MR. Best

MR. Best এই পেইজে সবাই ফলো করে দাও

30/01/2025

বন্ধুরা কাজে ফেকে ফাকে গল্প লেখা হয়, এই জন্য সময় লাগবে।

আজ থেকে প্রায় ৭রছর আগের কথা,  আমার যখন ঐসব কিছু ফিল হয়। আমি এক জনকে মনে চায় তো।কিন্তু বলতে পাড়ি নাই। দিন যায় আমার আকাঙ্খ...
30/01/2025

আজ থেকে প্রায় ৭রছর আগের কথা, আমার যখন ঐসব কিছু ফিল হয়। আমি এক জনকে মনে চায় তো।কিন্তু বলতে পাড়ি নাই। দিন যায় আমার আকাঙ্খা বাড়তে থাকে। আমরা দুই জন লেখা পড়া করি।এভাবে একসাথে ঘুরাফিরা করতে থাকি। এর ২রছর পরে, আমরা যখন কলেজে সবে উঠলাম, আমাদের চলা ফেরা গভির হলো। বাসাটা পাশাপাশি হওয়ায়, দুজনের বাসায় যাগায়াত হতো। এভাবে চলতে থাকে।ইন্টার পরীক্ষার সময় হয়ে আসে, পরীক্ষার দুই দিন আগে আমার বাসায় আসে,বাসায় কেউ ছিলনা মামা বাড়ী ঘুরতে গেছে সবাই। ও যখন বাসায় আসে তখন বিকেল ৬টা বাজে আমায় নাম ধরে ডাকে, বললাম ভিতরে আয় আসলো, আমার মাথায় দুষ্টমি ভর করে। আমি দরজা লাগিয়ে দিলাম, ও বললো দরজা কেনো লাগাস, আমি বললাম এমনি।
ও: না থাক আমি যায়।
আমি:না বস এখানে কি দরকার বল।
ও: একটা বই লাগবে।
আমি: কিন্তু।
ও: কিন্তু কি।
আমি : আমার ও একটা জিনিস লাগবে।
ও:কি লাগবে বল আমার কাছে থাকলে আমি দিব।
আমি : ভেবে বলিস, ওরা ছিল খুব গরীব তাই।
ও: হু বল।
আমি : তোকে লাগবে।
ও: না থাক, আমার কিছু লাগবে না, আমি যায়।
আমি : রাগ করে বললাম, জোর করে করবো।
ও: দেখ আমারা গরীব, আমাদের এই সন্মান ছাড়া কিছু নাই, আমাকে মাফ কেরে দিস।
বলে চলে যাচ্ছ আমি আর কিছু বললাম না।
আমি: বই নিয়ে যা
ও: না লাগবে না
আমি: আমায় মাফ করে দিস, বলে বই দিয়ে দিলাম।
আমাদের পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। ফলাফলের অপেক্ষা করছি। ঘুরাফিরা করছি এভাবে দিন গেল।আমি খুব ভালো ভাবে পাস করলাম।
তারপরে ঢাকায় একটা বিশ্ব বিদ্যালয় ভর্তি হলাম। কিন্তু ও কি রেজট করেছে আমি জানিনা। পরে শুনলাম, এক বিষয় ফেল করেছে। আমি কিছু বুঝলাম না। ও অনেক ভালো রেজাট কারার কথা।
ওকে ফোন দিয়া জানলাম রোল নাম্বার নাকি ভুল করেছে।
ওকে বললাম পরে এক বিষয় পরীক্ষা দিস তাই হবে।
দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে যায়, এর মধ্যে ওর সাথে কথা হয়নাই।
হঠাৎ করে ফোন দিয়ে বললো আমি ঢাকা তুই আমাকে নিয়ে যা।
আমি: কোন জাগায় আছিচ তুই।
ও: এখানে আছি।
আমি : গেলাম ওর দেয়া ঠিকানাই।তুই আসবি বলেবিনা
ও: তুই এখানে আছিচ বলবো কেনো
আমি: চল এখন বাসায়
ও: চল।
আমি: এখানে ফ্লাট বাসায় থাকি।
চলে আসলাম বাসায়। বাসায় এসে ওকে বললাম, তুই এমন সময় আসলি কি করি এখন।
ও: কেন কি হয়েছে
আমি : আজ মাসের ২০ তারিখ, এখন বাসা পাওয়া যাবেনা, তাই ভাবছি।
ও: আমি এখানে থাকি, আমার সমস্যা নাই
আমি: এটা গ্রাম না, এখানে অনেক সমস্যা। তুই ফেশ হ। দেখি কি করা যায়।
ও: ঠিক আছে। এখানে থাকতে আমার কোনো সমস্যা নাই।
আমি: তুই যা ওয়াস রুমে।
ও: হু যাচ্ছি।
আমি ভাবলে লাগলাম বাসা ওয়ালাকে বললে কি জানি বলে তার নাই ঠিক। সাহস নিয়ে গেলাম নিচে বাসা ওয়ালার কাছে।
আমি: বেল দিলাম। কাকা আসলো, সালাম দিলাম।
বাসাওয়ালা:এসো বাবা, কি মনে করে।
আমি: কাকা একটা কথা বলতে আসলাম
বাসাওয়ালা: হু বলো বাবা
আমি: কাকা গ্রাম থেকে, আমার কাকাত বোন আসছে এখানে, থাকার একটা বাসা লাগবে।
বাসাওয়ালা: বাসা তো নাই এখন, আর মেয়ে মানুষ তো এখানে থাকা যাবেনা।
আমি: কাকা প্লিজ কিছু একটা করেন।
বাসাওয়ালা: বাবা তুমি এমন ভাবে বললে, কি বলি
ওকে ঠিক আছে। কিন্তু কোন রকম কিছু যেন শুনিনা।
আমি: তাহলে এখন কি করবো, কোথায় থাকবে।
বাসাওয়ালা: তোমার ফ্লাট এ দুইটা রুম, ওখানে থাক কয় দিন। বাসা খালি হলে ওখানে যাবে।তোমায় আমি বিশ্বাস করি বলে, আমি বললাম বাবা। আমার বিশ্বাসটা রেখো।
আমি: ঠিক আছে কাকা, আমি আসি।
বাসাওয়ালা: বাবা চা খেয়ে যাও।
আমি: না কাকা, আর একদিন। আসি কাকা।
