অল্প স্বল্প গল্প Olpo Solpo Golpo

অল্প স্বল্প গল্প Olpo Solpo Golpo গল্প ও আড্ডা, সত্য ভয়ের ঘটনা, অভিজ্ঞতা আর জীবনের গল্প নিয়ে বাংলা Podcast অল্প স্বল্প গল্প।

আমার ছেলে আমার কথামতো চলে বলে আপনি আপনার মেয়ের বিয়ে আমার ছেলের সঙ্গে দিবেন না। এই কথা কি সত্য?জি সত্য। আপনি কি জানেন আমা...
25/12/2024

আমার ছেলে আমার কথামতো চলে বলে আপনি আপনার মেয়ের বিয়ে আমার ছেলের সঙ্গে দিবেন না। এই কথা কি সত্য?

জি সত্য।

আপনি কি জানেন আমার ছেলে রাহিল একজন ইঞ্জিনিয়ার। সে খুব ভালো চাকরি করে। ছাত্র জীবনে সে কখনো দ্বিতীয় হয়নি। এবং তার এসব অর্জনের পেছনে আমার অবদান মুখ্য ছিলো।

জি আমি জানি। দেখুন আপনার এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। আমার মেয়ে মুন্নী অত্যন্ত ভালো মেয়ে। তার পড়াশুনার রেজাল্টও ভালো। আমার মেয়ে আপনার ছেলেকে অনেক ভালোবাসে। সে আমাকে বলেছে যে সে বিয়ে করলে রাহিলকেই করবে। কিন্তু এই বিয়েতে আমি রাজি নই, আমি শুধুমাত্র আমার মতামত দিয়েছি। আমি মনে করি একটা প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে কিংবা মেয়ে তার নিজের বুদ্ধি, বিবেচনা থেকে চলবে, অন্য কারো কথায় নয়।

আপনি কি চান যে আমার ছেলে আপনার মেয়ের কথা শুনে চলুক। বিয়ের পর সে কেন বউ এর কথা বাদ দিয়ে মায়ের কথা শুনবে তাতেই আপনার আপত্তি?

দেখুন আসলে আপনি ব্যাপারটাকে যেভাবে দেখছেন আমি ব্যাপারটাকে সেভাবে দেখি না। আমি আপনাকে একটা গল্প বলতে চাই যদি আপনার সময় থাকে।

বলুন আপনার গল্প।

একটা মেয়ের ত্রিশ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। মেয়েটার যখন বিয়ে হয় সংসার নিয়ে মেয়েটার অনেক স্বপ্ন ছিলো। সে জীবনে কতবার চড়ুইভাতি খেলেছে। তার একটা ছোট ঘর হবে। সেই ঘরটাকে সে তার স্বপ্ন দিয়ে সাজাবে। তার যে জীবনসঙ্গী হবে। তার সঙ্গে সারারাত গল্প করবে, খুনসুটি করবে। বৃষ্টির দিন মেয়েটা তার সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজবে। ছেলেটা বেলি ফুলের মালা এনে মেয়েটার খোঁপায় পরিয়ে দিবে। তারা দুজন শহরের রাস্তায় হাঁটবে। নদীর ধারে বসে থাকবে। কোন কোন রাত তারা শুধু গল্প করে কাটিয়ে দিবে। কখনো দুইজন শুধু হাত ধরে বসে থাকবে। তাদের সন্তান হবে। তারা একসঙ্গে পার্কে যাবে। ছেলে, মেয়েরা যখন দৌড়াদৌড়ি করবে তখন তারা ভাববে তারা কত সুখী।

আচ্ছা।

মেয়েটা জানতো ছেলেটা ভীষণ মেধাবী চিকিৎসক। জীবনে সে কোনদিন দ্বিতীয় হয়নি। খুব উঁচু বংশের ছেলে। মেয়েটা যখন ছেলেটার ঘরে বউ হয়ে এলো তার স্বপ্নের সঙ্গে জীবন মিললো না। তার সেই অতি ব্যস্ত স্বামীর তার জন্য সময় নেই। তিনি এসেই মায়ের সঙ্গে গল্প করতে বসে যেতেন। তারা দুজন কখনো ঘুরতে যেতে পারতো না। কেননা তার মা বলতো জীবনে এত ঘুরে কি হবে? আমি আর তোর বাবা কি ঘুরেছি? তাদের রাত জেগে গল্প করা হতো না। মা শুধু ছেলের বউ এর দোষ ধরতো। ছেলেটা এসে বউটাকে কথা শুনাতো। অভিযোগের পর অভিযোগের পাহাড় জমতে থাকলো। মেয়েটা তার সব স্বপ্ন বাদ দিলো। তার পূর্ণিমা দেখার স্বপ্ন, বেলি ফুলের স্বপ্ন। এমনকি নিজের বাসায় নিজের বাবা, মা-কে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানোর স্বপ্ন। ছেলেটা সমাজের চোখে খুব আদর্শ ছেলে। মায়ের কথা শুনা ছেলে। সে যে শুধু মায়ের কথা শুনতো তাই নয় তার বোনের কথাও শুনতো। বোন বলতো ভাইয়া ভাবি কিন্তু এই কাজটা ঠিক করেনি। অমনি ছেলেটা এসে নিজের বউকে দুইটা কথা শুনিয়ে যেতো। মেয়েটার সন্তানেরা কি করবে, কোথায় ভর্তি হবে, কোন টিচারের কাছে পড়বে সবকিছু ঠিক করে দিতো মা, বোন। মেয়েটা শুধুমাত্র একজন বউ ছিলো কিন্তু সংসারে তার কোন ভূমিকা ছিল না। তার কোন সম্মান ছিলো না। সবাই বলতো আপনার স্বামী কি মেধাবী মানুষ। কি দারুণ পরিবারে আপনার বিয়ে হয়েছে। আর মেয়েটার কাছে বাস্তবতা ছিলো পুরাই উল্টা। তার জীবনের সব স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়ে শুধু জীবনটা কোনভাবে কাটিয়ে দেয়া।

একদিন মেয়েটার ডাক্তার স্বামী মারা গেলেন। মেয়েটা পড়লো চরম বিপদে। শাশুড়ি, ননদ সব দূরে সরে গেলো। মেয়েটা তার দুই মেয়েকে নিয়ে তার জীবন-যুদ্ধ চালিয়ে গেলো।

কিন্তু এর মাধ্যমে আপনি কি বুঝাতে চান?

