26/02/2025
জমির ই-মিউটেশন/ ই-নামজারী (রেকর্ড) ২০২৫
সরকার রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনসহ এতদসংক্রান্ত অন্যান্য আইনের বিধানবলে দীর্ঘকাল পর পর ভূমি জরিপের মাধ্যমে ভূমির মালিকানা স্বত্বলিপি ( মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান) প্রস্তুত করে। জরিপ-পরবর্তী সময়ে খতিয়ানে রেকর্ডীয় ভূমি মালিকের মৃত্যুতে উত্তরাধিকার সূত্রে কিংবা রেকর্ডীয় মালিক বা তার উররাধিকারীগণ হতে ক্রয়-বিক্রয় বা বিভিন্নভাবে হস্তান্তর সূত্রে মালিকানা পরিবর্তনের ফলে উক্ত ভূমিস্বত্ব হালনাগাদ করার জন্য সহকারি কমিশনার(ভূমি)র নিকট মিউটেশন আবেদন করতে হয়। ভূমির মালিকানা পরিবর্তনের সাথে সাথে সহজে ও দ্রুত মিউটেশন করার লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় অনলাইনে মিউটেশন ফি পরিশোধের ব্যবস্থাসহ ই-মিউটেশন সিস্টেম চালু করেছে।
নির্ভুলভাবে ফরম পূরণ এবং সঠিক তথ্য প্রদানের ফলে মিউটেশন আবেদন নিস্পত্তি করা হয়। বিভিন্ন ভুল বা তথ্যের গরমিলের কারণে মিউটেশন আবেদন নামঞ্জুর হয়ে থাকে। অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানপূর্বক মিউটেশন আবেদন ফরম পূরণ ও দাখিল, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংযুক্তি, ফি পরিশোধ প্রভৃতি কাজ নির্ভুল ভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত আবেদনকারীকে অবগত হতে হবে।
১। আপনি অন-লাইন মিউটেশন সিস্টেমে ঢুকে পাশাপাশি “অনলাইনে আবেদন করুন” এবং “আবেদন ট্র্যাকিং” নামে দুটি অংশ দেখতে পাবেন। বাম পাশে “অনলাইনে আবেদন করুন”অংশের নীচে “মিউটেশন আবেদনের জন্য ক্লিক করুন” লেখায় ক্লিক করে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। তার আগে আপনাকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে।
২। আবেদন দাখিলের সময় আপনাকে আবেদন ফি ২০/- ও নোটিশ জারি ফি ৫০/- মোট ৭০/ টাকা শুধুমাত্র অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। এজন্য আপনি নগদ, রকেট, বিকাশ, উপায়,ভিসা কার্ড, মাস্টার্ড কার্ড সহ অন্যান্য ইনস্ট্রুমেন্টস ব্যবহার করতে পারবেন, বিধায় আবেদন করার সময় সুবিধাজনক একটি মাধ্যমে ৭০/-টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা হাতের কাছে রাখুন।
৩। আবেদন ফরমের প্রথমেই মিউটেশনের জন্য আবেদনকৃত জমিটি আপনি ক্রয়, ওয়ারিশ, হেবা, ডিক্রি, নিলাম, বন্দোবস্ত, অন্যান্য কী সূত্রে পেয়েছেন তা চিহ্নিত করতে হবে। এখনে উল্লেখ্য যে ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে অন লাইনে ক্রয়সূত্রে মিউটেশন আবেদন ফরমটি আরও তথ্য সমৃদ্ধ করেছে, তাই ক্রয়সূত্রে সিলেক্ট করলে আপনার সামনে নতুন একটি ফরম আসবে, এতে আপনাকে কিছু বর্ধিত তথ্য দিতে হবে, ক্রমান্বয়ে অন্যান্য সকল সূত্রে আবেদনের জন্য পৃথক পৃথক ফরম ডেভেলপ করা হবে। ক্রয়সূত্রে ছাড়া অন্যান্য সূত্রের ক্ষেত্রে পূর্বতন ফরমটিই চলমান আছে।
