Argentina football fan club

Argentina football fan club Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Argentina football fan club, Digital creator, Village: Helencha, Post: Moydandighi, P.S: Bhangura, District: Pabna, Pabna.

জীবন সুন্দর যদি নিজেকে মানিয়ে নিয়ে বাঁচতে শিখো।
না হলে মৃত্যুযন্ত্রনার মতই জীবন কঠিন।
ভাষা সুন্দর ব্যাকরণে,
আর মানুষ সুন্দর আচরণে।
গল্প তো সবারই থাকে
কারোটা উপন্যাস কারোটা দীর্ঘশ্বাস।
হাত ধরে চলার নাম ভালোবাসা নয়
ছায়া হয়ে পাশে থাকার নামই ভালোবাসা।

জীবনের প্রথম ফেসবুক আইডি খুললাম, নাম দিলাম রোমান্টিক গল্পের লেখিকা।বেছে বেছে কয়েকটা ফ্রেন্ড কে অ্যাড দিলাম, ইতিমধ্যে অনে...
07/09/2025

জীবনের প্রথম ফেসবুক আইডি খুললাম, নাম দিলাম রোমান্টিক গল্পের লেখিকা।
বেছে বেছে কয়েকটা ফ্রেন্ড কে অ্যাড দিলাম, ইতিমধ্যে অনেক ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট আসা শুরু করেছে, তার মধ্যে আমার ভাইয়া অভি চৌধুরীও ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিল।

সবার ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করলেও ভাইয়ার ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করলাম না, ঝুলিয়ে রাখলাম।
জীবনে বহুত প্যারায় ঝুলিয়ে রেখেছে আমায়, আর আজ আমি কিনা তার ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করবো, হুহ জীবনেও না, ঝুলে থাক তুই, এতে আমারও মনে শান্তি আসবে।

আমি রোজ ফানি পোস্ট স্যাড পোস্ট রোমান্টিক পোস্ট বিয়ের পোস্ট সব করতাম আর ভাইয়া ফেইক আইডি দিয়ে সব পোস্টে হা হা মারতো।
একদিন একটা পোস্ট দিলাম ছ্যাঁকা খাইছি ভাই এই পোস্টে ভাইয়া হা হা মেরে কমেন্ট করছে "পোস্টের পরিমাণ বেশি হয়ে যাওয়ায়, আপনার মধ্যে জনশূন্যতা দেখা দিসে।"

মানুষ কতোটা বেয়াক্কেল হলে স্যাড পোস্টেও হাহা দেয়, আমি মেসেজ দিলাম, "আমার রুচির দুর্ভিক্ষ চলতেছে তাই আপনার মতো মানুষকে এখনো ফ্রেন্ড লিস্টে রাখছি।

সে বলে, রাখেন নাই আমি এখনো ঝুলে আছি।
আমিও বললাম, ঝুলে থাকেন জীবনেও একসেপ্ট করবো না।
সে বলে ভাগ্যিস আপনার বিয়ে হয় নাই , নাহলে জোর করে আমার ঘাড়ে আপনার ননদকে দিয়ে দিতেন, আমি সেরকম-ই সুদর্শন যুবক।
আমি আর সিন-ই করলাম না, জাস্ট নোটিফিকেশন থেকে পড়ে নিলাম।

পরের দিন আরেকটা পোস্ট দিলাম, সিঙ্গেল আছি ১৮ বছর হয়ে গেলো,
সে কমেন্ট করছে, যেখানে আপনার আধবুড়ো ভাই এখনো বিয়ে করে নাই, সেখানে আপনার বিয়ের কথা ভাবা বিলাসিতা।

কমেন্ট দেখে চমকে গেলাম, ও জানলো কেমনে আমার ভাই আছে, পরে ভাবলাম না হয়তো আন্দাজে বলছে, আমরা তো এমন অনেক কিছুই আন্দাজে বলি তা ঠিক হয়ে যায়।

ভর দুপুরে খুব গরম লাগছে নিচে গেলাম আইসক্রিম খেতে, ডাইনিং রুমে বসে ছিলো ভাইয়া, আমাকে দেখেই বললো,
বুঝলি আরেব্বা ভাবতেছি আজ থেকে আমি রোমান্টিক গল্প লিখবো!

গরমে এমনিতেই মেজাজ খারাপ, ঝপাট করে বললাম,
-তো লিখ না আমি কি করবো বলতে বলতে ফ্রিজ খুললাম, ফ্রিজে মাত্র একটা আইসক্রিম বক্স রাখা আছে, ওটা বের করে আনতেই ভাইয়া কেড়ে নিলো, তার নাকি গরম লাগতেছে এটা সে খাবে।

আমি বললাম আমি খাবো সে বলে সে খাবে, দুজনের মধ্যে চুলোচুলি শুরু হয়ে গেলো।

আম্মু রান্না ঘর থেকে দৌড়াইয়া আসিয়া দুজনকে চামচ দিয়ে দুইটা বারি দিয়ে বললো দুই জনে মিলে ভাগ করে খা।
মাইর খেয়েও ভাইয়া ৩২ পাটি বের করে হাসি দিলো, আমি দাঁত কটমট করে আইসক্রিমের বক্স খুলে দেখি এতে আদা রসুনবাটা রাখা।

আমি ও ভাইয়া একে ওপরের দিকে তাকালাম, হায় হায় কিসের জন্য এতোক্ষণ মাইর করলাম, উল্টো হুদাই মাইর খাইলাম, এই জীবন'টাই বৃথা।
চোখে জল নিয়ে ফ্রিজ থেকে পানির বোতল বের করে ভাইয়াকে এক গ্লাস দিয়ে আমি এক গ্লাস খেলাম।
ভাইয়া বললো,
-বক্স'টা যদি আগে খুলতি আরেব্বা তাহলে হুদাই দুজনে এই মাইরটা খাইতাম না।
-তুই কি আমাকে খুলতে দিছিলি? তার আগেই তো মাইর লাগাই দিছিলি।

তারপর আমি রুমে চলে আসলাম ভাইয়া ওখানেই বসে রইলো।
দুঃখ ভরা জীবন নিয়ে একটা পোস্ট দিলাম, "দ্বিতীয় বারের মতো আবারো ছ্যাঁকা খেলাম।"
ভাইয়া কমেন্ট করছে,
- এ নিচে আয়, ভাত খাবি, আম্মু তোরে ডাকে।

আমি কমেন্ট দেখেই তাড়াতাড়ি ডিলিট করে দিলাম, মেসেঞ্জারে গিয়ে মেসেজ দিলাম কে আপনি, সে বলে
-পোস্টের পরিমাণ কি বেশি হয়ে গেছে যে নিজের মায়ের পেটের ভাইকে চিনতে পারছিস না, এক সাথে এতো পোস্ট যখন নিতেই পারিস না তখন পোস্ট করিস কেনো? কে বলেছে তোকে পোস্ট করতে।
আমি আর কোনো রিপ্লাই দিলাম না।

ভয়ে ভয়ে নিচে গেলাম, আমাকে দেখে ভাইয়া বলে উঠলো, ফেসবুকে রোমান্টিক লেখক লেখিকার ভীড়ে আমি এক অবুঝ শিশু।
ভাইয়ার পাশে চেয়ার টেনে বসে কানের কাছে ফিসফিস করে বললাম, তুই আমায় চিনলি কেমনে?
- তোর ফ্রেন্ড লিস্টে আমার ১৪ গোষ্ঠীকে দেখেই আমি বুঝে গেছি এটা আমার-ই বিয়া কামলা বইন, এবার আম্মুকে বলে দেই আরেব্বা?
-সোনা ভাইয়া চুপ থাক।
-তাহলে আমার কতোডি ময়লা কাপড় জমা হইছে ওগুলো ধুয়ে দিস আমি আম্মুরে কিছু বলমু না।

কি আর করার ভাইয়ার কথা তো শুনা-ই লাগবে, তা না হলে তো আমার বিয়ের পোস্ট প্রেমের পোস্ট ছ্যাঁকা পোস্ট সব আম্মুকে দেখিয়ে আমার মান সম্মানের বারোটা বাজাবে, অনিচ্ছার সত্যেও ওর দিকে তাকিয়ে বোকা বোকা হাসি দিলাম, আর কাপড় ধুয়ে দিবো বলে আশ্বস্ত করলাম।😢

#ফেসবুক_আইডি
#আরেব্বা_চৌধুরী
#ফান_পোস্ট

অফিসে যাওয়ার আগ মুহুর্তে আমার স্ত্রী যখন আমার কাছে জানতে চাইলো আমি তার ছোট বোনের বিয়েতে কি উপহার দিবো তখন আমি বললাম,- তু...
06/09/2025

অফিসে যাওয়ার আগ মুহুর্তে আমার স্ত্রী যখন আমার কাছে জানতে চাইলো আমি তার ছোট বোনের বিয়েতে কি উপহার দিবো তখন আমি বললাম,
- তুমি তোমার পছন্দমতো কিছু একটা কিনে দিও

আমার স্ত্রী কিছুটা রেগে বললো,
-" কিছু একটা কিনে দিবো মানে? তুমি জানো দুলাভাই আমার বোনকে কি উপহার দিচ্ছে? ১লাখ ২০হাজার টাকা দিয়ে সোনার কন্ঠ হার!

