জন্য রহমতের দরজাও খোলা রয়েছে’ (তিরমিজি)।
কাজেই আমরা কায়মনোবাক্যে আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করব, ক্ষমা চাইব, রহমত চাইব, জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাইব। মনের আবেগ নিয়ে চাইব। চোখের পানি ফেলে চাইব। আল্লাহ আমাদের হাত খালি হাতে ফেরাবেন না ইনশাআল্লাহ। রাসূল সা:-এর বাণী আশার আলো জ্বেলে দেয় হৃদয়ে। রাসূল সা: বলেছেন- ‘তোমাদের পরওয়ারদিগার লজ্জাশীল ও দাতা; লজ্জাবোধ করেন যখন তাঁর বান্দাহ তার কাছে দুই হাত ওঠায়, তখন তা খালি ফিরিয়ে দিতে’ (তিরমিজি, আবু দাউদ, বায়হাকি-দাওয়াতে কবির)।
উপরিউক্ত আমলের মাধ্যমে আমরা এ পবিত্র রাতগুলো কাটাতে পারি। লাইলাতুল কদর পাওয়ার তামান্না নিয়ে নিষ্ঠার সাথে অনুসন্ধান করলে আল্লাহ আমাদের বঞ্চিত করবেন না ইনশাআল্লাহ। অবশ্য নফল ইবাদত নীরবে-নিভৃতে ঘরে আদায় করাই মাসনুন। এতে আমাদের ইবাদত রিয়া (প্রদর্শন ইচ্ছা) দোষে দুষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। এ পবিত্র রাতে কিছু অনাকক্সিক্ষত কাজ হতে দেখা যায়। এগুলো বন্ধ করার জন্য গঠনমূলক পদক্ষেপ নেয়া দরকার।

31/03/2024

‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান সহকারে ও আল্লাহর কাছ থেকে বড় শুভফল লাভের আশায় ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, তার পেছনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে’ (বুখারি ও মুসলিম)। এ রাতের কল্যাণ থেকে একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়া আর কেউ বঞ্চিত হয় না (ইবনে মাজাহ ও মিশকাত)।

31/03/2024

হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আমি রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসূল আমি যদি কদরের রাত সম্পর্কে অবহিত হতে পারি তবে আমি কি করব? তখন রাসূল (সা.) আমাকে এই দুয়া পাঠ করার জন্য বললেন। ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি’। (তিরমিজি, হাদিস নং : ৩৫১)।

31/03/2024

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যদি কেউ লাইলাতুল কদর খুঁজতে চায় তবে সে যেন তা রমজনের শেষ দশ রাত্রিতে খোঁজ করে। (মুসলিম, হাদিস নং : ৮২৩)

31/03/2024

রাসূল (সা.) আরও বলেন, ‘রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ কর। (মুসলিম, হাদিস নং: ১১৬৯)

চুলের যত্নে রিঠাঃ১।  রিঠা চুলের ডগা ফাটা বন্ধ করে২ । মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে৩ । চুলের ঘনত্ব বাড়ে।৪।  চুল পড়া...
22/03/2024

চুলের যত্নে রিঠাঃ

১। রিঠা চুলের ডগা ফাটা বন্ধ করে
২ । মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে
৩ । চুলের ঘনত্ব বাড়ে।
৪। চুল পড়া কমে
৫। উকুনের সমস্যা সমাধান হয়
৬। কন্ডিশনার ব্যবহার করার দরকার হয় না
৭। চুল ভালো ও মজবুত থাকে
৮। কোঁকড়া চুল সোজা হয়
৯ । চুল নরম ও মসৃণ করে
১০। নতুন চুল গজায়।

প্রাচীনকাল থেকে চুলের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মেথি। চুল পড়া বন্ধের পাশাপাশি ঘন কালো ও উজ্জ্বল চুলের জন্য মেথিদানা কার্যকর...
18/03/2024

প্রাচীনকাল থেকে চুলের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মেথি। চুল পড়া বন্ধের পাশাপাশি ঘন কালো ও উজ্জ্বল চুলের জন্য মেথিদানা কার্যকর একটি উপাদান। উপকারী এই দানায় রয়েছে চুল ভালো রাখার মতো একাধিক উপাদান। চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে কাজ করে মেথি।

আপনি যদি সহজেই সুন্দর চুল পেতে চান, তবে মেথি ব্যবহার করতে পারেন। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক চুলের যত্নে মেথির কয়েকটি ব্যবহার।
মেথিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, কে ও সি। এ ছাড়া মেথিতে থাকে ফলিক এসিড, পটাসয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন ও প্রোটিন।

