Aalok Digital - আলোক ডিজিটাল

Aalok Digital - আলোক ডিজিটাল We are a photo and digital marketing agency in Bangladesh. We sell high quality fine art prints and stock photos for calendar, billboard, poster and report.

Our services include Search Engine Optimisation (SEO), Website Design, Social Media Marketing. We sell high quality fine art prints for home and office decoration. We provide stock photos for calendar, billboard, poster and report. We manage photo shoot for product, events, wedding. We can arrange model photography. Our service includes Search Engine Optimisation (SEO), Website Design, Social Medi

a Marketing such as Facebook post boost, page promotion, Instagram, LinkedIn, Pinterest etc. We optimise YouTube channel and its videos and playlists.

24/07/2022
22/06/2022
বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনায় ১লা জুন ২০২১ থেকে ফেসবুক অতিরিক্ত ১৫% ভ্যাট কাটছে বিজ্ঞাপন খরচের ওপর যাদের BIN(Business Iden...
05/07/2021

বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনায় ১লা জুন ২০২১ থেকে ফেসবুক অতিরিক্ত ১৫% ভ্যাট কাটছে বিজ্ঞাপন খরচের ওপর যাদের BIN(Business Identification Number) বা ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বর এডস ম্যানেজারে যুক্ত করা নেই। তবে এটা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। যাদের এডস ম্যানেজারে বিজনেস কান্ট্রি বাংলাদেশ লেখা আছে শুধু তাদেরকেই এটা প্রযোজ্য। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আদেশে ২০১৯ সালের ১লা জুলাই থেকে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো তাদের ইস্যু করা কার্ড থেকে ফেসবুকের বিজ্ঞাপন খরচের ওপর প্রত্যক্ষভাবে ১৫% ভ্যাট কেটে আসছে। এর ফলে যাদের বিন নেই তাদের ব্যাংক এবং ফেসবুক মিলে মোট ভ্যাট কাটা যাচ্ছে ৩২.২৫%। বিন ইস্যুতে কেউ কেউ লাভবান হচ্ছে আবার অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমার এই প্রতিবেদন তৈরিতে আমার অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ এবং কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তার সংগে আলাপ করে তৈরি করেছি। আসুন এবার আমরা জেনে নিই এর প্রভাব সম্পর্কে।

১। বিন ইস্যুতে সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তারা। তারা না পারছে
৩২.২৫% ভ্যাট দিতে আবার না পারছে বিন তৈরি করতে। কেননা বিন করতে হলে ট্রেড লাইসেন্স লাগবে, মাসে মাসে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হবে। আবার ট্যাক্স রিটার্ন জমা না দিলে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার বিধান আছে। শুধু তাই নয় এর সাথে আছে উকিলের খরচাপাতি এবং প্রতি বছর ট্রড লাইসেন্স নবায়ন করার ফি।

২। যারা বাইরের দেশের কার্ড দিয়ে ফেসবুকে বুস্ট সার্ভিস চালান তারা যদি বিন যুক্ত করেন তবে তাদের কে ১৫% ভ্যাট দিতে হবে না। তবে তারা কেন বাইরের দেশের পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করছেন সেটার একটা কারণ দেখাতে হতে পারে সেই সংগে আসতে পারে কিছু আইনগত জটিলতা, আর এ কারণেই তারা বিনে আগ্রহী নয়।

৩। বিনে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়লেও আমার কাছে মনে হয় এটা সাময়িক। কেননা যারা বাইরের দেশের কার্ড ব্যবহার করে বিজনেস কান্ট্রি বাংলাদেশ লিখে ১৫% ভ্যাট দিচ্ছেন তারা পরবর্তীতে বিজনেস কান্ট্রি অন্য দেশ লিখা এডস ম্যানেজার ব্যবহার করবেন। এতে করে সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাবে।

৪। যে সব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তারা নিজেরাই বুস্ট করতেন তারা এখন কম খরচে কীভাবে বুস্ট করা যায় সেই অপশনগুলো খুঁজে বেড়াচ্ছেন। এতে করে তারা প্রতারকের খপ্পরে পরতে পারেন। এর ফলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সেই সঙ্গে তাদের মূল্যবান বিজনেস পেজ নস্ট হতে পারে। কেননা পলিসি ভংগের কারণে ফেসবুক পেজটা এড রেসট্রিকটেড করে দিতে পারে। এর কারণ হল বাটপাররা কুপন এবং বিলিং থেরাসহোল্ড ব্যবহার করে বুস্ট সার্ভিস প্রদান করে।

৫। ইতোমধ্যে কিছু ভুঁইফোঁড় অনলাইন ব্যবসায়ী তৈরি হয়েছে তারা বাইরের দেশের এডস ম্যানেজার বিক্রি করছেন। সেটাতে ভার্চুয়াল কার্ড এবং কুপন যুক্ত করা থাকে। এসব দিয়ে সাময়িকভাবে বুস্ট করা গেলেও কিছুদিন পর সেগুলো অকার্যকর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বুস্ট দেয়া আইডি এড রেসট্রিকটেড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৬। অতিরিক্ত ভ্যাট ইস্যুর কারণে বিভিন্ন এড এজেন্সি এবং বুস্টার তাদের ডলার রেট বাড়িয়ে দিয়েছে। এটার প্রভাব পড়ছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ের ওপর।

৭। বিন না থাকায় ফেসবুক অতিরিক্ত যে ১৫% ভ্যাট কেটে নিচ্ছে সেটার পুরো টাকা বাংলাদেশ পাবে কিনা তা ধোঁয়াশার মধ্যেই থেকে যাচ্ছে। কেননা বাংলাদেশে ফেসবুকের নিজস্ব অফিস না থাকায় তাদের দায়বদ্ধ করা যাবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেকে৷

ফেসবুকের মত জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে বিজ্ঞাপন বাবদ কত টাকা আয় করে তার সঠিক হিসাব আমাদের কারও জানা নেই। বাংলাদেশ থেকে ইস্যু করা কার্ড দিয়ে যারা এতদিন ফেসবুকে বুস্ট করে আসছেন সবাই ১৫% ভ্যাট দিয়েছেন বা দিচ্ছেন কিন্তু বিন যুক্ত করায় হিসাবটা অনেকটাই পাল্টে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এর ফলাফল জানতে আমাদেরকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

ফেসবুক তাদের ব্যবহারকারী এবং বিজ্ঞাপনদাতার মধ্যে যেন নিরাপদ এবং পজিটিভ অবস্থা বিরাজ করে সে জন্য বুস্ট করার সময় প্রতিটা এ...
29/12/2020

ফেসবুক তাদের ব্যবহারকারী এবং বিজ্ঞাপনদাতার মধ্যে যেন নিরাপদ এবং পজিটিভ অবস্থা বিরাজ করে সে জন্য বুস্ট করার সময় প্রতিটা এড এবং এড অ্যাকাউন্ট রিভিউ করে। এড পলিসি এবং টার্মস অফ সার্ভিস চেক করে দেখা হয় সেগুলো ভায়োলেট করা হয়েছে কিনা।

ফেসবুক এড পলিসি মেনে চলার বেস্ট প্রাকটিস

১। এমন কোন পণ্য, সেবা, স্কিম এবং অফার প্রদান করবেন না যে গুলোর মধ্যে আছে মিথ্যা আশ্বাস এবং জালিয়াতি করার উদ্দেশ্যেই তা তৈরি করা হয়েছে।

২। স্পর্শকাতর ভাষা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন যা মনে হতে পারে বিভ্রান্তিমুলক। যেমন – দুই মাসে লম্বা হোন।

৩। এডের মধ্যে ভুল গ্রামার এবং বিরামচিহ্ন ব্যবহার করা যাবে না। ভাষা এবং চিহ্ন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন, তা যেন নোংরামুপূর্ণ না হয় এবং কেউ যেন আঘাত না পায়।

৪। এড এবং লান্ডিং পেজের মধ্যে এমন কোন কন্টেন্ট ব্যবহার না করা যা ফেক, বিভ্রান্তিমূলক এবং মিথ্যা দাবি, অফার প্রদান করে।

