Ayyat's vlog

Ayyat's vlog Welcome to my page. Cooking is my favourite work.
(3)

আমার বিয়ে হয়েছে মাত্র এক বছর। শুরুতে সবকিছুই স্বাভাবিক ও সুন্দর ছিল। আমার স্বামী বিদেশ থাকেন। বিয়ের পর তিনি দুই মাস আ...
01/07/2025

আমার বিয়ে হয়েছে মাত্র এক বছর। শুরুতে সবকিছুই স্বাভাবিক ও সুন্দর ছিল। আমার স্বামী বিদেশ থাকেন। বিয়ের পর তিনি দুই মাস আমার সঙ্গে ছিলেন—সেই সময়টুকু খুব ভালো কেটেছিল।

তিনি বিদেশ চলে যাওয়ার কিছুদিন পর আমি জানতে পারি, আমি গর্ভবতী। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, তিন মাস পর আমার মিসক্যারেজ হয়। এই ঘটনাটা আমার জন্য মানসিকভাবে খুব কষ্টদায়ক ছিল। কিন্তু আরও বেশি কষ্ট পেলাম তখন, যখন আমার স্বামীর ব্যবহার একেবারে পাল্টে গেল।

তিনি আমাকে দোষারোপ করতে শুরু করলেন। বললেন, আমি নাকি ইচ্ছা করে বাচ্চা নষ্ট করেছি। তিনি এমনসব কথা বলেন, যা একজন স্ত্রী হিসেবে সহ্য করা অসম্ভব। ধীরে ধীরে তিনি আমার চরিত্র নিয়েও সন্দেহ করতে থাকেন—বলতে থাকেন, আমি নাকি অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলি।

শুধু তিনিই না, তার পরিবার থেকেও আমি অবহেলা ও অপমান পেতে থাকি। তার মা প্রায়ই আমাকে বাজে ভাষায় কথা বলেন। আমার মা-বাবার কাছেও আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেন যে, আমি নাকি কাজ পারি না, কথা শুনি না। অথচ আমি চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখি না। আমার শাশুড়ি একবার যা বলেন, পরে নিজেই অস্বীকার করেন।

রোজার ঈদের কিছুদিন পর আমি আমার বাবার বাড়িতে যাই। প্রায় ২০ দিন পর হঠাৎ বলা হয়, ধান আসছে—আমাকে এখনই যেতে হবে। কিন্তু সেদিন আমার শরীর খারাপ ছিল, আবার বৃষ্টিও হচ্ছিল। তাই বললাম, দুই-তিন দিন পরে যাব। তখন আমার স্বামী সাফ জানিয়ে দিলেন—"আজ যদি না যাস, তাহলে আর কখনো আসার দরকার নেই।"

পরদিন আমি যেতে চাইলেও আমাকে যেতে দেয়া হয়নি। বরং, আরও অপমানিত হতে হয়েছে। তিনি বারবার আমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন, বলেন আমি যেন নিজেই চলে যাই। বলেন, তার পরিবার আমাকে চায় না, তার নিজেরও আর আমার প্রতি কোনো অনুভূতি নেই।

এভাবে দুই মাস বাবার বাড়িতে থাকার পর, আমার বাবা, শ্বশুর আর একজন আত্মীয় মিলে আলোচনার মাধ্যমে আমাকে আবার শ্বশুরবাড়ি পাঠান। কিন্তু সেখানেও আমার প্রতি ব্যবহার বদলায়নি।

শাশুড়ির অবহেলা, অপমান, সন্দেহ—সব কিছু আমাকে মানসিকভাবে ভেঙে দিচ্ছে।আমি কাজ করলে বলেন কাজ নাকি দেখাই, আর না করলে বলেন কেন করিনি। আমার সাথে কথা বললে চিৎকার করে কথা বলেন।আর আমার স্বামী প্রায়ই আমাকে বলেন—"তোমাকে আর ভালো লাগে না। তুমি চলে যাও।"

এখানে আসার পর উনি আমাকে প্রতিদিন বলে আমি যেনো এই বাড়ি থেকে চলে জাই।

আমি শুধু আমার বাবা-মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে, তাদের মান-সম্মানের কথা ভেবে আজও সবকিছু সহ্য করে যাচ্ছি। কিছু বলি না, মুখ বুজে সহ্য করি। কিন্তু আমার মন ক্রমেই ভারী হয়ে উঠছে। আমি জানি না, কতদূর এগোতে পারবো এই মানসিক কষ্ট নিয়ে।

(সংগ্রহ করা)

30/06/2025

আমার মেজো বোনের সাথে যেদিন আমার স্বামীর বিবাহ হয় সেদিন যে আমি কিভাবে বেঁচে ছিলাম নিজে ও জানি না। মৃত্যু যন্ত্রণার মতো মনে হয়েছে।
না সেদিন বাঁচতে পেরেছিলাম না মরতে পেরেছিলাম।
আমার পায়ের নিচে মাটি ও ছিলো না। পৃথিবীর সবার কাছে তখন আমি দোষী আমি খারাপ।
অথচ ওই মূহুর্তে আমার স্বামীর সাথে আমার ডিভোর্স পযন্ত হয়নি।
এজন্য অবশ্য আমার মা দায়ী। পৃথিবীতে সব মা ভালো হয়না সব পরিবার ভালো হয়না কিছু খারাপ পরিবার ও রয়েছে।
২০০৮ সাল.....
ওই মূহুর্তে আমি আমারই বাপের বাড়িতে অবস্থান করছিলাম । ৩ মাস আগে থেকে আমার স্বামী আমার সাথে সব রকমের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি আমার বাপের ঘরে চলে আসি।
আমার ছোট্ট বোন আবার আমার এক খালার বাড়িতে থাকতো।
ঘরে শুধু আমার মেজোবোন আম্মু আর আব্বু । ওরা আমার সামনে তেমন কথা বলতো না। আর তাছাড়া আমি শশুরবাড়িতে থাকতাম তাই ঘরের এত কিছুতে আমি নাক গলাতাম না।
তবে আব্বু আম্মুকে অনেক সাহায্য করতাম স্বামীর থেকে লুকিয়ে। আমার স্বামী ধনী ছিলো। আর আমার বাবা দিন মজুরে ছিলো।
আমার স্বামীকে বলে আমি আমার বাবাকে একটি সিএনজি নিয়ে দি।
তখন থেকে বাবা সিএনজি চালাতো। আমাদের নিজেদের কোনো ঘর ছিলো না। বাবা আমাদের নিয়ে ভাড়া ঘরেই থাকতো।

