ভালবাসার গল্প

ভালবাসার গল্প ভালোবাসার রং ছড়িয়ে দাও সবার জীবনে

23/01/2023

গল্পঃ প্রিয়া।
লেখা- আজিজুল হক

--তোর যখন এক পুরুষে হয়না, তাহলে কেন আমার সাথে সম্পর্ক গড়তে আসলি?

'রানা ভাষা সুন্দর করো প্লিজ। এখানে অনেক লোকজন আছে। আশাকরি নোংরা মনোভাব এদের সামনে ফুটিয়ে তুলবে না। '

-তোর মতো নিম্নমানের মেয়ের সাথে, সম্পর্কে জড়ানো ছিলো বড় ভুল।

' যাও নতুন করে খুঁজে নাও কাউকে। তার সাথে রিলেশেন শুরু করো। মুক্তি দাও আমাকে, আর নিতে পারলাম না মানসিক যন্ত্রণা।'

-এত সহজে কি তোকে ছেড়ে দেবে! তোকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিবো এর পর তোর মুক্তি।

'যাও তো রানা আমার সামনে থেকে । কোন ঝামেলা করো না। তোমার এলাকায় এসেছি, আজ কোথায় একটু খাতির যত্ন করবা, তা না অপমান করতেছো উল্টো।কোন দিন ও কি তুমি ভালো হবেনা রানা?'

- ভালো ব্যবহার পাওয়ার যোগ্য বলে মনে হয় না তোকে।
তুই এমন মেয়ে ভালোবাসার মানেই বুঝস না ।যে সব সময় নিজের স্বার্থ নিয়ে থাকে, তাকে আমার আর কিছুই বলার নেই।

'প্লিজ রানা চুপ করো। বিয়েতে এসেছি।আজ অন্তত তোমার এই ভাবে আমার সাথে কথা বলা ঠিক হয়নি।'

-শোন প্রিয়া একটা কথা কি জানো ভালোবাসার জন্য একটা মন লাগে, যা তোমার কখনো ছিলো না।হ্যাঁ তোমার রুপ আছে। আর আমি তোমার রুপের প্রেমেই পড়েছিলাম কিন্তু সত্যি আমি ভুল করেছি। প্রিয়া আমার সুন্দর একটা মন দরকার ছিলো।
যা তোমার ভিতর নেই,কিন্তু ভুল আমার ও আছে। আমি মন খুঁজিনি, কারন ভেবেছি সৌন্দর্যই সব। কিন্তু এখন আমি ভুল, আসলে রুপ তো বিলীন হবে সময়ের টানে। কিন্তু মন তো বিলীন হবার নয়, এই সহজ কথাটা আমি বুঝিনাই।

'রানা অনেক অপমান করলা আজ! সত্যি কষ্ট লাগলো। খুব এই যদি হয় ভালোবাসা রানা, তাহলে আমি ঘৃনা করি তোমার এই ভালোবাসাকে।'

--প্রিয়া জীবন কখনোই সুন্দর হয়না। জীবন রঙিন হয়। কখনো কালো, সাদা, লাল।
আর হ্যাঁ তুমি চাইলে আজ থেকে মুক্ত তুমি তোমাকে আর ফেরাতে কখনো চাইবো না। যদি থাকার হয়ে থেকে যেও৷

'অনেক হয়েছে রানা আর না। অনেক কষ্ট দিলা আজ ,এই কষ্ট সীমাহীন।
তবে আমি তোমাকে বলছি রানা। আমি ও তোমাকে ছাড়াতেছিনা। এই জন্য তোমার ভুল এর অবসান হবে। আর তখন আমার কাছে ফিরতে হবে। আর যদি তখন আমাকে না পাও, তুমি হয়তো নষ্ট হয়ে যাবে। জীবনটা অন্য রকম হয়ে যাবে তোমার। কিন্তু এই কঠিন বিপদে আমি তোমাকে ফেলে রেখে সুখী কেমন হবো।
কারন নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি তোমাকে।
তাই তোমার জন্য আমার সব অপেক্ষায়। তোমার ফেরার অপেক্ষায়। কাছে পাওয়ার অপেক্ষা। '

--প্লিজ নাটক বন্দ করো, আমি মরলে ও তোমার কী? মন চায়....

আমার গালে চড় বসিয়ে দিলো। পাশের লোকজন সব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে! রাগ এবং লজ্জা দুটো আমাকে যেন শেষ করে দিচ্ছে।
আমি কিছু না বলে, মাথা নিচু করে চলে আসি ওখান থেকে।পরিচিত লোকজন সবাই তাকিয়ে রইলো।

যাইহোক এইবার শোনেন কে এই প্রিয়া।
প্রিয়া হলো আমার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় আর আমাদের বিয়ে পারিবারিক ভাবেই ঠিক। তাইতো সে জোর দিয়েই বললো, যে তার কাছে আমার ফিরতেই হবে।

আসলে সমস্যার শুরু হয়েছে বেশ কয়েকে দিন ধরে, প্রিয়াকে প্রায়ই ওয়েটিং পাওয়া যায়। আর কিছু বললেই বলে যে, আরে আমার বন্ধবীর ফোন আর না হলে বলবে, বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ডয়ের ফোন।এই সব নিয়েই যত সমস্যা।

আর আজকে আমার খালাতো বোনের বিয়ে। আর এখানে এসেও সে সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছে। আমাকে কোন খবর নিচ্ছেনা।
একা একা বসে আছি। মনটাই খারাপ হয়ে গেছে, এত গুলো মানুষের অপমানে লজ্জায় কান্না আসতেছে।

প্রিয়া আবার কাছে এসে, 'রানা কথা বলো প্লিজ। তাকাও আমার দিকে!
আমার ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা করে দাও। এত গুলো মানুষের সামনে তোমার গায়ে হাত তুলেছি অসলেই বড় অন্যায় করে ফেলেছি আমি। আসলে তোমার কথায় রাগ চলে আসলো। '

--না ঠিক আছে । সমস্যা নেই, এটাই প্রাপ্য ছিলো আমার।

'চুপ করো । মানুষের কথা শুনতে শুনতে আমি এখন ক্লান্ত তুমি চলে আসার পর হাজার প্রশ্ন। কেন আমি তোমাকে চড় মেরেছি?
আমি চুপ করে থেকে এক সময় চলে আসলাম। আমাকে তুমি বাড়ি দিয়ে আসো।
আমি আর নিতে পারছিনা মানুষের এত কথা। অনেকে তো তোমাকে নিয়ে খারাপ ধারনাও করে ফেলছে। আমার ভুলের জন্য তোমাকে এত কথা বলছে যে আমি নিতে পারছি না। সবাই ভাবছে তুমি চরিত্রহীন। মেয়েদের ইভটিজিং করায় চড় দিয়েছে। '

আমি তবুও চুপ করে আছি।

প্রিয়া আবার বলছে, 'আমার কষ্ট হচ্ছে। খুব আর পারছিনা, তোমার নীরবতাকে মেনে নিতে।আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো। আমিও তোমাকে ভালোবাসি। আমাকে নিতে টেনশন করার কিছু নেই। এ জীবনে তোমার না হলে, অন্য কারো হবো না। আমার ব্যাস্ততাও থাকতে পারে। তাই বলে এগুলো নিয়ে এভাবে কথা বলায় রাগ হয়েছিলো।""

--তোমার ইচ্ছায় সব হবে? করার আগে মনে থাকে না যে, এই কাজ কেমনে করি?

