AK's Media

AK's Media Music, Waz & Recent activists

17/05/2025

প্রথম ঘুষ খাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে উঠেছিলো ২০০১ সালে।

এর আগে আমি শুধু আমার বস ও সিনিয়রদের ঘুষ নিতে দেখেছি। কিভাবে চাইতে হয়, আমি জানতাম না। ভেন্ডরদের এমনিতেই কাজ দিয়ে দিতাম। এক বছর পর্যবেক্ষণ করে একদিন বস আমাকে ডেকে বললেন, তুমি তো জীবনে বড় হতে পারবা না। কমিশন নাও না কেনো?

আমি বললাম, লজ্জা লাগে।

উনি বিরক্ত হয়ে বললেন, লজ্জা লাগলে চাকরি ছেড়ে চলে যাও। সবার মাঝে একজন ঘুষ না নিলে একটা ইমব্যালেন্স তৈরি হয়। এটা ডিপার্টমেন্টের জন্য খারাপ। তুমি আজই নতুন ভেন্ডরকে কাজ দেওয়ার আগে ঘুষ চাইবা। নাইলে খবর আছে।

আমি বললাম, ঠিক আছে।

তারপর দুপুরে একজন ভেন্ডর আসলো। তাকে মোট ৪ লক্ষ টাকার জিনিস ডেলিভারি দিতে হবে। উনি সামনে বসে হাত কচলাচ্ছিলেন। আমি কিভাবে ঘুষ সম্পর্কিত আলোচনা শুরু করবো বুঝতে পারছিলাম না। তবে কিছুক্ষণ পর কাজটা তিনিই সহজ করে দিলেন। বললেন, বস, এতো বড় কাজ দিলেন, উপহার নিবেন না? কত দিবো?

এ কথা শোনার পর আমার মাথা ফাঁকা হয়ে গেলো। কত টাকা নেওয়া যায়? ভাবলাম ৫ হাজার টাকা বলি। কিন্তু মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছিলো না দেখে আমি তাকে হাতের পাঁচ আঙ্গুল দেখালাম।

উনি মুচকি হেসে আমাকে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন।

তারপর বাথরুমে গিয়ে সেটা খুলে দেখি, ৫ না, তিনি আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন।

আমি সেদিন বুঝতে পারি, বড় হতে হলে শুধু নির্লজ্জ না, নজরও উঁচা করতে হবে।

উচ্চাকাঙ্ক্ষা ব্যতীত বেঁচে থাকা আর শাউয়ার নাতি হয়ে জীবিত থাকার মাঝে আসলে কোনো পার্থক্য নেই।

15/05/2025

বাজার করার দুটো অ্যাপ্রোচ আছে:
১। বাজেট করবেন, শপিং লিস্ট বানাবেন। লিস্ট অনুযায়ী যা যা কেনার কিনবেন। চলে আসবেন। ফাস্ট অ্যান্ড এফিশিয়েন্ট।
২। বাজারে যাবেন। হরেক রকমের জিনিস থেকে যখন যেটা ভালো লাগবে, কিনবেন। পকেটের টাকা ফুরিয়ে গেলে ফিরে আসবেন; প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হোক বা না হোক। ইমপালস বায়িং৷
কিছুটা উনিশ-বিশ হয়। তবে মোটা দাগে বলা যায় যারা লিস্ট ফলো করা লোক তারা ৮০% ক্ষেত্রে এমনই থাকে, ২০% ক্ষেত্রে হয়তো ইমপালস বায়িং হয়। এবং ভাইস ভারসা।
এর বাইরে তৃতীয় একটা অ্যাপ্রোচ আছে। উইন্ডো শপিং। ঘুরে ঘুরে জিনিস দেখবেন, কিন্তু কিনবেন না। এই কাজ মেয়েরা বেশি করে।
ফেইসবুকের বাজারের ক্ষেত্রেও এ ব্যাপারটা আছে।
কিছু মানুষ লিস্ট নিয়ে আসে। লিস্ট অনুযায়ী পোস্ট লেখে, কমেন্ট করে। অন্য কিছুতে এনগেইজড হয় না। কাজ শেষ করে চলে যায়।
আর কিছু মানুষ ফেইসবুকে আসে। যখন যে টপিক হাইপে সেটাতে এনগেইজড হয়ে যায়। সেটা নিয়ে কিছু একটা লিখে ফেলে। তর্ক শুরু করে। তারপর বাজেট ফুরিয়ে গেলে চলে যায়। ফেইসবুকের বাজারে বাজেট হলো সময়।
এভাবে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কেটে যায়। একজন মানুষ ফেইসবুকে হাজার হাজার, কিংবা লক্ষ লক্ষ শব্দও লিখে ফেলে। কিন্তু তার লেখা আলটিমেটলি কোনো লং টার্ম ইম্প্যাক্ট তৈরি করে না। সে পুরোদস্তুর ইমপালস বায়ার আর স্ট্যাটাস লেখক হিসেবে থেকে যায়।
দশ ট্রাক ইট একটা জমিতে উড়িয়ে মারলে ছড়ানো ছিটানো ইটের নৈরাজ্য পাওয়া যায়। ঐ একই ইট সুনির্দিষ্ট ডিসাইনে ধাপে ধাপে সাজালে একটা ইমারত গড়ে ওঠে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

