Boss Media

Boss Media Video editing, Audio recording studio, Photography, Documentary, Add making, news reporting

শ্রম অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক জনাব এ কে এম তরিকুল ইসলামের সাথে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দে...
19/06/2025

শ্রম অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক জনাব এ কে এম তরিকুল ইসলামের সাথে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ।

16/06/2025
16/06/2025
হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি ইরানের, বিশ্ববাজারে জ্বালানি সংকটের শঙ্কাহরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বাড়বে আশঙ...
15/06/2025

হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি ইরানের, বিশ্ববাজারে জ্বালানি সংকটের শঙ্কা
হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বাড়বে আশঙ্কাজনকভাবে। এছাড়াও যুদ্ধ আরো বিস্তৃত হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি করবে।
ইসরাইলের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ইরান। দেশটির রক্ষণশীল সংসদ সদস্য ইসমাইল কসারি এ মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে ইরানি বার্তাসংস্থা আইআরআইএনএন।
বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক বাণিজ্যপথগুলোর একটি হলো হরমুজ প্রণালী। এটি পারস্য উপসাগরের একমাত্র সামুদ্রিক প্রবেশপথ, একদিকে ইরান আর অপরদিকে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ প্রণালী পারস্য উপসাগরকে গালফ অফ ওমান এবং ভারত মহাসাগরের সাথে যুক্ত করে।

প্রশ্ন উঠেছে, ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয় তাহলে বিশ্বজুড়ে এর প্রভাব কী হবে? কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন বিশ্বের মোট খরচ হওয়া তেলের প্রায় ২০ শতাংশ হরমুজ প্রণালীর মাধ্যমে পরিবাহিত হয়। প্রণালীর সংকীর্ণতম স্থান মাত্র ৩৩ কিলোমিটার প্রশস্ত, কিন্তু পানিপথের জাহাজ চলাচলের পথগুলো আরো সংকীর্ণ। ফলে এটি আক্রমণ ও বন্ধ হওয়ার হুমকির ঝুঁকিতে থাকে।

আল জাজিরা বলছে, হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বাড়বে আশঙ্কাজনকভাবে। এছাড়াও যুদ্ধ আরো বিস্তৃত হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি করবে।

১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে ইরান-ইরাক সংঘাতের সময় উভয় দেশই উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছিল, যা ট্যাঙ্কার যুদ্ধ নামে পরিচিত। কিন্তু হরমুজ কখনোই সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়নি। ওই সংঘাতে উভয়পক্ষের লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়েছিল।

সম্প্রতি ২০১৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম মেয়াদে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরা উপকূলের কাছে চারটি জাহাজে হামলা হয়। ওয়াশিংটন এই ঘটনার জন্য তেহরানকে দায়ী করলেও ইরান তা প্রত্যাখ্যান করে।

সংঘাতের মধ্যেই চাপ প্রয়োগের জন্য জাহাজ চলাচলের পথে আক্রমণ দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইয়েমেনের হাউছি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরের প্রবেশপথ বাব আল-মানদেব প্রণালীতে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও সাগরপথে আফ্রিকা ঘুরে বিকল্প পথে যাওয়া সম্ভব, হরমুজ প্রণালীর ক্ষেত্রে এমন কোনো বিকল্প নেই।

হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে জ্বালানির সরবরাহ কমে গিয়ে বিশ্ববাজারে তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে, যা জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভর করে না এমন দেশগুলোকেও প্রভাবিত করবে।

তবে ইরান আদৌ প্রণালীটি বন্ধ করার সক্ষমতা বা ইচ্ছা রাখে কি-না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। কারণ এ পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সামরিক প্রতিক্রিয়া আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে আঞ্চলিক নৌঘাঁটিতে শক্তিশালী নৌবাহিনী মোতায়েন করেছে।

