08/05/2025
ভোর বাজে চারটা, বাংলাদেশে এখন দশটা।
ঘুম ভেঙে হঠাৎ মোবাইলে চোখ গেলো। মোবাইলে দুইটা টাইম সেট করা একটা এখানকার আরেকটা দেশের।
আমার ওয়ালপেপারে বাবুর (আমার ভাগনী) ছবি দেওয়া। রিসেন্ট আমি সবচেয়ে বেশি মিস করছি ওকে।
এখানে সব কিছু পাওয়া যায়, কোনো কোনো জিনিস নিজের ইমেজিনেশনের চেয়েও বেশি পাওয়া যায়। খুব সুন্দর সাজানো গোছানো ছিমছাম একটা দেশ।
এখানকার সবচেয়ে একটা জিনিস যেটা সবসময় বাহিরের দেশের আমার মনে ধরে, এখানে কেউ কারও দিকে তাকায় না, কাউকে কেউ জাজ করে না, কে কি খাচ্ছে, কি নিচ্ছে, কোথায় থাকছে কিছুই না।
সেদিন আতিফ আসলামকে দেখলাম রাস্তার মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। না আছে কোনো বডিগার্ড না আছে সাথে অন্য কেউ। কারও একটু সময়ও নেই যে সে কে তার সাথে যেয়ে একটু কথা বলি। অথচ ওখানে কতো বাঙালি ইন্ডিয়ান পাকিস্তানি সবাই তাকে চিনতেছে।
তাদের কাছে জীবনটা খুবই সিম্পল, আর্লি এজে তারা কাজ করে বুড়া বয়সে তারা বুড়া বুড়ি সময় কাটায়। তারা আগে থেকেই প্লান করে কবে তারা রিটায়ারমেন্টে যাবে, এরপর কোথায় থাকবে, কিভাবে থাকবে সবকিছু।। অল্পতেই খুশি মানুষগুলোর জীবন আসলেই সুন্দর।
শুধু কাড়ি কাড়ি টাকা মানেই জীবন স্যাটেল এটা একটা চরম ভ্রান্ত ধারণা। এদেরকে দেখে মনে হয় জীবনে কতো সিম্পলি খুশি থাকা যায়, তাই হয়তো ডাচ বাচ্চাদের সবচেয়ে হ্যাপি চাইল্ড বলা হয়।
ছবিটা তুলেছি এক নদীর পাশে, এদের নদীগুলাও খুব ছোট, আমার দেশের ধারের কাছেও নেই এগুলো। পাশে বসে ফুল কুড়াচ্ছি, ভালো লাগতেছে। একজন এসে বলছে আমি হেল্প করব?
অথচ এই সেম ছবি আমার নানী বাসার নদীতে তুললে বলত ঢং দেখলে বাচিনা, আদিক্ষেতার শেষ নেই, আমাদের গ্রামে অনেক এমন জিনিস আছে আপা কুড়ায় দিয়ে যান, এগুলো আবার দেখানোর কি হইলো আরও কতো কিছু।
জীবন সুন্দর তবে শুধু চোখে নয়,
মানুষের মনমানসিকতায়। ❤️
© Nowrin