আমি বললাম,
-তাহলে এখন আমার কি করতে হবে?

আমার স্ত্রী হেসে বললো,
-" আমি আমার বোনকে ২লাখ টাকা দিয়ে সিতা হার কিনে দিবো।"

কথাটা শুনে আমি অবাক হয়ে বললাম,
-এতো টাকা!

আমার স্ত্রী মুখটা মলিন করে বললো,
-" দুলাভাই যদি ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা হয়ে এতোটাকা দিয়ে উপহার দিতে পারে তাহলে তুমি ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তা হয়ে কেন পারবে না? এখন তুমি যদি দুলাভাইয়ের চেয়েও কম দামের উপহার দাও তাহলে বাপের বাড়িতে আমি মুখ দেখাতে পারবো?

আমি কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললাম,
-আচ্ছা ঠিক আছে। আফিস থেকে আসার পর তোমায় টাকা দিচ্ছি।

কথাটা বলে আমি বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম-----

অফিসে এসে রায়হান সাহেবের ফাইলটা ভালো করে দেখে বললাম,
-আপনার তো দেখছি কাগজ পত্রের কিছুই ঠিক নেই। আমি এই প্রজেক্টে সাইন কিভাবে করি বলেন তো?

রায়হান সাহেব মুচকি হেসে বললো,
-" স্যার একটু দেখেন না! আপনি এতো বড় অফিসার। কিছু তো ফাঁক ফোকর আছে সাইনটা করে দেওয়ার জন্য। একটা কমলের খোঁচার বিনিময়ে আপনিও না হয় লাখ তিনেক টাকা পেয়ে গেলেন।"
কথাটা বলে রায়হান সাহেব টাকাগুলো টেবিলের উপর রাখলেন

আমি রায়হান সাহেবের দিকে তাকিয়ে বললাম,
- আপনি কি আমায় ঘুষের অফার করছেন?

রায়হান সাহেব জ্বিভে কামড় দিয়ে মুচকি হেসে বললো,
-" না না স্যার, একদম না। টাকাটা আমি আপনাকে উপহার সরূপ দিচ্ছি। আপনি ভাবীকে নিয়ে নাহয় থাইল্যান্ড গিয়ে ৩দিনের একটা ট্যুর দিয়ে আসলেন।"

আমি টাকা গুলো ড্রয়ারে রেখে মুচকি হেসে বললাম,
- আপনি তো দেখছি পাকা খেলোয়াড়। ঠিক আছে আমি ফাঁক ফোকর খুঁজে কাল সাইন করে দিবো।

রায়হান সাহেব চলে গেলে আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম, যাক শ্যালিকাকে সিতা হার কিনে দেওয়ার টাকার ব্যবস্থা হয়ে গেলো। এমন সময় হাবীব নামের একজন কলিগ আমার রুমে আসলো। সে যখন বললো সে চাকরি থেকে রিজাইন নিতে চায় তখন আমি খুব অবাক হয়ে উনাকে বললাম,
-তুমি এতো ভালো একটা চাকরি ছেড়ে দিতে চাইছো? তুমি জানো এই চাকরির জন্য কত মানুষ দিন রাত পরিশ্রম করছে?
হাবীব মুচকি হেসে বললো,
-“স্যার, এই চাকরি করলে হয় আমাকে ঘুষ খেতে হবে, না হয় রাস্তায় মরে পড়ে থাকতে হবে। আমি অসৎও হতে পারবো না, আর রাস্তায় মরে পড়ে থাকতে চাই না। তাই চাকরিটা ছেড়ে দিচ্ছি।”

কথাটা শুনে আমি কিছুটা খোঁচা দিয়ে হাবীবকে বললাম,
-আমার জানা মতে আপনি আমাদের সেক্টরে সবচেয়ে বেশিই ঘুষ খান। সেই আপনি কবে থেকে সৎ হলেন?

হাবীব আবারও মুচকি হেসে বললো,
-“যেদিন থেকে বুঝলাম আমার পাপের ফল আমার আপনজনরা ভোগ করছে। আমি প্রথম যেদিন ১০ হাজার টাকা ঘুষ খাই সেদিন বাসায় গিয়ে শুনি আমার ছেলেটার পা ভেঙে গেছে। ২য় বার যখন ৫০ হাজার টাকা ঘুষ খাই তার কয়েকদিন পর জানতে পারি আমার স্ত্রীর জরায়ুতে টিউমার হয়েছে। আর ৩য় বার যখন ১লাখ টাকা ঘুষ খাই তখন গ্রামের বাড়ি থেকে ফোন আসে আমার মা মারা গেছে। তারপরই আমি বুঝতে পেরেছি আমার ভুলটা।”

চলে যাবার আগ মুহুর্তে হাবীব আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
-” স্যার, আপনি অবৈধ ভাবে যদি ৫টাকা ইনকাম করেন উপরওয়ালা আপনার থেকে বৈধ ভাবে ২০টাকা কিভাবে যে কেড়ে নিবে আপনি বুঝতেই পারবেন না।”

হাবীব চলে গেলে আমি ওর কথাগুলো একটু চিন্তা করলাম।

বাসায় আসার পর আমার স্ত্রী যখন আমার কাছে টাকা চাইলো আমি তখন ওর হাতে আমার বেতনের টাকাটা তুলে দিয়ে বললাম,
- এইখানে ৪৫হাজার টাকা আছে। এই টাকা দিয়ে তুমি বাসা ভাড়া দিবে, গ্যাস বিল, পানির বিল, কারেন্ট বিল দিবে, বাজার খরচের টাকা আলাদা করে রাখবে , হাত খরচের টাকা আলাদা করে রাখবে। আর চিকিৎসা বাবদ কিছু টাকা জামা রাখবে। সব কিছুর পর যদি কিছু টাকা বেঁচে থাকে সেই টাকা দিয়ে বোনকে উপহার কিনে দিবে।

আমার কথা শুনে আমার স্ত্রী অবাক হয়ে বললো,
-“সব কিছুর পর তো হাতে দুই হাজার টাকাও থাকবে না। আমি দুই হাজার টাকা দিয়ে বোনকে উপহার কিনে দিবো?

আমি রাগী চোখে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললাম,
-সংসারের সব খরচ চালানোর পর তোমার স্বামীর হাতে ২ হাজার টাকাও থাকে না আর তুমি কোন সাহসে বলো তোমার বোনকে দুইলাখ টাকা দিয়ে সোনার হার কিনে দিতে?
বউ তখন কাঁদতে কাঁদতে বললো,
-“বাপের বাড়ি মুখ দেখাবো কি করে?”
আমি আরো রেগে বললাম,
-মুখ দেখাতে না পারলে বোরকা পড়ে বসে থেকো।এখন কান্না বন্ধ করে আপাতত আমার সামনে থেকে যাও তা নাহলে কান গরম করে ফেলবো।

বউ কান্না করতে করতে চলে গেলো আর আমি ভাবতে লাগলাম,
কাল রায়হান সাহেব আসলে উনার কানটা গরম করে টাকাগুলো ফিরত দিতে হবে

ঘুষখোর
আবুল বাশার পিয়াস

আট বছরের বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করে তাকে নিয়ে ফুলশয্যার খাটে বসে আছে জায়ান। বাচ্চা মেয়েটা পুতুল দিয়ে খেলা করছে, আর একটু পর প...
06/09/2025

