04/04/2025
শেরপুরে সাংবাদিককে প্রাণে মে-রে ফেলার হুমকি বিএনপি নেতার
"আমি এই এলাকার বিচারক, আমার যা ইচ্ছা তাই করমু"
"আওয়ামীলীগ কি ক্ষমতায় আছে যে বেশী ভাব দুচাস? তুই এর আগে নিউজ করছিলি এর শোধ এখন নিমু"
"তুই কুটি আছু ক, তোরে মাইর্যা ফেলমু"
কথাগুলো একটা ইউনিয়ন বিএনপি নেতার। বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মো: জিয়াউর জিয়ার।
৫ তারিখের পট পরিবর্তনের পর শাহবন্দেগী ইউনিয়নের মাতব্বর সেজেছে। একবার ভাবুন শেরপুরের অধিক প্রচারিত পেইজের এডমিনের সাথে এমন করার সাহস পেলে সাধারণ মানুষের উপর কেমন আচরণ করেন এই নেতা। কারণ পেছনে আছে প্রভাবশালী বিএনপি নেতা। বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ কতটা পালন করছেন এরা?
আওয়ামীলীগের সময়ে বিএনপি প্রোগ্রামে সাহসী ভূমিকা না করলেও ব্যক্তিগত সম্পত্তি রক্ষায় পুকুরে বৈদ্যুতিক তার জড়িয়ে মানুষ হ-ত্যা সহ প্রতিবেশীকে মা-রপি-ট সহ নানান বিতর্কিত কাজে জড়িয়েছে। আবার দিনশেষে নানান অনিয়মে সুবিধাবাদীরাই কমিটিতে স্থান পেয়েছে।
কেন এই হুমকি? ওই এলাকার সব বিচার ওনি করবেন। কোনো ভুক্তভোগী আমাদের সাহায্য নিতে পারবেন না। এরা দু পক্ষকে বিবাদ লাগান, গেঞ্জাম বড় করার চেষ্টা চালান। পরে আর্থিক দফারফায় মীমাংসা করান। এরকম একটি বিষয়ে ওনাকে জিজ্ঞাসা করতে চাইলে আমাদের চুপ থাকতে বলেন। আমাদের বলেন আমরা কথা বলার কে? সাংবাদিক কথা বলবেনা ওনাদের ইচ্ছামত বিচার সম্পর্কে। এমন আলাপকালে উত্তেজিত হয়ে হম্বিতম্বি দেখান এই ইউনিয়ন বিএনপি নেতা।
এছাড়াও শেরপুর অপরাধ নামা এডমিনের উপরে এর আগেও বিএনপি নাম ভাঙানো কিছু টাপেন্টা বিক্রেতা ও চাঁদাবাজ কর্তৃক ন্যক্কারজনক হা-ম-লা-র শিকার হয়েছিলেন। অথচ বিএনপির দুর্দিনে এদের কে পাশে পাই নাই বিএনপি।
পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ থাকলেও দিনশেষে একটু হলেও নিরাপত্তা দিয়েছিল এডমিনের।
কিন্তু দুর্ভাগ্যে শতবার ফোন করেও সেনাবাহিনী কে পাইনি এডমিন।
তাই সাময়িক সাহস হারিয়েছিলাম আমরা। কেননা আমাদের চারপাশ জুড়ে শত্রুদের আস্ফালন। এ যেন আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতির শহর.....