বিয়ের ১ বছর পযন্ত ভালোই ছিলো সব। কিন্তুু যখনি আমি আমার পরিবারে টাকা দিতে পারতাম না আমি ভীষণ খারাপ হয়ে যেতাম।
আমার মেজো বোন আমার খেয়ে আমার পড়ে আমার সাথেই বেয়াদবি করতো। তুই ছাড়া কথা ও বলতো না। চরম লেভেলর একজন বেয়াদব ছিলো।
বাবা মার কাছে ভীষণ ভালো ছিলো। আমার মা তো আমি টাকা দিতে না পারলে আমাকে যাতা বলে গালা গালি করতো আমি মা*** বে*** এধরনের বাজে গালাগালি করতো।
আমি অনেক চেয়েছি পরিবার এর সাথে সম্পর্ক বাদ দিতে কিন্তুু পারি নাই।
কয়দিন পর পর হাজির হতো আমার শশুরবাড়িতে।
আমার চেয়ে আমার মেজোবোন সুন্দরী ছিলো।
অথচ আমার তখন প্রেমের বিয়ে।
২০০৮ সালে ৫ মে আমার বাবা মা সবাই আমার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে বোনের বিয়ে পড়িয়ে আমার বোনকে রেখে আসে।
অথচ সকালে আমি জানতাম ও না ওরা কোথায় যাচ্ছে।
এর মধ্যে বিকেলের দিকে আমার শশুরবাড়ির একজন ফোন করে বলে তোমার বোনের সাথে তো তোমার স্বামীর বিবাহ হয়েছে।
আমি শুনে বার বার মা কে ফোন করি।
না ফোন ধরে বলে ঘরে আসি কথা বলতেছি।
তার কিছু সময় পর আমার মা বাবা ঘরে আসে। আমি তখন কান্না করতে করতে জিজ্ঞেস করি নিমুক হারাম তোরা কেন এমন করছোস উওর দে...
তখন আমার বাবা পাশে দাঁড়িয়ে আছে মা বলে তুই বেশি ভালো যে এজন্য স্বামীর ভাত খেতে পারতেছোস না। তোর এ অবস্থা আমাদের তো মুখ পুড়িয়েছিস।
তাই বাধ্য হলাম।
আমি চিৎকার করে কেঁদে উঠলাম। তখন আমার মা আমাকে বলে মা****গি ঘর থেকে বের হ।
এখানে নাটক করিস না। আশে পাশে সবাইকে জানাইছ না তুই যে একটা মা***গি।
আমি হতভম্ব আমি যেনো সেদিন সে ঘরে থাকতে পারতেছিলাম না ওই বেইমান গুলোর সাথে।
সাথে সাথে বের হয়ে যাই ঘর থেকে। কোথায় যাবো কি করবো বুঝতেছিলাম না।
কে বা আমাকে জায়গা দিবে।
পরে পরিচিত এক আন্টির বাসায় যাই। সেখানে ৩ দিন থাকি।
একদিকে প্রিয় মানুষকে হারানোর কষ্ট, অন্য দিকে পরিবারের কষ্ট, টাকা পয়সা নাই, কোথায় যাব কি করবো বুঝতেছিলাম না।
সেদিন মনে হয়েছে মৃত্যু অনেক সহজ। মরতে চেয়েছিলাম কিন্তুু সাহসে দেয় নি।
আন্টিটার বোনের দোকানে একজন মেয়ে লাগবে সেলসম্যান ।
সামনে রমজান মাস তাই।
তখন আন্টি আমাকে তার বোনের বাড়িতে পাঠিয়ে দিলো ।
আমি ওখানে ছিলাম সারাদিন দোকান করতাম। রাতে উনার সাথে টুকিটাকি ঘরের কাজে সাহায্য করে ঘুমিয়ে যেতাম।
ঘুম ও আসতো না। এই পৃথিবীতে পরিবার বিহীন একা টিকে থাকা অনেক মুশকিল।
কিন্তুু আমি আমার ওই খারাপ পরিবারের সামনে যেতে চাচ্ছিলাম না আর।
আন্টি টা আমাকে তেমন বেতন দিতো না খরচের টাকা ছাড়া। বলতো জমা থাকুক যখন তোর কাজে লাগবে নিস।
এ ভাবে ১ টা বছর পার হলো।
আমি তখন পুরো পরিবার আপনজন সবার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি।

খুবই ঘৃণা চলে এসেছিলো তাদের প্রতি। আমি রাতে ঘুমাতে পারতাম না। মনে হতো আমার সাজানো সংসারে কিভাবে রাজত্ব করছে।
আর মনে হতো আমার প্রিয় মানুষ টা কি একটু ও চিন্তা করছে না আমার কথা। আমার কথা কি একটু ও মনে পরে না।
আমি কিভাবে দিন কাটাইতেছিলাম আমার আল্লাহ জানেন।
এদিকে আন্টির পারিবারিক সমস্যার কারণে আন্টি দোকানটা সেল করে দেয়।
আর তখনি উনার এলাকার একটা বয়স্ক ধনী আন্টি দোকান টা কিনে নেন শখের বসে সময় কাটানোর জন্য।
দোকান কেনার সময় আন্টি টা বলে তুমি থাকো দোকান দেখিও মাঝে মাঝে আমি বসবো। আমার তো এত সময় নাই যে সারাদিন বসে থাকতে পারবো।
ঘর সংসার রয়েছে। আর আমার ছেলেরা ও বকা দিবে।
তখন আমি আন্টির দোকান টা চালতাম।
আর ওই আন্টির বাসায় থাকতাম খেতাম। মাসিক টাকা দিয়ে দিতাম।
এর মধ্যে ওই আন্টি দোকানে অনেক টাকা ইনভেস্ট করে।
উনার ছেলে সৌদি থেকে এসে দোকানের পুরো ডেকোরেশন বদলে দেয়। তাছাড়া দোকানটা উনাদের জায়গার উপরে ছিলো।
তখন উনারা দোকান টা আরো বড় করার জন্য জায়গা টা আরো বাড়িয়ে নেয়।
দোকান টা আগে খুব পরিচিত ছিলো এখন আরো বেড়েছে।
আর আমি সবার সাথে ভীষণ সুন্দর করে কথা বলতাম।
খুব ভালো সেল হতো। আন্টি আমাকে মাসে ১৭ হাজার টাকা বেতন দিতেন।
এদিকে ওই আন্টিরা গ্রামে চলে যাবে তাই আমাকে বাসা ছেড়ে দিতে হবে।
আন্টি টা সে কি কান্না আমাকে নিজের মেয়ের মতো আদর করতো।
তখন আমাকে পাশে একটা রুম নিয়ে দেয় উনি।
আমি থাকার জন্য।
তখন একা একা থাকা শুরু করলাম।
রাতে একদম ঘুম আসতো না। বয়স বাড়ছে জীবন কিভাবে যাবে কত চিন্তা ।
সবাই আমাকে পরিবারের কথা জিজ্ঞেস করতো। আমি বাড়িতে যাই না কেন আরো কত কি..
আমি বলতাম টাকা পাঠাই আরো কত কি বানিয়ে বানিয়ে।
নিজের খারাপ পরিবারের কথা কাউকে বলতে ও ইচ্ছে করতো না।।

চলবে....
খারাপ_পরিবার

Nusrat Huq-

©

তরকারিতে লবন বেশি হওয়ার কারনে শাশুড়ীর হাতে থাপ্পড় খেয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে রূপালী। —'আহা সামান্য লবন বেশি হওয়ার গা...
30/06/2025

তরকারিতে লবন বেশি হওয়ার কারনে শাশুড়ীর হাতে থাপ্পড় খেয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে রূপালী।

—'আহা সামান্য লবন বেশি হওয়ার গায়ে হাত তুলতে গেলে কেন?"

স্বামীর কথায় চোখ রাঙায় বিলকিস বেগম তাকে।রাগী কন্ঠে বলে,

—"তো কি ওকে মাথায় তুলে নাচবো?বিয়ের চার বছর হতে চললো এখনও তার ভুল হবে কেন শুনি?এ খাবার মুখে তোলা যাচ্ছে না! একখানি খাবার নষ্ট হলো ওর জন্য।এটা তোমার কাছে সামান্য ব্যাপার মনে হয়? ওর হয়ে কথা বলার সাহস পাও কই তুমি?"

স্ত্রীর ওমন বাকা কথায় জাকির হোসেন চুপ করে অন্য তরকারি দিয়ে খেতে থাকে।বিলকিস বেগম আরো কিছুক্ষণ রূপালিকে বকে খাওয়ায় মনোযোগ দেয়।
তবে এবেলা রূপালির খাওয়া বন্ধ বলে ঘোষণা করেছেন বিলকিস বেগম।থালাবাসন ধুয়ে নিজের জন্য বরাদ্দ ঘরে যায় রূপালী।বিছানায় অধরা(মেয়ে)ঘুমিয়ে আছে।কেন জানি আবারও কান্না পাচ্ছে ওর।নিরবে চোখের পানি ফেলে।শাশুড়ীর হাতে মার খাওয়া ওর কাছে নতুন না এর আগেও বহুবার হাত তুলেছেন তিনি।যেখানে নিজের স্বামীই গায়ে হাত তোলে সেখানে শাশুড়ী তো,, ভেবেই দীর্ঘঃশ্বাস ফেলে।

রূপালীর রাজিবের সাথে বিয়ে হয় প্রায় চার বছর।একাদশ শ্রেনিতে পড়া অবস্থাতেই রূপালীর বিয়ে দিয়ে দেয়।ভাগ্যে আর পড়াশোনা জোটে নি।মেনে নিয়েছে এসব। বিয়ের প্রথম প্রথম শাশুড়ী ভালো ব্যবহার করলেও আস্তে আস্তে বুঝতে পারে ওর শাশুড়ী মোটেও সুবিধার নয়।কোনো কিছুতে ভুল করলেই গালি দেয় গায়ে হাতও তোলে।বিয়ে ছয়মাসের মাথায় একদিন বিলকিস বেগমের মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছিলো।চুলে অনেক জটলা থাকায় তা ছুটানোর সময় ব্যাথা পান তিনি।ঠাস করে থাপ্পড় লাগান রূপালীর গালে,

—"এই বেয়াদব আমার চুলগুলো সব উগরে ফেলতে চাচ্ছিস?ইচ্ছে করে এমন করেছিস তাই না যাতে আমি চুলে ব্যাথা পাই!অসভ্য, বেহায়া মেয়ে কোথাকার। ভালো শিক্ষা নেই!"