পাঁচটি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামতের দিন রবের নিকট থেকে আদম সন্তানের পা সরবে নাঃ

জিজ্ঞাসা করা হবে তার বয়স সম্পর্কে, কি কাজে সে তা অতিবাহিত করেছে,

তার যৌবন সম্পর্কে কি কাজে সে তা বিনাশ করেছে;

তার সম্পদ সম্পর্কে, কোথা থেকে সে তা অর্জন করেছে আর কি কাজে সে তা ব্যয় করেছে, এবং

সে যা শিখেছিল তদনুযায়ী কি আমল সে করেছে? [সুনান আত-তিরমিযী]
আল্লাহ্‌ আযযা ওয়া জাল্ল বলেছেন,
কালের শপথ, নিশ্চয় সকল মানুষ ক্ষতির মধ্যে ডুবে আছে,
তবে তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে হকের উপদেশ দিয়েছে এবং পরস্পরকে সাবরের উপদেশ দিয়েছে। [তরজমা, সূরা আসর।]

30/04/2025

বাইরের পৃথিবী যে আমাদের তেমন ভ্যালু করে না এটার মূল কারণ স্কিল ইস্যু না। কিংবা অশিক্ষিত মানুষের হার বেশি, আমরা অর্থনৈতিক দিক থেকে দরিদ্র এগুলোও মূল বিষয় না আসলে। কারণ পৃথিবীতে এরকম অনেক জাতি আছে যারা দরিদ্র, শিক্ষার হারে পিছিয়ে তবুও অন্যরা তাদের অনেক ভ্যালু করে৷ আইপিএল বিগব্যাশে আফগানরা যেই ভ্যালু পায়, আমরা সেটাও পাই না। আইপিএলে আমাদের চেয়ে বিলো স্ট্যান্ডার্ডের প্লেয়ার নেয় যেমন - করিম জান্নাত, কিন্তু আমাদের নেয় না। এমনকি অস্ট্রেলিয়া থেকে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান থেকে নিউজিল্যান্ড আমাদেরকে পাত্তাও দেয় না কোনো আলোচনায়। জেসন গিলেস্পি, জনাথন ট্রট রা পাকিস্থান-আফগানিস্থানের কোচ হয়, কিন্তু আমরা আমাদের জন্য কোনো কোচ ই খুঁজে পাই না এখন। আমাদের যে সবাই একটু ছোট করে দেখে এইটা স্বয়ং সাকিব আল হাসান অবধি ফিল করেছে নানা সময়।

আমাদের কোথাও নিতে চায় না - এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে আমরা অনেক Uncultured। এটা শিক্ষিত, অশিক্ষিতের ব্যাপার না। আমরা এভারেজেই প্রচন্ড uncultured। অনেক সময় টিম করতে গেলে আমরা কম মেম্বার নেই তবুও বিশেষ কোনো মানুষকে টিমে ইনক্লুড করা থেকে বিরত থাকি না? কারণ তাকে দলে নিলে Diseconomies of Scale তৈরি হয়। কাজের এফিসিয়েন্সি কমে যায়৷ এভারেজ বাঙ্গালি হচ্ছে ঠিক ওইরকমের একজন মেম্বার, যাকে দলে নিলে দলের কালচার নষ্ট হয়। আর এটা আমাদের সবার মধ্যে। সবার মধ্যেই।

