22/09/2024
খলিলুর রহমানের বেদখল জমি ফিরিয়ে দিয়েছে আদালত;
অবসর প্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক খলিলুর রহমান স্থানীয় প্রভাবশালীদের দাপটের কাছে বলি হয়ে ৯শতক জমির দখল হারিয়ে আদালতের আশ্রয় নেন। এরপর মামলাতে আদালতে কেটে গেছে প্রায় ১২টি বছর। জীবনের শেষ ইচ্ছে ছিল বেঁচে থাকতে আদালত থেকে রায় পেয়ে জমির দখল বুঝে পাবেন তিনি। অবশেষে সেই ইচ্ছে পুরণ হয়েছে তার।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা দায়রা জজ আদালতের নির্দেশে স্থানীয় জনগনের উপস্থিতিতে শিক্ষক খলিলুর রহমানের ৯ শতক জমি ঢোল পিটিয়ে দখল করে দেয় আইন শৃংখলা বাহিনী।
এসময় খলিলুর রহমান বলেন, আল্লাহ আমার শেষ ইচ্ছে পুরণ করেছে, আদালত আমাকে ন্যায় বিচার দিয়েছে।
এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালদের দায়িত্ব প্রাপ্ত লোকজন বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের সহযোগিতায় সীমানা নির্ধারণ করে লাল কাপড় টাঙিয়ে দেয়। এরপর ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করেন এই জমির দখল বুঝে দেওয়া হলো মামলার বাড়ী খলিলুর রহমানকে।
খলিলুর রহমানের ছেলে নুরে আলম জানান, বালিয়াডাঙ্গী বাজারের তেরকোনা গ্রামে ৯ শতক জমি আমাদের দখলে ছিল। ১২ বছর আগে ইবনে, আবুল কাশেম মানিক ও আশরাফ আলী জবর দখল করে নিয়ে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে। বাধা দিতে আসলে আমার বাবা, ছোটভাইসহ আমাদের পরিবারের লোকজনকে তারা মারধোর করে তারিয়ে দেয়।
২০১৩ সালে আমার বাবা আদালতে ফোজদারি এবং সিভিল মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানি, আপিল শেষ করে আমরা রায় পেয়েছি। আদালত সেই জমি আজ দখল করে বুঝে দিলো। আমার বাবা সবচেয়ে খুশি আজকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জবরদখল করা এই জমিতে পাকা স্থাপনা করে একটি কিন্ডার গার্টেনকে ভাড়া দিয়েছিল বিবাদী। শনিবার জমি উদ্ধার করে দিতে আদালতের লোকজন আসলে বাচ্চাদের ছুটি দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মামলায় রায় পাওয়াতে দখল করিয়ে নিতে আবেদন করেছিল মামলা বাদী খলিলুর রহমান। আমরা বিচারক মহোদয়ের নির্দেশনায় পুলিশকে সাথে নিয়ে জমির দখল বুঝিয়ে দিয়েছি।