দেখুন একটা ছেলে তার মায়ের কথা শুনবে, বোনের কথা শুনবে এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু একটা ছেলে যখন কোন দায়িত্বে যাবে, স্বামী হবে, বাবা হবে তখন তার নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে। বড় হওয়া কাকে বলে। বড় হওয়া মানে নিজের ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা। নিজের বুঝার ক্ষমতা। সে যদি সাবালক হওয়ার পরও তার নিজের বিচার বুদ্ধি, জ্ঞান, প্রজ্ঞা না থাকে। সে যদি অন্যের কথা শুনে প্রভাবিত হয়, অন্যের উপর নির্ভরশীল হয় তবে সে যতই মেধাবী হউক না কেন। কাউকে সুখী করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। এই ধরনের মানুষের মানুষ চেনার ক্ষমতা কিংবা বিচার বুদ্ধির ক্ষমতা থাকে না। আসলে এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন মানুষকে বড় হওয়া, স্বামী হওয়া কিংবা বাবা হওয়া এই ব্যাপারগুলো শিখানো হয়না। আপনি বয়সে বড় হতেই পারেন, মেধাবী ও হতে পারেন কিন্তু একজন মানবিক, চিন্তাশীল এবং বিবেকবান নাও হতে পারেন।

এই গল্পের মেয়েটা কে? আপনি?

জী। আমি সেই মেয়ে। যার খুব উঁচু বংশে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু এই উঁচু বংশ, মেধাবী স্বামী, দারুণ পরিবার, কোনকিছুই আমাকে সারাজীবন কোন সুখ স্মৃতি দেয়নি। বরং আমাকে সাগরের মাঝখানে নিয়ে গিয়ে আমার হাতে ছেড়ে দিয়েছে। তাই তখন থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি জীবনে আমার সন্তানদের এমনভাবে বড় করবো যেন তাদের নিজেদের বিবেক বুদ্ধি হয়। তারা যেন শুধু বয়সে বড় না হয়। মননে, চিন্তায় বড় হয়। তাই যেদিন আমি শুনেছি আপনার ছেলে আপনার কথা মতো চলে সেদিন আমি আমার মেয়েকে আমার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছি। যে ছেলে এত বড় হয়েও নিজের বিচার বুদ্ধি অনুযায়ী চলতে শিখেনি তার কাছে খুব বেশি আশা করার কিছু নেই। আমি, আপনি মা হতে পারি। কিন্তু আমাদেরও ভুল হতে পারে। আমরা ভুল ত্রুটির ঊর্ধ্বে নই। সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে নিজের বিচার বুদ্ধি থাকতে হবে।

আপনার মেয়ে কি বললো?

সে বললো সে আপনার ছেলেকেই বিয়ে করবে। কেননা আপনার ছেলে তাকে বলেছে সে পরিবর্তিত হবে।

তাহলে আর সমস্যা কি?

পরিবর্তন কি এত সহজ। এতে সাধনার দরকার হয়। জীবনবোধ উপলব্ধির দরকার হয়। এটা অর্জন মানুষ সারা জীবনে পারে না, সে কিভাবে কয়দিনে পারবে?

তাহলে আপনি আপনার মেয়েকে কি শিখালেন?

ঐ যে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে শিখিয়েছি। আমার কথায় সে প্রভাবিত হয়নি। সে নিজেই তার নিজের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি তাকে তাই বলেছি। তোমার যেটা ভাল লাগবে তুমি তাই করবে। আমি শুধুমাত্র আমার অপিনিয়ন দিয়েছি।

জি আপনার মেয়ে তার সিদ্ধান্ত আমার ছেলেকে জানিয়ে দিয়েছে। এই বিয়েতে সে রাজি নয়। তাই আমি কৌতূহল-বশত জানতে আসলাম। এত পরিবার আমার ছেলের পেছনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আপনারা এমন কোন পাগল?

জি আমরা আসলেই পাগল। মাথায় সমস্যা আছে। তবে এইভাবেই আমাদের ভাবতে ভাল লাগে। পাগল হওয়া মন্দ নয়।

🌱সমাপ্ত

⛔জীবন-গল্প
🖊️Mohammad Aminul Islam

নুপুরের চুল গুলো বড়ো। চুলায় আগুন দিতে গিয়ে সেই চুল পুড়ে একাকার। কোন ফাঁকে, কোন উদাসীনতায় শখের চুলগুলোতে আগুন ধরে গেল সেই...
25/12/2024

নুপুরের চুল গুলো বড়ো। চুলায় আগুন দিতে গিয়ে সেই চুল পুড়ে একাকার। কোন ফাঁকে, কোন উদাসীনতায় শখের চুলগুলোতে আগুন ধরে গেল সেই হদিস সে পেল না। চিৎকার-চেঁচামেচিটা শুরু করল তার পিসি শাশুড়ি। জলভর্তি জগে চুল গুলো ডুবিয়ে দিয়ে নুপুরকে বাঁচালো। নুপুরের মুখটা লাল। ভয়ে লাল হয়ে গিয়েছে। হট্টগোলের শব্দে নুপুরের শাশুড়ি ছুটে এলো। মুধুবালা দেবী বউয়ের এমন বোকামোতে ভীষণ খ্যাপে গেল। ভয়ংকর চেঁচিয়ে বলল,
‘ওমা ওমা ওমা, বউ, তুমি কি দেখে কাজ করো না? চুলে আগুন লাগিয়ে দিছো! শরীর পুড়লে তো তোমার বাপের বাড়ির মানুষ বলতো আমরা আগুন লাগিয়ে মেরে ফেলছি। এমন সর্বনাশ করো না আমাদের।’