যে কারণে এটি চুল ভালো রাখতে এবং মাথার ত্বকের সুস্থতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। আমাদের সবার দিনে ১০০টা পর্যন্ত চুল ওঠা স্বাভাবিক। কিন্তু এর বেশি পরিমাণে চুল উঠলে বুঝতে হবে আপনার চুলের পুষ্টির প্রয়োজন।
গবেষকদের মতে, চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করার পাশাপাশি চুল পড়া কমানো এবং প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে এটি।

চুলের জন্য শিকাকাই এর ব্যবহার :   ১। শ্যাম্পু হিসেবেশিকাকাই এর পাউডার পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে লাগি...
18/03/2024

চুলের জন্য শিকাকাই এর ব্যবহার :

১। শ্যাম্পু হিসেবে

শিকাকাই এর পাউডার পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে লাগিয়ে ২ মিনিট ঘষুন। তবে এতে সাবান বা শ্যাম্পুর মত ফেনা হবেনা কিন্তু আপনার চুল ঠিকই পরিষ্কার হবে। প্রথম প্রথম ব্যবহারের ফলে চুল রুক্ষ মনে হতে পারে। এই অবস্থা ঠিক করার জন্য চুল ধোয়ার পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন বা সামান্য তেল ব্যবহার করতে পারেন।

শিকাকাই, রিঠা ও শুকনো আমলা সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে গরম করে নিন যতক্ষণ না শিকাকাই নরম হয়। ঠান্ডা হলে হাত দিয়ে ভালো করে পিষে নিয়ে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। মাথার তালু পরিষ্কারের জন্য এই মিশ্রণটি বা শ্যাম্পুটি অনেক ভালো কারণ এতে কোন প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক নেই।

২। খুশকি দূর করার জন্য

শিকাকাই এ অ্যান্টি ফাঙ্গাল বা ছত্রাক নাশক উপাদান এবং পুষ্টিকর উপাদান আছে। ছত্রাক নাশক উপাদান মাথার তলুকে খুশকির সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং পুষ্টি উপাদান মাথার তলুকে পুষ্টি সরবরাহ করে। শিকাকাই নিয়মিত ব্যবহার করলে খুশকি দূর হবে।

৩। চুল ঘন ও শক্তিশালী করে

চুলের গোড়া শক্ত ও স্বাস্থ্যবান রাখে শিকাকাই। হেয়ার প্যাক হিসেবে বা তেলের সাথে মিশিয়ে শিকাকাই ব্যবহার করা যায়। শিকাকাই পাউডার নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে গরম করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। চুলকে ঘন ও শক্তিশালী করতে এটা অনেক কার্যকরী।

৪। চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করে

চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করতে শিকাকাই অনেক জনপ্রিয় উপাদান। আমলা, শিকাকাই ও রিঠা দিয়ে প্যাক তৈরি করে মাথায় ও চুলে লাগালে অল্প বয়সে চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করা যায়।

৫। চুল পড়া কমায়

নিয়মিত শিকাকাই ব্যবহার করলে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। এটা চুলের ভেঙ্গে যাওয়া ও ফেটে যাওয়া রোধ করে যা চুল পড়ার প্রধান কারণ।

৬। ক্ষত নিরাময়ে

মাথার তালুর ছোট কোন ক্ষত বা পোড়া ভালো করতে পারে শিকাকাই। শিকাকাই এর পেস্ট মাথার তালুতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। মাথার তালুর ছোটখাট কোন কাটা বা ক্ষত বা ফুসকুড়ি ভালো করে এই শিকাকাই থেরাপি।

চুলের যত্নে রিঠাঃগরমে অন্য সময়ের চেয়ে সাধারণত চুলের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। বাইরে চলাচল, রোদ, বৃষ্টি, ধুলা-ময়লার কারণে চুল...
18/03/2024

চুলের যত্নে রিঠাঃ

গরমে অন্য সময়ের চেয়ে সাধারণত চুলের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। বাইরে চলাচল, রোদ, বৃষ্টি, ধুলা-ময়লার কারণে চুলে ময়লা হয় বেশি। ময়লা থেকে খুশকির প্রাদুর্ভাব বাড়ে। পাশাপাশি চুল পড়ে যাওয়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, চুলের আগা ফাটার মতো সমস্যাগুলোও একযোগে হানা দেয়।এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে যেমন নিয়মিত চুল পরিষ্কার করা জরুরি, তেমনি সঠিকভাবে চুলের যত্নও নিতে হবে।

