09/10/2025
#ব্ল্যাক হোল...🥶🌑☄️
বিজ্ঞানীরা প্রথম প্রস্তাব করেন যে আমাদের ইউনিভার্স হয়তো একটা ব্ল্যাক হোলের ভিতরে অবস্থিত।
এই থিয়োরি, যাকে বলা হয় ব্ল্যাক হোল কসমোলজি, ধারণা করে যে বিগ ব্যাঙ্গের পরিবর্তে আমাদের ইউনিভার্স একটা বড় ব্ল্যাক হোলের অভ্যন্তরীণ অংশ।
১৯৯০-এর দশকে নিকোডেম পপলাভস্কির মতো ফিজিসিস্টরা এই আইডিয়াটাকে আরও ডেভেলপ করেন, বলেন যে ব্ল্যাক হোলের ভিতরে স্পেসটাইম টর্শনের কারণে নতুন ইউনিভার্স তৈরি হতে পারে।
২০২১ সালে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) লঞ্চ হয়, যা আমাদেরকে প্রারম্ভিক ইউনিভার্সের গভীরতর ছবি দেখাতে শুরু করে।
২০২৫ সালের মার্চ মাসে লিয়র শামিরের নেতৃত্বে একটা স্টাডি প্রকাশিত হয় মান্থলি নোটিসেস অফ দ্য রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটিতে, যেখানে জেডব্লিউএসটির জেডস সার্ভে থেকে ২৬৩টা গ্যালাক্সির ডেটা অ্যানালাইজ করা হয়। এই স্টাডিতে দেখা যায় যে গ্যালাক্সিগুলোর রোটেশন একটা নির্দিষ্ট দিকে বেশি, যা ইঙ্গিত করে যে ইউনিভার্স নিজে রোটেট করছে – এবং এটা ব্ল্যাক হোল কসমোলজির সাথে মিলে যায়।বিজ্ঞানীরা বলছেন যে এই আবিষ্কার আমাদের কসমোলজির বেসিক থিয়োরিগুলোকে চ্যালেঞ্জ করছে।
টাইমলাইনটা দেখলে: ১৯৭১ – প্রথম ব্ল্যাক হোল কসমোলজি প্রপোজ; ২০১০ – পপলাভস্কির মডেল; ২০২২ – জেডব্লিউএসটির প্রথম ছবি; ২০২৫ – শামিরের স্টাডি।
এই ডেভেলপমেন্টগুলো দেখায় যে আমাদের ইউনিভার্সের অরিজিন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান কতটা ইভলভ করছে।
এখন আসি ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্টসের লিস্টে।
১. জেডব্লিউএসটির জেডস সার্ভেয় ২৬৩টা প্রাচীন গ্যালাক্সি অবজার্ভ করেছে, যেগুলো বিগ ব্যাঙ্গের মাত্র ৩০০ মিলিয়ন বছর পরের।
২. এই গ্যালাক্সিগুলোর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ক্লকওয়াইজ রোটেট করছে, আর এক-তৃতীয়াংশ অ্যান্টিক্লকওয়াইজ – এটা র্যান্ডম হওয়ার কথা ছিল।
৩. এই অ্যাসিমেট্রি সাজেস্ট করে যে ইউনিভার্স নিজে একটা প্রেফার্ড ডিরেকশনে রোটেট করছে, যা ব্ল্যাক হোলের ভিতরের মতো।
৪. ব্ল্যাক হোল কসমোলজি বলে যে আমাদের ইউনিভার্সের রেডিয়াস ব্ল্যাক হোলের শোয়ার্জশিল্ড রেডিয়াসের সাথে মিলে যায়।
৫. জেডব্লিউএসটি ইতিমধ্যে প্রিমর্ডিয়াল ব্ল্যাক হোলের ইভিডেন্স পেয়েছে, যা বিগ ব্যাঙ্গের ঠিক পরে তৈরি হয়েছে।
৬. আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির রোটেশনাল ভেলোসিটি এই অবজার্ভেশনগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে, ডপলার শিফটের কারণে।
৭. যদি আমরা ব্ল্যাক হোলের ভিতরে থাকি, তাহলে ডার্ক এনার্জি ছাড়াই ইউনিভার্সের এক্সপ্যানশন এক্সপ্লেইন করা যায়।
৮. জেডব্লিউএসটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল পেয়েছে যা ইউনিভার্সের বয়সের সাথে মিলে না, যা নতুন থিয়োরি দরকার করে।