আরো কত কি।রূপালী গালে হাত দিয়ে মাথা নিচু করে শুধু চোখের পানি ফেলতে থাকে।শাশুড়ীকে কিছু বলতে না পারলেও স্বামী রাজিবকে এ বিষয়ে জানালে ফলাফল শূন্য। আরো ওরই দোষ খুঁজে।বলে,

—"তুমি আস্তে আস্তে চুলের জটলা ছাড়াতে তাহলেই তো হত। নাকি আমার মায়ের চুলকে হিংসা করে ইচ্ছে করে এমন করেছো?"

রূপালী তখন অবাক চোখে রাজিবের দিকে তাকিয়ে ছিলো কিছু বলার মত খুজে পাচ্ছিলো না।তাই এবারও যে কিছুই বলবে না তা ও ভালো করেই যানে।

এসব ভাবতে ভাবতে চোখ লেগে গেছিলো ওর কারো চিৎকার করে ওর নাম ধরে ডাকায় তরি গরি করে উঠে বসে।তানজিলা (ননদ)ডাকছে ওকে।তাড়াতাড়ি রুমের বাহিরে আসে।

—"কি হয়েছে তানজু?ওমন করো ডাকছো কেন?"

তানজিলা বলল,

—"তো কি করবো?তোমায় না বলেছিলাম আমি বিকালের নাস্তায় চিকেন ফ্রাই খাবো কই তা?"

রূপালী জবাবে বলে,

—"আমার মনে ছিলোনা। আসলে শরীরটা খারাপ তো তাই। কাল বানিয়ে দি?"

তানজিলা তাচ্ছিল্য করে বলে,

—"বেশ বুঝতে পেরেছি আমার কথার কোনো মূল্যই নেই এবাড়ির কারো কাছে।এখনই এ অবস্থা বিয়ের পড়ে তো এবাড়ি আসাই যাবে না।"

তানজিলার জোরে জোরে কথা বলার শব্দে বিলকিস বেগম নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে আসে,

—"কি হয়েছে তোর ওমন চিৎকার চেচামেচি করছিস কেন?"

তানজিলা ওনার কাছে যেয়ে কান্না করতে করতে বলে,

—"ভাবিকে বলেছিলাম আমার জন্য একটু চিকেন ফ্রাই করতে। ভাবি বলে সে নাকি পারবে না কাল বানিয়ে দিবে।আর আমার এতো ফাইফরমাশ কাটতে পারবে না!আমার কাজ যেন আমিই করি!"

ব্যাস বিলকিস বেগম রেগে আগুন। নানা ধরনের গালি দিতে থাকে রূপালীকে।রূপালী মুখ বুঝে সব সহ্য করে নেয়।তানজিলার দিকে ফিরে বলে,

—"যা বলেছো তার অধিকাংশই মিথ্যা সেটা তুমিও যানো।এভাবে কথা না শুনালেও পারতে!"

বলেই রান্নাঘরের দিকে যায়।যেতে যেতে শুনতে পায় তানজিলার কথা,

—"দেখেছো আম্মু আমায় মিথ্যাবাদি বললো।এর জবাব আমার চাই কিন্তু।"

—"দাড়া না তোর ভাইকে আসতে দে দেখবি আনে কিভাবে শায়েস্তা করি এই বেয়াদব টাকে।"

ফিসফিস করে বলেন বিলকিস বেগম।.
রাত আটটার দিকে রাজিব অফিস শেষ করে বাড়ি ফিরে।নিজেদের রুমে ঢোকার আগেই বিলকিস বেগম বিষবাক্য শুনায় রূপালীর নামে। সাথে আরো অনেক কিছু যোগ করে বলে।তানজিলা কান্না করতে থাকে।

অফিস থেকে ফিরে এমন কথা শুনে রাজিবের মাথায় আগুন ধরে যায়।রেগে গটগট শব্দ করে নিজেদের রুমে যায়।রূপালী তখন অধরাকে বর্নমালা পড়াচ্ছিলো।রাজিবকে দেখেই বাবা বলে দৌড়ে রাজিবের কাছে যায়।তবে রাজিব অধরাকে ধরে না বলে,

—"মামনি দাদা তোমায় ডাকছে যাও তার কাছে।"

বাবা না ধরায় মন খারাপ হয় অধরার তবে দাদা ডাকছে শুনে দৌড়ে বাহিরে চলে যায়।অধরা যেতেই রাজিব রূপালীকে বলে,
—"কি বলেছো তানজিলাকে?"

রূপালী জানতো এমন কিছুই হবে।তাই নির্ভয়ে সব কথাই বলে।

—"আর কিছু বলো নি?"

রাজিব প্রশ্ন করে ওকে।রূপালী না বললে।রাজিব হিসহিসিয়ে তেড়ে গিয়ে রূপালীর চুলের মুঠি ধরে বলে,

—"একে তো আমার বোনকে বাড়ি থেকো চলে যেতে বলেছিস তারউপর আবার মিথ্যা বলেছিস এতো সাহস পাস কই তুই?"

—"রাজিব ছাড়ো ব্যাথা পাচ্ছি। আর আমি তানজুকে এসব বলি নি বিশ্বাস করো ও মিথ্যা বলছে।"

রাজিব ওকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে বলে,

—"ও আচ্ছা! তাহলে আমার মাকেও মিথ্যাবাদী বানিয়ে দিলি।সবাই মিথ্যা বলছে আর তুই সত্যি বলছিস তাই না।"
বলেই লাথি মারে রূপলীর কোমড়ে।রূপালী ওমাগো বলে চিৎকার দিয়ে কেদে ওঠে।
বিলকিস বেগম,তানজিলা,জাকির হোসেন, অধরা সবাই ওদের রুমে আসে।রূপালীকে ওভাবে পরে থাকতে দেখেও বিলকিস বেগম আর তানজিলা আগায় না। মুখে তাদের শয়তানি হাসি।

জাকির হোসেন রাজিবকে রাগী কন্ঠে বলে,

—"কি হচ্ছে এসব রাজিব?মারছো কেন ওকে?"

বিলকিস বেগম ওনাকে বলে,

—"নিশ্চয়ই কোনো আকাম করেছে ও। না হলে অফিস থেকে আসতে না আসতে এমন করবে কেন?তার তুমি এসবের মাঝে কথা বলছো কেন রুমে যাও!তোমার এখানে কি?"
জাকির হোসেন নিজের বউয়ের উপরে কখনো কথা বলেন না বিধায় আজও নিরবে প্রস্থান করে।

#মুক্ত_বিহঙ্গীনি
#নুরিমা_নুর
#সূচনা_পর্ব
(সংগ্রহ করা)

আমি একজন প্রেগন্যান্ট মহিলা।আমার শাশুড়ী আমাকে এই অবস্থায়ও রেখে সপ্তাহে সপ্তাহে মেয়ের বাসায় গিয়ে ২-৩ রাত থাকে।শরীর খারাপ ...
28/06/2025

আমি একজন প্রেগন্যান্ট মহিলা।আমার শাশুড়ী আমাকে এই অবস্থায়ও রেখে সপ্তাহে সপ্তাহে মেয়ের বাসায় গিয়ে ২-৩ রাত থাকে।শরীর খারাপ থাকে খুব তাই অনেক কষ্ট হয় কাজ করতে।আমি একা বাসায় থাকলে মাঝে মাঝে না খেয়ে থাকি।কিন্তু দেবর আছে।হাজবেন্ড সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে।

আমি ব'মি করলেও উনি না দেখার ভান করে।বলে সবারই এমন হয়।বেশি খারাপ লাগলে যদি বলি তাহলে উনি বলে উনার শরীর আরও বেশি খারাপ।(উনার শুধু প্রেশার আর ডায়াবেটিস এর হালকা সমস্যা।তাও মেক্সিমাম সময়ই নরমাল থাকে)