আট বছরের বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করে তাকে নিয়ে ফুলশয্যার খাটে বসে আছে জায়ান। বাচ্চা মেয়েটা পুতুল দিয়ে খেলা করছে, আর একটু পর পর জায়ানের দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে। জায়ান যা দেখে বিরক্ত হয়, ভীষণ রাগ হচ্ছে তার। জায়ানের বয়স এখন পনেরো বছর, আর তার বউয়ের বয়স আট বছর। বাচ্চা মেয়েটার নাম আনায়া, সবাই ওকে ভালোবেসে অনু বলে ডাকে। অনু পুতুল খেলা করছে, চারপাশে সুন্দর ফুল ধারা সজ্জিত রুমে বসে আছে। রুমটা তার জন্য নতুন, কিন্তু রুমটা ভীষণ সুন্দর পরিপাটি করে সাজানো।

বিছানার এক পাশে বসে আছে জায়ান, তার ভীষণ রাগ হচ্ছে। আর অনু সমগ্র বিছানা জুড়ে বসে পুতুল খেলছে, তার হাতে দুইটা পুতুল একটা বর, আর অন্যটা কনে। অনুর হাতে থাকা বর পুতুল একদম জায়ানের মতো দেখতে, আর অন্য বউ পুতুল তার মতো দেখতে। জায়ানকে এমন চুপচাপ বসে থাকতে দেখে অনু তার কাছে এগিয়ে যায়, বাচ্চাদের মতো করে বলে উঠে

~~~~ "- বর ভাইয়া তুমি কি আমার সাথে পুতুল খেলবে। আমার একা একা খেলতে ভালো লাগছে না। চলো না বউ পুতুল আর বর পুতুলের বিয়ে দেয়, যেমন করে আমাদের বিয়ে হয়েছে ~~~~~~~.

অনুর কথা শুনে জায়ানের রাগটা আরো বেড়ে যায়। তার এখন ইচ্ছা করছে এই মেয়ের গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিতে, কিন্তু জায়ান বাচ্চাদের গায়ে হাত তুলে না। জায়ান রাগী দৃষ্টিতে অনুর দিকে তাকিয়ে বলে

~~~~ "- আমি কি তোমার মতো বাচ্চা যে খেলব। আর যদি খেলতে ভালো না লাগে, তবে রুম থেকে বের হয়ে যাও। কি ইডিয়েট বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করেছি, ননসেন্স.

জায়ান কথাটা ধমকের সুরে বলে, যা শুনে অনু ভয় পেয়ে যায়। আর ভীষণ অভিমান ও করে জায়ানের উপর, অনু গাল ফুলিয়ে চলে যায় তার পুতুলের কাছে। জায়ান আবার বিরক্তি নিয়ে বিছানায় বসে থাকে, অনু পুতুল দিয়ে খেলা করছে। অনু বর আর বউয় পুতুলের সাথে কথা বলছে, জায়ান ওর কথা শুনে বিরক্ত হয়ে বিছানায় থাকা পুতুল মেঝেতে ছুঁড়ে মারে। পুতুল মাটির তৈরি থাকায়, তা মেঝেতে পরে ভেঙে যায়। অনু বিছানা থেকে মাটিতে নেমে আসে, তার ভুল ভেঙে গিয়েছে বলে কান্না করে দেয়। অনু জোরে জোরে কান্না করে, জায়ান এইবার বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় অনুর সামনে গিয়ে বলে

~~~~~~ " এই মেয়ে চুপ থাকো। না হলে কিন্তু থাপ্পড় দিয়ে গাল লাল করে দিব। আই সেড স্টপ ইট ~~~~.

জায়ানের এমন ধমক শুনে অনু রেগে যায়। একতো তার পুতুল ভেঙে দিয়েছে, আবার তাকে বকা ও দিচ্ছে। অনু এইবার জায়ানের কাছে যায়, এরপর তার কাটুস কুটুস দাঁত দিয়ে জায়ানের হাতে জোরে কামড় দিয়ে দেয়। জায়ান ব্যাথায় আত্মানাথ করে উঠে, রাগী দৃষ্টিতে অনুর দিকে তাকিয়ে দেখে। অনু কামড় দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়, জায়ান ওর পিছনে যায়। অনুর হাত শক্ত করে ধরে বসে, এরপর বলে

"- এই ফাযিল মেয়ে আমার তুমি কামড় দিলে কেনো? দেখো কামড় দিয়ে রক্ত বের করে ফেলছ। এখন তোমাকে ও আমি কামড় দিয়ে রক্ত বের করে ফেলব .

অনু ভয় পায় আর বলে

~~~~ তুমি আমার খেলনা ভেঙে ফেলেছ। আর আমাকে বকা দিয়েছ, এইজন্য কামড় দিয়েছি। অনুর দাঁত অনেক সট্রং যার জন্য রক্ত বের হয়ে গেছে।

জায়ান রাগী চোখে বলে

~~~~ "- আমাকে কামড় দেওয়া তাই না। এইবার আমি ও কামড় দিব তোমায়, আর জায়ানের দাঁত প্রচুর সট্রং যার জন্য রক্ত বের হবে তোমার হাত থেকে ------.

জায়ান কথাটা বলে কামড় দেওয়ার জন্য, অনুর হাত ধরে তার মুখে নেয়। কিন্তু তার আগেই অনু চিকৎকার করে কান্না শুরু করে দেয়, যা শুনে জুবাইদা বেগম আর ইমতিয়াজ আহমেদ ছুটে আসে। জুবাইদা বেগম হলেন অনুর ফুপি, আর জায়ানের সৎ মা। আর ইমতিয়াজ আহমেদ হলেন অনুর ফুপা, আর জায়ানের বাবা। জুবাইদা বেগমের বড় ভাইয়ের মেয়ে হলো আনায়া আরনীতা। কিছুদিন পূর্বে এক্সিডেন্ট তারা মারা যান, এরপর অনু তার ফুপির বাসায় থাকে। মৃত্যুর পর অনুর বাবার সকল সম্পত্তির একমাত্র উত্তর অধিকারী সে, যার কারণে মূলত জুবাইদা বেগম তাকে এই বাড়িতে রেখেছে।

জুবাইদা বেগমকে দেখে অনু ছুটে যায় তার কাছে। শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তাকে, জুবাইদা বেগম দেখে অনু কান্না করছে যা দেখে ওনি জায়ানকে জিজ্ঞেস করে

~~~~ "- জায়ান কি হয়েছে অনু কান্না করছে কেনো?তুমি ওকে কিছু বলেছ? অনু তোমার বউ জয় ওর খেয়াল রাখা এখন তোমার কতৃব্য ~~~~~~.

জুবাইদা বেগমের কথা শুনে জায়ানের রাগ বেড়ে যায়। এই মহিলাকে সে সয্য করতে না, লোভী আর ভীষণ স্বার্থপর একজন মহিলা। যার কারণে তার মা আর বাবার ডিভোর্স হয়েছে, যিনি ষড়যন্ত্র করে তার মাকে এই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। জায়ান বলে

"- আমার সামনে নাটক করবেন না একদম। আর বউ মাই ফুট, শুধু মাএ নিজের স্বার্থর জন্য এই বাচ্চা মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দিয়েছেন। বয়স কতো এই মেয়ের, পুতুল খেলার বয়সে ওর বিয়ে করিয়ে দিয়েছেন। মা, বাবা মরা একজন এতিম মেয়ের সাথে এমন করতে বিবেকে বাধে নাই আপনার, বাচ্চা মেয়েটার জীবন নষ্ট করে দিলেন আপনি। সম্পর্কে কি আপনি ওর ফুফু হন, না শএু হন ~~~~~~~.

জুবাইদা বেগমকে এমন অপমান করে কথা বলছে দেখে পাশে থাকা ইমতিয়াজ আহমেদ বলে উঠে

~~~~~ "- জায়ান ওনি তোমার সম্পর্কে তোমার মা হয়। ভদ্র ভাষায় কথা বলো।

ইমতিয়াজ আহমেদের কথা শুনে জায়ান ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে

~~~~ "- যে পুরুষ ঘরে বউ, বাচ্চা রেখে অন্য নারীর সাথে পরকীয়া করে বেড়ায়। তার মতো এমন কাপুরুষের এতো জোরে কথা বলা মানায় না। বউয়ের রূপের মায়া থেকে বের হয়ে, বাস্তবতায় ফিরে আসেন। তখন বুঝবেন আপনার বউ ঠিক কতটা নিকৃষ্ট মহিলা ~~~~.

