10/05/2025
এইচএসসি - যৌথ মূলধনী কোম্পানি
Very Very Important (VVI) ৮টি সূত্র — ব্যাখ্যাসহ
---
১. লভ্যাংশ সূত্র
সূত্র:
লভ্যাংশ = পরিশোধিত মূলধন × লাভাংশ হার ÷ ১০০
ব্যাখ্যা:
কোম্পানি তার শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি বছর যে লাভের একটি অংশ দেয়, তাকে লভ্যাংশ বলা হয়। এটি সাধারণত শতকরা হারে ঘোষণা করা হয়।
উদাহরণ:
কোনো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৫,০০,০০০ টাকা এবং ১০% হারে লভ্যাংশ ঘোষণা করলে —
লভ্যাংশ = ৫,০০,০০০ × ১০ ÷ ১০০ = ৫০,০০০ টাকা
---
২. সাধারণ রিজার্ভ সূত্র
সূত্র:
সাধারণ রিজার্ভ = নিট মুনাফা × রিজার্ভ হার ÷ ১০০
ব্যাখ্যা:
ভবিষ্যৎ বিপদের জন্য কোম্পানির আয় থেকে একটি অংশ সংরক্ষণ করে রাখা হয়, যাকে সাধারণ রিজার্ভ বলা হয়। এটি কোম্পানির নিরাপত্তা ফান্ড হিসেবে কাজ করে।
উদাহরণ:
নিট মুনাফা ৩,০০,০০০ টাকা, ১০% রিজার্ভ রাখলে —
সাধারণ রিজার্ভ = ৩,০০,০০০ × ১০ ÷ ১০০ = ৩০,০০০ টাকা
---
৩. আহৃত মূলধন সূত্র
সূত্র:
আহৃত মূলধন = প্রতি শেয়ারের মূল্য × আহৃত শেয়ার সংখ্যা
ব্যাখ্যা:
যতগুলো শেয়ারের জন্য বিনিয়োগকারীরা আবেদন করেছে, তার মোট মূল্যই আহৃত মূলধন।
উদাহরণ:
১,০০০ শেয়ার × ১০ টাকা = ১০,০০০ টাকা আহৃত মূলধন
---
৪. শেয়ার প্রিমিয়াম সূত্র
সূত্র:
শেয়ার প্রিমিয়াম = (ইস্যু মূল্য - মূল্যমান) × শেয়ার সংখ্যা
ব্যাখ্যা:
কোম্পানি যদি শেয়ারের মূল্যমানের চেয়ে বেশি দামে শেয়ার বিক্রি করে, তাহলে অতিরিক্ত যে অর্থ পায়, তা শেয়ার প্রিমিয়াম।
উদাহরণ:
মূল্যমান ১০ টাকা, ইস্যু মূল্য ১২ টাকা, শেয়ার ৫০০টি
শেয়ার প্রিমিয়াম = (১২ - ১০) × ৫০০ = ১,০০০ টাকা
---
৫. শেয়ার ডিসকাউন্ট সূত্র
সূত্র:
শেয়ার ডিসকাউন্ট = (মূল্যমান - ইস্যু মূল্য) × শেয়ার সংখ্যা
ব্যাখ্যা:
যদি কোনো কোম্পানি কম মূল্যে শেয়ার ইস্যু করে, তখন ক্ষতিপূরণের হিসাব হিসেবে শেয়ার ডিসকাউন্ট ধরা হয়।
উদাহরণ:
মূল্যমান ১০ টাকা, ইস্যু মূল্য ৮ টাকা, শেয়ার ৫০০টি
ডিসকাউন্ট = (১০ - ৮) × ৫০০ = ১,০০০ টাকা
---
৬. বোনাস শেয়ার সূত্র
সূত্র:
বোনাস শেয়ার = বিদ্যমান শেয়ার সংখ্যা × বোনাস হারের অনুপাত
ব্যাখ্যা:
কোম্পানি তার লাভ থেকে বিনা মূল্যে অতিরিক্ত শেয়ার প্রদান করলে তাকে বোনাস শেয়ার বলা হয়।
উদাহরণ:
১:৫ বোনাস মানে প্রতি ৫টি শেয়ারে ১টি
যদি শেয়ার সংখ্যা ১০,০০০ হয়
বোনাস শেয়ার = ১০,০০০ × ১ ÷ ৫ = ২,০০০টি বোনাস শেয়ার
---
৭. ইপিএস সূত্র (EPS)
সূত্র:
EPS = নিট মুনাফা ÷ মোট শেয়ার সংখ্যা
ব্যাখ্যা:
প্রতি শেয়ার কত আয় হয়েছে তা এই সূত্রে নির্ধারণ করা হয়।
উদাহরণ:
নিট মুনাফা ১,০০,০০০ টাকা, শেয়ার সংখ্যা ৫,০০০
EPS = ১,০০,০০০ ÷ ৫,০০০ = ২০ টাকা
---
৮. বুক ভ্যালু সূত্র (Book Value)
সূত্র:
বুক ভ্যালু = (পরিশোধিত মূলধন + রিজার্ভ) ÷ শেয়ার সংখ্যা
ব্যাখ্যা:
প্রতিটি শেয়ারের প্রকৃত বা অন্তর্নিহিত মূল্য নিরূপণ করার জন্য এই সূত্র ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
পরিশোধিত মূলধন ৫,০০,০০০, রিজার্ভ ১,০০,০০০, শেয়ার ৫,০০০টি
বুক ভ্যালু = (৫,০০,০০০ + ১,০০,০০০) ÷ ৫,০০০ = ১২০ টাকা
---