৫। এড, লান্ডিং পেজ এবং বিজনেস প্রাকটিসের মধ্যে এমন কোন আশ্বাস প্রদান করা যার মাধ্যমে জটিল কোন রোগ নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে নিরাময় করা যাবে এমন দাবি করা যা মনে হতে পারে সম্পূর্ণ অবাস্তব।

৬। আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে আপনার এডের সঙ্গে যে ল্যান্ডিং পেজের লিঙ্ক আছে তা একটিভ এবং পেজের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক। এমন কোন ওয়েবসাইট লিঙ্ক ব্যবহার না করা যা নির্মাণাধীন বা পেজ এরর দেখায়।

৭। লান্ডিং পেজের প্রডাক্ট, সেবা এবং ফিচারসমূহ এডে উল্লেখিত বর্ণনার সঙ্গে যেন প্রত্যাশিত এবং বাস্তবসম্মত হয়।

৮। এডের মধ্যে নগ্ন ছবি ব্যবহার করা যাবে না এবং কোন ব্যক্তিকে নগ্নভাবে উপস্থাপন করা যাবে না।

যদি বার বার ফেসবুকের এড পলিসি এবং টার্মস অফ সার্ভিস ভায়োলেট করা হয় তাহলে ফেসবুক এড অ্যাকাউন্ট অকার্যকর করে দেয়। আপনি যদি মনে করে থাকেন ফেসবুক ভুলভাবে আপনার এড অ্যাকাউন্ট অকার্যকর করে দিয়েছে তা হলে ম্যানুয়াল রিভিউ এর জন্য আপিল করতে পারবেন।

ফেসবুকের নতুন দুই ফিচারফেসবুক পার্সোনাল প্রফাইল থেকে আগে কোন একটা কন্টেন্ট রিমুভ করে দিলে সেটা স্থায়ীভাবে মুছে যেত সেগুল...
23/12/2020

ফেসবুকের নতুন দুই ফিচার

ফেসবুক পার্সোনাল প্রফাইল থেকে আগে কোন একটা কন্টেন্ট রিমুভ করে দিলে সেটা স্থায়ীভাবে মুছে যেত সেগুলো আর ফিরে পাবার অপশন ছিল না। এখন ফেসবুক প্রফাইলে নতুন ২ টা ফিচার যুক্ত হয়েছে তা হল Move to archive এবং Move to trash এতে করে কোন কন্টেন্ট রিমুভ করে দিলে তাৎক্ষণিকভাবে তা একদম মুছে যাবে না। এটা পেজের কন্টেন্টের জন্য প্রযোজ্য নয়। শুধুমাত্র ফেসবুক পার্সোনাল প্রফাইলের জন্য প্রযোজ্য। ফিচার দুটির বিবরণ নিচে দেয়া হল।

1. Move to archive

এই ফিচারের মাধ্যমে আপনি কোন কন্টেন্ট রিমুভ না করে আর্কাইভ করে রাখতে পারেন। তখন সেটা পাবলিকলি কেউ দেখতে পারবে না। যখন ইচ্ছে চাইলে প্রফাইলে আবার ফিরে নিয়ে আসতে পারবেন অথবা Move to trash ফোল্ডারে পাঠিয়ে দিতে পারবেন।

2. Move to trash

এই ফিচারের মাধ্যমে আপনি কোন কন্টেন্ট রিমুভ করলে সেই মুহূর্তে তা স্থায়ীভাবে মুছে যাবে না। এই অপশন ব্যবহারের ফলে কন্টেন্ট চলে যাবে Move to trash ফোল্ডারে। যেখান থেকে ৩০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেগুলো মুছে যাবে। আপনি ইচ্ছে করলে ৩০ দিনের আগেই ম্যানুয়ালি সেইগুলো স্থায়ীভাবে মুছে ফেলতে পারবেন। আবার চাইলে সেগুলো আর্কাইভ করতে পারবেন বা প্রফাইলে ফিরে নিয়ে আসতে পারবেন।

কীভাবে ২ টা ফোল্ডার খুঁজে পাবেন?

উপরের ঐ দুইটা ফোল্ডার খুঁজে পেতে হলে আপনার ফেসবুক প্রফাইলের Settings and Privacy তে ক্লিক করুন। এরপর Activity Log ফোল্ডারে ক্লিক করলেই Move to archive এবং Move to trash ফোল্ডার পেয়ে যাবেন। এখন নির্ধারিত ফোল্ডারে ক্লিক করলে আপনার কন্টেন্টের ফাইল লিস্ট পেয়ে যাবেন। ফাইলের মধ্যেই অন্য সব অপশন পেয়ে যাবেন।

নানা সমস্যার আবর্তে ফেসবুক বুস্ট ব্যবস্থাফেসবুকে এখন আর স্বাভাবিকভাবে এড বুস্ট করা যায় না। নানামুখী সমস্যার কারণে বুস্ট ...
13/12/2020

নানা সমস্যার আবর্তে ফেসবুক বুস্ট ব্যবস্থা

ফেসবুকে এখন আর স্বাভাবিকভাবে এড বুস্ট করা যায় না। নানামুখী সমস্যার কারণে বুস্ট নিয়ে টেনশনের মধ্যে থাকতে হয়। কদিন আগে বিলিং থেরাসহোল্ড ডাউনগ্রেড করা নিয়ে সমস্যা চলছিল। এই সমস্যা এখন আর নেই। আমার কিছু এড অ্যাকাউন্ট এর বিলিং থেরাসহোল্ড আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে এখন পেমেন্ট ডিকলাইন হলেও ডাউনগ্রেড করছে না। এই সমস্যার সমাধান হলেও আমরা এখন এড বুস্টে অনেক রকম সমস্যা পাচ্ছি। সেই সমস্যাগুলো নিচে তুলে ধরলাম।

১। এড অ্যাকাউন্ট অকার্যকর করা

এখন ঘন ঘন এড অ্যাকাউন্ট ডিস-অ্যাবাল্ড বা অকার্যকর করে দেয়া হচ্ছে। সেটা যেমন পলিসি ভায়োলেশনের জন্য করা হচ্ছে তেমনিভাবে Unusual Activity বা বিলিং ইস্যুর কারনেও করা হচ্ছে। আমার একটা এড অ্যাকাউন্ট ১৫ দিনের ব্যবধানে ৪ বার সাময়িকভাবে অকার্যকর করে দেয়া হলো বিলিং ইস্যুর কারণে। পেমেন্ট মেথডের যাবতীয় প্রুফ দেয়ার পরও এভাবে বার বার অ্যাকাউন্ট ডিস-অ্যাবাল্ড করা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এতে করে আমি বার বার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।

২। কাঙ্খিত ফল না পাওয়া

বুস্ট থেকে এখন আর কাঙ্খিত ফল খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। রিচ কম আসছে সেই সঙ্গে বেড়েছে পার রেজাল্ট খরচ। অনেকেই হয়ত বলতে পারেন অডিয়ান্স সেটিংস ঠিক ছিল না সে কারণেই এমনটা হচ্ছে। আমি যখন বুস্ট দিই তখন ভালমানের সোর্স ডাটা ব্যবহার করেই বুস্ট দিই। কাস্টম এবং লুক-এ-লাইক অডিয়ান্স ব্যবহার করে বুস্ট দিই। ডাটা বিভিন্নভাবে বদলে দেখেছি কিছু কিছু পেজে ভাল রেজাল্ট পাওয়া গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাল রেজাল্ট আসছে না।

