Argentina football fan club

Argentina football fan club Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Argentina football fan club, Digital creator, Village: Helencha, Post: Moydandighi, P. S: Bhangura, District: Pabna, Pabna.

জীবন সুন্দর যদি নিজেকে মানিয়ে নিয়ে বাঁচতে শিখো।
না হলে মৃত্যুযন্ত্রনার মতই জীবন কঠিন।
ভাষা সুন্দর ব্যাকরণে,
আর মানুষ সুন্দর আচরণে।
গল্প তো সবারই থাকে
কারোটা উপন্যাস কারোটা দীর্ঘশ্বাস।
হাত ধরে চলার নাম ভালোবাসা নয়
ছায়া হয়ে পাশে থাকার নামই ভালোবাসা।

🕯️ গল্প: অশরীরীর মায়াপর্ব: ০৫শিরোনামঃ "কে ছিল তুলি?"---নাভেদ এখন শুধু একজন তদন্তকারী নয়, সে যেন নিজের মধ্যেও প্রশ্নের ছা...
12/08/2025

🕯️ গল্প: অশরীরীর মায়া
পর্ব: ০৫

শিরোনামঃ "কে ছিল তুলি?"
---

নাভেদ এখন শুধু একজন তদন্তকারী নয়, সে যেন নিজের মধ্যেও প্রশ্নের ছায়া বয়ে বেড়াচ্ছে…

রাইমার শেষ কথাটা কানে বাজছে:

> “আমি বিচার… আমি অশরীরীর মায়া!”

---

নাভেদ আবার থানায় ফিরে আসে। তুলির পুরনো মামলা আবার খুলে।
তখনই চোখে পড়ে—তুলির মৃত্যুর সার্টিফিকেটে "ডেড বডি শনাক্ত হয়নি" লেখা!

তাহলে?
যে কঙ্কালটা উদ্ধার হয়েছিল, সেটা কি আদৌ তুলির?

---

🔎 নতুন টুইস্ট

নাভেদ সেই কঙ্কালের DNA রিপোর্ট আবার চেক করে।
রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা—

> "Matching not found with family sample."

অর্থাৎ সেই কঙ্কাল তুলির নয়!

---

এদিকে রাইমা, মানে যাকে নাভেদ "অশরীরী" ভেবেছিল— সে একদিন নিজেই থানায় আসে।
নাভেদ অবাক হয়ে বলে,
— “তুমি এখানে? তুমি কি তুলি?”

রাইমা হেসে বলে, — “আমি মানুষ… ঠিক যেমন তুলি হতে চেয়েছিল… কিন্তু সমাজ…?”
তার চোখ ছলছল করে ওঠে।

— “আমাকে মেরেই ফেলেছিল ওরা… তবে শরীর না… ইচ্ছে, ভালোবাসা, বিশ্বাস!”

---

🔥 রাইমার গল্প

রাইমা জানায়, সে একসময় তুলির জিনিষপত্র গোপনে সংগ্রহ করত—
তার ডায়েরি, তার ফোন, এমনকি কিছু ভয়েস রেকর্ড…

তার হাতে এমন কিছু প্রমাণ আছে যা চারজন অপরাধীর শেষ নিঃশ্বাস অবধি তাড়া করেছিল।

রাইমা বলে,

> “আমি কখনও ওদের স্পর্শ করিনি।
শুধু ওদের ভয়গুলো সামনে এনেছি।
ওরা নিজেরাই নিজেদের শেষ করেছে।
ওরা মরেছে বিচারভীতিতে, নয় অতৃপ্ত আত্মার ছায়ায়!”

---

🕯️ কিন্তু…

নাভেদ প্রশ্ন করে, — “তুলির আত্মা তাহলে…?”

রাইমা মাথা নিচু করে ফিসফিস করে, — “কখনো কখনো কেউ মরে না… তাদের কষ্ট ছায়ার মতো রয়ে যায়, ঠিক পাশে।”

একটা বাতাস বইল…

ঘরের জানালায় ঝুলে থাকা একটা সাদা ওড়না নিজে থেকেই নড়ল!

---

📌 শেষ দৃশ্য (৫ম পর্ব)

নাভেদ তুলির ডায়েরির শেষ পাতায় এক লাইন দেখতে পায়:

> “আমি চাই না ওরা কাঁদুক… আমি চাই ওরা স্বীকার করুক!”

---

"অশরীরীর মায়া" এখন আর শুধু আত্মার প্রতিশোধ না—
এ এক নারীর ন্যায়বিচারের লড়াই, ভয় দিয়ে নয়,
অস্বীকার করা সত্যকে সামনে এনে।

---

🔚 চলবে…

৬ষ্ঠ পর্বে কী পেতে পারেন:

চার অপরাধীর ‘স্বীকারোক্তি’র রহস্য

রাইমার আসল পরিচয়

তুলির শেষ ইচ্ছা

---

আপনি চাইলে ৬ষ্ঠ পর্বও সাজিয়ে দিতে পারি।
আর যদি ৫ম পর্বে কিছু সংযোজন চান—তাও বলতে পারেন।

🕯️✨

🕯️ গল্প: অশরীরীর মায়াপর্ব: ০৪শিরোনামঃ “শেষ খেলা”২ বছর আগে, চারজন বন্ধু এক মেয়েকে হিংস্রভাবে ধ্বংস করেছিল।তাদের হাসির দম্...
12/08/2025

🕯️ গল্প: অশরীরীর মায়া
পর্ব: ০৪

শিরোনামঃ “শেষ খেলা”

২ বছর আগে, চারজন বন্ধু এক মেয়েকে হিংস্রভাবে ধ্বংস করেছিল।
তাদের হাসির দম্ভে এক জীবনের আর্তনাদ চাপা পড়ে গিয়েছিল গহীন জঙ্গলে।

কিন্তু কিছু যন্ত্রণা, মাটি গিলে না…
কিছু মৃত্যু, সময় ভুলে না!

---

আবিদ এখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
প্রতিদিনই নতুন আতঙ্কে দিন কাটে তার।

তার বাসার দরজায় কালো রঙে কেউ একটাই কথা লিখে যায়—

> “তুই ছিলি চুপ… তাই তুই মরবি শেষ!”
---

এক রাতে
আবিদ খেয়াল করে, ঘড়ির কাঁটা রাত ৩টায় এসে থেমে গেছে।
হঠাৎ জানালার বাইরে খটাস…!

সে জানালা খুলেই জমে যায়!

তুলির মতো মুখ—
কিন্তু চোখ নেই…
চোখের জায়গায় কালো গর্ত!

ওটা ধীরে ধীরে বলে—
— “তুই তাকিয়ে ছিলি… কিছু করিসনি… এখন দেখ!”

হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়।

ঘরের ভেতর শীতল বাতাস, আর এক কফিনের গন্ধ…
আবিদ বাথরুমে গিয়ে আয়নার সামনে দেখে—
তুলি ঠিক তার পিছনে দাঁড়িয়ে!

সে চিৎকার করে ওঠে,
কিন্তু গলা দিয়ে শব্দ বেরোয় না!
শুধু মুখ হাঁ করে, হাত ছুড়ে… হঠাৎ ধপ করে পড়ে যায়।

পরদিন সকালে পুলিশ আবিদকে পায় তার ঘরের মেঝেতে—
মাথা মেঝেতে ঠেকানো, দু’চোখ খোলা আর ঘাড়ে লেখা—

> “আমার বিচার আমি করলাম!”
---

🕯️ এবার ফিরে আসি…

তুলি কি কেবল এক আত্মা?
না, হয়তো নয়।

একজন তরুণ তদন্তকারী, নাম নাভেদ।
ওই সময় তুলির মামলাটা খুলে ফের তদন্ত শুরু করে।

তার মনে প্রশ্নঃ

> “তুলি কি সত্যিই মারা গেছে?
নাকি কেউ এই পুরো ঘটনাকে ব্যবহার করে অন্য রকম প্রতিশোধ নিচ্ছে?”

