06/08/2025
প্রাচীন ইউরোপীয়দের গায়ের রং ও শারীরিক গঠন নিয়ে আমাদের ধারণা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল যে তারা সাদা ত্বকের অধিকারী ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি ডিএনএ গবেষণা এই ধারণাকে বদলে দিয়েছে। এই গবেষণায় ৪৫,০০০ বছরের পুরনো ৩৪টি দেশের ৩৪৮টি প্রাচীন মানুষের ডিএনএ নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপে হোমো স্যাপিয়েন্সরা ৫০,০০০-৬০,০০০ বছর আগে আসার পর বহু হাজার বছর পর্যন্ত তাদের ত্বক ছিল গাঢ় কালো, চোখ ও চুল ছিল কালো। কারণ হিসেবে এই রংয়ের জিন তারা আফ্রিকান পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পেয়েছিল।
হালকা ত্বকের বৈশিষ্ট্য ইউরোপে প্রথম দেখা যায় প্রায় ১৪,০০০ বছর আগে, কিন্তু তা তখনও বিরল ছিল। এই বৈশিষ্ট্যগুলো সাধারণ হয়ে ওঠে প্রায় ৩,০০০ বছর আগে, ব্রোঞ্জ যুগের শেষ ভাগ বা আয়রন যুগের শুরুতে। গবেষকরা ধারণা করছেন, ঠান্ডা ইউরোপীয় অঞ্চলে.
ভিটামিন ডি তৈরির সুবিধার্থে হালকা ত্বক পরিবেশের সাথে বেশি মানিয়ে নিতে পারতো, ফলে এই জিনের বিস্তার ঘটে। কিন্তু হালকা চোখের রং ছড়িয়ে পড়েছিল যৌন নির্বাচনের মতো প্রাকৃতিক নির্বাচনের বাইরের কারণেও।
একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ পাওয়া গেছে ১৭,০০০ বছর আগের একটি শিশুর দেহাবশেষে-তার চোখ ছিল নীল, কিন্তু ত্বক ও চুল ছিল গাঢ় কালো। মানে, এই বৈশিষ্ট্যগুলো আলাদাভাবে ছড়িয়েছিল। গবেষণার মানচিত্রে দেখা যায়, অনেক এলাকায় তাম্রযুগ বা তার পরেও গাঢ় কালো ত্বক বহাল ছিল।
এই গবেষণা আমাদের বলে দেয়, ইউরোপীয়দের শারীরিক বৈশিষ্ট্যের বিবর্তন ধীরে ধীরে ঘটেছে এবং এর পেছনে ছিল পরিবেশগত চাপ, যৌন নির্বাচন এবং কখনো কখনো দৈবচয়নের মতো বিষয়।
Copypest
#বিজ্ঞানপোকা