৪। আবেদনকৃত জমির তথ্য অংশে আপনি ক্রমান্র্বয়ে বিভাগ, জেলা, উপজেলা সিলেক্ট করার পর মৌজা সিলেক্ট করবেন। মৌজার দীর্ঘ তালিকা থেকে আপনার মৌজাটি খুঁজে পেতে মৌজার নাম ও জেএল নম্বর স্মরণ রাখবেন। উল্লেখ্য যে একটি মিউটেশন আবেদন শুধুমাত্র একটি মৌজার জমি্র মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অর্জিত জমি একাধিক মৌজায় হলে প্রতিটি মৌজার জমি মিউটেশনের জন্য পৃথক পৃথক আবেদন করতে হবে।
৫। মিউটেশনের আবেদন সর্বশেষ জরিপ রেকর্ডের ভিত্তিতেইহবে, সেমতে আপনাকে আপনার এলাকার জন্য এসএ/এমআরএস, আরএস/বিএস, মহানগর, দিয়ারা, সিএস যা প্রযোজ্য জরিপটি সিলেক্ট করতে হবে, এজন্য আপনি এ বিষয়ে আগেই নিশ্চিত হয়ে সিলেক্ট করবেন।
৬। আপনাকে জমির খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, আবেদনকৃত জমির পরিমাণ , খতিয়ানে উক্ত দাগে জমির পরিমাণ টাইপ করে দিতে হবে। অনুরূপ ভাবে একই খতিয়ান থেকে বা একই মৌজাভুক্ত একাধিক খতিয়ান থেকে আরও দাগে আরো জমি এই মিউটেশনের সাথে যুক্ত করতে হলে সেক্ষেত্রে “আরও খতিয়ান সংযুক্ত করুন” ও “আরও দাগ সংযুক্ত করুন” চেপে আরও খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, আবেদনকৃত জমির পরিমাণ , খতিয়ানে উক্ত দাগে জমির পরিমাণ ইত্যাদি টাইপ করে দিতে হবে। নির্ভুল তথ্যভুক্তির স্বার্থে আপনি আপনার ল্যাপটপ/ডেস্কটপ কম্পিউটারে আপনার নামে একটি ফোল্ডার করে তাতে একটি ওয়ার্ড ফাইলে জমির খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, আবেদনকৃত জমির পরিমাণ, খতিয়ানে উক্ত দাগে জমির পরিমাণ , মোট আবেদনকৃত জমির পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য অভ্র নিকশ ফন্টে টাইপ করে রাখতে পারেন। জমির পরিমাণ একরে প্রদান করবেন। আবেদনের সময় আপনি তথ্যগুলো কপি-পেস্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন।
৭। আবেদন ফরমটি পূরণের সময় আপনাকে নিম্নোক্ত তথ্যসমূহ টাইপ করে দিতে হবে-
দলিলসূত্রে জমির মালিক হলে দলিল নম্বর, দলিলের তারিখ ( সন মাস দিন সিলেক্টের মাধ্যমে) ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নাম।
খতিয়ানে রেকর্ডীয় মালিকের বা মালিকগণের নাম, পিতা/স্বামীর নাম ও পূর্ণ ঠিকানা।
আবেদনকারী বা আবেদনকারীগণের নাম ও পূর্ণ ঠিকানা, সক্রিয় বাংলাদেশী মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ( তদাভাবে পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র নম্বর) ও ইমেইল এড্রেস।
আবেদনকারী যদি যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর(RJSC)’এর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হয় তাহলে প্রতিষ্ঠানের নাম, প্রতিনিধির নাম, প্রতিনিধির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, পদবি, প্রতিষ্ঠানের RJSC রেজিট্রেশন নং, নিবন্ধন তারিখ, জেলা, উপজেলা, ঠিকানা।
আবেদনকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা হলে প্রতিষ্ঠানের নাম, প্রতিনিধির নাম, প্রতিনিধির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, পদবি।
আবেদনকারী RJSC নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, প্রতিনিধির নাম, প্রতিনিধির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, পদবি।
যাদের নাম হতে কর্তন করে মিউটেশন দেয়া হবে তাদের এবং যাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নোটিশ দিতে হবে তাদের সকলের নাম ও পূর্ণ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর।
আবেদনকারী নিজে না হয়ে প্রতিনিধি মারফতে আবেদন করলে উক্ত প্রতিনিধির নাম ও পূর্ণ ঠিকানা, সক্রিয় বাংলাদেশী মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (তদাভাবে পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র নম্বর )ও ইমেইল এড্রেস, বয়স ও আবেদনকারীর সাথে সম্পর্ক।এবং
আবেদনকৃত জমি দাতা বা দাতা মৃত হলে তার ওয়ারিশের এবং দাতা কোন প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিনিধির নাম ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ ও মোবাইল নম্বর, পদবি, RJSC নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে রেজিষ্ট্রেশন নম্বর , তারিখ, জেলা, উপজেলা, ঠিকানা।
লক্ষ্য করুন, এইসব তথ্য ফরমে সরাসরি লিখতে গেলে ভুল হয়ে যেতে পারে, তাই এগুলো আগে থেকেই আপনি আপনার ল্যাপটপ/ডেস্কটপ কম্পিউটারে আপনার নামে খোলা ফোল্ডারটিতে একটি ওয়ার্ড ফাইলে অভ্র নিকশ ফন্টে টাইপ করে রাখতে পারেন, যা যথাসময়ে কপি-পেস্ট করে আবেদন ফরম পূরণ করা সহজ হবে।
৮। আবেদন ফরম পূরণের সময় আপনাকে আবেদনকারী/অবেদনকারীগণের প্রত্যেকের এবং আবেদনকারী নিজে না হয়ে প্রতিনিধি হলে প্রতিনিধির অর্থাৎ আবেদনকারী পক্ষের প্রত্যেকের এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি,নিজ নিজ স্বাক্ষর, জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধ সনদ(যাহা প্রযোজ্য), আবেদনকারী RJSC নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হলে নিবন্ধন সনদ, উওরাধিকার সূত্রে মিউটেশন হলে উত্তরাধিকার সনদ পত্র, সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলা প্রভৃতি প্রমাণকের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে, এইসব স্বাক্ষর ছবি ও কাগজ আলাদা আলাদাভাবে jpg বা png ফরমেটে স্ক্যান করে আপনার ল্যাপটপ/ডেস্কটপ কম্পিউটারে আপনার নামে খোলা ফোল্ডারটিতে রাখতে পারেন, যা ফরম পূরণের সময় যথাসময়ে Chose file ক্লিকের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে পারবেন।