আমি বাসায় আসলাম,
ও: দরজা খুলে বললো কই ছিলি এতো সময়।
আমি : বাসা ওয়ালার সাথে কথা বলতে গেছিলাম।
ও: কি বললো।
আমি: এখন বাসা পাওয়া যাবে না।
ও: তাহলে কি হবে এখন
আমি: আমার পাশের রুমে থাকতে বলেছে। ও খুব খুশি, ও মনে মনে এটাই চায়ছিলো হয় তো।এর মধ্য ওর ফোন বাজে ফোন রিছিভ করে কথা বলছে ওর বাবা ফোন দিছে। ও কথা বলে আমায় ফোন ধরিয়ে দিন। কথা বললাম।
ও: বাসায় থেকে খাবার আনছি, খেয়ে অনেক রাত হলো
আমি: হু আমি এটায় ভাবছি লাম।
খাবার খাওয়া শেষে বললাম তুই ঐরুমে থাকবি, আমি এই রুমে।
ও: হু ঠিক আছে
আমি: আমি বায়রে যাব একটু, তুই ঘুমা
ও: না এখন বায়রে যাবার দরকার নাই। তুইও ঘুমা।
আমি : এখন না, পরে ঘুমাব। বলে বায়রে গেলাম।ঘন্টা খানিক পর আসলাম, দেখি ও চেয়ারে বসে আছে। কিরে ঘুনাস নাই।
ও: না, তুই বায়রে আমি ঘুমায় কি করে।
আমি : এখন যা ঘুমা
ও: হু বলে চলে গেলে।
আমি ভালাম আমার উপর অধিকার খাটাসছে কেনো। রাগ হলো খুব। রুমে চলে গেলাম, সুয়ে আগের কথা ভাবছি। আগেতো এমন করতো না, এখন কি হলো ওর। ঘুমিয়ে গেলাম কখন জানিনা। সকালে উঠে ফেশ হয়ে গেলাম হোটেলে নাস্তা করার জন্য।
আসলে আমি হোটেলে খাবার খেতাম।
এভাবে দুই দিন গেলো। রাতে আমার রুমে আসলো বললো কলেজে যেতে হব কাল, কলেজ থেকে ফোন দিছিল।
আমি: ওকে নিয়ে যাব
ও: আচ্ছা আমরা হোটেলে না খেয়ে রান্না করে খেতে পারি।
আমি : কে রান্না করবে, আমি পারবো না।
ও: আমি রান্না করবো, তুই আসবার পত্র কিনে দিবি।
আমি: হু, কলেজ থেকে আসার পথে কিনবো,শুনে ও অনেক খুশি।
ও: ওই।
আমি: কি। বল
ও: ওই শুনো
আমি: কি বল।
ও: একটা কথা বলবো।
আমি: হু বল শুনি
ও: ই এ মানে, তুই আগে যা করতে চাইচিলি এখন করতে পারিশ, আমি রাজি আছি। ---একবারে সব বললো।
আমি: কি বলছিচ তোর মাথা ঠিক আছে।
ও: হু, মাথা ঠিক আছে, সব ঠিক আছে। যা বোললাম সব ঠিক কথা বললাম।
আমি : তুই তোর রুমে যা, আমি এসব পারবো না।
ও: ঠিক আছে, তুই থাক।
বলে উঠে গিয়ে দরজা লক করে দিয়ে আসলো, বললো আমি আর এভাবে থাকতে পারবো না। ৮ /৯ রছর তোর জন্য নিজেকে ধরে রাছি, আর পার না এভাবে থাকতে।
আমি : শুনে আমি তো অবাক কি বললো এটা। মানে কি এটার।
ও: তুই যে দিন আমাকে ওই কথা বলছিলি সেদিন থেকে ভাব ছিলাম, সব কিছু কি করা যায়। এভাবে কখন যে তোকে ভালোবেসে ফেলছি জানি না।
বলে আমার উপরে উঠে পরলো, আমি বললাম এখন না, অন্য এক সময়, কে শুনে কার কথা
বলতে বলতে অনেক গুলো কিস দিয়ে ভরিয়ে দিল
আমি আর করবো পুরুষ মানুষ আমি আর থাকতে পারলাম না, রেসপন্স দিতে লাগলাম।ওর আদর করা আরো বেরে গেলো।
ও: ওই তুই এখন ও কাপড় পরে থকবি নাকি
আমি: তুই খুলে দে, বলে আমি ওর কাপড় খুলতে লাগলাম, ও লজ্জায় আমার বুকে মুখ লুকালো আমি ওকে বিছানাই ফেলে দিলাম। ওর উপরে উঠে আমি ওর সারা শরীরে কিস করতে লাগলাম, ও শিউরে ঠলো, আমি ওর দুধ দুটো নিয়ে খেতে লাগলাম। কিছু সময় খেলার পরে, মুখ দিয়ে চুসতে লাগলাম। ও উত্তেজনাই, আ ই ই ই হু হু ইফ ইফ করতে লাগলো। আমি ওকে আরো উত্তেজিত করার জন্য, ওর জৌন স্থানে মুখ ডুবিয়ে ইচ্ছা মতো চুসতে লাগলাম,
ও: আমি আর পারছি না, কিছু একটা কর।
আমি: একটু পরে করি
ও: না এখনই কর
বলে আমায় ওর উপর উঠিয়ে নিল, ও আমার মেশিন দেখে তো অবাক এতে বড় যাবেনা তো, এই বলে বললো আমি একটু চুষে দেয় তাহলে যাবে বলে চুষতে লাগলো, আমি খুব মজা পাচ্ছিলাম ৫মিনিট চুষার পরে বলি এখন করা যাক,
ও: হু করো, আমি আর থাকতে পারবোনা,
আমি : একটু চুষে দেই,
ও: হু দাও
৫ মিনিট চুষার পরে, ওর যৌনির মুখে ছেট করলাম একটু চাপ দিতেয়,
ও: ও মা গো,আছতে দাও
আমি আচ্ছে আচ্ছে সব টা ভিতরে দিয়ে দিলাম, ও কান্না করতে লাগলো,
আমি: বাদ দেই।
ও: না তুই কর আমার ভালো লাগছে,
আমি আচ্ছে আচ্ছে উঠা নামা করতে লাগলাম,
ও আ উ ই করতে লাগলো, এভাবে ২০ মিনিট পরে আমার মাল আউট হয়ে যায়, এর মধ্যে ও দুই বার আউট করেছে।
আমরা তিপতি নিয়ে দুজন এক সাথে ঘুমি য়ে গেলাম।