"তুমি যা বলবা তাই করবো. তবুও ক্ষমা করে দাও। আমি আর নিতে পারছিনা খুব কষ্ট হচ্ছে। আজ থেকে সব সময় তোমাকেই দিবো। আমার জীবনের সবটাই তুমি। আমার ভুলটা ক্ষমা করে দেও। রাগ করে হাত তুলে ফেলছি। "

হঠাৎ আম্মা এসে বলে,
"রানা আর প্রিয়া দু'জনেই মান সন্মান আর রাখলিনা। তোদের এইসব আচরণ কী এগুলো? এভাবে জীবন পার করবি একসাথে? তোদের একে অপরকে ভালো না লাগলে জানিয়ে দে। কী করছিস এগুলো?

---আসলে আম্মু একটু......

"চুপ কর বেয়াদব, একটা কথাও বলবিনা। আগামীকাল ওই বিয়ে শেষ হলেই পরের দিন তোদের বিয়ে ভেবেছিলাম। যে বড় আয়োজন করে তোদের বিয়েটা দিবো। কিন্তু না তা হবে না সে পথ তোরা রাখিস নি।"

---তোমার যা করার করো, আমার কিছু বলার নেই।

"হুম তোদের আবার কি থাকবে বলার? আমাদের স্বীদ্ধান্ত শেষ... "

--- আচ্ছা আম্মু....

আম্মু প্রিয়ার হাতটা ধরে এখান থেকে চলে যাচ্ছে।
প্রিয়া পেছনে ফিরে একটা ভেংচি কেটে চলে গেলো।আমি দাঁড়িয়ে তাদের চলে যাওয়া দেখছি।
নিজেকে পাগল পাগল মনে হচ্ছে। এজন্য বলে পুরুষ পাগল হলেই বিয়ে করে। ভালো মানুষ কখনো বিয়ে করতে চায় না।

সমাপ্ত.......

ফোঁটা ফোঁটা ভালোবাসা লেখা- আজিজুল হক (AH)সারাদিন কাজ শেষে যখন বাসায় ফিরে কয়েক বার নীলা নীলা বলে ডাক দিলাম, কিন্তু কোন উত...
07/04/2022

ফোঁটা ফোঁটা ভালোবাসা

লেখা- আজিজুল হক (AH)

সারাদিন কাজ শেষে যখন বাসায় ফিরে কয়েক বার নীলা নীলা বলে ডাক দিলাম, কিন্তু কোন উত্তর পেলাম না।
মেজাজ খুব গরম হয়ে গেলো,সারাদিন না খেয়ে কাজ করে বাসায় ফিরে যদি দেখি তালা দেওয়া কেমনটা লাগে!

আম্মু ও বাসায় নেই খালার বাসায় গেছে গত দিন বিকেলে!
নীলা হুট করে কোথায় গেলো,রাজ্যের চিন্তা যেন ভর করেছে আমার উপরে।

নীলাকে ফোন দিলাম,ফোন বেজেই চলেছে রিসিভ করার কোন খবর নেই!
রাগে মেজাজ এতটাই খারাপ হয়ে গেলো যে ধপ করে সিড়িতে বসে পরলাম।

আমার কাছে একটা চাবি ছিলো তালা খুলে বাসার ভিতরে গিয়ে গোসল করে আবার বের হলাম।
কিছু সময় পর নীলার ফোন, ফোন পেয়ে চিন্তা দূর হলেও মেজাজ অতি মাত্রায় গরম হয়ে গেলো।

আমিঃ তোর এত বড় সাহস কি ভাবে হলো যে তুই কিছু না বলে উদাও হয়ে গেলি?
নীলাঃ আপনি একটু শান্ত হন প্লিজ!

আমিঃ প্লিজ! তুই আর এই বাসায় আসিস না তোর মত অবাধ্য বউ আমার দরকার নেই!

নীলাঃ রাগ করবেন করেন সমস্যা নেই আমার কথা আগে শোনেন এর পর না হয় রাগ করেন!

আমিঃ তোর কোন কথা আমার শুনতে ইচ্ছা করনা তুই তোর বাবার বাড়ি যা বাসায় আসার দরকার নেই।

নীলাঃ আমি বাসায় এসেছি আপনি তারাতাড়ি বাসায় আসনে অনেক খুদা লাগছে এক সাথে
খাবো দুজনে!

আমিঃতোর খাওয়া তুই খা,আমার সময় হলে আসবো,। ঘ্যানঘ্যান না করে খাবার খেয়ে ঘুমা।

নীলাঃ এত রাগ দেখিয়েন না তো ভালো লাগছেনা
তারাতাড়ি বাসায় আসেন এর পর রাগ, অভিমান অভিযোগ যা আছে সব ভাঙ্গিয়ে দিবো!

আমিঃ ফোন রাখলাম,বাসায় ফিরবো আমার সময় মতো!

নীলাঃ ওই শোনেন আসার সময় আইসক্রীম নিয়ে আসবেন কিন্তু।

বাসায় ফিরে নীলাকে ডাক দিতেই দরজা খুলে দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো!

আমিঃ এত ভালোবাসা দেখানোর দরকার নেই, আইসক্রীম খেয়ে চুপ চাপ ঘুমাও।

নীলাঃ সব সময় যে রাগ দেখান এইটা কিন্তু ঠিক না আমি আপনার আত্মীয় দের সাহায্য করার জন্যই আপনাকে না বলেই গেছি! আর এই ভুলের জন্য
আমি ক্ষমা চাচ্ছি, আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন।
আপনার চাচাতো ভাই এর বউকে রক্ত দেওয়ার জন্য হাসপাতালে গেছিলাম জরুরী রক্ত লাগবে তাই আমি গিয়ে রক্ত দিয়েছি এর পর এতটা ক্লান্ত যে আপনাকে ফোন দিবো তা আর হয়নাই! কোথায় আপনিকে আমাকে হেল্প করবেন রক্ত দিয়েছি ক্লান্ত তা না আপনি ঝগড়া শুরু করেছেন!

আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ! রক্ত দেওয়া খুব ভালো কাজ আমার বউটা মানুষের উপকার করেছে আলহামদুলিল্লাহ! কিন্তু আমাকে না বলে যাওয়া তোমার ঠিক নেই!

