
08/04/2025
সিলেটে আওয়ামী ভূমিখেকো চক্রের খপ্পরে "কাকলী শপিং সেন্টার"-
______________________
ভয়ংকর এক ভূমিখেকোর খপ্পরে সিলেটের একটি পরিবার। কুখ্যাত আদম ব্যবসায়ী ও দখলবাজ কবির গং এর বিরুদ্ধে সিলেট নগরীর কাকলী শপিং সেন্টার জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ চক্রান্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্রমতে, সিলেটের দাঁড়িয়াপাড়া মেঘনা এ/৮ এর স্থায়ী বাসিন্দা এবং কাকলী রেষ্টুরেন্ট (বর্তমান কাকলী শপিং সেন্টার) এর স্বত্বাধিকারী মৃত: আজিমুল হক (শিরু মিয়া) ও মৃত: আজিজুল হক (ধন মিয়া) নামের দুই ভাইয়ের পৈতৃক সম্পত্তি এটি। জালিয়াত কবির ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা জাল কাগজ পত্রের মাধ্যমে উক্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এবিষয়ে কবিরের জাল-জালিয়াতির অনেক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। আওয়ামী সরকারের আমলে কবির ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বিভিন্ন কুকর্মে লিপ্ত ছিল। বর্তমানে বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের আশ্রয়ে তার জালিয়াতির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, তার এই জালিয়াতি ও সম্পদ উপার্জনে প্রত্যক্ষ মদদদাতা ছিলেন সাবেক এমপি ও আওয়ামিলীগ নেতা শফিকুর রহমান। এই জালিয়াত চক্রে আওয়ামী নেতা নাসির, নাদেল, বিধান সাহা, পীযুষ, কাউন্সিলর সম্রাট, আসকর আজীজ, রাহেল সিরাজ ও এড. গোলাম ইয়াহিয়া চৌধুরী সুহেল সহ অনেকের নাম উঠে এসেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বর্তমানে পলাতক আছে। জালিয়াত কবির আহমদ ২০১৩ সালে কাকলী শপিং সেন্টারের ৬ষ্ট তলায় ৪ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ার ভিত্তিতে টার্গেট ট্রাভেলস নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করে। ২০১৪ সালে অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানো অনেক মানুষ তার নেতৃত্বাধীন দালাল চক্রের অমানুষিক নির্যাতনে প্রাণ হারায়। উক্ত বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে সে গা ঢাকা দেয়। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতাদের সহযোগিতায় সে আবারও মাথাচাড়া দেয়। জালিয়াত কবির ও জাবেদ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে ২০১৫ সালে চট্টগ্রামের হাইব্রিড রিসোর্টের এমডি ও আবাসন ব্যবসায়ী মোঃ নজরুল ইসলামের হাইব্রিড রিসোর্ট নামক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানটি জোরপূর্বক দখলে নেয়। এরপর সে আওয়ামী নেতাদের ছত্রছায়ায় আশ্রয় নিয়ে ভূমি জাল-জালিয়াতির একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারি ভূমি সহ সাধারণ মানুষের সম্পত্তি জাল-জালিয়াতিতে সে আরও একধাপ এগিয়ে যায়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীও তার এই অপকর্মে জড়িত রয়েছেন বলে জানা যায়। বর্তমানে এই হাইব্রিড রিসোর্টের নাম ভাঙিয়ে সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় আবাসন ব্যবসা গড়ে তুলেছে। যে ব্যক্তি মাসিক ৪ হাজার টাকা দোকান ভাড়া ঠিকঠাক দিতে পারতো না আজ সে জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলাও হয়েছিল। সে একেক একেক সময় একেক এলাকার বাসিন্দা ও কাকলী শপিং সেন্টারের মালিক বলে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছে। সরেজমিনে জানা যায়, কাকলী শপিং সেন্টারটি এখনো সাউথইস্ট ব্যাংক- উপশহর সিলেট শাখার কাছে দায়বদ্ধ অবস্থাতেই আছে। কিন্তু এই জালিয়াত কবির আহমদ তার অবৈধ ক্ষমতা ও ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে মার্কেটের মালিকানার জাল দলিল তৈরি করেছে। যা বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী একটি গুরুতর অপরাধ। আইন অনুযায়ী ব্যাংক ঋণে দায়বদ্ধ কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বা সম্পত্তি ব্যাংক ঋণ শোধ না হওয়া পর্যন্ত তা বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে জালিয়াত কবির গং এর অত্যাচারে অত্যাচারিত হয়ে মার্কেটের স্বত্বাধিকারী মৃত আজীমুল হক শিরু মিয়ার ১ম পুত্র ফজলুল হক মোর্শেদ ও ২য় পুত্র তার বিরুদ্ধে মামলা ও সংবাদ সম্মেলন করেন। সাউথইস্ট ব্যাংকও কবির গং এর বিরুদ্ধে একটি জালিয়াতির মামলা করে। কিন্তু সিলেট (ACM) কোর্টের দূর্নীতিবাজ এক বিচারকের অবৈধ ক্ষমতা বলে মামলাগুলো ফাইল বন্দী হয়ে যায়। এবং উক্ত বিচারককে জালিয়াত কবির তার নিকটাত্মীয় ও হাইব্রিড রিসোর্টের উপদেষ্টা বলে পরিচয় দিয়ে বেড়ায়।