৩। পার্সোনাল আইডি ভেরিফিকেশন

ফেসবুক এখন ঘন ঘন পার্সোনাল আইডি ভেরিফিকেশন করছে। সেটা করুক সমস্যা নেই। কিন্তু এটা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন যন্ত্রণা। হঠাৎ করেই দেখা গেল যে আইডি দিয়ে বুস্ট করি সেটা ডিস-অ্যাবাল্ড করে দিল। এবার চলবে বিভিন্ন রকমের ভেরিফিকেশন। এর মধ্যে আছে- আমি একজন রোবট নই, ফোন কোড ভেরিফিকেশন, ইমেইল কোড ভেরিফিকেশন, ছবিযুক্ত আইডি ভেরিফিকেশন ইত্যাদি। ১৫ দিন আগে আমার একটা আইডি ডিস-আবাল্ড করে দিয়েছিল। বিভিন্নভাবে সেটা ভেরিফিকেশন করে ফিরিয়ে দেয়। ২ দিন আগে সেই আইডি আবার ডিস-আবাল্ড করে দিয়েছে। নতুন করে আবার ভেরিফিকেশন করতে চায়। ফোনে ভেরিফিকেশন কোড পেলেও এবার ইমেইলে কিছুতেই কোড আসছে না। তিনটা ইমেইল দিয়ে দুদিন ধরে চেস্টা করলাম কিন্তু কোড আর আসছে না। এটা নিয়ে ফেসবুক প্রতিনিধির সঙ্গে লাইভ চ্যাট করেও সুরাহা হয়নি। ওরা একটা লিঙ্ক দিয়েছিল কিন্তু লগ ইন করার পর সেটা কাজ করে না। আমার আরেকটা বুস্ট আইডি ভেরিফিকেশন করেছিল ২ মাস আগে। সেটা গত সপ্তাহে আবার ভেরিফিকেশন করল। এটা ভেরিফিকেশন করতে গিয়েও সমস্যায় পড়েছিলাম। প্রথমবার জাতীয় পরিচয়পত্র সাবমিট করে ভেরিফিকেশন করা হলেও ২য় বার সেটা গ্রহণ করেনি। পরে পাসপোর্ট সাবমিট করে সেটা ভেরিফিকেশন করতে হয়েছে।

৪। পার্সোনাল আইডি এড রেসট্রিকটেড করা

অনেকের ফেসবুক পার্সোনাল আইডি এড রেস্ট্রিকটেড করে দিয়েছে। এতে করে সেই আইডি দিয়ে আর বুস্ট করা যায় না। আমার এই আইডি চতুর্থবারের মত এড রেসট্রিকটেড করে দিয়েছে। এর আগে আপিল করে পাঁচ দিনের মধ্যে রেসট্রিকশন উঠিয়ে নিয়েছিল। কিন্ত এবার ১ মাস ১০ দিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আপিলের জবাব পাইনি। লাইভ চ্যাট করে এই বিষয়টা জানানো হলেও এটার সুরাহা হয়নি।

৫। বিজনেস পেজ এড রেস্ট্রিকটেড করা

প্রতিদিন খবর পাই কারও না কারও বিজনেস পেজ এড রেসট্রিকশন করে দেয়া হয়েছে। এতে করে অনেকেই ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। কেননা অনেকের ব্যবসা ছিল বুস্ট ভিত্তিক এবং ফেসবুক নির্ভরশীল। সমস্যা হলো আপিল করার দেড় মাস পার হয়ে গেলেও অনেকেই ফেসবুক থেকে জবাব পাচ্ছেন না।

উপরের এসব সমস্যা ছাড়াও অনেকেই অন্য রকেমের নানা সমস্যায় ভুগছেন। কোন আপিল করলেই ফেসবুক থেকে বলা হয় কোভিড ১৯ এর কারণে লোক সংখ্যা কম জবাব পেতে বেশি সময় লাগতে পারে। এটা যেমন একটা ইস্যু এ ছাড়াও বড় ইস্যু হলো ফেসবুক এখন Artificial Intelligence (AI) এর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এটার কারণেই মূলত নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আমরা জানিনা বুস্ট ব্যবস্থা কবে স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসবে।

আমাদের অনেকের ফেসবুক এড অ্যাকাউন্ট ডিস-অ্যাবাল্ড হয়ে যায় Unusual Activity এর কারণে। বিলিং কোন ইস্যু থাকলে সেই অ্যাকাউন্ট...
09/12/2020

আমাদের অনেকের ফেসবুক এড অ্যাকাউন্ট ডিস-অ্যাবাল্ড হয়ে যায় Unusual Activity এর কারণে। বিলিং কোন ইস্যু থাকলে সেই অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে অকার্যকর করে দেয় ফেসবুক। যিনি ফেসবুক এড অ্যাকাউন্ট-এ পেমেন্ট মেথড যুক্ত করিয়েছিলেন তার নামের সঙ্গে যদি কার্ড হোল্ডারের নাম না মিলে এবং যে দেশ থেকে অ্যাকাউন্ট টা ব্যবহার করা হচ্ছে পেমেন্ট মেথড টা যদি অন্য কোন দেশ থেকে ইস্যু করা হয় তখনই ফেসবুক Unusual Activity এর কারণে অ্যাকাউন্ট ডিস-অ্যাবাল্ড করে দেয়।

অনেক সময় হ্যাক করে কার্ডের তথ্য চুরি করে অন্য কেউ আপনার কার্ড ব্যবহার করতে পারে। আবার ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে এড অ্যাকাউন্ট এ ঢুকে হ্যাকাররা তাদের পছন্দমত পেজকে এডমিন করে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকেই এড বুস্ট করাতে পারে। সম্প্রতি আমার এক কাস্টমার ফোন করিয়ে জানিয়েছিল তার এড অ্যাকাউন্ট -এ অন্য একজন ব্যবহার করে ১৯০ ডলারের এড বুস্ট করেছে। আমি তাকে বলেছিলাম একটিভিটি লগ এবং এড অ্যাকাউন্ট এর বুস্ট হিস্ট্ররি চেক করতে। তিনি চেক করে জানালেন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে চায়না থেকে অন্য একটা পেজের এড বুস্ট করা হয়েছিল। মুলত কোন ব্যক্তি বিশেষের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য ফেসবুক এড অ্যাকাউন্ট সাময়িক ভাবে অকার্যকর করে দেয়।
বিভিন্ন কারণেই আমাদের কে অন্যজনের কার্ড ব্যবহার করতে হয়। আপনি যদি অনুমতিপ্রাপ্ত কার্ড ব্যবহারকারি হয়ে থাকেন তা হলে সেটা নিয়ে টেনশনের কিছু নেই। সামান্য কিছু প্রসেস দেখিয়ে আপনি ডিস-অ্যাবাল্ড অ্যাকাউন্ট রি-একটিভ করাতে পারবেন। আপনাকে প্রমাণ করে দেখাতে হবে আপনি অথেনটিক কার্ড ব্যবহারকারি।

কীভাবে অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে আনবেন?

১। এড অ্যাকাউন্ট এ প্রবেশ করলে এ রকম একটা নোটিফিকেশন দেখতে পারবেন। “We noticed some unusual activity on your account, so we temporarily disabled it to protect your personal and financial info. To let us know it's you, please confirm your account”. এই নোটিফিকেশনের মধ্যে ম্যানুয়াল রিভিউ করার জন্য আপিল করার লিঙ্ক পেয়ে যাবেন।

২। আপিল করার জন্য আপনার নিকট থেকে নিচের এই তথ্য গুলো চলে আসবে।
ক) Who is the owner of the Ad Account?

– এখানে যে এডমিন আপিল করবেন তার নাম লিখতে হবে।

খ) Select Disabled Ad Account

- এখানে যে এড অ্যাকাউন্ট ডিস-অ্যাবাল্ড হয়েছে সেটার নাম সিলেক্ট করুন।

গ) Please let us know any if any of these conditions apply
- Country of your credit and / or debit cards doesn’t match your current location.

আপনি যদি অন্য দেশের কার্ড, পেপাল ব্যবহার করে থাকেন তা হলে এই অপশন সিলেক্ট করুন।
- You are recently been travelling

যদি ভ্রমণরত অবস্থায় অন্য কোন দেশ থেকে লগ ইন করে বুস্ট করে থাকেন তাহলে এই অপশন সিলেক্ট করুন।

- You have recently relocated

স্থান পরিবর্তন করে অন্য কোথায় বসবাস করলে এই অপশন সিলেক্ট করুন।
ঘ) You can add more info to help us understand why you believe your account should be restored.