নীলাঃ অবশ্যই আমার ভুল হয়েছে ভাবি এতটা অসুস্থ ছিলো যে শুনে তারাতাড়ি চলে গেছি।
কিন্তু আপনাকে কল দিয়েছিলাম আপনাকে না পেয়ে আম্মুকে জানিয়ে দিয়েছি!
আর আপনার অন্তত একবার হলেও আমাকে না পাওয়ার পর আম্মুকে ফোন দেওয়া উচিত ছিলো।
কিন্তু না আপনি সেটা না করে আমার উপর রাগ করলেন! এত দিন হলো বিয়ের পর আপনার সাথে আছি যদি এত টুকু বিশ্বাস না রাখতে পারেন আমার উপরে তাহলে আর কি বা বলার থাকতে পারে।

আমিঃ বিশ্বাস অবিশ্বাস এর কথা নারে পাগলী তুমি একা বাসায় ছিলা বাসায় এসে যদি না পেয়ে আমার অবস্থা কেমন হয়ে ছিলো একটু বোঝ!

নীলাঃ কিছু বুঝতে হবেনা যা হবার হয়েছে এখন চলেন খাবার খাবেন!

খাবার খেয়ে টেলিভিশন দেখতে ছিলাম নীলা এসে বুকের উপরে শুয়ে পরলো।

জানেন আপনাকে আমি কতটা ভালোবাসি! (নীলা)
আমিঃ হুম অনুভব করতে পারি তো পাগলীটা কতটা ভালোবাসে!
নীলাঃ আগামীকাল আম্মু আসলে আমাকে বাবার বাড়িতে নিয়ে যাবেন?
আমিঃ আম্মু আসুক আগে এর পর ভেবে দেখবো কি করা যায়!
নীলাঃ জানি নিয়ে যাবেন না সব সময় এর মতো একাই যেতে হবে শেষ পর্যন্ত আর আপনি গিয়ে নিয়ে আসবেন এ ছাড়া আর আমার কপালে কি বা আছে!

আমিঃ পাগলীটার কি অভিমান হয়েছে?
নীলাঃ সবাই স্বামী কে নিয়ে বাবার বাসায় বেড়াতে যায় বিভিন্ন যায়গায় ঘোরাঘুরি করে আপনার তো সময় নেই আমাকে নিয়ে একটু ঘোড়ার!

আমিঃ আচ্ছা আম্মু আসলে নিয়ে যাবো এখন চলো ঘুমাবে।অনেক ক্লান্ত তুমি তার উপর প্রথম বার রক্ত দিয়েছো অনেক বিশ্রাম এর দরকার আর সাথে ফল
ও রক্ত উৎপন্ন করে এমন খাবার ও খাওয়া দরকার।

নীলাঃ আরে সমস্যা নেই যার বর রক্ত দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বাইক চালায় তার বউ এর সমস্যা হবেনা ইনশাআল্লাহ!

আসো মোড়া করি অঙ্গীকার,রক্ত দিবো
জীবন ভর!
করিবো মানুষের উপকার,নিবোনা কোন
প্রতিদান!
সমাপ্ত!

বিঃ দ্রঃ রক্ত দান মহৎ কাজ!আসুন সবাই মিলে রক্ত দান করি।মানুষকে রক্ত দান করতে উৎসাহীত করি!
আপনার একটু চেষ্টায় আল্লাহ চাইলে হাসি ফোটাতে পারে মানুষের মুখে!

গল্পটায় নতুন অধ্যায়ের শুরু হলো!লেখা-আজিজুল হক (AH)পর্ব- চতুর্থ তথা শেষমীরা আর কোন কথা না বলে চুপ হয়ে থাকলো।আমরা শহরে পৌ...
06/04/2022

গল্পটায় নতুন অধ্যায়ের শুরু হলো!

লেখা-আজিজুল হক (AH)

পর্ব- চতুর্থ তথা শেষ

মীরা আর কোন কথা না বলে চুপ হয়ে থাকলো।
আমরা শহরে পৌঁছে গেছি মীরা বাইক থেকে নেমে
আমাকে কিছু না বললে হন হন করে চলে গেলো।
আমি একা একা দাড়িয়ে আছি, এমন সময় আমার এক বান্ধবী আসলো অনেক দিন পর দেখা তাই পাশের রেস্টুরেন্টে বসেই তার সাথে আড্ডা দিতে লাগলাম।

মীরা কল দিয়েছে দুইবার খেয়াল করিনাই।
আবার ও কল দিয়েছে....
ফোন রিসিভ করেই বললাম...হ্যা মীরা বলো?
মীরাঃ আপনার বাইক এর কাছে আসেন?
আমিঃ তুমি বাইক এর পাশের রেস্টুরেন্টে আসো!

মীরা এসে আমাদের দেখে মূহুর্তেই মুখটা কালো হয়ে গেলো।
মীরা কি নেবে কফি না ঠান্ডা?

মীরাঃ আমি কিছুই নিবোনা,আপনার খাওয়া হলে চলেন!

ওহ মীরা পরিচিত হয় আমার বান্ধবী তিন্নি!

মীরাঃ আসসালামুয়ালাইকুম! আমি মীরা, আপনার বন্ধুর হবু বউ।

তিন্নিঃ আমি তিন্না রায়হান! আপনার হবু বরের বান্ধবী।

মীরাঃ কি হলো চলেন তারাতাড়ি!
আমিঃ হুম চলো তাহলে, তিন্নি পরে কথা হবে সময় করে ফোন দিস এখন যাই।

মীরাঃ এত এত মেয়ে বান্ধবী কেন আপনার, বিয়ের পরে এত এত বান্ধবী থাকা চলবেনা!
আমিঃ দেখ মীরা নিজের সীমানা অতিক্রম করোনা,
আর তুমি আমার কিসের হবু বউ? তখন কিছু বললে
তোমাকে ছোট করা হবে এই জন্য চুপ ছিলাম। চাইলেই আজ তোমাকে ছোট করতে পারতাম কিন্তু তোমাকে কোন এক সময় ভালো বাসতাম এই জন্য কিছুই বললাম না।
মীরাঃ শোনেন বউ তো আপনারই হবো, আপনি দেখে নিয়েন।
আর আপনার জন্য একটা পাঞ্জাবী কেনার জন্য শহরে আসছিলাম, পাঞ্জাবী পরেই আপনি বিয়েতে যাবেন। যদি এই পাঞ্জাবী না পরেন তাহলে যে আজকে কি ঘটনা ঘটবে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না!

আমিঃ মীরা বেশি জেদ ভালোনা আজকের জন্য শুধু তোমার কথা শুনলাম!
আজকের পর থেকে তুমি আর আমাকে খুজেও পাবেনা।
যতই খোজনা কেন কোন কাজ হবেনা তাই আজকে
তোমার কথাটা রাখলাম।

তৈরী হয়ে সবাই যে যার মতো গাড়িতে উঠেগেছে
মীরা দাড়িয়ে আছে আমার সাথে গাড়িতে যাবে, সাথে মীরার ভাই ও আছে রাকিব এর আম্মুর কথায় দুইজনকেই সাথে নিলাম
মীরার ভাই থাকায় মীরা তেমন একটা কথা বলতে পারছেনা লুকিং গ্লাসে তাকিয়ে দেখি মীরা রাগে লাল হয়ে আছে।

রাকিব এর শশুর বাড়ি পৌঁছে গেটে কিছু সময় বেয়ান দের সাথে মজা করে ভিতরে গেলাম।
বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলো সবার মধ্যেই খুশির অন্যরকম একটা আমেজ!

