26/07/2025
বিয়ের আগে দ্বীনদার (ধর্মপরায়ণ) মেয়ে যাচাই করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেভাবে দ্বীনদার মেয়ে যাচাই করবেন
১১. নামাজ ও ইবাদতের প্রতি মনোভাব সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কি না। রমজানে রোজা রাখে কি না, সুন্নত রোজা রাখার আগ্রহ আছে কি না। কুরআন তিলাওয়াত করে কি না, এবং এর অর্থ বোঝার চেষ্টা করে কি না।
যাচাইয়ের উপায়:
পরোক্ষভাবে বা বিশ্বস্ত নারী সূত্রে জেনে নিতে পারেন। কখনো কখনো সরাসরি প্রশ্নও করা যায়, যেমন: "আপনি কীভাবে দিন শুরু করেন?" "আপনার প্রিয় সূরা বা আয়াত কোনটি?"
২. পর্দা ও হায়া (লজ্জাশীলতা)
সে পর্দার প্রতি যত্নশীল কি না। কথা বলার ভঙ্গিতে সংযম ও শালীনতা আছে কি না
৩. ইসলামি জ্ঞান অর্জনের আগ্রহ দ্বীনি বই পড়া, ইসলামি বক্তার বয়ান শোনা বা ইসলামি কোর্স করার আগ্রহ আছে কি না।
প্রশ্ন করা যায়:
"সর্বশেষ কোন ইসলামি বইটি পড়েছেন বা কোন ওয়াজ আপনাকে প্রভাবিত করেছে?"
৪. তার বন্ধুমহল ও পরিবেশ বন্ধুরা কেমন? তারা দ্বীনদার কিনা? সে কোথায় এবং কার সঙ্গে সময় কাটায়?
যাচাইয়ের উপায়: যদি তার পরিবার বা বন্ধুদের কারও সঙ্গে পরিচয় থাকে, তাহলে খুব ভালোভাবে অনুমান করা যায়।
৫. পরিবার ও পরিবেশ পরিবার ধর্মপালনে উৎসাহ দেয় কি না। ঘরোয়া পরিবেশ ইসলামি আদর্শে চলে কি না। কারণ: পরিবার অনেক সময় ব্যক্তির চরিত্র গঠনে বড় ভূমিকা রাখে।
৬. তার বিয়ের উদ্দেশ্য সে কি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিয়ে করতে চায়, নাকি শুধুই দুনিয়াবি সুবিধার জন্য?
প্রশ্ন করা যায়:
"আপনার দৃষ্টিতে একটি সফল দাম্পত্য জীবনের মূল ভিত্তি কী?"
সতর্কতাঃ
অতিরিক্ত রোমান্টিক বা খোলামেলা আচরণ করলে তা দ্বীনদারির পরিপন্থী হতে পারে। কেবল বাহ্যিক হিজাব নয়, চরিত্রগত পর্দা ও লজ্জাশীলতাও যাচাই করতে হবে।