চুল পরিষ্কারের জন্য শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয় বেশি। তবে মাঝেমধ্যে শ্যাম্পুর পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুল পরিষ্কার করলে আরো বেশি কার্যকর ফল পাওয়া যায়। তা ছাড়া যাদের চুলে শ্যাম্পু ঠিকমতো ম্যাচ করে না তাদের জন্যও প্রাকৃতিক উপাদান উপকারী।

রিঠা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা চুলের বারোয়ারি যত্নে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। এই গরমে সুন্দর ও ঝলমলে চুলের অধিকারী হতে চাইলে সপ্তাহে এক দিন রিঠা ব্যবহারের বিকল্প নেই। রিঠা ব্যবহারে চুলের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না।

রিঠা কী

রিঠা মূলত এক ধরনের ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম স্পিনডুস এমারজিনাতুস

ব্যবহার

একটি পাত্রে সামান্য পানি নিয়ে তাতে কয়েকটি রিঠা সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে আরেকটি পাত্রে সামান্য পানি কুসুম গরম করে ফুটিয়ে নিন। এবার তাতে সারা রাত ভেজানো রিঠা ও পানি দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করে একটি কাচের বোতলে ভরে রাখতে হবে। এটি গোসলের সময় শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। চুলে মিশ্রণটি লাগিয়ে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে। সপ্তাহে একবার করে রিঠার এই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের বেশির ভাগ সমস্যাই দূর হয়। নিয়মিত ব্যবহারে অল্প সময়ের মধ্যেই উপকারিতা বোঝা যাবে।

বাজারে আস্ত ও গুড়া দুই রকম রিঠাই পাওয়া যায়। পলি ব্যাগ ও প্লাস্টিকের আলাদা আলাদা বোতলে পাওয়া যাবে। চাইলে গ্রাম হিসেবেও কিনতে পাবেন। ১০০ গ্রাম রিঠা মানভেদে দাম পড়বে ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।



উপকারিতাঃ

১। রিঠা চুলের ডগা ফাটা বন্ধ করে

২ । মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে

৩ । চুলের ঘনত্ব বাড়ে।

৪। চুল পড়া কমে

৫। উকুনের সমস্যা সমাধান হয়

৬। কন্ডিশনার ব্যবহার করার দরকার হয় না

৭। চুল ভালো ও মজবুত থাকে

৮। কোঁকড়া চুল সোজা হয়

৯ । চুল নরম ও মসৃণ করে

১০। নতুন চুল গজায়।



সতর্কতাঃ

১. চুল শুষ্ক হলে অল্প পরিমাণে রিঠা ব্যবহার করতে হবে।

২. সপ্তাহে দুবারের বেশি রিঠা দিয়ে শ্যাম্পু করা যাবে না। এতে চুল বেশি শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

৩. রিঠা ব্যবহার করলে নিয়মিত সপ্তাহে এক দিন চুলে নারকেল তেল দিতে হবে।

চুল পড়ার সঙ্গে বেড়ে যায় খুশকির সমস্যাও। শুধু তেল বা শ্যাম্পু ব্যবহার করে এ সকল সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। রাসায়নিক রং ...
18/03/2024

চুল পড়ার সঙ্গে বেড়ে যায় খুশকির সমস্যাও। শুধু তেল বা শ্যাম্পু ব্যবহার করে এ সকল সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। রাসায়নিক রং চুলের ক্ষতি করতে পারে। তাই নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে চুলে মেহেদি পাতা ব্যবহার করুন। প্রাকৃতিক রং হিসাবে মেহেদি পাতা খুবই কার্যকরী। কিন্তু চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও যে মেহেদি পাতা ব্যবহার করা যায়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। বর্ষাকালে চুল পড়ার সঙ্গে বেড়ে যায় খুশকির সমস্যাও। শুধু তেল বা শ্যাম্পু ব্যবহার করে এই সকল সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তাই মেহেদি পাতা ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

চুলের গোঁড়া মজবুত করতেঃ
চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে নাজেহাল অনেকেই। মাথার চেয়ে মাটিতে চুল পাওয়া যায় বেশি। চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি হ্রাস পেলে এমন সমস্যায় ভুগতে হয়। বাইরে থেকে চুল চকচকে, মসৃণ হলেও চুলের গোঁড়া মজবুত আছে কি না, সে দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। শ্যাম্পু, সিরামের পরিবর্তে এ ক্ষেত্রে মেহেদি পাতা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন মেহেদি লাগালে চুলের পুষ্টি ফিরে আসবে। চুল ভিতর থেকে মজবুত ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। চুল পড়ার পরিমাণও ধীরে ধীরে কমে যাবে।