নতুন ভাবিকে নিয়ে বাসায় ফিরতে অনেক রাত হয়ে গেলো। রাকিব কে বাসোর রুমে পৌঁছে দিয়ে আমি বাসায় চলে আসি।
বাসায় এসে ঘুম দেই সকালে বেড থেকে উঠতে পারছিনা শরীরে অনেক জ্বর আম্মু আব্বু কেউ বাসায় নেই তার গত দিন রাতে ফুফির বাসায় গেছে!
কোন রকম উঠে একটা মেডিসিন খেয়ে আবার ঘুম।

রাকিব ফোন দিয়েই যাচ্ছে। রিসিভ করে শুধু বলেছি ভাই অনেক অসুস্থ বাসায় ও কেউ নেই আগামীকাল সকালে আসবো ইনশাআল্লাহ!
বলেই কল কেটে দিয়েছি!

কিছু সময় পরেই মীরার কল শরু সাত বারের সময় কল রিসিভ করলাম।
আপনার নাকি খুব জ্বর? (মীরা)
আমিঃ হ্যাঁ অনেক জ্বর!
মীরাঃ বাসায় কি কেউ নেই?
আমিঃ না কেউ নেই আগামীকাল সুস্থ হলে আসবো ইনশাআল্লাহ!
মীরাঃ আমি কি আপনার বাসায় আসতে পারি?
আমিঃ তুমি কি আসলেই পাগল? এত ইগনোর করি এত রাগ দেখাই তবুও কি পেয়েছে আমার মধ্যে?
মীরাঃ দেখুন যা হয়েছে সব ভুলে জান ভুল আমার ও ছিলো আপনার ও ছিলো।
কিন্তু আমি আপনাকে সত্যি ভালোবাসি!
তাই আপনাকে ঘিরেই আমার যত স্বপ্ন!
আপনাকে আর হারাতে পারবোনা, আমাকে একটা শেষ সুযোগ দিন প্লিজ!
আমিঃ আচ্ছা ভেবে দেখবো সমস্যা নাই!
মীরাঃ অনেক অনেক ভালোবাসি পাগল!

জ্বর ছেড়েছে তাই উঠে খাবার খেয়ে আবার শুয়ে পরলাম। ঘুম ভাংলো রাকিব এর কলে।

আমিঃ রাকিব বল?
রাকিবঃ মীরার সাথে তোর সম্পর্ক ছিলো তুই আমাকে বললিনা কেন?
আমিঃ আরে আমি কি জানতাম ও তোর বোন।
আর সম্পর্ক তো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।
কিন্তু তুই এই সব শুনলি কেমনে?
রাকিবঃ মীরা একটু আগে সব বলেছে আমাকে।
ভাই তুই কি ওকে বিয়ে করবি? তাহলে আমি সব ব্যবস্থা করে দিবো!
আমিঃ দূররর পাগল হয়ে গেছিস?
রাকিবঃ আমার কথাটা রাখ ভাই অনেক ভালো থাকবি মীরার সাথে আমার বোন বলে বলছিনা
অনেক ভালো একটা মেয়ে!
আমিঃ আচ্ছা তোর বৌ ভাতের অনুষ্ঠান শেষ হোক এর পর তুই আম্মুকে বলিস আর আম্মু তো যাচ্ছেই আগামীকাল তোদের বাসায় তখন সময় করে পরিচয় করিয়ে দিস!
রাকিবঃ তার মানে তুই রাজি?
আমিঃ সারাজীবন শালা বলেই ডাকলাম এখন না হয় সত্যি সত্যি শালা বানিয়েই নেই!
রাকিবঃ আমি আসতেছি তোকে নিতে।
যত অসুস্থ থাক শারির সমসা নেই,মীরাতো আছো তোর সেবা করার জন্য।
আমিঃ পাগল হয়ে গেছিস তোর বাসা ভর্তি মেহমান তাদের সামনে ওর আমার সাথে কথা বলাও উচিত না।
রাকিবঃ তুই হয়তো জানিস না আমার যত ভাই বোন আছি সবার মধ্যে মীরা হলো সবার নয়নের মনি,
আর ওর কথার গুরুত্ব আছে সবার আছে।
মীরা আম্মার আম্মুকে ও সব খুলে বলেছে এখন আর কেউ কিছুই মনে করবেন।আম্মু তোকেও ছেলের মতোই জানে।
আমিঃ তোর আসতে হবেনা সন্ধ্যায় আমি আসবো সমস্যা নেই।

সন্ধ্যায় রাকিব দের বাসায় গেলাম, সবাই কেমন করে জানি তাকাচ্ছে আমার দিকে, লজ্জাও লাগতেছে কিন্তু কি আর করা।

মীরাঃ আপনি আমার সাথে সাথেন আপনার সাথে আমার কথা আছে!
আমিঃ দেখ আম্মু তোমাকে পছন্দ করলে আর দুই পরিবারের সবাই রাজি থাকলে তোমাকে বিয়ে করতে আমার কোন সমস্যা নেই!
মীরাঃ ইনশাআল্লাহ! সব হবে।
এখন চলেন আপনাকে নানুর সাথে আর আম্মুর সাথে পরিচয় করেই দিবো।

মীরার আম্মু,নানু আরো আত্মীয়দের সাথে পরিচয় হলাম।
মীরার আব্বু বাহিরে থাকে তাই সে এই বিয়েতে নেই।

পরের দিন আম্মু আব্বু ও আসলো রাকিব দের বাসায়।
রাকিব এর আম্মু, আব্বু আম্মুকে আলাদা রুমে ডেকে নিয়ে গেলো মীরার আর আমার বিষয়ে কথা বলতে।

কিছু সময় পরে আমাকে আর মীরাকে ও ডাকা হলো
মীরা তাদের কে সালাম করলো।

আব্বুঃ তুই রাজি থাকলে আমাদের কোন আপত্তি নেই, তুই কি রাজি?
আমিঃ সারাজীবন বলছি রিলেশন যতই করি বিয়ে আপনাদের মতামতেই হবে তাই আপনাদের পছন্দ হলে আমার কোন আপত্তি নেই!
আব্বুঃ তাহলে শীঘ্রই বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে এখন তুমি আসতে পারো।

আমি চলে আসলাম পিছনে মীরাও আছে।
আলহামদুলিল্লাহ! শেষ পর্যন্ত আপনাকে
আমার করে পাচ্ছি। (মীরা)
আমিঃ এত খুশি হওয়ার কিছু নাই বিয়েটা এখনো হয়নি!
মীরাঃ ইনশাআল্লাহ হবে, আর আমার উপর কোন রাগ রাখা যাবেনা, আমি আমার সব ভুলের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।
আমিঃ ক্ষমা চাওয়ার কিছুই নাই তবে একটা কথাই বলবো নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে শিখো, আর আপন মানুষদের কখনো কষ্ট দিওনা এমনি কি তাদের মতামত কখনো প্রত্যাখ্যান করতে যেওনা।
মীরাঃ এখন থেকে আপনার সাথেই সব শেয়ার করবো আর আপনার মতামতেই আমি আগামীর
দিন গুলো কাটাবো ইনশাআল্লাহ!

