Poultry Manager

28/06/2025

২২ কেজি মুরগি বিক্রি করে ১ কেজি ইলিশ!

ঢাকার বাজারে এখন বড় সাইজের একটি ইলিশের দাম প্রায় ৩ হাজার টাকা! অর্থাৎ এক কেজি ১২০০ গ্রামের একটি ইলিশ কিনতে হলে একজন ব্রয়লার খামারিকে প্রায় ২২ কেজি মুরগি বিক্রি করতে হবে, যা প্রতি কেজি ১৩৫–১৪০ টাকা ধরে হিসেব করলে দাঁড়ায় ৩ হাজার টাকা!

আর যদি লাভ ধরে (প্রতি কেজিতে ১৫ টাকা মুনাফা ধরে) খেতে চান? তবে সেই খামারিকে বিক্রি করতে হবে প্রায় ১৭৩ কেজি ব্রয়লার মুরগি!
এ যেন “একটা ইলিশ = ১৭৩ কেজি পরিশ্রম”।

প্রশ্ন হলো—এই বাজারে সাধারণ মানুষের স্বস্তি আসবে কবে? আর খামারি বা কৃষক—তারা শুধু ঘাম ঝরিয়েই কি বাজারের শিকার হবেন?

#পোলট্রি

28/06/2025

প্রতি ডিমে লোকসান দুই থেকে আড়াই টাকা, দিশেহারা প্রান্তিক খামারিরা।

টাঙ্গাইলের কালিহাতীর দেউপুর গ্রামের খামারি মো. জিন্নাহ পৈত্রিক জমি বন্ধক রেখে ও জমানো টাকায় ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ৩ হাজার লেয়ার মুরগি পালন করছেন। প্রতিদিন আড়াই হাজার ডিম পেলেও প্রতিটি ডিমে ২-২.৫ টাকা করে ক্ষতি গুনতে হচ্ছে তাকে। উৎপাদন খরচ পড়ে ১০ টাকা ২০ পয়সা, অথচ বিক্রি করতে হচ্ছে ৭ টাকা ৫০ পয়সায়। দিনে গড়ে ৫ হাজার টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, “জানুয়ারি থেকে প্রতি ডিমে লোকসান হচ্ছে। আমাদের গ্রামের অনেক খামারি নিঃস্ব, কেউ কেউ দেউলিয়া হয়ে বাড়িও ছাড়ছে।”

ভূঞাপুর, সখীপুর, ঘাটাইলসহ জেলার প্রান্তিক খামারিরাও একই দুর্দশায়। খামারিদের অভিযোগ—ডিমের দাম কমলেও খাদ্য, ওষুধ, শ্রমিক খরচ কিছুই কমেনি। ফলে অনেকে ঋণ ও জমি বিক্রি করেও খামার চালাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন।

ডিমের দাম কমে যাওয়ার পাশাপাশি বিক্রিও কমেছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। একসময় দিনে ১২-১৩ হাজার ডিম বিক্রি হলেও এখন তা নেমে এসেছে ৭ হাজারে। অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে ডিম ভেঙে বা পঁচে নষ্ট হচ্ছে।

পার্ক বাজারের ব্যবসায়ী আমজাদ মিয়া বলেন, “৩৩-৩৫ টাকা হালি দামে ডিম বিক্রি করলেও আগের মতো চাহিদা নেই।” অপর ব্যবসায়ী রাসেল জানান, “ঈদের ছুটিতে চাহিদা কমে যাওয়ার পর থেকে সরবরাহ বাড়লেও চাহিদা বাড়েনি।”

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, এক সময় টাঙ্গাইলে দিনে ৩ কোটি ডিম উৎপাদন হতো, এখন তা নেমে এসেছে ৩২ লাখে। ২০ হাজারের বেশি খামারি থাকলেও বর্তমানে আছে মাত্র আড়াই হাজার।