৯। আবেদনকৃত জমির খতিয়ানের কপি, ক্রয়সূত্রে হলে দলিলের কপি, আদালতের রায়-ডিক্রি সূত্রে হলে রায় ডিক্রির কপি, অন্য সূত্রে হলে সংশ্লিষ্ট কাগজাদির কপি স্ক্যান করে সংযুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্তির ক্ষেত্রে স্ক্যান ফাইলটি অবশ্যই pdf ফরমেটে হতে হবে। অন্য কোন ফরম্যাটে ফাইলটি আপলোড করা যাবে না। এক্ষেত্রেও আপনি এইসব ডকুমেন্ট আলাদা আলাদাভাবে pdf করে আপনার ল্যাপটপ/ডেস্কটপ কম্পিউটারে আপনার নামে খোলা ফোল্ডারটিতে রাখতে পারেন, যা ফরম পূরণের সময় যথাসময়ে Chose file ক্লিকের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে পারবেন। প্রতিটি স্ক্যান ফাইল আপলোড করার পর তা কি ধরণের ফাইল ( দলিল /খতিয়ান/ওয়ারিশ সনদ ) তা ড্রপ ডাউন হতে সিলেক্ট করে নিতে হবে।
১০। প্রতিটি pdf ফাইলের সাইজ অবশ্যই সর্বোচ্চ 1.25 MB এর মধ্যে হতে হবে এবং সবগুলো সংযুক্তি ফাইল মিলিয়ে অবশ্যই 25 MB এর মধ্যে হতে হবে। সামগ্রিক ফাইল 25MBএর বেশি হলে https://www.pdf2go.com/resize-pdf অথবা https://www.sejda.com/compress-pdf অথবা এ ধরণের যেকোন অনলাইন টুল ব্যবহার করে pdf ফাইলের সাইজ কমানো যায় এবং Microsoft Office – Edit Pictures-Compress Pictures ব্যবহার করে ক jpg বা png ফাইলের সাইন কমিয়ে আনা যায়।
১১। কারিগরি সমস্যার কারণে ডকুমেন্ট ছাড়া আবেদন সাবমিট করতে চাইলে নিম্নোক্ত যেকোনো একটি অপশন নির্বাচন করে যাবে -
“আমি আবেদন সাবমিট করার ৩ কর্মদিবসের মধ্যে সকল ডকুমেন্ট (প্রয়োজনীয় কাগজপত্র) এসিল্যান্ড অফিসে এসে জমা দিবো / আমি শুনানির দিন সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিবো।”
১২। আরও জ্ঞাতব্য: ক্রয়সূত্রে ফরমে আবেদনের সময় মৌজা নির্ধারণ করে আবেদনকারিকে একটি ঘোষণা প্রদান করতে হবে। অসত্য তথ্য প্রদানে আবেদন বাতিল হবার পাশাপাশি আইনগত শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে বিধায় আবেদনকারিকে অবশ্যই সঠিক ঘোষণা প্রদান করতে হবে। যে সকল বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে –
ক) সর্বশেষ রেকর্ড অথবা সর্বশেষ মিউটেশন হতে জমির মালিকানার ধারাবাহিকতা আছে কি না অর্থাৎ মধ্যবর্তী হস্তান্তরের প্রমাণপত্র/বায়া দলিলসমূহ আছে কি না?
খ) আবেদনকারীর দলিলমূলে মালিকানা দাবী ও হিস্যা সঠিক আছে কি না?
গ) আবেদনকৃত জমি দখলে আছে কি না? যদি আবেদনকৃত জমি দখলে না থাকে, তাহলে একটি ব্যাখ্যা আবেদনের সঙ্গে প্রদান করতে হবে।
ঘ) আংশিক খাস/ অর্পিত/ অধিগ্রহণকৃত আছে কি না? আবেদনকৃত জমি আংশিক খাস/ অর্পিত/ অধিগ্রহণকৃত হলে নিষ্কণ্টক অংশ আলাদাভাবে চিহ্নিত করার প্রমাণক সহ ব্যাখা দিতে হবে।
ঙ) আবেদনকৃত জমিতে কোন দেওয়ানী মামলা আছে কি না ? মামলা থাকলে হস্তান্তরে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি না? নিষেধাজ্ঞা নাই মর্মে আদালতের ইনফরমেশন স্লিপ সংযুক্ত করতে হবে।
