09/03/2025
রমজান মাস ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় একটি মাস। এটি হিজরি ক্যালেন্ডারের নবম মাস, যেখানে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখে, ইবাদত-বন্দেগি করে এবং আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে তাকওয়া অর্জনের চেষ্টা করে।
রমজান মাসের গুরুত্ব:
1. কুরআন নাজিলের মাস: রমজান মাসেই পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে, যা মানবজাতির জন্য হিদায়াতের পথনির্দেশিকা। (সূরা আল-বাকারা: ১৮৫)
2. রোজা ফরজ করা হয়েছে: আল্লাহতায়ালা বলেন,
"হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।" (সূরা আল-বাকারা: ১৮৩)
3. লাইলাতুল কদর: এই মাসের সবচেয়ে বরকতময় রাত ‘লাইলাতুল কদর’, যা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। (সূরা আল-কদর)
4. গুনাহ মাফের সুযোগ: রাসূল (সা.) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতিসাবের (আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) সঙ্গে রমজানের রোজা রাখবে, তার পূর্বের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” (বুখারি, মুসলিম)
5. জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়: রমজান মাসে জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদের শৃঙ্খলিত করা হয়। (বুখারি, মুসলিম)
6. দোয়া কবুলের মাস: এ মাসে ইফতারের সময় এবং শেষ তৃতীয়াংশে বান্দার দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয়।
রমজানের শিক্ষা:
আত্মসংযম ও ধৈর্য শেখায়।
গরিব-দুঃখীদের প্রতি সহানুভূতি বৃদ্ধি করে।
নিয়মিত ইবাদত ও কুরআন তেলাওয়াতের অভ্যাস গড়ে তোলে।
আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের সুযোগ দেয়।
এই মাসে আমাদের উচিত বেশি বেশি ইবাদত করা, দোয়া করা, কুরআন তেলাওয়াত করা এবং গরিব-অসহায়দের সাহায্য করা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের বরকত লাভ করার তাওফিক দিন। আমিন।
#রমজান_মোবারক