দেউপুরের খামারি সুজন বলেন, “ডিমের এই দামে প্রতিদিন ক্ষতির মুখে পড়ছি। এভাবে চললে আমিও দেউলিয়া হবো।” খামারি হাসমত বলেন, “ডিমের দাম বাড়লেই প্রশাসন জরিমানা করে, আবার বিদেশ থেকেও ডিম আমদানি হয়। অথচ এখন যখন দাম কম, তখন কেউ দেখছে না।”

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, “সরকার গত নভেম্বরে ডিমের দাম ১০ টাকা ৮০ পয়সা নির্ধারণ করেছিল। প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থে এই দাম নিয়মিত নির্ধারণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।”

সুত্রঃ রাইজিংবিডি.কম

#পোলট্রি

28/06/2025

পোল্ট্রি খামারিদের বাঁচা-মরার লড়াই: ১৪ টাকায় বাচ্চা কিনেও লোকসান!

দেশের পোল্ট্রি খাত আজ ভয়াবহ ক্ষতির মুখে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক খামারির স্ট্যাটাস চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, খামারিরা আসলে কতটা বাঁচা-মরার লড়াইয়ে রয়েছেন। খামারি মো. জানিব আলী লিখেছেন, “মাত্র ১৪ টাকা পিচ বাচ্চা কিনেও যদি লাভ না হয়, তাহলে মনে হয় কপাল।”

তিনি ১৬০টি বাচ্চা কিনেছেন ২,২৪০ টাকায়। এরপর ফিড, ওষুধ, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ, শ্রমিক মজুরি ইত্যাদি মিলিয়ে খরচ হয় ৩৩,৫৪০ টাকা। কিন্তু ২৬৪ কেজি মুরগি ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৩৩,০০০ টাকা। অর্থাৎ এত কম দামে বাচ্চা কিনেও লোকসান হয়েছে ৫৪০ টাকা!

এটা শুধু একজন খামারির গল্প নয়—এটি এখন দেশের হাজারো ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারির বাস্তবতা। যাদের খামার বড়, তাদের লোকসান আরও বেশি। অনেক এলাকায় তো খামারিরা ৯০–১০০ টাকা কেজি দরে মুরগি বিক্রি করছেন, যেখানে উৎপাদন খরচই উঠে আসছে না।

একসময় সম্ভাবনাময় হিসেবে বিবেচিত পোল্ট্রি খাত আজ ধুঁকছে। খাদ্য ও ওষুধের লাগামহীন দাম, বাজারের অস্থিরতা ও সরকারি নজরদারির অভাবে খামারিরা প্রতি ব্যাচে লোকসানে পড়ছেন। কেউ ধার করে খামার চালাচ্ছেন, কেউবা খামার গুটিয়ে নিচ্ছেন।

খামারিদের দাবি—সরকার যেন খাদ্য ও ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে আনে, উৎপাদন খরচের তুলনায় বিক্রয়মূল্যে ন্যায্যতা নিশ্চিত করে এবং একটি স্থিতিশীল বাজার ব্যবস্থার জন্য কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন করে।

পোল্ট্রি খাত শুধু একটি শিল্প নয়, এটি লাখো পরিবারের জীবন-জীবিকার অবলম্বন। এই শিল্প টিকিয়ে রাখার অর্থ—গ্রামের পরিবারগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে, এই কান্না ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে।

মুল প্রতিবেদনঃ অ্যাগ্রিনিউজ২৪

#পোলট্রি

28/06/2025

আজ শনিবার
২৮ জুন ২০২৫
১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বাংলা
০২ মহররম ১৪৪৭ হিজরি
-----------------------------
ফজর- ৩:৪৬ মিনিট
জোহর- ১২:০৫ মিনিট
আসর- ৪:৪১ মিনিট
মাগরিব- ৬:৫৩ মিনিট
ইশা- ৮:২০ মিনিট
------------------------------
সূর্যোদয়- ৫:১৩ মিনিট
সূর্যাস্ত- ৬:৫০ মিনিট

27/06/2025

কোম্পানিগুলোর উদ্দেশ্য যেন খামারিদের লাভ নয়, বরং শুধু তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি।

বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাত এখন এক ভয়ংকর চক্রে আটকে পড়েছে—যেখানে খামারিদের লাভ নয়, বরং কোম্পানিগুলোর প্রোডাক্ট বিক্রিই যেন মূল লক্ষ্য। বাচ্চা, ফিড, ওষুধ—সবকিছুতেই কোম্পানির নির্ভরশীলতা গড়ে তোলা হয়েছে এমনভাবে, যাতে খামারিরা স্বাধীনভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন। একবার যারা এই চক্রে ঢোকেন, তাদের বেরিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব।
খামারিরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা বাচ্চা, খাবার ও ওষুধ বাকিতে নেন। এই ‘বাকির দাদন ব্যবস্থা’ শুরুতে সহজ মনে হলেও, লোকসানে পড়ার পর তা ভয়াবহ রূপ নেয়। কারণ তখন খামারিরা পড়ে যান এক কঠিন দ্বিধায়—বাকি টাকা পরিশোধ করে চাষ ছেড়ে দেওয়া, না আবার কোম্পানির কাছ থেকেই নতুন করে পণ্য নিয়ে আরও ঋণের বোঝা কাঁধে নেওয়া। যেদিকেই যান, ফলাফল প্রায় একই—ক্ষতি, হতাশা আর দেনার ভার।
এ সুযোগটাই নেয় কোম্পানিগুলো। মাঠপর্যায়ে তাদের ডিলার ও মার্কেটিং কর্মীরা খামারিদের বোঝান যে, “এইবার ঘুরে দাঁড়াবেন”—কিন্তু বাস্তবে তারা শুধুই বাচ্চা ও ফিড বিক্রির লক্ষ্যে কাজ করেন। কোম্পানিগুলোর পণ্যের দাম বাড়লেও, বাজারে মুরগির দাম কম থাকলেও, খামারিদের লোকসানের ঝুঁকি সত্ত্বেও তাদের পণ্য বিক্রি বন্ধ হয় না। বরং অনেকে অভিযোগ করেন, চুক্তির বাধ্যবাধকতা ও ডিলারের চাপের মুখে না চাইলেও পণ্য নিতে বাধ্য হন।
ফলে একদিকে কোম্পানি নিশ্চিতভাবে মুনাফা করে যাচ্ছে, আর অন্যদিকে হাজার হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারি পুঁজি হারিয়ে দেনার দায়ে ডুবে যাচ্ছেন। লাভ না করেও কেবল টিকে থাকার জন্য চাষ করতে হচ্ছে অনেককে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই একমুখী মডেল পোল্ট্রি শিল্পকে দীর্ঘমেয়াদে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। খামারিদের স্বার্থ সুরক্ষিত না হলে, শুধুমাত্র কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল ধরে রাখার মাধ্যমে এই খাত টেকসই হতে পারে না। প্রয়োজন খামারিদের সত্যিকারের স্বাবলম্বিতা ও ন্যায্য লাভ নিশ্চিত করা—নইলে এ খাত থেকে একে একে সরে দাঁড়াবেন হাজারো খামারি, যা দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভয়াবহ সংকট ডেকে আনবে।

#পোলট্রি

27/06/2025

লাভ নয়, এখন বাঁচাটাই যুদ্ধ: চাঁদপুরের খামারিরা টিকে থাকার লড়াইয়ে।

“এইভাবে আর কতদিন? খরচ উঠছে না, পরিবার চালাবো কী দিয়ে?”—চাঁদপুর সদর উপজেলার খামারি সাইফুল ইসলামের কণ্ঠে হতাশা। এক সময় জেলার গ্রামাঞ্চলে পোল্ট্রি খামারের ধুম পড়েছিল। কিন্তু এখন অধিকাংশ খামারি টিকে থাকার লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছেন।

ফিডের দাম এখন প্রতি কেজি ৬০–৬৫ টাকা। ওষুধ, বিদ্যুৎ, পরিবহন ও শ্রম খরচ যুক্ত করে প্রতিটি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ গড়ে ১৩৫–১৪০ টাকা। অথচ বর্তমানে খামারি পর্যায়ে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১২২–১২৩ টাকায়, যা খরচের চেয়ে কম। ফলে প্রতিটি মুরগিতেই লোকসান গুনছেন খামারিরা।