পরের পর্ব পড়ার আনুরোধ রইলো

লেখকঃ তাইফুর রহমান ( আশিক)

আরো মজার মজার গল্প পেতে এই পেজে ফলো করে দাও
লেখায় কোন ভুল হলে বুঝে নিও🥰

শুধু একটা রাত কাটাতে হবে আমাদের সাথে। ব্যস, আর কিছু চাচ্ছি না৷ "বাঙালী যুবকটির অসৎ প্রস্তাবে সাবিহা প্রচণ্ড বিস্মিত হলো।...
25/01/2025

শুধু একটা রাত কাটাতে হবে আমাদের সাথে। ব্যস, আর কিছু চাচ্ছি না৷ "
বাঙালী যুবকটির অসৎ প্রস্তাবে সাবিহা প্রচণ্ড বিস্মিত হলো। কিন্তু তার বিস্ময়ের মাত্রা তার ক্রোধের মাত্রাকে ছাড়াতে পারলো না।

বান্ধবী সোফিয়ার বাসায় বার্থডে পার্টি শেষ করে বাড়ি ফিরছিলো সাবিহা। কথা ছিলো, বাকি বন্ধুদের সাথে পার্টি শেষে একত্রে বাড়ি ফিরবে সে৷ কিন্তু পার্টি শেষে তার বন্ধুরা বাড়িতে ফেরার সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে। তারা সকলেই আজ সোফিয়ার বাসায় রাত কাটাতে আগ্রহী হয়। কিন্তু সাবিহা এতে রাজি হয় না। কারণ রাতে বাড়ির বাইরে থাকতে তার ভালো লাগে না৷ এজন্যই সে একাই নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। প্রথমে সে ভেবেছিলো বাড়িতে ফোন করে গাড়ি পাঠিয়ে দিতে বলবে। কিন্তু পূর্ণিমা রাতে ভেনিসের ছিমছাম রাস্তা ধরে হাঁটার লোভ সে সামলিয়ে উঠতে পারেনি। ফলস্বরূপ পায়ে হেঁটেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সে। এরই মাঝে হঠাৎ একটি বাঙালী ও একটি ইতালীয় যুবক এসে তার পথ আগলে ধরে। তাকে দিয়ে বসে এক সাথে রাত কাটানোর বাজে প্রস্তাব।

সাবিহা যুবকটির উদ্দেশ্যে ক্রুদ্ধ গলায় বললো,
" আপনার সাহস কি করে হলো আমাকে এমন প্রস্তাব দেওয়ার? "

যুবকটি সাবিহাকে আপাদমস্তক পর্যবেক্ষণ শেষে হলদেটে দাঁত বের করে বি'শ্রীভাবে হাসলো। তার নিকটে দাঁড়িয়ে থাকা ইতালীয় যুবকটিও একই ভঙ্গিতে হাসলো। দুজনের উদ্দেশ্য একই৷ আজকের রাত এই মেয়েটার সাথে কাটিয়ে দেওয়া। যুবকটি হালকা হাতে দাঁড়িতে হাত বুলাতে বুলাতে পুনরায় বললো,
" এতে সাহসের কি দেখলে তুমি? চলো আমাদের সাথে। শুধু একটা রাতেরই তো ব্যাপার। আজ রাতের বিনিময়ে তুমি যা চাইবে তা-ই দেওয়ার চেষ্টা করবো আমরা। কি? ঠিক বলেছি লুকা?"

শেষোক্ত কথাটি ইতালীয় ভাষায় বললো যুবকটি। সাবিহা ঘৃণাপূর্ণ চাহনিতে চেয়ে যুবকটির উদ্দেশ্যে বললো,
" বাঙালী হিসেবে এটলিস্ট ভদ্রতামূলক আচরণ করা উচিত ছিলো আপনার। কিন্তু নর্দমার কিটদের এটা কে বুঝাবে?"
এই বলে সাবিহা উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলো। কিন্তু দু কদম যেতে না যেতেই যুবকটি পিছন থেকে সাবিহার হাত চেপে ধরে। এতে সাবিহা কিঞ্চিৎ ঘাবড়ে গেলেও তৎক্ষনাৎ আত্মরক্ষা করতে যুবকটির দিকে ফিরলো সে৷

মুহূর্তমধ্যেই সাবিহা যুবকটির হাত ঘুরিয়ে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিলো এবং যুবকটির কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই সে যুবকটির হাত নিজের নিয়ন্ত্রণে নিলো। অতঃপর পা দিয়ে যুবকটির পু'রু'ষা'ঙ্গে লাথি দিয়ে তাকে ধরা'শায়ী করে ফেললো। সাবিহার এ আত্মরক্ষামূলক কাজে দুজনেই হতবুদ্ধি হয়ে পড়লো। তারা বিস্ফোরিত নয়নে সাবিহার দিকে চেয়ে রইলো। এরই সুযোগে সাবিহা পা বাড়িয়ে পালিয়ে যেতে দৌড় দিলো।

যুবক দুটি এ হতবুদ্ধিকর পরিস্থিতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি। যতক্ষণে তারা পরিস্থিতি বুঝতে পারলো ততক্ষণে সাবিহা তাদের হাতের নাগাল হতে বেড়িয়ে গিয়েছে। এদিকে ব'খা'টে যুবক দুটির নাগাল হতে বেরিয়ে কিছুদূর আসতেই ব্যাথায় তার পা দুটো থমকে গেলো। পাশেই একটি গাছের গুঁড়ির কাছে বসে ফোঁস ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছাড়লো সে। বহুদিন পর এতো দূরত্ব দৌড়ে অতিক্রম করায় হাঁপিয়ে উঠেছে সাবিহা। দু হাত দিয়ে মাথা ধরে বড় বড় নিঃশ্বাস ছাড়ছে সে।

শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি স্বাভাবিক হয়ে এলে আশেপাশে এক নজর বুলিয়ে নিলো সাবিহা। অতঃপর অনিশ্চিত বিপদের শঙ্কায় সে তার বাবাকে কল দিয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানায় গাড়ি পাঠিয়ে দিতে বললো।


" তোকে স্বাধীনতা দিয়েছি। এর মানে এই নয় যে তুই এতো রাত করে বাসায় ফিরবি। তাও আবার একা! তোর সাহস কি করে হলো পুতুল!"
আফসার সাহেবের রোষানলে পড়ে নুয়ে পড়ার পাতার ন্যায় মিইয়ে গিয়েছে সাবিহা। চুপটি করে রিডিং রুমের মধ্যখানে দাঁড়িয়ে আছে সে। তার সামনে রাজকীয় ধাঁচের একটা সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে আছেন আফসার সাহেব। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে আছে সামাদ।

সাবিহা অতি কোমল গলায় বললো,
" অনেকদিন একা হাঁটি না। আজ খুব ইচ্ছে করেছিলো এ কারণেই...."

সাবিহার সপক্ষের যুক্তি সম্পূর্ণ না শুনেই আফসার সাহেব পূর্বের ন্যায় বললেন,
" ইচ্ছেটাকে সময় সুযোগ বুঝে ব্যবহার করতে হয়। এটা শিখবি কবে তুই?"

সাবিহা পুনরায় আত্মপক্ষে কিছু বলতে যাবে কিন্তু এর পূর্বেই সামাদ নিতান্তই দুষ্টুমির ছলে বললো,
" সাবিহাকে একটু টাইট দিতে হবে খালু। তবেই যদি ওর দূরন্তপনা কমে।"

সামাদের এরূপ কথা শুনে মুহূর্তে তিরিক্ষি মেজাজ নিয়ে সাবিহা বললো,
" সামাদ ভাই, তুমি বেশি বেশি বলছো কেনো! কিসের দূরন্তপনা করলাম আমি!"

আফসার সাহেব সাবিহাকে থামিয়ে সামাদের পক্ষ নিয়ে বললেন,
" সামাদ ঠিক বলেছে। তোকে একটু টাইট দেওয়া খুব জরুরি হয়ে গিয়েছে। "

এ পর্যায়ে সাবিহা ঝেঁঝে উঠে বললো,
" আমি যথেষ্ট ভালো আছি আব্বু। আর তুমি আমাকে সেল্ফ প্রটেকশনের জন্য যা যা শিখা দরকার সব শিখিয়েছো। আজ কারাটের ছোট একটা স্টেপ নিয়ে ওদেরকে হারিয়ে এসেছি। তারপরও এতো চিন্তা করো কেনো!"