শুক্রবার ইরানের সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক স্থাপনা এবং আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এর জবাবে ইরান শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। যদিও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ইসরাইলকে সাহায্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র, তবুও ওয়াশিংটন সরাসরি ইরানে আক্রমণ করেনি। মার্কিন কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরাইলের হামলার সাথে ওয়াশিংটন জড়িত ছিল না।

তেহরানও এ অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করেনি। তবে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে এবং এর ফলে ট্রাম্প সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে।
সূত্র: নয়াদিগন্ত

মনোনয়ন পেতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ১৫ জুন ২০২৫, ০৮: ৩১লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনি সময়সীমা স্থির হওয়ায় সংসদীয় ৩০০ ...
15/06/2025

মনোনয়ন পেতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ
১৫ জুন ২০২৫, ০৮: ৩১

লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনি সময়সীমা স্থির হওয়ায় সংসদীয় ৩০০ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সফল বৈঠকের পর প্রত্যাশিত প্রার্থীরা বিএনপির মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

তারা নির্বাচনি এলাকার ভোটারদের মাঝে নিজেদের জনপ্রিয়তা প্রমাণে সব ধরনের তৎপরতা শুরু করেছেন। অবশ্য মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে থাকা প্রার্থীরা ইতোমধ্যে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ, উঠান বৈঠকসহ নির্বাচনি গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে, নিজেদের প্রার্থী চূড়ান্ত করার পাশাপাশি শরিকদের আসন ছাড়ার বিষয়ে বিএনপি চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপি প্রাথমিক আলোচনাও শুরু করেছে।

গত শুক্রবার লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ভোটের সুনির্দিষ্ট তারিখসহ এ বিষয়ে বিস্তারিত রোডম্যাপ ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার না করে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। তার দল আগামী নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। যে কোনো সময়ই নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ হয়েছে। এর ফলে আমরা দীর্ঘদিন পর গণতন্ত্রে উত্তরণের একটি সুযোগ পাচ্ছি। এখন অতীতের সব ভুলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা প্রয়োজন। আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাচ্ছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগে থেকেই নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেছেন। এর অংশ হিসেবে কোরবানির ঈদের সময় নির্বাচনি এলাকায় ঈদ উদযাপন করেছেন। এ সময় তারা পাড়া-মহল্লা ও বাজারঘাটে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। কোনো কোনো সম্ভাব্য প্রার্থী বাড়ি বাড়ি গিয়েও নিজে প্রার্থী ঘোষণা করে ভোট চাইতে শুরু করেছেন। তৃণমূলের সমর্থন পেতে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ বৃদ্ধি করছেন।

এদিকে, লন্ডন বৈঠকের পর বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা আরো জোরালো হয়েছে। কেউ কেউ ঈদ শেষ করে ঢাকায় ফিরলেও ভোটের তারিখ নির্ধারিত হওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই অনেকে নির্বাচনি এলাকায় চলে গেছেন। কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তারা এই মুহূর্তে নির্বাচনি এলাকায় অবস্থান করছেন।

বিএনপি ও তার শরিক রাজনৈতিক দলের সূত্রে জানা গেছে, ৩০০ আসনের প্রার্থীদের হিসাব-নিকাশ এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। সংসদীয় আসনগুলোর মধ্যে কতগুলো নিজের দলের জন্য রাখবেন এবং কত আসন শরিকদের ছাড় দেবেন, সে হিসাবও কষছেন তিনি। বেশ কয়েকজন নেতাকে তিনি নির্বাচনি এলাকায় কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। শরিকদের কিছু সম্ভাব্য প্রার্থীর ক্ষেত্রেও তিনি একই বার্তা দিয়েছেন। শরিক দলগুলোও সর্বোচ্চসংখ্যক আসনে ছাড় পেতে তারেক রহমানের ঘনিষ্টজনসহ বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে দরকষাকষি শুরু করেছে।

জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে ত্যাগী, অভিজ্ঞ ও নবীন-প্রবীণদের সমন্বয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রার্থীরা নির্বাচনি এলাকার জনগণ, ভোটারসহ তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে কতটা জনপ্রিয় ও তার জয়লাভের সম্ভাবনার বিষয়টি জরিপ করা হচ্ছে। এদিকে বিগত দিনে বিশেষ করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের ‘দুঃশাসনকালে’ যেসব দল ও জোট তাদের সঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলÑএমন রাজপথের সঙ্গীদের নির্বাচনি সঙ্গী হিসেবে রাখতে চাচ্ছে বিএনপি। আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে একসঙ্গে নির্বাচনি মাঠে থাকার চিন্তা করছে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলটি। এজন্য কোন আসনে কোন দলকে ছাড় দেওয়া যেতে পারে, মাঠপর্যায় থেকে সে তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নিজ দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি জোটের প্রার্থীর জনপ্রিয়তাও যাচাই করা হচ্ছে।

এর আগে গত বছরের ২২ অক্টোবর প্রাথমিকভাবে সমমনা শরিক জোটের ছয় নেতাকে নিজ এলাকায় জনসংযোগে সহযোগিতা করার জন্য দলের সংশ্লিষ্ট জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ‘অতীব জরুরি’ নির্দেশনাসংবলিত চিঠি দেয় বিএনপি। জানা গেছে, তারেক রহমানের নির্দেশেই ওই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। অবশ্য ওই চিঠির প্রেক্ষাপটে তৃণমূলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলে কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে তার ব্যাখ্যা দিয়ে জানানো হয়, ওই চিঠি ধানের শীষের চূড়ান্ত মনোনয়ন নয়।

যে বিবেচনায় প্রার্থী মনোনয়ন

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ অনিশ্চয়তামুক্ত হলেও নির্বাচনের মাঠে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ দেখছে বিএনপি। ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর নতুন চাহিদার প্রেক্ষাপটে বিতর্কহীন ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী বাছাইয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দেড়যুগ ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটিকে।

জানা গেছে, বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ে এবার সাড়ে ১৫ বছরের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ত্যাগী নেতারা মূল্যায়িত হবে। পাশাপাশি দলের পোর্টফোলিওধারী ও অভিজ্ঞদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। ১৯৯১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদেরও বিবেচনায় রাখা হবে বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, ডিসেম্বরে নির্বাচন মাথায় রেখে ৩০০ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীদের একটি তালিকা তারেক রহমানের হাতে রয়েছে। পাশাপাশি সারা দেশে সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করতে মাঠ গোছাচ্ছে বিএনপি। দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনি আসনে এখন সক্রিয়। জনসংযোগের পাশাপাশি তারা যোগ দিচ্ছেন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে নির্বাচনি প্রচার চালানোর কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলেও জানা গেছে।

দলটির নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এজন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সৎ, যোগ্য ও সর্বোপরি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী পেতে এখন থেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকবেন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। নেতাকর্মীর নামে অভিযোগ, গণমাধ্যমের খবর, দলের অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া, মাঠের গ্রহণযোগ্যতা, দলের প্রতি আনুগত্য ও জনগণের সঙ্গে কার কতটুকু সম্পর্ক রয়েছে, তা বিবেচনায় নিয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

যা বললেন দলটির নেতারা

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকা-১৬ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভাষা বুঝতে তারা নিয়মিত যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা তাদের দলের ৩১ দফার আলোকে দেশবাসীকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন।

প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী রবিউল আউয়াল। আমার দেশকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মানুষ বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছি, তাদের সমস্যার কথা শুনছি।

ফেনী-১ আসনে থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু আমার দেশকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে ২০১৮ সালে বিশেষ পরিস্থিতিতে ফেনী-১ আসন থেকে তিনি নির্বাচন করেন। এবার যদি ম্যাডাম খালেদা জিয়া নির্বাচন না করেন, তাহলে তিনি সেখান থেকে নির্বাচন করতে চান।

