24/06/2025
🌿🍀🍀Black Magic বা কালো জাদু কুফরি কাজ / কাল জাদু কিভাবে হয় এর থেকে বাছতে রুকাইয়া / ঘটনা / কাল জাদু ইতিহাস
Black Magic বা কালো জাদু বলতে বোঝায় শয়তানি ও স্বার্থপরতার উদ্দেশ্যে অতিপ্রাকৃতিক শক্তির ব্যবহার।
ছবির এই পুতুলটা সম্প্রতি কুয়েতের এক সমুদ্রের তীর পরিষ্কার করার সময় পাওয়া. এই ছবিগুলা গত ৪ঠা জুলাই কুয়েত ভিত্তিক একটা টুইটার একাউন্ট থেকে পোষ্ট করা হয়। পুতুলটি কারুক লক্ষ্য করে কাল জাদু করা হয়।
=> কাল জাদু মাদ্ধমে অনেকের জীবন নষ্ট করে দেয়া যায় , মারত্তক ভুগে , মুলত জারা কুরান হাদিস থেকে দূরে থাকে সহজে কাল জাদুর কবলে পরে জদি তার শত্রু এর উপায় জানে।
=>এই ধরনের কাজ যারা করে এবং করায় তারা উভয়েই কাফের ও চিরস্থায়ী জাহান্নামী
🌿🍀ব্লাক ম্যাজিক করা হয় শয়তান জ্বিণের সাহায্যে
কারো অমঙ্গল ও অনিষ্ট করার উদ্দেশ্যে। ফলে মানুষ এ বিদ্যার চর্চায় উৎসাহী হয়ে ওঠে
নবী মূসার সময়ে এ বিদ্যা বহুল চর্চিত হত মিসর ও ব্যাবিলনে। কিন্তু মূসার কাছে যাদুকরদের নেতাদ্বয় পরাজিত ও মুসলমান হয়ে গেলে চর্চা কিছুটা হ্রাস পায়
🌿🍀কাল জাদু ইতিহাস
কালো যাদুর যাত্রা শুরু হয়েছিল সুলাইমান (আলাইহিস সালাম) এর নবুয়তীর সময়ে। আল্লাহ সুলাইমান (আলাইহিস সালাম) এর অনুসারীদের মধ্যে পরীক্ষাস্বরূপ এই 'কালো -যাদু' পাঠিয়ে ছিলেন। যাতে বুঝতে পারেন কারা প্রকৃত ইমানদার আর কারা ধোঁকার শিকার হয়ে ইমান হারাবে। সুলাইমান (আলাইহিস সালাম) এর অনুসারীদের মাঝে প্রথম দুই ব্যক্তিকে শয়তান কালো যাদুর শিক্ষা দেয়, তাদের নাম হারূত এবং মারূত (অনেকে তাফসীরকের মতে তারা ফেরেস্তা আবার অনেকের মতে তারা ছিল মানুষ) মূলত হারূত-মারূত ই মানুষদের বিভ্রান্ত করতো। অবশ্য এটাও আল্লাহর নির্দেশ ছিল, যখন কেউ কালো যাদু শিখতে আসলো তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হতো; তুমি কি নিজের ইচ্ছায় শিখতে এসেছো? এতে তোমার ইমান চলে যেতে পারে। কেউ যখন শর্তে রাজি হতো তবেই তাকে শয়তানের কাছে প্রেরণের অনুমতি দেয়া হতো। আর তখন শয়তান নিজে তাকে কালো যাদু শিক্ষা দিত
=>কালো যাদুকারী ব্যক্তি কাফির। কেউ যদি কালো যাদু করে তবে তার ইমান চলে যাবে। একথা আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা বলেন,
“তারা মানুষকে যাদু শেখাত এবং (তারা অনুসরণ করেছে) যা নাযিল করা হয়েছিল বাবেলের দুই ফেরেশতা হারূত ও মারূতের উপর। আর তারা কাউকে শেখাত না যে পর্যন্ত না বলত যে, ‘আমরা তো পরীক্ষা, সুতরাং তোমরা কুফরী করো না।” (সূরাহ বারাকাহ : ১০২)
এই আয়াত দ্বারা স্পষ্ট যে যারা কালো যাদু করবে তারা কাফিরে পরিণত হবে।
কালো যাদু করার দায়ে রাসূল (সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে বহু লোককে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে।\\
☘️🍀কাল জাদু বা জাদুর তাবিজ কবজ নষ্ট করাঃ তাবিজ ভিতর জা থাক তা বের করে পুতে ফেলা বা পুরিয়ে ফেলা বা ছিড়ে ফেলা। তাবিজের ভিতর শয়তানি লেখা থাকে ফেরাউন নমরুদ হাম্মান ও শয়তানের কাছে সাহাজ্জ চাওয়া কথা থাকে
ভয়ংকর গুলা হল- ছবিতেই দেখছেন, দড়িতে গীত দিয়ে জাদু করে, বা পুতুলের দেহে কাল জাদু করে বেক্তি টার্গেট করে, বা মাছ বা কবুতর সাথে কুফরি কালেমা লিখে এই কাজ করে, জারা কাল জাদু করে তারা এত খারাপ মানসিক ভারসাম্যহীন
☘️🍀
☘️🍀রুকায়াহ
১/ অধিকাংশ কালো যাদু করা হয় মূলত সংসার ভাঙার নিয়তে। আল্লাহ সরাসরি কুরআনে ব্যাপারটি কোট করেছেন।
“এরপরও তারা এদের কাছ থেকে শিখত (কালো যাদু), যার মাধ্যমে তারা পুরুষ ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাত।” (সূরাহ বাকারাহ : ১০২)
২/ শত্রুতা করতে
৩/ অপরের ক্ষতি সহ নানা কাজে
কালো যাদুর শিকার হলেও এর রুকায়াহ তার করণীয় কী?
যা কিছু ঘটে সব আল্লাহর ইচ্ছায়-ই ঘটে। এমনকি কালো যাদুও আল্লাহর ইচ্ছাতে-ই হয়ে থাকে। আল্লাহ বলেন;
“..অথচ তারা (যাদুকররা) তার (যাদুর) মাধ্যমে কারো কোন ক্ষতি করতে পারত না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া।” (সূরাহ বাকারাহ : ১০২)
রুকায়াহ-
সুরা ফালাক
সুরা নাস
সুরা ইখলাস,
সুরা বাকারা শেষ ২ আয়াত
সুরা ফাতেহা
সুরা কাফেরুন
সুরা জিনের জাদুর আয়াত
আয়তুল কুরসি
কুরান শিফা আয়াত গুলা।