আফসার সাহেব মেয়ের ক্রোধের মুখে পড়ে কিছুটা নরম হলেন। বললেন,
" আজ ছোট একটা পরিস্থিতিতে দুজন মানুষের সামনে পরেছিলি। এজন্যই কারাটের দুটো স্টেপ এপ্লাই করে পার পেয়ে গিয়েছিস। কিন্তু ভবিষ্যতে যদি......"

বাবার কথা সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পূর্বেই সাবিহা ক্ষিপ্রতার সহিত রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। সাবিহা বেরিয়ে যেতেই আফসার সাহেব কিছুক্ষণের জন্য চিন্তার সাগরে ডুব দিলেন। অতঃপর সামাদকে বললেন,
" সামাদ, ছেলে দুটোর খোঁজ করো। "

মুহূর্তেই সামাদ বাধ্য ছেলের ন্যায় বলে উঠলো,
" আচ্ছা খালু।"

সারা বাড়িতে কেউ নেই আমি আর ছোট সাহেব ছাড়া।বাড়ির সবাই বাইরে গেছে।বড় সাহেব তো সে তার স্ত্রী কে নিয়ে ঘুরতে দেখে।মালিক আর মা...
22/01/2025

সারা বাড়িতে কেউ নেই আমি আর ছোট সাহেব ছাড়া।
বাড়ির সবাই বাইরে গেছে।
বড় সাহেব তো সে তার স্ত্রী কে নিয়ে ঘুরতে দেখে।মালিক আর মালকিন তো গ্রামের বাড়ি গেছে বেড়াতে।
আমাকেও সাথে করে নিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু ছোট সাহেব যেতে চাননি তো তাই আমাকে রেখে চলে গেছেন।
ছোট সাহেবের খেয়াল রাখার জন্য।
বিকাল পাঁচটা বেজে গেছে।
ইস ছোট সাহেব তো এখন কফি খাবেন।
যাই তাড়াতাড়ি করে কফিটা বানায়।
তাহলে আজকে আর আমার রক্ষে নেই।
আমি তাড়াতাড়ি করে কফি বানাতে চলে গেলাম।
গ্যাস অন করতে যেয়ে একটু আ"গুনের ছোঁয়া আমার হাতে লেগে গেছে।
তেমন কিছুই হয়নি।
আমি কফিটা বানিয়ে নিয়ে তাড়াতাড়ি ছোট সাহেবের ঘরে ঢুকলাম।
উনার ঘরেই ঢুকে দেখি উনি ল্যাপটপে কার সাথে যেন কথা বলছেন।
আমাকে দেখার পর পরই ছোট সাহেব ল্যাপটপ টা অফ করে দিলেন।
উনি আমাকে দেখে চরম পর্যায়ে রেগে গেছেন।
রাগি গলা নিয়ে আমায় বলতে লাগলেন,,
-- তুই এইখানে কি করছিস?
আমার ঘরে কেন এসেছিস?
-- আপনি তো এইসময় কফি খান তাই কফি নিয়ে এসেছি।
-- কফি নিয়ে এসেছিস ভালো কথা আমার ঘরে যে ঢুকলি দরজায় তো একবার নকও করতে পারি।
তা না করে সরাসরি আমার ঘরে ঢুকে গেলি।
-- মাফ করবেন ছোট সাহেব আমি বুঝতে পারি নি।
এরপর থেকে আমি দরজায় টোকা দিয়েই আপনার অনুমতি নিয়ে আপনার ঘরে আসব।
তিনি বিছানা থেকে উঠে এসে আমার হাতটা শক্ত করে ধরলেন।
আমার খুব ব্য"থা করছে।
এমনভাবে উনি আমার হাত ধরেছেন যে কফিতো প্রায়ই পড়েই যাচ্ছিল।
-- বুঝতে পারিনি বললেই হল।
ফা*জিল মেয়ে একটা।
তোকে কতবার বলেছি আমার সামনে আসবি না তুই।
ছোট সাহেব আমার হাতটা মোচর দিয়ে ওইদিকে ঘুরিয়ে নিল।
আমার হাতটা এখন আরও ব্য"থা করছে।
আমি আর সহ্য করতে পারছি না।
এইবার উনি বলতে লাগলেন,,
-- তুই তো আমার কথায় শুনিস না।
তাও বেহায়ার মত আমার সামনে চলে আছিস।
তুই কি বুঝতে পারিছ না আমি তোকে সহ্য করতে পারি না।
আজকের পর থেকে তুই আমার সামনে আসবি না।
-- হ্যা আসব না।
আমার হাতটা ছেড়ে দিয়ে উনি কফি মগটা হাতে নিলেন।
কফিতে একটু চুমুক দিয়েই বলে উঠলেন,,
-- এইটা কি কফি নিয়ে এসেছিস।
একদম ঠান্ডা হয়ে গেছে।
-- কি বলছেন ছোট সাহেব।
আমি তো এই মাত্র বানিয়ে নিয়ে আসলাম।
এত তাড়াতাড়ি কি করে ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে।
-- তাহলে তুই নিজেই দ্যাখ কতখানি ঠান্ডা হয়ে গেছে।
এই কথা বলার সাথে সাথে উনি আমার দুই‌ হাতে গরম কফি ফেলে দিলেন।
হাতটা জ্ব'লে যাচ্ছে আমার।
-- এইবার বুঝতে পারলি তো কত ঠান্ডা হয়ে গেছে।
যা বের হ আমার ঘর থেকে।
আমি চলে যাচ্ছিলাম উনার ঘর থেকে উনি পিছন থেকে ডাক দিয়ে বলতে লাগলেন,,,,
-- এই শোন।
-- জ্বি ছোট সাহেব।
-- আজকে রাতে আমার জন্য রান্না করার দরকার নেই।
ফ্রেন্ডসরা আসবে ওরা বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসবে।
-- ঠিক আছে।
আমি উনার ঘর থেকে বের হয়ে আসলাম।
আস্তে আস্তে করে নিজের রুমে বসে পড়লাম।
আমি কান্না করতে লাগলাম।
হাতে ফু দিতে লাগলাম।
হাতে একদম ফোসকা পড়ে গেছে।
এই জ্বা'লা আর সহ্য করতে পারছি না।
আমার শুধু কান্নায় পাচ্ছে।
কান্না করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি টেরই পাইনি।
ছোট সাহেবের ফ্রেন্ডসরা চলে এসেছে।
সবগুলো ফ্রেন্ডস একসাথে জড়িয়ে ধরল।
ছোট সাহেবকে উনারা বলতে লাগলেন,,
-- কি রে প্রান্তিক কেমন আছিস??
-- ভালোই আছিরে।
তোরা কেমন আছিস সেটা তো আগে বল??
-- আমরাও ভালো আছিরে।
-- খাবার আনবি বলেছিস তাই বলে এত নিয়ে এসেছিস।
এত খাবে কে??
-- আমরাই খাব।
-- আমরা এত খাই নাকি রে।
তবে ভালোই করেছিস ছোঁয়া তো রয়েই গেছে।
মম ড্যাড রেখে গিয়েছে আমার দেখাশুনার জন্য।
আমি নিশ্চিত ও নিজের জন্য রান্না মোটেও করবে না।
ওই খেয়ে নিবে।
-- আগে বল এইগুলো এখন কোথায় রাখব??
-- এইগুলো তো বেড়ে রাখতে হবে।
দাঁড়া।
ছোঁয়াকে ডাক দিচ্ছি।
-- এই প্রান্তিক।
এই ছোঁয়াটা আবার কে রে??
-- আমাদের বাড়িতে আগে আন্টি কাজ করত না তার একটা মাত্র।
ওই আন্টি মারা যাওয়ার পর থেকে ও এইখানে থাকে।
বলতে গেলে মম ড্যাডই ও কে রেখে দিয়েছে।
মম ড্যাড অবশ্য ওকে পড়াশুনাও করাচ্ছে।
-- দে তাড়াতাড়ি ডাক দে ওকে।
-- হুম দিচ্ছি।
ঘুম থেকে উঠে দেখি আট টা বেজে গেছে।
আরে আমি এতখন আমি ঘুমিয়েছি।
আমাকে তো ছোট সাহেবের জন্য রান্না করতে হবে।
আরে আমি এত টেনশন করছি কেন??
উনি তো বলেই দিয়েছেন আজকে রান্না না করতে।
উনার ফ্রেন্ডসরা খাবার নিয়ে আসবেন।
ছোট সাহেব আমাকে ডাকছে,,,,
-- ওই ছোঁয়া।
তাড়াতাড়ি বাইরে চলে আস।
উনি এখন কেন আমাকে ডাকছেন??
উনি তো বলে দিয়েছেন উনার সামনে না যেতে।