গত সপ্তাহেও ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করে ডক্টর দেখাইছে কোন সমস্যা নাই।উনার ছেলেরা রাগ করে যে অসুখ নাই তাও অসুখ অসুখ করে।আমি বরং বলি এই বয়সে রেগুলার চেকাপ করতে হয়।

গত সপ্তাহে আমার বমি করতে করতে প্রেশার লো হয়ে গেছে।৭০-৮০/৪০-৫০ এমন।এই অবস্থা দেখেও উনি মেয়ের বাসায় চলে গেছে।আমার হাত কে" টে গেছে শুনেছে তাও কোন প্রতিক্রিয়া নেই।দেখাইলে কিছু বলে না।

আজকে উনার সেম ভাবে হাত কা'ট' ছে কি যে করতেছে বলার বাহিরে।আমি বেন্ডেজ করে দিছি।অথচ আমার কা' টা হাত এখনো ভালো হয়নি।আমার ননাসের বাচ্চা হওয়ার সময় সব কাজ আমার শাশুড়ী করছে, কাজের বুয়াও বলে।আর আমাকে উনি বলে আমি কেন করতে পারি না।

আমাকে ডক্টর জার্নি করতে নিষেধ করছে প্রথম ৩ মাস।তাই বাবার বাসায় যেতে পারছি না।সামনের সপ্তাহে আব্বু আম্মু এসে নিয়ে যাবে।এখন আমার ননাস বলে ৩ মাসের পর শরীর ভালো লাগবে তখন কাজ করার ভয়ে নাকি চলে যাচ্ছি।

উনার মা কে খাটিয়ে মা' র'তেছি।আমার শাশুড়ী এখনো আমার ননাসের বাসায় যায় কাজ করার জন্যই।তাও সারাক্ষণ মেয়ের কষ্টের কাহিনি বলবে।মেয়ের শশুড় শাশুড়ী গ্রামে থাকে।এসে যদি ১৫ দিনও থাকে মেয়ে সারাক্ষণ ফোন দিয়ে বিরক্ত হওয়ার কাহিনি শুনায়।এ কেমন মানুষ! এই কোথায়ে এসে পড়লাম আমি কেউ কি বলতে পারেন ??

বাংলার ঘরে ঘরে একই কাহিনী।
(সংগ্রহ করা)

আকাশ এমন লাল কেনো?
26/06/2025

আকাশ এমন লাল কেনো?

পরিবারের বিশ্রী পলিটিক্সের স্বীকার হচ্ছেন?পৃথিবীতে সবচেয়ে বেসি মাইন্ড গেইম খেলা করেন বাবা মায়েরা।অথচ এই সমাজ সর্বদা সন্ত...
26/06/2025

পরিবারের বিশ্রী পলিটিক্সের স্বীকার হচ্ছেন?
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেসি মাইন্ড গেইম খেলা করেন বাবা মায়েরা।অথচ এই সমাজ সর্বদা সন্তান কে অপরাধী বানায়। বাবা মায়ের বয়স হয়েছে মানে উনারা যেটা বলবেন বা করবেন সেটাই ১০০% সত্য।তারাও ভুল করেন বা করতে পারেন এটা মানতে চাইনা।সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট , ভার্বাল এ‍্যাবইউজমেন্ট বাজে ব‍্যবহার , ইমোশনালি হ‍্যারেজ হচ্ছেন , মাইন্ড গেইম এসব কিছুর মধ‍্যে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিবাদ করলেই আপনি খারাপ।
বাবা মা খুব ভাল করে জানেন কোন সন্তানের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া যায় আর কাকে তোষামোদ করে চলতে হয়।মানুষ ৬০ বছর বয়সে বুঝতে পারে জীবনে সত্যিকারে সম্পর্ক কোনটা ছিল।সৌভাগ্যক্রমে অনেকেই যৌবন পেরুতেই সেই সম্পর্ক বুঝতে পারে।হাজারো সন্তান জীবনের সবটুকু সঞ্চয় বাবা মায়ের হাতে দিয়ে সার্টিফিকেট পায় কিছুই করোনা আবার অনেক সন্তান কিছু না করেও সেরা সন্তানের সার্টিফিকেট অর্জন করে।অনেক সময় এক সন্তান কে সামনে রেখে মানুষের কাছে গল্প বলবে আমার অমোক সন্তান এটা করে ওটা করে। এই সেই বহু সুনাম।আর যে সামনে দাঁড়িয়ে থাকে তাকেও একটু ছোট করতে দ্বিধা করেনা। মানে তাকে অন্যের থেকে একটু হলেও ছোট করে রাখতে হবে।আর সেই মানুষটা নিরবে এগুলো সয্য করতে করতে একদিন দূরত্বের সীমান্ত পেরুতে থাকে।
যাদের সাথে এইগুলো হয় শুধু তারাই এটার ভুক্তভোগী।প্রতিবাদ করলেই তুমি খারাপ।
আল্লাহাতালার পরেই পৃথিবীতে মা বাবার সার্পোট নিয়ে সন্তান পথচলে।বাবা মা যখন শত্রু হয় তখন পথচলা সহজ হলেও হৃদয় টা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। আর ক্ষত-বিক্ষত হৃদয় নিয়ে পুরোপুরি শ্রদ্ধা আসেনা।দুনিয়ার সবার কাছে নির্বিশেষে যে ভালো সে পজেটিভ পারসন নয় , সে হিপোক্রেট।
আমার জীবন থেকে শিখেছি পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ সম্পর্ক স্বামী স্ত্রী। বাকি সব মিথ্যা।যে একজন সঠিক মানুষ পাইনা তার কপাল পোড়া।যে সঠিক জীবন সঙ্গী পেয়েছে তার বেঁচে থাকার জন্য পৃথিবীতে আর কারোর প্রোয়জন হয়না🥰
✍️ মওদুদা জিন্নাত নিতু
২২-০৬-২০২৫
(সংগ্রহ করা)

 #স্বরণে_স্বর্ণযুগের_অভিনেতা -  #নায়করাজ_রাজ্জাকনায়করাজ রাজ্জাক। দেশের খ্যাতিমান সাংবাদিকগণ তাকে এই বিশেষণ এ ভূষিত করেন।...
25/06/2025

#স্বরণে_স্বর্ণযুগের_অভিনেতা -
#নায়করাজ_রাজ্জাক

নায়করাজ রাজ্জাক। দেশের খ্যাতিমান সাংবাদিকগণ তাকে এই বিশেষণ এ ভূষিত করেন। শুরুটা ছিলো কলকাতায়। সেখানকার মঞ্চে কাজ করেছেন। তারপর টুকটাক কাজ করেছেন চলচ্চিত্রে।

কলকাতা থেকে ঢাকায় চলে আসেন ১৯৬৪ সালে। কিছু একটা করবেন বলে। তখন তার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতার প্রোডাকশন হাউজে নিয়মিত যাতায়াত করতেন অভিনয়ের জন্য। কেউই সু্যোগ দেননি। তাদের নাম অবশ্য রাজ্জাক বলতে চাননি। পরিচালক আবদুল জব্বার খান প্রথম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। রাজ্জাক বলেন,
তিনিই বেঁচে থাকার জন্য তার চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইকবাল ফিল্মস এ আমাকে একটি চাকরি দেন। ১৯৬৫ সালে ইকবাল ফিল্মস এর চাকরি ছেড়ে দিয়ে পরিচালক কামাল আহমেদ এর সহকারী হলাম। বেঁচে থাকার জন্য সেই সময় আমাকে অতিরিক্ত শিল্পী কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করতে হয়েছিলো। চলচ্চিত্রে আমার আগমন ১৯৬৪ সালে অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে "উজালা" ছবিতে। ১৯৬৬ সালে জহির রায়হান তার "বেহুলা" ছবিতে সু্যোগ দেন সুচন্দার বিপরীতে। ছবিটির ব্যবসায়িক সাফল্য আমার ক্যারিয়ারকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। চিত্রজগত এ প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পেছনে পরিচালক কামাল আহমেদ ও পরিচালক জহির রায়হান আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। " আনোয়ারা, আগুন নিয়ে খেলা, সংসার, আবির্ভাব, এতটুকু আশা, ময়নামতি, মনের মত বউ, নীল আকাশের নীচে, আগুন্তুক, ছদ্মবেশী, যোগ বিয়োগ, পিতা পুত্র, জীবন থেকে নেয়া, পীচ ঢালা পথ, যে আগুনে পুড়ি, পায়েল, টাকা আনা পাই, মধু মিলন, অধিকার, নাচের পুতুল, ছন্দ হারিয়ে গেলো, স্লোগান, আলোর মিছিল, নাজমা, খেলাঘর, কি যে করি, সখি তুমি কার, রজনীগন্ধা, বাবা কেন চাকর " ইত্যাদি রাজ্জাকের উল্লেখযোগ্য সিনেমা। কবরীর সাথে জুটি বেধে গড়ে তোলেন রাজ্জাক- কবরী জুটি। পরবর্তী সময়ে তিনি প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবেও সফল হন। জাতীয় পুরস্কার সহ ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার এ।
২০০১ সালে এক সাক্ষাৎকার এ রাজ্জাক বলেন, " এখনো পর্যন্ত তিন শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছি। ৩৫/ ৩৬ বছর আগে জহির রায়হানের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি একদিন বললেন, কয়েকটা দিন অপেক্ষা করো, তোমাকে ভালো একটা রোল দেবো। "বেহুলা" ছবিতে তিনি নায়ক হিসেবে কাস্ট করার কথা জানাতেই উৎফুল্ল হলাম। তখন কমলাপুর এ নিম্নমানের বাসায় ভাড়া থাকতাম। লক্ষীর কাছে "বেহুলা" ছবির কথা জানাতেই উড়িয়ে দিলো সে। নায়ক-টায়ক হওয়া চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। কিন্তু কিন্তু সত্যি সত্যি ঐ ছবিতেই নায়ক হলাম।"

পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা, বাচসাস পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
২০১৭ সালের ২১ আগস্ট পরপারে পাড়ি জমান বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী এই অভিনেতা।
©Niaz Morshed.



25/06/2025

মাঝ রাতে নিজের ঘর্মাক্ত স্বামীকে বড় বিধবা জা'য়ের ঘর থেকে এলোমেলো অবস্থায় বের হতে দেখে ঠিক কি রকম প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত তা যেন এই মুহূর্তে ভুলেই গেছে প্রভাতি! নির্বাক হয়ে শুধু দেখছে মানুষটার বলিষ্ঠ শরীরে মাত্র লাগিয়ে আসা চিহৃ,বোঝাই যাচ্ছে খুব চট জলদি বের হয়েছে কাজ শেষ করে যাতে কেউ জানতে না পারে আর তাই তো গায়ের এলোমেলো পোশাক ও ঠিক করে আসতে পারেনি! কিন্তু ভাগ্য হয়তো সহায় ছিলো না তাই না হাতে ধরা পড়ে গেল!

ধরা পড়ে গেছে? আদৌ কি এমনই! না প্রভাতি তো জানতো এই বিষয়ে আগে থেকেই কিন্তু কখনো তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেনি কারন তাতে সমস্যা বাড়তো, সংসারে জটিলতা সৃষ্টি হতো! তারা অস্বীকার করতো , উল্টো আমার উপর আরোপিত হতো সংসার বিচ্ছেদের বদনাম ! লোক মুখে রটিত হতো বিধবা জা''য়ে'র প্রতি হিংসা করেই এরকম মিথ্যা কথা রটাচ্ছি, মৃত ভাসুরে'র সন্তানদের দায়িত্ব না নেওয়ার জন্য‌ই এই পরিকল্পনা রচিত হয়েছে! তাই তো হাতে নাতে ধরার অপেক্ষায় ছিলাম কিন্তু তাতে কি হতো?

এক বছরের জানা শোনার পর বিয়ের আসরে বসে ছিলাম আমি প্রভাতী মিনহাজ আবদুল্লাহ আল রাফি'র সাথে! পারিবারিক ভাবে ঠিক হ‌ওয়া বিয়েটা আমাদের জন্য‌ই এক বছরের সময় দেওয়া হয়েছিলো যাতে একে অপরকে জানতে পারি,বুঝতে পারি! সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী ই চলছিলো! বিয়েও হলো প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর! আড়াই বছরের একটা মেয়েও আছে! অথচ?

মাস পাঁচেক হলো মাত্র বড় ভাসুর পৃথিবীর মায়া ছেড়ে গেছেন,রেখে গেছেন পরিপূর্ণ এক যুবতী স্ত্রী আর ছয় বছরের একটি ছেলে এবং দুই বছরের একটি মেয়ে! এক কথায় ভরপুর সংসার! আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ির দুই ছেলে এক মেয়ে! মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দুই ছেলে নিয়ে যৌথ সংসার গড়ার ইচ্ছায় উনি দুই ছেলে ব‌উকে নিয়েই এক ছাদের নিচে থাকেন! সুখেই ছিলো সব কিছু! বিয়ে করে এই বাড়িতে আসার পর থেকেই দেখেছি আমার স্বামী আর বড় জা মুক্তার মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব! অনেকে এটাকে ভালো চোখে দেখে তো অনেকেই খারাপ! আমার কাছে কোনরকম লেগেছে তা বুঝতে পারিনি কারন আমি এসব নিয়ে ভাবার ই সময় পাই না! বিয়ের আগে চাকরি করতাম, বাচ্চা হ‌ওয়ার আগ অবধি সেই চাকরি‌ই করতাম তাই ঘরোয়া এইসব বিষয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন মনে করি নি! তাছাড়া আমার শ্বাশুড়ির মতে তাদের মধ্যে ভাই বোনের মতো পবিত্র সম্পর্ক আমিও তাই বিশ্বাস করতাম কারন আমিও তো আমার ছোট ভাই আর বড় ভাবির মাঝে ভালো বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক দেখেছি! সত্যি বলতে আমার ভাবীর কাছে আমরা দুই ভাইবোন হলাম সন্তানের মতোই তাই সেই সম্পর্ক নিয়ে খারাপ চিন্তা করাও আমার জন্য গুনাহ মনে হতো! তাছাড়া আমার স্বামী অথবা জা কে কখনো কোন বাজে অথবা চক্ষুশূল কাজ করতে দেখিনি তাহলে সেই সম্পর্ক নিয়ে কোনরকম বাজে চিন্তা করার মতো বিচ্ছিরি কাজ কেমনে করি!

তবে সব টা যেন হঠাৎ ঝড়ে এলোমেলো হয়ে গেলো।আর সেই ঝড় ছিলো আমার ভাসুরে'র হঠাৎ মৃত্যু! আল্লাহ জানেন কেন এই বয়সে ঐ রকম তরতাজা একজন মানুষ কে নিয়ে গেলেন তবে ( আল্লাহর) তার কোন কাজের কৈফিয়ত চাওয়ার দুঃসাহস তো আমার মতো নগন্য বান্দির নেই তাই আর সেই বিষয়ে কথা না ই বলি।

ভাসুরে'র মৃত্যুতে বাড়ি হলো নির্জন নিরব! সব কিছু কেমন থমথমে হয়ে গেছে ! পৃথিবীর নিয়ম অনুসারে এখন ভাসুরে'র বিধবা আর এতিম শিশুদের দায়িত্ব আমাদের মানে আমার স্বামীর উপর ই বর্তায়! তাতে আমার বিশেষ কোন অসুবিধা থাকার কারন নেই, কারন আমি বাস্তবতা বুঝি! আর হয়তো এই বোঝাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো!

ভাসুরে'র তার স্ত্রী হিসেবে বড় জা যেমন ভেঙে পড়ে, অসহায় হয়ে পড়ে ঠিক তেমনি আমার স্বামী রাফিও বড় ভাইয়ের হঠাৎ প্রয়ানে স্তব্ধ হয়ে যায়! আর এটাই স্বাভাবিক!

হঠাৎ অসহায় হয়ে পড়া দুই নর নারী একে অপরের সহায়ক হতে চেষ্টা করে, আমিও চুপচাপ দেখে যাই, দেখে যাই বললো মিথ্যা বলা হবে সমর্থন করে যাই!হৃদয়ের আত্নীয়,আত্নার আত্নীয় বিয়োগে একে অপরকে শান্তনা দিতে চেষ্টা করে, তার জন্য ই তাদের বেশির ভাগ সময় কাছাকাছি থাকতে হয়। কিন্তু কে জানতো তারা এক অপরের সহায় হতে গিয়ে আমাকে অসহায় করে দিবে! তারা কাছাকাছি থাকতে গিয়ে এতটাই কাছাকাছি হবে যে আমাকেই ছিটকে পড়ে যেতে হবে!