আমিঃ যাইহোক চলো সবার সাথে আড্ডা দেই, শেষ পর্যন্ত তোমার কথাই আল্লাহ কবুল করেছে।
মীরাঃ এই যে শোনন আজকে যেন দেখিনা আপনি মেয়েদের সাথে বেশি কথা বলছেন!
আমিঃ কি করবা কথা বললে?
মীরাঃ কি করবো কান্না করবো!

আচ্ছা আজ থেকে শুধু এই পাগলীটাই সব আর কারো সাথে কথা বলার দরকার নাই আমার।
হুম মনে থাকে জানি!
থাকবে থাকবে ইনশাআল্লাহ!
তাহলে আমাদের
গল্পটায় নতুন অধ্যায়ের শুরু হলো!

বিঃ দ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
পরবর্তী গল্প পেতে আমার সাথেই থাকুন!

💗অগ্রিম ধন্যবাদ!
ও ভালোবাসা সকল পাঠকদের💗

গল্পটায় নতুন অধ্যায়ের শুরু হলো!লেখা-আজিজুল হক (AH)পর্ব-তৃতীয়।রাকিব এর হলুদ সন্ধ্যা উপলক্ষে সবাই খুব ব্যস্থ।আমি বসে আছি ...
05/04/2022

গল্পটায় নতুন অধ্যায়ের শুরু হলো!

লেখা-আজিজুল হক (AH)

পর্ব-তৃতীয়।

রাকিব এর হলুদ সন্ধ্যা উপলক্ষে সবাই খুব ব্যস্থ।
আমি বসে আছি একাকী,এত এত মানুষের মাঝে
থাকা সত্বেও একাকীত্ব যেন ভর করেছে আমার
উপরে, সব কিছু ফাঁকা ফাঁকা লাগতেছে।

ইরামন ভাইয়া কেমন আছেন? (নীলা)
আমিঃ ভালো আছি! তুমি কেমন আছো?
নীলাঃ জ্বী ভাইয়া আমি ও ভালো আছি।
আমিঃ আচ্ছা ইনজয় করো তাহলে!

রাকিবঃ ইমরান তোকে তো খুজেও পাওয়া যায়না?
আমিঃ ফাও কথা কম বল নিজেই এখন ভাবে আছো আগামীকাল বিয়ে করবা আহ! কি আনন্দ!
রাকিবঃ তুই কি সারাজীবন এমনি থাকবি?
আমিঃ না তোর খালাতো, ফুফাতো বোন যদি থাকে আর যদি আমাকে দিস তাহলে আর এমন থাকবোনা।
রাকিবঃ আশায় থাকো ভাই আশায় থাকো!

হলুদ এর আয়োজন শুরু হয়ে গেছে, সবাই খুব মীরা মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকাচ্ছে,
নীলা এসে এক গ্লাস লেবুর সরবত দিয়ে গেলো।
সরবত হাতে নিয়েছি পান করবো এমন সময় মীরা এসে ছো মেরে নিয়ে গেলো.....

মীরা এইটা কি হলো?
কি হয়েছে?
সরবত নিয়ে গেলা কেন?
আমি থাকতে অন্য মেয়েদের হাতের সরবত খাওয়ার এত শখ কেন?
তার কৈফিয়ত তো তোমাকে দিবোনা!
দেখ ইমরান ভালোবাসি বলে যে সব সময় অপমান করবা এমন কিন্তু না!
এতই যখন অপমান বোধ তাহলে আমার থেকে দূরে থাকলেই তো পারো।
দেখ আজকে ঝগড়া করতে চাইনা, এই সরবত আমি খেলেম....
নীলা আমাকে দিয়ে গেলো তুমি কেন খেয়েফেল্লা?
খেয়েছি বেশ! করেছি, এখন অপেক্ষা করো আমি নিয়ে আসতেছি।

কিছু সময় পরে মীরার আগমন।
এইযে হবু জামাই সরবত নিন।
মীরা ফাও কথা কম বলো!
ফাও কথা কি হুম?
কিছু না একটু মুক্তি দাও আমাকে প্লিজ!
কোন মুক্তি নেই,আজকেই আমি রাকিব ভাইয়াকে বলবো যে তোমাকে আমার চাই।
এমনিতেই বাসা থেকে ছেলে দেখতেছে,তোমার কথা বললে কেউ আর অমত করবেনা।

আমি তো তোমাকে বিয়ে করবোনা।
কেন করবানা, আমি কি দেখতে খারাপ?
না তুমি যথেষ্ট সুন্দরী এবং হিসেবে ছাড়া অহংকারী।
দেখ সব সময় এই কথা শুনতে ভালো লাগেনা।
কি করলে বিশ্বাস করবা যে আমি তোমাকে ভালোবাসি?
কিছুই করতে হবেনা।

মীরা হন হন করে চেলে গেলো আমি ও রাকিব এর হলুদ সন্ধ্যায় সবার সাথে আনন্দ করতে লাগলাম!
সব কিছুই সুন্দর ভাবেই শেষ হলো।

রাতে সবাই মিলে আড্ডা দিতে ছিলাম রাকিব এর
আত্মীয় সজন অনেকেই ছিলো, মীরা এসে আমার সামনে দাড়লো, মীরার দাড়ানো দেখে আমি একটু ভরকে গেলাম।

রাকিব ভাইয়া আমি একটা কথা বলতে চাই,জীবনে তোর কাছে কিছুই চাইনাই তোর বিয়ে উপলক্ষে একটা জিনিস চাইবো তুমি চাইলেই ব্যবস্থা করে দিতে পারবা।

কি জিনিস চাস বল? (রাকিব)
না থাক এখন বলবোনা রাতে বলবো একাকী তবে আমাকে দিতেই হবে যত কষ্ট হোক আমাকে দিতেই হবে।
যা তুই আমার বোন আর বোন হয়ে ভাইএর কাছে আবদার করেছিস অবশ্যই দিবো।
ধন্যবাদ ভাই আমার! বলেই মীরা হন হন করে চলে গেলো।

মীরার এই মতি-গতি আমার মোটেও ভালো লাগছেনা এই মেয়েটা আমাকে ডুবিয়েই ছাড়বে
এত এত মানুষের মাঝে।

মুডটাই নষ্ট হয়ে গেছে, কিছুই ভালো লাগছেনা।
মীরার সাথে দেখা না হলেই ভালো হতো।
কেন যে সেদিন মেলার মাঠে গেছিলাম।

রাকিবঃ ইমরান রাত অনেক হয়েছে চল ভাই ঘুমিয়ে পর।
আমিঃ এত তাড়া কিসের?
রাকিবঃ ইঙ্গিত দিয়ে কথা বলার অভ্যাস কি তোর যাবেনা কোন দিন?
আমিঃ কি এমন বললাম ইঙ্গিত দিয়ে?
রাকিবঃ কিছু না ভাই চল ঘুমাবি!