দেখবেন লোকাল বাসে উঠলে কেউ ভেতরের দিকে যেতে চায় না। কেন চায় না তার কোনো লজিক নাই। পেছনে ফাঁকা। সে সামনেই নেমে যাবে এমনটাও না। কিন্তু সে ভেতরে যাবে না। বাংলাদেশের লোকাল মার্কেটের দোকানদার, হকার বা রিক্সাওয়ালা আর দারোয়ানরা যে লেভেলের খারাপ ব্যবহার করে, সেক্সিস্ট মন্তব্য করে সেগুলো কখনো কেউ বলে না। বাসে কারো সাথে পা লাগছে বা ধাক্কা লাগছে, আপনি যদি বলেন সরি, দেখবেন উল্টো আপনার ওপর দিয়েই সব যাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের লোকাল বাসে এরকম হওয়াটা যে স্বাভাবিক এবং সরি বলাটা যে কোনো ক্ষতিপূরণ না বরং কার্টেসি - এই স্বাভাবিক জ্ঞানটুকু আমাদের নাই। আমরা বুঝিই না আসলে। এই ব্যাপার গুলো কিন্তু বইপত্র পড়ায়ে শেখানো যায় না কখনো। এগুলো একটা জাতির গড় কালচার। সে কিভাবে বড় হয়, কি কি শেখে, কিভাবে ভাবে - এগুলার উপর তার আচরণ গড়ে ওঠে। আমি সেদিন ড.মুহম্মদ ইউনূসের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনা দেখছিলাম, সে প্রতিটা গ্রিটিংসের এন্সার দিচ্ছিলো, নিজে গ্রিট করছিল। একবার এক লেখায় পড়েছিলাম, খুব ছোটবেলায় ঐ লেখক/লেখিকার সাথে অমর্ত্য সেনের দেখা হয়েছিলো, অমর্ত্য সেন নিজে জিজ্ঞেস করেছিলেন - কেমন আছো?

আমাদের শিক্ষিত যারা তারাও কম যায় না। আমরা যত শিক্ষককে সালাম দেই, সালামের উত্তর পাই? আমি পাই না। ১% এর কাছে পাই বড়জোর। সালামের উত্তর দিতে কত সেকেন্ড টাইম লাগে বলেন তো! উনারা কতই বা বিজি থাকেন যে সালামের উত্তরটুকুও দিতে পারেন না? আসলে পারেন, কিন্তু দেন না। কারণ ঐটাই আমাদের কালচার। আমরা এরকমই। শিক্ষিত অশিক্ষিত ইস্যু না। একটু উপরের কারো সাথে কথা বলার সময় দেখবেন সে কখনো থেমে দাঁড়িয়ে কথা বলে না। সে যদি ব্যস্ত থাকে তাহলে নো অবজেকশন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা কেউ অত ব্যস্ত থাকি না। হাটতে হাটতে কথা বললে আমাদের নিজেদেরকে সুপিরিয়র ফিল হয়, আমরা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ অনুভব করি। অথচ কারো সাথে থেমে অল্প হলেও কথা বলা যে একটা ম্যানার এই সেন্সটাই আমাদের নাই। আমরা ভাবতেই পারি না, মানুষকে ভ্যালু দেয়াটাও শিষ্টাচারের একটা অংশ হতে পারে।

ফুড রেঞ্জার্সের বাংলাদেশের ভিডিও গুলো যদি দেখেন, দেখবেন বিদেশি পেয়ে কেমন করতেছে। হালিম খাইতে চাইছে এক প্লেট! এরপর ৫০০ টাকার হালিম ধরায় দিছে, ৫০ টাকার জিনিস ২০০ টাকা রাখতেছে, পারলে চেয়ে আরো রেখে দেয় - ঐ যে আমারে দিতে কইছে - এর মতো। উপমহাদেশের দোষ দেবেন? আচ্ছা, এবার পাকিস্তানের গুলো দেখেন। কেউ টাকাই নিতে চায় না। বলতেছে মেহমান, টাকা নিবো কেন। একজন দুইজন না। প্রায় সবাই। টাকা নিতে চায় না। খুবই ছোট স্যাম্পলিং যদিও, কিন্তু এতেও দুই দেশের গড় মানুষের ভেতরের কালচার বোঝা যায় আসলে।