বাড়িতে আজ মিটিং বসেছে! স্বামী মারা যাবার নয় মাসের মাথায় কিভাবে মুক্তা ভাবী গর্ভবতী হয়! তাও পুরো সাড়ে চার মাসের!এত দিন নাকি বুঝতে পারে নাই তাই কাউকে কিছু বলতে পারে নাই কিন্তু হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ অসুস্থ মনে হ‌ওয়ায় শ্বাশুড়ি মা জোর করেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় আর তখনই বিস্ফোরিত হয় পুরো বিষয়টি!

আমার স্বামী বসে আছে আমার শ্বশুরের পাশে,তার থেকে কিছুটা দুরে দাঁড়িয়ে আছে আমার জা মুক্তা! শ্বশুরের সামনা-মুখী হয়ে বসেছেন আমার ননাস রাজিয়া সুলতানা, আর তার স্বামী মোতাহার হোসেন এবং আমার শ্বাশুড়ি মা! আর আমি লজ্জায় চুপ করে বসে আছি নিজ ঘরের খাটের দাসা চেপে ধরে! কি ভাবছেন কাঁদছি? উহু কাঁদছি না ! এরকম বিষয়ে কাঁদার কোন কারন ‌ই নেই! কেন কাঁদবো? কেন কাঁদবো আমি! আমি কি কোন অপরাধ করেছি? আমি তো কেদেঁছিলাম প্রথম দিন! উহ দিন নয়! রাত! প্রথমবার যখন আমার স্বামী আমার গভীর ঘুমের সুযোগ নিয়ে নিজের শরীরের জ্বালা মেটাতে বড় ভাইয়ের বিধবার ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে ছিলো! যখন ঘুম ভেঙ্গে তাকে পাশে না পেয়ে সন্দেহে বশত ভাসুরে'র দরজায় কান পেতে ছিলাম! শুনতে পেয়েছিলাম তাদের সুখ আর্তনাদ! বুঝতে পেরেছিলাম তাদের মনোবাসনা পূরনের সর্বোচ্চ চেষ্টা!

সন্দেহ কেন করেছিলাম? হঠাৎ কি আর সন্দেহ হয়? না! ধীরে ধীরে হয়! যখন ই অনুভব করলাম শান্তনা'র বানী আওড়াতে আওড়াতে তিন মাসের বিধবা ভাবীর সাথে আমার স্বামী প্রেম বানী'ও আওড়াচ্ছে! সকলের কাছে তা কেবল রসিকতা মনে হলেও আমার কাছে তা রস নিগাড়ানো'র প্রথম ধাপ‌ই মনে হয়েছিলো! পৃথিবীর সমস্ত প্রেমিক প্রেমিকাকে পটাতে যেই বাক্য আওড়ায় তা নিশ্চয়ই ভাবীর সাথে আওড়ায় না তাও কিনা সদ্য বিধবা ভাবীর সাথে আবার সেই পুরুষ যদি হয় এক বাচ্চার বাপ! সে যাই হোক দিনদুপুরে তাদের কর্মকান্ড ই আমাকে সন্দেহ বাতিক হতে বাধ্য করেছে। আর তার প্রমান ও পেয়ে যাই সেই রাতে! তবে বুঝতে পারছিলাম ঘটনা একদিনে নয় কারন প্রথম বারেই কেউ এতটা সাবলীল ভাবে কারো ঘরে প্রবেশ করতে পারে না তার মানে প্রায় সময়‌ই এরকম কাজ করা হতো আমার নাকের ডগায় তা আমার মতো নির্বোধ বুঝতে পারে নি আর তার ই খেসারত এখন দিতে হচ্ছে!

আমার স্বামীকে হাতে নাতে ধরেছি তাও আজ প্রায় সাড়ে তিন মাস হয়ে গেছে! তাকে দেখে নিরবে ঘরে প্রবেশ করি,সে কিছু সময় আতংক,ভয় লজ্জায় কিংবা হতভম্ব হয়েই হয়তো দাঁড়িয়ে ছিলো দরজার সামনে! বুঝতে পারেনি বেচারা! তার মানবিক কাজের বহিঃপ্রকাশ যে এমনে ঘটবে,তার মানব দরদী মনের ভেতরের পাতা যে এভাবে আমার
সামনে উন্মোচিত হবে তা হয়তো ক্ষুনাক্ষরে'ও আন্দাজ করে নি!

এর পর থেকে আলাদা হলো আমাদের বিছানা! সে খাটে আর আমি আড়াই বছরের শিশু কে নিয়ে মেঝেতে মাদুর পেতে থাকতে শুরু করলাম! আর যাই হোক অন্যের একবার ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার করার অভ্যাস আমার নাই! রুচিতে কুলোয় না! আর এটা তো আস্তো একটা মানুষ! যদিও এটা প্রথম আমি‌ই ব্যবহার করেছি তবুও এটা এখন আরো একজনের ব্যবহৃত ! বলা যায় আমার বেড়ে রাখা খাবারের মধ্যে হঠাৎ করেই অন্য একজন নিজের নোংরা হাত দিয়ে দিলো সেটা নিশ্চয়ই আমি খাবো না! এটার ক্ষেত্রে ও তেমনি!

তবে তাতে আমার স্বামীর উপর বেশি একটা প্রভাব ফেললো না কারন যত‌ই বলি সেও পুরুষ মানুষ! আর তাদের কাছে শরীরের ক্ষুধা মেটানো'ই জরুরী সেটা হোক হালাল কিংবা হারাম! তার ক্ষেত্রে সেই বানী মিথ্যা হ‌ওয়ার কোন সুযোগ ই নেই।

অবশ্য প্রথম ১৫ দিন সে কিছুটা শান্ত ছিল, একদম আদর্শ স্বামী হ‌ওয়ার প্রচুর প্রচেষ্টা করলো তাতে আমার হৃদয়ে এক চুল পরিমান টনক ও নড়লো না! অবশ্য সে সেই রাত থেকে শুরু করে পরের পনেরো দিন হাজার ভাবে আমাকে বোঝাতে চেয়েছে,তার করা কাজের হাজারটা যুক্তি দেখাতে চেয়েছে , ক্ষমাও চেয়েছে এমনকি দুই চারবার পায়ে ধরেও ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু প্রতিবারই আমি এড়িয়ে গিয়েছি! আমি কোন কথা শোনার বা বোঝার বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখাই নি কারন প্রতিবার ই আমার মন বলেছে একবার যে ঠকাতে পারে সে বারবার পারে! সুতরাং এইরকম বিশ্বাসঘাতক, বেইমান, প্রতারক, ছলনাকারীদের দ্বিতীয় সুযোগ দিতে নেই!আমিও তাই করেছি! তবে ভেবেছি হয়তো শুধরে যাবে কিন্তু তেমন কিছু হলো না‌। বরং পনেরো দিন পরেই সে আমাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারও নিজের কাজে লেগে পড়ে! আর ধীরে ধীরে দূরে সরে যায় আমার মন মস্তিষ্ক থেকে!

দীর্ঘ দেড় ঘন্টা মিটিং চললো তাতেও কোন সুফল পাওয়া গেছে বলে মনে হলো না,এর মধ্যেই সম্ভবত
মুক্তা ভাবীর মা বাবা ও চলে এসেছে।আমি যদিও দেখিনি তবুও বাইরের চিৎকার চেঁচামেচিতে তাদের গলার ও শব্দ পাচ্ছি! তাই ধারনা করেই বললাম।পুরো সময়'টাই থেমে থেমে শুনতে পেলাম আমার ননাসে'র মুখ থেকে নির্গত হ‌ওয়া কিছু বিচ্ছিরি শব্দ যা ছিলো আমার জায়ের জন্য! তার পাশাপাশি নিজের ভাইকে ও দিলো লানত! আর আমার জন্য চিরায়িত শান্তনা'র বানী শুধু শুনতে পেলাম না তাদের কোন শব্দ!

