
13/06/2025
আজ থেকে কয়েক বছর আগে প্রথম আলোতে ইসলাম সম্পর্কে লেখালেখির প্রস্তাব পেয়েছিলাম। আমি এই পত্রিকাকে ইসলাম বিদ্বেষী আখ্যা দিয়ে সরাসরি 'না' করি। বলা হয়, আপনি সম্ভবত জানেন না, তারা ইসলাম নিয়ে অনেক কাজ করেন। ইসলাম সম্পর্কে তাদের বিস্তর লেখালেখি ও বইপুস্তক রয়েছে। এখন তারা আরও বৃহত্তর পরিসরে কাজ করতে আগ্রহী। আম জবাবে বলি, আমার ইসলাম আর প্রথম আলোর ইসলাম এক নয়। ফলে ওখানে লেখালেখি করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বলা হয়, লেখালেখির মাধ্যমে ওখানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবেন। বর্জনের চেয়ে সেটা কি উত্তম নয়? আমি জানাই, তারা সেটা করতে দিবে না। উল্টো আমাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে। তাদের ক্ষেত্রে এটাই আমার ব্যক্তিগত দর্শন ও আত্মোপলব্ধি।
আমি বরাবরই এই প্রকারের প্রতিষ্ঠান কিংবা সংগঠন থেকে- যাদের নিজস্ব আদর্শিক বয়ান রয়েছে- দূরাবস্থান করেছি আমার নিজের ঈমানের স্বার্থে। এগুলোতে দাঈ হতে গিয়ে নিজে মাদঊ হয়ে যাওয়া, প্রভাব বিস্তার করতে গিয়ে প্রভাবিত হবার নজির ভুরিভুরি। উম্মাহকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার উদাহরণ অসংখ্য।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেটা আরও বেড়েছে। দীন ও উম্মাহর খেদমতের নিয়তে সেক্যুলার প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও দলে যুক্ত হওয়া মাদরাসাপড়ুয়া উল্লেখযোগ্য একটি অংশ আজ নিজের অজান্তেই সেক্যুলার চিন্তা-ভাবনায় প্রভাবিত হয়ে পড়েছেন। নানান বিচ্যুত ও বিচ্ছিন্ন চিন্তা লালন করছেন, মুখ ফসকে বলেও ফেলছেন। কেউ কেউ হুবহু সেক্যুলারদের ভাষায় দীন ও দীনদারদেরকে আক্রমণ করছেন। উদ্দেশ্য জানা না থাকলেও এই শ্রেণীর মাদরাসাপড়ুয়া তরুণ ও তাদের কর্মপদ্ধতি সাধারণ মুসলমানদের জন্য মারাত্মক বরবাদির কারণ হবে। আলিম পরিচয়ে পরিচিত কারও চৈন্তিক ও আদর্শিক স্খলন হাজারও সাধারণ শিক্ষিত দাঈর স্খলনের চেয়ে ভয়াবহ। আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে, করতে হবে।
— উস্তায মীযান হারুন