এই অপশন টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে যদি ঠিকমত তাদেরকে বুঝাতে পারেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট রি–একটিভ হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা তৈরি হবে। এই ক্ষেত্রে আপনি লিখতে পারেন “আমার নিজের পেমেন্ট মেথড নেই তাই আমার বন্ধু/ভাই এর পেমেন্ট মেথড তার অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করছি। আমি বুস্ট কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চালিয়ে যেতে চাই। তাই আমার এই অ্যাকাউন্ট রি-একটিভ করে দিলে খুব উপকৃত হব।“

আপিল ফর্ম পূরণ করে সেন্ড করে দিন। এবার আপনার “সাপোর্ট ইনবক্স” এ একটা মেসেস চলে আসবে। সেখানেই তারা উত্তর দিবে। উত্তর দেবার আগ পর্যন্ত সেটা ওপেন লেখা দেখাবে। উত্তর দেবার পর সেটা ক্লজড লেখা আসবে।

৩। ফর্ম সেন্ড করার পর আপনার “সাপোর্ট ইনবক্স” চেক করুন। ফেসবুকের মেসেসের নিচে একটা ফিল্ড থাকে সেটার নাম “Your response”। এই ফিল্ডে প্রমাণ হিসেবে আপনার শেষ দুই বা তিনটা বুস্টের সাথে সংশ্লিষ্ট লেনদেনের বিবরণীর স্ক্রিনশট যুক্ত করে দিন। এই ক্ষেত্রে ব্যাংক এর অ্যাপ বা বাঙ্কের অনলাইন অ্যাকাউন্ট থেকে বিবরণী সংগ্রহ করুন। পেপাল হলে পেপাল অ্যাকাউন্ট থেকে সেটা সংগ্রহ করে এভাবে যুক্ত করে দিন।

এভাবে আপিল করলে আশা করছি ফেসবুক আপনার ডিস-আবাল্ড এড অ্যাকাউন্ট রি-একটিভ করে দিবে। আমার অনেক এড অ্যাকাউন্ট এভাবেই রি-একটিভ করেছি। এটা একদম পরীক্ষিত।

মাল্টিপল এড কম্পোনেন্ট সমন্বয় করে তৈরি করা হয় ফেসবুক ডাইনামিক ক্রিয়েটিভ এড। যে সব উপাদান সমন্বয় করা হয় তা হলো ইমেজ, ভিডি...
06/12/2020

মাল্টিপল এড কম্পোনেন্ট সমন্বয় করে তৈরি করা হয় ফেসবুক ডাইনামিক ক্রিয়েটিভ এড। যে সব উপাদান সমন্বয় করা হয় তা হলো ইমেজ, ভিডিও, শিরোনাম, বিবরণ, কল-টু-একশন টেক্সট ইত্যাদি। এই এডে মোট ৩০ পর্যন্ত এ্যাসেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

ডাইনামিক ক্রিয়েটিভ এডের বেস্ট প্রাকটিস

১। এমন ধরনের এসেট পছন্দ করুন যা কাজে লাগবে।

ডাইনামিক ক্রিয়েটিভ এডে আপনি ৩০ টা পর্যন্ত এসেট ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ফেসবুক রিকমেন্ড করে কোয়ান্টিটি না বাড়িয়ে কোয়ালিটি কে প্রাধান্য দেয়া। ভাল হয় সবচে ভালমানের ২ টা করে এসেট সেট করা।

২। মাল্টিপল কল-টু-একশন বাটন ব্যবহার

চেষ্টা করবেন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কল-টু-একশন বাটন ব্যবহার করতে যা অডিয়ান্সের জন্য কার্যকর হতে পারে।

৩। ফেসবুক পিক্সেলের ব্যবহার

ফেসবুকের পিক্সেল ডাইনামিক ক্রিয়েটিভ এডে সমন্বয় করা হলে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক এডে পেয়ে যাবেন। এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন কারা কারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করেছিল।

৪। টেক্সট ছোট, ক্লিয়ার এবং টু দ্য পয়েন্ট রাখুন

ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামের ব্যবহারকারীরা খুব দ্রুত নিউজ ফিড এবং স্টোরি দেখে। তাই যথা সম্ভব কন্টেন্ট সুন্দর করে সাজাবেন।

৫। ইমেজে এটেনশন আনুন

এডে আই কাচিং ইমেজ ব্যবহার করুন। মানুষ যেন সিঙ্গেল পয়েন্টে ফোকাস করে সে রকম ইমেজ নির্বাচন করুন।

৬। ইমেজে যেন বেশি উপাদান না থাকে

একটা ইমেজের মধ্যে অনেক ধরণের উপাদান থাকলে অডিয়ান্সের এটেনশন থাকে না। এ ধরনের ইমেজ বিরক্তির জন্ম দেয়।

৭। ইমেজ তৈরি করতে অ্যাপ ব্যবহার করুন

সহজ কিছু অ্যাপ ব্যবহার করে ইমেজ তৈরি করুন যাতে করে আপনার সময় বাচে এবং অডিয়ান্স তা দেখার জন্য আগ্রহ দেখায়। যেমন - Hyperlapse, Boomerang, Legend, Videoshop, Adobe PhotoShop Express and Adobe Spark

৮। ইমজের উপরে টেক্সট লিখবেন না

ইমজের উপরে টেক্সট না লিখে বডি টেক্সট, টাইটেল, লিঙ্ক বিবরণ ফিল্ডে টেক্সট লিখুন।

৯। ছোট ভিডিও তৈরি করুন

ভিডিওর মাধ্যমে আপনার ব্রান্ড পরিচিতি তুলে ধরুন যাতে করে অডিয়ান্স সেটা দেখে এবং মনে রাখতে পারে। ভিডিও এর লেন্থ ১৫ সেকেন্ড বা তার কম রাখুন।

১০। শব্দবিহীন ভিডিও তৈরি করুন

অনেক পরিস্থতিতে মানুষ শব্দবিহীন ভিডিও দেখতে চায় বিশেষ করে পাবলিক প্লেসগুলোতে। এ কারণে ভিডিও তে টেক্সট এবং গ্রাফিক ব্যবহার করুন। ভিজুয়ালি আপনার স্টোরি বলুন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ক্যাপশন দিন।

১১। ভারটিক্যল আসপ্যাক্ট রেসিও

বেশিরভাগ মানুষ তাদের মোবাইল ফোন ভারটিক্যালি ধরে। তাই ফেসবুক এবং ইন্সটগ্রামের নিউজ ফিড, স্টোরি তে ভারটিক্যল আসপ্যাক্ট রেসিও রাখার চেস্টা করুন।

ফেসবুক ডাইনামিক ক্রিয়েটিভ এডমাল্টিপল এড কম্পোনেন্ট সমন্বয় করে তৈরি করা হয় ফেসবুক ডাইনামিক ক্রিয়েটিভ এড। যে সব উপাদান সমন...
05/12/2020

ফেসবুক ডাইনামিক ক্রিয়েটিভ এড

মাল্টিপল এড কম্পোনেন্ট সমন্বয় করে তৈরি করা হয় ফেসবুক ডাইনামিক ক্রিয়েটিভ এড। যে সব উপাদান সমন্বয় করা হয় তা হলো ইমেজ, ভিডিও, শিরোনাম, বিবরণ, কল-টু-একশন টেক্সট ইত্যাদি। এই এডের মাধ্যমে ১০ টা পর্যন্ত ইমেজ/ভিডিও এবং ৫ টা পর্যন্ত টেক্সট এসেট ব্যবহার করা যায়। যেমন - বডি টেক্সট, টাইটেল, বিবরণ এবং কল-টু-একশন টেক্সট।

