Way To Deen-দ্বীনের পথ

Way To Deen-দ্বীনের পথ "হায়াত আছে যতদিন, আল্লাহর পথে চলব ততদিন।"

09/06/2025

মাশাআল্লাহ 💗💗💗💗

28/05/2025

🌈*যিলহজ্ব, হজ্ব ও কুরবানী: গুরুত্ব ও ফযীলত:🌈👇🆗👇

----------✴[পার্ট :১৯]✴-----------

💫*আইয়ামে তাশরীক: যিকির, তাকবীর ও পানাহারের দিন:💫

🕋নয় যিলহজ্ব ফজর থেকে নিয়ে তেরো যিলহজ্ব আসর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত। এ সময়ের প্রত্যেক ফরয নামাযের পর নারী-পুরুষ সকলের জন্য একবার তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। তাকবীরে তাশরীক হল--⤵

*اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ وَلِلهِ الْحَمْدُ.*

সর্বমোট পাঁচ দিন তাকবীরে তাশরীক বলা হলেও পরিভাষায় এগার, বার ও তেরো যিলহজ্বকে আইয়ামে তাশরীক বলা হয়। *(দ্রষ্টব্য. মাউসুআ ফিকহিয়্যা কুয়েতিয়্যা ৭/৩২৫)*

📗কুরআনে কারীমে আল্লাহ্ তা'আলা বলেন--⤵

*وَ اذْكُرُوا اللهَ فِیْۤ اَیَّامٍ مَّعْدُوْدٰتٍ.*

তোমরা নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহকে স্মরণ করো। *(সূরা বাকারা : ২০৩)*

📚হযরত ইবনে আব্বাস (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) বলেন, এখানে *اَیَّامٍ مَّعْدُوْدٰتٍ* দ্বারা উদ্দেশ্য- আইয়ামে তাশরীক। *(দ্র. সহীহ বুখারী, বাবু ফাদলিল আমাল ফী আইয়ামিত তাশরীক)*

📚রাসুলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* ইরশাদ করেন--⤵

*أَيّامُ التّشْرِيقِ أَيّامُ أَكْلٍ، وَشُرْبٍ، وَذِكْرِ اللهِ.*

আইয়ামে তাশরীক পানাহার ও আল্লাহর যিকিরের দিন। *(মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২০৭২২; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৪১)*

💫তো দেখা যাচ্ছে, এ দিনগুলো বেশি বেশি তাকবীর ধ্বনি উচ্চকিত করার দিন। সাহাবায়ে কেরাম এই দিনগুলোতে তাকবীর ধ্বনি তুলতেন। হযরত 'আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) ও হযরত আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহুম) বাজারে গিয়ে তাকবীরের আওয়াজ তুলতেন। শুনে শুনে লোকেরাও তাদের সাথে তাকবীরের ধ্বনি তুলতো। *(সহীহ বুখারী, বাবু ফাদলিল আমাল ফী আইয়ামিত তাশরীক; ফাতহুল বারী ২/৪৫৭)*

⚡অতঃএব আমরা এ দিনগুলোতে যিকির ও তাকবীর পাঠের খুব ইহতিমাম করবো।আল্লাহ্ তা'আলা তাওফীক দান করেন। (আমীন..!

28/05/2025

🌀*যিলহজ্ব, হজ্ব ও কুরবানী: গুরুত্ব ও ফযীলত:🌀👇🆗👇

----------✴[পার্ট : ১৮]✴----------

💫*আল্লাহর পক্ষ থেকে মেহমানদারী:💫

📚হযরত সালামা ইবনুল আকওয়া (রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহা) থেকে বর্ণিত, নবীজী *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* ইরশাদ করেন--⤵

*مَنْ ضَحّى مِنْكُمْ فَلاَ يُصْبِحَنّ بَعْدَ ثَالِثَةٍ وَبَقِيَ فِي بَيْتِهِ مِنْهُ شَيْءٌ، فَلَمّا كَانَ العَامُ المُقْبِلُ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ، نَفْعَلُ كَمَا فَعَلْنَا عَامَ المَاضِي؟ قَالَ: كُلُوا وَأَطْعِمُوا وَادّخِرُوا، فَإِنّ ذَلِكَ العَامَ كَانَ بِالنّاسِ جَهْدٌ، فَأَرَدْتُ أَنْ تُعِينُوا فِيهَا.*

