16/09/2025
~পীরে বাঙাল এক সিক্রেট রূহানী ডায়মন্ড:
হীরা থাকে মাটির গভীরে, মুক্তো থাকে সমুদ্রের তলদেশে। অর্থাৎ—যে বস্তু যত দামী, সে বস্তু তত দুষ্প্রাপ্য ও মূল্যবান।
ঠিক তেমনি, পীরে বাঙাল হুজুর নিজের সমস্ত রূহানী তাকত, রূহানী প্রভাব ও রূহানী কামালিয়াত নিজের ভেতরে বন্দী করে রেখেছেন। যেমন মাটি হীরাকে চেপে রাখে, সমুদ্র মুক্তোকে চুপে রাখে— তেমনি তিনি তাঁর কলবের গভীরে সবকিছু লুকিয়ে রেখেছেন। প্রকৃত ওলী তিনিই, যিনি নিজের কারামত প্রকাশ না করে বরং গোপন রাখেন।
কিন্তু আল্লাহর কুদরত অসীম ও অপার। পীরে বাঙাল হুজুর যতই নিজেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করুন না কেন, আল্লাহ তাঁকে প্রকাশ করাচ্ছেন। আল্লাহ যাকে প্রকাশ করতে চান, দুনিয়ার কারো সাধ্য নেই তাঁকে গোপন রাখার। আবার যাকে আড়ালে রাখতে চান, দুনিয়ার কারো সাধ্য নেই তাঁকে প্রকাশ করার।
তাই পীরে বাঙাল হুজুরের সাথে হিংসা-বিদ্বেষ করে কোনো লাভ নেই। বরং এর দ্বারা হিংসুক নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সমস্ত হিংসুক যদি কালুরঘাটের ব্রিজে গিয়ে মাথা ফাটায়, তবে তাদের মাথাই ফেটে যাবে—কিন্তু কালুরঘাট ব্রিজের একটি স্ক্রুও নড়বে না। পীরে বাঙাল হুজুরের মর্যাদা ও অবস্থান তেমনি অটল ও অবিচল।
আমাদের মহান প্রতাপশালী ইমাম শেরে বাংলা আলকাদেরী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি স্পষ্টভাবে বলেছেনঃ
“এই বাচ্চাকে (শৈশবকাল) যেমন-তেমন ওলী মনে করিও না।”
শেরে বাংলা হুজুর যার ব্যাপারে এভাবে কালাম করেছেন, সেখানে কথা বলা মানেই নিজের বুকের উপর নিজের আঘাত হানা। পীরে বাঙাল হুজুর প্রকৃতই আল্লামা ইকবালের ভাষায় “যামানার বরহক ইমাম”। বর্তমানে আমরা তাঁর কাছ থেকে যা প্রত্যক্ষ করছি, তা দেখে বিস্মিত হচ্ছি। আর সামনে যা প্রকাশিত হবে, হয়তো আমাদের ব্রেইন তা ধারণ করতে সক্ষম হবে না।
এইজন্যই মাওলানা রুমী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেনঃ
“আল্লাহর অলিদের ব্যাপারে নো কমেন্ট।”
অতএব, অলিদের ব্যাপারে যুবান খামোশ রাখা চাই। যদি বুঝতে পারেন—তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। আর যদি না বোঝেন—তাহলে চুপ থাকাই উত্তম। কারণ, শিশু-ওয়ানের বাচ্চাদের কাছে যদি কোয়ান্টাম ফিজিক্স পড়ানো হয়, তাহলে যেমন সেটা অনর্থক হয়, তেমনি আওলিয়ায়ে কেরামের গোপন রহস্য নিয়ে তর্ক-বিতর্কও অনর্থক।
゚