
19/06/2025
আয়াতুল্লাহ আলি খামেনী বিশ্বের অন্যতম অদম্য মুসলমান। তিনি কখনো সুন্নি বা শিয়ার বিরুদ্ধে নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের পক্ষে আজীবন প্রচার করে এসেছেন। আজ যখন সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিরিয়ার কিছু নেতা সুন্নি-শিয়া বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়, তখন দুনিয়াজুড়ে মুসলমানরা বুঝতে শুরু করেছে—আসলে কে ইসলামের পক্ষে দাঁড়িয়ে আছেন আর কে ভিন্ন স্বার্থে কাজ করছে।
ইসরায়েল ধাপে ধাপে মুসলিম দেশগুলোকে দখল করছে। প্রথমে তারা ‘বিনাশকারী অস্ত্র’-এর মিথ্যা অজুহাতে ইরাক আক্রমণ করল, এরপর সিরিয়া ধ্বংস করল, এরপর লেবানান, আজ তারা ইরানকে ঘিরে রেখেছে। সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিরিয়ার , বাহরাইন , জর্দান , কুয়েত,লিবিয়া এই সব দেশের শাসকদেরকে ত আগেই ক্রয় করে নিয়েছে। লানত তাদের উপর। আমীন। কিন্তু ইরান ,হিজবুল্লাহ , হুতি সবসময়ই ফিলিস্তিনের প্রকাশ্য বন্ধু ছিল, আর ফিলিস্তিনের পক্ষে নির্ভীক কণ্ঠস্বর ছিলেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী।
যদি এই বিশ্বব্যাপী সংগ্রামে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী শাহাদাত বরণ করেন, তবুও তিনি কখনো মারা যাবেন না। তিনি ফিলিস্তিনের জনগণ ও বিশ্বের মুসলমানদের হৃদয়ে চিরজীবী থাকবেন। তার কণ্ঠ হয়তো থেমে যাবে, কিন্তু তার বার্তা থামানো যাবে না। খ্রিষ্টান-সিয়োনিস্ট ও ইহুদি পরাশক্তি যারা তাকে হত্যা করতে চায়, তারা বুঝে না—এই বার্তা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে, এবং এটি একটি অন্তহীন সংগ্রাম।
আমরা মুসলমানরা এক অদম্য জাতি। আমাদের জান-মাল আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দিতে দ্বিধা করি না। তোমরা হয়তো আমাদের জান্নাতের পথে কিছু বাধা সৃষ্টি করতে পারো, কিন্তু থামাতে পারবে না। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—সত্যবাদীদের জন্য রয়েছে জান্নাত।
প্রায় ৯০ বছর বয়সী খামেনেয়ীর আর কোনো দুনিয়াবি চাওয়া-পাওয়া নেই। তিনি সম্মান, নেতৃত্ব, ধন-সম্পদ—সবই অর্জন করেছেন। এখন তার একমাত্র আকাঙ্ক্ষা—জান্নাত। আর তার শত্রুরা নিজেদের অজান্তেই যেন তাকে সেদিকেই এগিয়ে দিচ্ছে।
এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমি মনে করি, আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের একজন। আমার ভালোবাসা, সম্মান, সহানুভূতি ও মমতা চিরকাল তার প্রতি নিবেদিত থাকবে 💖