
12/05/2025
#অপ্রিয়_তুমি_২
#পর্ব৩
#আফিয়া_আফরোজ_আহি
গোধূলি বিকেল এক অনন্ত মায়ার পরশ। সূর্য ধীরে ধীরে পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে, লালচে-কমলা আলোয় গোটা দিগন্ত যেন আগুনে রাঙানো। পাখিরা ফিরে চলেছে আপন নীড়ে, ডানার আওয়াজে বাতাসে এক স্নিগ্ধ ছন্দের জন্ম হয়। সেই আলো-ছায়ার খেলা যেন আকাশজোড়া এক কাব্য।
গাছের পাতায় পরেছে সূর্যের শেষ রশ্মি, এতেই যেন সোনার পালকের ছোয়ার ন্যায় না পাতায় সোনালী ঝিলিক দিচ্ছে। দৃষ্টি যেন থেমে যায় এক মুহূর্তের জন্য, এই মোহময় সময়টাকে হৃদয়ে ধরে রাখতে। বাতাসে হালকা শীতল পরশ, যেন প্রকৃতি ধীরে ধীরে শান্তির কোলঘরে ঢুকছে।
গোধূলির এই সন্ধিক্ষণ, দিনের আর রাতের মাঝের সময়টা ছাদে দাঁড়িয়ে উপভোগ করছো উৎসা। একটু আগে তনয়া বেগম তাড়া দিয়ে ছাদে পাঠিয়েছেন কাপড় তোলার জন্য। এতো সুন্দর পরিবেশ দেখে উৎসা কাপড় তোলার কথা বেমালুম ভুলেই গিয়েছে। মত্ত হয়েছে প্রকৃতি বিলাসে।
উৎসা যখন প্রকৃতি বিলাসে মগ্ন তখন পাশের ছাদ থেকে ডেকে উঠলো সিঁথি। প্রথম ডাকে উৎসার ধ্যান ভাঙলো না। দ্বিতীয় বার একটু জোরেই গলা বাড়িয়ে ডাকলো সিঁথি। উৎসা থতমত খেয়ে জবাব দিলো,
"কি! ডাকছো আমায়?"
"তোকে না এক বয়রা পে*ত্নী কে ডাকছি। যে এত কাছ থেকে ডাকার পর ও শুনছে না"
উৎসা কোমরে হাত গুজে বলল,
"আমায় পে*ত্নী বললে? পে*ত্নী হবে তোমার ভাইয়ের বউ। জ*ল্লা*দের বউ পে*ত্নী ভালো মানাবে না বলো?"
সিঁথি একবার উৎসাকে ভালো করে দেখে নিয়ে টিটকিরি মেরে বলল,
"এত সুন্দর পে*ত্নী কে ভাবি হিসেবে পেলে মন্দ হবে না। আমি কিন্তু খুশিই হবো"
"ছিঃ! ছিঃ! কি বলছো? জবান সামলাও মহিলা"
"এমন ভাবে বলছিস কেন? আমার ভাইয়া খারাপ নাকি? মানছি একটু রাগী, ঘাড় ত্যাড়া, তোকে একটু বেশিই ধমক দেয়, শাসন করে তাই বলে এভাবে বলবি?"
"তো কিভাবে বলবো? তোমার ভাই একটু শাসন করে? ঐদিনের থা*প্পড় এর কথা আমার সারাজীবন মনে থাকবে। আমার বাবা-মা, ভাই ও এই পর্যন্ত এত জোরে আমায় মা*রেনি। সেখানে তোমার ভাই থা*প্প*ড় দিয়ে আমার সুন্দর গালটাকে লাল বানিয়ে দিয়েছে। আস্ত জ*ল্লা*দ একটা"
"আরে তুই বউ হয়ে গেলে আর মা*রবে না। তখন তুই ভাইয়া কে নাকে দড়ি দিয়ে দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা ঘুরাতে পারবি। জানিস না ছেলে মানুষ বউয়ের কাছে ভিজা বেড়াল?"