তাহলে এখন কেন আমাকে প্রয়োজন পড়ছে।
আমি যাব না উনার কাছে।
-- কিরে আসছে না কেন??
দাঁড়া তোর এখনি মজা দেখাচ্ছি ফা*জিল মেয়ে একটা।
ছোট সাহেব নিজেই আমার ঘরে আসলেন।
আমি বসা অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়ালাম।
উনি বলতে লাগলেন,,,
-- তোকে না সেই কখন থেকে ডাকছি।
তুই কোন রেসপন্স দিচ্ছিস না কেন??
-- আপনিই তো বললেন আমাকে আপনার সামনে না যেতে।
-- আসলেই তুই,,,
আমার হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছেন।
আমি উনাকে বলছি,,
-- ছাড়ুন আমাকে বলছি।
কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে ছাড়ুন।
আমাকে টানতে টানতে উনার ফ্রেন্ডসদের সামনে নিয়ে গেলেন।
আমাকে বলতে লাগলেন,,,
-- যা এইগুলো বেড়ে দে।
-- দিচ্ছি ছোট সাহেব।
উনারা ফ্রেন্ডসরা উনাকে বলছে,,,
-- এই কি ছোঁয়া??
-- হুম।
-- কত সুন্দর রে।
-- এই নজর দিবি না।
সামলে থাকবি।
ছোঁয়া কিন্তু এই পরিবারের খুব আদরের।
কোন উল্টা পাল্টা কিছু করলে খবর আছে ছেড়ে কথা বলবে না কিন্তু।
-- তার মানে তোরও খুব আদরের তাই না প্রান্তিক।
তুইও খুব আদর করিস তাই না।
-- না আমার আদরের না।
আমি তো ওকে দেখতেই পারি না।
সহ্যই করতে পারি না।
-- আমার তো তোর কথাই বিশ্বাস হচ্ছে না।
তোর মত একটা ছেলে এমন একটা সুন্দরি মেয়েকে ছেড়ে দিয়েছে সেটাই তো বিশ্বাস করতে পারছি না।
আর কাকে কি বলছি?
তোর যা পছন্দ দেখলে মনে হয় কি একেকটা হি"জরা।
ঘরেই সুন্দরি মেয়ে থাকতে আর উনি বাইরে খুজছেন।
-- এই তোরা ফালতু আলাপ এইবার বন্ধ করবি।
আজকের মজাটা মাটি করে দিস না।
ওই তো ছোঁয়া এসেছে বেড়ে নিয়ে।
চল খেয়ে দেয়ে মজা করা শুরু করি।
-- হুম চল।
আমি খাবার বেড়ে নিয়ে চলে আসলাম।
তারপর উনাদের খাবার খেতে দিলাম।
যখনই সবাই খাবার মুখে দিল একসাথে সবাই খাবার ফেলে দিল।
ছোট সাহেব বলতে লাগলেন,,
-- ওই ফাজিল তুই কি খাবার নিয়ে এসেছিস??
খাওয়াটাই আর আজকের মজাটাই মাটি করে দিলেন।
-- আগে তো কোনদিন এমন হয়নি।
আজকে হঠাৎ এমন হল কেন??
-- দ্যাত ভালো লাগে না।
না খেয়ে থাকতে হবে।
দ্যাত কিসের জন্য যে ছোঁয়াকে মানা করলাম রান্না করতে।
আমি ছোট সাহেব আর তার বন্ধুদেরকে বলতে লাগলাম,,
-- আপনারা চিন্তা করবেন না আমি এখনি রান্না করে নিয়ে আসছি।
বেশি সময় লাগবে না।
-- হ্যা ঠিক আছে যা।
আমি উনাদের জন্য রান্না করতে চলে গেলাম।
ভাবছি যে কি রান্না করা যায়।
আর কিছু না ভেবে বিরিয়ানি রান্না শুরু করে দিলাম।
আর এমনিতে ছোট সাহেব তো বিরিয়ানি খেতে বেশি পছন্দ করে।
আমি বিরিয়ানি রান্না শুরু করে দিলাম।
ছোট সাহেবের বন্ধুরা উনাকে বলছে,,
-- তোর কি মনে হয় এখন ছোঁয়া কি রান্না করে নিয়ে আসতে পারে??
-- জানি না রে।
তবে ও যদি বিরিয়ানি রান্না করে নিয়ে আসে রে।
সেই মজা হবে।
আমি একদম তৃপ্তি সহকারে খাব।
প্রচুর খিদা পাচ্ছে।
-- এমন ভাব দেখাচ্ছিস যে শুধু তোরই ক্ষুধা লেগেছে।
আমাদের যেন লাগেনি।
-- আরে আমি তো সবার কথায় বললাম।
আমি তো নিজের কথা বলেনি শুধু।
-- জানি তুই কত ভাবিস আমাদেরকে নিয়ে।
-- এই তোরা এখন এই টপিক্স বাদ দে।
আরে ছোঁয়া তাড়াতাড়ি কর না।
-- আরে তুই যেয়ে একটু হেল্প কর তোর সুন্দরি গার্লফ্রেন্ডকে যেয়ে।(মজা করে)
-- কি?
আমার,,,
তোরা কিন্তু একটু বেশিই বুঝছিস।
ওর সাথে আমার কোন রিলেশন নেই।
ও শুধু আমাদের বাড়িতে থাকে কাজ করে।
আমি তো ওকে দেখতেই পারি না।
-- তুই যতই যাই বলিস তুই যে ওর সাথে যে করিস সেটা আমরা খুব ভালোভাবেই বুঝে গেছি প্রান্তিক।
-- এই তোরা এখন চুপ করবি।
এইসব ফালতু কথা আমার সামনে বলবি না।
-- তোর ভাবসাব বলেই দিচ্ছে তুই করিস।
-- চুপ কর না রে তোরা।
আমি বিরিয়ানি রান্না করে নিয়ে উনাদের কাছে নিয়ে গেল।
আমি উনাদের সামনে যেয়ে বললাম,,
-- হয়ে গেছে।
সবাই ক্ষুধার জ্বালাই খাবার টেবিলে এসে বসল।
আমি সবাইকে খাবার বেড়ে দিলাম।
এতটাই ক্ষুধা পেয়েছে যে সাথে সাথে বিরিয়ানি মুখে দিল।
সবাই বলতে লাগল,,অনেক টেস্টি হয়েছে।
ছোট সাহেবের একজন বন্ধু বলে উঠল,,,,
-- কি রে প্রান্তিক তৃপ্তি করে খাচ্ছিস তো??
তুই তো বিরিয়ানির কথাই ভাবছিলি।
-- হুম।
-- আচ্ছা ছোঁয়া তুমি কি করে বুঝলে প্রান্তিকের এখন বিরিয়ানি খেতে মন চেয়েছে??
-- কারন উনি বিরিয়ানি খুব পছন্দ করেন।
আর কোন পার্টিই হোক না কেন উনি বিরিয়ানিই খান এর জন্য আর কি।
-- ও আচ্ছা।
আর বিরিয়ানিটা অনেক টেস্ট হয়েছে।
এত টেস্ট আগে কোনদিন পাইনি।
-- ধন্যবাদ।
-- তোমার বয়স কত??
-- এইতো ১৮ পড়বে এইবার।
-- ভালোই।
উনারা কথা বলা বাদ দিয়ে খাবার খেয়ে নিলেন।
যার যা প্রয়োজন আমি তা তুলে তুলে দিচ্ছি।
সবারই খাওয়া শেষ।
সবাই হাত ধুয়ে আসল।
ছোট সাহেব সবাইকে বলছেন,,,,
-- চল শুরু করি পার্টি।
-- yeah let's go..
-- play the music...
Abhi to party soro hoyia...
এই গান বাজাচ্ছে।
সবাই নাচা শুরু করল।
আমি তো শুধু ছোট সাহেবের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।
জানি না কিসের টানে উনার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
উনার দেওয়া সব কষ্ট সহ্য করে নিয়।
তেমন কষ্টই হয় না আমার।
উনার নাচকেই বারবার শুধু দেখছি।
একসময় উনি আমার দিকে তাকালেন।
আমি ওইখান থেকে চলে যেয়ে নিজের ঘরে চলে আসলাম।
উনার বন্ধু উনাকে বলছেন,,,,
-- কি রে ছোঁয়া ভিতরে চলে গেল।
তুই আটকালি না কেন??
-- ওর হয়ত বা এইসব ভালো লাগছে না তাই চলে গেছে।
আমি ওকে কি আটকাব।
-- আরে মেয়েটা কিছুই খায়নি।
না খেয়ে শুয়ে পড়বে নাকি।
-- কি??
চলবে।