আপনি Shehwar & Maria ইউটিউব চ্যানেলের শেহওয়ারকে ভালোভাবে খেয়াল করতে পারেন। সে যখন বাইরের মানুষের সাথে কথা বলে, অপরিচিত কারো সাথে কথা বলে, বাসায় কথা বলে - বুঝবেন সে আমাদের চেয়ে কতটা আলাদা। He knows lots of courtesies। আমার বন্ধুকে দেখতাম, চা যখন খাইতো সে Compliments দিতো, রিক্সাওয়ালারে সরি বলতো, Courtesy মেইনটেইন করতো সুন্দর করে। এমন না ও অনেক বিনয়ী, কিন্তু Cultured। আমরা এভারেজে Uncultured জন্যই ঐ যে রাস্তায় কাউরে দেখে তার পোশাক নিয়ে কথা বলি, মোরাল পুলিশিং করতে যাই - এমন না এই জিনিস টেক্সটবুকে পড়লেই কেউ বুঝে যাবে সবকিছু। আমাদের বড় বড় স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে এরকম Uncultured মানুষ যে কত্ত আছে তার ইয়ত্তা নাই। ওদেরই বা দোষ কি! আমরা সবাই এমন। কালচার ব্যাপারটা ভেতরে লালন করতে হয় আসলে। আমাদের মধ্যে নাই জন্যই আমরা যেখানে যাই স্ট্রাগল করি।

তাই কেউ আমাদের সহজে পিক করতে চায় না। স্কলারশিপ দিতে চায় না, চাকরি দিতে চায় না, দলে নিতে চায় না - কারণ আমরা পরিবেশ নষ্ট করে ফেলি।

একটা মজার গল্প পড়ছিলাম। সত্য মিথ্যা জানি না। এখনো এক্সপেরিয়েন্স করার সুযোগ পাইনাই। ইংল্যান্ডের যেখানে অনেক বাঙ্গালি থাকে, অই জায়গাটার নাম হয়ে গেছে বাংলা টাউন। বেশ ভালো। ব্রিটিশ দেশে বাংলা টাউন। আবার ইংল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি খাদ্যে ভেজালও নাকি পাওয়া যায় ঐ বাংলা টাউনেই! নাহ অবাক হবার মতো কিছু না। কেননা ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধানই ভানে!

27/04/2025

একজন পুরুষকে প্রতিদিন অসংখ্য 'অনিশ্চিত অবস্থা'র মোকাবিলা করতে হয়। দিনে অসংখ্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

বাসা থেকে বের হবার পর রিক্সার অপেক্ষা। না পেলে হাঁটতে হয়। রিক্সা পেলে ভাড়া নিয়ে কিছুক্ষণ ক্যাঁচাল করা লাগে। বাসে গেলে সিট পাবো নাকি পাবো না এই নিয়ে শঙ্কা। ভাড়া নিয়ে হেল্পারের সাথে তর্কাতর্কি। অনেক যাত্রী উঠানোর জন্য একটু পরপর ব্রেক করলে চিল্লাতে হয়।

অফিসে গেলে একটার পর একটা কাজ। কোনো কাজ কাউকে বুঝিয়ে দিতে হয়, কোনো কাজ নিজে করতে হয়। কাজ ঠিকমতো না হলে ফেরত পাঠাতে হয়, নিজের কাজ ভালো না হলে ঝাড়ি খেতে হয়।

যারা ব্যবসায়ী, তাদের তো প্রতিনিয়ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ঐ জিনিসের দাম বাড়বে? আগে থেকে কিনে রাখতে হবে? কাস্টমার বাকিতে চাচ্ছে, দিয়ে দেবো? ১৭২২ টাকা হয়েছে, ১৭০০ টাকা দিতে চাচ্ছে? কী বলবো? ডিলার আসছে, টাকা দিতে হবে। ক্যাশে তো এতো টাকা নেই।

চাকরি, ব্যবসা শেষে বাজারে যেতে হয়। মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গেছে। মাছের বাজারেও বেহাল দশা। কী মাছ নেবো? বড়ো মাছ নাকি পুঁটি মাছ? আজ না কিনে কাল সকালে কিনলে হবে না?