এই এডের কম্পোনেন্ট গুলো অটোমেটিকভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপ্টিমাইজ হয়ে অডিয়ান্সের কাছে ডেলিভারি হয়। এটার জন্য আপনাকে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হবে না। যেমন ধরুন, একটা এডে ১০ ইমেজ/ভিডিও দিলেন, ৫ রকম টাইটেল দিলেন, সেটার একটা হতে পারে বাংলায়, আবার একটা ইংরেজিতে। আবার ভিন্ন ভিন্ন ভাবেও হতে পারে। তেমনিভাবে এডের অন্য উপাদানগুলো ৫ ধরণের দিতে পারেন। ফেসবুক অডিয়ান্সের পছন্দ, ডেমগ্রাফিক ইনফো, আচরণ অনুযায়ী যার কাছে যে এড উপাদান উপযোগী হতে পারে তার কাছে সেটাই দেখাবে। ১ নম্বর অডিয়ান্স কে দেখাতে পারে ৩ নম্বর ইমেজ, ২ নম্বর টাইটেল, ৪ নম্বর বিবরণ, ১ নম্বর কল-টু-একশন টেক্সট। তেমনিভাবে ২ নম্বর অডিয়ান্স কে তার পছন্দের ধরণ অনুযায়ী দেখাতে পারে ১ নম্বর ইমেজ, ৪ নম্বর টাইটেল, ২ নম্বর বিবরণ, ৩ নম্বর কল টু একশন টেক্সট।

মার্কেটিং অবজেক্টিভ

যে সব মার্কেটিং অবজেক্টিভ এই এডের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে তা নিচে দেখান হল।

১। কনভার্সন
২। ট্রাফিক
৩। রিচ
৪। ব্রান্ড এওয়ারনেস
৫। অ্যাপ ইন্সটল

এডের ফলাফল

ফেসবুকের মার্কেটিং পার্টনার ROIHunter ডাইনামিক ক্রিয়েটিভ বেটা ভার্সনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তারা ওয়েবসাইট কনভার্সন এবং মোবাইল অ্যাপ ইন্সটলে উন্নতি দেখতে পেরেছেন। একইভাবে আরেকজন পার্টনার Aitarget বলেছে এই এড ব্যবহার সিপিআই (Cost Per Install) কমিয়েছে।

ডাইনামিক ক্রিয়েটিভ হলো একটা ভাল মানের অপটিমাইজেশন টুল। আপনি যখন অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকবেন কোন ক্রিয়েটিভ দিলে ভাল হবে তখন এই ধরনের এড আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। যদিও আপনি এড থেকে একটা টোটাল ফলাফল জানতে পারবেন। ফেসবুক এই এড কে স্প্লিট টেস্ট এর বিকপ্ল মনে করে না।

ফেসবুকের বিলিং থেরাসহোল্ড নিয়ে চলছে সাপলুডু খেলাফেসবুক তার বিলিং থেরাসহোল্ড নিয়ে আমাদের সঙ্গে সাপলুডু খেলা শুরু করেছে। শ...
02/12/2020

ফেসবুকের বিলিং থেরাসহোল্ড নিয়ে চলছে সাপলুডু খেলা

ফেসবুক তার বিলিং থেরাসহোল্ড নিয়ে আমাদের সঙ্গে সাপলুডু খেলা শুরু করেছে। শুধু তাই না। বিলিং এর যে নিয়ম-নীতি আছে সেটাও তারা মেনে চলছে না। গত এক সপ্তাহে কাজ করতে গিয়ে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা আমি নিচে শেয়ার করছি।

১। থেরাসহোল্ড ডাউনগ্রেড করাঃ

কোন কারণে যদি পেমেন্ট ডিকলাইন করে তা হলে বিলিং থেরাসহোল্ড একবারে নামিয়ে ২ ডলার করছে। আমার একটা এড অ্যাকাউন্ট এর বিলিং থেরাসহোল্ড ছিল ৩০০ ডলার। পেমেন্ট কাটতে গিয়ে সেটা ডিক্লাইন করে। পরে থেরাসহোল্ড চেক করতে গিয়ে দেখি সেটা একদম নামিয়ে ২ ডলার করেছে। এ যেন সাপলুডু খেলা। গত ৪ বছরে এ ধরনের অভিজ্ঞতা আমার হয়নি। বিভিন্ন কারণেই অনেকের পক্ষে যথেস্ট পরিমাণে ব্যালেন্স রাখা সম্ভব নয়। আবার ব্যালেন্স থাকলেও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে অনেক সময় কার্ড থেকে বিল কেটে নিতে পারে না। তাই বলে বিলিং থেরাসহোল্ড ডাইনগ্রেড করে একদম নিচে নামিয়ে দিতে হবে।

২। অসময়ে বিল কাটাঃ

ফেসবুকের পলিসি বা নিয়ম অনুযায়ী এডের বিল কেটে নেয়ার কথা দুই সময়ে। মাসের একটা নির্দিষ্ট সময়ে যেটাকে বলে মাসিক বিল এবং বিলিং থেরাসহোল্ডে পৌঁছে গেলে। কিন্তু ফেসবুক এখন এই নিয়ম-নীতি মেনে চলছে না। সে নিজেই এখন পলিসি ভায়োলেট করে আমাদের কে বিপদে ফেলছে। আমার এড অ্যাকাউন্ট এর মাসিক বিলের তারিখ ছিল ৬ ডিসেম্বর। আর বিলিং থেরাসহোল্ড ছিল ৩০০ ডলার। ডিউ বিল ছিল ১০০ ডলার। আমি ভাল করেই জানি ফেসবুক কখন ডিউ বিল কেটে নিবে। আর সেভাবেই আমার প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এভাবে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিল কেটে নেবার কারণে পেমেন্ট ডিক্লাইন করে। চলমান সব এড থমকে দাঁড়ায়। আমি ক্ষতির সম্মুখীন হই।

ফেসবুক তাদের বুস্ট সার্ভিস নিয়ে যে অসঙ্গতি এবং সমস্যা শুরু করেছে তা রীতিমত উদ্বেগজনক। এখন বুস্ট করতে গেলেই ভীষণ টেনশনে থাকতে হয়। মনে হয় এই বুঝি পেমেন্ট ডিক্লাইন করবে, এড রিজেক্ট করবে, পেমেন্ট মেথড ভেরিভাই করবে, অ্যাকাউন্ট ফ্লাগ করবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আগে কখনও এ ধরণের সমস্যা ফেস করিনি, এত প্যারার মধ্যেও থাকতে হয়নি। আমাদের দেশে যেহেতু একজন ফেসবুকের অফিসিয়াল প্রতিনিধি আছেন তাই আশা করছি তিনি এ ব্যাপারগুলো দেখবেন এবং দ্রুত সমাধান করার চেস্টা করবেন। আমাদের কে পয়সা খরচ করে আর যেন পেইন কিনতে না হয়।

ফেসবুক এড বুস্টে সমস্যা বিশ্বব্যাপীগত অক্টোবর থেকে ফেসবুক এড বুস্টে আমরা নানান রকম সমস্যায় পড়ছি। এই গুলো সব যে প্রকৃত কা...
30/11/2020

ফেসবুক এড বুস্টে সমস্যা বিশ্বব্যাপী

গত অক্টোবর থেকে ফেসবুক এড বুস্টে আমরা নানান রকম সমস্যায় পড়ছি। এই গুলো সব যে প্রকৃত কারণে হচ্ছে তা কিন্তু নয়। ফেসবুকের সিস্টমের ভুলের কারণেও এসব ঘটছে। এটা শুধু যে বাংলাদেশে ঘটছে তা কিন্তু নয়। এই সমস্যা এখন বিশ্বব্যাপী।

আমরা যেসব সমস্যা ফেস করছি তার একটা তালিকা নিচে দিলাম।

১। পলিসি ভায়োলেট দেখিয়ে এড অ্যাকাউন্ট ডিস-অ্যাবাল্ড
২। Unusual Activity দেখিয়ে এড অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ডিস-অ্যাবাল্ড
৩। ঘন ঘন এড রিজেক্ট করে দেয়া
৪। পার্সোনাল আইডি এড রেস্ট্রিকটেড করে দেয়া
৫। বিজনেস পেজ থেকে বুস্ট করার ব্যাপারে এড রেস্ট্রিকটেড করে দেয়া
৬। পেমেন্ট মেথড সাসপেন্ড করে দেয়া
৭। পেজে এডমিন এড করার ব্যাপারে রেস্ট্রিকশন করা
৮। আপিল করার পর দ্রুত উত্তর না পাওয়া
৯। অরগানিক এবং পেইড রিচ কমে যাওয়া।
১০। বুস্ট থেকে কাঙ্খিত রেজাল্ট না পাওয়া।
১১। বিলিং থেরাসহোল্ড এর ফিগার ডাউনগ্রেড করে দেয়া