জায়ানের এমন অপমান করা কথা শুনো জুবাইদা বেগম রেগে যায়

~~~ "- জায়ান ভদ্র ভাষায় কথা বলো। তুমি যদি আর একটা বার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করো, তাহলে কিন্তু ~~~.

জুবাইদা বেগম কথা বলা শেষ করার আগেই জায়ান বলে উঠে

~~~~ "- কি করবেন আপনি? বলুন। বাড়ি থেকে বের করে দিবেন, যেমন আমার মাকে দিয়েছেন। ভুলে যাবেন বাড়িটা কিন্তু আপনার না, আমার দাদার। আর দাদা মারা যাওয়ার আগে সমস্ত সম্পত্তি আমার নামে করে দিয়ে গেছে, এখন আপনি যদি আমার সামনে আর একবার উঁচু গলায় কথা বলেন। তবে কিন্তু ঘাঢ় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিব ~~~~.

জুবাইদা খানম কথাটা শুনে চুপ করে শান্ত গলায় বলে

~~~~ অনু তোমার বউ হয়। তিনবার কবুল বলে বিয়ে করেছ ওকে তুমি, এখন ওর সাথে সংসার করতে হবে তোমার ~~~~.

জায়ান অনুর দিকে তাকিয়ে দেখে, বাচ্চা মেয়েটার মুখ ভয়ে চুপসে গেছে। জায়ান বলে

~~~ ~ " - তিনবার কবুল বললে বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু বউ হওয়া যায় না, সংসার করার জন্য নূন্যতম বয়স হওয়ার দরকার হয়, ম্যাচিউরিটির দরকার জয়, স্বামী শব্দটার মানে বুঝতে হয়। যা এখন অনু বুঝে না, ওর এখন পড়াশোনা আর খেলাধুলা করার বয়স। আর আমার মাএ পনেরো বছর বয়স ওর দায়িত্ব নেওয়ার মতো যোগ্যতা আমার এখন নেই, তাই অনুর সাথে সংসার করা এখন আমার সম্ভব নয় ~~~~.

ইমতিয়াজ আহমেদ বলে

~~~ " তাহলে তুমি এখন কি করতে চাও?

জায়ান শান্ত হয়ে বলে ~~~

"- বিদেশে আমার মায়ের কাছে চলে যাব।এরপর যখন অনুর বয়স হবে, তখন দেশে এসে ওকে নিয়ে যাব।

জায়ান কথাটা বলে রুম থেকে বের হয়ে যাবে, তখন ওর ইমতিয়াজ আহমেদ ওর হাত ধরে। ইমতিয়াজ আহমেদ বলে

"- তুমি কোথাও যাবে না জায়ান। তুমি আমার সন্তান, এই বাড়ির বংশধর।

জায়ান হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে বলে

~~~ "- যখন অন্য নারীর সাথে রাতের পর রাত কাটিয়ে আসতেন। তখন সন্তানের কথা চিন্তা হয় নাই আপনার। আমার ভাবতে ঘৃণা লাগে আপনি আমার বাবা, আর আমি আপনার জন্ম ~~~~~।

জায়ান কথাটা বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়। জুবাইদা বেগম রাতে দাঁত কটমট করে অনুকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে চলে যায় তার রুমে। অনু বাচ্চাদের মতো তাকিয়ে থাকে, ইমতিয়াজ আহমেদের বাচ্চা মেয়েটার জন্য খারাপ লাগে। অনুর বাবা মারা যাওয়ার আগে কার সমস্ত সম্পত্তির অনুর নামে লিখে দিয়ে গেছে। যখন অনুর বিয়ে হবে, তখন অর্ধেক সম্পত্তির মালিক হবে। আর যখন তার বয়স একুশ বছর হবে তখন আর অর্ধেক সম্পত্তির মালিক হবে।

মূলত অনুর বাবার এই উইলের কারণে জুবাইদা বেগম জোর করে জায়ানের সাথে তার বিয়ে দেয়। কারণ অনুর বিয়ের পর সে অর্ধেক সম্পত্তির মালিক হবে, অনু এখন বাচ্চা যার ফলে সে ব্যবসা সহ অন্য টাকা পয়সার হিসাব বুঝতে পারবে না। আর এই সুযোগ নিয়ে সকল টাকার অর্ধেক মালিক হয়ে যাবে জুবাইদা বেগম।

অনু ইমতিয়াজ আহমেদের কাছে যায়, তার হাত শক্ত করে ধরে বলে

~~~ "- আমার একা রুমে থাকতে ভয় করে আমায় ছেড়ে যেও না।

~~~ ইমতিয়াজ আহমেদ নিচুঁ হয়ে বলে

"- যাব না ".
#চলবে
ুঁয়েছে_এই_মন

#সূর্চনা_পর্ব

কলঙ্কীনি – পর্ব ০৯✍️লোকেশন: নুপুর আন্টির গোপন বেসমেন্টকবীরকে আমি পুরনো চেয়ারে বেঁধে রেখেছি। তার হাত-পা শক্ত দড়ি দিয়ে বাঁ...
04/09/2025

কলঙ্কীনি – পর্ব ০৯
✍️
লোকেশন: নুপুর আন্টির গোপন বেসমেন্ট

কবীরকে আমি পুরনো চেয়ারে বেঁধে রেখেছি। তার হাত-পা শক্ত দড়ি দিয়ে বাঁধা, মুখের কোণে শুকনো রক্ত। আমি টেবিলের ওপর ছুরি, প্লায়ার্স, আর এক বোতল পানি সাজিয়ে রাখলাম।

কবীর আমার দিকে হেসে বললো—
কবীর: আয়শা, তুই যতই চেষ্টা করিস, সত্যি শুনতে প্রস্তুত না।
আমি ধীরে ধীরে তার সামনে দাঁড়িয়ে ফিসফিস করে বললাম—
আমি: আমি জন্ম থেকেই নরক দেখছি। সত্যি শুনে ভয় পাই না। ভয় পায় তুই।

আমি প্লায়ার্স দিয়ে তার একটা নখের কাছে চাপ দিলাম।
কবীর যন্ত্রনায় গর্জন করলো।
কবীর: আআআহ! শুয়োরের বাচ্চি!
আমি: গালি দিয়ে লাভ নেই। বল—তোর বসের আসল প্ল্যান কী?

সে চোখ কুঁচকে আমার দিকে তাকালো।
কবীর: তোর নামের পেছনে যে কলঙ্ক লেগেছে, সেটা কি জানিস?
আমি থেমে গেলাম।
আমি: কী বোঝাচ্ছিস?
কবীর: তোকে ‘কলঙ্কীনি’ বানিয়েছে তোর সবচেয়ে প্রিয় মানুষ। আর সেই মানুষটাই এখন সাইদুলের ডান হাত।

আমার বুকের ভেতর আগুন জ্বলে উঠলো। আমি ছুরি তুলে তার গলার কাছে ধরলাম।
আমি: নাম বল! কে?!
কবীর মুচকি হাসলো।
কবীর: নাম শোনার আগে, আয়নাতে নিজেকে দেখে আয়।

আমি ছুরি দিয়ে তার কানের পাশে হালকা কেটে দিলাম। রক্ত গড়িয়ে পড়লো।
আমি: খেলছিস আমার সাথে? ঠিক আছে...এবার তোর কান উড়িয়ে দেবো।

ঠিক তখনই দরজা ভেঙে ঢুকে পড়লো অনন্যা! হাতে বন্দুক, মুখে ভয়।
অনন্যা: আয়শা! থাম! পুলিশ রেইড দিতে আসছে। এখুনি বের হতে হবে!
আমি চমকে তাকালাম।
আমি: তুই এখানে কীভাবে এলে?! লোকেশন তোকে কে দিল?
অনন্যা থেমে গেল। এক মুহূর্তের জন্য তার চোখের দৃষ্টি অদ্ভুত লাগলো।

আমি কবীরের মুখের দিকে তাকালাম। সে অদ্ভুতভাবে হেসে বললো—
কবীর: বুঝলি এখন?
আমার বুকের ভেতর কেমন করে উঠলো। অনন্যার চোখে অদ্ভুত ঠাণ্ডা ঝিলিক।

আমি: অনন্যা...তুই—
অনন্যা (হঠাৎ গম্ভীর কণ্ঠে): তোর খেলা শেষ, আয়শা।

সে ট্রিগার চাপলো। গুলি সোজা আমার কানের পাশ দিয়ে গিয়ে দেয়ালে লাগলো। আমি ঝটকা দিয়ে মেঝেতে গড়ালাম। বন্দুকটা মেঝেতে পড়ে গেল।
আমি এবং অনন্যা একসাথে বন্দুকের দিকে ছুটলাম—

কালো পর্দা। শটগান লোডের শব্দ।

---

পরের দৃশ্য: সাইদুলের সিক্রেট হাউজে

সাইদুল ফোনে কারও সাথে কথা বলছে।
সাইদুল: খেলা শুরু হয়ে গেছে। আয়শা আর অনন্যা—দুজনেই আমাদের হাতে খেলছে। এবার সময় এসেছে আসল সত্যি সামনে আনার।

ক্যামেরা জুম আউট—সাইদুলের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে একজন মুখ ঢাকা লোক। হাতে ট্যাটু।
এই লোকটাই প্রথম পর্বে আয়শার জীবনে আগুন লাগানো সেই অদেখা মুখ।

লোকটি নিচু গলায় বললো: সময় এসে গেছে, স্যার। এবার শেষ অ্যাক্ট শুরু হবে।

---

(চলবে...)