তোমরা যারা (এবছর) কুরবানী করেছ তাদের বাড়িতে যেনো তিন দিনের পরে কুরবানীর (গোশতের) কোনো অংশ অবশিষ্ট না থাকে। (সাহাবীরা এমনটিই করলেন)। পরের বছর কুরবানী এলে তারা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসূল! গতো বছর যেমন করেছি (অর্থাৎ তিন দিনের পরে কুরবানীর আর কোনো গোশত জমা রাখিনি; বরং সব বিলিয়ে দিয়েছি) এবছরও কি তেমন করবো? তখন নবীজী বললেন, (এ বছর) তোমরা (তিন দিনের পরেও) খেতে পারো, জমা করেও রাখতে পারো। গতো বছর মানুষের অভাব ছিলো, তাই আমি চেয়েছিলাম, তোমরা (কুরবানীর গোশতের মাধ্যমে) মানুষকে সহায়তা করো, মানুষের পাশে দাঁড়াও। *(সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৫৬৯)*

💫সুতরাং শুধু কুরবানীর গোশত দ্বারা নয়; সাধারণ দান-সদকার অর্থ দ্বারাও বিত্তবানরা অভাবীদের পাশে দাঁড়াবেন। করুণা মনে না করে নিজের দায় থেকে তাদের প্রতি এগিয়ে আসবেন। বিশেষ করে ঐসকল ব্যক্তি ও পরিবারের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখবেন, যারা প্রয়োজনগ্রস্ত, অথচ নিজের প্রয়োজন প্রকাশ করতে পারে না।

28/05/2025

🌠*যিলহজ্ব, হজ্ব ও কুরবানী: গুরুত্ব ও ফযীলত:🌠👇🆗👇

----------✳[পার্ট : ১৭]✳----------

💫*কুরবানীর পশুর গোশত আল্লাহর পক্ষ থেকে মেহমানদারি:💫

⚡আমরা কুরবানী করবো, আল্লাহ্ তা'আলার মেহমানদারি গ্রহণ করবো। আল্লাহ্ তা'আলার হুকুম মোতাবেক কুরবানীর গোশত নিজেরাও খাবো আল্লাহর বান্দাদেরও মেহমানদারীতে শরীক করবো। আল্লাহ তাআলার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এটাও একটা মাধ্যম। আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেন--⤵

*فَاِذَا وَجَبَتْ جُنُوْبُهَا فَكُلُوْا مِنْهَا وَ اَطْعِمُوا الْقَانِعَ وَ الْمُعْتَرَّ، كَذٰلِكَ سَخَّرْنٰهَا لَكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ.*

✴*(তরজমা:) তারপর যখন (যবেহ হয়ে যাওয়ার পর) তা (পশুগুলো) কাত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়, তখন তাঁর গোশত হতে নিজেরাও খাও এবং ধৈর্যশীল অভাবগ্রস্তকেও খাওয়াও, এবং তাকেও, যে নিজো অভাব প্রকাশ করে। এভাবেই আমি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছি, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। *(সূরা হজ্ব: ৩৬)

🌙উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহা) এর এক বর্ণনায় এসেছে--⤵

*فَكُلُوا وَادّخِرُوا وَتَصَدّقُوا.*

‘খাও, সংরক্ষণ করো এবং সদকা করো।’ *(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৭১)

💫বিশেষ করে সঙ্কটকালীন এ মুহূর্তে আল্লাহর বান্দাদের প্রতি খেয়াল করা আমাদের বড়ো দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুরবানী না করে অর্থ দানের ‘অতি উপদেশ’ নয় বরং কুরবানী করে এর গোশতের অধিকাংশ বিলিয়ে দেওয়া এসময়ের কর্তব্য। এ আমাদের নবীজী *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* এর শিক্ষা।