নুপুর অনুরাগশূন্য নয়নে তাকিয়ে রইল দূরে। উন্মনা কণ্ঠে বলল,
‘সর্বনাশ করবো না, মা। চিন্তা করবেন না। আমি আমার বাদে কারো সর্বনাশ করিনি কখনো।’
মুধুবালা দেবী পুত্রবধূর এহেন উদাসীনতায় বিরক্ত হলো। সেই বিরক্তি ছুটে গেল চোখেমুখে মি সা ই লের গতিতে,
‘কেমন ধরণের কথা বলো এসব! তোমার কথা শুনলে মানুষ বলবো তুমি কত দুঃখেই না আছো। তোমারে কত যন্ত্রণাই না আমরা দেই। দুঃখের পাহাড় বুকে।’

নুপুর হাসল, ‘পাহাড় নেই বলছেন?’

মুধুবালা দেবী কিছুটা থতমত খেলো। কথা ঘুরিয়ে বলল, ‘হয়েছে, আর সর্বনাশ করতে হবে না। যাও ঘরে। বাকি রান্না ঠাকুরঝি শেষ করবে।’

‘হাঁটুর চুল পুড়ে পিঠে চলে এলো। আমার কত শখের চুল ছিল আপনি তো জানতেন তাই না? তবুও আপনার কোনো হাপিত্যেশ নেই। কেবল আমার শরীর পুড়ে গেলে তার দায়ভার আপনাদের ঘাড়ে পড়বে বলে সব চিন্তা। আর অন্তর যে পুড়ে ছাই সে বেলা? অন্তরের ফোসকা দেখা যায় না বলে তার দায় অস্বীকার করে ফেলেন তাই না?’
প্রশ্ন করে হাসল নুপুর। মুধুবালা দেবী ছেলের বউয়ের প্রশ্নে বিব্রতবোধ করল। কথা আগানোর শব্দ না পেয়ে রান্নাঘর ত্যাগ করল। নুপুর পিসিমার দিকে একবার তাকিয়ে ছুটে ঘরে চলে এলো। এত মন খারাপ নিয়ে আসলে বাঁচা যায় না।

কুমার ঘরে বসে ল্যাপটপে আঙুল চালাচ্ছে ব্যস্ত গতিতে। তার প্রচন্ড ধ্যান ল্যাপটপের স্ক্রিনে। কানে ইয়ারফোন। গান শুনছিল বোধহয়। হুট করে ঘরে কারো পায়ের অস্তিত্ব পেতেই মাথা তুলল। চোখ তুলতেই বিক্ষিপ্ত নারী চরিত্র নুপুরকে দেখতে পেল। মুখ চোখে মেয়েটার আতঙ্ক। কুমার ভ্রু নাচালো, ‘কী হয়েছে? ভূত দেখলেন না-কি দিনে-দুপুরে?’

নুপুর বাঁকা চোখে তাকাল। কুমারকে দেখলে তার মন খারাপ হুর হুর করে বাড়ে সবসময়। আজও ব্যতিক্রম হলো না। মন খারাপ বাড়লো নিমিষেই। ব্যাকুলতা নিয়ে শুধাল, ‘ল্যাপটপে কী করছিলেন? প্রাক্তনের ছবি দেখছিলেন?’
কুমার প্রকৃতপক্ষে কাজ করছিল। নিত্যান্তই, একদম গোপনে মাঝেসাঝে সে প্রাক্তনের আইডি সার্চ করে ঘাটে। তা জানে নুপুর। তাই বলে সবসময় আইডিতে পড়ে থাকবে এমন ভাবাটা কি উচিত? মোটেও নয়। কুমারের কিঞ্চিৎ রাগ হলো তাই। রাগ ধরে রেখেই বলল,
‘হ্যাঁ।’

নুপুরের ব্যাকুলতা মুষড়ে পড়ল। আহত চোখে তাকিয়ে রইল অনেকক্ষণ। কুমার মুখ ঘুরিয়ে আবার ল্যাপটপের স্ক্রিনে চোখ নিবদ্ধ করল। নুপুর আনমনে কি যেন ভাবল তারপর আসক্তিহীন গলায় বলল,
‘আপনার আমার মাঝে সবচেয়ে বেশি পছন্দের জিনিস কী? আমার চুলগুলো তাইনা?’

হুট করে নুপুরের এমন প্রশ্নের মানে বুঝলো না কুমার। তাই তাকিয়ে রইল অবাক নয়নে। সংশয় নিয়ে বলল, ‘হ্যাঁ।’

কুমারের হ্যাঁ বলতে দেরি কিন্তু নুপুরের পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে দেরি হলো না। সে ছুটে গিয়ে ড্রয়ার থেকে কেঁচি বের করেই ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ করে কেটে ফেললো পুড়ে যাওয়া চুল গুলো। চোখের পলকে পুড়ে গিয়ে অবশিষ্ট থাকা পিঠ সমান চুল গুলো ছোটো হয়ে কাঁধ সমান হলো। কুমার তাকিয়ে রইল বোকার মত। বুঝে উঠতে পারলো না হুট করে কি হয়ে গেল। হতভম্ব হয়ে আবছা স্বরে বলল,
‘কী করলেন!’

নুপুর হেসে তাচ্ছিল্য করে জবাব দিল, ‘যে আমার যাতনার খোঁজ রাখে না তার পছন্দের জিনিস আমি কেন রাখবো?’

‘কিন্তু চুল গুলো তো আপনারও পছন্দের ছিল।’
‘না তো! কে বলেছে আমার পছন্দ ছিল?’

কুমার দু'কদম এগিয়ে এসে অবাক নিয়ে বলল, ‘পছন্দ ছিল না? তবে যত্ন করতেন কেন?’
‘আপনার জন্য। ভেবেছিলাম চুলের উছিলায়ও যদি আপনার একটু করুণা পাই!’