তাইফুর রহমান (আশিক)

ছোট সাহেবের অত্যাচার

Part:01

ভালো লাগলে ফলো করতে ভুলবেন না কিন্তু ধন্যবাদ আপনাকে 👉

ভার্সিটির টিচার রূপে নিজের হাজবেন্ড মাহির ইফতেখার চৌধুরিকে দেখে বেশ চমকে উঠলাম। আমার জায়গায় অন্যকেউ হলে হয়ত খুশি হত। কিন...
21/01/2025

ভার্সিটির টিচার রূপে নিজের হাজবেন্ড মাহির ইফতেখার চৌধুরিকে দেখে বেশ চমকে উঠলাম। আমার জায়গায় অন্যকেউ হলে হয়ত খুশি হত। কিন্তু আমার বেশ অসস্তি হচ্ছে। হঠাৎ একটা ডাক শুনলাম, "এই মেয়ে, এত মনোযোগ দিয়ে কার কথা ভাবছেন শুনি? ক্লাসে নতুন টিচার আসলে তার দিকে মনোযোগ দিতে হয় জানেন না?" আমি হা হয়ে তাকিয়ে আছি।তিন বছর আগে এই মানুষটায় আমায় বাসর ঘরে রেখে বিদেশে পারি দিছিল।আজ এত বছর পরও মানুষটা আগের মতই আছে। বলতে গেলে আগের থেকে আর সুন্দর হয়েছে। সেই ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসিটা লেগে আছে। আমার ভাবনার মাঝেই আমার স্বামী ঠোটের কোন তাচ্ছিল্য হাসি এনে বলল, "তা আপনিতো দেখছি ভারী বেয়াদব। টিচার সাথে কথা বলার সময় দারাতে হয়, সেটা জানেন?" দারান বলছি। আমি দারিয়ে পরলাম কিছুটা আতঙ্ক নিয়ে।

""Miss, আর ইউ ম্যারেড? আই মিন, ডু ইউ হ্যাভ আ হাসবেন্ড?"" বলেই নিজের সাদা ফ্রেমের চশমাটা ঠিক করল!"

আমি অবাক হয়ে তাকালাম। এটা কি ধরনের প্রশ্ন? আশে-পাশের ছেলে-মেয়ে গুলো, কানা ঘোশা করছে। কেউ বলছে, "স্যার, এসব কেন জিজ্ঞাসা করছে?" কেউ বলছে, "যেভাবে বোরকা পরে আসে, স্যার মনে হয় তার নানী ভাবছে," বলেই সবাই হাসি দিল। হঠাৎ আমার স্বামী নিজের গালের পাশ থেকে হেডসেট মাইক্রোফোনটা ঠিক করে গম্ভির কন্ঠে বলল চুপ,"শাট আপ, এভ্রিওয়ান! আজ যে ভুল করেছেন, তা কেউ ২য় বার করবেন না। আমি যতক্ষণ ক্লাস নিব, ততক্ষম কেউ কথা বলতে পারবেন না।"এটায় আপনাদের নতুন স্যারের নিয়ম। এতে এত আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, ভার্সিটির টিচার হিসেবে পরিচিত হওয়া জরুরি, স্টুডেন্টের সাথে তাই নই কি।আমি একটু মজা করে না হয় পরিচিত হলাম। তাতে কি কার সমস্যা আছে)।

সবাই স্টুডেন্ট বলল, উই উইল অলসো এনজয় ডিস, স্যার।

আমি ঠিকই বুঝতে পারছি, এই লোকটা ইচ্ছা করে এসব করছে। আমার স্বামী বাকা হেসে বলল, "তা মিস, কি বলাম, কানে জায় না? নাকি আপনি কানে শুনেন না?" এবার বেশ বিরক্ত হলাম। আমি বুঝতে পেরেছি, এই লোক আমাকে অপমান করার জন্য কোমড়ে গামছা বেঁধে নেমেছে। আমি দাতে দাত চেপে বললাম, "হ্যা, আমি বিবাহিত।" আমার স্বামী দেখলাম মুচকি হাসল। আমার এবার বেশ রাগ হলো। কি দরকার ছিল আমি বিবাহিত সেটা জানানোর? হঠাৎ স্বামী বাকা হেসে বলল, "তা মিসেস, আপনার স্বামীর নামটা কি জানতে পারি?"