28/05/2025

⭐*যিলহজ্ব, হজ্ব ও কুরবানী: গুরুত্ব ও ফযীলত:⭐👇🆗👇

----------✴[পার্ট : ১৬]✴----------

🕋*হজ্ব ও কুরবানী নিয়ে প্রোপাগান্ডা:🕋

⚡সঙ্গত কারণে এখানে এ বিষয়টিও উল্লেখ করা জরুরি মনে হচ্ছে যে, হজ্ব ও কুরবানীর মৌসুম এলে কোনো কোনো মহল থেকে ইবাদতদুটির ব্যাপারে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নানারকম অপ্রীতিকর মন্তব্য ও আপত্তি উত্থাপন করতে শোনা যায়। এসকল প্রোপাগাণ্ডায় প্রভাবিত হওয়া মুমিনের শান নয়। মুমিনের শান ও মান তো কেবল আল্লাহর হুকুমের সামনে আত্মসমর্পণের মাঝেই নিহিত। আর এ মহান শিক্ষা ও তরবিয়ত রয়েছে ইবাদত দুটির পরতে পরতে।

🌻কখনো কখনো কুরবানীর পশুর রক্ত প্রবাহিত করাকে মানবিকতার প্রশ্নে তোলা হয়।এটা অত্যন্ত পীড়াদায়ক এবং অবান্তর আপত্তি। অন্যান্য ধর্মাচারে পশু উৎসর্গের যে কালচার আর ইসলামে কুরবানীর যে বিধান তার মাঝে কি আসমান যমিনের ফারাক নজরে পড়ে না! ইসলাম পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রেও যে আদাব ও নীতিমালা রেখেছে তা দেখেও কি অন্ধ চোখগুলো আলো পাবে না!

📚একটি হাদীস শুনুন, হযরত শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* ইরশাদ করেন--⤵

*إِنّ اللهَ كَتَبَ الْإِحْسَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ، فَإِذَا قَتَلْتُمْ فَأَحْسِنُوا الْقِتْلَةَ، وَإِذَا ذَبَحْتُمْ فَأَحْسِنُوا الذّبْحَ، وَلْيُحِدّ أَحَدُكُمْ شَفْرَتَهُ، فَلْيُرِحْ ذَبِيحَتَهُ.*

আল্লাহ্ তা'আলা সকল কিছুর উপর অনুগ্রহকে অপরিহার্য করেছেন। অতএব যখন তোমরা (শরীয়তের হুকুম মোতাবেক শাস্তি হিসেবে কাউকে) হত্যা করবে তো উত্তম পদ্ধতিতে হত্যা করো। যখন যবেহ করবে তো উত্তম পদ্ধতিতে যবেহ করো। প্রত্যেকে তার ছুরিতে শান দিয়ে নেবে এবং তার পশুকে শান্তি দেবে। *(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৫৫; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৮১৫, সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৪০৫, জামে তিরমিযী, হাদীস ১৪০৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩১৭০)

28/05/2025

🌙*যিলহজ্ব, হজ্ব ও কুরবানী: গুরুত্ব ও ফযীলত:🌙👇🆗👇

---------✴[পার্ট : ১৫]✴----------

💫*কুরবানী: একটি ওয়াজিব আমল:*💫

✨কুরবানী নামায-রোযার মতো ফরয না হলেও অন্যান্য সাধারণ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ অপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিব আমল। উপরোক্ত আয়াত ও হাদীস গুলোর মাধ্যমে এ বিষয়টি সুস্পষ্টভাবেই প্রতীয়মান হয়। এছাড়া বিষয়টি আরো জোরালো ভাবেও বর্ণিত হয়েছে।

📚হযরত আবু হুরাইরা (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) বলেন--⤵

*مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ مَعَنَا فَلَا يَقْرَبَنّ مُصَلّانَا.*

সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করলো না, সে যেনো আমাদের ঈদগাহে না আসে। *(মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৭৫৬৬, মুসনাদে আহমদ, হাদীস ৮২৭৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩১২৩)*

⚡অতএব সামর্থ্যবান প্রত্যেক ব্যক্তিকে ১০, ১১, ১২ তারিখের মধ্যে কুরবানীর এ আমল করতে হবে। কুরবানী একটি আর্থিক ইবাদত। যার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে তার নামে অবশ্যই কুরবানী হতে হবে। যাকাত যেমন আর্থিক ইবাদত। যার উপর যাকাত ফরয হয় তার পক্ষ থেকে অবশ্যই তা আদায় করতে হয়।