প্রাকৃতিক কন্ডিশনারঃ
প্রতিদিনের ধুলো-ময়লায় চুল অতিরিক্ত রুক্ষ হয়ে যায়। চুল কোমল মসৃণ করতে আমরা কত কিছুই না করে থাকি। শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, বাজারচলতি বিভিন্ন প্রসাধনীর ব্যবহার, চেষ্টার কোনও কমতি রাখেন না কেউই। এতে হয়তো প্রাথমিক ভাবে সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু তাতে দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তা ছাড়া, রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত এসকল প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে পড়ে। চুল সুন্দর ও কোমল রাখতে তাই মেহেদি ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘরোয়া বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই মেহেদির মিশ্রণ তৈরি করে নিতে বলেছেন। এতে চুলের ক্ষতি হওয়ার কোনও ভয় থাকবে না।

খুশকি দূর করতেঃ
অতিরিক্ত চুল পড়ার আরও একটি কারণ হল খুশকি। চুল পড়ার সমস্যা আটকাতে তাই সবার আগে খুশকি কমানো প্রয়োজন। তার জন্য অনেকেই বিভিন্ন প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করে থাকেন। অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পুও ব্যবহার করে থাকেন। তার পরেও দেখা যায়, বর্ষা বা শীতকাল আসতেই খুশকিতে ভরে যায় মাথা। এই সমস্যার অন্যতম একটি সমাধান হতে পারে মেহেদি। তবে প্রতিদিন মেহেদি দেওয়া সম্ভব নয়, আর ঠিকও নয়। ১৫ দিনে অন্তত দু’বার করে মেহেদি দিলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।

মাথার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স (Ph Balance) বজায় রাখেঃ
সাধারণত তৈল ব্যবহারের কারণে কিংবা অন্য অনেক কারণে আমাদের স্কাল্প তৈলাক্ত হয়ে থাকে। যা পিএইচ ব্যালেন্সের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এক্ষেত্রে মেহেদি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যখন আমরা মাথায়/চুলে মেহেদি পাতা ব্যবহার করি, তখন সেটি ওভারজেলাস সেবাসেস গ্ল্যান্ড নিয়ন্ত্রণ এর সাথে অয়েল প্রোডাকশন কন্ট্রোল করে। যা আমাদের মাথার ত্বকের পিএইচ মান সঠিক মাত্রায় নিয়ে আসে।

চুলের রুক্ষতা দূর করেঃ
আমাদের যাদের চুলে রুক্ষতা তুলনামূলক একটু বেশি, সেক্ষেত্রে মেহেদি দ্বারা উপকৃত হতে পারি। এটা আমরা দুই ভাবে ব্যবহার করতে পারি। প্রথমটি হলো- বাটা মেহেদি পাতার সাথে অলিভ অয়েল এবং সাথে ভিটামিন ই ট্যাবলেট মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুণ। এরপর উক্ত মিশ্রণটি চুলে প্রলেপ দিন। এভাবে আপনি সপ্তাহে একবার করে ব্যবহার করতে পারেন।
অন্য পদ্ধতিটি হলো- বাটা মেহেদির সাথে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে এবং তাতে পুনরায় পরিমাণ মতো টক দই মিশিয়ে একটি ভালো মিশ্রণ তৈরি করুণ। মিশ্রণটি তৈরির পর এবার সেটি আপনার চুলে ভালোভাবে প্রলেপ করুন এবং ২০-২৫ মিনিট পর তা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
মূলত উপরোক্ত এই দুই পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি চুলের রুক্ষতা ও চুলের আগা ভেঙ্গে যাওয়া হতে মুক্তি পেতে পারেন।

চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সহায়তা করেঃ
চুলের ঘনত্ব বলতে নতুন চুল গজানোকে বোঝানো হয়েছে। আমাদের অধিকাংশেরই চুল অনেক পাতলা। হোক সেটা জন্মগত কিংবা নানা ধরনের বহুমুখী কারণে। এখন এই পাতলা চুলকে আমরা মেহেদি পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে ঘন করে তুলতে পারি। অর্থাৎ নতুন চুল গজাবে। প্রতি সপ্তাহে একবার করে মেহেদি পাতার মিশ্রণ আপনার চুলে ব্যবহার করুণ। এতে আপনার মাথার ত্বকে নতুন চুল গজানোর জন্য পরিবেশ তৈরি হবে। এভাবে কয়েকবার ব্যবহার করুণ।