‘তাহলে আজ করুণার আশা ছাড়লেন কেন?’

‘চুল গুলো পুড়ে গেছে চুলার আগুন লেগে। অথচ আপনি খোঁজ রাখলে তো! পুরো দুনিয়া ভুলে আপনি তো এক প্রাক্তনেই নিমজ্জিত। বর্তমান দেখার আর সময় কই?’

কুমার যেন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেল। চুলে আগুন লেগে গিয়েছিল ঘটনাটা তো সে জানতোই না! তাই বলে মেয়েটা চুলগুলো কেটে ফেলবে? এত রাগ তার!

‘চুলে আগুন ধরেছিল তাই বলে চুল সবগুলোই কেটে ফেলবেন!’

‘চুলে আগুন ধরেছে সেটা তো বাহ্যিক। চুলে আগুন ধরাতে চুল কাটিনি। আসলে মনে আগুন ধরাতে চুলটা কেটেছি।’

‘মনেও আগুন ধরে?’

‘আপনার মতন স্বামী পেলে ধরেই।’

‘আমার মতন স্বামী পেয়ে আপনার অনেক দুঃখ তাই না?’

‘তা আর বলতে! যার জীবনে অতীত বড়ো তার জীবনে কখনোই তো আমি আসতে চাইনি।’

‘আমি কি কখনো আপনার সামনে অতীতকে এত বেশিই প্রাধান্য দিয়েছিলাম? কেন তাহলে অভিযোগ?’

কথার ঘাত-প্রতিঘাতে আর এগুলো না নুপুর। কেবল চুল গুলো ফ্লোরে ফেলে দিয়ে বিবশ কণ্ঠে বললো,
‘কাকে প্রাধান্য দিবেন আর কাকে দিবেন না তা যদিও আপনার ব্যাপার তবুও আপনি আমায় বাদে আর কাউকে প্রাধান্য দিলে আমার খারাপ লাগে। নিজেকে ছোটো লাগে।’

আর কথা বাড়লো না। তার আগেই নুপুর ঘর থেকে বেরিয়ে সিঁড়ি ডেঙ্গিয়ে ছাদে চলে গেল। আকাশ মেঘলা। গমগমে ধ্বনিতে ডাকছে অনবরত। চারপাশ মুখরিত সেই ডাকে। ক্ষণে ক্ষণে রুপোলি আলোয় বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।
নুপুরের মনে হল মনের সাথে আকাশের একটি সাদৃশ্য রয়েছে। মনের তালে তালে পরিবর্তন হয় তার রঙ। এই যে আজ নুপুরের মন ভালো নেই তেমনি মন ভালো নেই আকাশের। হয়তো এই বিশাল আকাশটা নুপুরের সঙ্গী হতে চায়।

আকাশ চিরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি পড়তে লাগল। নুপুর দু’হাত মেলে আকাশের দিকে মুখ করে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলল,
'বৃষ্টি তুমি মুছে দিও তার দুঃখ, যে আমায় ভালোবাসতে পারেনি কভু।'

কথা শেষ হতেই ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া নুপুর অনুভব করল তার পায়ে কারো হাতের ছোঁয়া। বেশ চমকে গেল সে। ভড়কে গিয়ে চোখ নামাতেই দেখল পায়ের কাছটায় বসে আছে কুমার। সাদা পাঞ্জাবি শরীরে। মিনিট খানেক আগেও তো লোকটার শরীরে গেঞ্জি ছিল। হুট করে পাঞ্জাবি পরল কেন?
তাছাড়া এখানে, পায়ের কাছেই বা করছে কী?

নুপুরের মনের প্রশ্নের উত্তর মিলে গেল তৎক্ষণাৎ। বৃষ্টির জলে ধুয়েমুছে যাওয়া আলতার দিকে চোখ যেতেই চক্ষু তার ছানাবড়া হয়ে গেল। স্তম্ভিত কণ্ঠে বলল, ‘করছেন কী! আমাকে আলতা দিয়ে দিচ্ছেন কেন? পাঞ্জাবিই-বা পরেছেন কেন?’

কুমার জবাব দিল না। এক মনে আলতা দিয়ে উঠে দাঁড়াল। আলতার কৌটাটা রাখল রঙচটা রেলিং-এ। তার এক হাতের মুঠোয় থাকা অনেকক্ষণ যাবত চেপে রাখা, চুপসে যাওয়া কাঠগোলাপটা নুপুরের কানের পিঠে গুঁজে দিতে দিতে বলল,
‘তেমন কিছুই করছি না। একটি মেয়ের অভিযোগ আমি নাকি তার কোনো কথাই জানি না, মানি না, রাখি না। তাই মেয়েটিকে জানাতে এলাম— তার বৃষ্টিস্নানের কথা আমি জানি। আলতা পায়ে দিয়ে, পাঞ্জাবি পরা পুরুষের সাথে শখের বৃষ্টিস্নানের আকাঙ্ক্ষার কথা আমি জানি। তাইতো আলতা নিয়ে ছুটে এলাম কত দ্রুত। মেয়েটি কি এবার মানবে— আমি তাকে ভালোবাসি? একটু মানবে কি?’