🌀একই পরিবারে একাধিক ব্যক্তির উপর যাকাত ফরয হলে যেভাবে একজন যাকাত আদায় করা যথেষ্ট নয় তেমনি একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হলে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি কুরবানী যথেষ্ট নয়। হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী যারই সামর্থ্য থাকবে তারই কুরবানী হতে হবে।নতুবা এ দায় তার উপর রয়ে যাবে।

🌻অনেক সময় কুরবানীকে সুন্নত বলে ব্যাপারটিকে হালকা করতে দেখা যায়। বিষয়টি আদৌ এমন নয়। কুরবানী ইসলামের শি'আর। গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। শরীয়তের দৃষ্টিতে ওয়াজিব আমল। যেসকল ফকীহ একে সুন্নত বলেছেন, তাদের মতে এটা এমন গুরুত্বপূর্ণ সুন্নতে মুআক্কাদাহ মর্যাদার বিচারে যা ওয়াজিব পর্যায়ের এবং যা তরক করলে গুনাহ হবে। তাই কুরবানীকে ওয়াজিব বলুন আর সুন্নত, ফলাফলের বিচারে তা কাছাকাছি। অর্থাৎ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আবশ্যকীয় আমল।

💫তাই যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে তারা অবশ্যই কুরবানী আদায় করবে। আর যাদের উপর ওয়াজিব নয় সম্ভব হলে তারাও কুরবানী করবে।কেনোনা কুরবানী একটি ফযীলতপূর্ণ আমল۔

28/05/2025

🌃*যিলহজ্ব, হজ্ব ও কুরবানী: গুরুত্ব ও ফযীলত:🌃👇🆗👇

---------✳[পার্ট : ১৪]✳-----------

💫*কুরবানী: নবীজী সরাসরি নির্দেশিত হয়েছেন যে আমলের:💫

☝আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর প্রিয় হাবীব *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* কে কুরআনে কারীমে সরাসরি নির্দেশ দিয়ে বলেন--⤵

*اِنَّاۤ اَعْطَیْنٰكَ الْكَوْثَرَ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَ انْحَرْ.*

✴*(তরজমা:) আমি অবশ্যই তোমাকে কাউসার দান করেছি।
সুতরাং তুমি তোমার রবের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং কুরবানী কর। *(সূরা কাউসার : ১-২)*

🍁এজন্য নবীজী *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* সারা জীবন কুরবানী করে এসেছেন।হযরত 'আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) বলেন--⤵

*أَقَامَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللّهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ بِالمَدِينَةِ عَشْرَ سِنِينَ يُضَحِّي كُلّ سَنَةٍ.*

নবীজী *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* মদীনার দশ বছরের প্রতি বছরই কুরবানী করেছেন। *(জামে তিরমিযী, হাদীস ১৫০৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৪৯৫)*

🕋যিলহজ্ব মাসের দশ-এগার-বার এই তিন তারিখ কুরবানীর দিন। উত্তম হলো দশ তারিখেই কুরবানী করা। কারণ ইয়াওমুন নাহর মূলত যিলহজ্বের দশ তারিখই। অতএব যে ব্যক্তি এ তিন দিনে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার জন্য কুরবানী করা ওয়াজিব।

28/05/2025

“ আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি, অসহায় মুসলিম দেশগুলোর লাঞ্ছনা-গঞ্জনা আর দুর্দশার করুণ চিত্র। এই যে আমাদের বিপর্যয়গুলো একের পর এক দীর্ঘায়িত হচ্ছে, এখানে আল্লাহ তাআলার কি হিকমাহ রয়েছে, এইটা হয়তো আমরা সেভাবে ভেবে দেখি না।

বাস্তবেই এখানে আল্লাহ তাআলার এক বিরাট হিকমাহ রয়েছে।
কি সেটা?