আমি জানি এই সমস্যার সমাধান আপাতত নাই! কারন যত‌ই হোক আপাতত জা মহিলা গর্ভবতী, আর এই অবস্থায় বিচার বলতে যা হ‌ওয়া উচিত তা আমাদের মডার্ন জগতে চলে না। ঐদিকে যত‌ই হোক পেটের বাচ্চাটা এই বাড়ির সম্পদ বলেই আখ্যায়িত হচ্ছে যদিও এটা কেবল বাচ্চাকে বাঁচানোর একটা প্রচেষ্টা জা"য়ের মা বাবা করছে।আমিও অবশ্য তাতেই খুশি কারন যাই হোক এতে ঐ গর্ভে থাকা অবুঝ প্রাণের কোন দোষ নেই। তাছাড়া এমন একটা সময়ে জানাজানি হলো যে এবরশন ও করানো যাবে না ,মা বাচ্চার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে! তাহলে এখন কি হবে? বাচ্চা পেটে থাকতে বিয়ে তো হয় না,আর সবচেয়ে বড় কথা আমার স্বামীর তো ব‌উ আছে! একটা চান্দের মতো বাচ্চা মেয়েও আছে তাহলে? কিভাবে কি হবে! এইদিকে এই কথা যদি বাইরে জানাজানি হয় তাহলে তো এই বাড়ির এত বছরের অর্জিত সম্মান সব ধুলোয় মিশে যাবে! আবার আমার স্বামী মহাশয় গোঁ ধরে বসে আছে,সে বিয়ে করতে পারবে না! কোন মতেই সে তার স্ত্রী সন্তানদের অধিকার ভাগ করতে পারবে না! তার এইসব ছ্যাবলা কথায় আমার পেট ফাটানো হাসি আসছে! মানে শোয়ার সময় মনে হয়নি তার স্ত্রী অধিকার সে ভাগ করছে এখন যখন জানাজানি হলো, বাচ্চার দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপার আসলো তখন তার মনে হচ্ছে অধিকার ভাগ করার যাবে না!

#ভালোবাসা_নাকি_মোহ

#লেখিকা_শেখ_মরিয়ম_বিবি

পর্ব ১
সংগ্রহ করা

একবার আমাদের বাড়িতে আমার এক কাজিন সিস্টার বেড়াতে এলো। বেশ অনেক দিন থাকলো। ও আমার বয়েসী ই। আমার ঐ কাজিন টা চলে যাওয়ার...
25/06/2025

একবার আমাদের বাড়িতে আমার এক কাজিন সিস্টার বেড়াতে এলো। বেশ অনেক দিন থাকলো। ও আমার বয়েসী ই। আমার ঐ কাজিন টা চলে যাওয়ার আগের দিন আমার আব্বু ওকে একটা থ্রি পিস এনে দিলো। তখন আমরা সবে ঝালর দেয়া ফ্রক ছেড়ে থ্রি পিস পরতে শুরু করেছি। বছরের মাঝখানে এভাবে জামা পাওয়াটা খুব রোমাঞ্চকর ছিল। কারণ ঈদ ছাড়া অযথা জামা কাপড় খুব একটা কেনা হত না আমাদের। এরপর কেটে গেলো অনেক দিন। আমার এ এস সি পরীক্ষা শেষে লম্বা ছুটি পেলাম। আত্মীয়দের বাড়ি বেড়াতে লাগলাম। ওই কাজিন দের বাড়ির সাথে আরো কয়েকটা আংকেলের বাড়ি আছে। এক আঙ্কেল এসে আমাকে নিয়ে গেলো। ঠিক হলো সবার বাসাতেই দুই তিন দিন করে বেড়াবো। ওখানে যাওয়ার সময় নিজের অজান্তে আমি আশা করলাম ওই কাজিনের বাড়ি আমি পাঁচদিন থাকবো। আর আমার আব্বুর মত ওই কাজিন এর আব্বু অবশ্যই আমাকে একটি থ্রি পিস কিনে দিবে। কিন্তু সবার বাড়ি বেড়ানো হলেও শুধু ওই আংকেলের বাড়ি আমার এক বেলা খাওয়াও হয়নি। আন্টি এসেছে, কথা বলেছে। কিন্তু আমাকে কখনও বলেননি চলো আমাদের বাড়ি।

এক কাজিন এর বিয়েতে গিয়েছিলাম। বেশ অনেক রাত অব্দি মেয়েদের সাথে মেহেদী পড়ছিলাম স্টেজে বসে। আমার আম্মা সহ আমাকে স্টেজে রেখে যার বাচ্চার বিয়েতে গিয়েছিলাম ওই আন্টি দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ওই আন্টিকে আমার আম্মা ধান দিয়েও চালাইছে। রক্তের আন্টি।

আমার দুই ভাইকে বিয়ে করিয়েছি এক সঙ্গে। আমার আব্বা সরকারি হাই স্কুল এর অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক। দুই ছেলের বিয়েতে সে আয়োজনের ত্রুটি রাখেনি। একজন একজন করে আত্মীয় খুঁজে এনেছেন। এক মামী আছেন দুর সম্পর্কের। তাদেরকেও দাওয়াত দেওয়া হলো। কিন্তু তিনি রাগ করে বসে রইলেন তাদেরকে কেনো গায়ে হলুদের আগেই আসতে না বলে কেবল বিয়েতে আসতে বলা হলো? শেষ অব্দি এলেন।ছেলে, নাতি নিয়ে বিয়ে খেয়ে তিন দিন থেকেও গেলেন। গত মাসে তার এক মাত্র ছেলেকে বিয়ে দিলেন। অনেক আয়োজন করেই। আমার আব্বা আম্মা এইটা জানলেন আমাদের কাছ থেকে আমরা জেনেছি ফেসবুকের কাছ থেকে। এবং আমার ভাই এর বিয়েতে উপস্থিত থাকা অনেককেই দেখছি বিয়ে করছে আমার ভাই গুলা যাদের ছাড়া প্রোগ্রাম ই হবে না ঘোষণা করেছিল। তাদের বিয়ের খবর আমার ভাই দুইটাও হয়তো ফেসবুকের কল্যানেই জানতে পেরেছে।

যে কথাটা আগেও বলেছি "সে আমার বন্ধু আর আমি তার বন্ধু" এই কথা দুটো এক নয়। তেমনি আত্মীয়র ক্ষেত্রেও। সবাই আমাদের আত্মীয় হলেও আমরা সবার আত্মীয় না। এদের মধ্যে কেও কেও হঠাৎ বড়লোক হওয়া, বেশির ভাগ অশিক্ষিত, মূর্খ, অকৃতজ্ঞ এবং অবশ্যই ছোটলোক। এরা আত্মীয়তার মর্যাদা দিতে জানেনা। এরা বিয়েতে গিয়ে শরবত নিয়েও গ্যাঞ্জাম লাগায়। ইসলাম বলে "আত্মীয় স্বজনদের সাথে সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না "! কিন্তু ঐযে আত্মীয় যে আমার ছোট মন টা ভেঙে দিলো, ওই যে আত্মীয় যে আমার আব্বা আম্মাকে বিয়ের ব্যাপারটা জানালোই না, ওই যে আত্মীয় যে আত্মীয়কে বাইরে রেখে ঘরের দরজা আটকে ঘুমিয়ে গেলো এরা কেমন আত্মীয়? এই আত্মীয়রা আবার কোনো বিপদে পড়লেই আমার আব্বার কাছে এসে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। কিন্তু তাদের সুসময়ে আমাদেরকে পাশে রাখতে ভুলে যায়। কিংবা অসম্মান করে।। এদের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রক্ষা করে চলবে লোকে? সবার ই হয়তো এমন সুবিধাবাদী আত্মীয় স্বজন আছে। যদি সুযোগ থাকে এদের হতে একশো হাত দুরত্ব বজায় রাখুন। জানেন তো আত্মীয়র সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা যেমন অন্যায় কেও অপমান করলে তাকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয়া ও অন্যায়। তাদের প্রয়োজন হলে তারা আসবে। আপনি সাহায্য করবেন সাধ্যমত। কিন্তু নিজের উপর চাপ নিয়ে এসব আত্মীয়দের কোনো অনুষ্ঠানে ডাকবেননা। অযথা অতিরিক্ত আপ্যায়ন করতে যাবেননা। সবকিছু লিমিটের মধ্যে থাকলে জীবন নিয়ে অভিযোগ কম থাকে।
(সংগ্রহ করা)
゚viralシ #গল্প

