30/03/2025
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা নিয়ে শুরু নানা আলোচনা সমালোচনা! অধিকাংশ মানুষের প্রশ্ন, এত অল্প বয়সের ০.১% দৃশ্যমান চাঁদ আদৌ কি দেখা সম্ভব ? তো চলুন এই বিষয়ে বিজ্ঞানিক ও অতীত তথ্য আলোকে আলোচনা করা যাক।
শুরুতে বলে রাখি, ইসলাম অনেক সূক্ষ্ম একটা বিষয়। এটা নিয়ে এত মাতামাতি করা অনুচিত। এর পক্ষে বিপক্ষে গিয়ে সমালোচনা করলে সেটার পক্ষ-বিপক্ষের ফলে কাউকে ছোট ছোট করা হয়ে যেতে পারে, যেটা ইসলামিক দৃষ্টিকটু।
#প্রশ্ন: আদৌ কি এত ছোট চাঁদ দেখা সম্ভব?
উত্তর: জ্বি, হ্যাঁ সম্ভব। তবে সেটা খালি চোখে দেখা যাবে না। অবশ্যই অ্যাডভান্স টেকনোলজি অর্থাৎ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে দেখা সম্ভব। উদাহরণ: ২০১৩ সালের জুলাই মাসের ৮ তারিখে, ফ্রান্স থেকে দুপুর ১ টা ১৪ মিটিতে, টেলিস্কোপে CCD ক্যামেরা ব্যবহার করে সদ্য উদয় চাঁদ যার বয়স ছিল ০১ বা ঘণ্টার কম ও দৃশ্যমান ছিল ০.১% যা সূর্যের খুবই কাছে অবস্থান করছিল সেটা দেখেছিল থায়েরি লেগল্ট। যেটাকে ইতিহাসের সব থেকে ছোট হিসেবে আখ্যায়িত করে রেকর্ড করা হয়।
তাছাড়া ওনার আরও এমন বেশ কয়েকবার চাঁদের ছবি তুলেছেন টেলিস্কোপ ব্যবহার করে। যেমন ২০১০, ২০১৮ (এগুলোর সোর্স লিংক কমেন্টে দিয়ে দিব)
ফলে গতকালকে সৌদিতে যেই চাঁদের পরিস্থিতি ছিল সেটার বয়স ছিল ৫ ঘন্টা এবং দৃশ্যমান ছিল ০.১%, সেটা দেখা সম্ভব। তবে খালি চোখে সম্পূর্ণই অসম্ভব।
#গুরুত্বপূর্ণ: এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা কি আদৌ দেখেছে কিনা! সেটা নিয়ে আমরা মাথা না ব্যথা করলেও চলবে। আমার এই পোষ্টের মানে, গতকাল থেকে বিভিন্ন পেইজ, সংস্থা, মানুষ রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা কথা বলে আসছে যে, এত ছোট চাঁদ টেলিস্কোপের মাধ্যমেও দেখা সম্ভব না। কিন্তু অতীত তথ্যালোকে দেখা যায় এই ধরনের অসম্ভবকে সম্ভব করা হয়েছে বেশ কয়েকবার।
#পরিশেষে: আমি যেটা প্রশ্ন রাখতে চাই সেটা এভাবে চাঁদ দেখা আদৌ কি ইসলামিক নিয়ম ভিত্তিক? তবে যাই হোক, সৌদি চাঁদ দেখেছে কিনা সেটা মুখ্য না। মুখ্য বিষয় বছর ঘুরে একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার মুসলমানদের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর আসছে। সে উপলক্ষে আমরা সমালোচনা নয় চলুন উৎসব উপভোগ ও সঠিকভাবে ঈদ পালন করি।
#চাঁদ #সৌদি