চুল পড়া রোধ করেঃ
চুলের নানামুখী সমস্যাগুলোর মধ্যে চুল পড়া হলো অন্যতম। অনেক কারণেই চুল পড়ে থাকে। হরমোন, বংশগত সমস্যা, কোষ মরা সহ ইত্যাদি কারণ। আমরা কিন্তু মেহেদি পাতা ও অলিভ ওয়েল ব্যবহার করে এই সমস্যা হতে খানিকটা হলেও মুক্তি পেতে পারি। প্রথমে মেহেদি পাতাগুলো খুব ভালোভাবে পিষতে হবে এবং সেটার সাথে সামান্য পরিমাণ অলিভ অয়েল যোগ করতে হবে। এরপর মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ২৫-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে একবার করে ব্যবহার করুণ। তবে এখানে বিশেষ দ্রষ্টব্য হলো অবশ্যই খালি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কোনো ধরনের শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না। যদি একান্ত ব্যবহার করতেই চান, তাহলে মেহেদি দেওয়ার এক-দুদিন পর ব্যবহার করুণ। এভাবে মেহেদি পাতা ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি চুল পড়া রোধ করতে সক্ষম হবেন।

মেহেদি গুড়ামেহেদি পাতার ৫ টি উপকারিতা১। চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতেঃমেহেদী পাতার রস ব্যবহারে আপনি সহজে পেতে পারেন ঘন কালো চুল।২...
18/03/2024

মেহেদি গুড়া
মেহেদি পাতার ৫ টি উপকারিতা

১। চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতেঃ
মেহেদী পাতার রস ব্যবহারে আপনি সহজে পেতে পারেন ঘন কালো চুল।

২। সৌন্দর্য চর্চাঃ
বাঙ্গালী নারীর সৌন্দর্য চর্চায় অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান হল মেহেদি পাতা । সৌন্দর্য চর্চায় নখ ও হাত রাঙ্গাতে আবহমান কাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মেহেদি পাতা । আর বৈজ্ঞানিক ভাবে ও দেখা গেছে যে অনেকের নখকুনি হয় । তারা যদি দিনে দু বার নখে মেহেদি পাতা দেয় তাহলে নখকুনি দূর হয়ে যায় আর হাতে দিলে হাতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি হাতের ত্বক ও মসৃন থাকে ।

৩। খুশকি দূর করায়ঃ
মাথায় ফাঙ্গাসের আক্রমনে খুশকি হয়ে থাকে । খুশকি দূর করতে কিছু মেহেদী পাতা নিন এবং সাথে একটি ডিম নিন । মেহেদী পাতার বাটা এবং একটি ডিম ভেঙ্গে একসাথে করে মাথায় দিন । এভাবে মেহেদী মাথায় আধা ঘণ্টা রাখুন । দেখবেন আপনার মাথা থেকে খুশকি দূর হয়ে গেছে ।

৪। পা ফাটা দূর করেঃ
মেহেদী পাতার অনেক উপকারিতার মধ্যে পা ফাটা দূর করাও একটি । শীতকালে দেখা যায় অনেকেরই পা ফাটে । আবার অনেকের সারা বছর ই পা ফাটে । যাদের পা ফাটে তারা যদি মেহেদী পাতা ফাটা স্থানে ব্যবহার করে তাহলে তাদের পা ফাটাও দূর হয়ে যাবে ।

৫। চুল পাকা ও চুল উঠারোধেঃ
মেহেদী পাতা ব্যবহার করলে আপনার ৯০ ভাগ চুল পড়া কমে যাবে। এক মুটো মেহেদী পাতার সাথে একটি হরিতকি সামান্য বেটে মাথায় দিলে চুল উঠা রোধ হবে এবং চুল পাকা ও অনেকাংশে দূর হবে।

চুলের যত্নে আমলকী,, চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে আমলকী। এতে আছে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট,ভিটামিন ও মিনারেল। যা আপনার স্ক্যাল্পে ...
18/03/2024

চুলের যত্নে আমলকী,,
চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে আমলকী।
এতে আছে ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট,ভিটামিন ও মিনারেল।
যা আপনার স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।যা আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কন্ডিশনিং করে আমলকী।
আপনার চুল কে সতেজ এবং ভালো রাখতে আমলকির জুড়ি নেই।

Address

Chatkhil
Noakhali

Telephone

+8801616526197

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Natural Mehendi - ন্যাচারাল মেহেন্দি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Natural Mehendi - ন্যাচারাল মেহেন্দি:

Share