খামারি শহিদুল জানান, “আমার খামারে ২ হাজার মুরগি আছে। তিন ব্যাচ ধরেই লস করছি। এখন ধার করে ফিড কিনতে হচ্ছে।”

একই অবস্থা হাজীগঞ্জ, মতলব ও ফরিদগঞ্জের বহু খামারির। কেউ কেউ কোম্পানির প্যাকেজ সিস্টেমে খামার চালালেও লাভ নেই। সেখানে খাটনি খামারির, কিন্তু লাভের বড় অংশ যায় কোম্পানির ঘরে।

“আমরা রাত-দিন খাটি, আর হিসাব করে দেয় তারা। লাভ কত, ক্ষতি কত—বোঝার সুযোগ নেই,”—বললেন আরেক খামারি।

বাজার ব্যবস্থাপনায় নেই কোনো স্বচ্ছতা। খামারি পর্যায়ে দাম কম থাকলেও খুচরা বাজারে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৬৫–১৭০ টাকায়। এই ফারাক কোথায় যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খামারিরা।

চাঁদপুরের পোল্ট্রি খামারিরা বারবার বলছেন—সরকারকে এখনই ফিড ও ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে, বাজার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। নইলে হাজারো খামারি একে একে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন।

“লাভ নয়, এখন বেঁচে থাকাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ”—এভাবেই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চাঁদপুরের খামারিরা।

#পোলট্রি

27/06/2025

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন জুমার দিন আসে ফেরেশতারা মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লিখতে থাকে। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি উট সদকা করে। তারপর যে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো যে একটি গাভী সদকা করে। তারপর আগমনকারী মুরগি সদকাকারীর মতো। তারপর আগমনকারী একটি ডিম সদকাকারীর মতো। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে বের হন, তখন ফেরেশতারা তাদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনতে থাকেন।’ (বুখারি, হাদিস, ৮৮২)

27/06/2025

27/06/2025

সোনালী মুরগির খ্যাতি আজ সংকটে—জয়পুরহাটে একের পর এক খামার বন্ধ।

এক সময় সোনালী মুরগি উৎপাদনে সুনাম ছিল জয়পুরহাট জেলার। কিন্তু গেল তিন বছরে পোল্ট্রি ফিডের লাগামহীন দামে ভেঙে পড়েছে এই খাত। উৎপাদন খরচের সঙ্গে বাজারদরের সামঞ্জস্য না থাকায় টিকে থাকতে না পেরে বন্ধ হয়ে গেছে হাজার হাজার খামার।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ বছরে জেলার ১০ হাজার পোল্ট্রি খামারের মধ্যে কমপক্ষে ৪ হাজার খামার বন্ধ হয়ে গেছে। তবে জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মতে, প্রকৃত সংখ্যা ৬ হাজারেরও বেশি।
ফিডের দাম যেখানে ২০২০ সালে ছিল ২২০০ টাকা, এখন তা ৩৩০০ টাকা ছুঁয়েছে।

লোকসানে পুঁজি হারিয়ে অনেক খামারি পথে বসেছেন। অনেকে মহাজনের কাছে দেনা করে খামার গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু উৎপাদন খরচ তোলে না বাজারদর। ফলে বাধ্য হয়ে খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন তারা।

স্থানীয় এক খামারি বলেন,
“ব্যাপক হারে লস হচ্ছে, আমরা খামারিরা মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছি। আপনারা একটু প্রান্তিক খামারির কথা চিন্তা করে খাবারের দাম কমানোর ব্যবস্থা করুন।”

শুধু খামার নয়, কর্মসংস্থানও হারাচ্ছেন শত শত খামারশ্রমিক। এক শ্রমিক জানান,
“খামার বন্ধ হওয়ায় কাজ হারিয়েছি। পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।”

এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের ঘুরে দাঁড়াতে পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে উপযুক্ত জাত, বাচ্চা নির্বাচন এবং নিজে খাদ্য তৈরির দিকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সোনালী মুরগি উৎপাদন ও বিপণন সমিতির তথ্য বলছে, জেলার অন্তত ৪ হাজার খামারি পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন।

খামারিদের দাবি—ফিড ও ওষুধের বাজারে নিয়ন্ত্রণ আনতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায়, জয়পুরহাটে পোল্ট্রি খাত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।

#পোলট্রি

26/06/2025

নিয়ম না মেনে চলা স্পিডবোট যমুনায় দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন শিশুসহ ১৮ যাত্রী।

পাবনার কাজিরহাট ও মানিকগঞ্জের আরিচা নৌরুটে যমুনা নদীতে ভয়াবহ একটি স্পিডবোট দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন শিশুসহ ১৮ জন যাত্রী।

বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাট থেকে পাবনার কাজিরহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া একটি পুরনো স্পিডবোট মাঝনদীতে গিয়ে হঠাৎ প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে উল্টে যায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অদক্ষ চালক দিয়ে পুরনো স্পিডবোট চালানোয় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পরপরই দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে নৌ পুলিশ। শিবালয় থানার এএসআই আবুল কালাম নিশ্চিত করেছেন, উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের পার্শ্ববর্তী আলোকদিয়ার চর থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।

কাজিরহাট নৌ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার জানান, দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে স্পিডবোটটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।

যাত্রীদের প্রাণে বাঁচানো গেলেও এই দুর্ঘটনা নৌপথে নিরাপত্তা ঘাটতির ভয়াবহ চিত্র আবারও তুলে ধরেছে।

26/06/2025

দফায় দফায় পোল্ট্রি খাদ্য ও ওষুধের দাম বাড়ায় হুমকির মুখে পড়েছে জামালপুরের সম্ভাবনাময় পোল্ট্রি শিল্প। উৎপাদন খরচের তুলনায় ডিম ও মুরগির বাজারদর কম থাকায় ধারাবাহিক লোকসানে একের পর এক খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অনেক উদ্যোক্তা ঋণের বোঝা টানতে না পেরে খামার গুটিয়ে নিচ্ছেন।

জামালপুরে প্রায় ৩ হাজার পোল্ট্রি খামার রয়েছে, যেখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় দেড় লাখ মানুষ। এই খাতটি একসময় স্থানীয় অর্থনীতির চালিকাশক্তি হয়ে উঠলেও এখন দিশেহারা খামারিরা।

খামারিরা জানান, গত দুই বছর ধরেই খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। আগে যে খাদ্যের বস্তা ১৮০০ টাকায় পাওয়া যেত, এখন তা ৩৩০০ টাকার ওপরে। অথচ মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রায় উৎপাদন খরচের নিচে। ডিমের দামও কম, অন্যদিকে বিদ্যুৎ বিল ও শ্রমিক খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ।

স্থানীয় খামারি রাজীব হোসেন বলেন, “খরচ বেশি, লাভ নেই—এখন মুরগি পাললেও লোকসান, না পাললেও লোকসান।” তিনি আরও জানান, কিছুদিন ধরে খাদ্য বন্ধ রেখেছেন। কারণ বাজারে মুরগির দাম এতটাই কম যে খাবার খরচ উঠছে না।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রস্তুত ফিডের পরিবর্তে স্থানীয়ভাবে খাদ্য তৈরি করলে খরচ কিছুটা কমানো সম্ভব। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তারা মনে করেন, খামারিরা নিজেরা যদি খাদ্য মিশ্রণ ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা অর্জন করেন, তাহলে লাভের সম্ভাবনা বাড়বে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি পূরণে পোল্ট্রি খাত গুরুত্বপূর্ণ। এই শিল্পের অব্যাহত সংকট শুধু অর্থনীতিতে নয়, পুষ্টিতেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। প্রয়োজন দ্রুত সমন্বিত উদ্যোগ।

#পোলট্রি

26/06/2025

কেউ চায়না দুর্নীতি বন্ধ হোক