15/12/2025
কন্যাসন্তান জম্ম দেয়ার দায়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে এক নারী।
শ্বশুরবাড়ির লোকদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় পাষণ্ড স্বামীর এলোপাতাড়ি দা’য়ের কোপে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে ৭ দিনের কন্যা সন্তান নিয়ে তার ঠাই হয়েছে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
এবিষয়ে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হলেও আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ার এখনো রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
অলোয়া ইউনিয়নের চান আমুলা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে ছয় বছর আগে একই উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে ফাতেমা খাতুনের বিয়ে হয়।
বিয়ের সময় অনেক যৌতুক দেয়া হলও কিছুদিন ভালভাবে সংসার করার পরে ফাতেমার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার।
বছর দুই পরে তাদের ঘরে জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তান।
স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে নানা অজুহাতে তার উপরে অত্যাচার চালাতো বলে অভিযোগ রয়েছে। আবারও নানা অজুহাতে মোটা অঙ্কের টাকার যৌতুক দাবি আসতে থাকে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ফাতেমার বাবা আবারও টাকা দিলেও দাবি বাড়তে থাকে। প্রতিনিয়তই চলতে থাকে নির্যাতন। এর মাঝেই আরেকটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় ফাতেমা।
ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার রাতে স্বামী শফিকুল ইসলাম, শাশুড়ি মোছা. রোকেয়া বেগম ও শ্বশুর মো. আব্দুল হামিদ ফাতেমার ঘরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। পরে শ্বশুর-শাশুড়ি হাত-পা ধরে রাখে আর স্বামী শফিকুল ইসলাম দা এনে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় ফাতেমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাত নম্বর ওয়ার্ডে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে বাকরুদ্ধ ফাতেমা।
মাথা ও ঘাড়ে বেশ কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে ফাতেমার।
আর তার পাশে শুয়ে হাত-পা নাড়াচ্ছে ৭ দিনের কন্যা সন্তান অহনা।
ও আল্লাহ্! এগুলা কি মানুষ?i