নাভেদ সেই জঙ্গলে যায়।
তুলির কঙ্কাল যেখানে পাওয়া গিয়েছিল, ঠিক সেই গাছের নিচে…

হঠাৎ মাটির নিচে কিছু কাগজের টুকরো খুঁজে পায়।
কিছু লেখা ঝাপসা হলেও, একটা লাইন পরিষ্কার:

> “আমি কারো প্রেম চেয়েছিলাম, স্রেফ মানুষ হয়ে বাঁচতে চেয়েছিলাম…”
“আমি এখন রক্ত চাই না… শুধু বিচার!”
---

নাভেদ আরো গভীরে খোঁজ করতে গিয়ে এক রহস্যময় চরিত্রের মুখোমুখি হয়—
এক মেয়ে, বয়স তুলির মতোই, কিন্তু তার নাম "রাইমা"।

রাইমা হালকা হেসে বলে,
— “আপনারা শুধু ধর্ষণ, খুন খুঁজেন…
আমি ওদের ভেতরকার পশুটা শেষ করেছি।
ওরা মরেনি, ওরা নিজেদের ভয়েই মারা গেছে…”

নাভেদ বিস্ময়ে তাকিয়ে বলে,
— “তুমি কে?”

রাইমা মৃদু কণ্ঠে বলে,
— “আমি বিচার…
আমি অশরীরীর মায়া!”

---

🔚 পর্ব শেষ হওয়ার আগে...

পাঠক, আপনি এখন ভাবছেন—
"তুলি আসলেই মারা গেছে, নাকি সে-ই রাইমা হয়ে ফিরে এসেছে?"

এই প্রশ্নের উত্তর এখনো বাকি…
--

চলবে…

---

পরবর্তী পর্ব (পর্ব ৫)-এ আপনি কী দেখতে চান?

1. রাইমা = তুলি? অতিপ্রাকৃত না বাস্তব ভিত্তি?

2. নাভেদের সাথে তুলির (বা রাইমার) সম্পর্ক এবং তার শেষ পরিকল্পনা?

3. এই রহস্যের সামাজিক ও মানবিক প্রতিচ্ছবি—তুলি কেন প্রতিশোধ নয়, বিচার চেয়েছিল?

আপনি যেভাবে চান, আমি ৫ম পর্ব সাজিয়ে দিতে পারি।
বলুন কীভাবে চাইছেন পরবর্তী অধ্যায়?

🕯️ গল্প: অশরীরীর মায়াপর্ব: ০৩শুরুতেই স্মরণ:“জীবনে কিছু পাপ, ক্ষমা করে না সময়...!”রকি আজকাল আয়নার সামনে দাঁড়াতে ভয় পায়।কা...
12/08/2025

🕯️ গল্প: অশরীরীর মায়া
পর্ব: ০৩
শুরুতেই স্মরণ:
“জীবনে কিছু পাপ, ক্ষমা করে না সময়...!”

রকি আজকাল আয়নার সামনে দাঁড়াতে ভয় পায়।
কারণ প্রতিবারই আয়নায় কেউ তার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকে।

চোখেমুখে রক্ত, ফাটল-কাটা কপাল...
তুলি?

না, সেটা যেন তুলির ছায়া, কিন্তু মুখে একই কথা—
— “আমাকে শেষ করে দিয়েছিলে? ন্যায়বিচার শেষ হয়নি... রকি!”

জনির মৃত্যুর পরের দিনই, রাফসান নিজেকে থানায় নিয়ে যায়।

সে চিৎকার করে বলে,
— “ওই মেয়েটা আমাদের পিছে লেগেছে! তুলিকে আমরাই... আমরাই মেরেছি!”

পুলিশ প্রথমে ভেবেছিল পাগল।
কিন্তু একজন অফিসার বলল,
— “দুই বছর আগে একটা মেয়ের নিখোঁজ মামলা হয়েছিল, নাম তুলি। এখন যেটা ব্লাইন্ড ফাইল।”

রাফসান জিজ্ঞেস করে,
— “ওর লাশ কি কখনও পাওয়া গেছিলো?”

পুলিশ মাথা নাড়ে—
“না। শুধু তার মোবাইল আর একটা স্কার্ফ গাছের নিচে পড়েছিল।”

অন্যদিকে আবিদ
ভিনদেশ থেকে ভিডিও কলে আতঙ্কিত কণ্ঠে রকিকে বললঃ
— “রাতের বেলা কেউ দরজায় নক করে, আর বলে—
‘তুমি দেখেছিলে... তুমি থামাতে পারতে!’
আমার পাপ ধাওয়া করছে রে রকি!”

রকি এখন পুরোপুরি একা।

বউ চলে গেছে কিছুদিন আগে, কারণ সে নাকি বারবার ঘুমের মধ্যে গলায় হাত দিয়ে চেপে ধরতো।
বাচ্চাটাও তার কাছে আসতে ভয় পায়।
---

📍একদিন রকি এক তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হয়।

তান্ত্রিক দীর্ঘক্ষণ চোখ বন্ধ করে বসে থাকেন।

তারপর বলেন,
— “তুমি একটা অপাপবিদ্ধ আত্মাকে কষ্ট দিয়েছো। সে নারী। তাকে অপমান, নির্যাতন, খুন... সবই তোমরা করেছো। এখন সে ফিরে এসেছে। ন্যায়বিচারের আগুনে সে দগ্ধ, কিন্তু নিঃশেষ হয়নি।”

রকি কাঁদতে কাঁদতে বলে,
— “ওকে শান্তি দিতে চাই। আমি যা বলবে করবো।”

তান্ত্রিক হালকা হেসে বলে—
— “তুমি পারবে না। কারণ সে এখন শুধু আত্মা নয়,
সে এখন ‘মায়া’।
যাকে মানুষ ভুলে গেছে, সে ভুলে যায় না।
তুমি আর আবিদ—তোমাদের দিন শেষ হয়ে আসছে।”
---

চূড়ান্ত টুইস্ট:

পরের দিন সকালে শহরের এক জঙ্গলে এক বৃদ্ধ কাঠুরে একটি কঙ্কাল খুঁজে পায়।
সাথে কিছু রক্তমাখা কাপড় আর গলিত এক চুলের ক্লিপ।

ডিএনএ টেস্টে জানা যায়—
এটাই ছিল তুলির কঙ্কাল!

পুলিশ আবার তদন্ত শুরু করে। রাফসানের দেয়া স্বীকারোক্তি আবার সামনে আসে।
কিন্তু…

রকি তখন নিখোঁজ!

তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না।

শুধু একদিন আবিদের ইনবক্সে একটা ছবি আসে।
একটা গাছের নিচে একটা পাথরে কাটা লাইন—

> “শেষটা এখনও বাকি…”
আর পাশে রকির মোবাইল পড়ে, স্ক্রিনে তুলির সেই পুরনো ছবিটি জ্বলজ্বল করছে!
---

📌 শেষের দিকে...

আবিদ প্রতিদিনই এখন চিঠি পায়—
একই লাইন লেখা থাকে, রক্তরঙে—

> “আমি এখনও আছি...”
---

চলবে…

পর্ব ৪-এ আপনি কী দেখতে চান?

1. আবিদের শেষ পরিণতি ও তুলির চূড়ান্ত প্রতিশোধ?

2. তুলির আত্মা কি কারো শরীরে এসেছে?

3. নতুন কোনো চরিত্র জড়িয়ে পড়বে গল্পে—একজন তরুণ তদন্তকারী, যিনি সত্য জানতে চায়?

আপনি যেটা চান, আমি পরের পর্ব সেই অনুযায়ী লিখে দিতে পারি।

✍️ গল্প: অশরীরীর মায়াপর্বঃ ০২২ বছর পররকি বাসের পিছনের দিকে তাকিয়ে স্তব্ধ। চোখের সামনে তুলির মতো মেয়েটি বসে, জানালার পাশে...
11/08/2025

✍️ গল্প: অশরীরীর মায়া
পর্বঃ ০২
২ বছর পর

রকি বাসের পিছনের দিকে তাকিয়ে স্তব্ধ। চোখের সামনে তুলির মতো মেয়েটি বসে, জানালার পাশে।
হুবহু তুলি!
একটা দোল খাওয়া চুল, ঠিক যেমন তুলি রাখতো। ঠোঁটের বাঁ পাশে সেই ছোট্ট তিল, যেটা রকি বারবার দেখতো আর এখন ভুলে যেতে চায়!

রকি অজান্তেই বাসের পেছনে দৌড় দেয়। কিন্তু ততক্ষণে বাস বাঁ মোড়ে হারিয়ে যায়।
রকি হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম।

সেদিন থেকে রকির ঘুম উধাও। রাতে বারবার সে দুঃস্বপ্ন দেখে—তুলি, রক্তাক্ত অবস্থায় তার দিকে এগিয়ে আসছে। মুখে হাসি, চোখে আগুন!

