25/08/2024
একটি ডাইরির গল্প,পর্ব-(২)
চারিদিকে থমথমে বিরাজ করছে,সেই সঙ্গে নেমে এসেছে রাতের আঁধার,ইলমা,বারান্দায় বসে,মায়া ভরা দু চোখে,মায়াবী ওই চাঁদতাকে দেখছে,হঠাৎ ইলমা আবিষ্কার করল, তার কানে ধেয়ে আসছে অজানা এক সুর,এজন্য এক অজানা সুর হয়েও তার কাছে পরিচিত সুর মনে হচ্ছে,ইলমার চোখ যায় বারান্দায় রাখার টেবিলের ওপর ফোনটিতে,ইলমা বুঝতে পারে এখান থেকেই সে অজানা সুর ধেয়ে আসছিল,এর পর ফোনটি রিসিভ করে, রিসিভ করে বুঝতে পারে, তার পরিচিত কন্ঠ, বলে উঠলো, হেলো, ইলমা বুঝতে পারে এইটা,ইকরা,
ইকরা,
কিরে তোর দেখি আর খবর নাই, আম্মা তো নানুর বাড়িতে যেতে পারমিশন দিয়েছে, এখন তোরা যাবি কিনা,
ইলমা,
আরে কি বলিস, আমি তো যাবো এখন, সিয়াম কে জিজ্ঞেস কর যাবে কিনা,
ইকরা,
আরে কি বলোস এইগুলা, সিয়াম,আবার যাবে না,
সিয়াম,যাবে এখন তুই বল যাবি কিনা,
ইলমা,
হ্যাঁ আমি তো অবশ্যই যাবো,
ইকরা,
তাহলে তুই, সিয়াম কে জানিয়ে দিস,
ইলমা,
ঠিক আছে দোষ, ও হ্যাঁ আরেক টা কথা, আমরা যাচ্ছি কবে,
ইকরা,
আব্বা তো বলো, কালকে টিকেট কিনে আনবে ট্রেনের, আর পরশুদিন আমরা যাব, আমরা কিন্তু ট্রেন দিয়ে যাব ঠিক আছে,
ইলমা,
ট্রেন দিয়ে গেলে তো অনেক মজা হবে,
ইকরা,
হ্যাঁ,আর তুই, সিয়াম কে জানিয়ে দিস কিন্তু, মনে করে
ইলমা,
ওকে বাবা, জানাবো বলছি তো,
ইলমা,
পড়ে ছিল, লাল কারারে শাড়ি, সেই সঙ্গে পড়েছিল, লাল কালারের ব্লাউজ, ইলমা, হাতে পড়েছিল, হালকা সাদা কালারের এক জোড়া কাচের চুড়ি আর সে সঙ্গে কপালে কালো কালার টিপ,ইলমা কে দেখে অসম্ভব সুন্দরী মনে হচ্ছেলো,
দেখে মনে হচ্ছে লাল কালার টা শুধু তারই জন্য,
আর ইকরা,
পড়ে ছিল,নীল কালারের এক শাড়ি, হাতের সামান্য কিছু এক জোড়া লাল চুড়ি আয় কপালে পড়ে ছিলো কালো কালারের টিপ, আর সেই সঙ্গে কালো কালার ব্লাউজ, ইকরা বরাবরই সময়ের মতোনি এবারও, এত সাজগোজ করেনি, ৯০ শতাধিকের মতনই, ইলমা এত সাজগোজ পছন্দ করেনা,তবু তার গায়ে জড়িয়ে রাখা নীল কালার শাড়ি হাতে কিছু লাল কালারের চুড়ি কপালে কালো কালারের টিপ, ইকরার মায়াবী ভরা মুখ আরো মায়াবী হয়ে উঠেছে
,
আর সিয়াম পড়ে ছিলো,
সব সময়ের মতন যেগুলা পরে, একটা কালো কালারের শার্ট, কালো কালার প্যান্ট, একটা ঘড়ি, চশমা,
সিয়ামের,শ্যাম বর্ণ দেহটা,কালো রঙে খুব মানিয়েছে,
তাদের ট্রেন ছাড়ার সময় সকাল দশটাই,ইলমা, সিয়াম,
তারা দু জনেই নয়টার মধ্যেই, ইকরার বাড়িতে চলে আসে, ইকরা বাড়ি থেকে স্টেশনের দূরত্ব, প্রায় 40 মিনিট,তারা আর দেরী করলো না,৯ঃ১০ এর মধ্যে তারা ঘর থেকে বের হয়ে যায়, স্টেশনের উদ্দেশ্যে,
এই পর্যন্ত ছিল,এইটি ডাইরির গল্প (পর্ব-২)
যদি গল্পটি ভালো লাগে থাকে তাহলে, লাইক, কমেন্টস,শেয়ার, অবশ্যই করতে পারেন,আর একটা কাজ করতে পারেন আপনাদের সুন্দর আঙ্গুল দিয়ে আমার পেজটিকে ফলো করে দিতে পারি,
🥰ধন্যবাদ🥰