দূরে বজ্রপাত হলো। কেঁপে উঠলো নুপুরের দেহ। শাড়ি ভিজে লেপটে গেছে শরীরে। বৃষ্টির জল ভীষণ ঠান্ডা লাগছে যেন হুট করেই। এতক্ষণ লাগেনি। না-কি মনের আগুন নিভে যাওয়ায় এত ঠান্ডা লাগছে চারপাশ?
কুমার হাসলো অবাক চোখে তাকিয়ে থাকা নুপুরকে দেখে। আলগোছে নিজের হাতের মুঠোয় তার হাত টেনে নিতে নিতে বলল,
‘আর প্রাক্তনের ছবি দেখবো না কানে ধরলাম। এবার চুলগুলোর যত্ন কেবল নিজের জন্য নিবেন কেমন? কারণ আমি আপনায় ভালোবাসি। কেবল চুলগুলোকে নয়, পুরো আপনাকেই ভালোবাসি।’

[সমাপ্ত]

#বৃষ্টিস্নান
কলমে: মম সাহা

" আচ্ছা এখানে মিস্টার হাবিব কয় তলায় থাকেন? "ছয় তলা বিল্ডিংয়ের নিচে দাঁড়িয়ে ডেলিভারি ম্যান, আসলে ওম্যান বলা যায়, কারণ সে ...
15/11/2024

" আচ্ছা এখানে মিস্টার হাবিব কয় তলায় থাকেন? "
ছয় তলা বিল্ডিংয়ের নিচে দাঁড়িয়ে ডেলিভারি ম্যান, আসলে ওম্যান বলা যায়, কারণ সে মেয়ে, নাম সিমি।
" হাবিব নামের কেউ তো এই বিল্ডিংয়ে থাকে না। " বিল্ডিংয়ের গেটম্যান বলে।
" কিন্তু সেই তো খাবার অর্ডার করেছে, হতে পারে অন্য নামে। "
" অর্ডার যখন করেছে তখন তো নাম্বার দেয়া আছে, কল করে শুনেন। তবে আমি এখানে চার পাঁচ বছর আছি, ওই নামে কাউরে দেখি নাই। "

সিমি ভাবলো কল করবে, কিন্তু তখনই তার ফোনে কল আসলো। আর কলটা করেছে খাবার অর্ডার দেয়া হাবিব। সিমি কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে বলে,
" আপনি কি আসছেন? বিল্ডিংয়ের ছয় তলায় বাম পাশের ফ্ল্যাট আমার। "
বলেই ফোন কেটে দেয়। সিমিও খাবারের বক্স নিয়ে লিফটে করে ছয় তলায় যায়, বাম পাশের ফ্ল্যাট নক করে। দরজা খোলে এক ২৬/২৭ এর যুবক। দরজা ফাঁকা করে খুলেই সে ভিতরে চলে যায় চেহারা দেখার আগেই। আর বলে,
" কষ্ট করে একটু টেবিলে রেখে যান। "
সিমিও ঘরে একটু ঢুকে একটা টেবিল পায় আর সেখানে খাবারের বক্স রেখে বেরিয়ে আসে। আসার সময় ভদ্রতার খাতিরে দরজা ক্লোজ করে দিয়ে আসে৷ তারপর লিফট করে অর্ধেক পথে নেমে এসে তার মনে পড়ে এপে রেটিং দিতে তো বলেনি। যাক হয়তো দিয়ে দেবে।

তিন দিন পর আবার সেম লোকেশন থেকে অর্ডার আসে, আর এবারও সিমিকেই আসতে হয়। আসলে সিমির লোকেশনের মধ্যে এটা পড়ে তাই সিমিকেই আসতে হয়। এবার সিমি গেটম্যানকে না জিজ্ঞেস করেই চলে যায়। প্রথমবারের মতো এবারও দরজা ফাঁকা করে খুলেই সে ভিতরে চলে যায়। আর সিমিও আগের বারের মতো টেবিলে রেখে চলে আসে। এবার কথা বলার মধ্যে কথা হয়,
" আগের বার মনে না করিয়ে দেয়ার পরেও রেটিং দিয়েছেন, ধন্যবাদ। "
হাবিব শুধু হু বলে উত্তর দেয়। সিমিও চলে আসে। এভাবে বেশ কিছু দিন এই খাবার অর্ডার ডেলিভারি চলে।

মাস দুই পরে ছয় তলা থেকে লিফটে নামার সময় চার তলায় একজনের সাথে সিমির নামতে হয়। তখন সে সিমিকে নতুন ভাড়াটিয়া ভেবেছিল কিন্তু সিমি বলে সে ফুড ডেলিভারি দিতে এসেছিল ছয় তলায়। এটা শুনেই যেন সে তার জ্ঞান দেয়ার ভান্ডার খুলে বসে যে মেয়েদের এসব করতে নেই। তবে ভাগ্যিস লিফট তাড়াতাড়ি নামে তাই বেশি জ্ঞান পেতে হয় নি।

এবার একদিন সেম লোকেশন থেকে অর্ডার আসে তবে সেটা ছিল তিন তলার। তিন তলায় ফুড ডেলিভারি দিয়ে এবার সিমি সিড়ি দিয়ে নামছিল। তখন শুনতে পায়,
" আরে ছয় তলার বাম দিকের ফ্ল্যাট তো ভাড়াই হয় না, হলেও সাত দিনের বেশি ভাড়াটিয়া টেকে না। যারা জানে তারা তো ভাড়া নেয় না, আর যারা জানে না তারা সস্তা দেখে আসে কিন্তু এক সপ্তাহও টিকতে পারে না। "
আরেকজন বলে,
" যাও বা একটা ভাড়াটিয়া পেয়েছিলো, সব জেনে শুনে সে রাজি ছিলো কিন্তু ফ্ল্যাট দেখাতে গিয়েই তো বিপত্তি। ভাবা যায় বলেন? যে ফ্লাটে মানুষ থাকে না প্রায় ছয় মাসের বেশি, শেষ ভাড়াটিয়া গেছে তাও সাত আট মাস হতে চললো। সেই ফ্ল্যাটে অর্ডার করা খাবারের খালি প্যাকেট পাওয়া গেছে। "

কথাগুলো শুনে তাদের কিছু জিজ্ঞাসা করে না সিমি, করবেই বা কি করে। এরপর সে গেটম্যানকে জিজ্ঞেস করে, যেহেতু সিমি প্রায়ই আসে, পরিচিত মুখ। সে বলে,
" আরে তেমন কিছু না, ছয় তলার বাম পাশের ফ্ল্যাট ছয় মাস ধরে বন্ধ। কাল ভাড়া নিতে আসছিল সেটা খুলে তিন চার প্যাকেট অর্ডার করা খাবারের খালি প্যাকেট পাওয়া গেছে। এগুলো কই থেকে আসলো সেই ঘরে এই নিয়ে এত আলোচনা। "