"আমার অতো কিছু জানার দরকার নেই। আমার তোমার ভাইকে পছন্দ না"
"তাহলে কেমন ছেলে পছন্দ শুনি?"
উৎসা একটু ভাবুক হলো। ভাবুক ভঙ্গিতে গালে হাত রেখে বলল,
"ছেলেটাকে লম্বা হতে হবে, সুন্দর হতে হবে যেন আমি ক্রাশ নামক বাঁশ খেতে পারি ঘন্টায় ঘন্টায়, রাগী হবে না, মারামারি করবে না, একদম ভদ্র হতে হবে, আমায় বকা দিবে না, আদর করবে। সব চেয়ে বড় কথা আমায় অনেক অনেক ভালোবাসবে"
সিঁথি গালে হাত দিয়ে এই মেয়ের ফ্যান্টাসি শুনছে। অতঃপর উৎসাকে ইশারায় কাছে ডাকলো। উৎসা কাছে আসলে ফিসফিস করে বলল,
"আমার ভাইকে বিয়ে কর দেখবি বিয়ের পর ভাইয়া বকা কম আদর বেশি করবে। আর অন্নেক অন্নেক ভালোবাসবে যা তুই কল্পনা ও করতে পারবি না"
"আ*স্তা*গ*ফি*রু*ল্লা*হ, মুখের ভাষা সংযত করো মহিলা"
"ভালো কথা বললাম তো কানেই নিলি না"
"তোমার ভালো কথার গুষ্টি কিলাই"
সিঁথি ভেংচি কেটে বলল,
"এই জন্যই বলে, কারো ভালো করতে নেই"
একটু থেমে ক্ষীণ কণ্ঠে বলল,
"বউ তো তুই আমার ভাইয়েরই হবি সেটা হোক ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়"
উৎসা স্পষ্ট শুনতে পেল না কথাটা। জিজ্ঞেস করলো,
"কিছু বললে?"
সিঁথি নিজেকে স্বাভাবিক করলো। অতঃপর বলল,
"বললাম আমাদের বাড়ি আয়। কতদিন হলো আমাদের বাড়িতে পা ও রাখিস না। আম্মু তোকে আসতে বলেছে। তোর জন্য নাকি স্পেশাল কি বানিয়েছে"
উৎসা মনে পড়ে গেল সেই দিনের কাহিনী। মেহরাবের শরবতের গ্লাসে এক গাদা মরিচ এর লবন মিশিয়েস ছিল। মেহরাব ওকে হাতের কাছে পেলে কি করবে আল্লাহ মালুম। উৎসা মনে মনে বলল,
"সাধে কি যাই না আমি? তোমার ওই জ*ল্লা*দ ভাই হাতের কাছে পেলে আমায় ভর্তা বানাবে সেই ভয়েই তো যাচ্ছি না"
মুখে বলল,
"যাবোনি অন্য সময়"
সিঁথি সন্দীহান নজরে উৎসার দিকে তাকিয়ে বলল,
"বাই এনি চান্স তুই কি ছোটো ভাইয়ার ভয়ে আসতে চাইছিস না?"
উৎসা ধরা পড়ে যাওয়া চোরের ন্যায় দৃষ্টি নামিয়ে বলল,
"এমন কিছুই না"
"কেমন কিছু সেটা দেখতেই পাচ্ছি। ভাইয়া বাসায় নেই"
উৎসা ঝট পট বলল,
"তুমি সময় দেখো আমি গুনে গুনে ২ মিনিটের মাঝে আসছি"
বলে এক দৌড় লাগালো উৎসা। সিঁথিও হেসে পা বাড়ালো নিচে যাওয়ার জন্য। পা*গ*ল মেয়েটা নিশ্চই এখনই চলে আসবে।
উৎসা নিচে নামতেই তনয়া বেগমের মুখোমুখি হলো। তনয়া বেগম ওকে দেখে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
"কাপড় কোথায়? আর এমন ছুটন্ত ট্রেনের গতিতে কোথায় যাচ্ছিস?"