গত ২৭ নভেম্বর ২০২০ Bloomberg অনলাইন মিডিয়াতে এতদ সংক্রান্ত একটা রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যার শিরোনাম ছিল “Facebook’s AI Mistakenly Bans Ads for Struggling Businesses” এ রিপোর্ট থেকে জানা যায় নিউ ইয়র্ক বেসড বিজনেসওম্যান Ruth Harrigan মধু এবং মম সংক্রান্ত পণ্য বিক্রি করেন সুভেনির দোকান গুলোতে। করোনার কারণে পর্যটক আশা বন্ধ হয়ে যায়।যার ফলে তিনি ফেসবুকে এড দিয়ে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করেন এবং ফেসবুক এডের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। গত ১১ নভেম্বর ফেসবুক পলিসি ভায়োলেটের কারণ দেখিয়ে তার এড অ্যাকাউন্ট ফ্লাগ করে দেয়া হয়। তিনি ভাবতেও পারেন না তার এ ধরনের গিফট পণ্য কীভাবে পলিসি ভংগ করতে পারে। তার বন্ধুরা তাকে বলেছিল ২ দিন অপেক্ষা করতে যাতে করে সমস্যাটা এমনি এমনি ভাবেই ঠিক হয়ে যায়। তিনি দুদিন অপেক্ষা করেছিলেন। এর মধ্যে তার ৫ হাজার ডলার ক্ষতি হয়ে যায়। কেননা ব্লাক ফ্রাইডে কে কেন্দ্র করে নভেম্বর মাসে বড় ধরনের একটা সেল হয়। হ্যারিগন লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের একজন যে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসা করত এবং ফেসবুকের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কেননা করোনাভাইরাসের কারণে অনেক ট্রাডিশনাল খুচরা ব্যবসার চ্যানেল বন্ধ হয়ে যায়।

ফেসবুকের হিউম্যান মডারেটররা আমেরিকার নির্বাচন এবং কোভিভ ১৯ এর দিকে বেশি সময় দেয় যাতে করে ভুল কোন তথ্য ছড়িয়ে না পড়ে। আর এই কারণে রোবট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কে দিয়ে এলগরিদম এবং অন্য সব প্ল্যাটফর্মের মনিটরিং এর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।। এতে করে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ফেসবুকের অটোমেটিক ফিল্টারে চলে আসে এবং নানান রকম সমস্যায় পড়ে। তাদের অনেকের এড অ্যাকাউন্ট ফ্লাগ হয়ে যায় এবং ফেসবুকে এড বুস্ট করতে পারে না। তারা এসবের প্রকৃত কারণও জানতে পারে না। এতে করে তাদের মধ্যে হতাশা নেমে আসে।

Ivonne Sanchez কানাডার অটোয়াতে মেকআপ ক্লিনিক রান করেন। করোনার কারণে মার্চ এবং জুনের মধ্যে তার ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তিনি ফেসবুক এডের ওপর নির্ভরশীল হয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এড পলিসি ভায়োলেটের কারণে তার অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছিল। পরের দিন অ্যাকাউন্ট রি-একটিভ করে দেয়া হয়েছিল কোন রকম ব্যাখ্যা ছাড়াই। এতে করে তিনি নার্ভাস হয়ে পড়েন। কেননা সিস্টেম ডেভেলপের জন্য তাকে অনেক টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছিল। তার ব্যবসা পরিচালিত হয় বট দিয়ে। এ রকম অনেক ঘটনা উঠে এসেছে এই রিপোর্টে।
ফেসবুক এক বিবৃতিতে এসব ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা ফ্রি সাপোট দিবে বলে জানিয়েছে। টুলস এবং সিস্টেমের উন্নয়নের জন্য নিয়মিতভাবে কাজ করে যাবে। সাপোর্টের ব্যাপারে সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং প্রবেশাধিকার থাকবে।

আমরা জানিনা ফেসবুকের এসব সংকট কবে মোচন হবে। আমেরিকার নির্বাচন শেষ যেটাতে ফেসবুকের একটা বিশেষ নজরদারি ছিল। ফেসবুক যেহেতু এই ইস্যুগুলো নিয়ে এখন কাজ করছে তাই আমরা আশাবাদী দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে

ফেসবুক এড বুস্টের ক্ষেত্রে কিছু লিমিট ফেসবুকে এড বুস্ট করতে গেলে কিছু লিমিট ফেস করতে হয়। সেটা যেমন পেজের ক্ষেত্রে প্রযোজ...
27/11/2020

ফেসবুক এড বুস্টের ক্ষেত্রে কিছু লিমিট

ফেসবুকে এড বুস্ট করতে গেলে কিছু লিমিট ফেস করতে হয়। সেটা যেমন পেজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তেমনিভাবে এড অ্যাকাউন্ট এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সেই লিমিট গুলো নিচে তুলে ধরলাম।

১। পেজ এড লিমিট

একটা পেজ থেকে অনেকগুলো এড একই সময়ে রান করলে সে গুলোর পারফর্মমেন্স পড়ে যায়। সাধারণত যখন একটা পেজ থেকে একই সময়ে অনেক বেশি এড রান করা হয় তখন স্বল্প পরিমাণে এড লার্নিং ফেস থেকে বের হয়ে আসে, তাই ডেলিভারি সিস্টেমে কোন এড অপ্টিমাইজ হওয়ার আগ পর্যন্ত তার খরচ বেড়ে যায়। আর এই কারণেই ফেসবুক প্রতি পেজে একই সময়ে রানিং এড অথবা রিভিউ এর ব্যাপারে একটা লিমিট সেট করেছে। এই লিমিট ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ থেকে বাস্তবায়ন হবে নতুন পেজের ক্ষেত্রে। বর্তমান পেজের স্টাটাস জানা যাবে “Ad Limits Per Page” টুল থেকে।

আসুন এবার আমরা জেনে নিই একটা পেজ থেকে একই সময়ে কতগুলো রান করা যেতে পারে। এটা কিন্তু মাসিক লিমিট না।

ক) ছোট থেকে মাঝারি আকারের পেজঃ

গত ১২ মাসে যে সব পেজে এড বাবদ ১ লাখ ডলারের কম খরচ করা হয়েছে সেই সব পেজ থেকে একই সময়ে ২৫০ টা পর্যন্ত এড রান করা যাবে।

খ) মাঝারি থেকে বড় আকারের পেজঃ

গত ১২ মাসে যে সব পেজে এড বাবদ ১ মিলিয়ন ডলারের কম খরচ করা হয়েছে সেই সব পেজ থেকে একই সময়ে ১০০০ টা পর্যন্ত এড রান করা যাবে।

গ) বড় আকারের পেজঃ

গত ১২ মাসে যে সব পেজে এড বাবদ ১০ মিলিয়ন ডলারের কম খরচ করা হয়েছে সেই সব পেজ থেকে একই সময়ে ৫০০০ টা পর্যন্ত এড রান করা যাবে।

ঘ) সবচেয়ে বড় আকারের পেজঃ

গত ১২ মাসে যে সব পেজে এড বাবদ ১০ মিলিয়ন বা বেশী ডলার খরচ করা হয়েছে সেই সব পেজ থেকে একই সময়ে ২০,০০০ টা পর্যন্ত এড রান করা যাবে।

২। এড অ্যাকাউন্ট লিমিট

একজন ব্যক্তি ২৫ টা পর্যন্ত এড অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করতে পারবে এবং একটা এড অ্যাকাউন্ট এ ২৫ টা পর্যন্ত এডমিন রোল রাখা যেতে পারে। যেমন – এডমিন, এডভারটাইজার এবং এ্যানালিস্ট।