সিমি কথাগুলো শুনে স্তম্ভিত হয়ে যায়, সেই ফ্ল্যাটে এতদিন সিমিই খাবার দিয়ে এসেছিলো। সিমি দ্রুত ফোন বের করে চেক করে সেই অর্ডারের ডিটেইল, তার ভুল হচ্ছে কিনা। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো সেই অর্ডারগুলো তো সেখানে নেই, সেখান থেকে কোনো অর্ডারই হয় নি। আজ হয়েছে তাও তিন তলার থেকে। সিমি যেন বিশ্বাস করতে পারছে না। সে ছয় তলায় সেই ফ্ল্যাটের দিকে তাকায়, দেখেই বোঝা যাচ্ছে কেউ থাকে না সেখানে। কিন্তু তার সাথে কি হলো এটা?

#ফুড_ডেলিভারি 🍜
#নীলস্নেহা 💙

আমার অভিমানে কী এমন আসে যায়? বলো...নিছক নিজেকে কষ্ট দেয়া, অভিমানে নিজেকে ভীষণ ভাবে একা করে দেয়া মাত্র! অভিমান যেখানে অধি...
31/10/2024

আমার অভিমানে কী এমন আসে যায়? বলো...
নিছক নিজেকে কষ্ট দেয়া, অভিমানে নিজেকে ভীষণ ভাবে একা করে দেয়া মাত্র! অভিমান যেখানে অধিকারের বাইরে চলে যায়, সেখানে নিজেকে তুচ্ছ করে দেয়া ছাড়া আর কিছু নয়।

আমার না থাকায় কী এমন আসে যায়? বলো...
আকাশে এতশত নক্ষত্রের ভীড়ে, দু-একটি নক্ষত্র খসে পড়লেই কী আকাশ শোক করে? আমি তো বিশেষ কেউ নই, যার আগমনে পৃথিবী হয়ে যায় রঙিন কিংবা যার না থাকা জুড়ে পৃথিবীতে নেমে আসে গভীর শোক।

প্রচন্ড হতাশায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকলে কার কী আসে যায়? বলো...
পৃথিবীতে এত আয়োজনের ভীড়ে, মনের খেয়াল আর কে রাখে? ভালোবাসা যেখানে নামেমাত্র, শুধু মুখের কথা, মন আর অনুভূতি সেখানে তুচ্ছতাচ্ছিল্য হয়!

ভালোবাসা না পেলে মানুষ দুঃখ করে না। মানুষ দুঃখ করে ভালোবাসার নামে প্রতারিত হলে, ভালোবাসার নামে নিজের ভালো থাকা হারিয়ে ফেললে!

আমার অভিমানে আর কার কী আসে যায়? বলো...
পৃথিবীতে এতকিছুর ভীড়ে, কে খোঁজে অভিমানের কারণ? এতশত জনস্রোতে, কার মনে অভিমানের মেঘ দেখতে চায় মানুষ? নিঃস্ব মানুষের অভিমানে, হতাশায় পৃথিবীর কিছু যায় আসে না!

✍️পিউ

লাইভে আসছি ৪ঃ৩০ মিনিটে
19/10/2024

লাইভে আসছি ৪ঃ৩০ মিনিটে

আপনি মানুষটা জীবনে আসার আগে অব্দি আমার তেমন কোনো বড়সড় দুঃখ ছিল না । মাঝে মধ্যে সময় স্রোতে ভেসে যেটুকু দুঃখ আসতো তা আব...
11/10/2024

আপনি মানুষটা জীবনে আসার আগে অব্দি আমার তেমন কোনো বড়সড় দুঃখ ছিল না । মাঝে মধ্যে সময় স্রোতে ভেসে যেটুকু দুঃখ আসতো তা আবার চোখের জল গড়িয়ে পরার আগেই মিলিয়ে যেত । তবে আপনি যে আমার হয়েও হলেন না ; এই দুঃখটা আমার কাছে একটা সমুদ্রের মতো । যার সমস্ত জুড়ে শুধু বিষাদের জল ।

দুঃখ মানুষের জীবনের একটি অপ্রত্যাশিত সত্য। জীবনের কোনো না কোনো এক সময় এসে মানুষকে দুঃখ আলিঙ্গন করতেই হয ়। সেটা যে কোনো কারণেই হতে পারে ।

তবে পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ একদিকে আর প্রিয় মানুষ হারানোর দুঃখ অন্যদিকে রাখলে, প্রিয় মানুষ হারানোর দুঃখের পাল্লাটাই ভারি হবে ।

এই হারানোর অনুভূতি কাউকে বোঝানো যায় না । শুধু সে জানে মাঝ রাতে চাপা একটা আর্তচিৎকারের কথা ; এক অজানা বিষাক্ত অনুভূতির কথা । তবুও মানুষ ভালোবাসে ;
ভালোবাসতে চায় সমস্ত দুঃখের বিপরীতে একটা সোনালি সুখের আসায় ।

পদ্মাবতী

-পুরুষ মানুষ ইচ্ছে করেই বিচ্ছেদ করে,,আর বিচ্ছেদের সময় দিবে অনেক অজুহাত!! 😅-একটা ছেলে চাইলে তার প্রিয় মানুষ টা কে নিজের ক...
08/10/2024

-পুরুষ মানুষ ইচ্ছে করেই বিচ্ছেদ করে,,আর বিচ্ছেদের সময় দিবে অনেক অজুহাত!! 😅

-একটা ছেলে চাইলে তার প্রিয় মানুষ টা কে নিজের করে নিতে পারে সেটা জোর খাটিয়ে হলেও।

