01/07/2025
🌴 “আমি শুধু গাছটা বিক্রি করেছিলাম... আমি জানতাম না এত প্রাণ মরবে…”
ঝালকাঠির পূর্ব গুয়াটন গ্রামে
একটা তালগাছ ছিল,
যেটার প্রতিটি পাতায়, প্রতিটি শাখায়
নির্মাণ হয়েছিল শত শত বাবুই পাখির ঘর।
সেই ঘরে ছিল ডিম, ছিল ছানা, ছিল তাদের ছোট্ট সুখের জীবন।
সেই গাছটা—
মোবারক আলী ফকির নামের এক ব্যক্তি বিক্রি করে দেন।
মিজানুর রহমান ও ফারুক হোসেন নামের দুইজন শ্রমিক সেই গাছটা কে/টে ফেলেন।
তারা জানতো না,
গাছ কাটার শব্দ মানেই—
শত শত ছানার শেষ চিৎকার,
ডিমের ভাঙা খোলস আর মৃ/ত মা পাখির উড়ালহীন কান্না।
কেউ বললো,
“একটা গাছ কেটেছে, এতো কিছু কেন বলছো?”
তাদের বলি—
এই একটা গাছেই ছিল ১৫০+ বাবুই বাসা।
একেকটা বাসা মানে একেকটা ঘর।
যেখানে ছোট্ট মা পাখিটা প্রতিদিন তার ছানাগুলোকে ঠোঁটে করে খাবার এনে খাওয়াতো।
এখন সেই বাসা গুঁড়িয়ে পড়ে আছে মাটিতে।
ছানাগুলোর নিথর দেহ ঠান্ডা হয়ে গেছে।
আর পাখিরা শুধু চক্কর দিয়ে যাচ্ছে…
শুধু খুঁজছে তার হারিয়ে যাওয়া ঘরটাকে। 🕊️💔
আর আশেপাশে?
কিছু মানুষ দেখছিলো। কেউ দাঁড়িয়ে হেসে হেসে বলছিলো,
“এইগুলা আবার পাখির ঘর?”
আমরা কি এতটাই অনুভূতিহীন হয়ে গেছি?
একটা গাছ মানেই শুধু কাঠ না।
সেটা অনেকের জন্য জীবন।
প্রকৃতির আশ্রয়। জীববৈচিত্র্যের নিরাপদ ঘর।
⚖️ এখন কী হচ্ছে?
এই ঘটনার পর দুটি মামলা হয়েছে—
✅ একটি গাছ কাটার অপরাধে
✅ আরেকটি পাখি হত্যা ও বাসা ধ্বংসের জন্য
মোবারক ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে
অন্যদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ ব্যবস্থা নিচ্ছে
📣 আসুন আমরা মানুষ হই।
আর গাছ কাটার আগে একবার ভাবি—
একটা ঘর না ভাঙলেও তো চলে…
🔁 এই পোস্টটা শেয়ার করুন,
যেন আর কোনো গাছের সাথে পাখিদের স্বপ্ন না কাঁদে।
📍স্থান: পূর্ব গুয়াটন, ঝালকাঠি
📅 সময়: ২৭–২৮ জুন ২০২৫
#বাবুই_পাখির_আত্মচিৎকার #প্রকৃতির_ঘর #গাছ_বাঁচান_প্রাণ_বাঁচান #ঝালকাঠি_ঘটনা #মানবতা_বাঁচাও