🔥 ১০ম পর্বে কী থাকবে:

বন্দুকের লড়াই: আয়শা বনাম অনন্যা – কে কাকে বাঁচাবে?

কবীরের মৃত্যু নাকি মুক্তি?

মুখোশ উন্মোচন: সাইদুলের সাথে জড়িত সেই অদেখা মুখ আসলে কে?

আয়শার অতীতের কলঙ্কের ভয়াবহ সত্য।

তুমি কি চাও ১০ম পর্ব পুরোদস্তুর অ্যাকশন, রক্তাক্ত ক্লাইম্যাক্স হোক, নাকি সাসপেন্সফুল, মানসিক খেলা বেশি থাকুক? 🔥

একবার এক মেডিকেলের ছাত্র ছাত্রীদের প্রাক্টিক্যাল ক্লাস চলতেছে। প্রাক্টিক্যালের জন্য একটি ম**রা কুকুর নিয়ে আসা হলো। প্রফ...
03/09/2025

একবার এক মেডিকেলের ছাত্র ছাত্রীদের প্রাক্টিক্যাল ক্লাস চলতেছে। প্রাক্টিক্যালের জন্য একটি ম**রা কুকুর নিয়ে আসা হলো। প্রফেসর সাহেব হঠাৎ করে সেই কুকুরের পিছন দিয়ে নিজের আঙুল ঢুকিয়ে দিলেন। তারপর আঙুল নিজের মুখে দিলেন৷

এরপর সব ছাত্র-ছাত্রীদের এই কাজ করতে বললেন৷ স্যারের ভয়ে সবাই তাদের আঙুল ঐ মৃত কুকুরের পিছন দিকে ঢুকিয়ে দিয়ে, যার যার মুখে দিলো।

এরপর স্যার বললেন, "বুঝছো”!
মেডিকেলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হল মনোযোগ। তোমরা যদি মনোযোগ দিতা তাহলে বুঝতা যে আমি আমার মিডল ফিঙ্গার ঢুকাইছি আর তর্জনী আঙুল আমার মুখে দিছি!! এখন থেকে মনোযোগ দাও৷ ছাত্র-ছাত্রীরা সব বেহুশ আর এরই নাম মনোযোগ৷

তাই কারো পেছনে আঙুগুল না দিয়ে মনোযোগ দিয়ে নিজের কাজ করেন, সাফল্য অনিবার্য 🙂

কলঙ্কীনি – পর্ব ০৮✍️রাত ২:১৫ মিনিট।পুরনো এক গুদামঘরের সামনে থেমে গেল কালো মোটরবাইক। আমি হেলমেট খুললাম। ঠান্ডা বাতাসে আমা...
03/09/2025

কলঙ্কীনি – পর্ব ০৮
✍️
রাত ২:১৫ মিনিট।
পুরনো এক গুদামঘরের সামনে থেমে গেল কালো মোটরবাইক। আমি হেলমেট খুললাম। ঠান্ডা বাতাসে আমার নিশ্বাস ধোঁয়ার মতো বের হচ্ছে। হাতে লেদারের গ্লাভস, কোমরে বন্দুক, আর বুটের ভেতর লুকানো ছুরি।

কানে ইয়ারপিসে নুপুর আন্টির কণ্ঠ ভেসে এলো—
নুপুর আন্টি: কবীর এখানে আছে, আয়শা। তবে সাবধান...ও একা না।
আমি: ঠিক আছে আন্টি। শিকারি সবসময় ছায়ার মতো আসে।

আমি সাইলেন্ট মোডে বন্দুকটা চেক করলাম। তারপর ধীরে ধীরে গুদামের লোহার দরজাটা ঠেললাম। ভেতরে অন্ধকার, কেবল হালকা আলো এক কোণায়।

হঠাৎ পেছনে আওয়াজ।
আমি ঝটকা দিয়ে ঘুরলাম—কিছু নেই। শুধু ছায়া।
পাশের দেয়ালে আমার নিজের ছায়া দেখে মুচকি হেসে উঠলাম।
নিজেকে বললাম: ভয় পেলে খেলা শেষ।

আমি পায়ের শব্দ কমিয়ে এগোচ্ছি। তখনই মোবাইল স্ক্রিনে অনন্যার মেসেজ—
লোকেশন কনফার্মড। কবীর উত্তর দিকের চেয়ারে বসে আছে। সাবধান। ওর সাথে দুজন বডিগার্ড।

---

মুখোমুখি সংঘর্ষ

আমি উত্তর দিকের বড় লোহার দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। সামান্য ফাঁক দিয়ে ভেতরে তাকালাম—
একজন লোক বসে আছে চেয়ারে। গাঢ় নীল শার্ট, গলায় সোনার চেইন। হাতে সিগার। আর দুজন দাঁড়িয়ে আছে তার দুই পাশে, শটগান হাতে।

আমি কোমর থেকে সাইলেন্সার লাগানো পিস্তল বের করলাম। নিশ্বাস থামিয়ে গুলি চালালাম।
টক! টক!
দুজন বডিগার্ড মাটিতে লুটিয়ে পড়লো, কোনো শব্দ করার আগেই।

কবীর চমকে উঠে দাঁড়াল।
কবীর: কে! কে আছে?!
আমি ধীরে ধীরে ভেতরে ঢুকলাম। আলো এসে পড়লো আমার মুখে।
আমি: আয়শা। মনে আছে নামটা?

কবীরের চোখ বড় বড় হয়ে গেল।
কবীর: তু...তুই?! তোকে তো—
আমি ঠাণ্ডা গলায় বললাম—
আমি: হ্যাঁ, আমাকে মারার প্ল্যান করেছিলে। কিন্তু আমি বেঁচে গেছি। এখন আমি এসেছি তোর শ্বাস বন্ধ করতে।

সে চেয়ারের পেছন থেকে বন্দুক বের করার চেষ্টা করলো। আমি এক ঝটকায় টেবিলের ওপরে লাফ দিয়ে পা দিয়ে বন্দুকটা দূরে ছুঁড়ে ফেললাম।
কবীর আমার দিকে ছুটে এলো। আমি তার পেটের দিকে হাঁটু দিয়ে আঘাত করলাম, তারপর এক ঘুষি মারলাম মুখে। সে মাটিতে পড়ে গেল।

আমি কোমর থেকে ছুরি বের করলাম। গলা পর্যন্ত নিয়ে গেলাম।
আমি: তুই আজ মরবি না, কবীর। কারণ তোর গলা দিয়ে বের হবে তোর বসের সব গোপন কথা।

কবীর হাঁপাতে হাঁপাতে বললো—
কবীর: তোর ধারণা নেই, আয়শা। তোর আসল শত্রু সাইদুল না।
আমি চোখ কুঁচকে তাকালাম।
আমি: এর মানে কী?!
কবীর: তুই যাকে সবচেয়ে বিশ্বাস করিস...সে-ই তোকে শেষ করবে।

আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম।
আমি: নাম বল! কে?!
কবীর হাসলো। ঠোঁটে রক্ত, তবুও হাসি।
কবীর: সময় হলে জানতে পারবি।

ঠিক তখনই আমার কানে আন্টির চিৎকার—
নুপুর আন্টি: আয়শা! বের হয়ে আয়! সিন্ডিকেটের বাকি লোকজন চলে আসছে!
আমি রাগে ছুরি টেনে নিলাম। কবীরের হাত বেঁধে তাকে কাঁধে তুলে নিলাম।
আমি: তুই যা লুকাচ্ছিস, আমি খুঁজে বের করবো। আর যদি মিথ্যে বলিস...তোর মরার জায়গা আমি ঠিক করে রাখবো।

---

শেষ দৃশ্য (রাতের শহর)

আমি কবীরকে নিয়ে বাইক চালাচ্ছি ফাঁকা হাইওয়েতে। শহরের আলো পেছনে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। কানে এখনও বাজছে ওর কথা—
“তোর সবচেয়ে কাছের মানুষই তোকে শেষ করবে।”

কাদের মধ্যে বিশ্বাসঘাতক? নুপুর আন্টি? অনন্যা? না কি অন্য কেউ?
বুকের ভেতর ঠাণ্ডা একটা ভয় ঢুকে যাচ্ছে।
কিন্তু আমি হাসলাম। কারণ ভয় থাকলে আমি আরও ভয়ংকর হই।

নিজেকে বললাম:
“এখন খেলা শুরু। সাইদুল, তুই প্রস্তুত হ। আমি আসছি।”

(চলবে...)