আমি একবার চারপাশে তাকালাম। দেখলাম সবাই তাকিয়ে আছে। এবার আমার প্রচুর কান্না পেল। নিজের নিকাবটা ঠিক করে সামনে তাকালাম। আমার স্বামী বলল, "তা মিসেস, নিজের স্বামীর নাম মুখে নিতে কষ্ট হচ্ছে, বুঝি নাকি লজ্জা পাচ্ছেন?"

আমার এবার এত রাগ লাগল, হয়ত বলে বুঝানো যাবে না। আমি রেগে চিৎকার করে বললাম, "আমার স্বামীর নাম মাহির ইফতেখার চৌধুরি।" আমার স্বামী দেখলাম বাকা হাসল। বলল, "স্ট্রেঞ্জ, আপনার স্বামীর সাথে আমার নাম মিলে চাচ্ছে।"

এবার আবার প্রচুর রাগ, কান্না, সব একসাথে পেল। ছোটবেলা থেকে আমি যত বেশি রেগে যাই, ততবেশি কান্নায় করি। আমি নিজেকে সামলে বললাম, "পৃথিবীতে একই নামের ব্যক্তি কি দুজন থাকতে পারেন না?"

বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে বাংলাদেশে আসতেই বাবার চাপের মুখে বিয়ে করতে বাধ্য হলাম। সদ্য বিধবা হওয়া আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী নীরাকে। ...
21/01/2025

বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে বাংলাদেশে আসতেই বাবার চাপের মুখে বিয়ে করতে বাধ্য হলাম। সদ্য বিধবা হওয়া আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী নীরাকে।

বাবা এমনটা করবে জানলে বাংলাদেশেই আসতাম না। নিজেকে গুছিয়ে নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তার আগেই এতো বড় একটা ঝড় বয়ে যাবে জীবনের উপর দিয়ে ভাবতেই পারিনি। আট মাস আগেই ভাইয়া নীরাকে বিয়ে করে, এর দুই মাস পরেই আমি বিদেশে চলে যাই। নীরাকে কখনোই আমি এভাবে দেখিনি। সব সময় বড় ভাইয়ের স্ত্রীর চোখেই দেখেছি যদিও বয়সে সে আমার অনেক ছোট। কিন্তু কখনোই ভাবতে পারিনি আমার জীবন সঙ্গী তাকে করবো।

কিন্তু বাবার সম্মানের দিকে চেয়ে সব মেনে নিতে বাধ্য হলাম। বাসর ঘরে নীরা একা বসে আছে, আর আমি ছাদ এ বসে ভাবছি আমার জীবনটা শেষ হয়ে গেল এভাবে। বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে, না তা হতে দিবো না। আমি এবার বিদেশে চলে গেলে আর আসবো না।আর নীরাকে কোন ভাবেই স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে পারবো না।

রাত প্রায় দুইটা বেজে গেছে,
আমি নিচে নেমে যেয়ে দরজাটা খুলতেই দেখি নীরা বসে বসে কাঁদছে।আমাকে দেখেই নীরা খাট থেকে নেমে দাঁড়িয়ে গেল, এবং বলতে শুরু করলো,

- " আমাকে ক্ষমা করে দিবেন, আমার জন্য আপনাকে এমন পরিস্থিতিতে পরতে হলো। আমি এটাও জানি আপনি কোন দিনও আমাকে মন থেকে মেনে নিতে পারবেন না। আর এটা হওয়াই স্বাভাবিক, অন্যকেউ হলেও মেনে নিতে পারতো না। তাই আমি কখনো কোন প্রকার অধিকার খাটাতে আসবো না। আপনি আপনার মত চলতে পারেন যেমন খুশি ঠিক তেমন করে। "

বলেই নীরা খাটের উপর উঠে যেয়ে এক কর্ণারে শুয়ে কান্না করতে থাকলো।

আমি আর কিছু বললাম না, প্রচন্ড রাগ নিয়ে বারান্দায় চলে যেয়ে একের পর এক সিগারেট টানছি।দেখতে দেখতে যে কখন রাত শেষে ভোর হয়ে এলো বুঝতেই পারিনি। নীরা বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলে আমি যেয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ি, চোখে ঘুম ঘুম লেগে আসতেই আমি দেখি নীরা ওযু করে এসে নামাজ পড়তে বসেছে। আমি আমার মত দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে গেলাম।

এগারোটার দিকে মায়ের ডাকে ঘুম থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে নাস্তার টেবিলে যেয়ে দেখি নীরা নাস্তা রেডী করছে। প্রচন্ড রাগ নিয়ে কোন রকমে নাস্তা করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। মনের ভিতর আগুন জ্বলছে কোন ভাবেই ঘরে মন টিকানো সম্ভব না।

মনে মনে ভাবছি যেয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সময় পার করে দিবো, যে কয়দিন বাংলাদেশে আছি। রাত করে বাড়ি ফিরবো যখন নীরা ঘুমিয়ে পড়বে ওর মুখটাও আমার দেখতে ইচ্ছে করে না কেন জানি। ভাবতে ভাবতেই বন্ধুদের মাঝে চলে গেলাম। যেতেই বন্ধুরা বিভিন্ন রকম মন্তব্য করতে শুরু করলো, সরাসরি বলতে শুরু করলো, ‘কি বন্ধু কেমন রাত কাটলো, ভালইতো পেয়েছিস ভাবীকে।’ আরও অনেক রকম বাজে কমেন্টস করতে শুরু করলো।

ওদের কথায় মেজাজ আরও খারাপ হয়ে গেল। ওদের সাথে তেমন কোন কথা না বলেই সেখান থেকে উঠে চলে আসলাম।নিরিবিলি একটা জায়গা দেখে বসে পরলাম। পকেট থেকে ফোনটা বের করে ডাটা কানেকশন অন করতেই ম্যাসেঞ্জারে টুংটাং শব্দ করে দিয়ার ম্যাসেজ আসতে শুরু করে দিয়েছে।

দিয়ার সাথে বিদেশে থাকা অবস্থা থেকেই ফেসবুকে পরিচয়, কিছু দিনের ভিতরেই আমাদের সম্পর্কটা ভালোবাসায় রূপ নেয়। আমি কখনো বিশ্বাস করতাম না যে ভার্চুয়ালে ভালোবাসা হতে পারে, কিন্তু দিয়া তা ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে। ও আমাকে ফোনের অন্যপ্রান্ত থেকে এমন ভাবে কেয়ার করেছে যে মনে হতো সব সময় আমার পাশেই ছিল। এতো হাজার মাইলের দূরত্বকেও তখন দূরত্ব মনে হতো না।

