04/09/2025
🔴 কেন আমরা # #মিলাদুন্নবী উদযাপনকে বিদ‘আত বলি?
👈🏻 কারণ হলো:
🔹 কুরআনের একটি আয়াতেও নয়, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কোনো হাদীসেও নয়—সঠিক হোক বা দুর্বল—মিলাদুন্নবী উদযাপনের কথা আসেনি। সাহাবীদের কোনো বর্ণনাতেও নেই, সঠিক বা দুর্বল কিছুই নেই।
🔹 রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজে তাঁর জন্মদিনে কোনো উৎসব করেননি, আর তাঁর কোনো সাহাবী বা পরিবারও জীবদ্দশায় তা করেনি।
🔹 আবু বকর رضي الله عنه (২ বছর খলীফা ছিলেন), তিনি মিলাদুন্নবী পালন করেননি। অথচ তিনি ছিলেন উম্মাহর সিদ্দীক ও হিজরতের সঙ্গী!
🔹 উমর رضي الله عنه (১০ বছর শাসন করেছেন), তিনি মিলাদুন্নবী পালন করেননি। অথচ তিনি উম্মাহর ফারূক ও আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুপ্রাণিত ছিলেন!
🔹 উসমান رضي الله عنه (১৩ বছর শাসন করেছেন), তিনি মিলাদুন্নবী পালন করেননি। অথচ তিনি ছিলেন নবীর দুই কন্যার স্বামী, দুইবার হিজরতকারী, এবং উম্মাহর মধ্যে সবচেয়ে লাজুক মানুষ!
🔹 আলী رضي الله عنه (৪ বছর শাসন করেছেন), তিনি মিলাদুন্নবী পালন করেননি। অথচ তিনি নবীর চাচাতো ভাই, ফাতিমার স্বামী এবং জান্নাতের নারীদের নেতা ফাতিমার স্বামী!
🔹 মু‘আবিয়া رضي الله عنه (নবীর ওহীর লেখক ও ইসলামের প্রথম রাজা), তিনি মিলাদ পালন করেননি।
🔹 হাসান ও হুসাইন رضي الله عنهما, জান্নাতের যুবকদের নেতা, তাঁরাও তাদের দাদা নবী ﷺ এর জন্মদিন পালন করেননি।
🔹 নবী ﷺ ইন্তিকাল করলেন, তখন সাহাবীর সংখ্যা ছিল এক লক্ষের বেশি—কিন্তু কেউ মিলাদ পালন করেননি।
🔹 তাদের পরের প্রজন্ম (তাবেঈন) কারো কাছেও মিলাদের কোনো চিহ্ন নেই।
🔹 চারজন ইমাম—ইমাম আবু হানিফা, মালিক, শাফেঈ, আহমদ رحمهم الله—কেউ মিলাদ পালন করেননি।
✔️ তাহলে যদি এটি ভালো হতো, তবে তারা অবশ্যই আমাদের আগে করতেন।
💡 যারা মিলাদ উদযাপনের অনুমতি দেয়, তারা যেমন সোমবারের রোজার হাদীসকে প্রমাণ হিসেবে আনে—যদি এ ব্যাখ্যা সত্য হতো, তবে এ ইমামগণই আগে তা প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতেন। তাঁদের না করার মানেই হলো এ ব্যাখ্যা ভ্রান্ত।
💡 ইমাম মালিক رحمه الله বলেছেন: “যা রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তাঁর সাহাবীদের যুগে দ্বীন ছিল না, আজও তা দ্বীন হতে পারে না।”
💡 নিশ্চিতভাবে জানা যায়—রাসূলুল্লাহ ﷺ দুনিয়া ত্যাগ করার আগে আল্লাহ তাঁর দ্বীনকে পূর্ণ করেছেন, নি‘আমত সম্পূর্ণ করেছেন। {اليوم أكملت لكم دينكم وأتممت عليكم نعمتي ورضيت لكم الإسلام دينا}
“আজ আমি তোমাদের জন্য দ্বীনকে পূর্ণ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার নি‘আমত সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করলাম।”
💡 নবী ﷺ সতর্ক করেছেন দ্বীনে নতুন কিছু উদ্ভাবন থেকে। তিনি বলেছেন:
((যে কেউ আমাদের এই দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু নতুন করবে, যা এর অংশ নয়, তা প্রত্যাখ্যাত হবে।))
💡 জানা দরকার: তিনটি শ্রেষ্ঠ যুগ-এ (সাহাবী, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন) কেউ মিলাদের নামও শোনেনি। অথচ সহীহ হাদীসে আছে:
“আমার যুগই সর্বোত্তম যুগ, তারপর যারা আসবে, তারপর যারা আসবে।”
—তাহলে আমাদের জন্যও কি যথেষ্ট নয় যা তাদের জন্য যথেষ্ট ছিল?
💡 সুতরাং বোঝা যায়: মিলাদ উদযাপনের পক্ষে কোনো দলীল নেই—না কুরআন থেকে, না হাদীস থেকে, না ইজমা থেকে, না সাহাবীদের কাজ থেকে, না সঠিক কিয়াস থেকে। শুধু কিছু আলেমের ভুল মতামত, আর মানুষ সেই ভুলকেই অনুসরণ করছে।
---
❓ মিলাদ উদযাপনকারীদের প্রতি চারটি প্রশ্ন:
1️⃣ প্রথম প্রশ্ন: মিলাদ করা কি ইবাদত নাকি গুনাহ?
▪️ যদি বলেন গুনাহ—তাহলে বিতর্ক শেষ।
▪️ যদি বলেন ইবাদত—তাহলে তার জন্য সওয়াব পাওয়া যাবে!
2️⃣ দ্বিতীয় প্রশ্ন: এ ইবাদতের কথা নবী ﷺ জানতেন নাকি জানতেন না?
▪️ নিশ্চয়ই আপনারা বলবেন জানতেন।
3️⃣ তৃতীয় প্রশ্ন: যদি তিনি জানতেন, তবে কি তিনি তা উম্মাহকে পৌঁছে দিয়েছেন, নাকি গোপন রেখেছেন?
▪️ নিশ্চয়ই তিনি গোপন করেননি, কারণ আল্লাহ বলেছেন: {يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ}
▪️ যদি বলেন তিনি পৌঁছে দিয়েছেন, তবে বলুন—কোথায় তাঁর বাণী বা নির্দেশ?
4️⃣ চতুর্থ প্রশ্ন: যদি আপনারা দলীল আনেন, তবে—
▪️ সাহাবী, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন এ দলীল জানতেন না আর আপনারা আজ তা জেনে ফেললেন?
▪️ নাকি তারা জানতেন কিন্তু কাজ করেননি, আর আপনারা এখন কাজ করছেন?
---
▫️ আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি—তিনি যেন আমাদের সবাইকে হিদায়াত দেন, সরল পথে চলার তৌফিক দেন।
▪️ এবং দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নবী, প্রিয়তম, নেতা, চক্ষুশীতল মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ﷺ, তাঁর পরিবার, সাহাবীগণ, স্ত্রীগণ এবং তাঁর পথ অনুসরণকারীদের ওপর কিয়ামত পর্যন্ত।
゚ #মিলাদুন্নবী