---

অন্যদিকে জনি—

বিয়ের পর থেকেও জনির স্ত্রী বলে,
— “তুমি রাতে ঘুমের মধ্যে চিৎকার করো কেন? তুমি কি কারো নাম বলো? ‘তুলি’ নামে কাউকে চেনো?”

জনি স্তব্ধ হয়ে যায়। সে তো নিজের স্ত্রীর কাছেও তুলির নাম কখনো উচ্চারণ করেনি।

রাফসান এখন অনেক বদলে গেছে। ধর্ম-কর্মে মন দিয়েছে। কিন্তু মাঝরাতে নামাজে দাঁড়ালেই, পেছন থেকে কেউ ফিসফিস করে বলে,
— “আমার বিচার কে করবে?”

আবিদ ভিনদেশে থাকলেও, প্রতিমাসেই তার ঠিক একদিন অসহ্য অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঠিক সেই দিন—যেদিন তুলি মারা গিয়েছিল!

---

এদিকে শহরে ঘটতে থাকে অদ্ভুত কিছু ঘটনা

একেকজন করে নিখোঁজ হতে শুরু করে।

প্রথমে এক ছেলেকে পাওয়া গেলো গলাকাটা অবস্থায়।
পাশে লেখা ছিলোঃ

> “তুমি দেখেছিলে, কিছু বলোনি।”

তারপর একদম একই কায়দায় দ্বিতীয় মৃত্যু।

পুলিশ কোনো যোগসূত্র খুঁজে পায় না।

তবে এক বৃদ্ধা বলেন,
— “এই শহরে এখন অশরীরী এসেছে। ওর চোখে আগুন আছে। ও ন্যায় চায়!”

---

এতকিছুর পরেও এক রাতে জনির স্ত্রীর ফোন আসে রকির কাছে

— “জনি... জনি আর নেই! ও নিজেই নিজের গলা কেটে ফেলেছে! দেয়ালে রক্ত দিয়ে লিখে গেছে—

> 'ও আমার পাশে বসে আছে! তুলি ফিরে এসেছে!'”

রকি আতঙ্কে বাঁচতে পারে না। কাঁপতে কাঁপতে আবার দেখে, আজও সেই মেয়েটি বাসে চড়ে যাচ্ছে। জানালার পাশে বসে হাসছে—
তুলির মতো করে।

বাসটা হঠাৎ থামে।

মেয়েটি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়—
চোখ দুটো লাল।
ঠোঁটে হালকা হাসি।

সে ধীরে ধীরে বলে ওঠে—
— “রকি... কোথায় পালাবে?”

---

চলবে...

---

যদি আপনি চান পরবর্তী পর্বে:

তুলির অতিপ্রাকৃত প্রতিশোধের কাহিনি আরও গভীরে যাক

সমাজ, বিচারহীনতা, বা অপরাধীদের মানসিক ভেঙে পড়া দেখানো হোক

কিংবা তুলির “রহস্য” ভেদ হোক—সে কি সত্যিই বেঁচে আছে?

তাহলে বলুন, পর্ব ৩ কীভাবে চাইছেন?

অতিপ্রাকৃত প্রতিশোধের রূপে?

ন্যায়বিচারের জন্য এক রহস্যময় চরিত্রের আবির্ভাব?

নাকি বাস্তবতামূলক, আদালত বা তদন্তমুখী গল্প?

আপনার পছন্দ মতো আমি পরবর্তী পর্ব সাজিয়ে দেব।

একধারে টানা তিনঘন্টা ধ'র্ষ'নের পর, যখন ওরা চারজন বুঝতে পারলো ওদের চাহিদা শেষ! ঠিক তখনই ওরা চিন্তায় পড়ে গেলো, "এই মেয়েটা...
11/08/2025

একধারে টানা তিনঘন্টা ধ'র্ষ'নের পর, যখন ওরা চারজন বুঝতে পারলো ওদের চাহিদা শেষ! ঠিক তখনই ওরা চিন্তায় পড়ে গেলো, "এই মেয়েটাকে এখন কী করা যেতে পারে?"
সর্বপ্রথম আবিদ ই মুখ খুললঃ
---- দোস্ত, রাগের মাথায় তো এসব করে ফেললাম! এখন এর কি করবো?

রকিঃ এখানেই ফেলে চলে যাই।

রাফসানঃ রকি ঠিক বলেছে। একে দেখেই মনে হচ্ছে, ওর আর ওঠার শক্তি নেই। এখানেই মরে যাবে!

জনিঃ কিন্তু যদি কোনো মানুষ এখানে আসে অথবা যদি ওই কোনোমতে বেঁচে যায়, তবে আমাদের কী হবে "একবার ভেবে দেখেছিস?

রকিঃ তাহলে কী করবো, তাড়াতাড়ি ঠিক কর?

জনিঃ এখানেই মাটিচাপা দিয়ে দেই। তোরা কী বলিস?

রাফসানঃ তাই কর, ওকে মেরে ফেল। কিন্তু কে মা'রবি ওকে?

ওদের মধ্যে সবচেয়ে সাহসী ও সাইকো হলো জনি। ওর আবার কথায় কথায় মা*রা*মা*রি, খু'ন'খা'রাপি করার অ'ভ্যাস! সব সময় দাঙ্গা ফ্যাসাদের আগে ওই থাকে, এবারও ব্যতিক্রম হল না! শেষে জনি ই বললঃ
---- আমি যাচ্ছি।..
একথা বলেই, জনি চলে গেল তুলির কাছে! ততক্ষণ তুলির একটু জ্ঞান ফিরেছে। অবশ্য এতক্ষণ তুলির চোখ বন্ধ থাকলেও, ওদের সমস্ত কথায় ওর ব্রেন পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছিল!
অতপর তুলি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে, জনি ওর দিকেই এগিয়ে আসছে! তখন তুলি কোনোরকম বিড়বিড় করে বললঃ
--- প্লিজ আমাকে মারবেন না। আমি কথা দিচ্ছি, আপনাদের কারো বিরুদ্ধে আমি কিছুই করবো না। আমাকে যেতে দিন, প্লিজ প্লিজ....

তুলি কথা বলতে বলতে বসার চেষ্টা করে এবং সমস্ত শক্তি দিয়ে দাঁড়াবার চেষ্টাও করে, কিন্তু না! ও পারে না, কারণ ততক্ষণে জনি ওর কাছে এসে কাঁধের উপর এক পা দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়! আর খুব তীক্ষ্ণ ও হিং'স্র কণ্ঠে বলেঃ
--- তুই যে আমাদের জন্য বড় বি'পদ!

তুলিঃ আমি কথা দিচ্ছি, আমার দ্বারা আপনাদের কোনো বিপদ হবে না। আমি কাউকে কিছু বলবও না, এ নিয়ে আর কোনো কিছু হবেনা। প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন।
জনিঃ তোর কথায় আমাদের কোনো বিশ্বাস নেই!তোকে তো ম*রতেই হবে!

তুলির সাথে জনি কথা বলতেছিল আর চোখের ইশারায় রকিকে দিয়ে একটা বড় পাথর চেয়ে নিল। তুলি দেখতে পাচ্ছিল, সেই বড় পাথরের চাঁইটি ওর মাথা বড় বড় ছুটে আসছে! তাই সে চোখ বন্ধ করে বাঁচার চেষ্টাতে আকুতির সুরে বলে উঠলোঃ
----- প্লি.....
কিন্তু না, আর কিছু বলতে পারলো না। ততক্ষণে জনি ওর মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করেছে। তুলির মাথা ফেটে চৌচির হয়ে গেছে! সম্ভবত কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ম*রেও গেলো।
ওরা চারজন মিলে, তুলিকে ওখানেই মাটিচাপা দিয়ে দিলো! আশেপাশের সমস্ত চিহ্নগুলো মুছে দিল। এমনকি মাটিচাপা দেওয়ার পর, তার উপরও লতা পাতা ছিটিয়ে আগের মত করে দিল!

অবশেষে ওরা চলে আসলো আর এমনভাবে দৈনন্দিন কার্যক্রম করতে লাগলো, যেন কিছুই হয়নি বা এসবের কিছু ওরা জানেও না!.....
এবার_আসুন_flashback_দেখিঃ

জনি, রকি, রাফসান ও আবিদ; ওরা চারজন খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড। ওরা একই এলাকায় থাকে আর ছোটোবেলা থেকেই সব কিছুতে ভাগাভাগি ও টানাটানি করার অভ্যাস। এমন কোন টপিক নাই, যেটা নিয়ে ওরা শেয়ার না করে!

