26/03/2025
তার দাদার নাম তরিজ উদ্দিন পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। তার দাদার গৃহস্থ বাড়ীটা ১ বিঘা জমির উপর তৈরী করা। টাইলস দিয়ে বাঁধানো গেট আর ১ তালা ইটের বাড়ি টিনশেড ছাদের ৩ টা ঘরে ৬ টা রুম, মাঝে উঠোন, ১ টা বাথরুম।
সার্জিসের দাদার বিলে কৃষি জমি আছে ৩-৪ বিঘার মতন। পঞ্চগড়ের বর্ডার এলাকার জমি হিসেবে আনুমানিক সর্বমোট ১৫ লাখ টাকার সম্পত্তি আছে। যা দিয়ে এমপি ইলেকশনটা করা হয়েই যেতো।
কিন্তু বাধা হচ্ছে সার্জিসের ৩ টা চাচা ও ৩ টা ফুফু আছে। সেই হিসেবে সার্জিসের বাবা আকতারুজ্জামান সাজু ভাগে পাবেন গৃহস্থ+বিল মিলিয়ে ১ বিঘা সম্পত্তি, যার মূল্য হবে ৩ লাখ টাকা। সার্জিসের বাবা পেশায় একজন ব্যবসায়ী, আটওয়ারী উপজেলার বামনকুমার গ্রামে ধান-ফসল কিনে মজুত করে হাটে বিক্রি করে।
নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার দিনে আনে দিনে খায় গোছের আলাদা ব্যাংক ব্যালেন্স নাই।
এদিকে আবার সার্জিসের ছোট ভাই আছে একজন। তাহলে সার্জিস আলমের ভাগে বাপ-দাদার পৈতৃক সম্পত্তি গিয়ে দাঁড়ালো আধ বিঘা। যার বর্তমান মূল্য দেড় লাখ টাকা, তবে সার্জিস তার একদিনের গাড়ি শোডাউনে ৫০ টা গাড়ির ভাড়াই দিছে ৩ লাখ টাকা।
তবে যেহেতু সার্জিসের আত্মীয়স্বজন সবাই তাকে নির্বাচন করতে গাড়ি ও টাকা দিবে তাই বলা যায়,
আধ বিঘা দাদার সম্পত্তির জোর নিয়েও এমপি ইলেকশন করতে পারবে।
তবে দুঃখ একটাই, সার্জিসের দাদা বাড়ির ঠিক পিছনের বাড়িতে থাকা প্রতিবেশীরা সার্জিসদের বংশের পদবী বলতে পারছে না। একজন হলে মেনে নিতাম, তাই বলে কেউ বলতে পারবে না? এমনকি ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা এই বংশের নাম জানে না।
দাদার নামের শেষে উদ্দিন, বাবার নামের শেষে সাজু, আর সার্জিসের নামের শেষে আলম। এখন অব্দি এই বংশের পদবী অজানা।
যাকগে এসব তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, আমার খারাপ লাগছে যে,
সার্জিস আলম ৪৬ তম বিসিএস প্রিলিতে উত্তীর্ণ হয়েছে অথচ লিখিত প্রিপারেশন নিতে টেবিলে না বসে আলু ক্ষ্যাতে ব্রাক্ষ্মণ সাজে কেনো? বিসিএসে তো এখন আর কোটা নাই, এমপি ইলেকশনেও কিন্তু কোটা নাই।
আমার মনে হচ্ছে উজ্জ্বল একটা ক্যারিয়ার সার্জিস ছেলেটা নিজের হাতে ধ্বংস করে দিলো।
নোট: তথ্য যাচাইযোগ্য
উল্লেখ্য, যখন যে দলের বিপক্ষে কিছু বলা হয় তখনই সেই দলের অনুরাগভাজনরা অন্য দলের ট্যাগ দিতে উঠে পড়ে লাগে। এখনও তাই হচ্ছে। আওয়ামীলীগ, বিএনপির বিষয়ে কারো অজানা নয়। সুতরাং তাদের বিষয়ে না বললেও চলে।