03/01/2024
বাসর ঘরে কি আছে
আমরা শপথ করেতিছি যে, কেউ কোনো দিন প্রেম করবো না । কখনো কোনো মেয়ের দিকে ভুলেও তাকাবো না । এবং সবসময় সিঙ্গেল থাকবো । কেউ যদি ভুলেও প্রেমে পড়ে তাহলে তাকে ফ্রেন্ড লিষ্ট থেকে ব্যান্ড করে দেয়া হবে । শাস্তি হিসেবে আরো থাকছে তাকে ফেসবুক থেকে একদম ব্লক । হাত মেলাও
সবাই হাত মেলালো । সবাই বলতে আমরা চার বন্ধু ।, রুদ্র, প্রিন্স, নিলয় সিহাব । মানে আমি । সেই ছোট কাল থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব । কখনো কেউ কাউকে ছেড়ে যাইনি । এমন কি কলেজের গন্ডি পেরিয়ে যখন সবাই ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম তখনো আমরা এক সাথে ছিলাম । কিন্তু আজ আমরা একসাথে নেই । নিশ্চুই প্রশ্ন জাগছে কেনো নেই.? সে ঘটনাই আজকে আপনাদের বলবো ।
বিবরণ সরুপ,,, রুদ্র- রুদ্র হচ্ছে সহজ সরল হাবা গোবা একটি ছেলে । দেখতে শুনতে বেশ ভদ্র আর দামরা গরুর মতো মোটুরাম । তবে সালা একটু লুইচ্ছা । চোখে চশমা পড়ে । তাই তারে সবাই ভদ্র মনে করে । রাস্তায় কোনো মেয়ে দেখলেই এক দৃষ্টিতে হ্যাঁ করে তাকিয়ে থেকে ফুল স্কান করে ফেলে । কিছুদিন হলো সে একটা মেয়ের জুতার বারি খেয়েছে । তাই তিনি এখন এই শোকে কাতর ।
প্রিন্স- নামটা শুনে রাজা বাদশা মনে হলেও সালা একটা সেই লেভেলের ফকির । ফকির বললে ভুল হবে । ফকিরের চেয়ে বড় ফকির । ফ্রেন্ডদের কে তো কখনো কিছু ট্রিট দেয়নি । বরং পেলে আরো চেটে পুটে খেয়ে আসতো । আমরা বাকি তিনজন কখনো তাকে ভাঙ্গাতে পারিনি । তাই একদিন তাকে ইচ্ছা করে পকেট মেরে পার্টি দিছি । বন্ধু আমার এ জন্য আপাতত আমাদের সামনে অভিমান করে বসে আছে ।
নিলয়- বড় লোক বাবার একমাত্র পোলা । দেখতে অনেক কিউট । বাট একটু লাজুক । মেয়ে পেটাতে ভীষণ অস্তাদ । ওহ সরি ভুল বললাম । মেয়েরাই তাকে পটানোর চেষ্টা করতো । নিলয় ভালো গান গাইতে পারে তো । সাথে ভালো গিটারো বাজাতে পারে । এর জন্যই হয়তো মেয়েরা তাকে দেখে ক্রাশ খাইতো । কতো মেয়ে প্রেমের প্রস্তুত দেয় । বাট আমাদের এই অসহায় বন্ধু গুলোর চাদমাখা মুখখান দেখে না বইলা দেয় । আসলে আমরাই তাকে করতে দেইনা । কারন আমদেরর একটা শপথ করা হয়েছে যেটা গল্পের শুরুতেই বলছি ।
সিহাব- নিজের প্রশংসা নিজে বললে হয়তো অনেকেই বলবে বাড়িয়ে বলছি । তাই আপাতত কিছু বলছিনা ।
এই হলো আমাদের চার বন্ধুর সম্পর্ক । ঢাকা সহরের ব্যাস্ত নগরীর কোনো এক ফ্লাটে আমরা চার বন্ধু ভাড়া নিয়ে থাকি । ব্যাচেলার দের জীবন যেরকম কাটে আর কি ঠিক সেভাবেই আমাদ