তুলি এই এলাকায় নতুন এসেছে। রকি যে ফ্ল্যাটে থাকে, ওখানেই তুলি আর ওর পরিবারের সবাই উঠেছে। রকিদের সঙ্গে ওদের পরিবারের ভালোই সম্পর্ক রয়েছে।..
এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে, কেন তাহলে তুলির সঙ্গে এমন হলো? তুলিকে রকির অনেক ভালো লাগতো। রকি চেয়েছিলো তুলিকে বিয়ে করবে। কিন্তু তুলি রাজ নামের এক ছেলেকে পছন্দ করতো। তুলিকে রকি অনেক বুঝিয়েছে, কিন্তু কাজ হয়নি। আর সেদিন রকি একটু জোর করতেই, তুলি ওকে থা*প্পড় মা*রে।

তখন রকি আর ওর বন্ধুরা মিলে এই প্ল্যান করে, তুলিকে যে করেই হোক কিডন্যাপ করতে হবে এবং থা*প্পর দেয়ার শা*স্তি, ওকে পেতেই হবে!
তুলি প্রতিদিন কোচিং শেষে সন্ধ্যায়, একাকী ই হেঁটে বাসায় ফিরে। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না, শুধু যোগ হলো আরো ৪জন! মানে রকি ও তাঁর বন্ধুরা ওকে ফলো করতে করতে আসছিলো।

তুলি যেই একটা গলির ভেতর এসেছে, তখনই ওরা আচমকা ওকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। তারপর তিনজনে ধরাধরি করে, ওদের পিছনে আসা গাড়িটিতে তুলে নেয়। যা এতক্ষণ রাফসান ড্রাইভ করছিল। অতঃপর ওই জঙ্গলে নিয়ে যায়।

তুলির জ্ঞান ফেরার পর, রকিদের কাছে অনেক মিনতি করে কিন্তু ওরা ওর কোন কথায় শোনে না। তারপর চলে উপর্যপরি গ্যাং রেপ ও অমানুষিক নির্যাতন! যা আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন! তো এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এই অঘটন টি। ...
ধর্ষণ_ও_হত্যাকাণ্ডের_পরঃ
বেশ কয়েকদিন হয়ে গেছে তুলির খোঁজ নেই। সবাই অনেক খোঁজাখুঁজি করলো। এমনকি পুলিশও কোনো হদিস মিলাতে পারলো না। অবশেষে কেইস ক্লোজ হয়ে গেল এবং থানাতে আরেকটা ব্লাইন্ড ফাইল এর সংখ্যা বাড়লো!
এই সবকিছুতে তুলির পরিবার দুঃখ-কষ্ট ও বুকে যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকলেও, অপরদিকে জনিরা হাঁফ ছেরে বাঁচলো! পুনরায় মজা মাস্তিতে মেতে রইল!...
2_years_later__

এখন তো সবাই ভূলেই গেছে তুলির কথা। কারো মনে আর সেদিনের কথা নেই। ওরা চার বন্ধু এখন যে যার কাজ নিয়ে ব্যাস্ত। রকি আর জনি এখন বিবাহিত। আর ওরা নিজেদের স্ত্রী নিয়ে, পরিবার থেকে আলাদা জায়গায় থাকে।

সেদিন রকি সকালে জীম করতে গেছে। ফেরার পথে ওর চোখ স্থির হয়ে গেলো। ওর সামনে দিয়ে একটা বাস যাচ্ছিলো। বাসের পেছনের দিকে তুলির মতো একটা মেয়ে! ..
চলবে.......

গল্পঃ "অশরীরীর মায়া"
পর্বঃ ০১

✅ ফলো করে পাশে থাকুন পরবর্তী পর্বগুলো পাবার জন্য

“সত্য খুঁজে যায় মিমি”পর্ব – ৪শিরোনাম: “পাল্টা খেলা”ফোন রাখার পর মিমির চোখে প্রথমবারের মতো এক অদ্ভুত দৃঢ়তা ফুটে উঠল।দুঃখ,...
11/08/2025

“সত্য খুঁজে যায় মিমি”
পর্ব – ৪

শিরোনাম: “পাল্টা খেলা”

ফোন রাখার পর মিমির চোখে প্রথমবারের মতো এক অদ্ভুত দৃঢ়তা ফুটে উঠল।
দুঃখ, অপমান আর অবহেলার জায়গায় এখন জায়গা নিয়েছে প্রতিশোধ আর নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ বাঁচানোর তীব্র ইচ্ছা।

দৃশ্য ১: গোপন সাক্ষাৎ

পরদিন ভোরে মিমি সন্তানকে কোলে নিয়ে চুপচাপ ঘর থেকে বের হয়।
গলির এক কোণে কালো গাড়ি দাঁড়িয়ে—
গাড়ির ভেতরে বসা একজন মধ্যবয়সী মানুষ মৃদু হাসি দিয়ে বলে—

লোকটি: “তুমি ঠিক করেছো তো?”

মিমি: “হ্যাঁ, আমি আমার বাঁচার লড়াই শুরু করতে চাই। তুমি যা বলেছ, আমি রাজি।”
লোকটি তাকে একটি খাম দেয়—তার ভেতরে কাগজপত্র, কিছু টাকা আর একটি পেনড্রাইভ।

দৃশ্য ২: পেনড্রাইভের রহস্য

বাড়িতে ফিরে মিমি লুকিয়ে ল্যাপটপে পেনড্রাইভ ঢোকায়।
ভিডিও ফাইল ওপেন হতেই তার চোখ বড় হয়ে যায়—
স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে হাসিব আর বাবার মধ্যে টাকার লেনদেন, বিয়ের শর্ত, এমনকি মেঘাকে “বেচে দেওয়া”র মতো করে চুক্তির কথা।
প্রমাণ পেয়ে মিমির হাত কাঁপতে থাকে।
সে ফিসফিস করে—
"এবার তোমাদের মুখোশ সবার সামনে খুলে দেবো…"

দৃশ্য ৩: মেঘার সাথে মুখোমুখি

সন্ধ্যায় মেঘাকে নিজের ঘরে ডেকে নেয় মিমি।

মিমি: “তুই কি জানতিস, তোর বিয়ে এই চুক্তির জন্য?”

মেঘা: (চোখ নামিয়ে) “না… কিন্তু এখন সব বুঝতে পারছি।”
মিমি পেনড্রাইভ হাতে মেঘার দিকে এগিয়ে দেয়—

মিমি: “এতে সব প্রমাণ আছে। তুই চাইলে তোর জীবনও বাঁচাতে পারবি, আমারটাও।”
মেঘা চোখে জল নিয়ে বলে—

মেঘা: “আমি তোর পাশে আছি, আপু। যাই হোক না কেন, আমরা একসাথে লড়বো।”

দৃশ্য ৪: বিয়ের আগের রাত

ঘর ভরে গেছে সাজসজ্জায়, অতিথিদের ভিড়ে সরগরম পুরো বাড়ি।
কিন্তু অন্ধকার এক কোণে মিমি ও মেঘা চুপচাপ ফিসফিস করছে।
পরিকল্পনা ঠিক—বিয়ের মুহূর্তে প্রোজেক্টরে সেই ভিডিও চালানো হবে, যাতে সবাই সত্য দেখে।

বিয়ের দিন সকালে…
হাসিব আর বাবার মুখে হাসি, কিন্তু তারা জানে না, আজকের দিনই তাদের সব শেষ হয়ে যাবে।

পর্ব – ৫ এ দেখা যাবে—
প্রমাণ ফাঁস হলে কি হাসিব ও বাবার পতন হবে, নাকি তারা মিমিকে থামিয়ে দেবে?