চ) জমিতে সরকারি স্বার্থ আছে কি না? থাকলে কোন ধরণের স্বার্থ আছে, তা নির্বাচন করতে হবে। দাগে সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অংশ (খাস / অর্পিত / পরিত্যক্ত / ওয়াকফ / বিনিময় / দেবোত্তর / অধিগ্রহণকৃত / খাসমহাল / কোর্ট অফ ওয়ার্ডস / সরকারি সংস্থা / অন্যান্য) চিহ্নিত করে আবেদনকৃত জমি এর বাইরে হলে কোন অংশে তা চিহ্নিত করতে এবং ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে।
ছ) সর্বশেষ অর্থ বছর পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা আছে কি না? ভূমি উন্নয়ন কর হাল নাগাদ না থাকলে আবেদনকারী তা হারাহারি ভাবে বকেয়াসহ হালনাগাদ পরিশোধ করবেন মর্মে ঘোষণা দিতে হবে।
জ) আবেদনে বর্ণিত তফসিল জমি এপার্টমেন্ট বা ফ্লোর স্পেস কি না? যদি তা হয় তবে এপার্টমেন্ট নম্বর প্রদান করতে হবে, শুধু জমির জন্য এপার্টমেন্ট/ফ্লোর নম্বর প্রদান করতে হবে না।
ঝ) আবেদনকারী/আবেদনকারীগণের এই মৌজায় বর্তমানে কোনো খতিয়ান আছে কি না? যদি তাদের আবেদনকৃত জমির মৌজায় এক বা একাধিক খতিয়ান থাকে, তাহলে হ্যাঁ নির্ধারণ করে খতিয়ান নম্বর/ নম্বরসমূহ এন্ট্রি করুন। দুটি খতিয়ান নম্বরের মাঝে কমা (,) অথবা সেমিকোলন (।) ব্যবহার করবেন। ঘোষণা প্রদানের পর, জমির তফসিল সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে।
১৩। ফরম পূরণের সকল কাজ সম্পন্ন হলে আপনি দাখিল বাটনে ক্লিক করে আবেদনের একটি প্রিভিউ দেখতে পাবেন। প্রিভিউটি ভালোভাবে দেখে নির্ভুলতা যাচাই করে নিন। যদি কোনো তথ্য সংশোধন করতে হয়, তাহলে আবেদন জমা (দাখিল) বাটন নিশ্চিত করার আগেই প্রয়োজনীয় সংশোধন করে নিতে পারবেন। একবার আবেদন জমা হয়ে গেলে আপনি আর সংশোধন করতে পারবেন না। আবেদন প্রিভিউ এর কপি সেভ ও প্রিন্ট করে রাখুন। (দাখিল) বাটন নিশ্চিত করার পর আবেদন নম্বরসহ একটি পেজ আসবে, যা সেভ ও প্রিন্ট করে রাখুন। আবেদন নম্বরটি ট্র্যাকিং নম্বর হিসেবে ব্যবহার করে পরবর্তীতে আপনার এই মিউটেশনের সকল তথ্য অনুসন্ধান করতে পারবেন।
১৪। আবেদন জমা হয়ে গেলে আবেদন নম্বর সহ যে পেজ আসবে সেই পেজে আবেদন ও নোটিশ ফি একত্রে ৭০/-টাকা অন-লাইনে জমা করার জন্য মোবাইল ওয়ালেট কিংবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং থেকে সুবিধাজনক একটি অপশনে ক্লিক করে অগ্রসর বাটন চেপে নির্দেশনা অনুসরণ করে আপনি নগদ, রকেট, বিকাশ, উপায়,ভিসা কার্ড, মাস্টার্ড কার্ড সহ অন্যান্য ইনস্ট্রুমেন্টস ব্যবহার করে পেমেন্ট করার সুযোগ পাবেন। পেমেট হবার পর আবেদন নম্বর সহ পেমেন্ট কনফার্মেশনের একটি মেসেজ আসবে। এই মেসেজের নীচে থাকা পেমেন্ট রিসিপ্ট বাটন চেপে টাকা জমার রিসিপ্ট পাবেন ও প্রিন্ট করে নিতে পারবেন, তাছাড়া মেসেজের নীজে থাকা আবেদন প্রিন্ট বাটন চেপে আবেদনটি প্রিন্ট করতে বা পিডিএফ কপি সংরক্ষণ করে নিতে পারবেন।