সাধারণ মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে উল্লেখ তিনি বলেন, ফ্য্যাসিস্টমুক্ত পরিবেশে ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে। ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের কথা শুনে আরো বেশি উচ্ছ্বাস বেড়েছে। আমরাও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবেÑএমন টার্গেট ধরে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়া বুঝতে চেষ্টা করছি।

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। ঢাকা বা নিজ এলকা শরীয়তপুর থেকে নির্বাচন করতে চান উল্লেখ করে আমার দেশকে তিনি বলেন, দল যেখানে চাইবে সেখান থেকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। বিএনপি জনগণের দল, জনগণের সঙ্গে মিলেমিশেই আমাদের রাজনীতি করতে হয়।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে দলটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আমার দেশকে বলেন, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। দলটি আন্দোলন-সংগ্রাম ও সংগঠন পরিচালনা করে নির্বাচন করার জন্য। ফলে নির্বাচনের জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নেওয়ার কিছু নেই।

বিএনপিকে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ নির্বাচনের বাইরে রেখেছে দাবি করে তিনি বলেন, দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের শাসনের কারণে দেশে রাজনীতি ছিল না। তার পরও বিএনপিকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ভাঙতে পারেনি। এ সময় শত নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে বিএনপি এক ছিল। সেজন্য ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে নতুন যাত্রা শুরু করেছি। নির্বাচন জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে। আমরা সে লক্ষ্য এগিয়ে নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে বিএনপি সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে।

প্রার্থী বিবেচনায় বিএনপির কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। সেক্ষেত্রে অনেকে প্রার্থী হতে চান। এক্ষেত্রে দল প্রথমে যেসব প্রার্থীর জনগণের সঙ্গে বেশি সম্পর্ক থাকবে তাকে মূল্যায়ন করবে। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন, দলের দুর্দিনে ত্যাগ ও দলের প্রতি যাদের আনুগত্য রয়েছে, তাদের মূল্যায়ন করবে। একই সঙ্গে যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট মোকাবিলায় বিচক্ষণ তাদের বিবেচনা করবে দল।

তরুণ-প্রবীণের সমন্বয়ে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপিকে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের বাইরে রাখে। ফলে এবারকার নির্বাচনে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।

নির্বাচনি প্রচারে ব্যস্ত সম্ভাব্য প্রার্থীরা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কোরবানির ঈদের দীর্ঘ ছুটিকে কাজে লাগাচ্ছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ভোটারদের মন জয় করতে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ সময়টিতে। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ছুটছেন নির্বাচনি এলাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ঈদের ছুটিতে এলাকায় প্রাথমিক গণসংযোগ সেরে নিয়েছেন। ঈদের সময়কালে বিএনপি নেতাদের পক্ষ থেকে ভূরিভোজ, কোরবানির গোশত বিতরণসহ গ্রামে গ্রামে দলীয় ও সাধারণ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ছিল চোখে পড়ার মতো। ঈদের ছুটির শেষদিন গতকাল শনিবারও বেশকিছু সম্ভাব্য প্রার্থীকে গণসংযোগ করতে দেখা গেছে।

এদিকে লন্ডন বৈঠকে অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ফেব্রুয়ারিতে ভোটের তারিখ চূড়ান্ত হওয়ায় কোনো কোনো প্রার্থী ঢাকায় ফেরার সিদ্ধান্ত বাতিল করে গণসংযোগ বাড়াতে আরো কয়েকদিন এলাকায় অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

নেতাকর্মীরা জানান, দেশের সব জেলায় সংগঠন গোছানোর পাশাপাশি বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এখন নির্বাচনমুখী। এরমধ্যে বিগত ১৫ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে থাকা নেতাদের পাশাপাশি নির্বাচনি মাঠে জায়গা করতে উঠেপড়ে লেগেছেন

Address

Bogura
Puran Bogra
BOGRA5800

Telephone

+8801844577984

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Boss Media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Boss Media:

Share