---

তুমি কি চাও আমি এখনই ৫ম পর্ব লিখে দিই, যেখানে বিয়ের দিন সব প্রমাণ ফাঁস হয়ে যাবে?
তাহলে গল্পটা একদম চরম উত্তেজনাময় হয়ে উঠবে।

আপনি ফুটপাত দিয়ে হাঁটছেন, অপরিকল্পিত নির্মাণাধীন ভবন থেকে আপনার মাথায় ইট পড়ে আপনি প্রাণ হা'রাবেন। রেস্টুরেন্টে পরিবারের ...
10/08/2025

আপনি ফুটপাত দিয়ে হাঁটছেন, অপরিকল্পিত নির্মাণাধীন ভবন থেকে আপনার মাথায় ইট পড়ে আপনি প্রাণ হা'রাবেন।

রেস্টুরেন্টে পরিবারের সঙ্গে এক খুশির উপলক্ষ্য নিয়ে খেতে গেছেন, অননুমোদিত গ্যাস লাইনের বি'স্ফো'রণে আপনি প্রাণ হা'রাবেন৷

নিয়ম মেনে ড্রাইভিং বা রাইডিং করছেন, ধনীর নেশাগ্রস্ত আদুরে দুলাল গাড়িচা'পা দিয়ে আপনার প্রাণ'না'শ করবে৷

প্রভাবশালীদের সাথে দ্ব'ন্দ্বে জড়াবেন, পাথর দিয়ে পি'ষে আপনার প্রাণ'না'শ করা হবে, আপনার লা'শের উপর উঠে নৃত্য করা হবে।

মানুষের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হবেন, আয়না ঘর আপনাকে বলবে, "আহো ভাতিজা, আহো!"

গ্রাম থেকে ঢাকা এসে একটা ফ্যাক্টরিতে কাজ করে ঘষেমেজে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন, ভবন ধ্ব'সে প্রাণ হা'রাবেন।

নারী হয়ে নির্বিঘ্নে লেখাপড়া, চাকরি-বাকরি করতে যাবেন, যৌ'ন হয়'রানির শিকার হবেন একশোতে একশো৷ ধ'র্ষি'তা হওয়ার সুযোগও কম না৷

শাসনযন্ত্রের অপ'শাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলবেন, আপনার পরিবার আপনার মৃ'তদেহটাও খুঁজে পাবে না৷

আপনার সন্তান বাহিরে খেলছে, সিটি কর্পোরেশনের অবহেলিত উন্মুক্ত ম্যানহোলে পড়ে প্রাণ হা'রাবে।

সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেন, তার মৃ'তদেহ পাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে।

সর্বশেষ, আপনার সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন, সা'মরিক বিমান বি'ধ্ব'স্ত হয়ে আরো দুয়েকশো সন্তানের সাথে আপনার সন্তানেরও প্রাণ নিবে৷

আর হ্যাঁ, এগুলোর ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন? তাহলে বলবো আপনারা বড্ড বোকা৷

জি, এটাই এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর মাছে ভাতে বাঙালির বাংলাদেশ।

আপনারা যারা গল্প পছন্দ করে তারা আমাদের গ্রুপে জয়েন হয়ে গল্প পড়তে পারেন, নীল লেখায় চাপ দিয়ে

জয়েন করে রাখুন 👉 মিষ্টি ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প 💙

“কি করছেন..ব্লা'উজের হুক ধরে টানছেন কেন আপনি?? ছেড়ে দিন বলছি?দূরে যান আমার কাছ থেকে? এমন করছেন কেন??”কথাটা বলেই সরে যেতে...
10/08/2025

“কি করছেন..ব্লা'উজের হুক ধরে টানছেন কেন আপনি?? ছেড়ে দিন বলছি?দূরে যান আমার কাছ থেকে? এমন করছেন কেন??”
কথাটা বলেই সরে যেতে চাইলেও সরতে পারলোনা আভা।দেয়ালের সাথে উলতো পিঠে চে*পে ধরে রাখেছে লোকটা তাকে।
আভার ব্রা-উজের ফিতায় এক টান দিয়ে ছিড়ে অর্ধখোলা ব্রা*উ*জের হুক খুলে ফেলতেই দৃশ্যমান হয়ে উঠলো ভেতরের কালো রঙের অ*ন্ত*র্বা*স। ব্রাউজ ঢিলে হয়ে কাধ থেকে পরে গেলো শাড়ির আঁচল, কাধে দেখা মিললো অ*ন্ত*র্বা*সের চিকন ফিটা। রা*গে আ*র্ত হা*রা হয়ে ব্রা*উজের হুক টেনে ছিড়ে ফেলার দারুণ ন-খের দাগ বসে গিয়েছে আভার ফর্সা পিঠে।চা*ম*ড়া*য় র-ক্তের চিকন রেখা দেখা যাচ্ছে।
ভয়ে ল-জ্জা*য় কিংবা রা-গে মুখে হাত দিয়ে কেঁ*দে উঠলো আভা। পরপরই কান্না ভুলে সামনে ফিরে মুখোমুখি হয়ে সামনে দাড়ানো সা*ই*কো মানবটার গালে ঠাস করে চ-ড় বসিয়ে দিলো সে। রা-গে*র ভেতর আরও থা-প্প*ড় মে*রে রা-গ বাড়িয়ে দেওয়ায় চোখ মুখ লাল হয়ে উঠলো ইহসান চৌধুরী ঋদ্ধর। চোখ দিয়ে যেন আ-গু*নের ফুলকি বেরচ্ছে তার। এক হাত মু*ষ্টি বদ্ধ করে অন্য হাত দিয়ে আভার গলা চে*পে ধরলো।দাঁতে দাঁত চে*পে ক*ট*ম*ট করে বললো,
“সাহস বেড়েছে তোর? খুব সাহস বেড়েছে তাই না? কি ভেবেছিস দূরে থাকি বলে জানতে পারি নাহ..সারাদিন কি করে বেড়াস না বেড়াস??”

দম বন্ধ হয়ে আসছে আভার।গলা চে*পে ধরায় শ্বাস আ*টকে আসছে তার।অতিক*ষ্টে গলায় আওয়াজ তুলে বললো,
“কি করেছি আমি?? আপনি বিনা দো*ষে আমাকে অ*প*দ*স্ত করছেন কেন? আমার দো*ষ টা কোথায়..বলুন? ছেড়ে দিন বলছি...নয়তো আমি বড় আব্বুকে ডাকতে বাধ্য হবো।”

“কি করেছিস তুই... জানিস নাহ তাই তো? এতোই শরীর দেখানোর শখ তোর।এতগুলো ছেলের সামনে পাতলা শাড়ি... পিঠখোলা ব্রা*উজ পড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলি।ছেলেদের দেখাচ্ছিস কি কালার ব্রা পরেছিস তাই নাহ?শরীরের ভা*জ ছেলেদের দেখাতে এতোই ভালো লাগে তোর?”

“আমি যা ইচ্ছে তাই করবো আপনার কি?”

ঋদ্ধ উচ্চ কন্ঠে ঝং*কা*র দিয়ে উঠলো,
“এই চৌধুরী নিবাসে বে*হা*য়া*প*না চলবে না।এতোই যদি শরীরে জ্বা*লা হয়ে থাকে।তাহলে সোজা প*তি*তা*ল*য়ে থাকবি? এখানে থাকার দরকার নেই এমন মেয়ের?”

কথাটা বলেই আভাকে ছেড়ে দিলো ঋদ্ধ। এতকাছে থাকা স্বত্তেও আভার শরীরের দিকে বিন্দু মাত্র তাকায়নি সে।রা*গে হনহন করে রুম থেকে বাইরে বেরোনোর আগে পিছন না ফিরে শা*সি*য়ে বলে উঠলো,
“সোজা যেন আপুর পাশে পাই তোকে?ড্রেস চে*ঞ্জ করে বাইরে এসে আপুর পাশেই বসে থাকবি... রুমে যেন কোন জিনিস ভাঙ্গার ছিতেফোটাও না পাই।বিয়ে টা শে*ষ হতে দে। তোকে তোর নি*র্দিষ্ট জায়গায় রেখে আসবো?”

“আপনি ভুলে যাবেন নাহ...আপনি আমার চাচাতো ভাই হোন? নিজের সীমার মধ্যে থাকবেন.. আমার উপর অ*ধি*কা*র খা*টা*তে আসবেন না? এটা আমারও বাবার বাড়ি... মনে রাখবেন?”