"মামনিদের বাসায় যাচ্ছি, তোমার কাপড় তুমি তুলে আনো। আমি পারবো না"
বলেই ছুট লাগলো। উৎসা আর মেহরাবদের বাড়ি পাশাপাশি। উজ্জ্বল সাহেব অনেক আগেই এই জায়গাটা কিনে রেখেছিলেন। ওনার পোস্টিং শহরে হওয়ায় ফুল ফ্যামিলি সহ শহরে চলে আসেন। প্রথম কয়েকমাস ভাড়া বাড়িতে থেকে বাড়ি কমপ্লিট করে এখানে শিফট হয়। সেই থেকে উৎসরা এখানে আছে।মেহরাব এর দাদার করা বাড়ি এটা। ওদের পরিবার অনেক আগে থেকেই এখানে থাকতো। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় দুই পরিবারের মাঝে অনেক ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক গাঢ় হওয়ার আরো বড় করণ হলো তিয়াস আর মেহরাব। ছেলে দুটোর বন্ধুত্ব পরিবার দুটোকে আরো কাছে এনেছে।
আগে প্রায় বিকেল উৎসা সিঁথির সাথে একসাথে কাটাতো। দুজনের কারোই বোন নেই। তাই সিঁথি, উৎসা দুই বোনের মিলে মিশে থাকে। মেহরাব দেশে ফিরার পর থেকে আর এ বাড়ির ধারে কাছে আসেনি উৎসা। ঐদিন যে কান্ড ঘটিয়েছে মেহরাব জানতে পারলে নিশ্চই ওকে আচ্ছা করে ধোলাই দিবে। সেই ভয়েই যাও আসবে তাও আসেনি। এখন যেহেতু জ*ল্লা*দ টা নেই সেহেতু উৎসা নির্ভয়ে যেতে পারবে। তার চেয়ে বড় কথা ওর মামনি ওর জন্য কষ্ট করে কিছু বানাবে আর ও যাবে না তা কখনো হতে পারে? কখনো না?
উৎসা সদর দরজা পাড়িয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো। ডাইনিং রুমে টেবিলে কি যেন সাজিয়ে রাখছে সালেহা বেগম। উৎসা পা টিপে ওনার পিছনে গিয়ে দাঁড়ালো। পিছন থেকে জাপ্টে ধরে গদ গদ জিজ্ঞেস করলো,
"কেমন আছো মামনি?"
সালেহা বেগম একটুও চমকালেন না। উল্টো অভিমানি কণ্ঠে বললেন,
"এতো দিনের মামনির কথা মনে পড়লো? ইদানিং তো এ বাড়ির পথ ভুলেই বসেছিস"
"আরে এমন কিছু না। পড়াশোনা নিয়ে একটু ব্যাস্ত ছিলাম তাই"
সালেহা বেগম ঘাড় ঘুরিয়ে এক নজর তাকালো উৎসার দিকে। সন্দীহান কণ্ঠে সুধালো,
"তুই আর পড়াশোনা?"
"এমন ভাবে বলছো যেন আমি পড়তেই বসি না"
"না, তা কেন হবে তুই তো আমার লক্ষী মেয়ে যে কিনা বই বাদে কিছু চোখেই দেখে না"
"মামনি!"