---

🔥 ৯ম পর্বে কী থাকবে:

কবীরের মুখ খুলতে ভয়ংকর জেরা দৃশ্য।

সাইদুলের নতুন চাল: আয়শাকে শেষ করার ফাঁদ।

এক চমকপ্রদ সত্য—যেটা আয়শার পায়ের নিচের মাটি সরিয়ে দেবে।

তুমি কি চাও ৯ম পর্ব আমি আরও ডার্ক আর হিংস্র করে লিখি, নাকি থ্রিল আর টুইস্ট বেশি দিয়ে সাসপেন্সফুল করবো? 🔥

কলঙ্কীনি – পর্ব ০৭✍️কালো জিপটা ঘণ্টাখানেক পর এসে থামলো একটা পুরনো ওয়্যারহাউজের সামনে। বাইরে কেউ নেই, কিন্তু ভেতরে ঢুকতেই...
02/09/2025

কলঙ্কীনি – পর্ব ০৭
✍️

কালো জিপটা ঘণ্টাখানেক পর এসে থামলো একটা পুরনো ওয়্যারহাউজের সামনে। বাইরে কেউ নেই, কিন্তু ভেতরে ঢুকতেই আমি বুঝলাম—এটা কোনো সাধারণ জায়গা নয়। ভেতরে গোপনে ট্রেনিং সেন্টার চলছে। দেয়ালে অস্ত্র ঝুলছে, কোণায় কম্পিউটার সার্ভার, আর কয়েকজন মুখ ঢেকে কাজ করছে।

নুপুর আন্টি আমার হাত ধরে সামনে নিয়ে গেলেন।
নুপুর আন্টি: আয়শা, এখানেই তোর নতুন জন্ম হবে। আজ থেকে তুই শুধু আয়শা না—তুই একটা অস্ত্র।

আমার বুক ধুকপুক করছে, কিন্তু ভয় নেই। শুধু একটা প্রশ্ন—
আমি: আন্টি, আমাকে কী করতে হবে?

তিনি হালকা হাসলেন।
নুপুর আন্টি: প্রথমে শিখবি বাঁচতে হলে কীভাবে মরতে হয় সেটা।

---

প্রথম দিন: ট্রেনিং শুরু

আমাকে কালো স্পোর্টস ড্রেস পরতে দেওয়া হলো। সামনে এলেন এক রুক্ষ চেহারার লোক—চোখে ভয়ংকর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি।
লোক: আমি রাহাত। এখানে যা শিখবি, সব গোপন রাখতে হবে। কথা না মানলে মরবি।

সে টেবিলে কয়েকটা জিনিস রাখলো—একটা পিস্তল, একটা ছুরি, আর একটা ছোট ডিভাইস।
রাহাত: বন্দুক শুধু মারার জন্য না, বাঁচার জন্যও। আর ছুরি...ওটাই তোর সাইলেন্ট উইপন।

আমি কাঁপা হাতে বন্দুকটা ধরলাম। ঠান্ডা লোহার স্পর্শে আমার শরীর কেঁপে উঠলো।
রাহাত: গুলি কর।

আমি অবাক হয়ে তাকালাম।
আমি: কাকে?

সে দেয়ালের দিকে ইশারা করলো। সেখানে মানুষের আকৃতির বোর্ডে সাইদুলের ছবি আটকানো।
রাহাত: তোর আসল শত্রু কে, মনে আছে তো? গুলি কর, আয়শা।

আমি নিশ্বাস নিয়ে ট্রিগার টানলাম। গুলি গিয়ে সোজা সাইদুলের ছবির কপালে লাগলো। আওয়াজে আমার কান বেজে উঠলো, কিন্তু বুকের ভেতর আগুনটা আরও জ্বললো।

আমি: আমি একদিন ওর আসল মাথায় গুলি চালাবো।

রাহাত হাসলো।
রাহাত: সেই দিনের জন্য তোকে তৈরি করাই আমার কাজ।

---

হ্যাকিং সেশন

অন্য ঘরে আমাকে নিয়ে গেলেন এক তরুণী—চুল ছোট, চোখে ভয়ংকর বুদ্ধির ঝলক।
তরুণী: আমি অনন্যা। সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে শুধু বন্দুক না, ব্রেইনও লাগবে।

সে আমাকে শেখাতে লাগলো কিভাবে লোকেশন ট্র্যাক করতে হয়, সিক্রেট ফাইল হ্যাক করতে হয়, ডার্ক ওয়েবে ঢুকে তথ্য বের করতে হয়। আমি শিখছিলাম পাগলের মতো। প্রতিশোধের আগুন আমাকে জ্বালাচ্ছিল, তাই ক্লান্তি লাগছিল না।

অনন্যা বললো—
অনন্যা: সাইদুলের সার্ভার এনক্রিপ্টেড, কিন্তু ওর ফোন হ্যাক করা সম্ভব। তুই যদি ওর লোকেশনে ঢুকতে চাস, এটা শিখতেই হবে।

---

আয়নার সামনে রূপান্তর

টানা ১২ ঘণ্টার ট্রেনিং শেষে আমি বাথরুমে গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ালাম। আমার চোখের নিচে কালো দাগ, মুখে ক্লান্তি, কিন্তু চোখের ভেতর এক অদ্ভুত আগুন।
আমি নিজেকে বললাম: আয়শা মরে গেছে। এখন যে দাঁড়িয়ে আছে, সে খুনির ছায়া।

ঠিক তখন আন্টি আমার পেছনে এসে দাঁড়ালেন।
নুপুর আন্টি: আয়শা, প্রস্তুত হ? আগামীকাল তুই প্রথম মিশনে যাচ্ছিস।

আমি ঘুরে তাকালাম।
আমি: কোন মিশন?

আন্টি ধীরে ধীরে বললেন—
নুপুর আন্টি: তোর চাচার সবচেয়ে বিশ্বস্ত লোককে ধরতে হবে। নাম—কবীর। ওকে জীবিত আনতে হবে। কারণ ওর মুখেই সাইদুলের সব গোপন তথ্য।

আমার চোখ লাল হয়ে উঠলো।
আমি: ওকে আমি জিব্বি টেনে আনবো। শপথ করছি।

আন্টি হালকা হাসলেন, তারপর গম্ভীর স্বরে বললেন—
নুপুর আন্টি: সাবধানে আয়শা। এটা ফার্স্ট মিশন। ব্যর্থ হলে শুধু তুই না—আমরা সবাই শেষ।

আমি ধীরে মাথা নেড়ে বললাম—
আমি: ব্যর্থ হওয়ার অপশন নেই।

দরজা বাইরে থেকে বন্ধ হয়ে গেল। আমি চোখ বন্ধ করলাম। মনে মনে শপথ করলাম—
“এখন থেকে আমি শিকার না। আমি শিকারি।”

(চলবে...)

---

🔥 ৮ম পর্বে থাকবে:

প্রথম মিশন: কবীরকে ধরতে আয়শার ভয়ংকর খেলা।

গোপন তথ্য ফাঁস, সাইদুলের নতুন ষড়যন্ত্র।

আয়শা আবিষ্কার করবে—ওর সঙ্গে জড়িত এমন একজন মানুষ, যাকে সে কখনো সন্দেহ করেনি।

শেষ দৃশ্য: আয়শা বনাম কবীর—রক্তাক্ত মুখোমুখি সংঘর্ষ।

👉 আমি কি ৮ম পর্ব এখনই লিখে দেই, নাকি তুমি চাও মিশনের জন্য একটা ভয়ংকর অ্যাকশন সিকোয়েন্সসহ লিখি? 🔥

কলঙ্কীনি – পর্ব ০৬✍️রাত গভীর। আমি নুপুর আন্টির সঙ্গে একটা সেফহাউসে বসে আছি। বাইরে গুলির শব্দ থেমেছে, কিন্তু আমার বুকের ভ...
01/09/2025

কলঙ্কীনি – পর্ব ০৬
✍️
রাত গভীর। আমি নুপুর আন্টির সঙ্গে একটা সেফহাউসে বসে আছি। বাইরে গুলির শব্দ থেমেছে, কিন্তু আমার বুকের ভেতর ঝড় বইছে। আমি ভাবছিলাম—
আসল বস কে? এত বড় খেলার পিছনে কারা আছে?