বিদ্যুৎ বেগে ঘাড় ফিরালো ঋদ্ধ। আভার আগা মাথা প*রখ করে নিলো একবার। চোখে মুখে ভ*য়ের বদলে জে*দ উ*প*ড়ে পরছে মেয়েটার মুখো মন্ডলে। শাড়ির আঁচল কাধে ঠিক নেই.. যেনো একটু নড়লেই মাটিতে গড়াগড়ি খাবে।
ঋদ্ধ ক্ষি*প্ত গতিতে আভার দিকে এগিয়ে গিয়ে সজোড়ে গাল চে*পে ধরলো।

“আমি তোর চাচাতো ভাই নাকি অন্য কেউ...সেটা পরে বুঝাবো মেয়ে। তার আগে এই ড্রেসে যদি বাইরে যাস...তোকে আমি বুঝিয়ে দিবো ঋদ্ধ কি জিনিস। তখন কেঁ*দে*ও ছাড় পাবি না তুই।”

আভাকে ছেড়ে দিয়ে আর এক মিনিটও না থেকে হনহনিয়ে বাইরে চলে গেলো ঋদ্ধ। জলে টলমল করা চোখ হতে গাল বেয়ে জল গড়িয়ে পড়লো অষ্টাদশীর।একের পর এক মুক্তোদানার মতো টুপটাপ করে জলের অশ্রু কোণা গড়িয়ে পড়লো মেঝেতে। বুক থেকে পরে গেলো শাড়ির আঁচল।
আজ তার বড় চাচা সাফওয়ান চৌধুরী বড় মেয়ে রিতির বিয়ে। তার দুই মেয়ে রিতি আর শ্রেয়া।সাফওয়ান চৌধুরীর মেজ ভাই ইরফান চৌধুরীর একমাত্র ছেলে ইহসান চৌধুরী ঋদ্ধ। তার ছোট ভাই শারাফান চৌধুরীর দুই ছেলে মেয়ে। আভা আর অরিয়ন। বয়সে আভার পাঁচ বছরের ছোট অরিয়ন।
রিতি আপার বিয়েটে খুব শখ করে শাড়ি টা পরেছিলো সে।এমনিতেই ব্রা*উ*জের পিছনের গলা বড় তারউপর ব্রা*উজের একটা হুক খুলে গিয়েছে কিভাবে সে বুঝতে পারেনি।বাসা ভর্তি মেহমান।
তাদের সামনে দিয়ে যেতেই কোথা থেকে ঋদ্ধ ভাই এসে হাত ধরে হ্যা*চ*কা টান দিয়ে রুমে নিয়ে আসলেন। এমন শাড়ি টা শখ করে পরতে চাইনি সে। নিজের বেষ্টফেন্ড বর্ষার সাথে ট্রুথ ডেয়ার খেলায় ডেয়ার নিয়েছিলো সে। অতঃপর তার ডেয়ার ছিলো রিতি আপার বিয়েটে যেন এমন শাড়ি পরে...সাথে পিঠখোলা ব্রা*উজ। সে অনেক বার না করেছিলো এমন ডেয়ার নিবে না।যার দারুণ বর্ষা তাকে ভীতু অ*প*বা*দ দিলো। তাই সে ভেবেনিয়েছিলো রুম থেকে বাইরে যাবে তারপর রুমে গিয়ে ড্রেস পালতে ফেলবে। কিন্তু তার আগেই শা*সি*য়ে গেলেন ঋদ্ধ।

চোখের জলটুকু মুছে বিছানার দিকে তাকালো আভা।একটা প্যাকেট রাখা।উঠে দাঁড়িয়ে বিছানার দিকে এগোলো সে।প্যাকেট টা খুলতেই দেখা মিললো পেস্টেল ল্যাভেন্ডার রঙা ওর্গানহা লেহেঙ্গা। এত সুন্দর অবাক হয়ে খানিকক্ষণ তাকিয়ে রইলো আভা। পরক্ষনেই ঝটপট রেডি হয়ে নিলো।

রাত ১০টা বেজে ৩০মিনিট।বাগানের প্রতিটি গাছের ডালে, পাতার ফাঁকে ফাঁকে জ*ড়িয়ে আছে ছোট ছোট তারার মতো ঝি*কি*মি*কি বাতি একেকটা যেন ক্ষ*ণিকের জোনাকি। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে লুকিয়ে তারা ঠিকরে পড়ছে সোনালি আলো, আর সেই আলোয় স্নান করে বাগানটা হয়ে উঠেছে এক জাদুর অরণ্য।
বিয়ে শে*ষ হয়ে গেছে সন্ধ্যাই। বিয়ের সমস্ত আয়োজন শে*ষ। দাওয়াতি লোকজন একে একে বিদায় নিচ্ছে।
বাড়ির উঠোনে তখনো আলো ঝলমল।
বরপক্ষের গুটি কয়েকজন... বরের চাচা, মামা আর দু'জন বন্ধু থাকছেন রাতটা।
দূর থেকে এসেছেন সবাই, তাই না থেকে উপায় নেই।
তবে বর, সে আর কনে আলাদা ঘরে।
নিকাহ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখনো বউ শ্বশুরবাড়ি যায়নি।
এইসব ভাবনার মাঝেই নিজের পিঠে কারো স্প*র্শ পেয়ে চমকে উঠলো আভা। পিছন ফিরে বর্ষাকে দেখে আ*স্ব*স্ত হলো কিছু টা।কিছু তখন কার ঘটনা মনে পড়তেই রা*গ হানা দিলো মন মস্তিষ্কে।

“একা একা দাড়িয়ে কি করছিস আভা।”
আভার মে*জা*জ তে*তে উঠলো,
“ভা*তা*র দেখি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। তুইও দেখ?”
বর্ষা মুখ টি*পে হাসলো।
“তা বেশ...কোনটা দেখা?”
আভা উত্তর দিলো নাহ। এই মুর্হুতে মন মে*জা*জ ভালো নেই তার। সে চাই না নিজের কথায় কেউ হার্ট হোক তারি বাড়িতে।
“কি হলো আভা কথ বলছিস না কেন রে..তখন দেখলাম ঋদ্ধ ভাই রে*গে তোকে রুমে নিয়ে গেলো।কিছু করেছে নাকি?”
বর্ষাকে ক*ড় জবাব দেওয়ার জন্য মুখ খুলতেই স্টেজ থেকে গিটারের টুংটাং আওয়াজ ভেসে আসলো। ঘা*ড় ঘুরিয়ে স্টেজে তাকালো দুজনি।
স্টেজের মাঝ বরাবর বসে ছিল ঋদ্ধ। একপাশে ঝুলন্ত মাইক, অন্য পাশে নরম আলোয় ঝলমলানো একটা একোস্টিক গিটার। লাইটগুলো ধীরে ধীরে নিভে এলো, কেবল তার গায়ের উপর সোনালি স্পটলাইট। আঙুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে তুলছিল সুর।
স্টেজের আলোয় ঋদ্ধকে যেন আরও আলাদা লাগছে আজ। পরনে রাজকীয় গাঢ় নীল শুদ্ধ পাঞ্জাবি, সুচারু সোনালি কাজ করা কলার আর হাতার কিনারে সূক্ষ্ম জমকালো এমব্রয়ডারি। তার পায়ের তলায় সাদা পাজামা.. একেবারে নিখুঁত।
কাঁধ থেকে গলায় ঝুলে থাকা অফ-হোয়াইট কাজ করা দুপাট্টায় এক অপূর্ব ছাপ ফেলে রেখেছে তার রাজকীয়তা। মাথার চুলগুলো এলোমেলো ভাবে গোছালো । বরপক্ষের লোকেরা শুদ্ধর গান শুনতে চাই। শুদ্ধকে এমন লোকে দেখে হা হয়ে গেলো বর্ষার মুখ।

সেদিনে তি*ক্ষ নয়নে তাকিয়ে ধ*ম*ক দিলো আভা।
“হা করে দেখার কি আছে বুঝলাম নাহ? মুখ ব*ন্ধ রাখ নয়তো দূরে যা। গ*ন্ডা*র তাকে হা করে কেউ দেখে? ”

আভার কথায় বর্ষা মুখ ভে**ঙ*চি*য়ে বললো,
“এত সুন্দর রকস্টার হিরোকে তোর কোন দিক দিয়ে গ*ন্ডা*র লাগে। তুই দয়া করে চোখের ডাক্তার দেখা আভা।

“চোখের ডাক্তার তোর দেখানো উচিত। গ*ন্ডা*রও চিনিস নাহ?”
আভাদের ব*ক*ব*ক করতে দেখে একজন চুপ করতে বললো।
ভেসে আসলো গিটারের টুংটাং আওয়াজের সাথে সুরেলা কন্ঠের গান....
★★তুমি হাসলে.. পাশে হাঁটলে..
কেন থমকে যায় সময়?
তুমি হাসলে.. পাশে হাঁটলে..
কেন থমকে যায় সময়?

আমি বো*কা অনুভবে,
বোবা অভিসারে,
অপলক কা*টাই প্রহর!

এ কেমন প্রেমেরই জ*খ*ম?
হৃদয় জ্ব*রে পু*ড়ে অভিমান,
আনমনে নোনা প্রেমের ভাঁজে
প্রিয় মুখে জমে অপলাপ।

তুমি ডাকলে.. ফিরে চাইলে..
কেন দুঃখ ছোঁয় আমায়?
তুমি ডাকলে.. ফিরে চাইলে..
কেন দুঃখ ছোঁয় আমায়?