৯. ব্ল্যাক হোলের ভিতরে টাইম ফ্লো একদিকে, যা আমাদের টাইমের অ্যারো এক্সপ্লেইন করতে পারে।
১০. এই ডিসকভারি ইঙ্গিত করে যে কসমোলজিক্যাল মডেলগুলো ইনকমপ্লিট, বিশেষ করে ডার্ক ম্যাটার এবং এনার্জি নিয়ে।
১১. জেডব্লিউএসটি ইনফিনিটি গ্যালাক্সিতে একটা ডাইরেক্ট কল্যাপস ব্ল্যাক হোল পেয়েছে, যা প্রারম্ভিক ইউনিভার্সের রহস্য উন্মোচন করছে।
১২. প্রারম্ভিক ইউনিভার্সে লিটল রেড ডটস নামে গ্যালাক্সি পাওয়া গেছে, যাতে ব্ল্যাক হোলের ম্যাস স্টারের ম্যাসের ৫%।
১৩. এই থিয়োরি মাল্টিভার্সের আইডিয়ার সাথে মিলে যায়, যেখানে প্রত্যেক ব্ল্যাক হোল নতুন ইউনিভার্স তৈরি করে।
১৪. জেডব্লিউএসটি ইতিমধ্যে ইউনিভার্সের সবচেয়ে প্রাচীন ব্ল্যাক হোল পেয়েছে, যা বিগ ব্যাঙ্গের ৫০০ মিলিয়ন বছর পরের।
১৫. যদি ইউনিভার্স রোটেটিং ব্ল্যাক হোলের ভিতরে হয়, তাহলে সিঙ্গুলারিটি এভয়েড করা যায় স্পেসটাইম টর্শন দিয়ে।
২০২৫ সালের মার্চে শামিরের স্টাডি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বিজ্ঞানী সমাজে একটা হইচই পড়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, স্পেস ডট কমে প্রকাশিত একটা আর্টিকেলে বলা হয়েছে যে এই ডিসকভারি আমাদের ইউনিভার্সের বার্থ সম্পর্কে নতুন ক্লু দিচ্ছে।
সায়েন্টিফিক আমেরিকানে আলোচনা হয়েছে যে এটা ব্ল্যাক হোল কসমোলজির পক্ষে একটা ক্লু, কিন্তু সবকিছু মিলিয়ে যায় না। জুলাই ২০২৫-এ নাসার ওয়েবসাইটে ইনফিনিটি গ্যালাক্সির ব্ল্যাক হোল নিয়ে একটা ব্লগ পোস্ট আসে, যা দেখায় যে প্রারম্ভিক ব্ল্যাক হোলগুলো কীভাবে ফর্ম হয়। আরও একটা এক্সাম্পল হলো টাইমস অফ ইন্ডিয়ার আর্টিকেল, যেখানে বলা হয়েছে যে জেডব্লিউএসটির ফাইন্ডিংস সায়েন্টিস্টদের স্টান করেছে।
রেডিটে ফিউচারিজম সাবরেডিটে এই টপিক নিয়ে ডিসকাশন চলছে, যেখানে ইউজাররা বলছে যে এটা মাল্টিভার্সের প্রুফ হতে পারে। অগাস্ট ২০২৫-এ লাইভ সায়েন্সে একটা আর্টিকেল প্রকাশিত হয় যে জেডব্লিউএসটি সবচেয়ে প্রাচীন ব্ল্যাক হোল পেয়েছে লিটল রেড ডটে। এছাড়া, ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বলা হয়েছে যে এই ডেটা আমাদের ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করছে।
এই সব ইভেন্টস দেখায় যে এই থিয়োরি এখন হট টপিক, এবং আরও রিসার্চ চলছে। উদাহরণ হিসেবে, যদি আমরা ব্ল্যাক হোলের ভিতরে থাকি, তাহলে আমাদের এক্সপ্যান্ডিং ইউনিভার্সটা প্যারেন্ট ব্ল্যাক হোলের গ্রোয়িং-এর কারণে হতে পারে, যা ডার্ক এনার্জির একটা অলটারনেটিভ এক্সপ্লানেশন। আরেকটা এক্সাম্পল হলো প্রিমর্ডিয়াল ব্ল্যাক হোলস, যা জেডব্লিউএসটি পেয়েছে, এবং এগুলো ডার্ক ম্যাটারের ক্যান্ডিডেট।
এই সবকিছু মিলিয়ে, এই টপিকটা সত্যিই অ্যামেজিং। আমরা যদি ব্ল্যাক হোলের ভিতরে থাকি, তাহলে কোনো এস্কেপ পাথ নাই, কিন্তু এটা আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে ইউনিভার্স কতটা মিস্টিরিয়াস।