১৫। আপনি অনলাইনে শুনানি করতে চাইলে পেমেন্ট করার পর্যায়ে এই প্রশ্নে হ্যাঁ নির্বাচন করবেন অথবা http://oh.lams.gov.bd লিংকে অনুরোধ প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন এবং অনলাইন শুনানির জন্য একটি লিংক আবেদনে প্রদত্ত মোবাইলে পাঠাবেন। শুনানির পূর্বে খসড়া খতিয়ানটি নাগরিক কর্নার হতে দেখা যাবে। খসড়া খতিয়ানে কোন তথ্য ভুল থাকলে শুনানির সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে অবগত করবেন।
১৬। সাধারণত একটি ভূমি মিউটেশন প্রক্রিয়া ২৮ দিনে নিস্পত্তি হয়ে থাকে। সহকারী কমিশনার ভূমি এই আবেদনের চূড়ান্ত অনুমোদনের আদেশ করা পর অফিস সহকারী অনলাইনে খতিয়ান প্রস্তুত করবেন। খতিয়ান প্রস্তুত হলে ডিসিআর (DCR) ফী প্রদানের জন্য সিস্টেমে প্রদত্ত মোবাইলে SMS পাঠানো হবে। এ পর্যায়ে land.gov.bd তে গিয়ে ই-মিউটেশন পেজে আবেদন ট্র্যাকিং অপশনে বিভাগ সিলেক্ট করে আবেদন নম্বর জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর দিয়ে ট্রাকিং করে আবেদন মঞ্জুর হয়েছে কি না যাচাই করতে পারবেন এবং পেজে দেয়া মোবাইল ওয়ালেট কিংবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং থেকে সুবিধাজনক একটি অপশনে ক্লিক করে অগ্রসর বাটন চেপে নির্দেশনা অনুসরণ করে আপনি নগদ, রকেট, বিকাশ, উপায়,ভিসা কার্ড, মাস্টার্ড কার্ড সহ অন্যান্য ইনস্ট্রুমেন্টস ব্যবহার করে অনলাইনে ডিসিআর (DCR) ফী ১,১০০ টাকা পরিশোধ করার সুযোগ পাবেন। অনলাইনে ডিসিআর (DCR) ফী ১,১০০ টাকা পরিশোধ করলে অনলাইনেই চালান প্রক্রিয়া শুরু হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালান পরিশোধিত হলে https://mutation.land.gov.bd/ এই লিঙ্ক এ গিয়ে আবেদন ট্র্যাকিং করে খতিয়ান প্রিন্ট এবং ডিসিআর প্রিন্ট কপিটি পাবেন।
১৭। ভূমি মন্ত্রণালয়ের ০২ নভেম্বর ২০২১ খ্রিস্টাব্দের স্মারক নং ৩১.০০.০০০০.০৪২.৮.০১১.২০-৫৫৯ নির্দেশনা মোতাবেক কিউআর কোডযুক্ত (Quick Response Code) অনলাইন ডিসিআর (Duplicate Carbon Receipt) ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে প্রদত্ত ডিসিআর-এর সমতুল্য এবং আইনগতভাবে বৈধ ও সর্বক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য ও ব্যবহারোপযোগ্য হবে। তাই আপনাকে ভূমি অফিসে গিয়ে কোন ম্যানুয়াল ডিসিআর সংগ্রহ করতে হবে না।
১৮। জমি সংক্রান্ত যে কোন তথ্য, পরামর্শ ও সেবা পেতে যোগাযোগ : আরিয়া কম্পিউটার, মোক্তারপট্টি, পাথরঘাটা, বরগুনা।
হোয়াটসঅ্যাপ: ০১৪১০৪৯৯০৮০।
ইমেইল: [email protected]
মিউটেশন খতিয়ান আবেদন বিষয়ক তথ্যের জন্য কলসেন্টারের 16122 নম্বরে অথবা ভূমিসেবা সংক্রান্ত সমস্যা জানানোর জন্য https://hotline.land.gov.bd লিংক ব্যবহার করুন।