একজন পুরুষ ঘর থেকে দরজার বাইরে পা দেবার সাথে সাথে প্রতিমুহূর্তে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এইটা করবো নাকি ঐটা? এখন করবো নাকি পরে? প্রতিদিন অসংখ্য অনিশ্চিত ঘটনা থাকে।

রিক্সা পেতেও পারি, না-ও পারি
পাওনা টাকা ফেরত পেতেও পারি, না-ও পারি
মাছ কিনতে গেলে পছন্দ হতেও পারে, না-ও পারে
রাস্তায় একজনের সাথে ধাক্কা লাগছে, তার সাথে ঝগড়া করতেও পারি, না-ও পারি
একজন পুরুষ হিশেবে চিন্তা করুন, প্রতিনিয়ত আপনার ব্রেইনকে কতো শতো কমান্ড দিতে হচ্ছে। আপনি ঠান্ডা মস্তিষ্কের লোক। কিন্তু, আরেকজন এসে এমন কথা বললো, মেজাজটাই খারাপ করে দিলো।

একজন পুরুষকে অনেক বেশি এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর ডিল করতে হয়। সে জানে না আজকে বসের মন ভালো নাকি খারাপ, রিক্সাওয়ালা/বাসের কন্ডাক্টার তার মেজাজ খারাপ করবে নাকি না।

দিনে ১০-১২ ঘণ্টা বাইরের এতোগুলো মানুষের সাথে কথাবার্তা বলে, এতোকিছু সামলে যখন সে ঘরে ফিরে, তখন কী আশা করে?

ঘরে গিয়ে অন্তত কিছুক্ষণ শান্তি পাবো। এইসময় অনিশ্চয়তা নেই।

বেশিরভাগ নারী এই জায়গায় পুরুষকে বুঝতে ভুল করে।
একজন পুরুষ পরিশ্রান্ত শরীর নিয়ে যখন বাসায় ফিরে, সে প্রত্যাশা করে তাকে কেউ স্বাগত জানাক।

এক গ্লাস শরবত, এক গ্লাস পানি সে নিজেই খেতে পারবে। কিন্তু, কেউ যদি তাকে এগিয়ে দেয়?

স্বামী বাসায় আসার পর কেন জানি নারীরা সংসারের কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তারা তখন তরকারি কাটা শুরু করে, রান্না বসায়, বাসাটা আরেকবার ঝাড়ু দেয়৷ বাজার ব্যাগ হাতে নিয়ে লিস্টের সাথে মিলিয়ে দেখে কী বাদ পড়েছে।

সারাদিন কাজ শেষে বাসায় ফেরা স্বামীকে প্রথম ১৫ মিনিট সময় দেয়া আমি মনে করি একজন স্ত্রীর ঐ সময়ের অন্যতম দায়িত্ব।

আপনি সারাদিন বাসায় অনেক কাজ করছেন। এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হয়। কিন্তু, স্বামী ঘরে ঢুকার পর দৌড় দিয়ে রান্নাঘরে যাওয়াটা এই সময় ঠিক না।

পানি দেয়া, বলার আগেই লুঙ্গি/ট্রাউজার, টি-শার্ট দেয়া, কিছু খেয়ে আসছে নাকি খাবে জিজ্ঞেস করা, গোসল করতে চাইলে পানি গরম লাগবে কিনা (যাদের লাগে) জিজ্ঞেস করা -এগুলো একজন স্ত্রী যদি ঠিকমতো করতে পারে, পুরুষ এই ওয়েলকামেই সন্তুষ্ট।

তার মেজাজটা ঠান্ডা হলো। বাসাকে শান্তির জায়গা মনে হলো।

সারাদিন বাইরে কাজ করা একজন পুরুষ বাসায় আসার পর তাকে অন্তত ১ ঘণ্টা নিজের মতো থাকতে দিন। ময়লা ফেলতে হবে, বাজার লিস্টের দুই আইটেম বাদ পড়েছে, আগামীকাল বাসা ভাড়া দিতে হবে এগুলো ঐ ১ ঘণ্টা মনে করিয়ে দেবার কোনো দরকার নেই।