"হয়েছে আর ঢং করতে হবে না। সিঁথিকে দেখে নিয়ে আয় দেখি। তোকে ডাকতে গিয়ে ও নিজেই হাওয়া হয়ে গেছে দেখছি"
উৎসা দাঁত কেলিয়ে বলল,
"২ মিনিটে যাচ্ছি, ১০ মিনিট পর আপুকে নিয়ে আসছি"
উৎসার কথায় হেসে উঠলেন সালেহা বেগম। উৎসা সিঁড়ি বেয়ে উঠলো। সিঁড়ি পাশের প্রথম রুমটা মেহরাবের। তার পরেরটা সিঁথির। মেহরাবের রুম পার হয়ে যেতে নিয়ে কি মনে করে যেন উঁকি দিলো উৎসা। আর এতেই সর্বনাশ টা হলো যেন। এক জোড়া শক্ত পোক্ত পুরুষালি হাত হ্যাচকা টান দিলো। উৎসা নিজের ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে হুরমিড়িয়ে গিয়ে পড়লো সামনের মানুষটার প্রশস্ত বুঁকের ওপর। সেকেন্ডের ব্যাবধানে ছিটকে সরে আসলো মানুষটার বাহু বন্ধন থেকে। ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে রইলো মানুষটার দিকে। উৎসার সামনে দাড়িয়ে আছে ওর তথা কথিত জ*ল্লা*দ সাহেব। সদ্য গোসল করে এসেছে বোধ হয়। পরনে টাউজার, খালি গাঁয়ে গলায় টাওয়াল ঝুলানো। বুকে বিন্দু বিন্দু পানির অস্তিত্ব। উৎসা লজ্জায় চোখ নামিয়ে নীল। এই বেলাজ, জ*ল্লা*দ মার্কা লোকটার কি এই রূপে ওর সামনেই পড়তে হয়? সেইদিনের ঘটনা মনে পড়তেই উৎসা শুকনো ঢোক গিললো। মেহরাব আজ ওর কি অবস্থা করবে কে জানে! ভয়ে পিছিয়ে যেতে নিলো। পিছনে দেওয়াল, যাওয়ার জায়গায় নেই। পাশ থেকে কেটে পরবে সেই ফন্দি আটতেই মেহরাব দুপাশে হাত রেখে আটকে দিলো। ঝুঁকে এলো খানিকটা। অতঃপর গম্ভীর কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
"কি সমস্যা?"
উৎসা তোতলানো স্বরে বলল,
"কই? কোনো সমস্যা নাই তো?"
"তাহলে আমার থেকে লুকিয়ে বেড়াচ্ছ কেন? তোমাকে কিছু বলেছি আমি?"
উৎসা দুদিকে মাথা নাড়লো। মেহরাব পুনরায় জিজ্ঞেস করলো,
"বকেছি?"
উৎসা ফের মাথা নাড়ালো। মেহরাব কিছুটা ধমকের সুরে বলল,
"বোবা নাকি? মুখে বলো"
"না"
"মেরেছি?"
"না"
"তাহলে কি সমস্যা?"
"কোনো সমস্যাই না"
"সমস্যা না হলে আমার থেকে লুকিয়ে বেড়াচ্ছ কেন?"
উৎসা মনে মনে বলল,
"লুকিয়ে বেড়াবো না তো কি করবো? বলছে বকেনি আর এদিকে ধমক দিচ্ছে। জ*ল্লা*দ লোক একটা"
মুখে বলল,
"লুকিয়ে বেড়াচ্ছি না তো"
মেহরাব কথা বাড়ালো না। মেয়েটার সাথে কথা বললেই কেন যেন ঝগড়া লেগে যায়। এই মুহূর্তে ঝগড়া করার মুড নেই ওর। তাই বলল,
"নিচে যেয়ে আম্মুকে বলবে আমার জন্য খাবার রেডি করতে"
উৎসা মাথা নাড়িয়ে সোজা নিচে চলে এলো। সোফায় বসে জোরে জোরে শ্বাস নিলো। জ*ল্লা*দ লোকটা এতো কাছে থাকায় শান্তি মতো শ্বাসও নিতে পারে নি। এক প্রকার দম খিচে ছিল। পাশে থেকে কেউ বলে উঠলো,
"কিরে আমার সামনে তো আমার ভাইকে জ*ল্লা*দ, রা*ক্ষ*স আর কতো কিছু বলিস। ভাইয়ার সামনে তোর বলতি বান্ধ হয়ে যায় কেন?"