ঘুমে থেকে উঠে রাকিব এর খালাতো ভাই দের সাথে একটু হাটতে বের হলাম।
পিচ্চি পিচ্চি পোলাপাইন এত যে পাকনা তা আগে বুঝিনাই।
মীরার ভাইটা বেশি পাকনা,বয়স কত ১০-১১ হবে এই বয়সেই নাকি তার একটা মেয়েকে ভালো লাগে!

ওদের সাথে থাকলে মান সন্মান সব শেষ তাই তারাতাড়ি বাসায় আসলাম।

মীরাঃ ইমরান ভাইয়া একটা হেল্প করতে পারবেন?
মীরা ভাইয়া ডাক শুনে আমি চমকে গেলাম! আবার মনে মনে একটু খুশি যাক আল্লাহ মনেহয় এই মেয়েটার একটু বুদ্ধি দিছে আমি মনেহয় মুক্তি পাবো এই বার।
আমিঃ হ্যাঁ আপু বলেন কি হেল্প!
মীরাঃ তেমন কিছুনা একটা দরকার কাজ আছে একটু শহরে নিয়ে যাবেন আমাকে প্লিজ!
আমিঃ রাকিব তোর বোন কি পাগল হয়ে গেছে,
আমি যদি ওকে নিয়ে যাই মানুষ কি বিষয়টা ভালো চোখে দেখবে?

রাকিবঃ সমস্যা নাই আমার বোন মানেই তো তোর বোন।
আমিঃ হুম সেটা কি আর বলতে।
মীরাঃ তাহলে নিয়ে চলেন ভাইয়া প্লিজ!
রাকিবঃ ইমরান তুই বাইক নিয়ে চলে যা।
তারাতাড়ি ফিরবি, মীরা কে রিক্সাশা তে পাঠাতাম। এখন বাজে ১০ টা ২৫ তাহলে যেতে আসতে অনেক সময় লাগবে।
আমাদের আবার ১২ টায় বেরহতে হবে প্লিজ!
ভাই তুই একটু নিয়ে যা।

কি আর করা মীরাকে নিয়ে বের হলাম।
ইমরান ভাই আপনি এমন কেন?
আমি যেমনি থাকি তাতে আপনার কি?
রাকিব এর রিকুয়েস্ট নিয়ে আসছি চুপ চাপ
থাকবেন কোন কথা বলবেন না।

মীরাঃ কিসের এত অহংকার আপনার?
আমিঃ আমার কোন অহংকার নেই!

মীরাঃ টাকা থাকলেই কি মানুষের অহংকার বাড়ে?
আমিঃ ফাও কথা কম বলো, তোমাকে ভালো লাগেনা তাই এমন করি।
মীরাঃ আগে তো লাগতো?
আমিঃ হ্যাঁ লাগতো,এখন আর লাগেনা।তাই আমার থেকে দূরে থাকাই ভালো তোমার জন্য!

মীরাঃ জানিনা কেন এমন করো আমার সাথে, আমার দোষতো একটাই অনেক এর সাথে মেসেন্জারে কথা বলতাম। কিন্তু এক বার বোঝার চেষ্টা করো যে ওরা আমার স্কুল, কলেজের বন্ধু তাই ওরা নক দিলে কথা না বললে কেমন হয়।
আমিঃ আমি কি কথা বলতে না করছিলাম কখনো?

মীরাঃ না তা অবশ্যই বলোনাই।
আমিঃ সব সময় বলছি যে আমার সাথে কথা বলার সময় অন্য কারো সাথে কথা বলা যাবেনা,যদি আমার সাথে কথা বলে তোমার না হয় তাহলে আমি চলে যাই।তুমি নীরব ছিলো,আর নীরবতা মানেই মৌনতার লক্ষন তাই চলে গেছি........

চলবে......

ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন!

গল্পটায় নতুন অধ্যায়ের শুরু হলো!লেখা-আজিজুল হক (AH)পর্ব-দ্বিতীয়।সেদিন রাতে বেশ কয়েক বার মীরা ফোন দিলেও আমি আর রিসিভ করিন...
03/04/2022

গল্পটায় নতুন অধ্যায়ের শুরু হলো!

লেখা-আজিজুল হক (AH)

পর্ব-দ্বিতীয়।

সেদিন রাতে বেশ কয়েক বার মীরা ফোন দিলেও আমি আর রিসিভ করিনাই।
আমি মানুষটা একটু অন্যরকম, বলতে গেলে সাদামাটা, ভাব রং ঢং আমার খুব একটা পছন্দ না।
এই জন্য বাস্তব জীবনে আমার বন্ধু ও খুব কম।

যাই হোক মীরা আমার এক সময়ের ভালোবাসার মানুষ ছিলো, আর আমি জানতাম না যে মীরা রাকিব এর বোন হয়।
মীরার সাথে পরিচয় এক বছর আগে,
বাগেরহাট একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে মীরার সাথে আমার পরিচয় হয়ে ছিলো।
পরিচয় থেকেই ভালোবাসার শুরু আর শেষ পর্যন্ত দুজন দুদিকে।

মীরা দেখতে যথেষ্ট সুন্দরী বলে সব সময় একটা মুড নিয়ে থাকার চেষ্টা করতো।
এমন একটা ভাব নিয়ে থাকতো যে তার কাথাই শেষ কথা, কিন্তু এই সব আমার আবার খুব একটা পছন্দ ছিলোনা।
যদি আমাকে ভালোই বাসবে তাহলে আমার সাথে তো মুড নিয়ে থাকার কোন মানে নেই।

আর এই সব বিষয়ে নিয়ে একটা সময় আমি নিজে থেকেই ওর থেকে দূরে সরে আসি।
আর আসার সময় বলে এসেছিলাম,আজ থেকে তোমাকে মুক্তি দিলাম! আমি ভালো ছেলেনা তাই নিজেই দূরে সরে গেলাম আজ থেকে তুমি ও আমাকে চেনোনা আমি ও তোমাকে চিনিনা।

এর পর ও আর যোগাযোগ করার চেষ্টা করেনাই আমি ও যোগাযোগ করিনাই,তবে মীরা লাইনে থাকলে আমার খারাপ লাগতো তাই প্রিয়, মানুষটা লাইনে অথচো না আছে কথা বলার অধিকার।
এই সব ভেবে একটা সময় ফেসবুক আইডি ডিলেট করে দেই এবং সিমটা খুলে রাখি।

সব কিছু এখানেই শেষ হলেই ভালো হতো, তাহলে এত দিন পরে মীরা কে দেখে আমার খারাপ লাগাটা বেড়ে যেতোনা।

এই সব চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে,অনেক কষ্টে হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে!

