20/01/2024
#হাইপোথাইরয়েডিজম সমস্যা মোকাবেলায় কোন খাবারগুলো এড়িয়ে যাবেন?
(১) গয়ট্রোজেন
কিছু খাদ্য উপাদান থাইরয়েড হরমোনের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। এগুলোকে বলা হয় গয়ট্রোজেন। এ উপাদান বিদ্যমান ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, সয়াজাতীয় খাদ্য, মিষ্টি আলু, কাসাভা, স্ট্রবেরি, পিচ ফল, নাশপাতি, চিনাবাদামে। রান্না করলে গয়ট্রোজেন নষ্ট হয়ে যায়। তখন এগুলো খেতে সমস্যা নেই।
(২) কলের পানি
অবিশুদ্ধ কলের পানিতে অনেক সময় ফ্লোরিন ও ক্লোরিন থাকে যা আমাদের শরীরের আয়োডিন পরিশোষণে বাধা দেয়। তাই অবশ্যি পানি ফুটিয়ে খেতে হবে।
(৩) কফি
অবসাদ দূর করতে আমরা অনেকেই কফি খেয়ে থাকি। এতে থাকে ক্যাফেইন যা থাইরয়েড হরমোনকে ব্লক করে। তাই আপনি যদি হাইপোথাইরয়েডিজম এ ভুগে থাকেন তাহলে কফির অভ্যাস ত্যাগ করে ফলের জুস খাওয়ার চেষ্টা করুন।
(৪) পাস্তুরিত দুধ ও দুধজাতীয় খাবার
থাইরয়েড সমস্যা থাকলে পাস্তুরিত দুধ খাওয়া উচিত নয়। এমনকি দুধজাতীয় খাবার যেমন পনির, দই ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।
(৫) চিনিযুক্ত খাবার
চিনি ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী, তাছাড়া মেটাবলিজমের জন্য শরীরে হরমোনের যে সামাঞ্জস্য দরকার তাতে চিনি বাধা সৃষ্টি করে। তাই চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
(৬) রিফাইন্ড ময়দা
রিফাইন্ড বা মিহি করা ময়দা ও ময়দাজাতীয় খাবার শরীরে হরমোন লেভেলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং ওজন বাড়ায়।
(৭) তাছাড়া হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীদের তিসির তেল এবং ফলের মধ্যে পীচ ও স্ট্রবেরি এড়িয়ে যাওয়া উচিত।.. ওষুধে সাবধানতা...
কোনো কোনো খাদ্য ও ওষুধ হরমোনটি শোষণে বাধা দেয়। আখরোট, সয়াজাতীয় ময়দা, আয়রন ও ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টাসিড গ্রুপের ওষুধ এবং কিছু কিছু কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে বা পরে উল্লিখিত খাবার ও ওষুধ খাওয়া ঠিক হবে না।
নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হোন। হাইপোথাইরয়েডিজম সমস্যা থেকে শুরু করে শরীরের সকল সমস্যা বুঝতে চেষ্টা করুন আজই, প্রতিকার ও প্রতিরোধে নিন ব্যবস্থা। দেখবেন সতেজ এবং সুস্থ থাকছেন সব সময়।