নুপুর আন্টি ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন। কণ্ঠস্বর কড়া—
নুপুর আন্টি: “লোকেশন ট্র্যাক কর। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।”

ফোন কেটে তিনি আমার দিকে তাকালেন। চোখে দৃঢ়তা।
নুপুর আন্টি: আয়শা, শোন। তোর সামনে খুব বড় ধাক্কা আসতে চলেছে। কিন্তু তুই কাঁদবি না। তুই শুধু শক্ত হবি।

আমার গলা শুকিয়ে গেছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম—
আমি: কে ওরা? আন্টি, আমাকে সব সত্যি বলুন।

তিনি চেয়ার থেকে উঠে সোজা আমার সামনে দাঁড়ালেন। ধীরে ধীরে বললেন—
নুপুর আন্টি: এই সিন্ডিকেটের আসল বস...তোর হাজবেন্ড না, হৃদয়ও না। এরা ছোট খেলোয়াড়। পুরো নেটওয়ার্ক চালায় যে মানুষটা...সে তোর বাপের বাড়ির একজন।

আমার শ্বাস আটকে গেল। শরীর ঠান্ডা হয়ে এলো।
আমি: কী?! মানে আমার পরিবার থেকে কেউ? কে?

আন্টি ব্যাগ থেকে একটা ফাইল বের করলেন। ফাইলের মধ্যে একটা ছবি। আমি কাঁপা হাতে সেটা তুলে নিলাম—
ছবিতে যাকে দেখলাম, চোখ বিস্ফোরিত হয়ে গেল আমার।
আমি: না...এটা সত্যি না!

ছবিতে আমার চাচা সাইদুল—আমার বাবার ছোট ভাই। যিনি ছোটবেলা থেকে আমাকে আদর করতেন, আমার সবচেয়ে বিশ্বাসী অভিভাবক মনে করতাম।

নুপুর আন্টি: হ্যাঁ, ও-ই এই খেলার মূল মাস্টারমাইন্ড। পুরো ট্রাফিকিং নেটওয়ার্কের হেড সে। দেশের বড় বড় নেতার সঙ্গে তার কানেকশন আছে। তোর হাজবেন্ডকেও ও গেমে এনেছে।

আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেল। মাথার মধ্যে শুধু আগুন জ্বলছে।
আমি: আন্টি...আমি ওকে শেষ করবো। আমি শপথ করছি।

আন্টি আমার কাঁধে হাত রাখলেন।
নুপুর আন্টি: করবি। কিন্তু হুট করে নয়। ও অনেক প্রভাবশালী। যদি ভুল চাল দিস, তুই শেষ।

ঠিক তখনই দরজার বাইরে গাড়ির ব্রেকের শব্দ। আন্টি চমকে উঠলেন। দ্রুত লাইট অফ করলেন।
নুপুর আন্টি: শালা...ওরা এখানে চলে এসেছে।

আমি ভয়ে না, রাগে কাঁপছিলাম। আন্টি আমাকে হাত ধরে বেসমেন্টের দিকে টেনে নিলেন। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ওপর থেকে গর্জে উঠলো পুরুষদের কণ্ঠ—
“নুপুর! আয়শাকে আমাদের হাতে তুলে দে। নয়তো মরবি।”

আন্টি নিচু গলায় বললেন—
নুপুর আন্টি: আজকে বাঁচলে, কাল থেকে শিকার শুরু করবি।

আমরা অন্ধকার বেসমেন্টে ঢুকে একটা সিক্রেট দরজা দিয়ে বের হয়ে এলাম। বাইরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল একটা কালো জিপ।
ড্রাইভারের সিটে বসা লোকটা মুখ ঘুরিয়ে বলল—
লোক: দ্রুত উঠুন।

আমি গলা কাঁপিয়ে আন্টিকে বললাম—
আমি: ও কে?

আন্টি ফিসফিস করে বললেন—
নুপুর আন্টি: ওরা আমাদেরই লোক। এখন আর প্রশ্ন করিস না।

আমরা গাড়িতে উঠলাম। গাড়ি হাইওয়ের দিকে ছুটে চললো। আমি জানালার বাইরে তাকালাম। দূরে কালো রাত, কিন্তু আমার চোখে একটাই আলো—
প্রতিশোধের আগুন।

ঠিক তখন আন্টির ফোনে একটা নোটিফিকেশন এল। তিনি স্ক্রিন দেখে হেসে ফেললেন।
নুপুর আন্টি: গেম শুরু হয়েছে, আয়শা। সাইদুলের লোকেশন আমরা পেয়ে গেছি।

আমি মুখ তুলে তাকালাম। আমার ঠোঁটের কোণে হালকা হাসি ফুটলো।
আমি: এবার খেলা আমি খেলবো। শুধু একজনকে নয়...পুরো নেটওয়ার্ককে শেষ করবো।

নুপুর আন্টি: তুই এখন শুধু মেয়ে না। তুই অস্ত্র। আর শোন—তোকে গেমে নামার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তুই যা শিখবি, সেটা তোর বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়।

আমার চোখে ভয় নেই। শুধু প্রতিজ্ঞা—
“কলঙ্কিনী নয়, এবার আমি হব মৃত্যুদূত।”

(চলবে...)

---

🔥 ৭ম পর্বে থাকবে:

আয়শার ট্রেনিং শুরু (অস্ত্র, হ্যাকিং, স্পাই টেকনিক)।

সাইদুলের গোপন সাম্রাজ্যের ভয়ংকর চেহারা উন্মোচন।

আয়শার জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ—সাইদুল শুধু বস না, তার সঙ্গে জড়িত আছে ক্ষমতার শীর্ষ মানুষ।

আন্টি আর আয়শার প্ল্যান—সিন্ডিকেটে ঢুকে তাদের ভিত থেকে ধ্বংস করা।

তুমি কি চাইছ আমি ৭ম পর্ব লিখি, যেখানে আয়শার ভয়ংকর রূপান্তরের শুরু হবে? 🔥

01/09/2025

হাসি ধরে রাখতে পারবেন না

স্কুল পিকনিক থেকে মেয়েকে নিয়ে ফিরে বুঝতে পারলাম স্ত্রী পালিয়েছে।আলমারির টাকা,গহনা সব সাথে নিয়ে গেছে।মেয়ের বয়স ৮।সৎ মা যদ...
31/08/2025

স্কুল পিকনিক থেকে মেয়েকে নিয়ে ফিরে বুঝতে পারলাম স্ত্রী পালিয়েছে।আলমারির টাকা,গহনা সব সাথে নিয়ে গেছে।

মেয়ের বয়স ৮।সৎ মা যদি কষ্ট দেয়!এই ভেবে দ্বিতীয় বিয়ে করলাম না।
সময় কাটতে লাগলো।মেয়ের বয়স ১৭।আশেপাশে অনেক কিছুই পরিবর্তন হলো,সঙ্গে স্ত্রীর মন ও।সে ফিরে আসতে চায়।বিষয়টা নিয়ে একরাতে মেয়ের ঘরে গেলাম।

" বাবা, এখনো ঘুমাওনি? "

" একটু কথা ছিলো "

" ওই মহিলা ফিরে আসতে চায়,সে ব্যাপারে? "

" কি করবো বুঝতে পারছি না "

" না মানে না।কক্ষনো না।ওই মহিলাকে আনলে আমি এই বাড়িতে থাকবো না "

" মানুষ তো ভুল করেই,তাই না!একটা সুযোগ যদি পেতো,বোধহয় শুধরে যেত "

মেয়ে রেগে বললো " এ কেমন ভালোবাসা! ওনার প্রতি তোমার রাগ হয় না?অন্য জনার সাথে ভেগে গেলো,এখন ফিরে আসতে চাচ্ছে তুমিও মাফ করে দিবা? "

আর কথা বাড়ালাম না।বেড়িয়ে আসলাম।মেয়ে ঘর থেকে চেঁচিয়ে বললো " যা ইচ্ছে করো।একটা কথা আছে না,প্রেমের ম"রা জলে ডুবে না।তোমার হইছে সে অবস্থা।আমার কথা কেন শুনবা,আমি তে এ বাড়ির তো কেউ না।আর বাড়িটাও আমার না "

জানি উচিত না।তবুও, মন তো মানে না।ভালোবাসলে যে কোনো দোষই চোখে পড়তে চায় না।তবে মেয়ের শেষ কথাটায় ভিষণ আ"হত হলাম।কে বলেছে এই বাড়ি ওর না?