-একটা ছেলে চাইলে তার প্রিয় মানুষ টি কে পাওয়ার জন্য তার ফ্যামিলির সামনে মাথা উঁচু করে বলতে পারে, আমার ওরেই লাগবে, আমি ওরেই বিয়ে করবো।
কিন্তু মেয়েরা অনেক সময় এমন টা বলতে পারে না, অনেক কম সংখ্যাক মেয়ে আছে যারা এমন করে বলতে পারে।

-কিন্তু দেখা যায় হাতে গুনা দু'একজন ছেলে তার প্রিয় মানুষ কে সবার বিরুদ্ধে গিয়ে আপন করে নেই।
আর বেশিরভাগ ছেলে আছে যারা প্রেম করবে ঠিক আছে, কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার সময় নানান বাহানা দেখিয়ে পালিয়ে যায়।😅

-আবার কিছু কিছু ছেলে আছে, যারা মেয়েটাকে ছারবেও না আবার নিজের করেও নিবে না। মেয়েটা যেতে চাইলে কোনো না কোনো ভাবে আটকে দিবে আাবার থেকে গেলে তুচ্ছ মনে করে অবহেলা করবে।😅

-আবার এমন কিছু ছেলে আছে যারা তার প্রিয় মানুষ টি কে পাওয়ার জন্য পুরা দুনিয়ার সাথেও লড়াই করতে রাজি থাকে।❤️

-পরিস্থিতি তো একটা অজুহাত মাত্র,,
সত্যিকারের ভালোবাসা থাকলে,,
পুরুষ কখনো তার শখের নারীকে হারাতে দেয় না। 🙂

✍️পিউ

06/10/2024

রিফু রাত এগারোটার পরে চুপিচুপি ছাদে যাচ্ছিলো, যাবার আগে রিমুর খাটে উঁকি মেরে দেখলো সে শুয়ে আছে। সে নিশ্চিন্তে ছাদে কথা বলতে পারবে ফোনে। ছাদে গিয়ে আস্তে করে দরজা ভেজিয়ে দিয়ে ঘুরতেই দেখে রিমু ছাদের দোলনায় বসে দোল খাচ্ছে। রিফুকে দেখেই সে একটা অদ্ভুত হাসি দিলো। এটা দেখেই রিফুর আত্মা যেন শরীর থেকে বেরিয়ে যায় যায়। সে দ্রুত পড়িমরি করে ছাদ থেকে নেমে এসে বিছানায় বসে হাঁপাতে থাকে। তখনই হঠাৎ সামনে চোখ পড়তেই দেখে রিমু খাটে শুয়ে আছে। রিমু খাটে শুয়ে থাকলে ছাদে কে বসা? আর ছাদেই যদি থাকবে তাহলে খাটে কে? ভুল দেখছে কিনা এটা ভাবতে ভাবতে রিফু এগোতে থাকে রিমুর খাটের দিকে। তখন পিছন থেকে শুনতে পায়,
" খাটের উপর হুমড়ি খেয়ে কী দেখছিস? "
কথাটা শুনেই পিছু তাকাতে দেখে রিমু বাথরুমের দরজার সামনে। তখন আবার খাটে তাকাতেই দেখে খাটে কেউ নেই। তখন রিফু রিমুকে প্রশ্ন করে,
" তুই বাথরুমে কখন গেলি? "
" এই দশ মিনিট হবে। "
" তার আগে কই ছিলি? "
" খাটেই ছিলাম। " ..........
" একা একা বাথরুমের দরজার সামনে কি করছিস? একাই বকবক করছিস নাকি রিফু? " রুমের দরজার সামনে চায়ের কাপ হাতে রিমু কথাটা বলে। ঘুরে তাকাতেই রিফু আরও চমকে উঠে। আবার সামনে তাকাতেই দেখে কেউ নেই। কি হচ্ছে ওর সাথে, আসলে রিমু কোথায়? কোনটা আসলে রিমু, নাকি হ্যালিউসিনেশন। কিন্তু আসল রিমু কোথায়? ভাবতে ভাবতে রিফু জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়।

মুখে পানির ঝাপটা পেয়ে রিফু চোখ খোলে। কিন্তু কেউ সেখানে ছিলো না, কে দিলো পানির ঝাপটা। ঘড়িতে সময় তিনটা, মানে প্রায় তিনঘণ্টা সে জ্ঞান হারিয়ে ছিলো। এরপর আস্তে আস্তে তার মনে পড়ে সব, তখন রিমু সামনে বসে বলে,
" তোর কি প্রেসার লো? অজ্ঞান হয়ে গেলি হঠাৎ? "
রিমুকে দেখেই রিফু যেন এক লাফে দুই হাত পিছনে চলে গেলো। তা দেখে রিমু বললো,
" কী হলো ব্যাপারটা? "

#কে_আসল_ভূত? 😵‍💫
#নীলস্নেহা 💙

নিঃসঙ্গতার মূল কারণসখের মানুষের অযত্ন আর অবহেলা,,,,চঞ্চলতা গায়ে জড়ানো পুষ্পটাকেমন যেন শান্তশিষ্ট হয়ে যায়।সাদামাটা ভোলাভা...
05/10/2024

নিঃসঙ্গতার মূল কারণ
সখের মানুষের অযত্ন আর অবহেলা,,,,
চঞ্চলতা গায়ে জড়ানো পুষ্পটা
কেমন যেন শান্তশিষ্ট হয়ে যায়।
সাদামাটা ভোলাভালা মানুষটা
খুব বেশি অযত্নেই
কঠিন হয়ে যায়।
বাইরের চাকচিক্যকে ছাপিয়ে
রাতের অন্ধকারে নিজেকে দিব্বি মানিয়ে নেয়!