— আল্লাহ তাআলা চান না যে, তাঁর বান্দারা শুয়ে-বসে বিজয় অর্জন করে ফেলুক।
তিনি চান না — তাঁর বান্দারা এর মাধ্যমে আত্ম প্ররোচিত-দাম্ভিক হয়ে যাক, রবের নিয়ামত-বিস্মৃত অকৃতজ্ঞ হয়ে যাক।

অনেক সময় তো এমনও হয় যে, বিজয়ের নেশায় মত্ত বিজেতা আগাগোড়া এক রক্তচোষা স্বৈরাচারী হয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা এমন বিজয় দিতে চান না তাঁর মুমিন বান্দাদের।

এই জন্যই বিজয়ের পূ্র্বে আহকামুল হাকিমীন তাঁর বান্দাদের কষ্ট-নির্যাতনে ফেলেন, বিপর্যয় আর ভোগান্তিতে ফেলে পরীক্ষা করেন; যাতে করে বান্দারা নিজেদের দুর্বলতা, অক্ষমতাকে যথার্থভাবে উপলব্ধি করতে পারে।
যাতে পূর্ণাঙ্গভাবে অনুধাবন করতে পারে যে — বিজয় একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই, আমাদের কোনো ক্রেডিট নেই।

একটু ভেবে দেখুন তো, কুরআনের কোন আয়াতে এই কথাগুলোর ইঙ্গিত আছে!
আল্লাহ তাআলা বলছেনঃ
‘আল্লাহ বদরের যুদ্ধে তোমাদের সাহায্য করেছেন, অথচ তোমরা ছিলে অপদস্থ।’
[ সূরা আলে ইমরান, ৩ঃ১২৩ ]

লক্ষ করুন, আল্লাহ বলছেনঃ ‘তোমরা ছিলে অপদস্থ।’

ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
‘আল্লাহ যখন বান্দাদের পরীক্ষা করেন, তখন তারা প্রথমে অপমানিত-অপদস্থ হয়, পরাজিত ও ব্যর্থ হয়।

এরপরই আল্লাহর পক্ষ থেকে সম্মান এবং বিজয় পাওয়ার উপযুক্ত হয় তারা।
কারণ, বিজয়ের পতাকা উত্তোলিত হয় ব্যর্থতা আর পরাজয়ের ধ্বংসস্তূপ ভেদ করেই।

আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের তারবিয়াত দেওয়ার এইটাও একটা হিকমাহ।

বিপরীতে হুনায়নের যুদ্ধের ব্যাপারে কি বলেছেন, দেখুনঃ
‘আল্লাহ তোমাদের অনেক স্থানে সাহায্য করেছেন এবং ( সাহায্য করেছেন ) হুনায়নের যুদ্ধের দিন। যখন তোমাদের সংখ্যাধিক্য তোমাদের চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তা তোমাদের কোনো উপকারে আসেনি।’
[ সূরা তাওবা, ৯ঃ২৫ ]

তাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যখন তাঁর বান্দাদের সাহায্য করতে চান, বিজয় দিতে চান;
তখন বিজয়ের আগে তাদের পরাজয় আর ব্যর্থতার পথ মাড়িয়ে আনেন।

এবং এই বিজয় আর সাহায্য আসেও পরাজয়ের আনুপাতিক হারে।’
[ যাদুল মাআদঃ ৩/১৯৮ ]

হুনায়নের যুদ্ধের দিন মুসলিমরা তাদের সংখ্যাধিক্যের কারণে আত্ম-অহমিকায় ভুগছিল। নিজেদের শক্তি-সামর্থ্য মোহাবিষ্ট করে ফেলেছিল তাদের।

কিন্তু এসব তাদের কোনো উপকারে তো আসেইনি, উল্টো তারা ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে যুদ্ধের প্রথম দিকে। এরপর অল্প কিছু মুসলিম সৈনিক জড়ো হন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পাশে।

আল্লাহ তাদের জনবল ও সম্পদে যে তিক্ততা ঢেলে দিয়েছিলেন, সেটার স্বাদ তারা হাড়ে হাড়ে টের পেতে থাকেন।
বুঝতে পারেন যে, আল্লাহ ছাড়া আর কিছুই মুমিনদের সাহায্যকারী নয়। শেষমেশ আল্লাহ তাআলা এই অল্প সংখ্যক লোকের মাধ্যমেই বিজয় দান করেন।