সকালে আম্মুর ডাকেই ঘুম ভাংলো,ফ্রেশ হয়ে খাবার হয়ে প্রতিদিনের মতোই নিজের কাজে বেরিয়ে পরলাম।
এর মধ্যে মীরা আর আমাকে ফোন দেয়নাই, মনে মনে ভাবলাম মীরা ফোন না দিলেই ভালো।
মীরা যাওয়ার পর মেয়েদের সাথে খুব একটা কথা বলিনা,কারন একটাই মেয়েদের ভাব আমার পছন্দ না!এই জন্যই নতুন করে আর রিলেশনে জড়ানো হয়নাই।

প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে আজ ও বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে চলে গেলাম।
রাকিব ফোন দিলো....

আমি- রাকিব কেমন আছিস?
রাকিব-হুম ভালো আছি! কোথায় আছিস তুই?
আমি-এইতো গত দিনের সেই যায়গায়।
রাকিব- আচ্ছা থাক আমি আসতেছি কিছু সময় পরে।

সবাই মিলে আড্ডা দিতেছিলাম, রাকিব ও আসলো। সবার সাথেই রাকিবের পরিচয় আছে।
রাকিব বাহিরে যাওয়ার আগে আমার সবাই এক সাথেই চলতাম।

সবাই মিলে আড্ডা দেওয়ার সময় অপরিচিত একটা নাম্বার থেকে কল আসলো, রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে....

মীরা-ইমারন আমি মীরা বলছি!

আমি-তো আমি কি করতে পারি আপনার জন্য?

মীরা-কিছুই করতে হবেনা তোমার আগামীকাল আমার সাথে দেখা করবা এতটুকুই!

আমি- দুঃখিত জনাবা, আপনার সাথে আমার আর দেখা হচ্ছেনা। আপনি আর কখনো আমাকে ফোন দিয়েন না আমার গার্লফ্রেন্ড আছে!

মীরা-তোর গার্লফ্রেন্ড এর গুষ্ঠি মারি তোর জীবনে মীরা ছাড়া কেউ থাকতে পারেনা।

আমি-জোড় করে কোন কিছুই সম্ভব না তাই আর কখনো ফোন না দিলেই আমি খুশি!

মীরা-এত খুশি তো আমি রাখতে পারবোনা, ভাইয়ার বিয়ে ঠিক হয়েছে,আর তোমাকে দাওয়াত দেওয়ার জন্যই বের হয়েছে।
বিয়ের আগের দিন তোমাকে এই বাসায় চাই, এর
থেকে বেশি কিছু জানিনা আর জানতেও চাইনা!

আমি-এই ভাবের জন্যই তোর থেকে দূরে সরে গেছিলাম।
তোর এত ভাব কিসের? সুন্দরী বলে কি অহংকারে মাটিতে পা পরেনা তোর?

মীরা- হটাৎ এই সব কথা কেন আসলো?

আমি-তোর ভাব একটু কমা!

মীরা-এই সব অপমানের শোধ আমি নিবোই,ভাই এর বিয়েটা হোক এর পর যদি তোর গলায় আমি না ঝুলি তাহলে আমিও মীরা না!

আমি- হা হা হা রাখ তো তোর হ্যাডাম এই সব ভাব করার সময় ইমরানের নেই।

মীরা- রাকিব ভাই এর বিয়েটা হয়ে যেতে দাও এর পর আমি তোয বউ হয়ে তোরে এত জ্বালাবো এত জ্বালাবো যে আমাকে অপমান করে কষ্ট দিয়ে কি ভুল করেছো তখন বুঝবা। তোমার সাথে আমি আর কোন কথা এখন বলতে চাইনা যত কথা আছে বিয়ে বাড়িতেই হবে।
ভালো থাকো জান পাখি!

মীরা আসতেই অনেক জেদী একটা মেয়ে। তাতে আমার কিছুই যায় আসেনা,আমি রাকিব ওদের কাছে গেলাম।
আড্ডা শেষে বাসায় আসার সময় রাকিব ওর বিয়ের ব্যপারে বললো রাকিব কে স্বাগতম!জানিয়ে বাসায় চলে আসলাম।

পরের দিন সকালেই রাকিব আসলো আমাদের বাসায় বিয়ের দাওয়াত দেওয়ার জন্য!
রাকিব আম্মুর কাছেই বিয়ের দাওয়াত দিয়ে গেলো আর আমাকে বিয়ের দুই দিন আগেই পাঠিয়ে দিতে বলছে আম্মুর কাছে।

আগামীকাল রাকিব এর বিয়ে আমি বাধ্য হয়ে আজকেই চলে আসলাম রাকিবের বাসায়।
মীরা আমাকে দেখে অনেকটা খুশি আমি তার হাসি দেওয়াতেই বুঝতে পারলাম।

মীরা- ধন্যবাদ! হবু জামাই হবু বউ এর কথা রাখার জন্য!

আমি-যদি একটাও ফালতু কথা বলো আমি কিন্তু চলে যাবো।

মীরা- এত জেদ দেখিওনা এইটা তোমার বাসাও না আমার বাসাওনা, তুমিও মেহমান আমি ও মেহমান
দুজনেই চুপ থাকি আর আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করি।

আমি- প্লিজ! মীরা আমাকে একা থাকতে দাও, তুমি কি চাও আমি চলে যাই?

মীরা- না আমি তা চাইনা আমি শুধু তোমাকে চাই!

আমি- এই বাসায় এখন অনেক মেহমান আছে, আমি চাইনা কেউ আমাদের সন্দেহ করুক বা বাজে মন্তব্য করুক!

মীরা- আমি ও চাইনা এমন কিছু হোক, তবে আমার তোমাকেই লাগবে!

আমি-মীরা একটা সময় আমিও তোমাকে চাইতাম কিন্তু আমি এখন আর তোমাকে চাইনা, আর না চাওয়ার কারন হলো তোমার ভিতরে অনেক অহংকার আছে, আর তুমি অন্যতে আসক্ত!

মীরা- প্লিজ! ইমরান এই ভাবে বলিওনা,হ্যাঁ তোমার আগে আমার লাইফে অন্য একজন ছিলো।
তবে তার আচরন যথেষ্ট খারাপ ছিলো, তাই আমি নিজেই তার থেকে দূরে সরে আসি।
এর পর আর কখনো তার সাথে যোগাযোগ করিনাই।
হ্যাঁ এটা সত্যি যে আমার ফেসবুকে অনেক ছেলেই আছে আমি তাদের সাথে ও কথা বলি কিন্তু তুমি আর তারা এক না তোমাকে ভালোবাসি, তোমাকে
সব সময় নিজের করেই চাই।
তাদের সাথে চ্যাটিং ছাড়া আর কোন সম্পর্ক নেই।

আমি- যাইহোক মীরা আমার থেকে অনেক ভালো ছেলে তুমি পাব!

মীরা-আমার ভালো ছেলের দরকার নাই আমার তোমাকেই চাই।

আমি-তোমাকে আমি চাইনা, আশাবাদী যে বিয়েতো কোন ধরনের সমস্যা তুমি করবানা, যে যার মতো থাকি এটাই ভালো হয়....