আমি বো*কা অনুভবে,
বো*বা অভিসারে,
অবেলায় সাজাই *বা*সর!

এ কেমন প্রেমেরই জ*খ*ম?
হৃদয় জ্ব*রে পু*ড়ে অভিমান,
আনমনে নোনা প্রেমের ভাঁজে
প্রিয় মুখে জমে অপলাপ★★

আপনারা যারা গল্প পছন্দ করে তারা আমাদের গ্রুপে জয়েন হয়ে গল্প পড়তে পারেন, নীল লেখায় চাপ দিয়ে

জয়েন করে রাখুন 👉 মিষ্টি ভালোবাসার রোমান্টিক গল্প 💙

#হৃদয়ের_বাঁ_পাশে
#অর্ষা_রানী_ঐশী
চলবে...............

“সত্য খুঁজে যায় মিমি”পর্ব – ৩শিরোনাম: “শেষ সিদ্ধান্ত”মিমি রাতভর ঘুমাতে পারেনি।বুকে সন্তানকে আঁকড়ে ধরে শূন্য চোখে ছাদের দ...
10/08/2025

“সত্য খুঁজে যায় মিমি”
পর্ব – ৩

শিরোনাম: “শেষ সিদ্ধান্ত”

মিমি রাতভর ঘুমাতে পারেনি।
বুকে সন্তানকে আঁকড়ে ধরে শূন্য চোখে ছাদের দিকে তাকিয়ে ছিল।
মনের ভেতরে শুধু একটাই প্রশ্ন—
"আমি কি সত্যিই এতটা অযাচিত? এতটাই মূল্যহীন?"

দৃশ্য ১: সকালের ঝড়

সকাল বেলা দরজা ভাঙার মতো শব্দে মিমির ঘুম ভাঙলো।
দেখে, হাসিব হাতে একটা কাগজ—

হাসিব: “এটাই ডিভোর্স পেপার। আজকেই সাইন করবে। আর কোনো কথা নয়।”

মিমি: “তুমি কাকে বিয়ে করছো, সেটা আমি জানি। কিন্তু… অন্তত সন্তানের জন্যও কি তুমি একটু ভাবতে পারো না?”

হাসিব: “ও সন্তান আমার না, মনে আছে তো?”
এই কথা বলে হাসিব দরজায় আঘাত করে বেরিয়ে গেল।

দৃশ্য ২: মেঘার মুখোশ খোলা

দুপুরে মেঘা এসে মিমির ঘরে ঢোকে।

মেঘা: “বোন, আমি জানি তুমি আমাকে এখন ঘৃণা করো। কিন্তু তুমি জানো না, আমি এই বিয়ে চাইনি।”

মিমি: “তাহলে কেন এসব করছিস? হাসিবের সঙ্গে তোর নাম জড়িয়ে ঘর সাজাচ্ছিস?”

মেঘা: “বাবা আমাকে জোর করেছে। বাবার কাছে হাসিব ঋণী। সেই ঋণ শোধ করার জন্যই এই বিয়ের চাপ।”
মিমি অবাক হয়ে তাকায়—
"তাহলে, বাবা শুধু আমার ঘরই ভাঙছে না, মেঘার জীবনও বিক্রি করে দিচ্ছে?"

দৃশ্য ৩: বাবার গোপন লেনদেন

সন্ধ্যার দিকে মিমি লুকিয়ে বাবার ঘরে যায়।
আলমারি খুলে একটি ফাইল বের করে দেখে—
হাসিবের স্বাক্ষর করা ঋণপত্র, যেখানে লেখা আছে—
"বিয়ের পর এই ঋণ মওকুফ হবে।"
মিমির গা কাঁপতে থাকে।
সে বুঝতে পারে, হাসিবের ভালোবাসা আসলে টাকার কাছে হেরে গেছে।

দৃশ্য ৪: মিমির পরিকল্পনা

রাতের অন্ধকারে মিমি সন্তানকে বুকের কাছে ধরে শপথ করে—
"আমার জীবন আমি বাঁচাবো। সন্তানের জীবনও বাঁচাবো। কেউ আমাদের ধ্বংস করতে পারবে না।"
সে মোবাইল বের করে কারও নাম্বারে কল দেয়—

মিমি: “হ্যালো? আমি মিমি বলছি। আমার সাহায্য দরকার… আমি রাজি আছি।”

কার কণ্ঠস্বর ছিল ওপাশে?
মিমি কী পরিকল্পনা করছে?
সব জানা যাবে পর্ব – ৪ তে।

---

তুমি চাইলে আমি এখনই ৪র্থ পর্ব লিখে দিতে পারি, যাতে কাকে ফোন দিল মিমি আর কীভাবে পাল্টা খেলতে শুরু করল—সব জানা যায়।

–"সা*উয়ার মন্ত্রী তুই আমাকে এভাবে বেঁধে রেখেছিস কেনো তাই বল, সাহস থাকলে আমার হাত খোলে দেখা শালা তর মেইন পয়েন্টে লাথি দ...
10/08/2025

–"সা*উয়ার মন্ত্রী তুই আমাকে এভাবে বেঁধে রেখেছিস কেনো তাই বল, সাহস থাকলে আমার হাত খোলে দেখা শালা তর মেইন পয়েন্টে লাথি দিয়ে যদি তর ভবিষ্যত অন্ধকার না করি তাহলে আমার নামও ইনায়া খান না। কথা গুলো বললো, এক রমনি যার হাত পা বাঁধা চেয়ারের সাথে..!"

–"তার সামনেই বসে আছে মন্ত্রী ইয়াশ ইফান চৌধুরী। ইয়াশ মনে মনে ভাবলো এই মেয়ে কে আমি বিয়ে করলে তো জীবন ছারখার করে দিবে..! পরক্ষনেই আবার ভাবলো আমি কম কিসে ও একটা ছুরে মারবে তো আমি আরেক টা মারবো। যাকে বলে "বাউন্সব্যাক" বলেই বাঁকা হাসি দিলো ইয়াশ।"

–"তারপর গলা খাঁকানি দিয়ে বললো, আরে আরে এভাবে উত্তেজিত হচ্ছো কেনো বেবি তার জন্য তো গোটা রাত পড়ে আছে। আর যতোই হোক আজকে আমাদের বাসর রাত হবে তাই না..! তার আগে এভাবে এনার্জি নষ্ট করার কোনো মানেই হয় না।"
–"চলো আগে বিয়ে টা সেরে ফেলি তারপর না হয় উরাধুরা রুমাঞ্চ করবো তখন দেখা যাবে তোমার কতো এনার্জি।"

–"ইনায়া বলে, আমার হাতের বাঁধটা তো খোল শালা তর বা*লের বিয়ে আর বাসর দুটোই সখি আমি মিটিয়ে দিবো।"

–"ইয়াশ অবাক হওয়ার ভান ধরে মুখে হাত দিয়ে বলে আস্তাগফিরুল্লাহ কি সব বলো তুমি বেবি...!একটু পরে মন্ত্রীর বউ হবে মুখের ভাষা তো ঠিক করো। ইয়ানা বলে, তোর বউ হবো আমি..? সিরিয়াসলি..? তর কি যোগ্যতা আছে..? নিজের ভুরি তো মোটা বানিয়েছিস জনগণের টাকা মেরে আবার আসছে আমাকে বিয়ে করতে শালা বাটপার।"

–"ইয়াশ এবার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এসিস্টেন্ট রাফিনের দিকে তাকায়, রাফিন বেচারা ইয়াশের তাকানো দেখেই ভয় পেয়ে শুকনো ঢুক গিয়ে মনে মনে ভাবে আল্লাহই ভালো জানে এখন আবার কি আজে বাজে কথা শুরু করবে কে জানে...!"