পক্ষান্তরে বদরের ঘটনা পুরো বিপরীত।
তখন মুসলিমরা ছিল অল্প। যুদ্ধের সরঞ্জাম বলতে তেমন কিছুই নেই। মুহাজিরগণ তো সীমাহীন অত্যাচার-নিপীড়ন সয়ে দেশছাড়া। আনসার সমাজও নতুন এই পরিস্থিতিতে টালমাটাল। এতটা দুর্বল অবস্থায় অহমিকা, গর্ব আর শ্রেষ্ঠত্বের চিন্তা করা তাদের পক্ষে সম্ভবই ছিল না।
কিন্তু আল্লাহ তাআলা এই হীন-দুর্বল অবস্থায়-ই তাদের সাহায্য করলেন, বিজয় দান করলেন।

‘আল্লাহ বদরের যুদ্ধে তোমাদের সাহায্য করেছেন, অথচ তোমরা ছিলে অপদস্থ। অতএব আল্লাহকে ভয় করো, যাতে কৃতজ্ঞ হতে পারো।’
[ সূরা আলে ইমরান, ৩ঃ১২৩ ]

পুরো বিষয়টি সাজিয়ে বললেঃ
মুসলিমরা ব্যর্থ-অপদস্থ হয়ে আল্লাহর কাছে নত হবে।
এরপর যখন আল্লাহ তাদের সাহায্য করবেন, বিজয় দান করবেন, তখন বিজয়ের খুশিতে আত্মহারা হয়ে অহমিকা আর আত্মতুষ্টিতে ডুবে যাবে না তারা। বরং নিজেদের দুর্বলতা আর অযোগ্যতার কথা স্মরণ করবে।

বুঝবে যে, বিজয়ের কৃতিত্ব আল্লাহরই প্রাপ্য। এইটা তার অনুগ্রহ। অবনত মস্তকে শুকরিয়া আদায় করবে রব্বে কারীমের কদমে। নিজেদের পূর্বের বিপর্যয় আর লাঞ্ছনার কথা স্মরণ করে সদয় হবে বিজিত জাতির উপর। তাদের উপর যুলুম-অত্যাচার করার ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করবে।

এই হচ্ছে মুসলিমদের ওপর দীর্ঘায়িত বিপর্যয়ের ব্যাপারে আহকামুল হাকিমীন আল্লাহ রব্বুল আলামিনের হিকমাহ।

এই জন্যই ভাই আমার!
‘মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর লাঞ্ছনা-গঞ্জনার আঁধার কাটিয়ে বিজয়ের সূর্যকে ত্বরান্বিত করুন। আমিন। ”

25/05/2025

🕋*যিলহজ্ব, হজ্ব ও কুরবানী: গুরুত্ব ও ফযীলত:🕋👇🆗👇

----------✴[পার্ট : ১৩]✴----------

💫*ইয়াওমুল আযহা: এ দিনকে ঘোষণা করা হয়েছে এ উম্মতের ঈদ:*💫

🕋ইয়াওমে আরাফায় আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে ব্যাপক ক্ষমা প্রাপ্তির ঘোষণা, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহর রাস্তায় আল্লাহর নামে নিজের প্রিয় পশু উৎসর্গ করার সৌভাগ্য অতঃপর উৎসর্গিত পশু থেকে আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে মেহমানদারি লাভের আনন্দ ও শুকরিয়া আদায়ের জন্য এ দিনকে মুসলমানদের জন্য ঈদ সাব্যস্ত করেছেন মহান রাব্বুল 'আলামীন। রাসুলুল্লাহ্ *(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম)* ইরশাদ করেন--⤵

*أُمِرْتُ بِيَوْمِ الْأَضْحَى، جَعَلَهُ اللهُ عِيدًا لِهَذِهِ الْأُمّةِ.*

আমাকে ‘ইয়াওমুল আযহা’র আদেশ করা হয়েছে (অর্থাৎ, এ দিবসে কুরবানী করার আদেশ করা হয়েছে); এ দিবসকে আল্লাহ্ তা'আলা এ উম্মতের জন্য ঈদ বানিয়েছেন। *(মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৬৫৭৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৫৯১৪ সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৭৮৯ সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৪৩৬৫)

Address

Kalai
Rājshāhi

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Way To Deen-দ্বীনের পথ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share