17/09/2024
( আসল সত্য ঘটনা অবল্বনে লেখা হয়েছে,কোনো প্রকার বিকৃত করা হয়নি)
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার
সকাল ৮ টায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কল দিলাম শান্তকে। কেননা এই প্রাণীটি বড়জোর হলে আর মাত্র দু'ঘণ্টা আগেই ঘুমিয়েছে। আর তাই এখন ঘুম থেকে উঠা সম্ভব না তাই বাটন ফোনটিকে অটো কলে রেখে কল দিতে থাকলাম আর এইদিকে আমি কি করছিলাম মনে নেই তবে দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা পর মহাশয় কল ধরলেও বলল সে শুয়ে আছে বললাম ভেবেছিলাম একসাথে নাস্তা করব কই তুই ( ইহা মিথ্যে)। আমি তখন বাসায়। তো পরে তার বাসার নিচে অপেক্ষা করতে করতে আসলেই ক্ষিধে লেগে গেল। অবশেষে নাস্তা সেড়ে আমরা হাটাহাটি করে বাসায় চলে যাই। সন্ধ্যে বের হওয়ার কথা থাকলেও আমি ঘুম থেকে উঠতে দেরী হওয়ায় পরে ১০ টার দিকে বের হই। কি আজব ব্যাপার আমার আর শান্তর খুবই বোরিং লাগছিল তাই আমরা ভাবলাম একটু ভৌতিক অনুভূতি নেয়া যাক।আমাদের চিন্তা ছিল না কারণ যেহেতু শহুরে পরিবেশ তাই ভূত এসে নিয়ে যাবে বা ঘাড় মটকে খাবে, অবশ্য ঘাড় মটকে দিলে আজ গল্পটা কে বলত?
আর তাই আমরা চললাম অন্ধকার রাস্তার দিকে যেতে যেতে আমরা বহুদূরে চলে যাই যদিও তেমন কোনো ভয় পাচ্ছিলাম না আর এদিকে গল্প করতে করতে কবে যে এতদূরে চলে এলাম খেয়াল করি নি। আমার তো পার্সোনাল ফোন নেই তাই শান্তর ফোনেই গান আর লাইট জলছিল।
তখন বোধহয় ১১টা বাজে। আমরা একটা রেলরাস্তা খুজে পাই সেখানে আশে পাশে কোনো মানুষ নেই। রেলরাস্তার উপর দাঁড়িয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে ডানে জাবি নাকি বামে জাবি ? শান্ত বলল আমি এদিকে আগে আর আসি নি কোন দিকে গেলে কোথায় গিয়ে উঠব তুই চিনিস না চিনলে ফেরত চল। আমি বললাম বামে গেলে জংশন আর ডানে গেলে নাঙ্গলকোটের রাস্তা। আমি বললাম কোন দিকে জাবি? সে বল্ল শর্টকার্ট রাস্তা দিয়ে চল দেরী হয়ে গেছে। আর আমি আচ্ছা বলে ইচ্ছে করেই নাঙ্গলকোটের রাস্তা দিয়ে নিয়ে গেলাম তবে অনেক দেরি হবে জানতাম যদিও। এতো দেরি হবে আশা করি নাই।
আমরা হাটা শুরু করি ডান দিক দিয়ে। কয়েক পা এগোতেই দেখি একজন বয়স্ক লোক আমাদের দিকে আসছে। ওনাকে দেখে মনে হলো কিছু বলতে চাচ্ছে বোধহয় কিন্তু বলল না তাই আমি জিজ্ঞাসা করলাম দাদা কিছু বলবেন ? উনি বলল " এতো রাতে কোথায় যাচ্ছো?" শান্ত বলল " না, আঙ্কেল ইক্টু হাটতে বের হয়েছি" আমি বললাম এদিকে কেউ নেই ? ঊনি বলল বন্যার কারণে সবাই আশ্রয় কেন্দ্রে কেউ নেই এখন। তবে যেখানেই জাও সাবধানে থেকো। আমরাও আবার হাটা শুরু করি কিছুক্ষণ যেতেই শান্ত বলে তার ফোনে আর ১৫% চার্জ আমি বললাম কতক্ষণ যাবে? সে বলল ১০-১৫ মিনিট। যেইনা আমরা দ্রুত হাটা শুরু করি তখন আমরা সামনে থেকে ছাগলের ম্যা ম্যা আওয়াজ শুনতে পাই। কিন্তু সামনে কিচ্ছুই ছিল না। আস্তে মনে হল আওয়াজ আমাদের সাথের ঝোপ থেকে আসছে। তখন আমরা আশে পাশে আর সামনে পিছে দেখলাম আর ভাবি যে কেউ নেই হয়ত আশ্রয় কেন্দ্রে জাওয়ার সময় কেউ ফেলে গিয়েছে হয়ত। আর তাই আমরা ঝোপটাতে জাই। সেখানেও পানি হাটু সমান এবার ওখানে নেমে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল ছাগলের ম্যা ম্যা আওয়াজ ঠিক আমাদের আমাদের কানের সামনে হচ্ছিল তাও আমরা খুজতে থাকি পুরো ঝোপ্টা তেনে তুলে ফেলার পরেও কিছু পাই নি পরে আমরা চলে যেতে চাই আমি ঢালু রাস্তা বেয়ে রেলরাস্তায় উঠে গেলেও শান্ত উঠার সময় তার ফোনের চার্জ ৫% হয়ে জায় আর টর্চ বন্ধ হয়ে জায়। সে তখনও উঠছিল আমি বললাম হাত ধরতে সে কথা শুনতে পারছিল না। কেননা আমরা তখনো সে আওয়াজ শুনতে পারছিলাম। সে রাস্তায় উঠার পর আওয়ার চেঞ্জ হয়ে জায় মনে হচ্ছিল ছাগলটার গলা কাটছিল। আমরা এবার ভয় পেয়ে জাই আর দেরী না করে আমরা সামনের রাস্তার দিকে দৌড়াতে থাকি। তবুও জেনো এই আওয়াজ আমাদের পিছু ছাড়ছিলো না। পরে রাস্তায় উঠে আমরা রিকশা নিয়ে চলে আসি। মেইনরোডে আসার পর আমরা এই আওয়াজ আর শুনি নি তবে পর দিন সকালে দেখা করলে সে জানায় সে রাতের ৩টায় তার রুমে দরজার সামনে একটি ছাগলের ছায়া দেখতে পায় যার গলায় দরি ছিল কিন্তু কিছুতে যেন বাধা ছিল না ঝুলে ছিল এটি শুনব আমি মোটেও আশা করি নি কেননা একি ঘটনা আমি স্বপ্নে দেখে আমার ঘুম ভেঙ্গে জায়। পরে আমি আর ঘুমাতে পারি নি সারারাত আমরা রুমের লাইট জ্বালিয়ে রেখেছিলাম। কি করব বুঝতে পারছি না।
(সংগৃহিত)