
04/05/2025
গল্প: কাক ও হাঁসের বন্ধুত্ব
একটা ছোট নদীর ধারে এক কাক আর এক হাঁস থাকত। তারা ছিল খুব ভালো বন্ধু। প্রতিদিন নদীর ধারে বসে গল্প করত, আর একসঙ্গে খাবার খুঁজে বের করত। কাক ছিল খুব চঞ্চল আর বুদ্ধিমান, আর হাঁস ছিল শান্ত স্বভাবের ও ধীর-স্থির।
একদিন কাক বলল, “চল, আজ আমরা মিলে খাবার খুঁজে বেড়াই, দেখো কত মজা হবে!” হাঁস রাজি হয়ে গেল।
কিন্তু সমস্যা হলো—কাক তো উড়তে পারে অনেক দ্রুত, আর হাঁস শুধু জলে বা ধীরে হাঁটতে পারে। কাক দ্রুত উড়ে চলে যেত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, কিন্তু হাঁস ধীরে ধীরে পৌঁছাত। কাক বারবার হাঁসকে ফেলে চলে যেত। হাঁস কিছু না বলে ধৈর্য ধরে চলত।
একদিন কাক এক গাছের নিচে অনেক দানা দেখতে পেল। সে খুব খুশি হয়ে সব দানা খেয়ে ফেলল। পরে হাঁস যখন সেখানে পৌঁছাল, তখন আর কিছুই বাকি নেই। হাঁস কাককে বলল,
“বন্ধু, তুমি তো জানো আমি ধীরে চলি। তুমি কি একটুও আমার জন্য অপেক্ষা করতে পারতে না?”
কাক হেসে বলল, “ওরে হাঁস বন্ধু, আমি ভাবলাম তুমি দেরি করবে, তাই না খেয়ে থাকতে পারলাম না!”
হাঁস কষ্ট পেয়ে চুপ করে রইল। সে মন খারাপ করে নদীর ধারে চলে গেল। কাক বুঝতে পারল, সে ঠিক কাজ করেনি।
পরদিন কাক নিজে থেকে হাঁসের জন্য কিছু দানা এনে দিল, আর বলল, “বন্ধু, আমি ভুল করেছিলাম। তুমি ধীর হলেও তুমি আমার আপনজন। সত্যিকারের বন্ধুত্বে ধৈর্য আর ভাগাভাগি থাকা দরকার।”
হাঁস হেসে বলল, “আমি জানি তুমি ভুল বুঝে ফেলেছিলে। এখন আবার আমরা বন্ধু হয়ে গেলাম।”
সেই থেকে কাক আর হাঁস একে অপরকে সময় দিত, ধৈর্য ধরত, আর যা পেত ভাগ করে খেত।
শিক্ষা:
সত্যিকারের বন্ধুত্বে ধৈর্য, সহানুভূতি আর ভাগাভাগি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধুকে ছোট করে দেখা উচিত নয়, বরং পাশে থাকা উচিত সব সময়।