ব্যস্ততার জন্য এই কয়েকদিনে মেয়েটাকে ম্যাসেজ দিতেই পারিনি, না জানি কত কিছু ভেবে বসে আছে। ভাবতে ভাবতে ম্যাসেজ ওপেন করতেই দেখি দিয়ার অভিমানী ম্যাসেজ,

- " কি আমাকে ভুলে গেলে বাংলাদেশে এসেই? তুমি না বলেছিলে সব কাজ শেষ করেই আমার সাথে দেখা করবে কই তুমিতো এলেনা। আসবেতো দূরের কথা, না একটা ম্যাসেজ না কোন কল, তুমি কি ঠিক আছো? "

আমি আর দেরি না করে দ্রুত ম্যাসেজ ব্যাক করলাম,
- " হুম আমি ঠিক আছি একটু ব্যস্ত ছিলাম বুঝইতো তুমি। চলো আজ এক সাথে লাঞ্চ করবো "

লিখে বসে আছি কয়েক মিনিটের ভিতরেই দিয়ার রিপ্লাই আসলো,
- " হুম চলে আসো "

ঠিকানা দিয়ে দিলো, আমি বললাম,
- " ঠিক আছে তুমি আসো আমি আসতেছি "

বলেই সেখান থেকে উঠে রওনা দিলাম দিয়ার সাথে দেখা করার জন্য। মনে মনে ভাবছি দিয়াকে কি নীরার কথা বলবো? না ওকে কিছুই বলা যাবে না, কিছু দিনেরইতো ব্যাপার বিদেশ যেয়েই নীরাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবো, অযথায় ওকে বলার কি দরকার।

অল্প সময়ের ভিতরেই দিয়ার পাঠানো ঠিকানায় চলে আসলাম, ঠিক সময় মত দিয়াও চলে আসলো। এসেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো। দিয়া আধুনিক মর্ডান মেয়ে, জিন্স টপ পড়ে এসেছে। ছবিতে ওকে যতটা সুন্দর লাগে তার চেয়ে অনেক বেশী সুন্দর আর স্মার্ট মেয়ে দিয়া। যেকোন ছেলেই পছন্দ করতে বাধ্য হবে।

দিয়াকে যতই দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি মনে হচ্ছেই না আজ আমাদের প্রথম দেখা সরাসরি। মনে হচ্ছে যুগযুগের চেনা। নিমেষেই এই কয়েকদিনের যন্ত্রনা যেন ভুলেই গিয়েছি আমি।

খুব দারুণ ভাবে প্রতিটা মুহূর্ত কেটে যাচ্ছে দিয়ার সাথে দুপুরের লাঞ্চ রাতে মুভি দেখা, ডিনার করা, কেমন করে যেন সময় গুলো কেটে গেল। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে দিয়াকে বিদায় দিয়ে বাড়ির উদেশ্য রওনা হলাম। মনটা আবারও খারাপ হয়ে গেল, বাসায় যেয়ে আবার ও নীরার মুখ দেখতে হবে, অসহ্য একটা মেয়ে, দেখার সাথে সাথেই মনটা খারাপ হয়ে যাবে।

রাত ১২টার দিকে বাসায় আসলাম,
কয়েকবার কলিং বেল টিপ দিতে নীরা এসে ঘরের দরজাটা খুলে দিলো।শরীরে শাড়ি ঠিক মত নেই। মনে হয় ঘুমিয়েছিলো। চুল গুলো এলোমেলো হয়ে মুখের সাথে লেপটে ছিল, আমি কয়েক মুহূর্ত তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।

আমাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সে চোখ নামিয়ে নিলো, সে মুহূর্তে আমার খুব ইচ্ছে করছিল তার মুখ থেকে চুল গুলো সরিয়ে দিতে, এক অন্যরকম মাদকতায় সে মুহূর্তে আমাকে পেয়ে বসেছিল। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে আমি ঘরে ডুকে গেলাম।

এসব আমি কি ভাবছি, না এগুলা ভাবা মোটেও আমার ঠিক হচ্ছে না। কোন ভাবেই আমার নীরার প্রতি মায়া বাড়ানো যাবে না। আমি দিয়াকে ভালোবাসি আর বাংলাদেশ থেকে চলে গেলেই নীরাকে ডিভোর্সের পেপার পাঠিয়ে দিবো। ভাবতে ভাবতে ওয়াশ রুমে চলে গেলাম।

ফ্রেশ হয়ে আসতেই নীরা বললো,
- " টেবিলে খাবার দিয়েছি খেয়ে নিন। "

আমি বললাম,
- " আমি খেয়ে এসেছি "

নীরার মুখটা কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেল, সে কিছু বলতে চেয়েও থেমে গেল। তারপর খাবার গুলো ঢেকে রেখে এসে বিছানার এক কর্ণারে যেয়ে শুয়ে পড়লো।

আমি আমার মত বিছানায় শুয়ে শরীরে চাদর টেনে নিলাম। কি করবো ভাবতে ভাবতে এক সময় ঘুমিয়ে পড়লাম। গভীর রাতে হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙে যায় আমি লক্ষ করি নীরার দুটি হাত আমার শরীরের উপরে, সে শীতে কাঁপছে, আমি আসতে করে তার দুটো হাত নামিয়ে দিয়ে চাদরটা তার গায়ে টেনে দিয়ে তার দিকে তাকাতেই লক্ষ করলাম ঘুমন্ত নীরাকে সত্যিই অনেক রূপবতী লাগছে। ঘুমন্ত সব মেয়েকেই শোনেছি রূপবতী লাগে আজ বাস্তবে তা দেখলাম।

নীরার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ভোর হয়ে গেছে খেয়ালই করি নেই। নীরা ভোরে ঘুম থেকে উঠতেই আমি দুচোখ বন্ধ করে নিলাম। যেন নীরা কোন কিছু না বুঝতে পারে। নীরা বিছানা ছেড়ে আলমারি থেকে শাড়ি নিয়ে চলে গেলো ওয়াশ রুমে গোসলের জন্য।

কিছু সময়ের ভিতরেই নীরা গোসল করে বের হয়ে আসতেই আমি উঠে বসলাম। নিজে ফ্রেশ হবার জন্য, ফ্রেশ হয়ে এসে নীরার দিকে তাকাতেই আমার চোখ আটকে গেল।

নীরার ভেজা চুল বেয়ে পানি পরছে, সূর্যের আলোয় অন্যরকম সুন্দর লাগছে নীরাকে। শাড়িতে যে একটা মেয়েকে এতো সুন্দর লাগতে পারে নীরাকে না দেখলে কখনোই বুঝতে পারতাম না। আমাকে নীরা এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে প্রশ্ন করলো,
- " কিছু বলবেন? "

আমি তার কথায় থতমত খেয়ে গেলাম। আমি কোন কথা না বলে সোজা ওয়াশ রুমে চলে গেলাম।

চলবে....

Address

Pabna

Telephone

+8801707584046

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MR. Best posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category