তারমানে? তারমানে সিঁথি ওদের দুজনকে দেখে নিয়েছে? এমনিতেই দিনে ৩২ বার ওকে মেহরাবের গলায় ঝুলানোর প্ল্যান করে। এখন নিশ্চই ওকে অনেক খোঁচাবে? উৎসা তড়িঘড়ি ওর পাস থেকে উঠে গলা বাড়িয়ে বলল,
"মামনি তোমার ছেলে তার জন্য খাবার রেডি করতে বলেছে"
বলতে বলতে রান্না ঘরের দিকে পা বাড়ালো। এখন এখানে থাকলে সিঁথির ওর লেগ পুল করায় একটুও ছাড় দিবে না।
—————
তপ্ত দুপুরে গরমে ঘেমে নেয়ে একাকার অবস্থা উৎসার। গাঁ বেয়ে দর দর করে ঘাম বেয়ে পড়ছে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। এই কাঠ ফাটা গরমে গলা শুকিয়ে এসেছে। ঠান্ডা কিছু হলে মন্দ হয় না। উৎসা আর তানজিলা কলেজ থেকে বেরিয়ে দুটো ক্যান কিনে খেতে খেতে সামনের দিকে আগাতে নিলে পিছন থেকে কেউ একজন ডেকে উঠলো। পিছনে ঘুরে দেখলো হাসি মুখে রিয়াদ ওদের দিকে এগিয়ে আসছে। রিয়াদ ওদের সামনে এসে জিজ্ঞেস করলো,
"বাড়ি চলে যাচ্ছ?"
পাশ থেকে তানজিলা ভেংচি কেটে বলল,
"আশেপাশে আপনার শশুর বাড়ি আছে নাকি যে সেখানে যাবো?"
রিয়াদ মাথা চুলকে বলল,
"আমি সেটা বলিনি তো"
"তাহলে কলেজ ছুটি হওয়ার পর নিশ্চই বাড়িই যাবো"
রিয়াদ আমতা আমতা করে বলল,
"আসলে আমি তোমাদের ট্রিট দিতে চাচ্ছিলাম"
উৎসা কিছু বলার কাছে তানজিলা বলে উঠলো,
"কেন? আপনার বিয়ে নাকি?"
"আরে না। গতকাল আমার জন্মদিন ছিল, কলেজ অফ থাকায় কাউকেই ট্রিট দিতে পারিনি। তাই ভাবলেন আজকে ট্রিট দেই। কি খাবে তোমরা?"
উৎসা লাফ দিয়ে বলে উঠলো,
"আইসক্রিম"
রিয়াদ হেসে বলল,
"তাহলে চলো আইসক্রিম পার্লারে যাই"
উৎসা ওর সাথে পা বাড়ালো। তানজিলা এক রাশ বিরক্তি নিয়ে চলল। ওর কেন যেন রিয়াদ ছেলেটাকে ভালো লাগে না। দেখলেই ইচ্ছে করে এর মাথায় ইট ছুড়ে মারতে। আইসক্রিম খেতে খেতে রাস্তা দিয়ে হাটছে উৎসা, রিয়াদ এর তানজিলা। উৎসা মাঝে দুপাশে দুজন। উৎসা হেসে হেসে কথা বলছে রিয়াদের সাথে।
দূর থেকে এই দৃশ্য দেখে রাগে জ্বলে উঠলো কেউ। মানবের পুরো শরীরে যেন কেউ আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। ইচ্ছে করছে কাছে যেয়ে মেয়েটার গেলে ঠাস ঠাস দুটো বসাতে। রাগে শরীর জ্বলে উঠেছে। শরীরের চেয়েও মনের জ্বালা অনেক গুন বেশি। হাত মুষ্ঠী বদ্ধ করে নিজেকে সামলে নিলো। অতঃপর প্রস্থান করার আগে বিড়বিড় করে বলল,
"যত বার বাড়ার বেড়ে নাও পাখি, খুব শীঘ্রই তোমাকে খাঁচায় বন্দি করার ব্যাবস্থা করছি। অতঃপর তুমি আমার, শুধুই আমার"
#চলবে?