✍️পিউ

আমাকে হারালে তোমার অথবা পৃথিবীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না। সূর্য নিয়ম করেই পুরো বিশ্বকে প্রদক্ষিণ করবে, সমুদ্রের ঢেউ প্রবল ধ...
04/10/2024

আমাকে হারালে তোমার অথবা পৃথিবীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না। সূর্য নিয়ম করেই পুরো বিশ্বকে প্রদক্ষিণ করবে, সমুদ্রের ঢেউ প্রবল ধাপে তীরে এসে আঁছড়ে পড়বে, বাগনে ফুল ফুটবে, ঝরবে নিয়ম অনুপাতে। কোথাও ভেঙে যাবে না কারোর হাত ফসকে কাঁচের গ্লাস, কেউ ভুল করে রান্নায় লবন বেশি দিয়ে ফেলবে না, কেউ শোকে কাতর হয়ে আমাকে ভুলতে গিলে ফেলবে না একমুঠো ঘুমের ঔষুধ।

আমাকে হারালে তোমার অথবা পৃথিবীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে না। সপ্তাহ চলে যাবে মাসের কাছে, মাস চলে যাবে বছরের কাছে। ভোর হবে, বিকাল হবে, সন্ধ্যা হবে, রাত্তিরি নামবে, চাঁদ থেকে গলে গলে পড়বে কাটাকাটা জোৎস্ন্যায়। তুমি নিজেকে সে জোৎস্ন্যায় ডুবাবে-চুবাবে।

আমাকে হারালে কিছুই হবে না। তোমার অথবা পৃথিবীর কাছে এতটাও মূল্যবান নই আমি। তবে এতটুকুই জেনে রাখো, অসংখ্য মানুষের ভিড়ের মাঝে থেকেও হঠাৎ করে একদিন তোমার হৃদয় শূন্য হবে। ফাঁকা ফাঁকা লাগবে বুকের ভেতরটায়। সেইদিন তুমি বলতে পারবে না, কেউ তোমারে তোমার মত ভালোবাসে নাই। তুমি বলতে পারবা না, আমরা সবসময় ভুল মানুষদের ভালোবাসি।

এতটুকুন ক্ষয়ক্ষতি তুমি কি দিয়ে পোষাবে কও?

✍️পিউ

তোমাকে ভুলে যাওয়ার শক্তি আমার নেই !!তুমি টের পেয়ে ছিলে, তুমি ভালো করেই বুঝে গিয়ে ছিলে, তোমাকে ছাড়া অন্য কারো কথা আমি ভা...
02/10/2024

তোমাকে ভুলে যাওয়ার শক্তি আমার নেই !!
তুমি টের পেয়ে ছিলে, তুমি ভালো করেই বুঝে গিয়ে ছিলে, তোমাকে ছাড়া অন্য কারো কথা আমি ভাবতেই পারি না, তুমি খুব ভালো ভাবেই বুঝে গিয়ে ছিলে তোমাকে ছাড়া আমার বেঁচে থাকা দায়।
তোমাকে ছেড়ে দেওয়ার শক্তি আমার নেই...

তাই তুমি দিনের পর দিন অ'ব'হে'লা করতে শুরু করলে, আমি যত আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করলাম তুমি তত অ'ব'হে'লা বাড়িয়ে দিলে, মা'ন'সি'ক ভাবে ক'ষ্ট দিতে শুরু করলে, তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না বলে-- সম্পর্কটা বাঁ'চাতে দিনের পর দিন অ'ব'হে'লা, তু'চ্ছ'তা'চ্ছি'ল্য, মা'ন'সি'ক য'ন্ত্র'ণা সব নীরবে স'হ্য করে নিয়েছি।

কিন্তু না! এতো কিছুতেও তোমার আশ মিটলো না... তোমার মন ভরল না, তুমি দিনের পর দিন রং বদলাতেই থাকলে, খো'লসের পর খো'লস ছা'ড়তেই থাকলে, বার বার আমাকে ভে'ঙ্গে'চু'রে এ'কাকার করার পর আমার অ'শ্রুসিক্ত আখি দেখে তুমি পি'চা'শে'র হাসিতে মেতে উঠতে শুরু করলে।

আমি একটু একটু করে নিজেকে বোঝাতে শুরু করলাম... তুমি হয়ত আমার ভাগ্যেই নেই, তবুও মাটি কা'মড়ে পরে ছিলাম, শুধুমাত্র "তোমাকে ভুলে যাওয়ার শক্তি আমার নেই বলে"; কিন্তু তুমি তো থামবে না... তুমি তো থামতেই জানো না, আমার প্রতি তো তোমার ভালোবাসা-ই ছিলো না, যেটা ছিলো সেটা ভালো লাগা, সেটা মো'হ, তাই ভালো লাগা আর মো'হ কে'টে যাওয়া মাত্রই তুমি মানুষ থেকে অ'মানুষ হয়ে গিয়ে ছিলে।

একদিন হঠৎ করেই তুমি নতুন কাউকে নিয়ে এলে, আমার চোখের সামনেই অন্য কাউকে ভালোবাসতে শুরু করলে, স'হ্য করতে পারছিলাম না, একদম স'হ্য করতে পারলাম না আর; সে মুহূর্তেই তোমাকে ছে'ড়ে দিয়ে ফিরে আসলাম, কারণ! সব কিছুর ভা'গ দেওয়া যায় কিন্তু স্বামীর ভা'গ কখনোই না, সব অ'ত্যা'চা'র স'হ্য করা যায় কিন্তু মা'ন'সি'ক অ'ত্যা'চা'র না, সব অ'প'মা'ন স'হ্য করা যায় কিন্তু নিজের অস্তিত্বের অ'প'মা'ন স'হ্য করা যায় না।

সব কিছু বি'স'র্জ'ন দিয়ে বাঁ'চা যায় কিন্তু ব্য'ক্তি'ত্ব বি'স'র্জ'ন দিয়ে বাঁ'চা যায় না, তাই তোমাকে নয় নিজেকেই নিজে মুক্তি দিলাম, মি'থ্যে বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করলাম, "তোমাকে ভুলে যাওয়ার শক্তি আমার নেই" অনুভূতিটাকেই ভু'লে গেলাম।

✍️পিউ

Address

Rajshahi

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অল্প স্বল্প গল্প Olpo Solpo Golpo posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to অল্প স্বল্প গল্প Olpo Solpo Golpo:

Share

Category