Kaisar Rahmani

Kaisar Rahmani Our goal is constructive experimentation in any subject including history.
(4)

16/07/2025

আমার গ্রাম। আমার নদী।
আমি এমন স্বর্গ রেখে কেন ঢাকায় থাকি উত্তর মেলেনা।
চলে যাচ্ছি শহরে আবার।
পেছনে পড়ে থাকবে আমার গ্রাম, আমার পুণর্ভবা নদী।
আমি সবসময় অনুভব করি আমার নদীকে। নদী নদীর মতোই থাকবে। আমি যখন ইট পাথরের ঢাকাতে, তখনো এ নদী বয়ে যাবে। শুধু আমি থাকবোনা, ভাবতেই কান্না আসে।

একজন বদিলম্বা...সত্য বদিলম্বা...বদিলম্বাকে জানতে হলে বইটি পড়তে হবে।
08/07/2025

একজন বদিলম্বা...সত্য বদিলম্বা...বদিলম্বাকে জানতে হলে বইটি পড়তে হবে।

অমীমাংসিত বাবা! ঘটনাটা ছোট্ট। কোন মীমাংসা নেই এ ঘটনার। আধুনিক বন্ধুরা বলবে এটা সেকেলে, কু সংস্কার। আর আমি বলবো, এটা বলে ...
02/07/2025

অমীমাংসিত বাবা!

ঘটনাটা ছোট্ট। কোন মীমাংসা নেই এ ঘটনার। আধুনিক বন্ধুরা বলবে এটা সেকেলে, কু সংস্কার। আর আমি বলবো, এটা বলে দিলেই মুক্তি, চিন্তায় চাপ পড়েনা। কিন্তু ভাবতে গেলে শরীর ঘেমে যায়, উত্তর মিলেনা।

ঘটনাটা আমার খুব কাছের একজনের। ঊর্মি এখন পড়াশোনা করা স্মার্ট মেয়েে। একটা সময়ে অশরীরি, অতিপ্রাকৃত বিষয়গুলো তার কাছে হাসি ঠাট্টার বিষয় ছিলো। কিন্তু নিজের জীবনে যখন ঘটে গেছে, সেও ভাবছে," আমিতো নিজ চোখে দেখেছি, কোন স্বপ্ন না। তবে একি দেখলাম?"

তার বয়স যখন ১০, একদিন বাবার সঙ্গে রাতে ঘুমিয়েছে । ঊর্মির বাম পাশে তার বাবা ঘুমিয়েছে। আর সে বাবার ডান পাশে। রাত ১০ টার দিকে তারা ঘুমিয়ে পড়েছিল। ঊর্মির বাবার বয়স তখন ৪২।

গরমের কারণে ঘরের দরজা খোলা রেখেই ঘুমিয়েছে তারা। ঘরের লাইট বন্ধ, কিন্তু বারান্দায় জ্বলে থাকা বাল্বের আলোতে তাদের ঘরও আলোকিত। ঘরে ছিলে আলো- আঁধারের ব্যালান্সড মিশ্রন।

বাপ-মেয়ে দুজনেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। সম্ভবত পবিত্র ফজরের আযানের আগে ঊর্মি ঘুমের ঘোরে ডান দিকে কাত হয়েছে ( অর্থাৎ বাবা যে পাশে শুয়েছে তার বিপরীত দিকে )। চোখে ঘুম লেগেছিলো তখনো তার । কিন্তু ডান পাশে ফেরার পর তার একটু অস্বস্তি বোধ করে সে। একারণে ঊর্মি চোখটা শুয়ে থেকেই খুলেছে। সে দেখে, খাটের ডান পাশের মধ্যখানে তার বাবা দুহাত বিছানায় রেখে টুলের উপর বসে আছে। বাবা তাকে দেখে হাসছে মিটমিটি। ঊর্মি বলছে, তার বাবার হাসিটা খুব সুন্দর ছিল। কোন ভয়ের কিছু ছিলনা। মেয়ে তাকিয়ে আছে বাবার দিকে, আর বাবা তাকিয়ে আছে মেয়ের দিকে। বাবা হাসছে মিটিমিটি। এভাবে প্রায় ৪০-৫০ সেকেন্ড কেটেছে। এই দেখাদেখির মাঝেই ঊর্মি তার বাম দিকে ঘুরেছে ( অর্থাৎ যে পাশে বাবা শুয়ে আছে)। এবার সে দেখে তার বাবা গভীর ঘুমে তার পাশে।