গুড্ডুর আলাদা ঘর লাগবে বাবা। ও তো বড়ো হচ্ছে। এভাবে আর কতদিন! আপনি অনুগ্রহ করে যদি বাইরের ঘরে শিফট করেন".. সোমার কথা শুনে...
24/06/2025

গুড্ডুর আলাদা ঘর লাগবে বাবা। ও তো বড়ো হচ্ছে। এভাবে আর কতদিন! আপনি অনুগ্রহ করে যদি বাইরের ঘরে শিফট করেন"..
সোমার কথা শুনে অবাক হয়ে তাকালেন বিভাস। বয়স তো বাড়ছে। আটাত্তরে পা দিয়েছেন কিছুদিন হল।
বাইরের ঘর মানে সোফা- কাম- বেডটিতে !কিভাবে পারবেন! অথচ গুড্ডুর প্রয়োজনটাও ফেলে দেবার নয়।
সত্যিই তো,ফাইভে উঠল। যদিও তৃতীয় একটি বেডরুম আছে,যা সোমার নিজস্ব , ব্যক্তিগত জিনিসে ভর্তি।
রাত দুটো অবধি সেখানেই কি সব খুট খুাট করে সে ল্যাপটপে। সেখানে কি ব্যবস্থা করা যেত না ! কিছুই বললেন না বিভাস। যদিও ফ্ল্যাটের মালিক তিনি, মোটা টাকা পেনশন পান |
সংসারের সিংহভাগ খরচ তিনিই করেন | বিভাসের নামে,সমস্ত ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সও। তাই কারো কাছে হাত পাতার প্রয়োজন নেই তাঁর। তবুও কিছু কিছু কথা না বলাই সৌজন্যতা । নিজেরই ছেলে, বৌমা , নাতি । একসঙ্গে থাকছেন,এতেই মাঝে মধ্যে সংকোচ হয় তাঁর।
রাগ করে ওরা চলে গেলে তাঁর আর রইল কী ! যুথিকা তো মাঝজীবনে তাকে একলা ফেলে চলে গেলেন , তারপর থেকে এদের সাথে জড়িয়ে রয়েছেন |
স্কুল থেকে ফেরার পর নতুন ব্যবস্থার কথা শুনে গুড্ডুর প্রতিক্রিয়া দেখে বিভাসও অবাক। "এটা কেমন ব্যবস্থা মা!"
"কেন,তুই যে বললি".. "হ্যাঁ,বলেছি। কিন্তু আমি কি বলেছি তুমি বোঝোনি।"
রাতে সোফা -কাম -বেডের অনভ্যস্ত পরিসরে ঘুম আসছিল না বিভাসের।হঠাৎ গুড্ডুর গলা।
"দাদু ওদাদু আমার একা শুতে ভয় করছে। চলো,আজ থেকে তুমি আর আমি।" " না,না রে দাদুভাই , তোর মা আবার"....
"আমি থাকতে তোমার কোনো ভয় নেই দাদু । এ নিয়ে আর একটাও কথা নয়।" একটি দশ বছরের ছেলে কথাটা বলছে না আটাশ বছরের যুবক তা বোধগম্য হচ্ছিল না বিভাসের। অবাক হতেও ভুলে যাচ্ছেন।
চোখ দুটো এত বেইমানি করলে তো মুশকিল। ঘুমন্ত গুড্ডুর পাশে শুয়ে অশ্রু আর বাধা মানল না বিভাসের।
অবহেলায় এক ফোঁটা কান্না আসেনি তাঁর কোনদিন । কিন্তুু ভালোবাসার সঙ্গে কে আর কবে জিততে পেরেছে!
+++++++++ এখন বিভাসের পঁচাশি চলছে । বয়সের ভারে ন্যুব্জ দেহ মন দুটোই । একজন সেবিকার আর এক রাধুনীর তত্ত্বাবধানে একা থাকেন ।
বাজার ঘাট রাধুনীর করে সাথে গোটা সংসারের দেখ ভাল । বিভাস কিছুই আর পারেন না।
তন্ময় আর সোমা তিন বছর হলো চলে গিয়েছে তাদের নতুন ফ্ল্যাটে। তাঁকে দেখতে আসার অবশ্য সময় হয় না কারো। তিনমাস পরপর এসে তন্ময় ব্যাঙ্কের টাকা তুলে দিয়ে যায়।
পাঁচ বছর পর পড়াশোনা শেষ করে আজ গুড্ডু আমেরিকা থেকে ফিরছে শুনেছিলেন আগেই | করব না করব না ভেবেও ফোন করেছিলেন সোমাকে |
গুড্ডুকে একবার দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করে। যদি যাবার ইচ্ছা...... এক কথায় নাকচ করে দিয়েছে সোমা ।
"অত দূর থেকে আসছে, ছেলেটাকে কদিন থিতু হতে দিন বাবা। নাতিকে দেখার দিন তো আর আপনার পালিয়ে যাচ্ছেনা।" মনটা খারাপ তাই বিভাসের।
একটা বই পড়ার চেষ্টা করলেন। রেখে দিলেন। চোখে অনেকদিনই ছানি পড়েছে।একা যেতে পারেন না। কেউ নিয়ে যাবে না জানেন। কাকে বা বলবেন? কারো সময় নেই। সবাই নিজেদের কে নিয়ে ব্যাস্ত | বেলটা বেজে উঠল না ?
কে এল এ সময়ে , সকাল তো আটটা সবে। রান্নার মাসি নয়টায় আসে। "দেখো তো সাবিত্রী কে এল।" "দাদাইইইই"..... কী শুনলেন!
পড়ে যাবেন যে খাট থেকে ! গুড্ডুর গলা না... আটাশ বছরের না দশ বছরের সেটা বোধগম্য হচ্ছেনা বিভাসের! "ওরে ছাড় ছাড়,আগে দেখি তোকে ভালো করে, কেমন সাহেব হয়েছিস , হ্যাঁরে, মেমসাহেব বৌ আনবি নাকি".আমার জন্য , চোখে এত জল কোথায় যে থাকে,কই কখনো তো দেখতে পাননা...
"হ্যাঁরে, মা বাবা কই, ওরা আনতে যায়নি তোকে?" " গিয়েছে ,আমি ওদের চোখ এড়িয়ে উবের নিয়ে পালিয়ে এলাম। ভয় নেই, মেসেজ করেছি।
আগে আমি আমার দাদাইএর কাছে আসব , তারপর কথা।" থমথমে মুখে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিল তন্ময় আর সোমা । পুরোনো আমলের ফ্ল্যাটবাড়ি, লিফট নেই।
বেলের আওয়াজ শুনে সাবিত্রী দরজা খুলেছে। "বৌদি,আপনারা!" "গুড্ডু কই!" "ওর দাদুর ঘরে।" ঘরের দরজা ঠেলে ঢুকতেও গিয়েও থেমে গেল সোমা ।
দরজার ফাঁক দিয়ে দেখলো , দাদুর বুকে মাথা রেখে চোখ বুজে দাদুর আদর খাচ্ছে তার গুড্ডু | দাদু ওর মাথায় , পিঠে , শরীরে, চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
"দাদু , ঠিকমতো দেখতেও তো পাওনা তুমি। মোবাইলে আমার ছবি দেখে বলছ এটা কার ছবি! চোখের ছানি কেউ কাটাতে নিয়ে যায়নি?"
"নারে লাগবে না"... "আমি নিয়ে যাব। দিন দুই সময় দাও।জেটল্যাগটি কাটলেই"... " কি রে গুড্ডু ,তুই এখানে চলে এলি ?তোর জন্য কত রকমের রান্না করেছি ,বাড়িতে চল আগে"...
"আমি এখানেই থাকব , এটাই আমার নিজের বাড়ি , দাদুর কাছে", অদ্ভুত এক হিম ঠাণ্ডা চোখে তাকাল গুড্ডু , "তোমরা চলে যাও। বিকেলে গিয়ে দেখা করব। এখন স্নান করে ঘুমোব।"
হতভম্ব সোমার সামনে দিয়ে ট্রলি ব্যাগ দুখানা টেনে নিয়ে পাশের রুমে চলে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল গুড্ডু ।
🙏🙏 সংগৃহীত 🙏🙏

Address

Patuakhali
Patuakhali

Telephone

+8801778698692

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ayyat's vlog posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share