একজন নারী ঐ ১ ঘণ্টায় জানে না সারাদিন তার স্বামীর ওপর কী পরিমাণ ধকল গেছে, তার মুড কেমন আছে। আস্তে আস্তে স্বামী এগুলো বলবে আজ এই এই হয়েছে।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আমি কখনোই প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্ক মনে করি না। একজন কতো কাজ করলো, আরেকজন কম করলো এগুলো বিবেচ্য না। বরং একজন আরেকজনকে কীভাবে সম্মান করবে, কীভাবে তাকে মূল্যায়ন করবে এটা গুরুত্বপূর্ণ।
একজন গৃহিণী স্ত্রীকে যেমন সম্মান দিতে হবে, তার কাজকে মূল্যায়ন করতে হবে, তেমনি নারীকেও অবশ্যই স্বামীর কাজের মূল্যায়ন দিতে হবে।
লেখাগুলো বাস্তব বাদি, কেউ মনে কষ্ট নিবেন না প্লিজ।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন,
সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণে রাখুন।
#জীবন_চক্র

সাদা ফুল আর রঙিন ফুলের মধ্যে খুব ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার আছে। খেয়াল করে দেখবেন, গন্ধরাজ, হাসনাহেনা বা বেলি ফুলসহ বেশি...
01/04/2025

সাদা ফুল আর রঙিন ফুলের মধ্যে খুব ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার আছে।

খেয়াল করে দেখবেন, গন্ধরাজ, হাসনাহেনা বা বেলি ফুলসহ বেশিরভাগ সুগন্ধিযুক্ত ফুলেরই রং সাদা।

অন্যদিকে গোলাপ, জবা বা কৃষ্ণচূড়াসহ যে সকল ফুলের গায়ের রং তীব্র, তাদের আবার সাদা ফুলের মতো তীব্র সুগন্ধ থাকে না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হালকা একটা ঘ্রাণ থাকে বা একেবারেই থাকে না।

এর পেছনের সায়েন্সটা খুবই সহজ এবং সুন্দর।

ফুলের পরগায়ন হয় মূলত পোকা মাকড়ের মাধ্যমে, অর্থাৎ কোন ফুলে যদি পোকা টোকা আইসা না বসে, তাহলে ঐ ফুলের পরাগায়ন হবে না, সোজা কথায় বংশবৃদ্ধি হবে না।

আবার এই পোকা মাকড়ও কিন্তু ফ্রিতে ফ্রিতে আসবে না। তাদের আকর্ষিত করার জন্য কিছু একটা লাগবে।

রঙিন ফুলগুলোকে এক্ষেত্রে কোন কষ্ট করতে হয় না, কারণ তাদের লাল, নীল রং দেখে পোকার দল চলে আসে।

বাট সাদা ফুলগুলো এক্ষেত্রে একটু পিছাইয়া পড়ে কারণ তাদের গায়ের রং সাদা। এবং ফুলদের যেহেতু মেকাপ করার সিস্টেম নাই, সো, সাদা ফুলগুলো সেজেগুজে সুন্দরও হতে পারে না।

তাহলে সাদা ফুলগুলোর পরাগায়ন কেমনে হয়?

ঐ যে ঘ্রাণের মাধ্যমে। তাদের তীব্র সুগন্ধিই পোকা মাকড়কে তাদের দিকে টাইনা আনতে সাহায্য করে, পরাগায়ন হয়, এবং বেলি, হাসনাহেনারা টিকে থাকে।

তো, এখান থেকে খুব সহজ একটা দর্শন আমরা পাইতে পারি।

আল্লাহ তাআলা সবাইকে সবকিছু দেন না। সবার সবকিছুর দরকারও নাই। গোলাপকে দেখে বেলি ফুল আফসোস করে না, গন্ধরাজকে দেখে জবাও তো খোদার কাছে বিচার দেয় না।

ন্যাচারটাকে আল্লাহ তাআলা খুব সুন্দর করে সাজাইয়া দিসেন। যার রঙ দরকার তারে রঙ দিসেন, যার স্মেল দরকার তারে স্মেল দিসেন, যার কাটা দরকার তারে কাটা দিসেন।

আমাদের উচিত, সেই নিয়ামতটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা, আরেকজন জবা হইলো কেন, আমি কেন গোলাপ হইলাম সেই অভিযোগটা না করা।