–"ইয়াশ বলে, রাফিন জান্স তুমি বলো আমি কি কখনো জনগণের টাকা মেরে খেয়েছি...? রাফিন বলে না স্যার একদম না।"

–"ইনায়া বলে, তাই আমি বিশ্বাস করে বসে থাকলাম। শালা আমার তো মনে হয় তুই গে** সাথে তর এসিস্টেন্টও। ইয়াশ বলে, দেখো ইনায়া বেবি তুমি আমাকে আমাকে গালি দিছো তুই– তুকারি করছো সাথে বলছো আমার নাকি ভুরিও আছে অথচ আমি একদম স্লিম আমি তাও মেনে নিলাম। কারণ মেয়েদের বুদ্ধি হাটুতে থাকে। তাই বলে আমার আর আমার রাফিন জান্সের"

–"পুরুষত্বের উপর আঙ্গুল তুলতে পারো না..! কারণ আমরা দুই জনি ইচ্ছে করলে বছরের বারো টা করে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখি।"

–"ইনায়া কিছু বলতে যাবে তখনি রাফিন বলে উঠে স্যার কাজি কে ধরে আসছি আসতে বলবো রুমে..? ইয়াশ বলে, তাড়াতাড়ি বলো, বাসারের জন্য আর ওয়েট করতে পারছি না। "

–"তারপর রাফিন মেসেজ দিতেই দুটা লোক কাজি কে উচা করে নিয়ে আসে পরেনে শুধু একটা লুঙ্গি আর সেন্টার গেঞ্জি।"

–ইয়াশ কপাল কুঁচকে বলে, কি প্রবলেম কাজি কে এভাবে কেনো নিয়ে আসছিস তাও দিনে দুপুরে কাজি কি জামা–কাপড় নেই নাকি...!

–"বডিগার্ড কাজি কে চেয়ারে বসিয়ে বলে, স্যার মাদার** ঘুমাচ্ছিলো এই দিনে দুপুরে কয়েক বার ডাকছি উঠে নাই তাই যেভাবে পাইছি ঐভাবেই তুলে নিয়ে চলে আসছি। "

–"ইয়াশ কাজির দিকে সরু চোখে তাকিয়ে বলে, কি ব্যাপার এই দিনে–দুপুরে ঘুমাচ্ছেন কেনো..?! কাজি একটা শুকনো ঢুক গিলে, পান খাওয়া লাল লাল দাঁত গুলো বের করে বলে, আসলে স্যার নতুন বিয়ে করেছি তো বউ কে সময় না দিলে যদি আমাকে রেখে চলে যায় তখন...!"

–"ইয়াশ দুষ্ট হাসি দিয়ে বলে, তাহলে আমার বিয়ে টাও করিয়ে দেন আমিও বউ নিয়ে দিনে–দুপুরে রুমাঞ্চ করবো। "

–"কাজি ঠিক আছে বলে, বিয়ের কার্যকলাপ শুরু করে এবার আসে সেই আখাঙ্খিত মুহুর্ত কবুল বলার সময়। "

–"কিন্তু ইয়ানা কোনো ভাবেই বলবে না কবুল। ইয়াশ আর কোনো উপায় না পেয়ে একটা বিডিও ধরে ইয়ানার সামনে সাথে সাথে ইয়ানা থমকে যায় তারপর বলে ঐ চু*** ছেলে আমার পরিবার কে ঐভাবে আটকে রেখেছিস কেনো..?!"

–"ইয়াশ বাকা হেসে বলে, আমি জানতাম সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না তাই আঙ্গুল বাকিয়েছি। এখন কবুল বলো নয়তো নিজের পরিবার কে মরতে দেখো তোমার ইচ্ছে..!"

–"ইয়ানা মনে মনে বলে, সব বডিগার্ড কি কবরে পার্টি করতে গেছে...!আমার পরিবার কে তুলে নিয়ে গেলো আর ওরা কিছুই করতে পারলো না...!"

–"ইয়াশ ইনায়া কে ধ্যান ধরতে দেখে বলে আরে ম্যাডাম কোথায় হারিয়ে গেলেন..? ইয়ানা রাগে কটমট করতে করতে বলে, ঠিক আছে আমি বলবো কবুল কিন্তু তুই মনে রাখিস আমাকে বিয়ে করা মানে দিন রাত তকে কান্না করাবো... "

ইয়াশ বাঁকা হেসে বলে, বিয়েটা হোক তারপর বেড রুমে কে কাকে কান্না করাই ওটা তখনি দেখা যাবে

–"তারপর বিয়েটা সম্পন্ন হয়। কাজি সবাই চলে যায় রুম থেকে থাকে শুধু ইয়ানা আর ইয়াশ। ইয়াশ নিজের চেয়ার থেকে উঠে তারপর কোনো কথা না বলে ইয়ানার মুখে স্পে মেরে দেয় সাথে সাথে ইয়ানা অজ্ঞান হয়ে যায়। "

–"ইয়াশ ইয়ানার হাতের বাঁধন খোলতে খোলতে বলে, আমি জানি বেবি তুমি এখন আরেক টা জামেলা করবে কিন্তু বিশ্বাস করো আমি এখন জামেলার মুডে নেই আছি রুমাঞ্চ মুডে বলেই ইয়ানা কে কোলে নিয়ে বেরিয়ে যায়। "

------------------------------------------

–"ইয়ানা কে নিয়ে ইয়াশ সোজা নিজের বাড়ি গেছে। বাড়িতে কেউ ওর মা বাবা তাই আর জবাবদিহি করতে হয় নি। মাঝে মাঝে ভাবে নিজে একজন মন্ত্রী হয়েও মা কে এখনো জবাবদিহি করতে হয়। বাবা কে না হয় থামিয়ে রাখা যায় কিন্তু মা কখনো সম্ভব না। "

–"ইনায়া কে রেখে ইয়াশ বাথরুমে যাই ফ্রেশ হতে আজকে অনেক ধোকল গেছে। এখন যদি লম্বা শাওয়ার না নেই তাহলে আর ঠিক থাকবে না। "

প্রায় এক ঘন্টা পর শাওয়ার নিয়ে বের হয়। দেখে ইনায়া এখনো চুপচাপ শুয়ে আছে মানে ঘুম ভাঙে নি। ইয়াশ ইনায়ার পাশে বসে তারপর মেয়েটা কে ভালো করে দেখে, তার চোখজোড়া যেন একজোড়া চঞ্চল হরিণের মতো—ডাগর ডাগর, নিঃশব্দে শত কথার সুর বয়ে আনে। সে চোখের গভীরে এক অদ্ভুত টান, যেন তাকালেই হারিয়ে যেতে হয় কোনো অজানা স্বপ্নের জগতে। তার নাকটা ছিমছাম, ঠিক যেন মৃৎশিল্পীর নিপুণ হাতে গড়া নিখুঁত এক শৈল্পিক রেখা। মুখখানা কাশফুলের মতো ফর্সা—নির্মল, কোমল, আর সূর্যের আলোয় যেন একধরনের আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে পড়ে। গোলাপি রঙের অধরদুটি তার মুখের সৌন্দর্যকে যেন আরো বেশি উজ্জ্বল করে তোলে ।

সব মিলিয়ে, সে যেন কোনো রূপকথার রাজকন্যা—অসাধারণ, অপার্থিব, একদম যেন স্বর্গ থেকে নেমে আসা কোনো "এডম বোমা"—চোখে পড়লেই যেন হৃদয়টা একেবারে ধ্বংস হয়ে যায় তার সৌন্দর্যের বিষ্ময়ে।

–"ইয়াশ বিরবির করে বলে, দেখতেও যেমন "এডম বোমার" মতো কাজ আর কথাও তেমনি "এডম বোমা" মতো...!"

হঠাৎ ইনায়া চোখ খোলে ইয়াশ কে পাশে দেখে মাথায় রক্ত উঠে যায় এক লাথি মারে ইয়াশের মেইন পয়েন্টে ইয়াশ নিচে পড়ে যেয়ে তারপর ওখানে হাত দিয়ে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে বউ এটা কি করছো তুমি..? নিজের ভবিষ্যত নিজেই এভাবে নষ্ট করছো...?!"

–"ইয়ানা বলে, শালা এখন পাশে বসেছিস তাই মেইন পয়েন্টে শুধু লাথি দিছি এরপর যদি আর কিছু করতে চাস জাস্ট তর আসল জিনিস টাই কেটে দিবো তারপর বাকি জীবন হি*জ*ড়া হয়েই থাকবি"

–"ইয়াশের মুখ দিয়ে আপনাআপনি বেরিয়ে আসে আস্তাগফিরুল্লাহ "


#গল্প_বাউন্সব্যাক
#পর্ব_১
#কলমে_তাসনিম_তালুকদার_বুশরা

(রেসপন্স পেলে বাকি পর্ব গুলো দিবো)

Address

Village: Helencha, Post: Moydandighi, P. S: Bhangura, District: Pabna
Pabna
6640

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Argentina football fan club posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Argentina football fan club:

Share