মীরা-যদি তোমাকে আমি না পাই তাহলে অনেক খারাপ হবে এইটা মাথায় রাখিও.......

চলবে...............

গল্পটায় নতুন অধ্যায়ের শুরু হলো!লেখা-আজিজুল হক (AH)মেলার মাঠে একা একা বসে আছি কোন কিছুই ভালো লাগছেনা। এত এত মানুষের ভীরে...
01/04/2022

গল্পটায় নতুন অধ্যায়ের শুরু হলো!

লেখা-আজিজুল হক (AH)

মেলার মাঠে একা একা বসে আছি কোন কিছুই ভালো লাগছেনা।
এত এত মানুষের ভীরেও সব কিছুই মলিন লাগতেছে।
হালকা হলকা বাতাস চারদিকে আলো আর আলো একা একা অন্য রকম একটা অনুভূতি!
হুট করেই মাসুদ আসলোস!

মাসুদ~কিরে তুই না বললি আজকে বের হবিনা?
আমি- আরে ভালো লাগছেনা তাই চলে আসলাম।
~ চল ভিতরেই যাই!
-আরে না এই যায়গায় ভালো আছি চাইলে তুই ও বস এখানে বাতাসটা সেই আজকের!
~তুই খা বাতাস আমি ওদের একটু সময় দেই।
-আচ্ছা যা আমি এখানেই আছি।

একা বসে আছি আবার ও কিন্তু বাতাস যেন সব কষ্ট গুলো উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
পাশে দুইটা বাইক এসে থামলো!

হুট করেই কেউ একজন ডাক দিলো আমায়!
কিরে ইমরান কেমন আছিস!
আমি তার দিকে না তাকিয়েই বললাম-
ভালো আছি তুমি?
হুম ভালোই আছি! তোকে তো দেখাই যায়না?
এইবার আমি ফোন থেকে মুখ সরিয়ে তার দিকে তাকিয়ে একটু চমকে গেলাম!
আরে রাকিব তুই কবে আসলি দেশে?
আসছি দিন পনেরো হলো তোর খবর কি?
আমি তো আছি আলহামদুলিল্লাহ!

এমন সময় দুইটা মেয়ে আসলো মুখ ডাকা এসেই বললো রাকিব ভাইয়া চলো বাসায় যাবো?

রাকিব- একটু অপেক্ষা কর অনেক দিন পর বন্ধুর সাথে দেখা একটু সময় কাটাই!

না সময় কাটাতে হবেনা বাসায় যাবো আমার!

রাকিব তুই ওদের নিয়ে চলে যা সময় করে ফোন দিস।
ইমরান এই হলো আমার মামাতো বোন মীরা আর নীলা।
মীরা নামটা শুনেই একটু চমকে গেলাম!
অনেক সুন্দর নাম তোমার বোনদের!
ধন্যবাদ ভাইয়া! মীরা
স্বাগতম! অপনাকে

ইমরান তুমি? মীরা
মীরা তুমি রাকিব এর বোন?
হ্যাঁ তুমি ভাইয়ার বন্ধু?
হ্যাঁ অনেক আগে থেকেই।

রাকিব-তোরা চিনিস নাকি দুজন দুজনকে?
আমি নারে ভাই চিনিনা।

মীরা তুই কি চিনিস?
সে যদি আমাকে না চিনে আমিও তাকে চিনিনা।
তোদের কথায় অনেক প্যাচ লাগানো, ভালো করে বল কি ভাবে চিনিস তোরা দুজন দুজনকে?

আমি- কি ভাবে চিনবো এই প্রথমই না সাক্ষাৎ হলো।
রাকিব- মজা করার অভ্যাস গেলোনা এখনো তোর?
আমি- মজা কেন করবো সত্যি বলছি আমি তাকে চিনিনা।
রাকিব-তোর নাম্বারটা দে!
আমি রাকিব কে নাম্বার দিয়ে চলে আসলাম।

রাতের খাবার খেয়ে মাত্র বিছানায় নিজেকে এলিয়ে দিলাম এমন সময় রাকিব এর ফোন!
হুম রাকিব বল?
রাকিব না আপনার জম!
তুই কেন ফোন দিছিস?
একশত বার ফোন দিবো!
না তোর অমাকে ফোন দেওয়ার কোন অধিকার নেই!
একশত বার অধিকার আছে আমি তো ছেড়ে যাইনি তুমি নিজেই চলে গেছো!
আমি নিজেই যখন গেছি তার মানে তোকে ভালো লাগেনা এই জন্য চলে গেছি আবার কেন পিছনে পরেছিস তোর জন্য ফেসবুক, ফোন নাম্বার সব পরিবর্তন কর ফেলেছি আজ ছ্যাঁচড়ার মতো কেন কল দিছিস নাম্বার পেয়ে?
হাজার বার দিবো কোন অপরাধে ছেড়ে গেছো এটাতো আমার জানতে হবে?
তোর কোন অপরাধ নেই আমি খারাপ এই জন্য চলে গেছি আমার তোর মতো একটা মেয়েতে হয়না আমার ডজন ডজন মেয়ে লাগে আমি অন্যতে আসক্ত তাই নিজেই চলে গেছি!
তুমি কি বলতে চাচ্ছো আমি সব বুঝতে পারছি কিন্তু তুমি আমাকে যেমন ভাবছো আমি তেমন না!
আমি তোকে কিছুই ভাবিনাই আমি খারাপ আমি নীরবে সরে গেছি, তাই তোর পায়ে হাত দিয়ে অনুরোধ করি কখনো ফোন দিসনা।
~শোন আমি মীরা এত সহজে তো ছেড়ে দিচ্ছিনা।
-তুই আমাকে ধরতেই পারিস নাই ছাড়বি কেমনে?
~এত কিছু বুঝিনা আমার তোমাকে চাই!
-আমার তোকে চাইনা।
~ আমার অপরাধ কি?
-তোর কোন অপরাধ নেই সব অপরাধ আমার তুই আর ফোন দিসনা আমাকে আমার গার্লফ্রেন্ড ওয়েটিং পেলে রাগ করবে!
~বাহ! বাহ! পাঁচ মাস হতে না হতেই নতুন জুটিয়ে ফেলেছো?
- তোর যদি আমি একজনে না হয় ডজন ডজন বয়ফ্রেন্ড লাগে আর আমার একটা গেলে একটা তো লাগবেই।
~দেখ ইমরান আমি ফিরতে চাই আমাদের গল্পটায় আবার নতুন অধ্যায়ের শুরো হোক!
-সরি আমি তাকে ছাড়তে পারবোনা আর কখনো ফোন দিসনা আর রাকিব কে এই ব্যপারে কখনো কিছু বলিস না ভালো থাক বেঈমান মাইয়া!

চলবে.................

পর্ব- প্রথম।

Address

Pirojpur
8500

Telephone

+8801732968566

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ভালবাসার গল্প posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ভালবাসার গল্প:

Share

Category