ঊর্মি এবার চমকে উঠে। প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায় সে। তার বাবাতো তার বাম পাশে সেই রাত ৯ টা থেকে ঘুমাচ্ছে। ডান পাশে একটু আগে বসা অবস্থায় তার বাবাকে যখন দেখে সে, ঠিক সে সময়ে তার বাবা তার পাশেই ঘুমিয়ে ছিলো। তাহলে তিনি তবে কে? আবার বাম পাশে ফিরে সে। দেখে কেউ নেই।

ঊর্মি শতভাগ নিশ্চিত সে স্বপ্ন দেখেনি। অত্যন্ত সজাগ- সচেতন ভাবে নিজ চোখে তার ডান পাশে বাবাকে বসা অবস্থায় দেখেছে, অথচ বাবা তখনো বাম পাশে ঘুমাচ্ছে। এটা সে কি দেখলো, কেন দেখলো, কিজন্য দেখলো, এসবের জবাব নেই তার কাছে।

** ছবি প্রতীকি।

01/07/2025

ফিরে আসা!

জানি, অনেকেই বলবে এটা ইলিউশান। বলবে তোমার ভ্রম। যে যাই বলুক, আমি বলবো সত্য।

ঢাকা থেকে খুব কম যাওয়া হয় বাড়িতে। এজন্য শূণ্যতা পেয়ে বসেছে গ্রামের বাড়িকে। ভেন্টিলেটরে চড়ুই পাখির বাসা, বাথরুমে মাকড়সার মোটা ফাঁদ। বৃষ্টির পানি রসিয়ে দেয়ালে মানুষের দাঁদের মতো ঘা। ইঁদুর - টিকটিকির অন্ধকারে বসে অবসর। এসব মিলিয়ে বাড়িটা একটু অন্যরকম হয়ে যায়। বছরে দু - একবার আমি গিয়ে পরিস্কার করে দু একদিন থাকি ।

বর্ষায় একবার যেতে হলো বাড়ি। ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে গেলাম।

আমি রাত করে বাড়ি ফিরি। সেদিন বৃষ্টি ছিল বলে আড্ডাটা আরো জমলো। রাত তখন একটা কি দেড়টা হবে। বাড়িতে যাবার জন্য বের হওয়া মাত্র আবার বৃষ্টি শুরু হলো। তুমুল বৃষ্টি। বৃষ্টি যখন থামে তখন তিনটার মতো সময় হবে। বর্ষার রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে চিন্তা করলাম অর্ধাঙ্গিনী আজ মহা বিরক্ত হবে। অনেক রাত হয়েছে। নিশ্চয় সে ঘুমিয়ে গেছে।

বাড়ির সামনে বৃষ্টির পানিতে কাদা হয়ে গেছে। বাইরের দরজার ডান পাশে আম গাছ থেকে বৃষ্টির পানি ফোঁটা ফোঁটা পড়ছে শরীরে। গাছের গোড়ায় গুটিসুঁটি হয়ে একটা ছুঁচো শব্দ করছে। সে ভিজে একাকার একারণে হয়তো। আমি গ্রিল গেটের কড়া নাড়লাম। দু - তিনবার শব্দ করে কড়া নাড়বার পর বউ ঘুম চোখে বিরক্ত হয়ে গেটের তালা খুলে দিয়েই ঘরে চলে গেল। আমি, বাড়ির বারান্দায় কাদা মাখা জুতা খুলে, ঘরে না গিয়ে, বারান্দার বাথরুমে গিয়ে পা ভাল করে ধুঁয়ে নিলাম। হাত পা মুছে ঘরে ঢুকলাম।

ঘরে গিয়ে দেখি লাইট বন্ধ, বউ- বাচ্চা ঘুমাচ্ছে। আমি শান্ত গলায় বললাম, কি গো ঘুমিয়ে গেলা আবার? ভাত দিয়ে ঘুমাতা তাহলে আর ডিস্টার্ব হতোনা তোমার। বউ কোন কথা বলছেনা। গভীর ঘুম দুজনের। আমি আবারো বউয়ের নাম ধরে বেশ কয়েকবার ডাকলাম। এবার বুঝলাম সে নড়াচড়া করছে। মানে ডাক কানে গেছে। আমি বললাম, ঘুমালা কেন আবার? ভাত টেবিলে দিয়ে ঘুমাতা। বউ জড়ানো কন্ঠে বললো, তুমি ঢুকলা কিভাবে? গেটে তালা খোলা ছিল? আমি তাহলে তালা দিতে ভুলে গেছি। আমি বললাম, তোমার মাথা মুন্ডু। ঘুমে আবোল- তাবোল বকছো। গেটতো তুমি খুলে দিলা। আমাকে অবাক করে
বউ বললো, নাগো, আমি খুলিনি। আমি জাগলে ভাত না দিয়ে আবার ঘুমাবো কেন?