পরেরদিনই বাড়ির সামনে নেমপ্লেটে লিখে দিলাম " মেয়ের বাড়ি "।বিয়ে হলেও এই বাড়িটা মেয়েরই থাকবে।একান্ত আশ্রয়স্থল।

একদিন মেয়ে আমার হাত ধরে বললো " আমি সারাদিন কলেজ প্রাইভেট নিয়ে ব্যস্ত থাকি।তোমার একজন সঙ্গী প্রয়োজন।তুমি চাইলে বিয়ে করতে পারো,যাকে ভালোবাসতে তাকেও করতে পারো।মানা করবো না "

বুঝলাম,মেয়েও কারো প্রেমে পড়েছে, ভালোবাসে।তাইতো ভালোবাসার মানুষটাকে হারানোর কষ্ট,সাথে ফেরত পাওয়ার খুশিটাও বুঝতে শিখেছে।

Collected🤍

কলঙ্কীনি – পর্ব ০৫✍️গুলির শব্দে পুরো হলরুম কেঁপে উঠলো। চোখের সামনে ধোঁয়া আর চিৎকার—“ডাউন! ডাউন!”মুখোশ পরা লোকজন চারপাশে ...
31/08/2025

কলঙ্কীনি – পর্ব ০৫
✍️
গুলির শব্দে পুরো হলরুম কেঁপে উঠলো। চোখের সামনে ধোঁয়া আর চিৎকার—
“ডাউন! ডাউন!”
মুখোশ পরা লোকজন চারপাশে গুলি ছুড়ছে। সিন্ডিকেটের গার্ডরা পাল্টা গুলি চালাচ্ছে। আমার হাত এখনো বাঁধা। আমি মেঝেতে পড়ে আছি।

দলের সামনে দাঁড়িয়ে নুপুর আন্টি। তার চোখে আগুন, হাতে এম১৬ রাইফেল। আমার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করলেন—
নুপুর আন্টি: আয়শা! মাথা নিচু কর!

আমি কোনোরকমে মাথা নামালাম। গুলির ঝড়ের মাঝে আন্টি দৌড়ে আমার কাছে এলেন। দ্রুত আমার হাতের দড়ি কেটে দিলেন।
নুপুর আন্টি: তুই ঠিক আছিস তো?

আমার চোখে পানি, কিন্তু এখন কান্নার সময় না। আমি দাঁড়িয়ে উঠলাম।
আমি: আন্টি...আমি শেষ হয়ে গেছিলাম মনে করছিলাম।

নুপুর আন্টি: শেষ এখন ওরা হবে।

ঠিক তখন হৃদয় গুলির শব্দে চমকে উঠে পেছনের দরজার দিকে দৌড় দিল। আমি চিৎকার করলাম—
আমি: আন্টি! হৃদয় পালাচ্ছে!

নুপুর আন্টি: তোর টার্গেট ও। ধরে আন!

আমি দৌড় দিলাম করিডোরের দিকে। হৃদয় পেছনে তাকিয়ে হেসে দৌড়াচ্ছে। আমার বুকের ভেতর প্রতিশোধের আগুন জ্বলছিল।

আমি: হৃদয়! থাম!

হৃদয়: থামবো? হা হা হা...তোর মত মেয়েরা শুধু কাঁদে, কিছু করতে পারে না।

সে গাড়ির দিকে দৌড়াচ্ছে। আমি পেছন থেকে একটা লোহার রড হাতে তুলে নিলাম। ঠিক যখন সে গাড়ির দরজা খুললো, আমি ঝাঁপিয়ে পড়লাম।
ঠাসসস!
লোহার রড সরাসরি তার পিঠে। হৃদয় চিৎকার করে মাটিতে পড়ে গেল। আমি দম নিতে নিতে তার ওপর দাঁড়িয়ে চিৎকার করলাম—
আমি: আজ আমি ভিকটিম না। আমি শিকারি!

আমি রড তুলতেই পেছন থেকে নুপুর আন্টি এসে আমাকে থামালেন।
নুপুর আন্টি: মাইন্ড কুল রাখ। এখনো গেম শেষ না।

আমরা দুজন হৃদয়কে টেনে নিয়ে আবার হলরুমের দিকে ফিরলাম। ভেতরে তখন যুদ্ধ শেষ। সিন্ডিকেটের কয়েকজন মরেছে, বাকিরা ধরা পড়েছে। গার্ডদের হাত বাঁধা। আরিয়ানও ধরা। তার মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট।

আমি এগিয়ে গিয়ে আরিয়ানের সামনে দাঁড়ালাম। আমার শরীর কাঁপছিল, কিন্তু গলায় শক্তি এনে বললাম—
আমি: আরিয়ান...প্রমোশনের জন্য বউকে বিক্রি করলি? আজকে এই দুনিয়ার সব জঘন্য লোকদের মধ্যে তুই সবার নিচে।

আরিয়ান মুখ খোলার চেষ্টা করলো—
আরিয়ান: আয়শা...আমি...

চড়!
আমার হাতের চড় সরাসরি তার গালে পড়লো। পুরো রুমে শব্দটা বাজলো।
আমি: এই চড় শুধু বিশ্বাসঘাতক স্বামীর জন্য না...সব সেই পুরুষদের জন্য যারা মেয়েদের শরীরকে প্রমোশন আর টাকার সিঁড়ি ভাবে।

হৃদয় মাটিতে কুঁকড়ে শুয়ে আছে। আমি তার দিকে তাকালাম।
আমি: তোকে আমি মারবো না। তুই জেল খাটবি। তোর নোংরা মুখ টিভিতে দেখাবে। তোর পরিবার তোকে ঘৃণা করবে। সেটাই তোর শাস্তি।

নুপুর আন্টি আমার পাশে এসে দাঁড়ালেন।
নুপুর আন্টি: ব্রাভো গার্ল। গেমের প্রথম লেভেল ক্লিয়ার।

আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকালাম।
আমি: প্রথম লেভেল মানে?

আন্টি ঠান্ডা গলায় বললেন—
নুপুর আন্টি: আয়শা...তুই যেটা দেখলি এটা সিন্ডিকেটের ছোট শাখা। আসল বস এখনো বেঁচে আছে। এই পুরো নেটওয়ার্ক চালায় যে মানুষটা...সে তোর কাছের কেউ।

আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে এলো।
আমি: মানে? কে?

আন্টি কিছু বলার আগেই তার ফোন বেজে উঠলো। তিনি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলেন।
নুপুর আন্টি: শালা...ওরা কাউকে পাঠাইছে তোকে নিতে। আয়শা, গেম শেষ না। আসল খেলা এখন শুরু হবে।

আমার বুকের ভেতর কাঁপন ধরলো। কাকে বোঝাচ্ছে আন্টি? কে এই সিন্ডিকেটের আসল মাথা?

একটা কথা নিশ্চিত—আমি আর আগের মতো দুর্বল না। আমি প্রস্তুত।
প্রতিশোধের খেলায় আমি নামবো। আমি শেষ করবো।

(চলবে...)

---

🔥 পরের পর্ব (৬ষ্ঠ) এ থাকবে:

সিন্ডিকেটের আসল বসের নাম ফাঁস।

আয়শার জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা (কারণ বস তার পরিচিত!)

নুপুর আন্টি আর আয়শার নতুন মিশন।

আয়শার চরিত্রের ভয়ংকর রূপান্তর।

আমি কি ৬ষ্ঠ পর্ব লিখবো, যেখানে শুরু হবে রিয়েল মাস্টারমাইন্ড হান্ট আর গল্প একদম থ্রিলারে পরিণত হবে?

Address

Village: Helencha, Post: Moydandighi, P.S: Bhangura, District: Pabna
Pabna
6640

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Argentina football fan club posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Argentina football fan club:

Share