৩। এড লিমিট পার এড অ্যাকাউন্ট

আপনার যদি রেগুলার এড ম্যানেজার অ্যাকাউন্ট থাকে তা হলে একই সময়ে ৫ হাজার পর্যন্ত ক্যাম্পেইন রান করাতে পারবেন। ক্যাম্পেইন হলো ফেসবুকের এড ফাউন্ডেশন। এখানে একটা এডের অবজেক্টিভ সেট করা হয়। আপনি যখনই এড রান করার চিন্তা করবেন তখন ক্যাম্পেইন থেকেই শুরু করতে হয়। একটা ক্যাম্পেইনের ভিতর আবার অনেক গুলো এড সেট থাকে। আবার প্রতিটা সিঙ্গেল এড সেটের আন্ডারে বিভিন্ন এড থাকে। এখানে এড বলতে ক্রিয়েটিভ কে বুঝান হচ্ছে। এ গুলোরও লিমিট আছে। এই গুলোর লিমিট জানা খুব একটা জরুরি না তাই এখানে উল্লেখ করলাম না।

৪। আর্কাইভ লিমিটঃ

আমরা অনেকেই এড, এড সেট এবং ক্যাম্পেইন শেষ হয়ে গেলে বা এড চলাকালীন তা অফ করে দিয়ে রিমুভ করি। এসব এ্যাসেট যখন রিমুভ করা হয় তখন ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেগুলো আর্কাইভ করে। এসব এ্যাসেট তখন এডিট, ডুপ্লিকেট বা রি-স্টোর করা যায় না। ১ লাখ পর্যন্ত এ সব এ্যাসেট আর্কাইভ করা হয়।

উপরে যে সব লিমিটের কথা বলা হল তার পরিমাণ অনেক বেশি। আমার মনে হয় না লিমিট নিয়ে কাউকে ভাবতে হবে।

ইদানিং অনেকেরই অরগানিক রিচ ভয়াবহ রকমের কমে গেছে। সেই সাথে কমেছে লাইভ ভিডিও ভিউ। ব্যাপারটা লক্ষণীয় পর্যায়ে চলে এসেছে গত অ...
16/11/2020

ইদানিং অনেকেরই অরগানিক রিচ ভয়াবহ রকমের কমে গেছে। সেই সাথে কমেছে লাইভ ভিডিও ভিউ। ব্যাপারটা লক্ষণীয় পর্যায়ে চলে এসেছে গত অক্টোবর থেকে। কথা হল এভাবে হঠাৎ করে অরগানিক রিচ কমে গেলে কেন? বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ থেকে আমার কাছে নিচের এই কারণগুলো মনে হয়।

১। নতুন আপডেটঃ

ফেসবুকের নতুন আপডেটে তাদের এলগরিদমে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। যার ফলে আগে বেশি রিচ এবং ভিউ পাওয়া গেলেও এখন পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা জেনেই হোক বা না জেনেই হোক এতদিন ফেসবুকের পেজ পলিসি বা স্ট্যান্ডার্ড ঠিকমত মেনে চলিনি। ফেসবুক এখন তাদের পলিসির ব্যাপারে সিরিয়াস একশন নিচ্ছে, এটার কার্যকারিতা এখন দৃশ্যমান হচ্ছে যার ফলে পেজে রিচ কমে এসেছে।

২। লাইভ ভিডিও শেয়ারিং:

অনেকেই একই ডিভাইস এবং ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে মাল্টিপল অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভ ভিডিও শেয়ার করেন। এটা ফেসবুক এর সিস্টেম বুঝতে পারে। জোর করে এই কাজটা করা হয়, অরগানিকভাবে নয়। তাই ফেসবুক এটাকে স্পামিং হিসেবে দেখে। আর এটার কারণে আপনার পেজের রিচ কমে যেতে পারে।

৩। কপিরাইটযুক্ত কন্টেন্ট ব্যবহারঃ

অনেকেই নেট থেকে ইমেজ বা ডিভিও ডাউনলোড করে ব্যবহার করেন। এর মধ্যে কিছু থাকে কপিরাইট করা কন্টেন্ট। এটা Intellectual Property Rights ভঙ্গ করে। এটার ফলে ফেসবুক সিরিয়াস ব্যবস্থা নেয়, পেজের রিচ কমিয়ে দেয়।

৪। নতুন কন্টেন্ট প্রকাশঃ

প্রতিদিন নতুন নতুন অনেক কন্টেন্ট প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু নিউজ ফিডে সব কন্টেন্ট দেখানো হয় না, স্পেস এর একটা লিমিটেশন থাকে। প্রতি মাসে সারা বিশ্ব থেকে ৩০ বিলিয়নের ওপর কন্টেন্ট প্রকাশিত হয়। সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট ফেসবুক তাদের ব্যবহারকারীদের নিউজ ফিডে দেখায়। ব্যবহারকারীর আগ্রহ, ডেমগ্রাফিক তথ্য, এঙ্গেজমেন্ট, তাদের অভ্যাস এবং অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে কন্টেন্ট অপ্টিমাইজ করা হয় এবং সেইভাবে সেটা ডেলিভারি করা হয়। আপনার কন্টেন্ট প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারলে সেটার রিচ কম হয়।

৫। কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডঃ

ফেসবুক চায় তাদের ব্যবহারকারী নিউজ ফিডে অথেনটিক কন্টেন্ট দেখুক, স্পেস টা নিরাপদ থাকুক। ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ যেন গোপন থাকে এবং তা প্রতিরোধ করা যায়। অধিকারের দিক থেকে সকল ব্যবহারকারী যেন সমান সুবিধা ভোগ করতে পারে। কেউ যেন কাউকে হয়রানি করতে না পারে, বৈষম্যমূলক আচরণ যেন না করে, কাউকে যেন আক্রমণ করা না হয়। এ গুলো মেনে চলার ব্যাপারে ফেসবুক বদ্ধপরিকর। ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে না চললে ফেসবুক ব্যবস্থা নেয়। এতে করে পেজের রিচ কমতে পারে।

৬। ক্লিকবেইট হেডলাইনঃ

ক্লিকবেইট হেডিং ব্যবহার করে কোন কন্টেন্ট ব্যবহার করা হলে ফেসবুক ব্যবস্থা নেয়। এতে করে পেজের রিচ কমে যেতে পারে। ক্লিকবেইট নিয়ে আমার একটা আরটিকেল আছে সম্ভব হলে পড়ে নিবেন।

৭। অন্য সোর্স এর কন্টেন্টঃ

নিজের কন্টেন্ট ব্যবহার না করে অন্য কোন সোর্স থেকে পাওয়া কন্টেন্ট খুব বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা হলে পেজের রিচ কমতে পারে। ৩ নম্বর পয়েন্ট এর সঙ্গে এটা গুলিয়ে ফেলবেন না। কপিরাইট ইস্যু ছাড়াও অন্য কোন সোর্স থেকে পাওয়া কন্টেন্ট বলতে অনেকেই তাদের সাপ্লায়ার এর কন্টেন্ট নিয়মিতভাবে ব্যবহার করেন। যেমন – ভারতীয় বা পাকিস্তানি ক্যাটালগ ইমেজ।

৮। জব পোস্টঃ

এমন কোন চাকরির পোস্ট শেয়ার করা যেটার মধ্যে ছিল মিথ্যা আশ্বাস। জালিয়াতি করার উদ্দেশ্যেই পোস্ট টা দেয়া হয়েছিল। এ ধরণের পোস্ট শেয়ার করা হলে পেজের রিচ কমে যেতে পারে।

৯। ফেসবুক ফ্যাক্ট চেকিং:

ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামে বিভিন্ন দেশ এবং এলাকা থেকে যেন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়া না হয় এ ব্যাপারে ফেসবুক বদ্ধপরিকর। এটার ব্যাপারে তারা যুদ্ধ করে আসছে। এই কারণে তারা বিভিন্ন ব্যক্তি এবং থার্ড পার্টি ফাক্ট-চেকিং অর্গানাইজেশন এর সঙ্গে কাজ করেন যারা non-partisan International Fact-Checking Network (IFCN) এর সারটিফাইড। তাদের রিপোর্ট এর ভিত্তিতে ফেসবুক ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। এটার কারণেও পেজে রিচ কম হয়।

১০। ব্রান্ডেট কন্টেন্ট এর ব্যবহারঃ

আমরা অনেকেই আলিবাবা, অ্যামাজন থেকে ব্রান্ডেট কন্টেন্ট ডাউনলোড করে পেজে ব্যবহার করি এবং সেটা দেখিয়ে রেপ্লিকা প্রডাক্ট বিক্রি করি। এতে করে অনেকেই প্রতারিত হয়। এটা প্রতিরোধ করার জন্য ফেসবুক ব্রান্ডেট কন্টেন্ট পলিসি তৈরি করেছে। তাই ব্রান্ডেট কন্টেন্ট ব্যবহার করতে হলে সেটার পলিসি মেনে তা ব্যবহার করতে হবে। এটার ভায়োলেশনের কারণে পেজে রিচ কম হতে পারে।

উপরে কিছু কারণ আমি উল্লেখ করলাম যে গুলো মেনে না চললে পেজের রিচ কমতে পারে। সেই সঙ্গে ফেসবুক আরও গুরুতর ব্যবস্থা নিতে পারে যেমন- পেজ আন-পাবলিশড করে দেয়া, পেজ রিমুভ করে দেয়া, ডিস্টিবিউশন প্লেসমেন্ট কমিয়ে দেয়া ইত্যাদি। আপনার পেজ কোয়ালিটি ভাল রাখতে চাইলে ফেসবুকের পেজ পলিসি, পেজ স্ট্যান্ডার্ড এবং কমিউ নিটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলুন।

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল ফারুক Abdullah Al Faruque

ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামে কোন এড দেখানোর আগে সেগুলো কে রিভিউ করা হয় যাতে নিশ্চিত করা যায় সেগুলো ফেসবুকের এড পলিসি মেনে চলে...
12/11/2020

ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামে কোন এড দেখানোর আগে সেগুলো কে রিভিউ করা হয় যাতে নিশ্চিত করা যায় সেগুলো ফেসবুকের এড পলিসি মেনে চলেছে। বেশির ভাগ এডের রিভিউ ২৪ ঘন্টার মধ্যে সম্পন্ন হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগতে পারে।

কি কি বিষয় বিবেচনা করা হয়?

একটা এড রিভিউ করার সময় বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে আছে ইমেজ, টেক্সট, টারগেটিং এবং পজিশনিং। এডের পজিশনিং বলতে তার সকল কম্পোনেন্ট কে বুঝায় অর্থাৎ টেক্সট, ইমেজ এবং অন্যান্য মিডিয়া। এই গুলো প্রাসঙ্গিক হতে হবে। যে প্রডাক্ট বা সার্ভিস প্রদান করা হবে তা যেন যথোপযুক্ত হয়। কন্টেন্ট ছাড়াও অতিরিক্ত হিসেবে একটা এডের ল্যান্ডিং পেজ রিভিউ করা হয়। ল্যান্ডিং পেজ বলতে কল-টু-একশন বাটনে বা টেক্সট এরিয়াতে যে লিঙ্ক দেয়া হয় সেটাকে বুঝানো হচ্ছে। সেটা হতে পারে ওয়েবসাইট বা ইউটিউব। এই লিংক গুলো যদি একটিভ না থাকে এবং যে প্রডাক্ট বা সার্ভিস এর প্রমোশন করা হচ্ছে সেটার সাথে যদি মিল না থাকে অথবা ফেসবুকের এড পলিসির সঙ্গে যদি সঙ্গতিপূর্ণ না হয় তা হলে এড আপ্রুভ করা হয় না।

এড আপ্রুভ হবার পর কি ঘটে?

এড রিভিউ এর কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হবার পর একটা নিশ্চিতকরণ নোটিফিকেশন সেন্ড করা হয়। সেটা ফেসবুকে নোটিফিকেশন আকারে জানান হয় এবং একই সাথে এড অ্যাকাউন্ট এর সঙ্গে ইমেইল যুক্ত থাকলে সেখানেও জানানো হয়। এরপর এডের ডেলিভারি শুরু হয় এবং এডস ম্যানেজারে এডের ফলাফল দেখা যায়।

এড আপ্রুভ না হলে কি করবেন?

আপনার এড যদি আপ্রুভ না হয় তা হলে সেটাকে এডিট করে রি-সাবমিট করতে হবে। এড অ্যাকাউন্ট এর সঙ্গে যে ইমেইলের সংযুক্তি আছে সেখানে ইমেইল করে ফেসবুক জানিয়ে দেয়া কেন এড টা ডিস-আপ্রুভ হল। এ ছাড়াও এডস ম্যানেজার থেকেও কি কারণে এড আপ্রুভ হয়নি সেটা জেনে নিয়ে তা এডিট করুন।

কিভাবে এড এডিট করবেন?

পেজের একটা পোস্ট যখন বুস্টে দেয়া হয় তখন সেটা এডিট করা যায় না। এই ক্ষেত্রে এডস ম্যানেজার থেকে আপনার বুস্টে দেয়া এড টা রিমুভ করে ফেলুন তা হলে সেটা এডিট করতে পারবেন। কি কারণে এড আপ্রুভ হয়নি সেটা জেনে নিয়ে সেইভাবে এড এডিট করুন। সেটা ইমেজের ক্ষেত্রে হতে পারে আবার টেক্সটের ক্ষেত্রেও হতে পারে।

সিদ্ধান্ত জানার জন্য আপিল করুন

আপনি যদি এড এডিট করতে না পারেন অথবা মনে করেন ফেসবুকের সিস্টেমের ভুলের কারণে এড আপ্রুভ হয়নি তা হলে ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট কোয়ালিটি থেকে ম্যানুয়াল রিভিউ এর জন্য আপিল করুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খুব দ্রুততম সময়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়। আমি ৩০ মিনিটের মধ্যে অনেক সিদ্ধান্ত পেয়েছি।

একবার এড আপ্রুভ হলে সেটা কি বার বার রিভিউ হয়?

একবার এড রিভিউ হয়ে আপ্রুভ হবার পর সেটা বার বার রিভিউ হতে পারে। ফেসবুক সিস্টেম এডের মধ্যে সন্দেহভাজন কিছু পেয়ে থাকলে তা একাধিকবার রিভিউ করতে পারে। এমন কি তা ৩/৪ বার হতে পারে। রিভিউ প্রসেস চলাকালীন এডের ডেলিভারি বন্ধ থাকে। বার বার রিভিউ করার ফলে এডের পারফরমেন্স ফল করতে পারে।

এড আপ্রুভ হবার পরও কি তা রিজেক্ট হয়?

একবার এড আপ্রুভ হবার পর তা ডিস-আপ্রুভ হতে পারে। এড আপ্রুভ হয়ে যখন ডেলিভারি হয় তখন তা ফেসবুকের সিস্টেমের নজরদারিতে চলে আসে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হতে পারে অথবা ফেসবুকের এড পলিসি ফলো করা হয়নি এমন কিছু খুঁজে পেলেই এড রিজেক্ট করে দিতে পারে। এমনও দেখেছি ৪ দিনের এড ৩ দিন ভালভাবে চলার পর তা রিজেক্ট করে দিয়েছে।

একটা পেজ থেকে ঘন ঘন এড রিজেক্ট হলে ফেসবুক সেই পেজ কে এড রেসট্রিকটেড করে দিতে পারে। তাই যে ধরণের কন্টেন্ট বার বার রিজেক্ট হয় তা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

Address

Bogura

Telephone

+8801711177840

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Aalok Digital - আলোক ডিজিটাল posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Aalok Digital - আলোক ডিজিটাল:

Share