11/04/2025
একটা মেয়ে, যে হাসতো সবকিছুর আড়ালে ,,
ওকে সবাই চেনে একজন হাসিখুশি মানুষ হিসেবে। সবসময় মুখে একরাশ হাসি, কথা বললে মনে হয় জীবনটা কত রঙিন, কত সহজ। কেউ বোঝেই না, সেই মেয়েটা ঠিক কতটা লুকিয়ে রাখে তার ভেতরের কষ্টগুলো।
বন্ধুরা ভাবে, ওর কোনো চিন্তা নেই। পরিবার ভাবে, ও ঠিক আছে। অথচ সে মেয়ে প্রতিরাতে বালিশ ভেজায় চুপচাপ কান্নায়, আর সকালে ঠিক সময়মতো ঘুম থেকে উঠে মুখে হাসি এঁকে নেয়—যেন কিছুই হয়নি।
সে ভালোবাসে মানুষকে ভালো রাখতে। নিজের কষ্টগুলো একেক করে ভাঁজ করে রাখে বুকের ভেতর, যেন সেগুলো কাউকে ছুঁয়ে না যায়। তার কাছে কেউ গেলে, সে আগলে রাখে; কিন্তু যখন নিজের ভেতরে ঝড় ওঠে, তখন পাশে কাউকে খুঁজে পায় না।
ওর হাসিটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। যেন একটা মুখোশ, যেটা কেউ চেনার চেষ্টা করে না। সবাই ধরে নেয়, যার মুখে হাসি—তার মনেও আলো আছে।
কিন্তু ওর ভেতরের অন্ধকার অনেক গভীর, অনেক নিঃশব্দ। সে মেয়েটা চায়—কেউ একদিন এসে জিজ্ঞেস করুক, “তুমি ঠিক আছো তো? সত্যি করে বলো।” কেউ তার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝে ফেলুক, ওই হাসিটার আড়ালে লুকানো একটা ক্লান্তি আছে, একটা না বলা দীর্ঘশ্বাস আছে।
সে চায় না কেউ তার জন্য কষ্ট পাক। তাই সে শুধু চুপচাপ হাসে। অথচ, মাঝেমধ্যে খুব ইচ্ছে করে—কারও বুকের ভেতর মাথা রেখে কাঁদতে, সব খুলে বলতে, একবার শুধু বলতে—“আমি আর পারছি না।"
কিন্তু সে বলে না। কারণ সেই মেয়ে জানে, **সবকিছু বলেও যা বুঝবে না, তার চেয়ে চুপ থাকা অনেক শান্তির।
এটা একটা মেয়ের গল্প—যে হাসে, খুব হাসে… সবকিছুর আড়ালে দাঁড়িয়ে, নিজের কষ্টগুলো পায়ের নিচে চাপা দিয়ে।