গোলাপ সুন্দর বইলা কৃষ্ণচূড়া কি কম সুন্দর? নাকি জবা সুন্দর বইলা গন্ধরাজের সৌন্দর্য কমে গেসে? মানুষও তো সেইম, আমরা সবাই তো ন্যাচারেরই অংশ।

আরেকটা ব্যাপার হইলো, ইভেন একটা ফুলের চিন্তাও আল্লাহ পাক করসেন, তারে টিকে থাকার যোগ্যতা দিয়েই ন্যাচারে পাঠাইসেন। মানুষ তো ধরেন তার করা সেরা সৃষ্টি। মানুষরে নিশ্চয়ই তিনি অচল করে দুনিয়াতে পাঠান নাই?

একটা ফুলের জন্য যার এতো আয়োজন, এতো বিকল্প, মানুষের জন্য তাঁর আয়োজনে নিশ্চয়ই কমতি থাকার কথা না? তাহলে আমরা কেন নিজেরে ভ্যালুলেস, ইউজলেস টাইপের ভাবি? কেন অচল ভাবি? হইতে পারে আপনি বেলি ফুল নন, তবে আপনার শিউলি হতে সমস্যা কী?

সাদা ফুল আর রঙিন ফূলের এই চিন্তাটুকু আমারে আবারও সূরা আর রাহমানের সাথে রিলেট করাইয়া দিলো।

আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে এক বছরের জন্য বাধ্যতামূলক বায়োলজি এবং ন্যাচারাল সায়েন্স পড়ানো দরকার। আল্লাহ পাক তাঁর ন্যাচারটাকে এতো সুন্দর করে, এতো নিখুঁত করে সাজাইসেন যে, এইসব নিয়ে চিন্তা করলে চরম অবিশ্বাসীও মুগ্ধতার সাথে বইলা উঠবে, "অতঃপর হে মানুষ, তুমি তোমার রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?"

😎
24/03/2025

😎

24/03/2025
27/02/2025

১। ঘর ঝাড়ু দিতে হলেও এতো ভালো করে ঝাড়ু দিবে যাতে তোমার চেয়ে ঐ কাজ ভালো কেউ করতে না পারে।

২। নিজের জীবনটা এমনভাবে গড় যাতে তুমি ইতিহাস গড়তে পারো। ইতিহাস পড়া আর গড়া এক না।

৩। জীবনে ডিসিপ্লিনের চেয়ে বড় আর কিছু নাই। ডিসিপ্লিনের বাইরে গেলেই জীবন যুদ্ধ ও জীবন যাত্রা থেকে ছিটকে পড়ে যেতে হবে।

৪। আর ১০ জনের মতো হতে যেও না, নিজের মতো থেকো, অনুসরণ করো, অনুকরণ করো না।

৫। কথা কম বলো, কম লিখে সব কিছু বুঝানোর চেষ্টা করো। কোটি টাকার প্রস্তাবনাও ১ পেজে লিখো, বুলেট করে লিখো। কারো সময় নাই, দুই পেজ পড়ার।

৬। প্রত্যেকদিন পড়াশুনা করবে, নিজের ক্ষেত্রে নতুন কিছু শিখবে। নিজের সাথে কম্পিটিশন করবে।

৭। চাকরি করা মানেই দাসত্ব না, চাকরি তোমার নিজের সাথে প্রতিষ্ঠানের একটা ডিল। তুমি চুক্তিমতো কাজ করবে, নিজের সেরাটা দিবে। কেউ তোমাকে মনিটর করবে না, ফাঁকি দিলে নিজেই ঠকবে।

৮। চাকরি করবো না, চাকরি দিবো, বিষয়টা অহংকারের নয়, কারণ চাকরি যেমন দিতে পারতে হবে, তেমনি ভালোভাবে চাকরি করতেও পারতে হবে। এগুলো নিয়ে উদ্ধত কথা বলে কেউ সফল হতে পারে না। পরস্পর পরস্পরকে সম্মান করতে হবে।

৯। বিনয় মানুষকে বড় করে, অহংকার ছোট করে। সব সময় মাটির দিকে তাকিয়ে হাঁটবে।

১০। লিখুন, ছোট বড় প্রতিটা জিনিস লিখুন, এতে অনেক কাজ যথাসময়ে করতে পারবেন।

Address

Ishwardi
Pabna
6600

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when AK's Media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share