এবার আমি ঘরের লাইট অন করলাম। বউ সবুজ রঙের সলোয়ার - কামিজ পড়ে আছে। কিন্তু একটু আগে যখন গেট খুলে তখন লাল রঙের পুরণো জামাটা সে পরেছিলো, মোবাইলের আলোতে আমি দেখেছিলাম। যেটা ভাইয়া তাকে দিয়েছিল। আমি একটু নিশ্চিত হবার জন্য বললাম, গেটের চাবি কোথায়? বিছানার মাথার কাছে বড় জানলার সামনে চাবি থাকে সব সময়। চাবি সেখানে পেলামনা। পুরো বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম চাবি লাপাত্তা। এতকিছু ঘটছে আমি তাকে তখন পর্যন্ত কিছু বলিনি। আমি আর কিছু বললাম না তাকে। ভয় পাবে রাতে । ততক্ষনে খাবার সাজানো হয়ে গেছে টেবিলে। আর বাড়ির চাবি পাওয়াই গেলোনা।

খাবার খেয়ে বিছানায় আর ঘুম হলোনা। বউ সত্যি গেট খুলেনি। সে মিথ্যা বলেনা। কিন্তু যে দরজা খুলে দিলো, সে তবে কে ছিলো? কি ছিলো? আমি স্পষ্ট দেখেছি বউ এসে দরজা খুলে দিলো। হিসাবের সমাধান আমি আজ পর্যন্ত করতে পারিনি। এটা মনে হলে আমার দাদীর কথা মনে পড়ে। গভীর রাতে একই বাড়িতে দাদী দরজার হুঁকড়া ( দরজা লাগানোর কাঠ) খুলে দিয়েছিল। দাদা বাইরে থেকে বাড়িতে ঢুকলো। দাদা বিশেষ পুরনো আঁতর ব্যবহার করতেন। সেই সুবাসের গন্ধও দাদী পেলেন। কিন্তু ঘরে ঢুকে দেখলেন দাদা নেই। দাদা আসলে আসেননি। এসেছিলেন পরের দিন দুপুরে। তাহলে দাদী কার সুবাস পেয়েছিলেন? কে ঢুকেছিলো? বহুরূপী কি দীর্ঘ বিরতির পর আবার আসলো আমার বাড়িতে? কি মনে হয় আপনাদের?

সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। অনেক সুন্দর হোক সবার জীবন। ঈদ মুবারক।
06/06/2025

সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। অনেক সুন্দর হোক সবার জীবন। ঈদ মুবারক।

আবার হবে দেখা, আর সেটা দ্রুত। ইনশা আল্লাহ।
03/06/2025

আবার হবে দেখা, আর সেটা দ্রুত। ইনশা আল্লাহ।

"এই ছবির অর্থ আমি একজন অমুক/তমুককে দিবো"- ফেসবুকে এখন এই ট্রেন্ড খুব পপুলার। অনেকেই এটা করছেন, পরবর্তীতে ছবি দিয়ে ফেসবুক...
30/05/2025

"এই ছবির অর্থ আমি একজন অমুক/তমুককে দিবো"- ফেসবুকে এখন এই ট্রেন্ড খুব পপুলার। অনেকেই এটা করছেন, পরবর্তীতে ছবি দিয়ে ফেসবুক থেকে পাওয়া অর্থ দিচ্ছেন ঘোষিত মানুষকে। না দেয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।

পেজে ছবি দিয়ে প্রাপ্ত আয় অমুক/তমুককে দেয়ার যে ট্রেন্ড চলছে, আপনারা বিষয়টা কিভাবে দেখছেন? কি মনে হয় আপনাদের? দয়াকরে আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাবেন।

দেখা হবে খুব শীঘ্রই...
30/04/2025

দেখা হবে খুব শীঘ্রই...

29/04/2025

সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি, তিনি মহান ও উদার।

সবার জীবন সুন্দর হোক। অনেক অনেক ঈদের শুভেচ্ছা।
29/03/2025

সবার জীবন সুন্দর হোক। অনেক অনেক ঈদের শুভেচ্ছা।

26/03/2025

রাজার ছায়া !

Address

Rohanpur
Rājshāhi

Telephone

+8801721616806

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kaisar Rahmani posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Kaisar Rahmani:

Share

Category