26/05/2025
অপরিচিত মাইক্রোবাসে উঠে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিনতাইয়ের স্বীকার নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী হাসিবুল হক।
শিক্ষার্থীর টাইমলাইন থেকে নেওয়া..
নরমালি ঢাকা- নোয়াখালী আসা যাওয়া করতেছি কিছু দিন পর পরই। চাকরির পরীক্ষা গুলো নিয়মিত হচ্ছে.. ১.৫ বছরেও মাস্টার্স না শেষ হওয়ার সুবাদে নোয়াখালী ও থাকা লাগে ঢাকাও যাওয়া লাগে বারংবার। আগামীকাল সকাল ৯ টায় প্রাণ আরএফএল কোম্পানিতে একটা রিটেন পরীক্ষা আছে, পরের দিন আইএফআইসি ব্যাংকে ভাইবা।ঢাকা যাওয়া লাগবে...মাসের শেষ সময়ে হাতে টাকাও নেই তেমন। ভাড়ার টাকা বাচাতে ভেঙে ভেঙে যাই সবসময়। টিউশন থাকার কারনে তা শেষ করে বিকাল ৫ টার দিক রোয়ানা দিলাম..কুমিল্লা পৌছালাম ৭:৩০ এর দিক৷ রাস্তায় দাড়িয়ে আছি বাসের জন্য...
হঠাৎ একটা মাইক্রো এসে বলল ঢাকা যাবেন?
টাকা বাসের ভাড়াই!
সাথে দু'জন দাড়িয়ে ছিল তারা টাকা নিয়ে দর কাষাকষি করল এবং যেতে রূজি হল। আমিও চিন্তা করলাম মাইক্রোতে তাড়াতাড়ি যাওয়া যাবে...
ভিতরে বসলাম, অন্ধকার.. কিছুটা পথ যেতেই হাত পা গলা বেধে ফেলল সবাই মিলে,
সব কিছু চেক করা শুরু করল!
ছু*ড়ি ঠেকালো পেটে। আমার কাছে ২০০ টাকার মত ছিল। সবকিছু বললাম আমি একজন বেকার। কালকে চাকরির পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি। ওরা ফোনের পিন বিকাশ নগদের পিন নিল। বাসায় ফোন দিয়ে এমন ভাবে টাকা চাইতে বলল যেন চাকরির জন্য লবিং করতে টাকা লাগবে। বাসায় ফোন দিয়ে এটা বলতেই বাবা মা কিছুটা বুঝতে পারছিল। তারপরও বুঝাতে পারিনি আমি ছিনতাইকারীদের কবলে....
রাত ৭:৩০-১০:৩০। এতক্ষণে অনেককিছুই ঘটে গেছে ওরা হাজার চেষ্টা করেও কিছু করতে পারতেছিল না। পরে আঘাত করতে থাকে...আমার আর্তনাদ বাসায় শোনানো হয়। আমার বাবা মা তখন সব বুঝে যায়। ওরা ৫০ হাজার টাকা চায় ১০ মিনিটের মধ্যে। ১০ মিনিটে এতটাকা আমার ফ্যামিলি কখনো ইফোর্ট করতে পারবে না এটা আমি জানি৷ ভেবে নিছিলাম মৃত্যুর দিকে যাচ্ছি...আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিলাম। এমন করতে করতে ৩০ মিনিটের মত গেল৷ মাইক্রোটা ঢাকা চিটাগং মহাসড়কে বারবার একই জায়গা ইউট্রান করে ঘুরতেছে বুঝলাম। বাসা থেকে ৩০ হাজার টাকা ওদের দেওয়া হলো আমার বিকাশ আর নগদের মাধ্যমে। ওরা অনেকক্ষন কি যেন নিজের মধ্যে ফিসফিস করলো আমার আর্তনাদ শোনে..একপর্যায়ে বলল তকে ছেড়ে দিব। কিন্তু তুই পিছনে ফিরে তাকালে ফায়ার করে দিব। আারও ৩০ মিনিট পর একটা নির্জন জায়গায় ফেলে দিয়ে চলে গেল..